পেগন্যান্ট পর্ব/৪
লেখক✍ধ্রুব
বৃষ্টি একটার পর একটা কলে দিতে থাকে ম্যাসেঞ্জার ইমো সবটা থেকে আমিও একে একে সব থেকে ব্লক দিলাম
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে রইলাম
আর ভাবছি বিয়ের পরের দিন গুলোকে নিয়ে
হঠাৎ করে একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসলো
বৃষ্টির ফোন মনে করে
না ধরে কেটে দিলাম
কিন্তু ফোনটা বেজে যাচ্ছে বেজে যাচ্ছে
অসহ্য হয়ে ফোনটা ধরলাম
ধরতে কেউ একজন রাগি গলায় বলতে লাগলো
ঐ ফোন কেটে দাও কেন
তুমি কি আমাকে তোমার পুরানা প্রেমিক ভাবছো
কণ্ঠটা নতুন এটা বৃষ্টি নয়
তাই নিশ্চিন্ত হয়ে বললাম
আমি/ কে আপনি কাকে চাই আর কাকে ফোন দিছেন
তখন ঐ পাশ থেকে বলে আমি মিরা যাকে আপনি আজ আংটি পড়িয়ে এসেছেন বিয়ে করবেন বলে
আমি/ ওহহহহ তুমি আমিতো ভাবলাম অন্যকেউ
আসলে আমি অচেনা কারও ফোন ধরিনা তাই কেটে দিচ্ছি বার বার
মিরা/ থাক আর বলতে হবেনা
কোথায় আছো এখন
আমি/ বাসায় কেন বলতো
মিরা/ একটা ঠিকানা দিয়ে বলে ঠিক সন্ধ্যায় ৭টা ওখানে যেন তোমায় দেখতে পাই
কি আর করা হবু বউয়ের কথা মানতে হবে
কিন্তু ব্যপারটা কি বুঝতেছিনা
সবে মাত্র আংটি পড়িয়ে আসলাম আর এখন-ই ডেটিং
ভালোই হলো বিয়ের আগে যদি একটু আকটু নাহয় তাহলে কি আর জমে
৬-৩০ মিরা ফোন দিয়ে বলে
মিরা/ কই তুমি তাড়াতাড়ি আসো
আমি/ এইতো চলে এসেছি আমি
৫মিনিট লাগবে
মিরার কাছে গিয়ে দেখি ওর কয়েকটা বান্ধবী আর কয়েকটা ছেলে সহ অপেক্ষা করছে
ইসসসসস….. এরা আবার কেন মিরা একা হলেতো ভালো হতো
কি আর করা হয়তো কোন পার্টি দিবে তাই সব বন্ধুদের ডেকেছে
মিরা কাছে যেতে
মিরা/ রিয়ান তুমি এসেছো তোমার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা সবাই
আমি মনে মনে অনেক খুশি মিরার ভালোবাসা দেখে আমার প্রতি
মিরা/ শোন তোরা আর দেখ এ হলো রিয়ান যে আজ আমায় আংটি পড়িয়েছে বিয়ে করবে বলে
কিন্তু রিয়ান আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি তোমাকে বিয়ে করতে পরবনা
আমি/ কিন্তু কেন
মিরা/ কারন…. তুমি যার পাশে বলে আছো আমি তাকে ভালোবাসি তাকে বিয়ে করব
মাথা ঘুরে আমার মিরার কথা
আমি/ এই তুমি ঠিক আছোতো নাকি….
মিরা/ আমি ঠিক আছি জানো তোমাকে এখানে কেন ডাকলাম
আমি/ না
মিরা/ তোমাকে এখানে ডাকলাম আমাদের বিয়ের সাক্ষী হওয়ার জন্য
আমি/ তুমি এসব কি বলছো আমিতো কিছুই বুঝতেছিনা
মিরা/ বুঝবে চলো আমার সাথে
আমি/ কোথায়
মিরা/ কাজী অফিস বলে টান দিলো আমায়
কাজী অফিস গিয়ে মিরা সত্যি সত্যি বিয়েটা করে নিলো তবে আমাকে নয় তার প্রেমিক কে
কি কপাল আমার নিজের হবু বউয়ের বিয়ের মিষ্টি খেলাম
লজ্জা চোখ দেখাতে না পেরে একটা সাক্ষর দিয়ে চলে আসলাম
বাসায় এসে ভাবতে লাগলাম
ওদের ভালোবাসাটা কতটা সত্যি তারচেয়ে বড় সত্যি ওরা দুজন শুধুই দুজনার আর কারও নয়
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে উঠলো সেই অচেনা নাম্বার থেকে মিরা মনে করে কেটে দিলাম
কিন্তু ফোনটা বেজে যাচ্ছে বেজে যাচ্ছে
তাই বাধ্য হয়ে ধরলাম।
ফোনটা ধরতে বৃষ্টি শুধু কাঁদে আর কাঁদে রাগ করে আমি ফোনটা রেখে দিলাম
একটু পরে বৃষ্টি একটা Sms দেয়
যেখানে লেখা ছিলো
কখনও ভাবিনি তুমি এমন হবে সবসময় মনে হতো আমার চাওয়াটা তোমার চাওয়া আমার সুখটা তোমার সুখ
সবসময় আমি এটা মনে করতাম আমার মা বাবার পরে যদি কেউ আমাকে বেশি ভালোবাসে তাহলে সে হলে তুমি
নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস করতাম আর ভালোবাসতাম
তাই শুধু মন প্রাণ দিয়ে নয় দেহ দিয়ে নিজেকে নষ্টা করে তোমাকে খুশি করেছি
অপেক্ষা করুন শেষ
পর্বের