নীলপরী (পর্ব ০৫)
#শান্তনা_ইসলাম
·
·
·
নীলঃ হিহি বাবু একটা কথা বলবো,,রাগ করবে না তো??
পরীঃঃহুম বলো
নীলঃঃআগে বলো রাগ করবে না,,,
পরীঃঃহুম করবো না,
নীলঃঃভেবে বলছো তো??,শিওর তো যে রাগবে না,???
পরীঃঃউফফ এতো ভনিতা দেখে রাগ লাগছে,,,কতোবার বলবো যে রাগ করবো মা??যা বলতে চাও বলো,,,
নীলঃঃবলছি,
পরীঃঃ হুম বলো
নীলঃঃবলতে ভয় লাগছেতো,,যদি বকো,,
পরীঃঃএবারে না বললে ফোনের ভিতর ঢুকে গিয়ে পিটাবো,,ঢং বাদ দিয়ে বলো তো
নীলঃঃকথাটা হলো,,
পরীঃঃহুম বলো
নীলঃঃকথাটা হলো আমার,,
পরীঃঃআমার কি???
নীলঃঃআমার,,, ইয়ে মানে আমার খুব ইয়ে
পরীঃঃঐ গোলাপির বাচ্চা গোলাপি এতো ইয়ে মানে মানে না করে বল,,
নীলঃঃকথাটা হলো আমার খুব ঘুম পাইছে,,আমি এখন ঘুমাবো,,,এখন কি ফোনটা রাখা যাবে??
পরীঃঃখাটাস একটা,,এই কথা বলার জন্্য এতো ঢং করার কি ছিলো,,,?আগেতো কতো না বলেই ফোন কেটে দিতে,,,এতো পারমিশন তো নিতে না,,আজ আসছে আলগা পিরিত দেখাতে,,আমিতো জানি আমি জোড় করি বলেই কথা বলো, তোমার তো কথা বলার ইচ্ছাই নাই,,,নিজে থেকে কোনদিন আমায় ফোন দাওনা,,আমি কি বুঝিনা নাকি,??আমারেতো এখন আর ভালো লাগে না,,,প্রেমের শুরুতে কতো কেয়ার,,আর এখন বস্তা বস্তা অবহেলা,,আমার সাথে একটু কথা বলার সময় পাওনা,,বিজি থাকো,,,ঘুম পাই,,বাট অন্য মেয়েদের সাথে রাত জেগে কথা বলার সময় ঘুম চাপে না,,,থাক তুই তোর মতো,, আমি আর পেরা দিবো না,,,,,বাই,,,৷ ,(একদমে কথাগুলো বলেই ফোন কেটে দিয়ে অফ করে দিলো পরী)
এদিকে নীল বারবার ফোন করছে পরীকে,,বাট ফোন অফ,,,৷
নীল ঃঃহায়রে এই মেয়েটার এতো রাগ কয় থেকে যে আসে কে জানে,,
আমি পাগল হয়ে যাবো,,,মহারানি ফোন অফ রাখছে,,,,জানিতো দু মিনিট পর আবার অন করবে,৷,, অযথা রাগ করে,,,,,উনারতো আবার রাগ উঠে থাকলে মুখটা বাংলার পাচ করে রাখে পাগলামি করে,,,,আমারে একটু ঘুমাতেও দিবে না,,,দেখি আগে রাগতো ভাঙাই,
নীল আবার ফোন দিতে লাগলো ১১বার ফোন দিলো তবুও অফ পেল,,আবার দিতেই ফোন বাজতে লাগতে,,,,আরো ১৫ বার ফোন দিবার পরেও ফোন ধরলোনা,,,আবারো কল দিতেই ফোন রিসিভ করে ওপাশ থেকে বলল
পরীঃঃএতো বার ফোন দিচ্ছেন কেনো???
আপনারতো ঘুম পাইছে ঘুমান
নীলঃঃগাছে তুলে দিয়ে মই টান দিলে তো হবে না,,,,,আমি যেটা চাইছি সেটা দিবা,,
পরীঃঃ(চুপ)
নীলঃঃবাবু,,,
পরীঃ(চুপ)
নীলঃঃজান
পরীঃঃ…
নীলঃঃটুনটুনি পাখি
পরীঃঃ,,,
নীলঃঃ বউ,, ও বউ,,,একটু আদর দাও
পরীঃঃপারিনা আমি
নীলঃঃএইতো আমার বউটা কথা বলে ছে রে,,,৷ও বউ আদর করো
পরীঃবললামতো পারিনা,,
নীলঃঃএহহ,সামনে থাকলেতো জোড় করে করো,বাট ফোনে চাইলে বলো পারোনা,,এটা কিন্তু অন্্যায়,,,আমার থেকেতো ঠিকি গুনে গুনে ১০০ টা নিলে,,,আর আমি চাইলে দাওনা,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
পরীঃঃআমি ফোনে দিতে পারিনা এটা তুমি ভালো করেই জানো,,আর তুমি ফোনে ভালো পারো,শুনতে হেব্বি লাগে তাই তোমায় দিতে বলি,,কিসের আওয়াজ শুনে আমার মাথা ঘুরে যায়,,
নীলঃঃকি আজব তাই না??আমি ফোনে শিখায় আর তুমি আমায় প্রাকটিক্্যালি শিখাও,,,আমি ফোনে করলে তোমার মাথা ঘুরে ভাবোতো তুমি সামনাসামনি করলে আমার কি অবস্তা হয়??তাওতো তুমি ইচ্ছে করে আমার গলায় করো,,,,আমার দুর্বল জায়গায় আঘাত করো,,নিস্টুর একটা,আমার কস্টটা বুঝোনা একটুও,৷
পরী;;বুঝিতো,,
নীলঃঃকি বুঝো শুনি???
পরীঃঃশুনতে হবে না, ঘুমাও
নীলঃঃনা শুনবো আমি বলো কি বুঝো??
পরীঃঃউমমমমাহ,,,
নীলঃঃহুয়াট???আবার করো?
পরীঃঃনা ধ্্যাট লজ্জা করছে,,,৷ সুযোগ একবারি আসে,,,ফোন রেখে এখন লক্ষি ছেলের মতো ঘুমাও,,একটা কথা বাড়লেই কিন্তু রেগে যাবো,
নীল জানে এ মেয়ে যা বলে তাই করে,,তাই আর কথা বাড়ালো না,
নীলঃঃওকে আল্লাহ হাফেজ
পরীঃআল্লাহ হাফেজ,,
ফোন রেখে দিলো পরী
পরীর এখনো ঘুম আসছেনা৷,,,, পরী নীলের একটা ছবি বুকে জড়িয়ে ধরে ভাবতে লাগলো নীলের সাথে কাটানো দিন গুলি,৷
আজ থেকে দেড় বছর আগে ওদের পরিচয় হয়,,,ফেসবুকে পরিচয় হয় ওদের,,,পরী তখন অনার্স ১ম বর্ষে নতুন ভর্তি হয়ছে,,, ভাইয়া আর আব্বুর কাছে কান্না করে খুব কস্টে ফোন কিনে নেয়,,৷ ,নতুনফেসবুক আইডি খুললো,,প্রথম একটা ছেলে মানে নীল ওরে ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দিলো,,,,
মেছেজ দিলো,,দুজনে মেছেজে কথা বলা শুরু করলো,,,
বাট কেও কারো পিক দেখেনি,,দুজনেই কুব ভালো বন্ধু হয়ে যায়,,,
পরী কলেজ আর টিউশনি নিয়ে সারাদিন বিজি থাকতো,,এদিকে গোলাপি,, মানে নীল অনার্স ফাইনাল ইয়ারে পড়তো,,দুজনে একি কলেজে পরতো,,, বাট নিল কলেজে যেতো না,,ওর স্কুলে মাস্টারি করা আর টিউশনি,, নিজের পড়াশোনা নিয়ে সারাদিন কাটাতো,,রাতে দুজনে ঘুমাতে যাবার আগে রোজ কথা বলতো,,সারাদিন কি করতো সব বলতো,,এভাবে কেটে যায় ২ মাস,,,
পরী কলেজে গেছে ক্লাস করছে আর ব্্যাগের ভিতর ফোান নিয়ে লুকিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে,
নীলের মেছেজ
নীলঃকোথায় তুমি??
পরীঃঃকলেজে,,ক্লাসে আছি
নীলঃঃক্লাস বাদ দিয়ে ফেসবুক চলাচ্ছো??
পরীঃঃহুমম তো কি হয়ছে,,,??
নীল ঃঃজানিতো অলটাইম ফেসবুক চালানোই তোমার কাজ,,নতুন নতুন তো তাই,,,পরে আর এসব চলাতে ভালো লাগবেনা,,,,
পরীঃঃ,,কিন্তু আপনিতো এই সময়ে ফেসবুকে আসেন না,,হটাত কি মনে করে?
নীলঃঃতোমার জন্য
পরীঃঃআমার জন্য মানে??
নীলঃমানে আমি জানতাম তুমি এখন অনলাইনে আছো, আর কলেজে আছো,সেকারনে মেছেজ করলাম,৷ আমিও আজ কলেজে আসছি,,,আমি তোমার সাথে মিট করতে চাই,,
পরীঃঃনা,,আমি মিট করবো না,,দেখা দিবোনা,
নীলঃকেন?
পরীঃঃঐ যে আমি দেখতে পচা,,ভয়ংকর,,আপনি আমায় দেখলে 4g স্পিডে দৌড় দিবেন,,
নীল;;দিলে দিবো,,তবুও দেখা করবো,,আমি তোমার ডিপার্টমেন্ট এর সামনে দাড়িয়ে আছি, কোনটা তুমি
পরীঃঃবলবোনা,
নীলঃঃআর বলতে হবেনা,,ঐ যে লুকিয়ে ফোন টিপছো দেখে ফেলেচি,,তাকাও ডান দিকে
পরী তাকাতেই দেখলো দরজার পাশে একটা ছেলে দাড়িয়ে,,চোখে চোখ পড়াতে খুব লজ্জা পেল পরী, মাথা নিচু করে বসে থাকল
নিলের মেছেজ আসলো
নীলঃঃ ক্লাস শেষে বাইরে আসবে,,আমি ক্্যাম্পাসে বসে ওয়েট করছি
পরী ঃঃঃ
নীলঃঃযদি না আসো তাহলে কিন্তু
·
·
·
চলবে………………