প্রজাপতির রং পর্ব-০৮

0
1135

#প্রজাপতির_রং🦋
#Part_08
#Writer_NOVA

পরের দিন……….

মুরাদ সাহেব রুমালে মুখ মুছতে মুছতে কেবিনে প্রবেশ করলেন।গিয়ে দেখেন অলরেডি তার বড় ছেলে তাজ মিটিং-এর বন্দবস্ত শুরু করে দিয়েছে। সে প্রায় ১০ মিনিট লেট করে ফেলেছে। কোন কথা না বলে নিঃশব্দে সামনে থাকা চেয়ার টেনে বসে পরলেন।সারা কেবিনে হালকা নীল আলো জ্বলছে। তাও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টের। বিশাল বড় গোল টেবিলে প্রায় ১৬/১৭ জন বসে আছে।সবার দৃষ্টি এখন তাজের দিকে। মুরাদ সাহেব কিছুটা নড়েচড়ে বসতেই চেয়ারটা কিঞ্চিত কেচৎ শব্দ করে উঠলো।এতে বিদ্যুতের গতিতে সবাই তার দিকে তাকালো। কিন্তু তাজের কোন হেলদোল নেই। সে এখনো টেবিলের সাথে হেলান দিয়ে হালকার উপর বসে ফাইল নাড়াচাড়া করছে।

আরিয়ানঃ মাহির ভাই, সবাই এসে পরেছে।এবার আমরা মিটিং শুরু করতে পারি।

ফাইলের থেকে চোখ না সরিয়ে তাজ মৃদুস্বরে বললো।

তাজঃ হুম।

ফাইলটা টেবিলের ওপর রেখে সবার দিকে একবার চোখ বুলালো তাজ।ওর সামনের চেয়ারে বসে আছে ওর এসিস্ট্যান্ট অাদর।বয়স খুব বেশি নয়।২৮ -এ পরেছে।এই কয় মাসে ছেলেটার সাথে ভালোই আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়ে গেছে তাজের।তাজ কখন কি প্রয়োজন তা চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারে অাদর।সবসময় ছায়ার মতো ওকে ঘিরে রাখে।কাজ পাগল ছেলে অাদর।ওর মা অসুস্থ ছিলো বিধায় গত ৩/৪ দিন সেখানেই ছিল। আজ গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে শুনে ছুটে চলে এসেছে। অবশ্য ওর মায়ের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো। হালকা কেশে গলা পরিষ্কার করে নিলো তাজ।সে জানে এখন তাকে বিশাল বড় রচনা বলতে হবে।

তাজঃ উপস্থিত সকল স্যার, আমার কর্মচারীবৃন্দ এবং কোম্পানি পরিচালনা কমিটির প্রত্যেক সদস্যকে প্রথমে জানাই আমার সালাম।আসসালামু আলাইকুম। আমি আজ নতুন এক ব্যবসার কথা বলতে আপনাদের সাথে এই গুরুত্বপূর্ণ মিটিং রেখেছি।সবাইকে অনুরোধ মনোযোগ সহকারে আমার কথা শোনা।কথার মাঝে কোন ডিস্টার্ব আমি এখন এলাউ করবো না।আমার পুরো কথা শেষ না হওয়া অব্দি কেউ কেবিন থেকে বেরও হতে পারবেন না।আমার কথা বলার শেষে যার যার মতবাদ জানাবেন।তো শুরু করা যাক।

এতটুকু কথা বলে বেশ বড় একটা দম নিলো তাজ।
তার অনেক নার্ভাস লাগছে।যদি তার বাবা রাজী না হয় সেই ভয়ে।ছোটখাটো একটা ঢোক গিলে তার বাবার দিকে তাকালো। মুরাদ সাহেব বেশ উৎসুক চোখে তাজের দিকে তাকিয়ে আছে। তার ছেলে কি এমন বলবে?যার জন্য এতো পরোয়ানা জারি করলো।

তাজঃ আমাদের ব্যবসাটা মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোই চলছে।তাই আমি এর পাশাপাশি শেয়ার ব্যবসা করতে চাইছি।আমাদের কোম্পানির মূলধনকে শেয়ার আকারে জনগণের কাছে বিলি করতে চাই।আমি জানি শেয়ার ব্যবসায় অনেক রিস্ক।কিন্তু তার চেয়ে বেশি লাভ।যদি সঠিকভাবে শেয়ারবাজার শেয়ার ছাড়তে পারি তাহলে আমাদের পিছু ফিরে তাকাতে হবে না।

শেয়ারের কথাটা শুনে মুরাদ সাহেবের চেহারার রং পাল্টে গেলো।এর জন্যই তাজ এত কড়াকড়ি করে সবাইকে বললো যেনো কেউ বেরিয়ে না যায়।তাজ কি জানে না এই শেয়ারের কারণে যে তার সবকিছু নিঃশেষ হয়ে গেছে। সে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও কিভাবে এরকম সিদ্ধান্ত নিলো সে।মুরাদ সাহেব ফুঁসতে লাগলেন।এই শেয়ারের ব্যবসা তার সবকিছু শেষ করে দিয়েছে। কত বড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি ছিলো তার।কিন্তু শেয়ার খাতে সব টাকা বিনিয়োগ করে সে পথে নেমে গিয়েছিলো।ব্যাংক থেকে চড়া সুদে লোন নিয়েছিলো।কিন্তু শেয়ার বাজার মন্দা যাওয়ায় বেশ বড় অঙ্কের লোকসান গুনতে হয়েছে তাকে।ব্যাংক ঋণের ভয়ে কত লুকিয়ে লুকিয়ে চোরের মতো জীবন-যাপন করেছে। সেই ভয়ংকর অতীত কি ভোলার মতো?এখনো মনে পরলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে।তাই সে এখন শেয়ারের নাম শুনলেই চটে যায়।

তাজ তার বাবার দিকে তাকিয়ে অনুমান করতে পারলো মুরাদ সাহেবের ভেতরে কি চলছে।রাগে তার নাকটা যে ফুলে উঠেছে তা আবছা আলোতেও তাজের বুঝতে অসুবিধা হয়নি।

আরিয়ানঃ মাহির ভাই,তুই এসব কি বলছিস?তুই শেয়ার ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করছিস?তুই জানিস না আমাদের ওপর এই শেয়ারের কারণে কি ঝড় গিয়েছে। তুই আবার সেই বিপদ ডেকে আনার চেষ্টা করছিস। আমরা তো এভাবেই ভালো আছি। কি দরকার ঐ শেয়ার ব্যবসায়ের।তুই এতবড় একটা সিদ্ধান্ত নিলি আর আমাদের জানানোর প্রয়োজনও মনে করলি না। আমাকে না বলতে পারতিস।কিন্তু বাবাকে তো বিষয়টা জানাতি।

তাজঃ আরিয়ান, আমার কথার মাঝখানে কথা বলতে মানা করেছিলাম।আমি অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।আমি তোকে বা বাবাকে এই জন্য বলিনি যে তোরা জানলে কখনোই আমাকে শেয়ারবাজারে নামতে দিবি না তাই।

পরিচালনা কমিটির সদস্য জাফর সাহেব কিছুটা ভয় নিয়েই বলে উঠলেন।

জাফরঃ সবই বুঝলাম তাজ বাবা,কিন্তু শেয়ার ব্যবসাটা অনেক ঝুকিপূর্ণ। এখন কাঁচা হাতে শেয়ার বাজারে নামলে, তো লেকসান গুনলে।এর জন্য দক্ষ হাত প্রয়োজন। কারণে শেয়ারবাজারে কখন কোন ধস নামে তা দক্ষ না হলে বোঝার ক্ষমতা নেই। তাছাড়া আমরা যদি নতুন শেয়ার বিক্রি করতে নামি আমাদের থেকে শেয়ার কে কিনবে?কারণ নতুন কোন কোম্পানি থেকে শেয়ার কিনতে জনগণ ইচ্ছুক নয়।যেখানে নামীদামী কোম্পানিগুলো থেকে শেয়ার কিনে তারা লোকসান খাচ্ছে সেখানে নতুন, অপরিচিত কোম্পানি থেকে শেয়ার কেনা তো নিত্যান্ত বোকামি। এখন অব্দি শেয়ারবাজারে আমাদের কোন অস্তিত্ব নেই। প্রথমে আমাদের পরিচিত গড়তে হবে। তারপর বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। নয়তো পুরো দেউলিয়া হয়ে গুলিস্তানে বাটি নিয়ে বসতে হবে।

তাজঃ আপনি ঠিক বলেছেন জাফর চাচা।আমাদের প্রথমে জনগণের কাছে নিজেদের পরিচিতি গেড়ে তারপর বাজারে শেয়ার ছাড়তে হবে। শেয়ার ব্যবসা অন্য সব ব্যবসা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।প্রত্যেকটা নামীদামী প্রাইভেট ও পাবলিক কোম্পানির মূলধনের খুব বড় অংশ আসে শেয়ার বিক্রি করে।এই ব্যবসা যেমন ঝুঁকি আছে তার চেয়ে বেশি আছে লাভ।যদি আমরা সেটা সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারি। নয়তো লোকসানের টাকা গুণে দেউলিয়া হয়ে সত্যিই গুলিস্তানে বাটি নিয়ে বসতে হবে।তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি বিখ্যাত প্রবাদটাও কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। No risk No gain. যেখানে রিস্ক নেই, সেখানে সফলতাও নেই। আপনাকে সফলতার উচ্চ পর্যায়ে উঠতে চাইলে অবশ্যই ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হবে।আপনি যদি ঝুঁকি মোকাবিলা করতে না চান তাহলে কখনো সফলতার মুখ দেখবেন না।আমি রিস্ক নিতে খুব পছন্দ করি। তাই শেয়ার ব্যবসাটা বেছে নিয়েছি।আমার মনে হয় না এর থেকে বড় রিস্ক অন্য কোন ব্যবসায় আছে।আমি সবার সহযোগিতা চাইছি।তাই সবাইকে একসাথে মিটিং-এ ডাকা।

🦋🦋🦋

অাদর কিছু সময় ধরে হাসফাস করছিলো একটা প্রশ্ন করার জন্য। কিন্তু কিভাবে করবে তাই ভেবে পাচ্ছে না।জাফর সাহেবের প্রশ্ন শুনে তাজকে রাগতে না দেখে মনে সাহস পেলো।তাই ফট করে সুযোগের স্বদ্যবহার করে বলে উঠলো।

অাদরঃ স্যার, আমার একটা প্রশ্ন ছিলো।

তাজঃ হুম করো।

অাদরঃ স্যার, নতুন ব্যাবসা করবো আমরা সেটা ভালো কথা।কিন্তু শেয়ার কি সেটাই তো আমি বুঝি না।তাহলে এটা নিয়ে ব্যবসায় হেল্প কি করে করবো?যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।

তাজ গম্ভীর চোখে অাদরের দিকে তাকালো। অাদর তাতে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো।অাদরের মুখ দেখে এই মুহুর্তে তাজের ভীষণ হাসি পাচ্ছে। ও আজ অব্দি বুঝতে পারলো না সবাই ওকে এতো ভয় পায় কেন?তাজ কারো সাথে উঁচু গলায় কথা বলা তো দূরেই থাক কড়া গলার কথাও বলেনি।তারপরেও অফিসের সবাই ওকে প্রচুর ভয় পায়।

তাজঃ শুধু শেয়ার কি তা নয় বরং শেয়ার ব্যবসা কি করে করতে হয় তাও বুঝে যাবে অাদর।আমার সাথে কাজ করতে থাকো।তবে আমি এখন শেয়ার সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দিচ্ছি তোমাকে।প্রথমে শেয়ার নামটা শুনলে আমাদের মাথায় আসে এটা আবার কি জিনিস? খায় নাকি মাথায় দেয়।আসলে দুইটার একটাও নয়।পাবলিক কিংবা প্রাইভেট কোম্পানিগুলো তাদের মূলধনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভক্ত করে জনগণের মাঝে বিলি করে।এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশকেই বলা হয় শেয়ার।শেয়ার অনেক প্রকারে আছে।তবে এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো সাধারণ শেয়ার ও অগ্রাধিকার শেয়ার।আসলে পুরো মূলধন তো কেউ কিনতে পারবে না কিংবা কোম্পানি বিক্রি করতেই পারবে না।তাই একে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করা হয়।

থেমে কিছুটা দম নিলো তাজ।চোখ দুটো হালকা বন্ধ করে জোরে শ্বাস নিয়ে আবার ছারলো।তারপর অদরের দিকে তাকালো। আদর খুব মনোযোগ দিয়ে তাজের কথা শুনছে।তাজ এক গালে হালকা হাসলো।আবছা আলো থাকায় তাজের হাসি কারো চোখে পরলো না।আবার কথা বলার জন্য মনে মনে কথা গোছাতে লাগলো।মিনিট দুই সময় নিয়ে আবার বলতে আরম্ভ করলো।

তাজঃ ধরো,আমাদের মূলধন ২ লক্ষ টাকা।এই দুই লক্ষ টাকাকে ১০ টাকা করে ২০ হাজার শেয়ারে বিভক্ত করা হলো।এখন অনায়াসে সাধারণ জনগণ শেয়ার কিনতে পারবে।কারণ মাত্র ১০ টাকা।যার যতটুকু ইচ্ছে শেয়ার কিনবে।এক হাজার, দুই হাজার, পাঁচ হাজার ইত্যাদি। যার যার ইচ্ছে মতো।২০ হাজার শেয়ার বিক্রি হয়ে গেলে আমরা আমাদের মূলধন দুই লাখ টাকা হাতে পেয়ে যাবো।ঐ মূলধন শেয়ার বাজারের ওপর ভিত্তি করে বাড়বে কমবে।এর মাঝে কিন্তু আবলেখকের কমিশন আর ব্যাংক চার্জও আছে।কারণ পুরো শেয়ারটা আমরা ব্যাংকের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দিবো।তাই ব্যাংক প্রতিটা শেয়ারের ওপর একটা নিদিষ্ট হারে চার্জ ধার্য করবে।আর অবলেখেক হলো তারা যারা আমাদের শেয়ারটাকে বাজারে বিক্রি করতে সহযোগিতা করবে।
তারা নির্দিষ্ট হারে কমিশনের বিনিময়ে শেয়ার বিক্রি করে দিবে।এখন মনে হতে পারে পুরো মূলধন যখন সাধারণ জনগণের তাহলে আমরা এই মূলধনের টাকা দিয়ে কি করবো?আমাদের লাভ বা কি?আমাদের লাভ হলো আমরা আমাদের মূলধনের টাকা জোগাড় করে ফেললাম।তবে সেটা সীমিত সময়ের জন্য। কারণ কোম্পানি লোকসানে পরলে তাদের টাকা আমাদের ফেরত দিতে হবে।আর যদি সেই মূলধন বিনিয়োগ করে লাভ হয় তাহলে সেই লাভের অংশ জনগণ নির্দিষ্ট হারে পাবে।তেমনি লোকসান হলে তারা সেটা বহন করবে।এখন যদি কেউ শেয়ার নিজের কাছে না রাখতে চায় তাহলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গিয়ে সেটা বিক্রি করতে পারবে।এখন মনে নিশ্চয়ই আরেকটা প্রশ্ন ঘুরঘুর করবে।এই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ আবার কি?এটার সম্পর্কে পরবর্তীতে ধারণা দিবো।আজ আর নয়।

বিশাল বড় রচনা বলে থামলো তাজ।সে নিজেও জানে না অাদরকে কতটুকু বোঝাতে সক্ষম হয়েছে। তবে তার ধারণা মতে নিজের সবটুকু দিয়ে শেয়ারের বিষয়ে বুঝিয়েছে।চেয়ারে বসে পানির বোতল থেকে ঢকঢক করে প্রায় অর্ধেক বোতল পানি খেয়ে নিলো।রচনা বলতে বলতে গলা শুকিয়ে এসেছে।

আরিয়ানঃ মাহির ভাই, আজকের মতো কি মিটিং শেষ? নাকি আরো বকবক করবি।যদি মিটিং শেষ হয় তাহলে আমরা উঠে পরি।

তাজ চোখ রাঙিয়ে আরিয়ানের দিকে তাকাতেই আরিয়ান মুখ কুচোমুচো করে দৃষ্টি নিচের দিকে নামিয়ে নিলো।তাজের বেশ অস্থির লাগছে।শান্ত দৃষ্টিতে মুরাদ সাহেবের দিকে তাকাতেই দেখতে পেলো সে চুপচাপ শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। সে যে তাজের ওপর রেগে আছে তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। কারণ পুরো মিটিং-এ তিনি একটা টু শব্দও করেননি।বাসায় গেলে যে এই নিয়ে বাপ-বেটার দ্বন্দ্ব লাগবে তাতে তাজ সিউর হয়ে আছে।কিন্তু উপরে উঠতে হলে শেয়ার ব্যবসায় তাজকে হাত লাগাতেই হবে।গত দুই সপ্তাহ প্রচুর ভেবে সে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছোট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তাজ সকলকে উদ্দেশ্য করে বললো।

তাজঃ আজকের মতো মিটিং এখানেই শেষ। আপনারা যেতে পারেন।

কথাটা তাজের বলতে দেরী হলো কিন্তু মুরাদ সাহেবের বের হতে দেরী হলো না। তার পিছু দৌড়াতে দৌড়াতে আরিয়ানও কেবিন থেকে বের হয়ে গেলো।ধীরে ধীরে সবাই কেবিন থেকে বের হলেও অাদর চুপ করে বসে রইলো।পুরো কেবিন ফাঁকা হতেই অাদর তাজের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো।

তাজঃ আমাকে একটু একা থাকতে দাও।

তাজের আদেশ পেয়ে হনহন করেই বের হয়ে গেলো অাদর।তাজ সেদিকে হালকা ঘাড় কাত করে তাকিয়ে সামনের দিকে তাকালো।মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টে এখনো চায়নিজ ভাষায় কিছু লেখা আর কতগুলো চিত্র আঁকা আছে।তাজের দৃষ্টি এখন সেদিকেই নিবদ্ধ।

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে