প্রকৃতির বিচার পর্ব-০৮ এবং শেষ পর্ব

0
104

#প্রকৃতির_বিচার
#পর্ব_০৮(শেষ পর্ব)
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

“সব দোষ কী আমার একার? তোমার দোষ নেই? তোমরা যখন ঠিক করে রেখেছ। যে তোমরা সারাজীবন প্রবাসে কাটাবে তাহলে তোমরা বিয়ে করো কেন? বিয়ে করে অর্থ দিলেই সবকিছু হয়ে যায়? একটা মেয়ের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান তার স্বামীর ভালোবাসা। আমি যদি স্বামীর ভালোবাসা না পাই। তাহলে টাকা দিয়ে কী করব?”
“অথচ টাকা না থাকলে একটা বেকার ছেলের হাত তোমরা ধরতে চাও না। তুমি কি একা প্রবাসীর বউ? পৃথিবীতে তাকিয়ে দেখে হাজার হাজার প্রবাসীর বউ আছে। তারা দূরে থেকে স্বামীর ভালোবাসা নিয়ে নিজেকে হেফাজত করেছে। তাহলে তুমি পারলে না কেন?”
“একটা অবিবাহিত মেয়ে যেটা পারে একটা বিবাহিত মেয়ে সেটা পারে না। অন্যরা কীভাবে থাকে জানি না তবে আমি থাকতে পারিনি। তুমি বিদেশে গিয়ে আমাকে সময় কম দিতে শুরু করলে। আমাকে একাকিত্ব ঘিরে ধরল। তোমার অবহেলা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিচ্ছিল। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। তারপর জোহানের সাথে আমার সম্পর্ক হয়। তোমার যে কাজ গুলো করার কথা ছিল। জোহান সেগুলো করে দিয়েছে। আমাকে সময় দিয়েছে। আমারে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছে। আমাকে মুখ তুলে খাইয়ে দিয়েছে। আর তুমি কী করেছ দু’টো টাকা পাঠিয়েই সব শেষ। রাত হলে দু’টো কথা বলে ঘুমিয়ে যাও। আবার সারাদিনে তোমার কোনো খোঁজ থাকে না।”
“ছি! তোমার মন মানসিকতা এতটা নিচু। তোমার মতো কিছু মেয়েদের জন্য সব নারীর নাম খারাপ হয়। সব নারী তো খারাপ হয় না। আমি আমার মাকে দেখেছি অভাবের সংসারে আমার বাবাকে কীভাবে আঁকড়ে ধরে রেখেছিল। কেউ কাউকে ছাড়া মরে যায় না নয়না। আমিও তোমাকে ছাড়া মরে যাব না। আমি বাঁচব কিন্তু মনের কোথাও দুঃখ থেকে যাবে। আমি চাইলে তোমার গায়ে হাত তুলতে পারি। তোমাকে মে’রেও ফেলতে পারি। কিন্তু আমার বাবা-মা আমাকে এসব শেখানি। বিচার করার জন্য আল্লাহ আছেন। আমার আল্লাহ জানেন তোমাকে ভালো রাখার জন্য আমি কী কী করেছি। তোমার যদি মনে হয় তুমি আমার সাথে ঠিক করেছ। তাহলে সেই ঠিকটা তোমার সাথেও হোক। তুমি কালকে তোমার বাবা-মাকে বলবে তারা যেন এসে তোমাকে নিয়ে যায়। এমন নষ্টা মেয়ের সাথে আমি অন্তত সংসার করব না।”
“তুমি যদি আমাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবো তাহলে আমি তোমার নামে নারী নির্যাতনের মামলা দিব।”
“আমি জেলে পঁচে মরব তবুও নষ্টা নারীর সাথে সংসার করব না।”
তাদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে উড়ানের বাবা-মা আসলো। বাবা-মাকে দেখে উড়ান নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারল না। তাদের জড়িয়ে ধরে শব্দ করে কেঁদে উঠল। হামিদা অস্থির হয়ে বলল, “কাঁদছিস কেন? কী হয়েছে তোর?”
“আমি তোমাদের বলেছিলাম। আমি বিয়ে করব না। তবুও তোমরা আমার কথা শুনোনি। এই মেয়ে আমাদের সবাইকে ঠকিয়েছে মা। এই মেয়েটাকে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যাও। আমার ভেতরটা জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। ছি! এই মেয়েটা অন্য পুরুষের সাথে শুয়ে এসে আমাকে স্পর্শ করেছে। আমার পুরো শরীরে কলঙ্ক লেগে গিয়েছে।”
“এসব তুই কী বলছিস উড়ান?”
উড়ান তার বাবা-মাকে সবকিছু খুলে বলল। উড়ানের বাবা-মা বিশ্বাসই করতে পারছে না। এই ফুলের মতো মেয়েটার ভেতরে এত বিষ ছিল।
হামিদা বেগম রেগে বললেন, “তুমি কাল সকালেই আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবে। তোমাকে কীসের কমতিতে রেখে ছিলাম আমরা? আশেপাশে তাকিয়ে দেখো শশুর শাশুড়ীর ভালোবাসা পাবার জন্য মেয়েরা কতটা হাহাকার করছে। আর তুমি সেই ভালোবাসা পেয়ে অবহেলায় ফেলে দিলে। আমার ফুলের মতো ছেলেটাকে কষ্ট দিয়েছ আল্লাহ তোমার বিচার করবে। আমাদেরই ভুল না জেনেশুনে ছেলেকে বিয়ে করিয়েছি।”
“আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। আমাকে মাফ করে দিন।”
“তুমি যেটা ভুল বলছো সেটা অন্যায়। অন্যায়কে কখনো ক্ষমা করা যায় না। যে একবার এই পথে হাঁটে সে হাজার চাইলেও ফিরে আসতে পারে না। দরকার পড়লে আমার ছেলে সারাজীবন একা থাকবে। তবুও তোমার মতো মেয়ের সাথে সংসার করতে দিব না। আমি কালকেই উকিল ডেকে ডিভোর্সের ব্যবস্থা করে ফেলব।”
“আমি এই বাড়ি থেকে কিছুতেই যাব না। আমাকে রাগিয়ে দিবেন না। এতক্ষণ বহুত ভালো করে বলছি। আমাকে যদি বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে আপনাদের চৌদ্দ শিকের ভাত খাইয়ে ছাড়ব।”
তাদের মধ্যে ঝামেলা চলতেই থাকল। ঝামেলা চলতে চলতে ভোরের আলো ফুটে গেল। উড়ান নয়নার ব্যাগ গুছিয়ে হাতে ধরিয়ে দিয়েছে। সকাল সকাল সবাই উড়ানের বাড়িতে ভিড় জমিয়েছে। সবার হাতে হাতে ফোন। কাল রাত তিনটার সময় জোহান আর নয়নার অন্তরঙ্গের ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেগুলো সবাই উড়ানকে দেখাচ্ছে। লজ্জা উড়ানদের মাথা কাটা যাচ্ছে। সবাই ছি ছি করছে। নয়নার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। জোহান এমন কাজ করতে পারে সেটা ভাবতেও পারেনি। নয়না থানায় গিয়ে উড়ানের নামে মামলা দিল। পুলিশ এসে উড়ানকে থানায় নিয়ে গেল। তারা প্রমাণ পেলে উড়ানকে শাস্তি দিবে। নয়না এখানো উড়ানদের বাড়িতেই আছে। এভাবে সাতদিন কেটে গেল উড়ানকে এখনো ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে পারেনি তার বাবা-মা। নয়নাকে তার ছেলের জন্য সহ্য করছে। কতবার যে বলেছে তার ছেলের নামে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছে তা তুলে নিতে। কিন্তু নয়না তাদের কথা শুনছে না। উড়ানের বাবা-মা উকিলের সাথে কথা বলেছে উকিল তার সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে।

রাত দু’টো বাজে। নয়নার ঘরে বসে ফেসবুক চালাচ্ছিল। এমন সময় জোহান নয়নার ঘরে প্রবেশ করল। উড়ানের বাবা-মা তাদের এক আত্নীয়দের বাড়ি গিয়েছে ভালো উকিলের খোঁজ করতে। নয়নার সাথে থাকতেও তাদের ঘৃণা লাগে। জোহানকে দেখে চমকে উঠল নয়না। জোহান নয়নার কাছে গিয়ে নয়নার বুক থেকে শাড়ির আঁচল টেনে খুলে ফেলল।

নয়না চেঁচিয়ে বলল, “তোমার সাহস কীভাবে হয় আমার বাড়িতে আসার।”
“আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো। তাই আমার নামে মামলা না দিয়ে উড়ানের নামে দিয়েছ। আমি রাগের মাথায় অনেক খারাপ ব্যবহার করে ফেলছি। আমাকে তুমি মাফ করে দিও জান। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার শশুর শাশুড়ী বাড়িতে নেই শুনে ছুটে তোমার কাছে চলে এসেছি। তুমি যেভাবে চলতে বলবে আমি সেভাবেই চলব।”
নয়না হেসে জোহানকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলল, “আমি উড়ানকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বেয়াদবটা সেটা বুঝল না। আমিও তোমাকে কথা শুনিয়ে ভুল করেছি। তাই আজ রাতটা আমাদের। আমি কালকেই তোমার সাথে চলে যাব।”
নয়নার কথা শেষ হবার সাথে সাথে জোহান নয়নাকে সঙ্গ দিতে লাগল। দু’জন যখন ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল। জোহান তখন নয়নার দিকে তাকিয়ে আছে। নয়নাও খুশি মনে জোহানের দিকে তাকিয়ে আছে। জোহান উঠে বসল। নয়না জোহানের হাত ধরে আছে। প্রকৃতিও বোধহয় আজ রেগে গিয়েছে। বাহিরে মেঘের গর্জন শোনা যাচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যে তুমুল ঝড় হতে শুরু করল। বৃষ্টির বেগ বাড়তে লাগল। প্রকৃতি ডেকে বলল প্রকৃতি তার নিয়মে চলে প্রকৃতি তার বিচারে এতটুকুও অনিয়ম করে না। তোমার বেলায়ও করবে না। বেশি বাড় বাড়লে ঝড়ে ভেঙে যেতে হয়। তুমি সহ্য সীমা পার করে গিয়েছ। প্রকৃতি সব সময় সত্য থাকতে পছন্দ করে। তুমি সত্যকে মিথ্যা দিয়ে চাপা দিয়েছ। প্রকৃতির সাথে অন্যায় করেছ। তোমাকে তো প্রকৃতির বিচার পেতেই হবে। জোহান বালিশ হাতে নিয়ে নয়নার মুখে চেপে ধরল। হঠাৎ আক্রমণে নয়নার কিছুই করার ছিল না। নয়না দুই পা নাড়াচ্ছে। হাত দিয়ে জোহানের হাত সরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পুরুষালি শক্তির সাথে পেরে উঠছে না। তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। সে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। উড়ানের কথা বড্ড মনে পড়ছে। পৃথিবীতে উড়ান মনে হয় এক পিসই আছে। যার সাথে এত বড়ো অন্যায় হয়ে গেল। তবুও সে অন্যায়কারীকে ছেড়ে দিল কিছুটি বলল না। উড়ানের কাছে শেষ বারের মতো মাফ চাইতে ইচ্ছে করল। সবাই যেমন উড়ান হয় না ঠিক তেমনই সবাই নয়না হয় না। নয়নার প্রাণপাখিটা উড়ান দিয়ে চলে গেল। জোহান এতেই শান্ত হলো না। রান্না ঘর থেকে ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে নয়নাকে কো’পা’তে লাগল। নয়নার মাথার ঘিলু ছিটকে এসে জোহানে হাতে পড়ল। নয়নার মুখটা থেঁ’তে করে দিয়ে জোহান বলল, “তোর মানুষের জীবন নিয়ে খুব খেলার শখ ছিল না, শা’লী। এবার ওপারে গিয়ে খেলিস।”
কথাগুলো বলেই জোহান পালিয়ে গেল।

ব্রেকিং নিউজ পরকীয়ার প্রেমিকের সাথে প্রতারণা করার কারণে প্রেমিকে হাতে প্রেমিকা খুন। প্রেমিক জোহান নয়না নামক প্রেমিকাকে খুন করে পালিয়েছে। প্রেমিকা নয়না ছিলেন একজন প্রবাসীর স্ত্রী। স্বামীর থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সময় না পাওয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়নার পরিচয় হয় জোহান নামক যুবকের সাথে। সেই পরিচয় ধীরে ধীরে প্রণয়ে রুপ নেয়।

টিভির দিকে তাকিয়ে উড়ান মুচকি হাসলো। বাকিটুকু সোনার প্রয়োজনবোধ করল। যে ঠকায় সময়ের পরিবর্তনে সেও ঠকে উড়ানের আজ খারাপ লাগছে না৷ সে এই কয়দিনে যতটা পুড়েছে। তার একাংশ যদি নয়না পুড়ত তাহলে উড়ানের সাথে প্রতারণা করার সাহস পেত না। যে মেয়েটাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিল। আজ সেই মেয়েটার জন্য ঘৃণা হচ্ছে। জোহান আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে ধরা পড়ে এবং সব সত্যি কথা স্বীকার করে। উড়ানে বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়া উড়ানকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উড়ানের বুকটা ভারি হয়ে আছে। সে ওয়াদা করেছে এই জীবনে আর কাউকে ভালোবাসবে না। তার বাবা-মাকে বুকে নিয়ে বাকি জীবন পার করে দিবে। আজকে উড়ান বিদেশে যাবে। উড়ানের বাবা-মা খুব কেঁদেছিল। কিন্তু উড়ান খুব শক্ত থেকেছে। আগের মতো সে হাসে না। আগের থেকে কথা বলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এয়ারপোর্টে উড়ান বসেছিল। তখনই একটা নারী উড়ানের পাশে বলল, “কেমন আছিস?”
“আরিয়া তুই! আমি ভালোই আছি। তোর সংসার কেমন চলছে বল।”
“আমি টিভিতে তোদের খবর দেখলাম। আমার খুব খারাপ লেগেছে। তোকে মেসেজ করতে চেয়েছিলাম। তুই যদি কিছু মনে করিস তাই।”
“এসব বাদ দে ভাগ্যে যা ছিল তাই হয়েছে। হয়তো তোকে কষ্ট দিয়েছি বলেই ভালোবাসা পাইনি।”
“আমি তোকে এখনো ভালোবাসি।”
“এখনো আবেগে চলিস। তোর স্বামী কেমন আছে?”
“আমি আবেগে চলিনি। কোনটাকে তুই আবেগ বলিস? স্কুল জীবন থেকে তোকে ভালোবাসি। এখনো ভালো বেসেই যাচ্ছি। এটাকে তুই আবেগ বলবি আর কয়টা দিন পর বুড়ি হয়ে যাব। তবুও তোকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। আমাকে তোকে বিয়ে করতে বলছি না। আমি চাই তুই ভালো থাক। ভালোবাসার মানুষের ভালো থাকা দেখতেও শান্তি লাগে। আমি এখনো বিয়ে করিনি তোকে ভালোবাসি বলে। কার কাছে কী বলছি যে আমার ভালোবাসা বুঝেনি তার কাছে ভালোবাসার কথা বলছি। ভালো থাকিস রে। যদি বেঁচে থাকি আমাদের দেখা হবে। এই জীবনে তোকে আমি পাইনি পরপারে ঠিক আল্লাহর কাছে চেয়ে নিব।”

কথাগুলো বলেই আরিয়া চলে গেল। উড়ানের জীবনে প্রথম আফসোস হলো। সেটা কখনো সঠিক মানুষ চিনতে পারেনি। একটা মানুষ তাকে নিঃস্বার্থভাবে সারাজীবন ভালোবেসে গেল। আর সে যাকে ভালোবাসলো তার ভালোবাসার মানুষটা তাকে বুঝিয়ে দিয়ে গেল ভালোবাসা বলতে কিছু হয় না। পৃথিবীতে যেমন নয়নার মতো স্বার্থপর মেয়ে আছে। ঠিক তেমনই আরিয়ার মতোও মেয়েও আছে। যারা একটি মানুষকে ভালোবেসে গোটা জীবন একা কাটিয়ে দেওয়ার মতো ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নেয়। উড়ান আরিয়ার জন্য মন থেকে দোয়া করল। সে চায় আরিয়ার একটা সুন্দর সংসার হোক। আরিয়ার সুন্দর সংসার দেখার জন্য হলেও যেন আরিয়ার সাথে দেখা হয়। নয়নার কথা মনে হতেই চোখেমুখে তাচ্ছিল্য ফুটে উঠল। প্রকৃতির বিচার বড়ই কঠিন। যে পায় সে জানে বেঁচে থাকার মূল্য কতটা। যে অন্যায় করেছে পাপ করেছে প্রকৃতি তাকে তার বিচার ঠিক দিয়েছে। মলিন মুখ এবং বুকভরা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে উড়ান আকাশে উড়াল দিয়ে দূর প্রবাসে চলে গেল।

(সমাপ্ত)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে