#পাতা_ঝরা_বৃষ্টি
#পর্ব_৭
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী
ভোরের দিকে আরহান গাড়ি থামিয়ে একটা মসজিদে ফযরের নামাজ আদায় করে আবার গাড়ি ড্রাইভ করতে শুরু করে।চার পাশে আলো ফুটতে শুরু করেছে।ইকরাদের গ্রামে যেতে আরো তিন ঘন্টা সময় লাগবে।মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আরহানের মনে হলো সে ইকরাকে খুব মিস করছে।যুগ যুগ তাদের দেখা হয় না।কথা হয় না।পবিত্র সম্পর্কের এটাই হয়তো তফাত।
হ্যাঁ কাল রাতে অন্তরা বেগমের কথায় কাজ হয়েছে।বিষয় টা নিয়ে অনেক গভীরে ভেবেছে আরহান।আসলেই তো।যা হয়েছে এসবে তো ইকরার কোনো দোষ নেই।শাড়ি নিয়ে বকাবকি ও তার ঠিক হয়নি।এটা তো সত্যি আইনত ইকরা এখন তার স্ত্রী। মহুয়াকে সে ভালোবাসে কিন্তু তাই বলে তো নিজের দায় এড়াতে পারে না সে।একটা মেয়ে স্বামীর ভালোবাসা ছাড়া আর কি চায়।যদি কিছু চাওয়ার থাকতো তাহলে বাবার ঘর ছেড়ে শশুর বাড়িতে এসে এতো কিছু সহ্য করে থাকতে হতো না।তারা ওই একটা মানুষের ওপর ভরসা করেই বাবার বাড়ি ছেড়ে সম্পুর্ণ অচেনা একটা পরিবারকে নিজের পরিবার করতে ব্যস্ত হয়ে পরে।তাহলে সেই দিক থেকে বলতে গেলে ইকরার তো আরহান ছাড়া আর কেউ নেই।সেই যদি ওকে না বোঝে তাহলে এই বাড়িতে ও কেন থাকবে।কার জন্য থাকবে?কেনই বা অন্য একজনের মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো লালন পালন করবে।তার তো কোন দায় নেই।
“বিয়ে করবেন তাই না করাচ্ছি। একবার ফিরিয়ে আনি তারপর বিয়ের ভুত যদি মাথা থেকে না নামিয়েছি তবে আমার নামও আরহান নয়।
গ্রামের রাস্তায় হাটা হয় না অনেকদিন হলো।ইকরা মানহাকে নিয়ে হাটতে বের হয়েছে।সাথে আছে ইরা ও।দুই বোন গল্প করতে করতে গ্রামের মেঠো পথ ধরে হেটে যাচ্ছে।গ্রাম মানেই একটা আলাদা ভালো লাগা প্রশান্তি। মানহা মায়ের কোলে থেকেই সবটা দেখছে। গ্রামে প্রায় যায়গাতেই গরমের সময় বসার জন্য ছোট ছোট টং বা মাচাল দেখা যায়।সেখানেই ইকরার বয়সী কিছু ছেলে বসে ছিল। ইকরাকে দেখে তারা বলতে শুরু করলো-
” দেখ এক বাচ্চার মা যাচ্ছে।
আরেকজন বললো-
“বর নাকি বুরো।এক বাচ্চার বাপ বুরো তো হবেই।
এসব শুনে ইকরা খুব রেগে গেল।
” এই তোরা এসব বলার কে রে?আমার বর আমার মেয়ে এতে তোদের কেন সমস্যা?
“এমা ইকরা রেগে যাচ্ছিস কেন।আমরা তো এমনিই বলছিলাম।
” বিদ্যুৎ ভাই তুমি আমার আপাইয়ের সাথে ঝগড়া কেন করছো।জানো না আপায়ের খুব রাগ।রেগে গেলে যা ইচ্ছা করতে পারে।
“এই আপায়ের চামচি চুপ কর।তোর আপায়ের রাগ না আমার জানা আছে।আমি বিয়ে করতে চেয়েছিলাম।করলে কি আর এই বুড়ো স্বামীকে বিয়ে করতে হতো।
” তবেরে।দাঁড়া করাচ্ছি তোকে বিয়ে।
এই বলে ইকরা যখন সামনে এগোতে যাবে অমনি পেছন থেকে ইকরা বলে কেউ ডেকে ওঠে।
এখানে আরহানকে একদম আশা করেনি ইকরা।এতোক্ষনে রাগে লাল হওয়া মুখটাও কেমন চুপসে গেলো।
“আপনি এখানে!
” হ্যাঁ আমি।কেন আমাকে আশা করেননি বুঝি?
কেমন আছো ইরা পরি?
“আমি ভালো আছি দুলাভাই। আপনি কেমন আছেন?
” আমিও ভালো আছি।তো মিসেস ইকরা অনেক ঝগড়া হয়েছে এবার চলুন।অনেকটা জার্নি করে এসেছি।আমি খুবই ক্লান্ত।
“ইনি কে ইকরা?
বিদ্যুৎ প্রশ্ন করলেও ইকরা কোনো জবাব দিলো না।তাই ইরাই বললো-
” তুমি এতোক্ষণ যাকে বুড়ো বুড়ো বলছিলে বিদ্যুৎ ভাই। ইনিই সে।আমার দুলাভাই। আর কখনো যদি আমার দুলাভাইকে বুড়ো বলেছ।তাহলে আপাই তোমার দাত ভেঙ্গে ফেলবে বুঝেছ।আমার দুলাভাই কিন্তু অনেক সুন্দর। বুড়ো তো আপনি হিহি।
“ইরা চুপ করো।চলো এখান থেকে।
হাটতে হাটতে ইকরা রা অনেকটা দূরেই চলে এসেছিলো। তাই আরহানের গাড়িতে করেই তারা এখন বাড়ি ফিরছে। এর মধ্যে ইকরা আরহানের সাথে একটা কথাও বলে নি।এটা কেন জানি আরহানের ঠিক হজম হলো না।ইকরার সেই চঞ্চলতা খুব মিস করছে আরহান।
” আপনি যে আমার সাথে ঝগড়া করেন সেটা জানতাম।কিন্তু এভাবে বাইরের কারো সাথেও ঝগড়া করেন তা জানতাম না।মারতে পর্যন্ত যাচ্ছিলেন!বুড়োই তো বলেছে।তাতে কি এমন হলো?
তবুও ইকরা কোনো কথা বললো না।মানহা বাবার কোলে বসে থাকলেও ইকরার ওড়না হাত দিয়ে ধরে রেখেছে।ইরা পেছনের ছিটে বসে চকলেট খাচ্ছে যেটা আরহান দিয়েছে
আহান গাড়ি থামালো ইকরাদের বাড়ির সামনে।সবাই গাড়ি থেকে নামার পর আরহান পেছনের সিট থেকে দুটো বড় বড় বাজারের ব্যাগ বের করলো।আসার সময় মা বলেছিল নতুন জামাইদের এসব করতে হয়।নিয়ম যেটা গ্রামের মানুষ বেশি পালন করে।এক ব্যাগে বড় বড় তিনটি মাছ।অন্য ব্যাগে কাচা সবজি।ইরা এসব কিছুই খেয়াল করেনি।
“একি এতো সব কখন আনলেন আপনি!আর এসবের কি প্রয়োজন?
” এটা নাকি নিয়ম মা বললো তো।
“হ্যাঁ নিয়ম।কিন্তু এখন এসব নিয়ম পালন করে কিইবা লাভ।এমনিতে তো আমাদের রাস্তা আলাদা হয়েই যাবে।
ইকরা আর এক মুহূর্তও দাঁড়ালো না সেখানে।দাঁড়িয়ে গেলে হয়তো দেখতো আরহানের মুচকি হাসি।যার অর্থ শুধু সেই জানে।
” উড়ছেন উড়ুন।কিন্তু সেটা সীমানার মধ্যেই।গন্ডি পেরোনোর চেষ্টাও করবেন না ইকরা।ফল ভালো হবে না।
,
,
,
“বাবা তুমি কি নার্ভাস হচ্ছো। পারবে তো?
” একটু তো নার্ভাস হচ্ছিই।জামায়ের সাথে অভিনয় এটা কি কম কথা বল।
“মায়ের মাথায় কি চলছে জানি না।তুমি নিজেকে তৈরী করে নাও। আমি গিয়ে দেখি উনি কি করছেন।
” হ্যাঁ হ্যাঁ। আমিও খাবারের দিক টা দেখছি।
আরহান ইকরার ঘরে বসে আছে অনেকটা সময় ধরে।এবাড়িতে আসার পর ইকরা আর আরহানের সামনে আসেনি।দাদির শাশুড়ীর সাথে কথা বলে প্রায় ৩০ মিনিট ঘরেই বসে আছে আরহান।ইমরানের থেকে শুনেছে কাল নাকি বাড়িতে কারা আসবে।যদিও খোলসা করে কিছুই বলেনি।তবে মায়ের কথা আর ইমরানের কথায় এটা বুঝতে পেরেছে ইকরার ২য় বিয়ের বিষয় টা সত্যিই।একটু আগে মা ফোন করে বলেছে সে ডিভোর্স পেপার এখানে পাঠিয়ে দিবে। দুজনেই যেন সই করে দেয়।এদিকে আব্দুল আজিজ এখনো মেয়ে জামায়ের সামনে আসেন নি।আরহানের বিষয় টা খটকা লাগলো।তাহলে উনি সামনে আসতে সংকোচ করছেন ইকরার ২য় বিয়ে দিবেন বলে?
যদি এটা সত্যি হয় ইকরা আপনার নিস্তার নেই।২য় বিয়ে কেন যদি ৪ টা বিয়েও হয় তবে সেটা হবে আমার সাথেই।এহহ বিয়ে কি মামা বাড়ির আবদার নাকি।আমার বউ বিয়ে করবে অন্য কাউকে হতেই পারে না।বিয়ে করাচ্ছি।
“জামাই আসবো?
” বাবা আসুন।আপনার বাড়ি এটা অনুমতির কি প্রয়োজন।
“তা যতই নিজের বাড়ি হোক।তুমি তো এই বাড়ির জামাই।না মানে এতোদিন তো তাই-ই ছিলে।
” এতোদিন মানে?
“সেকি তুমি কিছুই জানো না।বেয়ান কিছু বলেনি?
” হুম তার মানে মা যা বলেছে সেটা করবেই।ঠিক আছে আমিও দেখি মা কি করে তুমি আমার বউ এর বিয়ে অন্য কারো সাথে দাও।আর ডিভোর্স পেপার পাঠাবে তাই তো! সেটাও আমি দেখছি
“কি হলো জামাই।কথা বলছো না যে?
” তেমন কিছু না বাবা।ভাবছি জামাই হিসেবে আজকেই এই বাড়িতে আমার শেষ দিন তো।আমি ঠিক করেছি আজকের দিনটা খুব ভালোভাবে উপভোগ করবো।বলা তো যায় না সময়ের চাকা কোনদিকে ঘুরবে।
“ম..মানে!
” মানে বলতে চাইছি এর পর তো আর এখানে আমি আসতে পারবো না।তাই যখন এসেইছি ভালোভাবেই কাটাই দিনটা।কি বলেন?
“হ্যাঁ অবশ্যই। আচ্ছা তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি তোমার খাবারের কতটা এগুলো দেখি গিয়ে।
দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছিল ইকরা।তার কারণ আরহান লুঙ্গি পরেছে।এর আগে কখনো লুঙ্গি পরা হয়নি তাই এভাবে বাইরে যেতে অস্বস্তি হচ্ছে বলে ঘরে চুপটি করে বসে রয়েছে।তারচেয়ে বড় কথা এটা ইকরার বাবার লুঙ্গি।ইকরাকে দেখে অনেকটা মিইয়ে যায় আরহান।একে তো প্রথমবার লুঙ্গি পরা তারপর ইকরা এমন ভাবে তাকিয়ে ছিলো যে এবার বেশ ইতস্ততবোধ করে আরহান।
” আশ্চর্য এভাবে হাসছেন কেন আপনি!লুঙ্গি পরা ছেলে আগে দেখেন নি?
” দেখেছি তো।বাবাকে দেখিছি।ইমনকে দেখেছি। চাচাকে দেখেছি।কিন্তু আপনাকে দেখিনি।তাই তো তাকিয়ে আছি।আর।
“আর?
” আর মা বলেছে যার সাথে বিয়ে ঠিক করেছে সেও নাকি লুঙ্গি পরে।
“সে লুঙ্গি পরে এটাও বলেছে আপনাকে?আর কি কি বলেছে।নিচে কি পরে সেটাও বলেছে?
” আরে এসব কি ধরনের কথা।যাই হোক নিচে আসুন বাবা ডাকছে।
“এই অবস্থায় নিচে যাওয়া সম্ভব নয়।প্যান্ট কি শুকিয়েছে?
” না।আলমারিতে দেখুন আপনার প্যান্ট আছে। ওটা পরেই আসুন।
“আমার প্যান্ট! কিন্তু আমি তো কিছু নিয়ে আসিনি তাহলে?
” আমি এনেছিলাম।
“তাহলে এতোক্ষণ ইচ্ছে করেই বলেন নি?আর আমি অসহায়ের মতো এভাবে বসে আছি ঘরে?
” ইচ্ছে করেনি তাই বলিনি।আপনি পরলে পড়ুন নয়তো চাবি নিয়ে যাচ্ছি আলমারির।
“এই একদম না।বলছি আপনিই বের করে দিন।আপনার আলমারিতে আমি ঠিক কম্ফোর্ট ফিল করছি না।
” হুম।
রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আরহান ইকরার ঘরে বসে আছে।অফিসের কিছু কাজ করছিলো ফোনেই।ইকরা তখন একটা বালিশ আর বিছানার চাদর নিয়ে নিছে বিছানা করে।এটা দেখে আরহান তার ফোনের কাজ বন্ধ করে দেয়।মানহা খাটে ঘুমাচ্ছে।
“এসবের মানে কি?
” কোনসবের মানে!
“বুঝতে পারছেন না?এই যে মাটিতে কেন বিছানা করলেন ইকরা?
” আসলে মা বলছিলো আপনি যেহেতু এখনো ডিভোর্স পেপারে সই করেন নি।তাই এক ঘরে থাকতেই পারি কিন্তু আলাদা।আর তাছাড়া কাল যদি আমার হবু বর এসে জানতে পারে যে আমি আপনার সাথে ছিলাম তাহলে সে কষ্ট পাবে না বলুন?
“অহ এক বিছানায় ঘুমোতে সমস্যা অথচ এক ঘরে থাকতে সমস্যা নেই?বাহ! ঠিক আছে নিচে ঘুমোবেন তো ঘুমোন।
আরহান এই বলে ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে খাটে মানহার পাশে শুয়ে পরলো।ইকরাও আর কিছু বললো। উল্টো নিজেরই খারাপ লাগলো এটা ভেবে যে হয়তো আরহান কষ্ট পেয়েছে।এর মধ্যে ঘারে কারো গরম নিঃস্বাস অনুভব করলো।পাশ ফিরতে গেলেই কারো শক্ত বুকে আটকে গেলো।
“একি আপনি এখানে কেন এলেন!
“আস্তে কথা বলুন মানহা উঠে যাবে।তাছাড়া নিজের বউ এর পাশেই তো এতো ভয় পাওয়ার কি আছে?
” দেখুন এটা একদম ঠিক হচ্ছে না।কাল আমাদের ডিভোর্স হবে আর…।
“চুপ।কোনো ডিভোর্স হবে না।বললেই হলো ডিভোর্স হবে।আপনি আমার বউ।আমার বিয়ে করা বউ।আমার আপন বউ। নিজের স্বামী থাকা সত্তেও অন্য ছেলের নাম ও যেন মুখে না শুনি।
কথা বলতে বলতে আরহান ইকরাকে দুই হাতে নিজের বুকে জরিয়ে নিয়েছে ইকরার দম বন্ধ অবস্থা। এতোদিন যেটার আশায় ছিল পুরন তো হলো কিন্তু এতো অস্বস্তি কেন হচ্ছে বুঝতে পারছে না।আরহানেরও একই অবস্থা। এই প্রথম ইকরাকে নিজের এত কাছে এনেছে।এর জন্য যে নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করেছে তা কেবল আরহানই জানে।
“আপনি কি ভয় পাচ্ছেন ইকরা?
” না কিন্তু নার্ভাস হচ্ছি।
“কেন?
” সব কেন এর উত্তর হয়?
“খাটে গিয়ে শুয়ে পরুন আমিও যাচ্ছি।
” উহু এভাবেই ভালোলাগছে।থাকুন না।
‘থাকুন না’ কথাটায় যেন এজ রাশ আবেগ মিশে আছে।ইকরাও আর কিছু বললো না।এভাবে থাকতে কখন যে দু’জন ঘুমিয়ে গেলো।সকালে ইকরার ঘুম ভাঙলো কারোর স্নিগ্ধ হাতের স্পর্শ পেয়ে।যে হাতের স্পর্শ মোলায়েম। গুটি গুটি হাতে মানহা ইকরার মুঝে হাত বুলাচ্ছে।আর মাঝে মাঝে টুপ করে চুমু খাচ্ছে।ইকরা চোখ মেলে মানহার দিকে তাকায়।মায়ের তাকানো দেখে বিনিময়ে মিষ্টি একটা হাসি দেয় মানহা।
“মাম্মাহ!
” মামনি তুমি কখন উঠলে।
মনহাকে যখন উঠে কোলে নিতে যাবে তখন বুঝলো তাকে কেউ আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছে। কাল রাতের কথা মনে হলো।এভাবেই তো শুয়ে থেকে কথা বলছিল দুজন কখন যে ঘুমিয়ে গেলো বুঝতেই পারলো না।ইকরার কেমন লজ্জা লাগলো।হুট করে আরো একটা কথা মাথায় এলো মানেহা আছে এখানে।এবার যেন আরো দিগুণ লজ্জা ভর করলো ইকরার মধ্যে।তাই তারাহুরো করেই আরহানে হাতের বাধন থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করলো।
“কি হচ্ছে ইকরা এমন কেন করছেন?
” আরে ছাড়ুন। অনেক বেলা হয়েছে তো।
“তাতে কি হয়েছে।অফিস তো নেই আরেকটু ঘুমোই।
” তার আগে ছোখ তো খুলুন। সামনে মেয়ে বসে আছে আমাদের দিকে তাকিয়ে।
মেয়ের কথা শুনে চটজলদি উঠে বসে আরহান।মানহা তখনও বাবা মায়ের দিকে ডাগর ডাগর করে তাকিয়ে আছে।
“মামনি উঠে গেছ?
” হ্যাঁ উঠে গেছে।এবার তো ছাড়ুন প্লিজ।
“হুম।
ইকরা উঠে মানহাকে নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো ফ্রেশ করাতে।আরহান ও উঠে গেল।কেন জানি নিজেকে অনেক হালকা লাগছে।অদ্ভুত এক ভালো লাগা।ইকরস্র ও কি তাই হচ্ছে?
চলবে