পাতা ঝরা বৃষ্টি পর্ব-০৯

0
93

#পাতা_ঝরা_বৃষ্টি
#পর্ব_৯
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী

“আপা।

” এই কে!মাহিন কোথায় ছিলি তুই।আর হাতে পায়ে এসব কি।ব্যাথা পেলি কি করে?

“আরে আস্তে কথা বলো আপা।মা দেখলে আমাকে মেরেই ফেলবে।

” হাত পায়ে এই হাল করে এখন বলছিস আস্তে বলবো?আমি এখনই ডাকছি মা-কে।

“আপু প্লিজ মা-কে ডেকো না।আমি ওই রিফাত আছে না ওর সাথে মারামারি করেছি।

” কিহ!এতো বড় একটা ছেলের সাথে তুই মারামারি করেছিস আর ও কিছুই বললো না তোকে?

“আরে ও কি আমার সাথে পারে।তোমার ভাইয়ের কতো শক্তি জানো না।

” হয়েছে বাহাদুরি। ঘরে চল ওষুধ দিতে হবে।এবার যদি মা এসব দেখে না আমি কিন্তু তোকে আর বাঁচাতে পারবো না।কেন এসব করতে যাস বল তো।এবার যদি ওরা এসে বাবার কাছে নালিশ করে শুধু মা একা না বাবাও তোলে পেটাবে।

“আমি কি ইচ্ছে করে মেরেছি নাকি।ও কেন তোমাকে বাজে কথা বলে।

” ও আমায় কখন বাজে কথা বললো?

“কেন ওইদিন তুমি আমাকে আমাকে নিয়ে যখন হেটে হেটে আসছিলে সেদিন তোমাকে ডার্লিং বলে ডাকছিলো না।ও কেন আমার আপাকে এসব বলে ডাকবে।আর আজকেও তো আমাকে শালা বলে ডাকছিলো তাই তো মেরেছি।

” তাই বলে সামান্য এই বিষয় নিয়ে মারামারি করবি।

“কেন মারবো না।আমার আপাকে যেই কিছু বলবে তাকে আমি এভাবেই মারবো।

” তাই!আপাকে ভালোবাসিস?

“হ্যাঁ। তুমি জানো না তোমাকে ভালোবাসি?

” হ্যাঁ জানি তো। তবুও শুনতে ভালো লাগে।আমিও আমার রাজকুমার ভাই কে অনেক ভালোবাসি।কিন্তু এভাবে আর না কেমন।আল্লাহ আল্লাহ কর যেন বাবার কানে এসব না যায়।ওষুধ লাগিয়ে দিলাম ঘরে যা আমি তোর খাবার নিয়ে আসছি।

“একটু দেখো না মা আছে কিনা।এভাবে দেখলে খুব মারবে।

” দেখছি।

“এতো বেলা হয়ে গেলো তবুও তোমার নাতির কোনো খবর নেই মা।ও কি এখনো ছোট আছে।দুদিন পর যে ওর ফাইনাল এক্সাম আছে সেই খবর আছে।এই বার যদি ও রেজাল্ট খারাপ করে আমি কিন্তু তোমাদের কথা আর শুনবো না মা।হোস্টেল পাঠিয়ে দিব এই আমি বলে রাখলাম।

” ইকরা এতো রেগে যাচ্ছিস কেন।দেখ ওর বয়সটাই তো ঘুরে বেরানোর তাই না।সবে ক্লাস সিক্স এ পরে।পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও তো জরুরি। এটা তো তোকে বুঝতে হবে মা।

“আপনি আর নিজের নাতিকে ভালো সাজাবেন না মা।মানহাও তো ছোট ছিলো ও কি এমন দুষ্টুমি করেছে।আমি যা বলেছি তাই শুনেছে।ও নিশ্চয়ই ওর বাবার মতো হয়েছে ধুরন্ধর।

” হ্যাঁ সেই। যখন ছেলে মেয়ের সাথে পেরে উঠবে না তখন সব দোষ এই আমি অধমের তাই না।তুমি তো খুব ভালো।তাহলে আমার সাথে ঝগড়া কে করতো শুনি?

এবার ছেলেমেয়ে থেকে ঝগড়া গড়ালো নিজেদের মধ্যে।মানহা মাহিন দুজনেই জানে এই ঝগড়া সহজে থামবে না।এটা শুরু হবে মায়ের চেচামেচিতে শেষ হবে মায়ের কান্না দিয়ে।আর বাবা বেচারা সারাদিন কেটে যাবে মায়ের রাগ ভাঙ্গাতে।দাদির দিন কেটে যাবে ওনাদের ঝগড়া দেখে হাসতে হাসতে।এটাই সুযোগ মাহিনকে ঘরে নিয়ে খাবার খাওয়ানোর।এখন কেউ আর ওদের খোঁজ নিতে আসবে না।

“ভাই এই সুযোগ তারাতাড়ি চল মা যেন দেখতে না পায়।

” ভয় পেয়োনা আপা এই ঝগড়া আর থামবে না।

এই বলে যেই না মানহা মাহিনকে নিয়ে ওর ঘরে যাবে অমনি বাইরে থেকে কারো গলার আওয়াজ পেয়ে স্ট্যাচু হয়ে যায় দুজনেই।মাহিন এবার আপার দিকে তাকিয়ে আছে।মানে সে এবার কি করবে।কারণ যার গলার আওয়াজ পাচ্ছে সে আর কেউ না।রিফাতের বাবা আজমল। এখন যদি বাবাকে সব বলে তাহলে মাহিনের কি হবে সেটা ভেবেই মাথা ধরে যাচ্ছে মানহার।অন্যদিকে মাহিনের চোখেমুখে কোনো ভয়ের ছাপ নেই।যেন সে জানতই এমন কিছু হবে।মাত্র ১১ বছরের ছেলে এতো সাহস কোথায় পায় এটা ভেবে পায় না মানহা।মানিহকে যখন কেউ বকে তখন তার খুব কষ্ট হয়।আদরের ভাই বলে কথা।

“একি আজমল সাহেব।আপনি হঠাৎ আমার বাড়িতে।কোনো সমস্যা?

” সমস্যা তো আছেই আরহান ভাই।এই যে আমার ছেলে দেখুন ওর কি অবস্থা।

“ওর এই অবস্থা কি করে হলো।বসুন না এসব কি করে।

” এটা আপনার ছেলে করেছে।তাই তো ওকে নিয়ে এখানে এলাম।

“মানে কি বলছেন মাহিন!

” হ্যাঁ আঙ্কেল মাহিন।

“তুমি কি বলছো রিফাত।ও কেন তোমাকে মারবে?

” আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না আঙ্কেল। তাহলে ওকেই ডাকুন ওর হাতে পায়েও জখম আছে।

“কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে।

” কি প্রশ্ন আন্টি?

“মাহিন তোমাকে যদি মেরেও থাকে তাহলে কেন মেরেছে।কি করেছ তুমি?

” কিছুই না।আমি তো শুধু রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম।কোথা থেকে ও এসেই আমাকে মারতে শুরু করলো।

” দেখেছ তো আপা ও সব কিছু এমন ভাবে বলছে যেন ও কিছু করেইনি।

“যে যাই বলুক ভাই তুই কিন্তু ওখানে যাবি না।

” কেন যাব না।আমি কি ওকে ভয় পাই।পারলে আরো দুইএক ঘা দিয়ে আসবো।

“তুই কিচ্ছু বলবি না ভাই।যা বলার আমি বলবো।চল আমার সাথে।

” এই তো মাহিন। দেখুন আঙ্কেল ওর হাতেও জখম। আমি বলেছিলাম।ও যখন আমাকে মারছিলো আমি নিজেকে বাঁচাতে ওকে আটকানোর সময় একটু আকটু লেগে গেছে।

“উনি মিথ্যে বলছে বাবা।ভাই এমনি এমনি ওনাকে মারে নি।

” কি বলছিস মানহা।কি হয়েছে খুলে বলতো মা।

“মা আসলে আমি কলেজ যেদিন গাড়িতে না যাই সেদিন আসা যাওয়ার সময় রিফাত ভাই আমাকে বিরক্ত করতো।যদিও আমি তেমন ভাবে গায়ে মাখিনি বিষয় টা। কিন্তু ওইদিন ভাইকে নিয়ে আসার সময়ও এমনটাই করেছিলো। ভাই সেদিন দেখেছিলো সব।
আর আজকেও নাকি ভাইকে উল্টো পালটা কথা বলছিল তাই ও এভাবে রিয়েক্ট করেছে।ভাইকে কিছু বলো না বাবা।

” মানহা মিথ্যে বলছে আঙ্কেল। আমি এসব কিছুই করিনি।

“যদি এটা মাহিন বলতো তাহলে বিশ্বাস করতাম।কিন্তু মানহা কখনোই মিথ্যে বলবে না। আমি ওকে সেই শিক্ষা দেইনি।আমার মাহিন ও কিন্তু মিথ্যে বলে না।

এবার রিফাত ওর বাবার দিকে তাকিয়ে দেখে তিনি অগ্নি চোখে তাকে গিলে খাচ্ছে।এর মানে হচ্ছে তার জন্য এখানে এসে তাকে এইভাবে অপমানিত হওয়ার জন্য।আর এর ফল যে খুব খারাপ হবে সেটাও বুঝে গেলো।আজমল সাহেব রিফাতকে টানতে টানতে সেখান থেকে নিয়ে গেলো।

” তোকে যে ওই বদমাশ টা বিরক্ত করে আগে কেন বলিস নি।এবার থেকে গাড়ি নিয়ে যাবি।

“বাবা তোমার এমন পালোয়ান ছেলে থাকতে তার বোনের কি হবে বলো তো।

” হ্যাঁ দিন শেষে একটা ডানপিটে বাদর হয়েছে।মানহা ওকে ঘরে নিয়ে যাও।আমি খাবার রেডি করছি
,
,
,
ইকরা মাহিনের খাবার দিয়ে চলে এসেছে।মাঝে মাঝে ছেলেটার প্রতি এতো রাগ হয়।কিন্তু বোনের প্রতি এতো ভালোবাসা দেখলে ভালো ও লাগে।একটু ডানপিটে তবে মনটা বোনের মতোই নরম।

“এতো অন্যমনস্ক হয়ে কি ভাবছেন মিসেস ইকরা?

” ভাবছি দেখতে দেখতে মাহিনের ১১ বছর পার হয়ে গেলো।ছেলেটা এতো ডানপিটে কেন হলো বলুন তো।মাসে কতবার ওর নামে বিচার আসে।এভাবে চললে তো মুশকিল।

“কিন্তু ও তো খারাপ কিছু করে না।ভাই হিসেবে যা করার তাই করেছে।

” হ্যাঁ মানছি কিন্তু এতো কম বয়সে এতো বাড়া ভালো না।এটা ওকে বুঝতে হবে।

“লাভ নেই।আমি ওর চোখে আগুন দেখেছি। এটা নিভবে না।এখন দেখার বিষয় এটাকে ও কি কাজে লাগায় ভালো নাকি মন্দ।আল্লাহ যে আমাদের আরো একটা সন্তান দিয়েছে এটাই বা কম কিসে বলো।ওরা বেঁচে থাকুক ভালো থাকুক এটাই তো আমরা চাই।

” এই তিক্ত কথা গুলো মনেও করতে চাই না।আমার এখনো ওসব ভাবলে ছোট মা মামির প্রতি ঘৃণাটা আরো বেড়েই যায়।

★ফ্ল্যাশব্যাক ★

দেখতে দেখতে বিয়ের প্রায় ৬ বছর। মানহাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে।এখন পুরোপুরিই মা ভক্ত মানহা।অন্তরা বেগমের সাথে খুব ভাব তার।

সকাল থেকেই মাথাটা কেমন ঘুরছিল ইকরার।কিছুদিন যাবত খাবারেও অরুচি হওয়ায় সকালের খাবার টাও খেতে পারেনি।শুক্রবার থাকায় আরহানও বাড়িতেই ছিলো।আরহান খেয়াল করে ইকরার চলাফেরা যা মোটেও ভালো নয়।দেখে অসুস্থ বলেই মনে হলো।

“কি হয়েছে তোমার।মুখটা এমন শুকনো লাগছে কেন?

” বুঝতে পারছি না।বাইরে যে গরম হয়তো তার জন্যই এমন দেখাচ্ছে।ঠিক হয়ে যাবে।

“কিচ্ছু ঠিক হবে না।মা বলছিলো ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া ও করো না।কি হাল করেছো নিজের।রেডি হয়ে নাও তোমাকে ডক্টর এর কাছে নিয়ে যাব।

” সামান্য বিষয় ডক্টর কেন লাগবে।তাছাড়া আমার ডক্টর এর কাছে যেতে ভালো লাগে না।

“না লাগলেও যেতে হবে।কোনো কথা শুনবো না।

” কিন্তু।

“কোনো কিন্তু নয় রেডি হয়ে এসো আমি গাড়ি বের করছি।

এই মুহুর্তে ডক্টর এর কেবিনে বসে আছে ইকরা আরহান।তাদের রিপোর্ট ডক্টর এর হাতে।যাতে স্পষ্ট লেখা ইকরা মা হতে চলেছে কিন্তু ইকরা যেন বিষয় টা বিশ্বাসই করতে পারছে না।তার জানা মতে মা হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। তাহলে এসবের মানে কি?

প্রথমে যখন ডক্টর ইকরাকে দেখে বলেছিলো সে প্রেগন্যান্ট তখন ও ইকরা বিষয় টা এতো গুরুত্ব দেয়নি।টেস্ট গুলো শুধু ডক্টর এর কথা অনুযায়ী করা।
আরহান তো অনেক খুশি।কিন্তু ইকরা এখনো তার মনোভাব প্রকাশ করেনি।

” ইকরা কি হয়েছে তোমার।তুমি কি খুশি নও?

“আমাকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন?

” বাড়িতেই তো যাব।

“আমি আমার বাড়ির কথা বলেছি।নিয়ে যাবেন?

” কিন্তু এখন গেলে তো।

“আপনি না নিয়ে গেলে টাকা দিন আমিই বাসে করে চলে যাচ্ছি।

” আমি কি নিয়ে যাব না বলেছি।আচ্ছা ঠিক আছে চলো।

যাওয়ার সময় বাবার ফোন পেয়ে ইকরা ছোট মায়ের কথা জানতে চায়।তখন তিনি বলেন ছোট মা বাড়িতে নেই।ইকরার মামার বাড়ি গেছে।কারন হিসেবে জানতে পারে দিদারের মেয়ের মুখে ভাত।তারপর ইকরা কিছু একটা ভেবে বাবাকে আলমারিতে কিছু পেপার আছে সেগুলো নিয়ে আসতে বললো। তারপর তাকে নিয়ে সেখানে গেলো যেখানে ইকরার মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছিল।কারণ সবার আগে তাকে শিওর হতে হবে যে মেইন কালপ্রিট টা কে।

“ইকরা কি হয়েছে বলতো।এসব পুরনো রিপোর্ট দিয়ে কি হবে?

” সব জানতে পারবে বাবা।আচ্ছা তোমার একটা বন্ধু ছিলো না পুলিশ। উনি কি এখনো এখানে আছেন।

“সরিফের কথা বলছিস।রিটায়ার করেছে।তবে জরুরী হলে হেল্প চাইলে কিছু করলেও করতে পারে।কিন্তু হঠাৎ পুলিশ কেন?

” লাগবে বাবা।কারন আমি যেটা জানতে চাইছি সেটা এমনি এমনি বলবে না।তুমি এক কাজ করো কল দাও আমি কথা বলছি আংকেল এর সাথে।

“আপনিই তো সেই যিনি আমার রিপোর্ট দেখেছিলেন মিসেস মিশ্মি তাই না?

ডক্টর মিস্মি এখানকার অনেক পুরোনো ডক্টর। সাধারণত এইভাবে ওনার সাথে কেউ কথা বলে না।তাই কথাটা কে বললো সেটা দেখার জন্যই পেছনে ঘুরলো।প্রথমে চিনতে না পারলেও পরে চিনতে অসুবিধা হলো না। কিন্তু এটা এখন কিছুতেই বুঝতে দেয়া যাবে না।

” আপনি কে বলুন তো!

“সে কি নিজের পেসেন্ট কে নিজেই চিনতে পারছেন না?এতো সহজে তো আমাকে আপনার ভুলে যাওয়ার কথা না।

” আপনারা কারা বলুন তো।এভাবে একজন ডক্টর এর কেবিনে এসে এই ধরনের ব্যবহার করছেন। আপনাদের ভেতরে কে আসতে দিলো।সিকিউরিটি, সিকিউরিটি?

“এই যে ম্যাডাম সিকিউরিটি পরে ডাকবেন হ্যাঁ। আমরা কিন্তু একা আসিনি।সাথে পুলিশ ও আছে।তাই বলছি ভালো হবে যদি ইকরা যেই সত্যিটা জানতে চাইছে সেটা বলে দেন। তা না হলে।

” পু..পুলিশ মানে।আপনারা আমার সাথে এমন করতে পারেন না।আমি একজন ডক্টর। আপনি কিসের কথা বলছেন আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না। আপনাকে চিনতেও পারছি না আমি।

“কিন্তু দামিনী বেগম আর রেহানা বানুকে চিনেন তো?আমি খুব ভালো করেই জানি আপনার সব মনে আছে।সত্যি টা বলুন নয়তো আপনার এতোদিনের রেপুটেশন নাম ডাক সব কিছু নষ্ট করে দিতে পুলিশ তো আছেই।জাল রিপোর্ট করার অপরাধে একজন ডক্টর এর কি শাস্তি হতে পারে জানেন তো?

ডক্টর মিশ্মি বুঝলো আর কোনো উপায় নেই।এবার সত্যি টা না বললে কিছুতেই ছাড়বে না ওরা তাকে।তাই বাধ্য হয়েই সবটা বলে দিলো।সব কিছু খুলে বললো।

” আসলে দামিনী আমার স্কুল লাইফের ফ্রেন্ড। সেদিন যখন ও তোমাকে নিয়ে আমার কছে এসেছিলো সাথে রেহানা ভাবিও ছিলেন।ওরা যখন বললো আমাকে এমন একটা রিপোর্ট বানাতে হবে আমি প্রথমে রাজি হইনি।কিন্তু পরে দামিনী খুব অনুরোধ করলো।ও হয়তো তোমাকে পছন্দ করে না।কিছুতেই চাইছিলো না তোমাকে ছেলের বউ করতে তাই ছেলের জীবন থেকে সরাতে ও চাইছিল তোমার এমন একটা দুর্বল যায়গা যেটা জানলে ওর ছেলে আর তোমাকে বিয়ে করতে চাইবে না।যেহেতু দিদারের বাচ্চা খুব পছন্দ ছিলো আর এটা জানার পর দামিনীর প্ল্যান ও সফল হয়।দিদার বলে যে দামিনী যাকে বলবে তাকেই বিয়ে করবে।আর তোমার মা চাইছিল তোমাকে মানসিক ভাবে শেষ করে দিতে।কেন চাইছিল তা আমি জানি না। আমিও টাকার লোভে এটা করতে রাজি হই।কারণ টাকার পরিমাণ টা বেশিই ছিলো।আমাকে ক্ষমা করে দাও।পুলিশে দিও না প্লিজ।আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবে।সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না।

“আপনি আমার স্ত্রীর সাথে যেই অন্যায়টা করেছেন তাতে মানুষ হিসেবে ক্ষমা হলেও একজন দায়িত্ব রত ডক্টরের কোনো ক্ষমা নেই। এবার যা করার আইন করবে।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে