নীলপরী (সমাপ্তি পর্ব ১৩)

1
1834

নীলপরী (সমাপ্তি পর্ব ১৩)
#শান্তনা_ইসলাম_শান্তা
·
·
·
৬ মাস পর…..

৬ মাস হলো পরী নীলের সাথে আর কথা বলে মা,,নীল ও সেইদিনের পর থেকো পরীর সাথে আর যোগাযোগ করেনি,,, নেহা আর পরী খুব ভালো ফ্রেন্ড হয়ে গেছে,,৷ নেহা পরীকে মাঝে মাঝে ফোন দিয়ে বলে ওদের বাসায় ঘুরতে যেতে বাট পরী নীলের সাথে দেখা হওয়ার ভয়ে যায় না,,৷ কেননা নীলের সামনে পড়লে যদি আবার দুর্বল হয়ে পড়ে,,এসব ভেবে পরী নেহা হাজার নার নলার পরেও যায় না ওদের বাসায়,,তবে নেহার থেকে নীলের সব খোজ খবর রাখে,,,,


পরীকে ঠকানোর জন্য নেহা নীলের সাথে মাঝে মাঝেই ঝগড়া করে,,


পরী এখন অনেক চেন্জ হয়ে গেছে,,নিজেকে বিভিন্ন কাজে৷ বিজি রাখে,,,বাচ্চাদেরকে পড়ানো,,সেলাই কাজ,,,রান্না করা৷ নিজের পড়াশোনা,,নামায কুরআন পড়া নিয়মিত ,,কলেজে ক্লাস করা, প্রাইভেট পড়া,,কম্পিউটার শেখা,,,,প্রতিদিন রেললাইনে নির্জন জায়গায় গিয়ে একা সময় কাটানো,,, সব মিলিয়ে নিজেকে যতোটা পারে ব্যাস্ত রাখে,,,৷ পরী মনে করে কষ্টগুলো ভুলে থাকার এইটা সব থেকে বেস্ট উপায়,,

।নিজেকে এতোটা ব্যাস্ত রাখার পরেও ব্যার্থ হয় পরী,,,কেননা দিন শেষে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় তখন যে বেহায়া মনটা অতিতের স্মৃতিগুলোর ঝড় তুলে,,,তখন যে হাজার চেস্টা করেও নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারে না,,,,চিল্লিয়ে কাদতে ইচ্ছা করে পরীর,,,কিন্তু সেটারো যে উপায় নাই,,, পরীর এসময়টা নিজে বড্ডো একা লাগে,,৷৷

পরী কাদতে কাদতে বলতে থাকে,
,
,
পরীঃঃও গোলাপি আমায় কেনো এতোটা কস্ট দিলে তুমি??আমার কথা কি একটু মনে পড়ে না তোমার???কেনো এতো কস্ট দিলে?? কেন কেন কেন??আমি যে আর পারছিনা,,,
।।পরী ফুপিয়ে কাদতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছে পরীর,,,
।।
পরীর চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়ছে
।,
,
।পরী কাদতে কাদতে ভোরবেলা ঘুমিয়ে যায়,,,

প্রতিটা রাত পরীর এভাবেই কাটতে থাকে,,,

,

,
হঠাত একদিন পরীর ফোনে আননোন নাম্বার থেকে ফোন আসলো,,,

।পরীঃঃ আসসালামুআলাইকুৃম,,কে­­ বলছেন???

।ওপাশ থেকে ছেলে কন্ঠে বলে উঠলো ঃঃআমি পুলিশ,,,আপনার নামতো পরী তাইনা??আপনার বি এফ নীল,, এম আই রাইট??

।পরীঃঃকি বলছেন কি আপনি এসব,, মাথা খারাপ নাকি??

।ঃঃএই মেয়ে তুমি পুলিশের এস আই কে মাথা খারাপ বলছো??তোমার সাহসতো কম না,,,তোমার আর নীলের নামে মামলা করা হয়ছে,,,আমি আসছি তোমার বাসায়


পরী এবারে ভয় পেয়ে যায়,,,ফোনটা কেটে দেয়,,,

বারবার ফোন আসছে পরী ধরেনা,,পরীর টেনশন হতে লাগলো,,সত্যি কি তাহলে

পুলিশ ফোন দিলো?যদি দেয় পরীতো শেষ,

পরী ভাবতে থাকে নীলকে কি একবার ফোন দিবে নাকি,,

পরী নেহাকে ফোন দিতেই পরী নেহাকে সব কথা খুলে বললে নেহা নিজের ফোনটা নীলের কাছে ধরিয়ে দেয়,,,, নীল ফোনটা নিয়ে হ্যালো বলতেই

। কতোদিন পর পরী নীলের আওয়াজ শুনলো,পরীর রিদয়টা ভেঙেচুরে যাচ্ছে,,,

,
পরীঃঃএকি আপনি???

নীলঃঃহুম আমি,, নেহা আমায় ফোনটা দিয়ে চলে গেলো,,কিছু বলবে??

পরী সব কথা নীলকে বললো

নীলঃঃনাম্বারটা বলোতো?? আর আবার ফোন আসলে আমায় জানাবে,, আর ফোন আসলে কথা শুনে দেখবে,,

।পরী নাম্বারটা বললো,

একটু পর ঐ নাম্বার থেকে আবার ফোন আসলো


পরী কিছু বলার আগেই,,ওপাশ থেকে ঃঃ,,প্লিজ প্লিজ প্লিজ ফোনটা কেটেনা,,আমি তোমার বন্ধু আকাশ বলছি,,

।পরীঃঃআকাশ তুমি???এসবের মানে কি???এটা কার নাম্নার???

।আকাশঃঃহুম,,সরি আমি একটু দুস্টুমি করেছি সরি,,এটা আমার নতুন নাম্বার,,,তাই পুলিশ সেজে দুষ্টুমি করলাম

।পরীঃঃছিছিছি আকাশ,,তুমি এটা কি করে করতে পারলে আকাশ??তুমিতো খুব ভালো করে জানতে নীলকে আমি কতোটা ভালোবাসি,,কতোটা দুর্বল আমি,,আমার একমাত্র দুর্বলতা নীল,,আর তার বিষয় নিয়ে তুমি এভাবে মজা করলে?? জানো কতোটা ভয় পেয়ে গেছিলাম???তোমার এই মজার জন্য আজ এতোদিন পর নীলের সাথে কথা বলতে বাধ্য হয়ছি,,,,,জানো কতোটা কস্ট হচ্ছে আমার????

।আকাশঃঃসরি আমার ভুল হয়েছে

।পরীঃঃজুতো মেরে গরুদান??এজন্য নিজের দুর্বলতা কাওকে বলতে হয়না,,,আমাকে আর কখনো ফোন দিবেনা,,, গুড বাই,,বলেই পরী ফোনটা কেটে দিয়ে অফ করে বিছানার ওপর ফেলে দিয়ে,,ফ্লোরে হাটুভাজ করে বসে পড়ে কাদতে লাগলো,,,

।এতোদিন পর নীলের কথা শুনে পরীর ভিষন কস্ট হচ্ছে, অতিতগুলো পরীকে খুব বেশি নাড়া দিচ্ছে,,
।।

আসলে যে ভালোবাসে শুধু সেই উপলব্ধি করতে পারে ভালোবাসার মানুষটা প্রতারনা করলে কতোটা কস্ট লাগে,৷

দুদিন পরী রুম থেকে বের হয়নি,,,,বাসার লোক বারবার ডেকেছে,,পরী বলেছেঃঃআমায় একা থাকতে দাও,,বিরক্ত করলে নিজেকে শেষ করে দিবো,,


বাসার লোক জানে পরী খুব জেদি,,তাই আর কিছু বলেনি,,শুধু পরীকে মা এসে বারবার খেতে ডেকেছে,বাট পরী যায়নি,,,রুম লক করেই রেখেছে,,


পরের দিন সকালে,,পরী হঠাত ওর আম্মার কাছে রান্না ঘরে গিয়ে খেতে দিতে বললো

। পরীর আম্মা মেয়েকে দেখে অবাক,,চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে,,,চুলগুলো এলোমেলো,,অদ্ভুদ লাগছে পরীকে

মাঃঃচেহারার এ কি হাল করেছিস??

পরীঃঃ,খেতে দিবে নাকি আমি চলে যাবো??

।মাঃঃদিচ্ছি,,বাপরে বাপ এতো রাগ দেখাস কেনো??মনে হয়,,আমার পেটে তুই হসনি,, তোর পেটে আমি হয়ছি,,,

।পরীঃঃখেতে দিতে বললাম না????চিল্লিয়ে

।মাঃঃদিচ্ছি দারা,,

।তারপর মা পরীকে প্লেটে ভাত বেড়ে দিলো,,

পরীঃঃশুধু বেড়ে দিলে যে,, খাওয়ায় দাও

।পরীর মা পরীকে খাওয়ায় দিলো,,,পরী খাওয়া শেষ করে,,রুমে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লো,,বিছানার ওপর ফেলে রাখা ফোনটা নিয়ে ফোন অন করতেই দেখলো নেহার ফোন,

পরী ফোন ধরেই

ঃঃহুম নেহা বলো,

।নীলঃঃআমি নেহা না,,

।পরী নীলের আওয়াজ শুনে চুপ হয়ে গেছে,,বুকের ভিতর কেও মনে হচ্ছে হাতুরি পিটাচ্ছে


।নীলঃঃচুপ কেনো??আমার নাম্বার ব্লক করছো কেনো???গত তিনদিন ধরে ফোন করছি,,ধরছোনা কেনো??.
।।পরীঃঃচুপ


নীলঃঃএকবার তোমার রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় আসবে??


পরীঃঃমানে????

।নীলঃঃখুব দেখতে মন চাইছে,,প্লিজ একবার আসো


পরীঃঃআপনি কোথায় আছে,??এসব বলছেন মানে কি??

নীলঃঃআমি তোমার বাসার সামনে,,,তোমায় দেখতে এসেছি

।পরীঃঃসরি মাফ করবেন,,,আমি কারো সাথে দেখা করতে চাইনা,,

নীলঃঃপরী আমি তোমার সাথে অন্যায় করেছি,,আমার ভুল হয়েছে,,আমি সব আবার নতুন করে শুরু করতে চাই,,৷ আমায় কি একটা সুযোগ দেওয়া যাবেনা???

।পরীঃঃআমি আর এসব মন ভোলানো কথা শুনতে চাইনা,অভিনয় দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত,,,প্লিজ আমায় নিয়ে নতুন নাটক বাদ দিন,,,


নীলঃঃকেমন আছো পরী??

।পরীঃঃবাহ বাহ,,,এতোদিন খোজ নিবার যখন প্রয়োজন মনে করেন নি,, আজ না নিলেও চলবে

।নীলঃঃতুমি আমায় যতোটা খারাপ ভাবো ততোটা খারাপ আমি না,,,তোমার সাথে কথা না বললেও তোমার সব খোজ খবর আমি ঠিকি রাখি,,আর মাঝে মাঝে তোমার বাসার সামনে দিয়ে যায়,,তোমারে লুকিয়ে দেখি,,


পরীঃঃওহ

তাই??তা কেন করেন এগুলো,,আপনিতো আমায় ভালোবাসেন না,,,তাহলে??আর আপনার কথাগুলো আমু বিশ্বাস কেনো করতে যাবো????

নীলঃঃআমিতো বিশ্বাস করার জন্য মাথার দিব্বি দেয়নি,,,বাসার সামনে আসতে বলেছি আসো,,

।পরীঃঃনা আসবো না,,

নীলঃঃপ্লিজ বাবু একবার আসো

।পরীঃঃআমি কারো বাবু না,,,

।নীলঃঃতো কি বুড়ি বলবো???

।পরীঃঃ,দেখুন

নীলঃঃনা বাবু আমি এখন কিছু দেখতে চাইনা,,যা দেখার বিয়ের পরে দেখবো

পরী ঃঃউফফ অসহ্য,,
।।নীলঃঃ,একবার বারান্দায় আসলে কিহয়??ওকে থাক আর জোড় করবোনা,,আসতে হবেনা,,আমি চলে গেলাম,,ভালো থেকো বলেই নীল ফোন কেটে দিলো,,
।, পরী কিছুক্ষন পর বারান্দায় গেল, গিয়ে দেখলো নীল এখনো দাড়িয়ে আছে,,পরীকে দেখে বললো
.
ঃঃকি ভেবেছো চলে গেছি/?হাহা আমিতো জানি পেছন থেকে আমার চলে যাওয়া দেখতে তুমি আসবেই,,তাই চলে যাওয়ার মিথ্যা কথা বললাম,,

।পরী নিজের বোকামিড জন্য ভিষন লজ্জা পেল,,,

এক দৌড়ে রুমে চলে আসলো,,

পরীর ফোনে মেছেজ আসলো

নীলঃঃএতো লজ্জা পেয়োনা,,,লজ্জামাখা মুখে আমার পরীকে যে ভিষন মায়াবি লাগে




।আবার মেছেজ আসলো

নীলঃঃবাবু পরশু কি ডে তোমার মনে আছে???ভ্যালেন্টাইন্স­­ ডে,,,আজথেকে ঠিক দুবছর আগে এইদিনে আমাদের ভালোবাসার শুরু হয়েছিলো,,,
।আমি চাই ভালোবাসার এই দিনে আমরা দুজন সারাদিন একসাথে সময় কাটাতে,,,

।পরী পরী মেছেজগুলো পরে ফোন অফ করে রেখে দিলো,,,পরী ভালো করে জানে আরেকটু হলে নীলের ওপর ও আবার দুর্বল হয়ে পড়বে,,,ভালোবাসা এক অদ্ভুত জিনিস,,,ভালোবাসার মানুষ হাজার কস্ট দিলেও যদি একটু ভালোবেসে কাছে ডাকে,মন চাই ছুটে তার কাছে চলে যেতে,,বেহায়া মন কখনোই ভালো হবার নয়,,,


পরের দিন সকালে,,নীল স্কুলে বাচ্চাদের কোচিং করিয়ে বাসায় খেতে আসে,,,নিজে রুমে র
ঢুকেই ভুত দেখার মতো চমকে উঠে,,

।নীলঃঃএকি তু,,ততততুমি????তাও আমার রুমে

।পরীঃঃএতো চমকানোর কি আছে??আপনি কাল মেছেজে বললেন মনে নাই,,,ভালোবাসার দিনটাই যেন সাথে থাকি??

নীলঃঃহুম বলেছি,,বাট সেটাতো আগামি কাল,,আজকে না,,আর আমার বাসায় কাটানোর কথা বলেছি নাকি???

।আজকেও তো ভালোবাসারি একটা দিন,,,আজকে তো কিস ডে,,,কাল যদি পালন করতে পারি আজকের টাওতো পালন করা উচিত,,,(নীলের দিকে এগিয়ে গিয়ে)


নীলঃঃএই না না,,,আমি কোনো ডে পালন করবো না,,আমি এসব ডে পালন করিনা,,পাপ হয়,,তুমি আমার কাছে আসবেনা,,দুরে যাও,, আমার কন্ট্রোল হয়না,,যাও যাও দুরে যাও।

।পরী নীলের একদম কাছে চলে আসে,

চট করে দুহাতে নীলের শার্টের কলার চেপে ধরে নিজের কাছে এনে নীলের ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,নীলের ঠোটে ভালোবাসার পরশ দিতে থাকে,,,, নীলকে চুমুতে ভরিয়ে দিতে থাকে,,,

।এবারে নীল পরীর চুমুতে রেসপন্স করতে লাগলে পরী এক ঝটকায় নীলকে সরিয়ে দিয়ে নীলপর রুম থেকে বেড়িয়ে আসে,,,

নীলঃঃএটা কি করে গেলো???

নীল পরীর পেছন পেছন আসতে লাগলো

বাট পরীর কাছে পৌছানোর আগেই পরী অটোতে করে চলে গেলো


পরী বাসায় এসে রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো,,,তারপর শাওয়ার নিয়ে আম্মার থেকে খাইয়ে নিয়ে রুমে গিয়ে ঘুম দিলো


ভোরে আজান শুনে পরীর ঘুম ভাঙে, পরী উঠে নামাজ পড়ে নিলো,,, তারপর আবার ঘুমের দেশে পাড়ি দিলো,,,,বিকেল বেলা আম্মার ডাকে পরীর ঘুম ভাঙে

।মাঃঃএই পরী,,আর কতো ঘুমাবি??এবারেতো উঠবি নাকি?? নেহা আর তোর ফ্রেন্ডরা বেড়াতে আসছে,,,

।পরীঃঃআহ আম্মা ঘুমাতে দাওতো,,

মাঃঃআরে তোর ফ্রেন্ডরা আসছে,,আর তুই ঘুমাবি??

।নেহাঃঃআন্টি আপনি যান,,,আমরা ওরে ডাকছি

।পরীর আম্মা চলে গেলো

।ঃঃবাবু উঠো

পরী নীলের আওয়াজ শুনে লাফিয়ে উঠে,ঃঃঃঃ,আপনারা এখানে??

।নীল;ঃআজকের দিনটা সাথে থাকতে চেয়েছিলম,,তোমারে হাজারবার কল দিছি বাট ফোন অফ,,,,তাই নেহাকে নিয়ে চলে আসলাম,,

।পরীঃঃআম্মাকে কি বলেছেন আপনি কে হন??

নীলঃঃবলেছি বন্ধু

।পরীঃঃঅযথা মিথ্যা বলে লাভ নাই,,আম্মা আপনার আর আমার রিলেশনের কথা সব জানে,,আমি আম্মাকে সব অনেক আগেই বলে দিছি,,,তবে আম্মা এটা জানে না যে আপনি আমায় ঠকিয়েছেন,,,,এটা জানে যে দুজন দুজনকে পছন্দ করি,,আমার পড়া শেষ হলে বিয়ে করবেন,,,যদিও এই মিথ্যা টা বলেছি যাতে আমার পড়াশোনার ক্ষতি না হয়,আর আমায় যাতে বিয়ে না দেয় সেজন্য এসব আম্মাকে বলেছি,,,তিনবছর পর বলবো ব্রেকাপ হয়ে গেছে

।।
নীলঃঃছি ছি হায়রে আম্মাকে তুমি সব বলে দিছো??আমারতো এবারে লজ্জা লাগছে,,
। নীলের বন্ধু জামিলঃঃিহিহি আমারতো শুনে খুব হাসি পাচ্ছে,,,


পরীঃঃএতো লজ্জার কিছু নাই,,বসেন আপনারা আমি আসছি,,,


নেহা নীল আর জামিল বসে আছে পরীর রুমে,,পাশের বাসা থেকে জোড়ে মিউজিক বাজছে,,নীল উঠে কোমড় ঘুরিয়ে নাচতে থাকে

।জামিলঃঃএ নীল তুই থাম,,শশুর বাড়ি এসে এমনভাবে ডান্স করিস না,কেও দেখে ফেলবে,,

কে শোনে কার কথা নীল নাচতেই থাকে,

পরী আম্মার কাছে গিয় বলেঃঃআম্মা ভাইয়া আর আব্বুঃঃ

ঃঃওরা কেও বাসায় নাই,,এই নাস্তাগুলো নিয়ে ওখানে যা,৷

।পরী নাস্তা নিয়ে রুমে ঢুকলো দেখলো নীল

কোমড় দুলিয়ে নাচ্ছে,,পরী নাস্তার প্লেটটা টেবিলের ওপর রেখে চুপি চুপি মীলের পেছনে দাড়িয়ে নীলের পেছনে একটা থাপ্পর দিলো,,

।নীলঃঃআহহহহহ,,,,

।পরীঃঃহিহিহি

।নীল ঃঃমারলে কেনো??

।পরীঃঃলজ্জাশরম সব বেচে দিছেন নাকি??আম্মা যদি এসে এই নাচ দেখে ফেলতো???

।নীল চট করে গিয়ে বিছানার ওপর বসে পড়ে,,,

জামিল হাসছে আর বলছে।
।ঃঃশশুড় বাড়ি আসার আনন্দে ডান্স করতিছে,,,তুই ডান্স কর,,,ভালোই লাগছে দেখতে,,,হিহিহিহি

।নীলঃঃচোপ,,,,মজা নিবা হচ্ছে????

।পরীঃঃঐ আপনি চুপ,,,চুপচাপ বসে নাস্তা করুন,,,

।নীল আর কিছু বললোনা,,,খেতে শুরু করলো,,নীল একটা কেক নিয়ে অর্ধেক নিজের মুখে ধরে,, পরীকে ইশারায় বাকিটা মুখে নিতে বললো,,,,,,পরী না বললে নীল উঠে পরীর দিকে এগিয়ে যায়,,,,তখন পরী নিজের মুখ দিয়ে নীলের মুখ থেকে বাকি অর্ধেক কেক নিয়ে খেল,,

এই দৃশ্য দেখে নেহা জামিল বললো

ঃঃবাহ কি প্রেম,,, বলছে


সবাই হাসছে,,,

,পরী মাথা নিচু করে আছে,,নীল পরীর দিকে তাকিয়ে আছে,,,

খাওয়া শেষে নীল ব্যাগ থেকে একটা লাল গোলাপ বের করে বললো

ঃঃ;পরী ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে এটা তোমার উপহার


পরীঃঃউহু এভাবে দাড়িয়ে থেকে ফুল নিবোনাতো,,,,হাটুগেড়ে­ বসে হিরোদের মতো করে দিতে হবে,,

জামিলঃঃওরে তোর জি এফ তো রোমানটিক,, হিহিহি

।পরীঃঃআমার মতো জি এফ এক পিচ আছে বুঝলেন,,,আপনার বন্ধু তো কিছু পারেনা,সব আমায় শিখাতে হয়,,,

।জামিলঃঃতা কি কি পারেনা??আর আর কি কি শিখাইছো??

।নীলঃঃএহম এহম,,এসব কথা এখন থামাও,।

।পরীঃঃহুম,৷ ওকে এবারে হাটুগেড়ে বসে বলুন,,নয়তো ফুল নিবো না,,,রেগে যাবো

।নীলঃঃওকে বাবু,,বাট তোমার আম্মু যদি আসে??

।পরীঃঃআসলে আসবে,,উফ এতো কথা কেন বলেন,,,,রাগ হচ্ছো আমার

।নীল চট করে হাটুগেড়ে বস পড়লো,,,

তারপর ফিসফিস করে বললো আই লাভ ইউ,,,,

পরীঃঃএভাবে ফিসফিস করছেন কেনো??

নীলঃঃআম্মা যদি শুনে ফেলে তাই,,
।পরী হাসছে

নীল আবার ফিসফিস আওয়াজে বললো

ঃঃআই লাভ ইউ পরী

।পরী এবারে নীলের মতোই ফিসফিস করে বললোঃঃলাভ ইউ টু গোলাপি,,(বলেই ফোনটা নিলো,)

।জামিল বলে উঠলো,,ঃঃছিছি ভাবি তোকো হুয়াকথু গোলাপি বললো???লাভ ইউ এর এই জবাব দিলো??ছিছিছি

।নেহা ঃঃছিছি ভাইয়া শেষ পর্যন্ত হুয়াকথু পেলি

।পরীঃঃএই না না,,আমি হুয়াকথু বলিনি,,আমিতো লাভ ইউ টু বলেছি,,,ফিসফিস করে বলেছি তাই বুঝোনি

।জামিলঃঃএহহ আমরাতো হুয়াকথু শুনেছি

।পরীঃঃমজা করা হচ্ছে আমায় নিয়ে???

সবাই হাসছে,,,

।নীলঃঃএই তোরা থাম ওরে আর খেপাস নাতো,,,পরী ফুলটা লুকিয়ে ফেলো,,,

পরী ঃঃকেনো??

নীলঃঃতোমার বাসার কেও দেখে ফেলে যদি

পরীঃঃআম্মু সব জানে,,আপনারা ওয়েট করেন আমি এটা আম্মুকে দেখিয়ে আনি,,

।নীল কিছু বলার আগেই পরী হনহন করে রুম থেকে চলে গেলো

জামিলঃঃকি মেয়েরে বন্ধু,, মাকে প্রপোজের ফুল দেখাতে গেলো,,আসলেই এক পিচ ই আছে,,

।পরী৷ আম্মার কাছে গিয়ে বললো সব আর ফুল দেখালো

।মাঃঃধুর এখন আসছিস ফুল দেখাতে,,,যখন দিলো তখন একটু ডাকলেইতো পারতি,,আমি একটু প্রপোজ করাটা দেখতাম,,,

।পরীঃঃতুমি কি সত্যি আমার মা??মেয়ের প্রপোজ দেখতে চাও???

।মাঃঃমা না তো কি??কেনো দেখলে কি??কোন জায়গায় লিখা আছে যে মা দেখতে পারবেনা???একটু আগে ডাক দিতে পারলিনা???

।পরীঃঃওতো লজ্জা পাবে,,আর আমি কি জানতাম নাকি যে তুমি দেখতে চাও,,জানলে ডাক দিতাম,,,

নেহা চলে আসলো,,বললো,ঃঃ আন্টি আমাদের এবারে যেতে হবে

।মাঃঃআরেকটু থাকো,,তোমার আম্মারা কেমন আছে??

নেহা পরীর মা গল্প জুড়ে দিলো,,
পরী সেখান থেকে নিজের রুমে চলে গেলো,,

।পরী ঃঃজামিল ভাইয়া আমি আপনার বন্ধু কে রিটার্ন আরেকটা গিফট দিবো,বাট একা,,, আপনি দরজার সামনে একটু গিয়ে দাড়িয়ে পাহারা দেনতো,৷ কেও আসলে সিগনাল দিবেন


জামিলঃঃতোমাদের কথা শুনে আমি পাগল হয়ে যাবো,,ওকে দাড়াচ্ছি


জামিল দরজার বাইরে গিয়ে দারিয়ে রইলো,,

পরী এবারে নীলের কাছে গিয়ে,দুহাতে নীলের শার্টের কলার ধরে টেনে নীলকে বিছানা থেকে দার করালো,৷ তারপর নীলের দুহাত নিজের কোমড়ে রাখলো,,,আর নিজের দুহাত দিয়ে নীলের গলা জড়িয়ে ধরে নীলের ঠোটে ঠাস করে চুমু দিয়ে বললো ভালোবাাসি গোলাপি,, আর কোনদিন কস্ট দিয়োনা,,,

।নীল পরীর কোমড় থেকে একহাত সরিয়ে পরীর গাল ধরে পরীর ঠোটে চুমু একে দিয়ে বললো,,,ভালোবাাসি,,,আ­র কস্ট দিবোনা,,প্রমিস,,,

।পরী নীলকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো,,,

।একটুপর পরী নীলের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে চলে যেতে লাগলে নীল দুহাতে পরীর কোমড় জড়িয়ে ধরে একদম নিজের কাছে আনে,,,পররর ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,,



জামিল দরজার ওপাশ থেকে বলছেঃঃআপনাদের কি হয়ছে গিফট দেওয়া নেওয়া??পরীর আম্না আসছে,,,


পরী নীলের কাছে থেকে সরে গেলো,,,

।তারপর নীল পরীর আম্মার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে গেলো,,,


।নীল বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লে ফোন বেজে উঠলো,,পরীর ফোন
।ফোন ধরেই

নীলঃঃবলো

পরীঃঃভালোবাসি,,

নীল ঃঃহুম

পরীঃঃঐ হুম কি?ভালোবাসোনা আমায়??

নীলঃঃজানিনা

পরী ঃঃজানোনা মানে??

নীলঃঃজানিনা মানে জানিনা

পরীঃঃতাহলে আজকে যা করলে,,যা বললে সেটা??

নীলঃঃআমি কখন কি বলি তার ঠিক নাই,,সব ভুলে গেছি,,অতিত ভেবে তুৃমিও ভুলে যাও,,

।পরী ঠাস করে ফোনটা কেটে দিলো,,

নীল ফোনটা পাশে রেখে ঘুমিয়ে পড়লো,,

।হঠাত দরজা ধাক্কানোর আওয়াজে নীলের ঘুম ভাংলো,
।,,ঘুমঘুম চোখে দরজা খুলে যাকে দেখলো তাতে ৪৪০ ভোল্টের শকড খেলো,,,


নীলঃঃপরী তুমি এতো রাতে এবাড়িতে???

পরীঃঃভালোবাসিস আমায়??

নীলঃঃ না,,

পরীঃঃ একটুও না?

নীলঃ না

পরীঃঃকোনদিন বাসিস নি??

নীলঃঃনা বাসিনি,,সব নাটক করেছি,,এটা বলার জন্য এসেছো??বলা হয়ছে??এবারে যাও,,

পরীঃঃযাবোতো তার আগে তোর একটা ব্যাবস্থা করে তারপর যাবো,,,

বলেই পরী নীলকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নীলের রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিলো,,

তারপর সোজা নীলের গলা চেপে ধরলো
।পরীঃঃআজ তোকে খুন করেই ছাড়বো, কি ভেবেছিস কি??,বারবার আমায় ঠকাবি আর আমি কেদে কেদে বালিশ ভেজাবো??দেবদাস হয়ে রেললাইনে ঘুরে বেড়াবো??নেড়া বেল তলায় একবার যায়,,একবার তোর ঠকানো কে মেনে নিয়েছি বলে কি বার বার মানবে নাকি??দেখ এবার তোর কি করি,,তুই আজ আমার নাথায় রাগ তুলে দিছিস,,

।বলেই নীলকে বিছানায় ফেলে দিয়ে নীলের ওপর উঠে বসে,,

নীলঃআমি কিন্তু চিল্লাবো৷ ছাড়ো আমায়৷

পরীঃওকে চেচা,,জোড়ে চেচাবি,,চেচালে তোর মানসম্মান যাবি,,আমারটা নিয়ে আমি ভয় পাইনা,আর চেচিয়ে লাভ নাই তোর চাচিরা বাইরে পাহারা দিচ্ছে

নীলঃঃহায়রে বলে কি

পরীঃঃএবারে বল ভালোবাসিস.

নীল ঃঃনা,
। বলতেই পরী নীলের ঠোটে কামড় দেয়,,এতো জোরে কামড় দিছে যে কেটে রক্ত পড়ছে,,,

।পরীঃবল ভালোবাসিস??

নীলঃজোড় করে পেতে চাও নাকি??বাসিনা বাসিনা বাসিনা

পরী এবারে নীলের গালে গলায় বুকে সারা সরিয়ে কামড় বসিয়ে দিতে থাকে,,,সারা শরীরে কামড়ের জায়গায় কেটে রক্ত পড়ছে,,,

।পরী নীলের ওপর থেকে উঠে আসলো,,
।পরী তোকে শাস্তি দিলাম যাতে আমি না থাকলে আমার কথা ভুলতে না পারিস কখনো,,,জোড় করে ভালোবাসা হয়না আমিও চাই না,,যা তোকে আজ মুক্তি দিয়ে দিলাম,,বলেই পরী কোমড় থেকে একটা কোটা বের করে ভিতরের তরল কিছু খেয়ে ফেললো,,
।নীল উঠে দেখে এটা বিষের কৌটা,,
। পরী পড়ে যেতে লাগলে নীল ধরে ফেলে,,
নীল ঃঃএটা তুমি কি করলে পরী???

পরীঃঃমুক্তি দিলাম,

নীলঃঃনা আমি মুক্তি চাইনা,, আমি ভালোবাসি তোমায় পরী,,

।পরীঃঃআমি জানি বাসোনা,,তাইতো আজ চলে যাচ্ছি বহুদুরে,,যেখানেথেকে কেও আর ফিরে না,,

নীলঃনা তুমি কোথাও যাবেনা,,আমি যেতে দিবো না,,

নীল কাদতে কাদতে বলছে

।তারপর রুমের লক খুলে বাসার সবাইকে ডাকলো

নীলঃঃচাচিমা পরী বিষ খেয়েছে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, চলো,,


।চাচিঃঃওরে মরতে দে,,তুইতো এটাই চেয়েছিলি,,সেজন্যএতো কস্ট দিছিস

নীলঃঃচাচি এভাবে বলোনা,,আমি পরীকে ভালোবাসি,,আমি ওর ভালোবাসা ট্রাই করার জন্যএমনটা করেছি,,বাট ও যে এমন পাগলামি করবে ভাবিনি,
।ওরে এখুনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে

।পরী ঃনা আমি কোথাও যাবো না,,মরে যাবো আমি,,,আর নিয়ে যেতে যেতেই মরে যাবো,,,আমার হাতে আর সময় নেই নীল,,,

নীল দৌড়েপরীরকাছে যায়

পরীর মাথা নিজের কোলে রাখে

নীল ঃবএ কথা বলোনা,, তোমার কিছু হবেনা,,,

।পরীঃঃজানো নীল খুব ইচ্ছে ছিলো তোমার বউ হবো,,সেটা আর হলোনা গো,,,

নীলঃঃনা হবে সব হবে,,,এই তোমার মাথা ছুয়ে বলছি তুমি আমার বউ হবে,, আমি তোমায় আজই বিয়ে
।করবো,,,আগে হাসপাতালে চলো

।পরী ঃসত্যি বিয়ে করবে??

নীলঃঃহুম,,,

পরী চট করে উঠে বসে বললোঃঃআমি রেডি আছি,,,কাজি ডাকো, আজ আমাদের বিয়ে

।নীল অবাক,,,

।পরীঃঃএতো অবাক হচ্ছো কেনো??কি ভেবেছো আমি বিষ খেয়েছি??জি না,,এর ভিতরে মধু ছিলো,,,

।বাসার সবাই বলে উঠলোঃঃকেমন দিলাম???

সবাই হাসছে

।নীলঃঃতার মানে??

পরীঃঃযেটা ভাবছেন সেটাই,,সব নাটক ছিলো,,আপনাকে স্বীকার করানোর জন জন্যএটা আমাদের প্ল্যান ছিলো

নীলঃঃতার মানে সবাই মিলে আমায় বোকা বানালে??আমি থাকবোনা আর এ বাসায়,,,

পরীঃঃ আরে কোথায় যাচ্ছেন??আগে বিয়ে করুন তারপর যেখানে খুশি যান,,এবারে না বললে সত্যিবিষ খেয়ে মরে যাবো

নীল ঠাস করে পরীর গালে থাপ্পর দিলো
নীলঃঃআর কোনদিন এই শব্দটা মুখ দিয়ে বের করলে আমি নিজেই তোকে মেরে ফেলবো,,,খুব বিয়ে করার শখ তোর তাি না,,ওকে এখুনি বিয়ে করবো তোকে চল

চাচাঃঃকোথাওযেতে হবেনা,,পরীর ভাই বাবা মা কাজি নিয়ে আসছে,,,২০ মিনিটের ভিতরে চলে আসবে,

নীলঃঃবাহহ এতো ভালো প্ল্যান আগে থেকেই করে রাখছো??নিজের পরিবারেরলোক আজ আমায় বাশ দিলো,,বাহবাহ খুব ভালো,,

। চাচা বললো

যেমন কুকুর তেমব মুগুড় বুঝলি??

। সবাই হাসছে,৷ ত

তারপর পরীর পরিবারের লক ও কাজী আসলে ওদের বিয়ে পড়ানো হলো,,,নেহার রুমে বাসরঘর আগে থেকেই সাজিয়ে রাখা হয়েছিলো,,,

।পরীকে ওর শাশুড়ির বিয়ের নীল বেনারসি পড়িয়ে দিলো নেহা,,পরীর শাশুড়ি নিজেই সাজিয়ে দিলো পরীকে

পরীকে একদম নীলপরি লাগছে ,, প
।পরী লম্বা ঘোমটা টেনে বাসরঘরে বসে আছে,,

নীল রুমে ঢুকে বিছানায় পরীর পাশে গিয়ে বসলো,,নীল পরীর ঘোমটা তুলতে যাবে তার আগেই পরী চট করে ঘোমটা খুলে ফেলে দেয়,

পরীঃঃধুর এতো গরমে এভাবে থাকা যায়,,

নীলঃঃনতুন বউ এর কি ছিরি,, রে,,নিজের ঘোমটা নিজেই তুললো

পরীঃঃউফ বেশি কথা বলোবা,,এমনিতেই অনেক রাত হয়ে গেছে,,,আজ কেনো কথা হবে না,শুধু ভালোবাসা হবে,

।নীলঃঃতোনার কথা শুনে মনে হচ্ছে তুমি বউ না,,আমিই তোামার বউ,,,

পরীঃঃহুম,,তুমি আমার হ
গোলাপি বউ,,,

নীল কিছু বলতে যাবে তার আগেই পরী নীলের ঠোটেনিজের ঠোট ডুবিয়ে দেয়,,,

।পরীঃঃআজ কোনো কথা হবেনা,,শুধু ভালোবাসার রঙে দুজনে দুজনকে রাঙিয়ে নিবো,,,
।,,আজথেকে ে

পরী নীলের হয়ে গেলো,,আর নীল পরীর।

তারপর দুজনে ভালোবাসার সাগরে পাড়ি দিলো,,,।।

—(সমাপ্ত)—

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে