পুরোনো_ভালোবাসা
পার্ট: ২
অনিক-আমি কখনো বলিনি তুমি আমার জীবনে অভিশাপ।তুমি আমার সেই ভালবাসার মানুষ, যেই মানুষটার জন্য একদিন আমি আমার সব কিছু ছেড়ে চলে আসতে চেয়েছিলাম।
আমি-আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে, আসি।
মেয়েটা সেই সকালে শপিং করতে গেল এখনো এলো না।সকালে নাস্তাটাও করে গেল না।এই সব কথা ভাবতে ভাবতে ঘড়ির দিকে তাকালো নিশিতার মা ইয়াসমিন বেগম।আজ মেয়েটা বাসায় আসুক দুইটো কড়া কথা শুনিয়ে দিতে হবে।
অনিক – নিশু চলনা আজ দুজনে কথাও গিয়ে বসে কথা বলি! কত দিন হল তোমার সেই মিষ্টি হাসিটা দেখা হয় না।যেই হাসির জন্য আমি আমার সব কষ্ট ভুলে যেতাম।
আমি- আপনার সাহস কি করে হয় আমাকে এইসব কথা বলার।আর কখনো আমার সামনে আসবেন না।
অনিক -পালিয়ে যেতে চাইছো তাইনা।যেখানে যাও না কেন আমার স্মৃতি গুলো তুমি ভুলতে পারবে না।
নিশিতা অনিককে কিছু না বলেই বাড়ীতে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো।অনিক পিছন দিকথেকে অনেক ডাকলো,,নিশু! নিশু!
নিশু একবার ও ফিরে তাকালো না।আচ্ছা অনিক কেন আসলো আমার কাছে আজ।সেই কি আজও আমায় ভালোবাসে। কথা গুলি ভাবতে ভাবতে নিশিতা বাসার সামনে চলে এসেছে।দজার সামনে এসে কলিং বেল টিপ দিলো। কলিং বেল বাজার সাথে সাথেই নিশিতার মামা সৈকত এসে দরজা খুলে দিলো।
আমি-মামা আপনি কখন এলেন?
মামা-এইসব কথা পরে জানলে ও চলবে।আগে তোর মায়ের রাগ ভাংগা।
মামার কথা শেষ না হতেই মা রান্নাঘর থেকে আসতে আসতে বললো এতো দেরি করলি কেন?একজন যে তোর অপেক্ষায় বসে থাকে তোর সেই কথা মনে থাকে না?
আমি-মা আমি ফ্রেস হয়ে আসি,বলে রুমে চলে আসলাম।মায়ের সাথে এখন কথা বলা যাবে না।বললেই পেছিয়ে ধরবে।
মায়েদের মন বলে কথা সন্তানদের দেখলেই বুজে যায় সন্তানরা কেমন থাকতে পারে।
রুমে এসেই খাটের এককনে বালিশের সাথে হেলান দিয়ে শুয়ে পড়লাম।কখন যে পুরোনো স্মৃতি গুলো মাথায় এসে আবার ভর করলো বুজতেই পারলাম না।অনিকের সাথে সেই প্রথম দেখা,যেটা আমি কখনোই ভুলতে পারবোনা। তখন আমি ইন্টার পাস্ট ইয়ারে পড়ি।আর ও তখন মেডিকেলে পড়তো 2nd ইয়ারে।
আমি ক্লাস শেষ করে কলেজের গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম।
আরে আপনি তাকিয়ে তাকিয়ে কি দেখেন?উঠান আমাকে।কি হলো উঠান।
অনিক -ওহ সরি, আসলে আমি খেয়াল করিনি।আমি তাড়াতাড়ি করতে গিয়ে আপনি পড়ে গেলেন।
ওর হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বলল হাতটা ধরে উঠুন।
আমি-ওর হাত ধরে উঠতে উঠতে বললাম হনুমান কথাকার,মেয়ে দেখলেই ধাক্কা দিতে ইচ্ছে করে তাইনা।
পিছন থেকে আমার ফ্রেন্ড আনিকা বলে উঠলো আমার ভাইয়া কোনো বাজে ছেলে না।তোর ধারোনাটা ভুল।
আমি-তোর ভাইয়া মানে?
আনিকা-হুম আমার বড় ভাইয়া অনিক।ভাইয়া ও হচ্ছে আমার ফ্রেন্ড নিশিতা।
অনিক-এই যে মিস নিশিতা, আপনি আমার কি দেখে মনে করলেন আমি হনুমানের মতো?
চলবে,,,,