পরী পর্ব ৪
পরদিন সকাল নাস্তা করে আমরা আজাদ সাহেবের বাসায় চলে এলাম। আজাদ সাহেব ভাইয়ার সাথে কথা বলছেন। কিছুদূর সোফায় ইভা মুখ মলিন করে বসে আছে। আমি ওর কাছে গেলাম।
‘হাই ইভা, আমি আবির। চেন নিশ্চয়?’
‘জ্বি, বসুন এখানে।’
ওর পাশের সোফায় গিয়ে বসলাম। এখানে সাবিলা নেই।
‘কিছু বলার ছিল?’
‘জ্বি, আসলে আমি আপনার বাবার কেস-এ আমার ভাইয়া আরিয়ানের সাহায্য করতে এসেছি। কিছু প্রশ্ন করব আপনাকে। কাইন্ডলি আপনি যা জানেন তা আমাকে বলবেন।’
‘ওকে, আপনি কী জানতে চান?’
‘আপনার বাবার আত্মীয় যারা এখানে উপস্থিত আছেন বা নেই, আমি সবার সম্বন্ধে জানতে চাই।’
‘বাড়ির সবাই এখানেই আছে।’ ইভা একেক করে সবাইকে চিনিয়ে দিতে লাগল। সবার স্বভাবের সম্বন্ধেও বলল। কিন্তু কারো উপর সন্দেহ হচ্ছে না। অবশ্য খুনিদের অনেক সময় একটা বহিরাবরণ থাকে। জানতে পেলাম, সাবিলারা এখানে মাঝের মধ্যেই আসে। সাবিলার আপু রিয়া আর আজাদ সাহেবের বিয়ের কথাবার্তা অনেক আগে হয়েছে। কিন্তু বিয়ে আরও কিছুদিন পর। কিছুদূর একপাশে চেয়ারে একটি ছেলে বসে আছে। সে ইভার ফুফাতো ভাই, রবিন। সেদিনের নীল শার্ট পরিহিত ছেলেটিকে রবিনই ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। ইভা তার ফুফু আর ফুফাতো বোনকেও চিনিয়ে দিয়েছে। এরপর সাবিলার মাকে দেখাল। বাবা নাকি বাসায়। এছাড়া তাদের আর তেমন আপন কেউ নেই।
‘কারো সাথেই কি আপনার বাবার শত্রুতামি ছিল না?’
‘না, আমার মনে হয় না। আমার বাবা অনেক ভালো একজন মানুষ ছিলেন। আমাকে এক এতিমখানা থেকে এনে নিজের মেয়ের মতো করে লালনপালন করেছেন, শিক্ষিত করেছেন। আমার বাবা বলেছিলেন আমি বিয়ে করব না। তোকে নিয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেব।’
ইভার চোখ ভিজে এলো।
‘দুঃখিত, আপনাকে কষ্ট দিলাম। কেবল আরেকটা কথাই জানতে চাই।’
‘জ্বি, বলুন।’
‘সাবিলা মেয়েটি কেমন? আমরা কিন্তু সন্দেহের বাইরে কাউকেই রাখতে পারি না।’
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
‘ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের মতো। খুব ভালো একটি মেয়ে। ও আসলে রিয়া আপুর নিজের বোন নয়। ওর রক্তের সম্পর্কের কেউ নেই এই পৃথিবীতে। ওর যখন আট বছর, তখন রিয়া আপুর আব্বু ওকে নিজ ঘরে নিয়ে আসেন।’ স্বর নিচু করে ইভা বলল, ‘রিয়া আপুরা কেউ ওকে পছন্দ করেন না। ওকে কেবল তাদের স্বার্থের জন্য রেখেছে। ঘরের কাজকাম করানোর জন্য। রিয়া আপুর আব্বু একটু দয়ালু বলে ও লেখাপড়া করতে পেরেছে। আর রিয়া আপু টাকার লোভেই বড়চাচুকে বিয়ে করার জন্য রাজি হয়েছে। কিছু মনে করবেন না, রিয়া আপু অল্পবয়সী হওয়ায় তাকে আপু বলে সম্বোধন করি। আবার এতে কারো আপত্তি নেই।’
মনে মনে আপসোস করলাম। ইশ, আমি সাবিলাকে খামখা সন্দেহ করেছি।
‘সেদিন সকালে আমি একটা নীল শার্ট পরা ছেলেকে দেখেছিলাম রবিনের সাথে। ছেলেটির সম্বন্ধে কি কিছু জানেন?’
‘নীল শার্ট? ওহ, আচ্ছা। সজীব ভাইয়ার কথা বলছেন? তিনি রবিন ভাইয়ার ফ্রেন্ড। এখানে মাঝের মধ্যে বা কোনো ধরনের ফাংশন হলে আসেন।’
‘আচ্ছা.. এখন তাহলে উঠি। ইভা, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এসব তথ্য দেওয়ার জন্য।’
আমি রবিনের কাছে গেলাম। তার পাশে চেয়ার পেতে বসলাম। ভাইয়াও এসে বসল।
‘শুনেছি,’ রবিনকে উদ্দেশ্য করে বললাম, ‘তুমি আকবর সাহেবের ভাগিনা। তোমার কাছে কিছু কথা জানতে এসেছি।’
‘জ্বি, বলুন।’
‘ইভার বার্থডে পার্টিতে কে কে ছিল সেরাতে?’
‘আমি জানি না। আমি ওখানে ছিলাম না।’
‘তুমি ছিলে না মানে?’ ভাইয়া বলল,আমি তো শুনেছি পার্টির আয়োজন তুমি নিজেই করেছিলে।’
‘হ্যাঁ, করছিলাম ঠিক। কিন্তু আমি ওখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি মেহমানের জন্য চেয়ার আনতে স্টোর রুমে গিয়েছিলাম। তখন কে যেন খেয়াল না করে দরজা বেঁধে চলে গেছে। আমি সারারাত ওখানেই ছিলাম। অনেক চিৎকার করেছি। স্টোর রুমটার ওদিকে কেউ থাকে না। তাই হয়তো কেউ আওয়াজ পায়নি। সকালে সবার কান্নায় ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার একটু পর এখানের কাজের মেয়েটি চেয়ার নিতে গিয়ে দরজা খুলেছে। এরপরই আমি জানতে পেলাম মামার মৃত্যু হয়েছে। আমি তখন সে ব্যাপারে মত্ত হয়ে যাওয়ায় এসব কথা কাউকে বলিনি।’
‘তাহলে,’ ভাইয়া বলল, ‘তোমাকে কেউ সারারাত স্টোর রুমে বন্দি করে রেখেছে?’
‘না, হয়তো কেউ ভুলে দরজা বেঁধে দিয়েছে।’
‘হতেও পারে। তো ইভার বার্থডে পার্টিতে তুমি কাকে কাকে ইনভাইট করেছিলে?’
‘আমার কয়েকটা কাজিন আর একটা ফ্রেন্ডকে।’
‘তোমার ফ্রেন্ড সজিবকে। তাইতো?’
‘জ্বি।’
‘সজীব কেমন স্বভাবের ছেলে? কোথায় থাকে? কী করে?’
‘ও বন্ধু হিসেবে চমৎকার। ওর সাথে কয়েকদিন আগে ফ্রেন্ডশিপ হয়েছিল। আর ও কোথায় থাকে তা আমাকে এখনও বলেনি। ও ছাড়া আমার বর্তমানে কোনো বন্ধু নেই। তাই ওকে পার্টিতে ইনভাইট করেছিলাম।’
‘আকবর সাহেবের মৃত্যুর পর ও এখানে কি একবারও এসেছে?’
‘না, সেদিন চলে যাওয়ার পর সজীব আর আসেনি।’
‘সজীবের সাথে যোগাযোগ করতে পারব এমন কোনো কিছু আছে তোমার? ফোন নাম্বার বা অন্য কিছু?’
‘জ্বি, ওর ফোন নাম্বার আছে।’
‘তুমি.. একটা কল দিয়ে দেখ ওই নাম্বারে।’
রবিন সজীবকে ফোন দিয়েছে। কিন্তু সংযোগ যাচ্ছে না। তবু এই নাম্বার কাজে আসতে পারে ভেবে নিয়ে নিলাম।
ভাইয়া রবিনকে জিজ্ঞেস করল, ‘ছেলেটির কোনো ছবি আছে তোমার কাছে?’
‘নেই। ওর সাথে সবেমাত্র বন্ধুত্ব হয়েছে।’
‘সমস্যা নেই।’ ভাইয়াকে বললাম, ‘তুই না চিনলেও সজীবকে আমি তো চিনিই।’ রবিনকে বললাম, ‘ওর সম্বন্ধে কি কোনো ইনফরমেশনই দিতে পারবে না?’
‘ওর সম্বন্ধে এইটুকু জানি, ও নাকি গ্রামের বাড়ি থেকে এখানে পড়াশোনার জন্য এসেছে। এখানে কিছু স্টুডেন্টদের টিউশানি করিয়ে ইনকাম করে। আর তেমন কিছু বলেনি। হ্যাঁ, একবার বলেছিল ওর নাকি এখানে একটা সরকারি কলেজে পড়ার অনেক ইচ্ছা। এসব ছাড়া আপনাদের বলার মতো কোনো কিছু নেই।’
‘আর এখানে কি আশেপাশে কোনো সরকারি কলেজ আছে?’
‘হ্যাঁ, একটি আছে।’
‘তাহলে ওটার ঠিকানা দাও।’
আমরা এই জায়গায় নতুন বিধায় কিছুই চিনি না। তাই কলেজের এড্রেসটি রবিনের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে লিখে নিলাম। তারপর রবিনকে বিদায় দিয়ে বেরুলাম। দুপুরের সময় বাসায় এলে ভাইয়া রান্না করতে চলে যায়। আমি বসে রইলাম। এমন সময় ভাইয়া চিৎকার করে ডাকল, আবির.. আবির..
ওহ্হো, এখন আবার কেন ডাকছে? বিরক্ত হয়ে রান্নাঘরে গেলাম। ভাইয়া চোখ বড় বড় করে আমার দিকে চেয়ে আছে। চোখে তার বিস্ময় খেলছে।
‘কী হয়েছে? ডাকলি কেন?’
‘ওইদিকে..’ ওর কথা যেন জড়িয়ে আসছে, ‘ওইদিকে দেখ আবির, খাবার আগে থেকেই রান্না করা আছে।’
‘কী? এটা কী করে সম্ভব? আমরা তো দরজায় তালা লাগিয়ে গিয়েছিলাম। কে ঢুকবে এখানে?’
‘তাই তো বুঝতে পারছি না। আমার স্পষ্ট মনে আছে, আমি রান্না করে যাইনি।’
‘আর আমিও রান্না করিনি। তুই তো জানিস আমি খাবারে লবণ কম দিই। দিতেই জানি না।’
‘এসব কী হচ্ছে কিছুই বুঝছি না। আচ্ছা, ওই আত্মাটা করেনি তো এসব? ওটা ছাড়া তো এখানে আর কেউ নেই।’
‘কি যে গোলমাল!’ ভয়টা লুকানোর চেষ্টা করলাম, ‘প্রথমে একটা আত্মা তোকে মারার চেষ্টা করেছে। এরপর উপরে ঝুলানো হাতপাখাগুলোর আপনিই বাতাস করার ব্যাপারটা। আর এখন কে যেন আমাদের জন্য রান্না করে রেখেছে। এসব দ্বারা কী বুঝায়?’
‘আমার মন বলছে, এই বাড়িটির কোনো রহস্য আছে। আর হয়তো আত্মাটা আমাদের আর ক্ষতি করবে না। আচ্ছা, উপরের তালাবন্ধ রুমটা খুলে দেখলে কেমন হয়? হয়তো ওখানে কিছু একটা পেয়ে যেতে পারি।’
‘তোর মাথা ঠিক আছে তো? মনে নেই, সাবিলা তালাবন্ধ রুমগুলোর আশেপাশে থাকতে নিষেধ করেছিল?’
‘সাবিলা তো ওই রুমে দুইরাত থেকেও ফেলেছে। ওর তো কিছু হয়নি। আর তাছাড়া আমাকে আর আকবর সাহেবকে ওই আত্মাটা ঘরে ঢুকতেই যে তালাবন্ধ রুমটি আছে, তাতে ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে। উপরের তলার রুমটিতে তো আর কিছু করেনি। আমি সেদিন তোর ছদ্মবেশের পেছনে যাওয়ার পর আশেপাশে একটু খেয়াল করেছিলাম। ওখানে ইট, বালির বস্তা, কয়েকটা কাঠ ছাড়া আর তেমন কিছু ছিল না। রুমটিতে কোনো কিছু পাব বলে মনে হচ্ছে না। আমরা বরং উপরের তালাবন্ধ রুমটাতে ঢুকে দেখি। কী বলিস?’
‘আমাদের এখন এই বাড়ির রহস্য না খোঁজে আগে আকবর সাহেবের খুনিকে খুঁজলে ভালো হয়। এখানের রহস্য পরেও জানা যাবে। কিন্তু এখন আকবর সাহেবের খুনিকে খোঁজা বেশ জরুরি।’
‘তাও ঠিক। তবে আমি চাই, এখানের আত্মাটা মুক্ত হোক। না জানি কয় বছর যাবৎ এখানে আটকে আছে। আমি অনেক ভৌতিক বিষয়ে পড়েছিলাম। কোনো মানুষকে খুন করা হলে তার অতৃপ্ত আত্মা নাকি রয়ে যায়। আমার এসব কাল্পনিক মনে হয়। কিন্তু এসব সত্য হয় কিনা তা দেখার বাকি। আমরা কেসটা সামলাতেই এই বাড়ির রহস্য উদঘাটন করব।’
‘ঠিক আছে, তাই হবে। চল খাবার খেয়ে নিই।’
পরদিন সকালে সাবিলা এলো। ওর সাথে অনেক কথাবার্তা হয়। আমি আর ভাইয়া রবিনের দেওয়া অ্যাড্রেস অনুসারে কলেজটিতে যাওয়ার কথা ভাবলাম। সাবিলাও যেতে চাইল। ওকে নিষেধ করতে পারলাম না। মেয়েটি হয়তো তেমন কোনোদিকে যাওয়ার সুযোগ পায় না। তাই সাথে নিয়ে চললাম।
কলেজে সজীব নামের কেউ এডমিশন নেয়নি। বুঝছি না, ছেলেটিকে কোথায় পাব। কিন্তু মন বলছে, সে কলেজের আশেপাশেই থাকে। ভাইয়া বলল, ‘সজিবের তো খোঁজ-খবর পেলাম না। এখানে যখন এসে পড়েছি, আমি কিছু কেনাকাটা করে আসি।’
‘ঠিক আছে, যা। তোর সাথে একেবারে বাসায় দেখা হবে।’
সায় দিয়ে ভাইয়া চলে গেল।
সাবিলাকে বললাম, ‘একটা জায়গায় যাবে?’
‘কোন জায়গায়?’
‘আরে চল তো।’
ওকে আর কিছু বলতে না দিয়ে একটা শপিং মলে নিয়ে গেলাম। ও প্রথমে যেতে চায়নি। আমার জোরাজুরিতে শেষ পর্যায়ে গিয়েছে। সাবিলা মলের চারিদিক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে। মনে হচ্ছে, ও জীবনে এই প্রথম কোনো শপিং মলে এসেছে। চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে ওকে অনেক কিছু কিনে দিলাম। মলের বাইরে এসে যখন বাইক স্টার্ট দিই, তখন ওকে বললাম, ‘সাবিলা তোমার সব পছন্দ হয়েছে তো?’
পেছন থেকে তার কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছি না। পেছনে ফিরে তাকালাম। সাবিলা একদৃষ্টিতে কিছুদূরের একটা শোরুমের দিকে তাকিয়ে আছে। লেডিস সাইকেলের শোরুম। এখান থেকেই গ্লাসের অপর পাশের সাজানো একটি পিংক সাইকেল দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত ওটাই দেখছে। আমি আবার ডাক দিলাম, ‘সাবিলা..’
ইতস্ততভাবে সাবিলা আমার দিকে ফিরে সায় দেয়।
‘বাইকে উঠবে না? চল।’
‘ওহ্ হ্যাঁ, চলো। এদিক-ওদিক দেখছিলাম তো! বুঝতে পারিনি বাইক স্টার্ট দিয়েছ।’
আমি মুচকি হাসি হাসলাম। সাবিলা এতক্ষণ কোনদিকে তাকিয়ে ছিল তা আমার জানা আছে। তবে তা ওকে বুঝতে দিইনি। যাই হোক, নানা ধরনের চিন্তা করতে করতে বাসার দিকে রওনা দিই।
বাইক চলন্ত অবস্থায় সাবিলা বলল, ‘আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে। মা বকুনি দেবে। আমি তোমাদের বাসায় যাব না। তুমি যদি আমাকে আমাদের বাসায় দিয়ে আসো, তবে ভালো হবে।’
‘তোমরা তোমাদের বাসায় কবে গিয়েছ?’
‘এইতো আজ সকালে। আঙ্কেলদের বাসা থেকে একটু দূরে।’
‘ওহ্ আচ্ছা। এখানে আসতে কি অসুবিধা হবে?’
‘হবে। তবে আমি এখানে প্রতিদিন আসতে চাই। তাই আসব।’
‘ঠিক আছে।’
সাবিলার নির্দেশনায় ওকে ওর বাসায় দিয়ে এলাম। আন্টির সাথেও দেখা হলো। একটা বিষয় খেয়াল করলাম, সাবিলা যে আমার সাথে সময় কাটায় তাতে তাঁর কোনো আপত্তি নেই। সাবিলা আমার সাথে মিশলে তাঁরই লাভ, হয়তো এই ভেবে। যাইহোক, আপত্তি না থাকলেই ভালো। আমাদের বন্ধুত্বে বাধা সৃষ্টি হবে না।
পরিশেষে নিজ বাসার দিকে রওনা দিলাম। এসে দেখি ভাইয়া এখনও আসেনি। এতক্ষণে তো চলে আসার কথা! আমি সাবিলাকে শপিং করিয়ে দিলাম, ওকে ওর বাসায় দিয়েও এলাম। এখনও ভাইয়া কেনাকাটা সেরে আসতে পারল না!
(চলবে..!)
লেখা: ফারিয়া কাউছার