পাতা ঝরা বৃষ্টি পর্ব-০১

0
116

#পাতা_ঝরা_বৃষ্টি
#সুচনা_পর্ব
#গোলাপী_আক্তার_সোনালী

“মহুয়া ছাড়া আমি অন্য কাউকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারবো না মা।কেন এসব বলছো?

” তুই শুধু মেয়েটাকে দেখ না বাবা।আমি বলছি ওকে দেখলে তুই আর এই কথা বলবি না।আমি দেখেছি ও মানহাকে কতটা ভালোবাসে।তুই বল না এক দিনের পরিচয়ে কেউ কাউকে এতটা আপন করে নিতে পারে?

“কিন্তু তাই বলে বিয়ে?মহুয়া মারা গেছে ৬ মাস ও হয়নি আর তুমি এখনই বিয়ের কথা বলছ।তাছাড়া উনি যে আমার মেয়েকে নিজের মেয়ের মতো ভালোবাসবে এটা কে বলেছে তোমায়।না মা আর যাই বলো প্লিজ বিয়ে করতে বলো না।

” ও এখন বুঝি আমি তোর কেউ না।এখন মেয়েই তোর সব?এখন তো মনে হচ্ছে মহুয়ার যায়গায় আমি চলে গেলেই ভালো হতো।

“মা!

” দেখ আরহান।আমি তোর মা।আমি জানি ছেলেমেয়েদের জন্য বাবা মায়েরা কতটা ভাবে।মানহার জন্য তুই ভাবিস এটাও জানি।কিন্তু মেয়েটা তো ছোট। ওর একটা মায়ের খুব প্রয়োজন। আর বিশ্বাস কর ইকরা মেয়েটা খারাপ নয়।পারলে একমাত্র ও-ই পারবে মানহাকে মায়ের ভালোবাসা দিয়ে বুকে আগলে রাখতে।কারণ ওই মেয়েটার মা নেই।

“কি বলছো!

” হ্যাঁ। আর আমি তো তোকে বলছি না যে ওকেই বিয়ে কর।দেখতে তো দোষের কিছু নেই তাই না।

“আচ্ছা ঠিক আছে।কিন্তু আমি গিয়ে বেশি সময় থাকতে পারবো না।

” এতেই হবে।আমি তাহলে ওর বাবার সাথে কথা বলছি। আমরা কালই যাবো কেমন।

অন্তরা বেগম খুশি মনে আরহানের ঘর ত্যাগ করলেন।আরহান পরেছে দোটানায়।একমাত্র মেয়ে মানহার জন্মের সময় স্ত্রী মহুয়া মারা যায়।ভালোবেসে বিয়ে করেছিল।দুই বছর সংসার করেছে তারা।এভাবে রাস্তা বদলে যাবে কেউ ভাবেই নি।শেষ সময় বাবার বাড়ির কাউকে দেখতে পায়নি মহুয়া।একরাশ অভিমান নিয়ে পরপারে চলে গেছে।

“ক্ষমা করো প্রিয়তমা। তোমাকে ছাড়া আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবো না।কাউ কে না।

★ফ্ল্যাশব্যাক ★

“তোমাকে কতোবার বলেছি করিম।বাইরে বা দূরে কোথাও যাওয়ার আগে গাড়িটা ভালো করে দেখে নিতে।এখন এই রাতের বেলা বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে আমি কোথায় যাবো?আমেনারর বাড়ি থেকেও অনেকটা দূরেই চলে এসেছি।এতোটা পথ এখন ফিরে যাওয়াও সম্ভব নয়।গ্রামের বাড়ি গুলোও দূরে দূরে থাকে।

” আমি সত্যিই আসার সময় চেক করেছি খালা আম্মা। হুট করে কি যে হলো।

“হয়েছে। এবার গাড়ি ঠিক করতে পারো কি না দেখো।মেয়েটার খিদেও পেয়েছে।আল্লাহ কি বিপদে আপনি ফেললেন।

অসুস্থ বান্ধবীকে দেখে নিজ বাড়িতে ফিরছিল ইকরা।সাথে আছে একজন মধ্যবয়স্ক লোক। সোলেমান মিয়া।রাস্তায় কাউকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে থামে ইকরা।

” কি হইছে আম্মা দাঁড়াইলা যে?

“ওই দিকে দেখুন সোলেমান চাচা।কে যেন দাঁড়িয়ে আছে ।কিন্তু এতো রাতে এখানেই বা কি করছে।দেখে তো মনে হচ্ছে কিছু হয়েছে।কোলে একটা বাচ্চাও আছে।

” তাই তো মনে হয়।পাশে তো একটা গাড়িও আছে।কোনো সমস্যা হইছে বোধহয়।

“চলো তো গিয়ে দেখি।

” তুমি কি পাগল হইছো আম্মা।যদি খারাপ মানুষ হয়?এখন তো কাউরেই বিশ্বাস করা যায় না।তুমি চলো আমি তোমারে বাড়িতে দিয়া আসি।তারপর না হয় আমিই আইসা দেখমু কি হইছে।তোমার কিছু হইলে চেয়ারম্যান সাহেব আমারে মাইরা ফেলাইব।

“তোমার মনে হয় আমার ক্ষতি করার সাহস কারো আছে।তাছাড়া দেখে মনে হয় না ওনারা খারাপ লোক।আমার মনে হয় ওরা বিপদে পরেছে।চলোই না গিয়ে দেখি।

” ঠিক হলো করিম।মানহা কান্না শুরু করেছে। এখন কি করবো আমরা।তোমার বোকামির জন্য এখন না আজ এই নির্জন রাস্তার মধ্যে রাত্রি পার করতে হয়।

“খালা আম্মা অনেকগুলো তার পুড়ে গেছে।এটা গ্যারেজ এ না নিলে ঠিক হবে না।

” মানে কি? তাহলে তুমিই বলো এখন কি করব।এখন তো মনে হচ্ছে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়েই ভুল করেছি।

“বলছি আপনারা কারা?এতো রাতে এখানেই বা কি করছেন?

কারো কথায় পিছন ফিরে তাকায় অন্তরা বেগম।একটা মেয়ে সাথে একজন মধ্যবয়স্ক লোক। দেখে এখানকার স্থানীয় বলেই মনে হচ্ছে।

“আর বলো না মা।আমরা শহর থেকে এসেছি।আমার ছোট বেলার বান্ধবীর ছেলের বিয়ে ছিল।এতো করে বলল যে না এসে থাকতে পারলাম না।কিন্তু দেখো বাড়ি ফেরার পথে গাড়িটা খারাপ হয়ে গেলো।এখন এই রাতের বেলা নাতনীটাকে নিয়ে যে কি করি।

” ও তো কাঁদছে। ওর মা আসেনি?

“ওর মা নেই। ওর জন্মের সময় আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।

কথাটা শুনে মনের মধ্যে ধুক করে উঠলো ইকরার।নিজের সাথে এই বাচ্চা মেয়েটার মিল খুঁজে পেলো।মনে হচ্ছে এ যেন ছোট্ট সেই ইকরাটাই।মা না থাকার কষ্ট ইকরা বুঝে।ওর নিজের ও তো মা নেই।

” কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি?আপনারা চাইলে আমার সাথে আমার বাড়িতে যেতে পারেন।ওই তো একটু সামনে গেলেই আমাদের বাড়ি।আমি এই গ্রামের চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ এর বড় মেয়ে ইকরা।আপনাদের কোনো সমস্যা হবে না।আর আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে কোনো সময় বৃষ্টি হবে।আপনার নাতনীর ও হয়তো খিদে পেয়েছে।আসলে এটা তো গ্রাম চার পাশে অন্ধকার নেমে এসেছে।আর গ্যারেজ ও এখান থেকে অনেকটাই দূরে।সকাল ছাড়া খোলা পাবেন না।

“কিন্তু গাড়িটা।আর ড্রাইভার?

” উনিও আমাদের সাথেই যাবেন।আমি বাবাকে বলে আপনার গাড়ি আমাদের বাড়িতে নেয়ার ব্যবস্থা করছি।আর এমনিতেও এখানে চুরি ডাকাতি হয় না।সে নিয়ে আপনারা নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।

“হ্যাঁ তাই চলো।এছাড়া তো আর কোনো উপায়ও দেখতে পাচ্ছি না।ভাগ্যিস তুমি এসেছিলে নইলে যে কি হতো।

বাবার সাথে কথা বলে ইকরা অন্তরা বেগমকে দুতলার একটা রুমে থাকতে দিল।রুম টা ছোট তবে বেশ গোছানো।

” এখানে আপনাদের থাকতে কোনো সমস্যা হবে না তো?

“সমস্যা কেন হবে।তাছাড়া তুমি তোমার বাবা আমাদের জন্য যা করলে এটাই বা আজকাল কে করে?

” এটা মানুষ হিসেবে আমাদের কর্তব্য। যাই হোক আপনার ড্রাইভারকে পাশের রুমে থাকতে দেয়া হয়েছে।আমার ছোট ভাইয়ের সাথে।আপনারা বসুন আমি আপনাদের খাবার নিয়ে আসছি।

“খাবার লাগবে না মা।আমরা খেয়েই এসেছি।তুমি শুধু আমাকে একটু গরম পানি দিলেই হবে।মানহার জন্য।

” তা না হয় দিলাম।কিন্তু আমাদের বাড়িতে এলেন অথচ কিছু খাবেন না তা কি করে হয়।

“সময় তো চলে যাচ্ছে না মা।সকালে খাবো।

” ঠিক আছে আমি তাহলে পানিই নিয়ে আসি।



“কোথা থেকে একটা মহিলা নিয়ে এলো আর আপনিও থাকতে দিলেন।কে বলতে পারে ওই মহিলার উদ্দেশ্য খারাপ কি না?

কথাটা বলছিলেন ইকরার ছোট মা মানে সৎ মা রেহানা বানু।ইকরার মা মারা যাওয়ার পর ইকরার দাদি মোর্শেদা বেগম ছেলের আবার বিয়ে দেন।কিন্তু তখন রেহানা বানু একদম অন্য রকম ছিলেন। প্রথম প্রথম ইকরাকে আদর যত্ন করলেও আস্তে আস্তে কেমন যেন পালটে যান।

” তুমি সব সময় একটু বেশিই ভাবো ইরার মা।আমার ইকরা আর যাই করুক কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না।আমার বাড়িতে কেউ সাহায্য চেয়ে পায়নি এটা কি কখনো হয়েছে?আর উনি তো একটা বিপদে পরেই এই বাড়িতে এসেছেন।গাড়ি ঠিক হলেই চলে যাবেন।
এখানে খারাপের কি দেখলে তুমি?

“ওমনি মেয়ের গুনগান শুরু হয়ে গেলো।এই বাপ মেয়ে নিয়ে আর পারি না।আপদ একটা।

” তোমাকে অনেকবার বলেছি ইরার মা।আমার মেয়েকে নিয়ে এই ধরনের কথা তুমি বলবে না।আর তোমাকেই বা কি বলবো। আমার সবচেয়ে বড় ভুল কি যানো তোমাকে বিয়ে করা।কেন যে তখন মায়ের কথা শুনেছিলাম।এখন বুঝতে পারছি আমি কতো বড়ো ভুল করেছি জীবনে।না পারলাম মেয়েটাকে মায়ের ভালোবাসা দিতে।না বাবা হিসেবে ওর পাশে থাকতে পারলাম।আর না মেয়েটাকে একটু সুখের মুখ দেখাতে পারলাম।

“বাবা!

” এই মেয়ে আড়ি পেতে কথা শুনছিলিস?

“মা আড়ি পেতে কথা শুনবার মেয়ে আমি নই এটা তুমি খুব ভালো করেই জানো। আমি তোমার সাথে কথা বলতে আসিনি।আর না কোনো আড়ি পেতেছি।এখান দিয়েই যাচ্ছিলাম তাই কথাগুলো কানে এলো।আগেও বলেছি ওনারা বিপদে পরেছে তাই আমার যেটা মনে হয়েছে আমি সেটাই করেছি।তখন আমার মনে হয়েছিলো ওনাদের সাহায্য করা উচিৎ তাই বাড়িতে এনেছি।তাছাড়া সারাজীবনের জন্য তো নয় মাত্র একটা রাত।যাক সেসব কথা।বাবা শোনো আমাকে যে যাই বলুক আমি কিন্তু কখনো কোনো প্রতিবাদ করিনি।কিন্তু ওনাদের সামনে বা ওনাদের যেন কেউ কিছু না বলে।এইটুকু তো এই বাড়ির মেয়ে হিসেবে আমি চাইতেই পারি তাই না। এটা বলতেই এসেছি।আসছি আমি।

” দেখলেন আপনার মেয়ে কি বলে গেলো।আর আপনি চুপ করে শুনলেন?

“বলার মতো তো কিছু রাখোনি। আমি বুঝতে পারিনা ইরার মা আমার মেয়েটা তোমার কি ক্ষতি করেছে বলো তো?সব সময় ওর সাথে এমন ব্যবহার কেন করো।আসলেই আমি একজন ব্যার্থ বাবা।বাইরে আমি সবার বিচার করি অথচ নিজের ঘরে নিজের মেয়েকেই সঠিক বিচার পাইয়ে দিতে পারি না।

মানহাকে খাইয়ে দিয়েছে ইকরা নিজেই।কেন জানি বাচ্চাদের সাথে ইকরার ছোট বেলা থেকেই অল্প সময়েই ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়।যদিও মানহার বয়স খুবই কম।মানহার অবস্থা দেখে বুঝাই যাচ্ছে যে ইকরাকে তার বেশ ভালো লেগেছে।অথচ এই মেয়ে বাবা আর দাদির কোলে ছাড়া কারো কোলেই থাকে না।

” তোমার কোলে বাবুটাকে খুব মানিয়েছে আপাই।দেখে মনে হচ্ছে তুমি ওর মা।ভালো করে বসো তো তোমাদের একটা সুইট ছবি তুলে রাখি।

“এসব কি বলছিস ইরা!আমি কেন ওর মা হবো?

” আমি কখন বললাম তুমি ওর মা।আমি শুধু বললাম তোমাকে ওর মায়ের মতো লাগছে।বিশ্বাস না হলে আন্টিকেই জিগ্যেস করো না।আন্টি আমি ঠিক বলছিনা বলুন?

“কথাটা মন্দ বলোনি মা।কিন্তু এটাও তো ঠিক যে ওরা কেউ কাউকে চেনেই না।আশ্চর্যের কথা কি জানো, মানহা আমি আর আমার ছেলের কোল ছাড়া কারো কোলেই থাকে না।কিন্তু সেই রেকর্ড ও ভেঙ্গে দিলো।এই প্রথম মেয়েটা তোমার আপাইয়ের কোলে থাকলো তাও এতো সময়।

” ওয়াও!তাহলে এক কাজ করুন আন্টি আপনার ছেলের সাথে আপাইয়ের বিয়ে দিয়ে দিন।খুব ভালো হবে।

“ইরা এসব কি হচ্ছে!খুব পাকা পাকা কথা বলছিস। যা এখান থেকে।তোর না আর দুদিন পর পরিক্ষা।এভাবে পাকামো করে বেরালে পরিক্ষায় তো গোল্লা পাবি।

” আপাই তুমিও না শুধু পড়তে বলো ভালো লাগে না।যচ্ছি।

“ওর কথায় কিছু মনে করবেন না আন্টি।বাচ্চা মানুষ তো তাই বুঝতে পারেনি কোথায় কি বলতে হয়।

” তুমি এতো হাইপার হচ্ছো কেন মা।আমি কিছুই মনে করিনি।এই বয়সে একটু আকটু দুষ্টুমি তো করবেই।

যদিও কথাটা অন্তরা বেগম বললেন কিন্তু তার মনে ইরার সরল উক্তিই নাড়া দিচ্ছে।বাচ্চা মেয়েটা হয়তো না বুঝে বলেছে কিন্তু কথাটা ভুল বলেনি।তাছাড়া এই অল্প সময়ে মানহা ও ইকরা দুজন দুজনকে যতটা আপন করে নিয়েছে তাতে মনে হচ্ছে ওরা একে অপরের সঙ্গ পেলে ভালো থাকবে।আমাকে ওর বাবার সাথেই কথা বলতে হবে।তারপর আরহান।

*বর্তমান *

“ইকরাকে দেখতে কাল মানহার বাবা আর দাদি আসবে ।ইরার মা তুমি খাবারের ব্যবস্থা করে রেখো।

“আপনার যে মেয়ে ওকে কে বিয়ে করবে?ওরা শহরের মানুষ আপনার মেয়েকে পছন্দ হবে?তার চেয়ে ভাবার বিষয় ছেলেটা বিবাহিত।

” সেটা নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।ইকরা নিজেই যখন রাজি আমার মনে হয় ব্যপার টা ওর ওপরে ছেড়ে দিলেই ভালো হবে।

“হ্যাঁ সেই।তাছাড়া যে চরিত্র তাতে এর চেয়ে ভালো ছেলে পাওয়াও যাবে না।

” কি বললে তুমি?

“শুনেন আপনি রাগ করেন আর যাই করেন এটা তো সত্যি।ওর মামার ছেলে (দিদান) এর সাথে তো একটা সময় সম্পর্ক ছিলো।ছেলেটা তো এখন অন্য কাউকে বিয়ে করে নিয়েছে।কেন নিয়েছে কারণ ও বুঝেছে যে এই মেয়ে ওর যোগ্য নয়।তাছাড়া ও তো ভবিষ্যতে মা হতে পারবে না।তাই অবিবাহিত কোনো ছেলে কেনই বা বিয়ে করবে খামোখা?

” কে কার যোগ্য সেটা সময় বলে দেবে।আর ওই বেইমান ছেলের নাম এই বাড়িতে যেন আর কোনোদিন না শুনি এই আমি বলে রাখলাম।আমার মেয়ে পবিত্র। হ্যাঁ মানছি একটা সম্পর্কে ও ছিলো কিন্তু ওরা কখনো কেউ কারোর হাত পর্যন্ত স্পর্শ করেনি। তুমি তো এসব বুঝবে না।আর এই বিয়েটা হলে তোমারই ভালো।আর আমার মেয়েকে তোমার দেখতে হবে না।

“সুযোগ পেলেই আমাকে কথা শুনানো তাই না।আমি বলছি এই বিয়ে আমি ভেস্তে দিব।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে