পেগন্যান্ট পর্ব/ ৩
লেখক✍ ধ্রুব
আমি/ কে
মেঘা/ আমি ভাইয়া
আমি/ ভিতরে আয়
দরজা খোলাই আছে
মেঘা ভিতরে ঢুকে একের পর এক প্রশ্ন করতে লাগলো
মেঘা/ কি হয়েছে ভাইয়া তোর
মন খারাপ কেন
কারও সাথে ঝগড়া হয়েছে
নাকি কাউকে ভুলে যেতে কষ্ট হচ্ছে
সত্যি করে বলতো ভাইয়া তোর পছন্দ করা কি কোন মেয়ে আছে
থাকলে আমাকে বল
মাকে রাজি করানোর দায়িত্ব আমার
আমি/ আমাকে একটু সাহায্য করবি
মেঘা/ এভাবে বলছিস কেন
যা চাইবি তাই পাবি
তুই শুধু বলে দেখ
আমি মেঘার কোলে মাথাটা রেখে বললাম
আমি/ একটু ঘুম পাড়িয়ে দেনা বোন বড্ড ঘুমাতে ইচ্ছে করছে
বোন আমার মাথায় হাত বুলাতে লাগলো
দেখে মনে হচ্ছে আমি মেঘার বড়ভাই নয়
অনেক আদরের দুষ্টু মিষ্টি ছোটভাই
কিন্তু মেঘার বকবকানি বন্ধ হয়নি
আমি মনে মনে ভাবছি
বলবো কি বলবনা
বোনের ভালোবাসার একটু স্পর্শ পেয়ে চোখটা লেগে এলো
কিন্তু নিজেকে খুব বড় অপরাধী মনে হচ্ছে
বৃষ্টির সাথে আমি আজ যা করলাম তা যদি আমার বোনের সাথে হয়
যে বৃষ্টিকে আজ আমি ঠকালাম
সেটা যদি আমার বোনের সাথে হয়
এমন হাজারো প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে
যখন-ই মনে হলো বৃষ্টিকে বিয়ে করবো
তখন-ই মনে হয় ওর পেটের সন্তানটা কার
না এটা কখনও হতে পারেনা আমি বৃষ্টিকে বিয়ে করতে পারবনা
মায়ের পছন্দ করা মেয়েকে বিয়ে করবো
সকালে ছোটবোনের ডাক শুনে ঘুমটা ভাঙ্গলো
হাতমুখ ধুঁয়ে নাস্তার টেবিলে যেতে আম্মু বলে
আম্মু/ শোন রিয়ান দূরে কোথাও যাবিনা ঠিক ১০টা যেন বাসায় থাকিস
মেয়ে দেখতে যাবো
তোর যা ভোলা মন তাই আগে থেকে মনে করিয়ে দিলাম
ছোটবোন গুলো একটু দুষ্টু হয়
ঠিক আমার বোনটাও
মেঘা/ কিরে ভাইয়া ভাবিকে পেয়ে আমাদের ভুলে যাবিনা তো
একটু মজা করে বোনের চুলের মুঠি ধরে আমি বললাম
আমি/ শুধু ভুলে নয় একেবারে তাড়িয়ে দিবো এই বাড়ি থেকে
তখন-ই বৃষ্টি ফোন দিলো
বৃষ্টির ফোনটা দেখে আমি কেটে দিলাম
কিন্তু একের এক কল দেয়াতে আমি ফোনটা বন্ধ করে দিলাম
কিন্তু মেঘা টের পেয়ে যায়
মেঘা/ ভাইয়া মেয়েটা কেরে
আমি/ কোথায় মেয়ে কার কথা বলছিস
মেঘা/ ঐ যে যার ফোন আসতে ফোনটা বন্ধ করে দিলি
আমি/ ও কিছুনা তুই বুঝবিনা বলে
উঠে যেতে
আম্মু/ কিরে তোর খাওয়া শেষ
আমি/ হুমমম
মেয়ে দেখতে যাবো তাই ঘর থেকে বের হয়নি
১০টা বাজতে মায়ের চিৎকার শুরু হয়ে গেলো
খুব তাড়াহুড়ো করে নিজেকে গুঁছিয়ে নিলাম
ছোটবোন দেখে বলে আমাকে
মেঘা/ আজ তোকে আমার একটা কথা বলতে হবে
আমি/ কি বল
মেঘা/ আজ তোকে মেঘার ভাইয়ের মত লাগে
উফফফফ….. আমি ভয় পেয়ে গেলাম
আমি ভাবছিলাম মেঘা সবকিছু হয়তো জেনে গেছে
আম্মু ছোটবোন আর আমি মিলে গেলাম মেয়ে দেখতে
ওদের বাড়ি গিয়ে বসলাম নাস্তা পানি দিলো ঐসব খেলাম
একটু পরে সাঁজিয়ে গুঁছিয়ে একটা মেয়েকে নিয়ে আসলো
মেয়েটা দেখতে সুন্দর স্মার্ট শিক্ষিত সবদিক থেকে ভালো লেগেছে
আম্মু আর ছোটবোনেরও পছন্দ হয়েছে বেশ
তাই দেরি না করে আংটি পড়িয়ে দিলাম হবু বউকে
সবকিছু গুঁছিয়ে নিলাম শুধু বিয়ের দিন তারিখ ছাড়া
দু পরিবারের সুবিধামত ভালো একটা সময় দেখা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করবো
এমনটা বলে চলে আসলাম মেয়েদের বাড়ি থেকে
ফেসবুকে ঢুকে বিয়ের খবরটা সবাইকে জানিয়ে দিলাম
পূরণ করে নিলাম এতদিন খালি থাকা ঘরটা
ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে বৃষ্টি পাগল হয়ে যায়
চলবে???