#নীড়ের_খোজে
#অন্তিম_পর্ব
#নীহারিকা_নুর
মাশরিনা মেয়েকে গোসল করিয়ে বডি লোশন লাগাচ্ছিল এমন সময় ফোন আসায় মেয়েকে সেখানে রেখেই উঠে যায় ফোনের কাছে। ফোন স্ক্রিনে সাবিহা নামটা জ্বলজ্বল করছে। সাবিহার নামটা দেখে ঠোটের কোনে একটু হাসির রেখা ফুটে উঠে। যেটা এমনি তাকালে কেউ বুজতে পারবে না। এই হাসিটা কি সাবিহা ফোন দিয়েছে সেজন্য নাকি অন্য কোন কারনে তা জানা নেই। মাশরিনা ফোন রিসিভ করতেই সাবিহার উদ্বিগ্ন গলা শোনা যায়। মাশরিনা বলে
– আরে রিলাক্স। এভাবে হাপাচ্ছিস কেন।
– মাশরি তুই দেখেছিস সানওয়ার চৌধুরীর গোডাউনে যে আগুন লেগেছে।
– হ্যা মাত্রই নিউজে দেখলাম।
– তুই কি ও বাসায় যাবি।
– প্রশ্নই আসে না। সব স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় তাদের নীড়ে ঠাই হয় নি৷ তাদের অহংকার তাদেরকে আকাশে তুলে রেখেছিল৷ এই আগুনে চৌধুরীদের পাপ, অহংকার সব জ্বলসে যাচ্ছে।
– মাশরি মানুষের বিপদ এর সময় এভাবে বলতে হয় না।
– কষ্ট পেতে পেতে একসময় মানুষ হার্টলেস হয়ে যায়। তখন আর সামান্য দুঃখ কষ্ট তাদের ছুতে পারে না। তাই তাদের এই কষ্টেও আমার কেন যেন কষ্ট হচ্ছে না।
সাবিহা বুজতে পারে রাগ,অভিমান, জেদ আকাশ ছুয়েছে। এগুলো ভুলে এত সহজে তাদের ক্ষমা করবে না মাশরিনা। সাবিহার মুখ দেখেই সাজিদ বুঝে যায় মাশরিনা না করে দিয়েছে। সাজিদ বোঝে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। সাজিদ আর সাবিহা রওয়ানা দিয়েছে ঢাকার উদ্দেশ্য। এখন তাদের সবার পাশে থাকা প্রয়োজন। এই আগুনে সানওয়ার চৌধুরীর ব্যাবসার বিশাল লস হবে।
পুরো সতের ঘন্টা জ্বলার পরে নিভে এই আগুন।আগুনের উতস কোথায়, কোথা থেকে লাগল এই আগুন তার কোন খোজ পাওয়া যায় নি। ভেতরে একটা মানুষ ছিল যে আগুনে দগ্ধ হয়েছে। এমন ভাবে চেহারা পুড়েছে যে চেনার উপায় নেই এটা কে। পুলিশন সানওয়ার চৌধুরিকে আইডেন্টিফাই করতে বলে। কিন্তু এরকম চেহারা দেখে ভয়ে আতকে ওঠে। চেহারা দেখে আইডেন্টিফাই করার কোন উপায় নেই এটা কে। হঠাৎ সানওয়ার চৌধুরীর নজর যায় লাশ টার অনামিকা আঙুল এর দিকে। সেখানে গোল্ড এর একটা আংটি জ্বলজ্বল করতেছে। এটা দেখে সানওয়ার চৌধুরীর আর বুজতে বাকি থাকে না এখানে কি হয়েছে। তিনি শাফিন বাবা আমার বলে এক চিতকার দেয়। তার চিতকারে মনে হলো পুরো বিল্ডিং একবার কেপে উঠল। শেষবারের মতো যে একবার ছুয়ে দেখবেন নিজ সন্তানকে তার কোন উপায় নেই। ধরতে গেলে হাতের সাথে চামড়া উঠে আসার মতো অবস্থা। সানওয়ার চৌধুরী সেখানে বসে হাউমাউ করে কান্না করছেন। রুবিন হোসইনকে ফোন করা হয়েছে। তিনি পাগলের মতো ছুটছেন সেদিকে। সেখানে পৌছানোর পর তিনি পা’গলের মতো করছেন ছেলের কাছে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সানওয়ার চৌধুরী তাকে ঝাপটে ধরে রেখেছেন। তিনি গেলে হয়ত ছেলের বুকের উপর হামলে পড়বেন। কিন্তু শরীর এর তো কিছু নেই। আর যাও আছে তা দেখার মতো অবস্থা নেই।
পুলিশ এর সহায়তায় কোনমতে শরীরটাকে প্যাকেট করা হয়। গোসল করানোর জন্য যে পানি ঢালা প্রয়োজন তাও সম্ভব হয় নি সেই পলিথিন এর উপর দিয়েই পানি ঢালা হয়। সে অবস্থায়ই কাফন এর কাপড় পড়ানো হয়। মাশরিনা মায়াকে নিয়ে সেখানে গিয়েছিল। লোকটা খারাপ হোক বা ভালো তিনি মায়ার বাবা ছিলেন। মায়ার পাশে না থাকলেও তিনি এতদিন পৃথিবীর বুকে বেচে ছিলেন। বড় হয়ে হয়ত কোন দিন মায়া জানতে চাইবে তার বাবা কে। তখন মাশরিনা কি জবাব দিবে জানা নেই। তবে এখন তা নিয়ে ভাবতেও চাচ্ছে না। কিন্তু এমন বর্ননার কথা শুনে আর এক নজর দেখার সাহস হয় নি মাশরিনার। দাফন হয়ে গেলে সেখান থেকে চলে আসে মাশরিনা।
মাশরিনা যখন চলে আসছিল তখন সাজিদ সানওয়ার চৌধুরিকে বলেছিলেন বাবা আপনি মায়াকে আটকান। ভাইয়ের শেষ স্মৃতি ও। আপনি দেখবেন ওর ভিতরে আপনি ভাইকে খুজে পাবেন।জবাবে তিনি বলেন যেখানে আমার ছেলেই নেই সেখানে তার স্মৃতি জড়িয়ে রেখে আমি কি করব।এই ছোট্ট জীবনে মানুষের কত অহংকার, অহামিকা। কত বড়াই। পাপ জেনেও দিনের পর দিন মানুষ কত পাপ কাজ করে থাকে। এই যে আজ মা’রা গেল। আত্মীয় স্বজনরা হয়ত তিনদিন কাঁদবে। এরপর আস্তে আস্তে মাটির সাথে মিশে যাবে দেহ। অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। মানুষ সব কিছুই জানে তারপরেও মানুষের ভয় হয় না। দুনিয়ার লোভ মানুষকে অন্ধ করে দিয়েছে।
সবগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার তার কাটা। তার উপর আগুনে একদম সব কিছু নষ্ট হয়ে গেছে। তার কাটা না থাকলে হয়ত সন্দেহ হতো না কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটা কারো প্রি প্লান। তবে না আছে কোন প্রমান আর না ক্লু। কিসের ভিত্তিতে কাউকে সন্দেহ করা যায়। আর শুধু সন্দেহের বসে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।
।
।
।
।
।
সানওয়ার চৌধুরীর সব কিছু কেমন আস্তে আস্তে এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করে। ব্যাবসায় এত বড় একটা লস এর পর তিনি আবার চেষ্টা করেছিলেন সব কিছু নতুন করে শুরু করতে। কিন্তু তিনি কেমন যেন আগের মতো আর কাজে মন বসাতে পারলেন না। পরেরবারেও ব্যাবসায় লস। হাতের পুজি ফুরালো। এরপর আবার সাহস করে ব্যাংক থেকে লোন নিলেন। কিন্তু কোন কাজের কাজ হলো না। আবারও লস সেখানে। ব্যাংকের লোন শোধ করতে না পারায় তার উপর চাপ আসতে থাকে। বাড়িটাও চলে যায় ব্যাংকের আওতায়। এত বড় বিজনেস ম্যান সানওয়ার চৌধুরী এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। ভাবতেই কেমন খারাপ লাগছে। এত কিছু আর সহ্য করতে পারেন না সানওয়ার চৌধুরী। হার্ট এট্যাক করে বসেন। হসপিটাল নেয়া হয়েছিল তাকে। কিন্তু সেখান থেকে ডক্টর জানায় তিনি ইহলোকের মায়া ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে পুরো বাড়ি ছিল নিশ্চুপ। রুবির চোখ থেকে এক ফোটা জল গড়িয়েও মাটি অবধি পৌছায়নি। চোখের কোনে আসার আগেই তা আচলে মুছে নিয়েছেন তিনি। হয়ত এত বছর এক সাথে থাকার মায়া থেকেই ওই জলটুকু আসছে। তবে তিনি কাদতে চাচ্ছেন না তাই তো জল গড়াবার আগেই মুছে ফেলছেন। সানওয়ার চৌধুরী কেমন জীবন গঠন করে ছে যে দিন শেষে তার জন্য আফসোস করার মতোও কেউ নেই। সাজিদ এর চাকরির সুবাদে তাকে চট্টগ্রাম যেতে হয়েছিল। তার আসতে আসতে রাত হয়ে যায়। ততক্ষণ তার বাবাকে তার জন্য রাখা হয়েছিল। রাতের আধারেই তার অস্তিত্বটুকু নিশ্চিহ্ন করে তাকে রেখে আসা হয়েছে তার চিরস্থায়ী ঠিকানায়।
।
।
।
।
মা আপনার কি মনে হয় না আপনার ছেলেকে খুন করা হয়েছে?
গভীর রাতে ছাদে বসে রাতের আকাশ দেখায় ব্যাস্ত ছিল রুবি হোসেইন। হঠাৎ পেছন থেকে এভাবে কথা বলায় আতকে ওঠেন তিনি। পেছনে তাকিয়ে দেখে হাতে দু কাপ কফি নিয়ে পেছনে দাড়িয়ে আছে মাশরিনা।
– তুমি এখানে এত রাতে?
– গল্প করতে আসলাম।
– ওহ।
– আমার উত্তর দিলেন না যে মা।
– আমি জানি কে মে’রেছে।
মাশরিনা অবাক হয়ে তাকায়। তিনি জানেন তার সন্তান এর খু’নি কে তবুও শাস্তি না দিয়ে চুপ করে আছেন। জিজ্ঞেস করেই ফেলে
– আপনি সত্যিই জানেন সে কে?
– হুম।
– তবে তার শাস্তি কেন দিচ্ছেন না।
– আমার ছেলের জন্য আমার হয়ত খারাপ লাগে। তবে দুনিয়া থেকে দুটো কিট মুছে গেছে। তোমার আরো দুটো মেয়ের সম্মান নষ্ট করেছে ও। এসব পুরুষ মানুষ আমি ঘৃণা করি। যারা মায়ের জাতের সম্মান নষ্ট করে তাদের বেচে থাকার অধিকার নেই। আমি পারলে নিজ হাতে শাস্তি দিতাম। তবে নিজ নারী ছেড়া ধনকে নিজে কষ্ট দিতে পারিনি। তবে যে দিয়েছে ন্যায় কাজ করছে।
মাশরিনা সত্যিই অবাক। এই নারীকে শুরু থেকেই তার রহস্যময়ী লাগছে। মাশরিনা সাহস করে জানতে চায় আমাকে আশ্রয় দেয়ার কারণটা আজ জানতে চাচ্ছি মা
– হুম বলবো। টুল টেনে বস।
– আমি মফস্বলে বেড়ে ওঠা এক মেয়ে। ছোট বেলায় মা বাপ সব হারাই। ছোট একটা বোন ছিল। ওকে আকড়ে ধরে বেচে ছিলাম। ও আমার থেকে অনেক ছোট ছিল। নিজ হাতে খাওয়াতাম। গোসল করাতাম। ভীষণ ভালোবাসতাম বোনটাকে আমার। এরপর একদিন মফস্বলে ঘুরতে যায় সানওয়ার চৌধুরী। তখন আমি বোনকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে গেছিলাম। তখন আমার উপর নজর পরে সানওয়ার চৌধুরীর। তিনি ব্যাস্ত হয়ে যান বিয়ে করার জন্য। দুটো বোন এত স্ট্রাগল করে বড় হচ্ছিলাম। তার জন্য প্রতিবেশি রা, আত্মীয় স্বজনরা মিলে ঠিক করে এই ছেলের হাতেই আমাকে তুলে দিবে। হয়ও তাই। আমাকে ভালোবাসার কোন কমতি রাখে নি তিনি। তবে আমি যে আমার বোনকে ভীষণ ভালোবাসতাম তা জানতেন তিনি। তাই ওকেও এনে আমাদের সাথে রাখেন। দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। সাফিন সাজিদ দুজনই তখন আমার কোলজুড়ে। আমি যেন স্বর্গের সুখ খুজে পেয়েছিলাম। কিন্তু বিপত্তি বাধল সেদিন।
এতটুকু বলেই চোখের কোটর ভরে এলো রুবির।তারপর আবার বলতে শুরু করেন
– সেদিন অনেক বেলা হয়ে যাবার পরেও যখন রুহি ঘুম থেকে জাগছিল না তখন ওর রুমে যাই। রুমে গিয়ে দেখি আমার বোনটা ফ্যানের সাথে ঝুলছে। সেদিন বোনকে হারিয়ে আমি পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। ছোট থেকে ওর আমি ছাড়া আর কেউ ছিল না আর না ছিল আমার কেউ ও ছাড়া। দুজন দুজনের প্রাণ ছিলাম। ওকে হারিয়ে সেদিন আমি বাড়ি ফাটিয়ে চিতকার করে কোদেছি। কেউ ছিল না দেখার। ও কেন এমন কাজ করল তার কোন উত্তর তখনও পাইনি। পুলিশ লা’শ পোস্টমর্টেম করতে চাইলে সানওয়ার চৌধুরী করতে দেন নি। তিনি বলেছিলেন কি দরকার মৃত্যুর পর কা’টা ছিড়া করার। তার কথা সেদিন মেনে নিয়েছিল সবাই। কিন্তু তার চালাকি সেদিন কেউ ধরতে পারে নি। ধরা পরেছিল তার বেশ কিছু দিন পর। আমি রুহির পছন্দের শাড়িটা নামাই। তার ভেতর থেকে সাদা একটা কাগজ পরে। আমি এমনি কাগজ ভেবে সেটা তুলি। কিন্তু কাগজটা হাতে নিয়ে যা দেখেছিলাম তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছিল। ওই সানোয়ার নামক জানো*** জোর জবরদস্তি করেছিল আমার ওই নিষ্পাপ বোনটার উপর। যখন ওর পাপের ফসল আমার বোনের গর্ভে তখন ওই অসভ্য লোক তা অস্বীকার করে। আর সেই অপরাধী মুখ লুকাতেই বোনটা আমার দুনিয়া ছাড়ল। তখন মন চাচ্ছিল নিজ হাতে ওই জানো** এর জীবন নেই। কিন্তু তখন আমার দুটো ছেলে ছোট ছোট। ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে হাত কেঁপেছে আমার। ওদের এতিম করার মতো সাহস আমার হয় নি। কিন্তু বড় ছেলেটা বড় হয়ে প্রথম অসভ্যতা করেছিল নিজের ই ফুপাত বোনের সাথে। মেয়েটা নিজের সম্মান এর ভয়ে মুখ খোলেনি। সেদিন নিজেকে বড় অসহায় মা মনে হয়েছিল। তারপর আরও একটা মেয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে ঠকায় তাকে। তারপর তো তুমি এলে। হয়ত তুমি বিয়ে করতে চেয়েছিলে নয়ত ও তোমাকে বিয়ে না করে নিজের চাহিদা পুরন করে কে’টে পড়ত। এরকম জানোয়া**দের পৃথিবীতে বেচে থাকার অধিকার নেই। যেই করুক কাজটা ঠিক করেছে। আর তোমাকে আমার কাছে রাখার কারণ তোমাকে দেখার পর সেদিন আমার মনে হয়েছিল যে কতটা অসহায় হয়ে আমার বোনটা জীবন বলি দিল। আমি চাইনি দুইটা প্রান অন্যের পাপের দায়ে অকালে ঝড়ে যাক।
– মা কাজটা যেই করুক সে আমার সন্তানকে এতিম করেছে৷ আমি চাই তার শাস্তি হোক।
মাশরিনার হঠাৎ এমন কথা শুনে চমকায় রুবি হোসেইন। তিনি আচমকা বলে ওঠে
– কি বলছ এসব। তার মানে তুমি কাজটা করো নি।
– আমি করলে কি শাস্তি চাইতাম। আপনি মিছিমিছি আমাকে সন্দেহ করলেন এতদিন। আসলে আপনি জানেনই না কে খু’নি।
রুবি হোসেইন সত্যি সত্যি ভাবনায় পড়ে যায়। তার ধারণা তো এত ভুল হতে পারে না। তবে কে করল। শাফিন এর প্রতি ক্ষোভ তো আরো দুজনের রয়েছে।
– মা আমি চাকরির জন্য এপ্লাই করেছিলাম। চাকরিটা হয়ে গেছে। তার পাশেই একটা বাসা দেখেছি আমি৷ কাল সেখানে চলে যাচ্ছি।
– কি বলছিস তুই এসব৷ মাকে ছেড়ে তুই কোথায় যাবি।
– আপন #নীড়ের_খোজে। অন্যের উপর বোঝা হয়ে থাকতে ভালো লাগছে না।
– কিন্তু…
– মা কফিটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। নিচে আসুন গরম করে দিচ্ছি।
মাশরিনা আর কোন কথা বলতে না দিয়ে উঠে যায় সেখান থেকে। কফির মগ হাতে নিয়ে ছাদের দরজা অবধি যায়। সেখানে অন্ধকারে মিলিয়ে যাওয়ার পর পেছন ঘুরে তাকায় একবার। রুবি হোসেইন এখনো অদ্ভুত নজরে ওর দিকে তাকিয়ে। মাশরিনা বোঝে তিনি এখন বিশাল কনফিউশান এর মাঝে আছে। ঠোটের কোনে রহস্যময়ী হাসি দেখা যায় মাশরিনার। মনে মনে আওড়ায় আপনি ভীষণ রহস্যময়ী মা। কখন আপনার মনে কি চলে ধরা বড় দায়। আমার প্রতি আপনার এই সন্দেহ আমাকে আর আমার মেয়েকেও শেষ করে দিত। সন্দেহ দূর করতে এই কথাটুকু ভীষণ দরকার ছিল। আমি যাচ্ছি নিজ #নীড়ের_খোজে। দুজন রহস্যময়ী নারী একসাথে থাকা সম্ভব নয়৷ এখনো যে অনেকটা পথ চলা বাকি।
🌸🌸সমাপ্ত🌸🌸🌸