#নীল_ক্যানভাস
#লেখিকা:#তানজিল_মীম
— পর্বঃ১০
“ভয়ে কাচুমাচু হয়ে তাকিয়ে আছে শুভ্রতা আয়ুশের দিকে!’সে বুঝতে পারছে না বার বার কেন হুট করে এতটা কাছে চলে যায় সে আয়ুশের!’বুকের ধুকপুকানি বেড়ে গেছে অনেক আগেই,শ্বাস আঁটকে আসার উপক্রম শুভ্রতার!’কথা বলার সাহস পাচ্ছে না সে না জানি আয়ুশ কতটা রেগে গেছে তার ওপর!’নানা কিছু মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে শুভ্রতার!’শুভ্রতার ভাবনার মাঝখানে বলে উঠল আয়ুশঃ
—“কি ব্যাপার মিস চাশমিশ এভাবেই থাকবেন নাকি..?’
“সাথে সাথে চমকে উঠলো শুভ্রতা!’ছিঃ ছিঃ না জানি আয়ুশ তাকে কি ভাবলো, “নিজের ভাবনায় এতটাই মগ্ন ছিল শুভ্রতা, সে যে আয়ুশের উপর থেকে এখনও উঠে নি তা মাথা থেকে একদমই বেরিয়ে গেছে তার!’চটজলদি শুভ্রতা উঠে পড়লো আয়ুশের উপর থেকে তারপর শীতল মেশানো কন্ঠে বলে উঠলঃ
—“সরি আসলে…
—“কিছু বলতে হবে না,শুধু এটা বলো চোখে তো চশমা পড়েছো তারপরও চোখে দেখো না…
“আয়ুশের কথা শুনে চোখের চশমাটা হাত দিয়ে ঠিক করলো শুভ্রতা তারপর বললোঃ
—“ইয়ে না মানে চোখে দেখি নি এমনটা নয় লাইব্রেরিতে ঢুকতে গিয়েই হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছি আর কি..?’
“রীতিমতো ঘেমে একাকার হয়ে গেছে শুভ্রতা,ভয়ে হাত পা কাঁপছে তার!’আয়ুশ শুভ্রতার অবস্থা বুঝতে পেরে বেশি কিছু না বলে শুধু বললোঃ
—“ঠিক আছে ঠিক আছে আর কিছু বলতে হবে না তোমায়…
“এতটুকু বলে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াতে নিলো আয়ুশ!’কিন্তু না উঠতে পারছে না আয়ুশ কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে সে!’আর বেশি চেষ্টা চালালো না আয়ুশ চুপটি করে বসে রইলো কিছুক্ষন..
“আয়ুশকে উঠতে না দেখে বুঝতে পেরেছে শুভ্রতা আয়ুশ কোমড়ে ব্যাথা পেয়েছে খুব!’শুভ্রতা আস্তে আস্তে গিয়ে বসলো আয়ুশের সামনে তারপর হাত কচলাতে কচলাতে বললোঃ
—“খুব লেগেছে তাই না…
“উওরে আয়ুশ শুধু তাকায় শুভ্রতার দিকে!”আয়ুশের চাহনী দেখে শুভ্রতা হাল্কা ভয় পেয়ে যায়!” নিজেই নিজেকে বলে উঠলঃ
—“ধুর!’এই লাইব্রেরিটা একটু ভালো না যখনই আসি তখনই বিপদে পড়তে হয় কাল থেকে আর আসমুই না,কিন্তু এখন কি করি…(মনে মনে)
“বেশি কিছু না ভেবে শুভ্রতা আয়ুশের হাত ধরে বললোঃ
—“আমি হেল্প করি উঠতে…
“আয়ুশ কিছুক্ষন ভেবে মাথা নাড়ায়!’তারপর আস্তে আস্তে আয়ুশের হাত ধরে বসা থেকে উঠে দাঁড় করায় শুভ্রতা তারপর আস্তে আস্তে আয়ুশকে বসিয়ে দেয় সে লাইব্রেরিতে থাকা একটা চেয়ারের!’আয়ুশ কোমড়ে ব্যাথা পাচ্ছে তারপরও যথাসম্ভব ব্যাথা নিয়ে চুপটি করে বসে রইলো আয়ুশ!’আয়ুশকে বসিয়ে আস্তে আস্তে নিচে পড়ে থাকা সব বইগুলো একটা একটা করে গোছাতে লাগলো শুভ্রতা!’
“আর আয়ুশ শুধু তাকিয়ে রইল শুভ্রতার মুখের দিকে!’আজকে শুভ্রতা একটা মিষ্টি কালার জর্জেট থ্রি-পিচ পড়ে এসেছে চুলগুলো আজও খুলে দিয়েছে, চোখে মুখে হাল্কা মেকাপ দিয়েছিল কিন্তু বর্তমানে তা নেই,কোমড়ে ওড়না বেঁধে,পিছনের চুলগুলোকে খোঁপা করে নিচে বসে বই উঠাচ্ছে শুভ্রতা আর আয়ুশ মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে শুভ্রতার দিকে!’আয়ুশের ইচ্ছে করছে দৌড়ে গিয়ে শুভ্রতার চোখের চশমাটা খুলে ফেলতে আর ওর চোখের মায়ায় আটকাতে,কিন্তু সেটা আপাতত পসিবল নয়!’তাই নিজের ইচ্ছেটাকে নিজের মধ্যে দমিয়ে রেখে চুপটি করে বসে রইলো সে!’শুভ্রতার কপালের সামনে এসে পড়া ছোট ছোট চুলগুলোর জন্য আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগছে তাকে,আনমনেই হেঁসে উঠলো আয়ুশ!’
“কিছুক্ষনের মধ্যেই….
“সব বইগুলো গুছিয়ে রাখলো শুভ্রতা টেবিলে উপর রাখলো তারপর বললোঃ
—“সব তো গুছিয়ে রেখেছি কিন্তু ওনাকে নিয়ে বাহিরে যাবো কিভাবে?’
“শুভ্রতার চিন্তিত মুখ দেখে বলে উঠল আয়ুশঃ
—“চিন্তা করো না আমি তানভীরকে মেসেজ করে দিয়েছে ওহ আমায় নিয়ে যাবে!”
“আয়ুশের কথা শুনে সস্থির নিশ্বাস ফেললো শুভ্রতা!’তারপর বাঁধা খোঁপাটা খুলে ফেললো সাথে ওড়নাটাও ঠিক মতো পড়ে নিলো,তারপর জোরে শ্বাস ফেলে কিছুক্ষন চুপটি করে দাঁড়িয়ে রইলো!’
“দু’মিনিট পর শুভ্রতা নিজেকে স্বাভাবিক করে সামনে এসে দাঁড়ালো আয়ুশের তারপর মিনমিন কন্ঠে বললো সেঃ
—“সরি,আমার জন্য আপনার সমস্যা হচ্ছে বার বার…
—“ইট’স ওকে!’
—“বাসায় গিয়ে মলম লাগিয়ে নিয়েন…
“শুভ্রতার কথা শুনে হাল্কা হাসলো আয়ুশ!’এমন সময় রুমে ঢুকলো তানভীর,কিছুটা বিস্মিত কন্ঠে বললো সেঃ
—“কি হয়েছে তোর আয়ুশ?’
“তানভীরের কন্ঠ শুনে আয়ুশ শুভ্রতা দুজনেই তাকালো তানভীরের দিকে!’আয়ুশ তানভীরকে দেখে বললোঃ
—“তেমন কিছু নয়,আমায় একটু বাহিরে বের করতে হবে তোকে…
“আয়ুশের কথা শুনে অবাক হয়ে বললো তানভীরঃ
—“কি,কেন…
—“কাছে আয় বলছি,,
“আয়ুশের কথা শুনে তানভীরও ছুটে আসলো আয়ুশের কাছে!’তারপর আয়ুশ তার সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা বললো’!!শুভ্রতা মাথা নিচু করে শুধু দাঁড়িয়ে ছিল আয়ুশের পাশে!’তানভীর একবার আয়ুশ আর একবার শুভ্রতা দিকে তাকিয়ে উচ্চ স্বরে হেঁসে দিল!’তানভীরের কান্ড দেখে বলে উঠল আয়ুশঃ
—“তুই হাসছিস…
—“হাসবো না তো কি করবো বল তোদের দুজনের সাথে যখনই এই লাইব্রেরিতে দেখা হয় ততক্ষণই বিপদে পরিস,,একবার লাইব্রেরির দরজা আঁটকে রাতভর একসাথে থেকে,আর এক নয় লাইব্রেরি ঢুকতে গিয়ে কোমড় ভেঙে ফেলা,তবেই যাই বলিস তোদের কেমিস্ট্রিটা কিন্তু একদমই ভিন্ন,,
“বলতে বলতে আবারো হেঁসে উঠলো তানভীর!’
“তানভীরের কথা শুনে আয়ুশ একবার তাকালো শুভ্রতার দিকে,না জানি তানভীরের মুখে এসব শুনে কি রিয়েকশন দেয় ও,কিন্তু না শুভ্রতা তেমন কোনো রিয়েকশন দিলো সে তো মাথা নিচু করে হাত কচলাচ্ছে!”আয়ুশ হাল্কা শ্বাস ফেলে বলে উঠল তানভীরকেঃ
—“ওই তুই কি এখানে মজা নিতে এসেছিস নাকি আমায় নিয়ে যেতে…
—“সরি দোস্ত চল যাই…
—“হুম!’
“তারপর আয়ুশ তানভীরকে নিয়ে বেরিয়ে যায় লাইব্রেরি থেকে!’অবশ্য যাওয়ার আগে একবার তাকিয়ে ছিল আয়ুশ শুভ্রতার দিকে!’শুভ্রতাও তাকিয়ে ছিল আয়ুশের যাওয়ার পানে…
“আয়ুশ বেরোতেই শুভ্রতাও বেরিয়ে যায়!’
আর মেঘলা দিয়া অনেক আগেই চলে গেছে!’
__________
রাত_১০ঃ০০টা…
“নিজের রুমের বিছানায় চুপটি করে শুয়ে আছে শুভ্রতা!’আজকে একটু অন্যরকম লাগছে সবকিছু!’পুরো রুমটাই রাতের জোৎসা ভরা আলোতে আলোকিত হয়ে আছে,জানালার রঙিন পর্দা ভেদ করে বাতাস আসছে শুভ্রতার রুমে,আজকে খুব করে শুভ্রতার আয়ুশের কথা মনে পরছে,চোখের সামনে ভেসে আসছে তার আয়ুশের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে শুভ্রতার ভিতর,
— “আচ্ছা হুট করে আয়ুশের কথা মনে পরছে কেন,তাহলে কি তুই কোনোভাবে আয়ুশকে ভালোবেসে ফেলেছিস শুভ্রতা”–ভাবতেই হকচকিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলো শুভ্রতা,আনমনেই হেঁসে উঠলো সে!’তারপর বিছানা ছেড়ে চলে যায় সে বেলকনির দিকে,সচরাচর এই টাইমে ঘুমে অজ্ঞান হয়ে থাকে শুভ্রতা কারন বেশি রাতে একা রুমে থাকতে ভয় লাগে তার,কিন্তু আজকে সেগুলো কোনো কিছুই মনে নেই শুভ্রতার সে তো তার মতো আয়ুশের ভাবনায় মগ্ন!
“বেলকনির রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা,বাতাসে তার চুলগুলো উড়ছে,চোখ বন্ধ করে ফিল করছে শুভ্রতা বাতাসটাকে,হঠাৎই কপালে কারো ঠোঁটের স্পর্শ পেতে কেঁপে উঠলো শুভ্রতা,, চোখ খুলে সামনে আয়ুশকে দেখে আরো অবাক হয়ে বললো সেঃ
—“আপনি…
—“হুম আমি,,কি এতো ভাবছো বলো তো,ভালোবাসায় আমায়…?’
“আয়ুশের কথা শুনে শুভ্রতা বুঝতে পারছে না কি বলবে সে এটাও বুঝতে পারছে না আয়ুশ এখানে আসলো কি করে’!
“আয়ুশ একটু একটু করে এগিয়ে আসতে লাগলো শুভ্রতার দিকে!’আয়ুশের কাজে ঘাবড়ে যায় শুভ্রতা পিছনে যাবে তারও উপায় নেই!’কিছু বলবে সেটাও পারছে না!’আয়ুশ শুভ্রতার কাছে এসে দাঁড়ালো!’ভয়ে শুভ্রতা তার চোখ বন্ধ করে নিয়েছে’!!শুভ্রতার কাজে আয়ুশ হাল্কা হেঁসে ওর কানের কাছে ঝুঁকে বললোঃ
—“এত ভয় পেলে চলে নাকি “ভিতুরানি”…
“শুভ্রতা চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে চুপটি করে!’শরীর কাঁপছে তার,আচমকা কি হলো চোখ খুলে তাকালো সে,চোখ খুলতেই দেখলো সে তার সামনে কেউ নেই!’চরম অবাক শুভ্রতা তার মানে সে এতক্ষণ জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছিল,,ভাবতেই হেঁসে উঠলো সে’!!তারপর নিজেই নিজের মাথায় একটা চাটি মেরে বলে উঠলঃ
—“তুই তো সত্যি সত্যি পাগল হয়ে গেছিস “শুভ্রতা”…
||
“বেলকনিতে দাঁড়িয়ে তানভীরের সাথে ফোনে কথা বলছে মেঘলা!’হঠাৎই মেঘলা বলে উঠলঃ
—“একটা গান গাও না তানভীর….
—“এখন…
—“এখন নয় তো কখন কতদিন হলো তোমার গান শুনি না…
“মেঘলার কথা শুনে হাল্কা হেঁসে বললো তানভীরঃ
—“ঠিক আছে….
“তারপর তানভীর গান গাইতে শুরু করল আর মেঘলা নীরবে শুনতে লাগলো!’
.
– “বুকের ভিতর কান পেতে শোন
নাকি বলে মন..!’
– “কাছে এলে সুখ খুঁজে পাই,
দূরে গেলে দহন (২)
“এই পৃথিবী ছাড়তে পারি, তোর এক ইশারায়!’
– বাঁচি আমি তোরই মাঝে
তোরই তো ভরসায়, (২)
_________
– “জীবন আমার বদলে গেছে…
তোরই প্রেমেরই ছোয়ায়!’
– যখন তখন যেন আজকাল মন সীমানা ছড়ায়!”(২)
“এই পৃথিবী ছাড়তে পারি, তোর এক ইশারায়!’
– বাঁচি আমি তোরই মাঝে
তোরই তো ভরসায়, (২)
.
“বিছানার উপর বসে হাতে গিটার নিয়ে আনমনেই গাইছে অনিক!’এক অজানা ভালো লাগা কাজ করছে তার ভিতর!’সাথে এক অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে তার!’এমনটা নয় অনিক দিয়াকে পছন্দ করে না,সে তো অনেক আগে থেকেই দিয়াকে ভালোবাসে,আর ভালোবাসে বলেই তো যখন তখন ওর সামনে গিয়ে ওর সাথে ঝগড়া করে!’আজ যখন গাছের আঁড়ালে দাঁড়িয়ে থেকে দিয়ার মুখে শুনলো দিয়াও ভালোবাসে তাকে,শুনতেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় অনিক!’তখন থেকেই মনের কোনে এক ফালি ভালোবাসার রেশ বয়ে গেল তার ভিতর,,
“অন্যদিকে…
“দিয়াও অনিকের কথা কল্পনা করছে বিছানায় শুয়ে শুয়ে!’কেমন কেমন লাগছে সবকিছু তার!’আনমনেই হেসে উঠল দিয়া….
________
– “স্বপ্ন যত জমা আছে সবই তো…
তোকে নিয়ে!’
– “সারাজীবন জুড়ে থাকিস
শুধু আমার হয়ে!’ (২)
“এই পৃথিবী ছাড়তে পারি, তোর এক ইশারায়!’
– বাঁচি আমি তোরই মাঝে
তোরই তো ভরসায়, (২)
.
“পড়ার টেবিলে বসে গানটা গাইছে আয়ুশ!’আর কল্পনা করছে শুভ্রতাকে!”আর শুভ্রতা তার কথা তো আগেই বললাম!’
“এক কথায় আজকের রাতটা এই দুই জুটির কাটবে ভালোবাসার প্রথম অনুভূতি নিয়ে!’আর মেঘলা তানভীরের বিচ্ছেদের রেশ কাটিয়ে নতুনভাবে সবকিছু শুরু করার আনন্দ নিয়ে!’
||
– “বুকের ভিতর কান পেতে শোন
নাকি বলে মন..!’
– “কাছে এলে সুখ খুঁজে পাই,
দূরে গেলে দহন (২)
“এই পৃথিবী ছাড়তে পারি, তোর এক ইশারায়!’
– বাঁচি আমি তোরই মাঝে
তোরই তো ভরসায়, (২)
.
“অবশেষে শেষের লাইনগুলো গেয়ে গান শেষ করলো তানভীর!’আর মেঘলা চোখ বন্ধ করে তানভীরের গান শুনতে শুনতেই ঘুমিয়ে পরলো!’মেঘলা ঘুমিয়ে পরেছে বুঝতে পেরে তানভীরও ফোনটা না কেটেই ওইভাবেই বিছানায় শুয়ে পরলো,,,
_________________________________________
______________________
“মাঝখানে কাটলো দু’দিন….
“আজকে দিয়া অনিককে, আর আয়ুশ শুভ্রতাকে প্রপোজ করবে!’অনেক ভেবে দেখলো দুজন নিজের অনুভূতিগুলোকে আর বেশিদিন নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রাখবে না!’দিয়া জানে না তার কথা শুনে অনিক কেমন রিয়েক্ট করবে আর আয়ুশও জানে না তার কথা শুনে শুভ্রতা কেমন রিয়েক্ট করবে!’দুজনের মধ্যেই এক অজানা ভয় কাজ করছে,,
“এতদিন আয়ুশকে মেয়েরা প্রপোজ করতো আর আজ কিনা আয়ুশ নিজেই কাউকে প্রপোজ করতে যাবে ভাবতেই কেমন কেমন লাগছে তার!’
“আর দিয়া তার ক্ষেত্রেও সেইম কেচ!’আজ দিয়ার থেকে মেঘলা আর আয়ুশের থেকে তানভীর আছে ওদের দুজনের সাথে!…
.
“ভার্সিটির পিছনে সেই গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা!’কারন মেঘলা তাকে এখানে রেখে গেছে,,কেউ নাকি তার সাথে দেখা করবে তাই শুভ্রতাও চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে!’হঠাৎই পিছন থেকে বলে উঠল কেউ তাকেঃ
—“মিস চাশমিশ…
“চাশমিশ” নামটা শুনতেই চমকে উঠলো শুভ্রতা!’ তার আর বুঝতে বাকি রইলো না তাকে কে ডেকেছে!’আস্তে আস্তে পিছন ঘুরে তাকালো শুভ্রতা!’পিছনে তাকাতেই…..
.
.
.
|| অন্যদিকে… ||
“ভার্সিটির তিনতলায় একটা ফাঁকা রুমে দাঁড়িয়ে আছে অনিক!’কারন দিয়া তাকে থাকতে বলেছে,কিন্তু দিয়ার আসার কোনো নাম গন্ধ পাচ্ছে না অনিক!’হঠাৎই কারো পায়ের শব্দ পেলো অনিক,পায়ের শব্দেই বুঝে গেছে অনিক দিয়া এসেছে!’অনিক পিছন ঘুরতে নিলেই দিয়া বলে উঠলঃ
—“প্লিজ পিছন ঘুরিস না তাহলে আমি কিছু বলতে পারবো না…
“দিয়ার কথা শুনে অনিকও আর পিছন ঘুরে তাকালো না!’উল্টো দিক ঘুরেই বললো সেঃ
—“কি এমন কথা বলবি আমায় “এলইডি বাল্ব” যে পিছন ঘুরে তাকানো যাবে না…(হেঁসে)
—“দেখ একদম মাথা গরম করাবি না বলে দিলাম “ফাটা টেনিস বল”…
—“ঠিক আছে বাবা বলবো এখন বল…
“দিয়া ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলতে শুরু করলো…
!
!
!
!
!
!
!
!
!
!
#চলবে……….
[ভুল-ত্রুটি ক্ষমতা সাপেক্ষ!”আর গল্প কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে’!!]
#TanjiL_Mim♥️