পরী পর্ব ৫
আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে ভাইয়ার অপেক্ষায় কিছুক্ষণ বসলাম। এইতো, ভাইয়া আসছে। কিন্তু সাথে কোন একটি ছেলেও যেন আসছে। আরে এই ছেলেটি তো সজীব। সেদিনের নীল শার্ট পরিহিত ছেলেটি। ভাইয়া সজীবকে বসিয়ে দরজা লক করে দিয়েছে। আমি এখনও বুঝে উঠতে পারছি না, ভাইয়া ছেলেটিকে কোথায় পেয়েছে। লাগছে সজীব আমাকে দেখে একটু ঘাবড়ে গেছে।
সে ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনি তো বলেছিলেন বাসায় আপনি ছাড়া আর কেউ নেই।’
‘আবির,’ ভাইয়া আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল, ‘আমার রুমের টেবিলের ড্রয়ার থেকে রিভলভারটা নিয়ে আয় তো।’
আমি সায় দিয়ে চলে গেলাম। এদিকে সজীব ভাইয়াকে আবার বলল, ‘ভাইয়া, এসব কী করছেন? আমি তো কিছুই বুঝছি না।’
‘টেনশন করো না। একটু পর সব বুঝে যাবে।
আমি রিভলভারটা এনে ভাইয়াকে দিয়ে ওর পাশে গিয়ে বসলাম। ভাইয়া সজীবকে বলল, ‘আকবর সাহেবকে তো চিনিস। আমি তাঁর কেস হেন্ডেল করছি। যেরাতে তাঁর খুন হয়েছিল, সেরাতে তুই কোথায় ছিলি?’
‘আ..’ সজীব আমতা আমতা করল, যেন মিথ্যেটা রেডি করে নিচ্ছে, ‘আমি আবার কোথায় থাকব? পার্টিতেই ছিলাম।’
‘পার্টি তো একটায় শেষ হয়ে গিয়েছিল।’ আমি বললাম, ‘তখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিল। তুই তো সেসময় বাসায় ছিলি না!’
‘কে বলেছে আপনাকে আমি ছিলাম না? আমি ছিলাম।’
‘তবে তোর কপাল দিয়ে ঘাম বেরুচ্ছে কেন?’ ভাইয়া বলল।
‘কই না তো।’ ঘাম মুছে সজীব বলল, ‘ঘামছি না।’
‘মনে পড়ছে না?’ আমি গলায় জোর দিয়ে বললাম, ‘তুই সে সময় বাইরে ছিলি। ১:২০ এর দিকে বাসায় ফিরেছিস। সবাই ঘুমিয়ে যাওয়ার পর তুই কেন বাইরে ছিলি? তত রাতে তো বাইরে কারো কাজ থাকে না।’
সজীব এখন ভয়ে কাঁপছে। কাঁপাস্বরে বলল, ‘ভাইয়া, আমাকে ছেড়ে দিন।’
‘বুঝলাম, তুই এমনিই সত্য বলবি না।’ ভাইয়া রিভলভারটা তার কপালে ঠেকিয়ে বলল, ‘এখন বল সত্যটা।’
‘আমি কিছু করিনি স্যার।’
‘তুই সেরাতে রবিনকে স্টোর রুমে বন্দি করেছিলি কেন?’ আন্দাজেই ঢিল ছুঁড়ে বললাম।
‘আমি ওকে বন্দি করে রেখেছি ঠিক। কিন্তু আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্ ছিল না।’
‘কেন করেছিস বন্দি?’ ভাইয়া রিভলভার নামায়।
‘আসলে স্যার আমাকে এসব করতে বলা হয়েছিল। আমি সব খুলে বলছি। রবিনের সাথে বন্ধুত্ব করার আগে আমার সাথে আমার স্কুল জীবনের বন্ধু খালেকের সাথে দেখা হয়েছিল। এখানে সে কোন একটা লোকের বাড়িতে চাকর হিসেবে কাজ করে। খালেকই আমাকে এসব কাজ করতে বলেছিল। এসব করলে ওর মালিক আমাকে টাকা দেবে বলেছিল। আমি প্রথমে অমত দিয়েছিলাম। আবার খালেক বলেছে, ওর মালিকের কোন একটা দামি জিনিস আকবর আঙ্কেল দখল করে রেখেছিল। এসব কাজ করতে পারলেই নাকি ওটা উদ্ধার করা সম্ভব। ওর মালিক আঙ্কেলকে অনেক জোর করেছে। তিনি নাকি জিনিসটা দেননি। হয়তো জায়গার মামলা। আমাকে বলা হয়েছে, আঙ্কেল নাকি অনেক খারাপ এক মানুষ। ওটা সহজেই দেবেন না। খালেকের মালিক আঙ্কেলের সাথে একটু দেখা করতে পারলেই জিনিসটা নিয়ে নেবে। এসব জানার পর ভেবে দেখলাম আমি টাকাও পাব এবং একটা লোক তার জিনিসও পেয়ে যাবে। এরপর খালেকের বলা কাজগুলো করতে আমি রাজি হয়ে যাই। কারণ আমার কাছে পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য টাকার অনেক প্রয়োজন। খালেক সেদিন রবিনকে চিনিয়ে দিয়ে ওর সাথে বন্ধুত্ব করতে বলল। আমি তাই করলাম। সেদিন ইভার বার্থডে পার্টিতে ইনভাইটেশন পাওয়ার কথা আমি খালেককে জানালাম। ভালো সুযোগ হাতে পেয়েছে দেখে খালেক আমাকে কী করতে হবে প্ল্যানটা বুঝিয়ে দেয়। প্রথমত, কোনো অজুহাত করে রবিনকে কোনো এক জায়গায় বেঁধে রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, আকবর আঙ্কেলকে এই বলে একটা নির্জন রাস্তায় নিয়ে আসতে হবে যে, রবিনকে কিছু লোক কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে। আর ওকে নিয়ে যেতে আমি দেখেছি।
আমি তাই করলাম। পার্টি শুরু হওয়ার পর আমি রবিনকে চেয়ার আনতে স্টোররুমে বাহানা করে পাঠাই। কারণ ওদের স্টোর রুম অনেক দূরে। ও চিৎকার করলে কেউ ওর আওয়াজ শুনবে না। ও ঢোকার একটু পর আমি দরজা বাহির থেকে লক করে দিয়ে আঙ্কেলের কাছে যাই। খালেক আগে থেকেই আকবর আঙ্কেলের গাড়ির পেছনের সিটের ব্যাকসাইডে লুকিয়ে পড়ে। খালেকের শেখানোতে আমি মোটামুটি ড্রাইভিং পারতাম। সেরাত কেউ না দেখে মতো গাড়ি করে খালেকের কথামতো আঙ্কেলকে নিয়ে গেলাম একটি নির্জন রাস্তায়। আমি যখন গাড়ি থামালাম, তখন সে আঙ্কেলকে বেহুঁশ করার কাজ সেরে ফেলেছে। এটুকুতে আমার কাজ শেষ হওয়ায় আমি গাড়ি রেখে চলে আসি। বাকিটা খালেক ড্রাইভিং করে তাঁকে নিয়ে যায়। এরপর কী হয়েছে আমি জানি না। প্ল্যান এটাই ছিল, আঙ্কেলকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গেলে খালেক তাঁকে বেহুঁশ করে ওর মালিকের কাছে নিয়ে যাবে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
পরদিন সকালে জানতে পেলাম, আঙ্কেলের মৃত্যু হয়েছে। তা শুনে আমি তাঁকে দেখতে যাই। গিয়ে দেখলাম সেখানে পুলিশরা তদন্ত করছে। আমার ওপর কোনো দোষ চাপা পড়বে ভেবে আমি ভয়ে পালিয়ে গেলাম। এছাড়া আমি আর কিছুই করিনি স্যার। আমি যদি জানতাম আমার এসব কাজে কারো মৃত্যু হবে, তবে আমি এই কাজ কখনওই করতাম না। খালেক আমাকে বলেছিল এসব কাজ করিয়ে দেওয়ার পর আমার টাকা দিয়ে দেবে। কিন্তু এরপর থেকে আমি ওর আর দেখা পাইনি। রবিনের সাথে অনেক বড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছি বিধায় ওকে আমি আর আমার মুখ দেখাইনি।
আমি একসময় গ্রামে থাকতাম। খালেকের সাথে আমি ওখানে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করি। এরপর খালেক পড়াশোনা বন্ধ করে দিয়ে ড্রাইভিং শেখে। আর আমার ইচ্ছা ছিল, একটি সরকারি কলেজে পড়ার। কিন্তু আমি অনেক গরিব ছিলাম। একদিন আমি পালিয়ে শহরে চলে আসি। এরপর থেকে টিউশানি করে টাকা জমানো শুরু করলাম। এই টাকার লোভেই আমি খালেকের বলা কাজগুলো করেছি। বিশ্বাস করুন স্যার, আমি আমার পরিস্থিতির শিকার হয়েই এসব অজান্তে করেছিলাম। আর আকবর আঙ্কেলকে খালেকের কথায় খারাপ ভেবেছিলাম।’
সজীবের করুণাময় কথায় বিশ্বাস হলো, আবার খারাপও লাগল।
‘ওহ্, এই কথা?’ ওর প্রতি মায়া জাগায় তুমিতে চলে এলাম, ‘তুমি খালেকের মালিককে চেনো?’
‘না স্যার, চিনি না। তিনি কাজগুলো খালেকের মাধ্যমেই আমার মাধ্যমে করিয়েছেন।’
‘তুমি আকবর সাহেবকে নিয়ে কোন রাস্তা দিয়ে গিয়েছিলে?’
‘যে রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়, তাঁকে সে রাস্তায় পাওয়া যায়।’
‘খালেক ছেলেটি থাকে কোথায় বা কোথায় কাজ করে এসব কিছু জানো?’ ভাইয়া বলল।
‘না, গ্রামের বাড়ি ছেড়ে এখানে চলে আসার পর আমার আর ওর সাথে দেখা হয়নি। যেদিন দেখা হয়েছে, সেদিন জানতে পেলাম, ও এই শহরে কাজ করে। এরপর থেকে কেবল দুই-তিনবারই দেখা হয়েছে। তাও ওসব কাজের ব্যাপারে। আঙ্কেলের মৃত্যুর পর ওকে অনেক ফোন করেছি কিন্তু ওর মোবাইল বন্ধ।’
‘তাহলে এসবে সে তার মালিকের সাথে মিলে আছে।’
‘মোটেও না। ও অনেক ভালো। আমরা একসাথেই বড় হয়েছি। সে এমন খারাপ কাজ করতেই পারে না। ও নিশ্চয় কোনো চাপে এসে এসব করেছে।’
‘হতেও পারে।’ ভাইয়া বলল, ‘তোমার কাছে খালেকের কোনো ছবি আছে?’
‘এখনকার তো কোনো ছবি নেই। তবে আমার কিছু স্কুলের ছবির মধ্যে ওর ছবিও আছে। এখন অবশ্য সে লম্বা হয়েছে। কিন্তু চেহারা প্রায় আগের মতই আছে। দেখলেই চিনতে পারবেন।’
‘ঠিক আছে, ওর ছবি আমাদেরকে দিও আর ওর গ্রামের এড্রেসটিসহ।’
‘ঠিক আছে, কালকে আমার সাথে বাজারে দেখা করবেন। আমি দিয়ে যাব। এখন আমার একটা টিউশানি আছে ওখানে যেতে হবে। প্লিজ স্যার, আমাকে যেতে দিন।’
‘ঠিক আছে।’ ভাইয়া বলল, ‘যাও, কাল দেখা হবে।’
‘আসি, আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।’
সজীব যাওয়ার জন্য যখন পা বাড়ায়, তখনই ভাইয়া হঠাৎ বলে উঠল, সজীব, দাঁড়াও।
সজীবকে ভাইয়া একটি মানিব্যাগ দেয়, ‘তোমার মানিব্যাগটা তো নিয়ে যাও?’
সজীব মানিব্যাগ নিয়ে হতভম্ব হয়ে ভাইয়ার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকল। কী বুঝে যেন কিছু না বলেই সে চলে যায়।
আমরা খাওয়া দাওয়া সেরে সোফায় এসে বসলাম। ভাইয়া বলে উঠল, ‘অনেকদিন পর কোনো একটা ক্লু পেয়েছি। বাকি কাজ কাল খালেক ব্যাটার কাছে পৌঁছার পর।’
‘হু, কিন্তু এই খালেককেই কোথায় খোঁজে পাব বুঝছি না। ও এখন কোথায় তা সজীবও জানে না। আর এখন খালেকের তার গ্রামে থাকার সম্পূর্ণ নিশ্চয়তাও দেওয়া যায় না।’
‘খালেককেও পেয়ে যাব। চিন্তা করিস না। ওকে পেলেই অনেক কিছু জানতে পাব।’
ভাইয়ার সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ একটা কাজের কথা মনে পড়ল। ভাইয়ার কাছে কিছু টাকা খুঁজলাম। কিন্তু কী কারণে এতো টাকা নিচ্ছি, তা তাকে বলিনি। তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে পড়লাম।
রাতে আমি ভাইয়ার রুমে গিয়ে বসি। সে এতক্ষণ হয়তো ফোনে নাদিয়া ভাবীর সাথে কথা বলছিল।
ভাইয়া বলল, ‘এসেছিস তুই? এতক্ষণ মার্কেটে কী কেনাকাটা করেছিলি শুনি?’
‘আরে তেমন কিছু না। বাদ দে ওসব। আমি একটা কথা এখনো বুঝতে পারছি না। তুই তো সজীবকে চিনতি না। তাহলে ওকে ধরলি কীভাবে?’
‘চিনতাম না। আমি যখন কেনাকাটা করে ফিরছিলাম, তখন আমার পাশ দিয়ে স্কুল পড়ুয়া দুটো ছেলে যাচ্ছিল। একজন অন্যজনকে বলছিল, “সজিব স্যারের সাথে এখন মার্কেটে দেখা হয়েছে। স্যার বলেছেন কালকে তিনি প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। আজ দুপুরেই পড়াবেন।”
আমি তখন মুখে সজীবের নামে বিড়বিড় করতে লাগলাম। হঠাৎ মনে পড়ল, আমরা যে সজীবের সন্ধান করছি, সেও টিউশানি করে। তাহলে এই সজীব সে নয়তো? ভাবতে ভাবতে আমি ছেলেগুলোর কাছে গেলাম। ওখান থেকে যে ছেলেটির সাথে সজীবের দেখা হয়েছিল, সে ছেলেটি সজীবকে দেখিয়ে দিয়েছে। ওকে দেখতেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ সজীবের চেহারাটা কোথাও যেন দেখেছি বলে বোধ হয়েছিল। তৎক্ষণাৎ মনে পড়েছে, সেদিন আমি আজাদ আঙ্কেলের বাড়ির ভেতর ঢোকার সময় আমার সাথে নীল শার্ট পরে থাকা সজীবই ধাক্কা খেয়েছিল। সজীব এতো তাড়ায় বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল যে, ধাক্কা খাওয়ার পর আমার দিকে সে ফিরেও তাকায়নি। আমিও ওই ঘটনাকে তখন বড় করে দেখিনি। এরপর আমার বুঝতে দেরি হয়নি, এই সেই সজীব যাকে আমরা খুঁজছি। ও যখন কেনাকাটা করছিল, তখন আমি ওর অজান্তেই ওর পকেট থেকে মানিব্যাগটা আলতো করে নিয়ে নিই। ওর পাশে আমি দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করার ভান করলাম। ইতোমধ্যে লক্ষ করলাম, সে দোকানিকে টাকা দেওয়ার জন্য পকেট হাতরাচ্ছে। তখন আমি ওকে বললাম, “ভাই, কোনো সমস্যা হয়েছে কি?”
উত্তরে সজীব বলল, “আমার মানিব্যাগটা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। এখন আমি দোকানিকে টাকা কী করে দেব? নিজে বাসায় কীভাবে পৌঁছাব?”
“টেনশন কিসের? আমি দিচ্ছি টাকা।” টাকা দিয়ে ওর সাথে বন্ধুত্ব করলাম। ওকে জানালাম আমার সাথে কেউ থাকে না এবং ওকে বাড়িতে আসার জন্য জোর করলাম। এই অজুহাতে ওকে এখানে নিয়ে আসি।’
‘ভাইয়া, তুই জিনিয়াস। এবার বুঝলাম তোকে জাকির স্যার কেন এতো বিশ্বাস করেন।’
‘আচ্ছা রাত অনেক হয়েছে। এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।’
‘ঠিক আছে।’ নিজ রুমে এসে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
(চলবে…!)
লেখা: ফারিয়া কাউছার