নিশ্চুপ_ছেলে
#পার্ট_২
Written by Avantika Anha
ফুপা বসে ছিল এমন সময় নীল আসলো । এমন সময় ফুপা বলল , আনহা মা নীলকে খাবার দে
আমি আর নীল দুজনেই অবাক । নীল এর চোখের কোণে বিন্দু জলের দেখা পেলাম হয় তো তা একটু ভালোবাসা পেয়ে ।
আমি খাবার দিচ্ছিলাম এমন সময় চোখ মারলাম ওকে হিহি ।
.
নীল রাগান্বিত চোখে আমার দিকে তাকালো ।
.
আমি এমন ভাব নিলাম যেন কিছুই করি নি ।
.
রাতে চ্যাটিং এ
তানহা ( ফেসবুকে ) : কি খবর
নীল : হাসি ইমোজি ভালোই আপনি
তানহা : তা তো ভালোই তা এতো খুশি কেন ( যদিও জানি তবুও )
নীল : আজ প্রথম আব্বু আমার কেয়ার করলো বিশ্বাস করুন এতো খুশি কোনোদিন হই নি
আমি : তা তো খুব ভালোই তাইলে কিটক্যাট খাওয়ান সেই খুশিতে হিহি
নীল : হাহা আজ এতো খুশি সামনে থাকলে ঠিক খাওয়াতাম
আমি : হাহা সময় আসুক নিবোই আমি
নীল : হুমমম
.
.
পরের দিন
নীল : আনহা
আমি : হুম
নীল : আমার ফোন দেও
আমি : আমি নেই নি এবার
নীল : মজা ভালো লাগে না দেও বলছি
আমি : সত্যি নেই ( সত্যিই নেই নি এবার )
নীল : ভালো লাগে না দেও বলছি
( জোরে আমার হাত ধরে )
( আম্মু ভয় লাগে এতো রাগ কেন নেই নি তবুও )
আমি : জানি না সত্যি
নীল ধাক্কা দিল
হঠাৎ ধাক্কা সামলাতে না পেরে লোহার টেবিলে মাথা লেগে কিছুটা আঘাত পেলাম । যদিও তা একটুই ছিল । আমি কেঁদে চলে গেলাম নিজের রুমে ।
.
কিছু সময় পর ফুপা : নীল
নীল : জ্বী ( খুশিতে তার বাবা তাকে ডাকছে )
ফুপা : তোমার ফোন টা একটু নিয়েছিলাম ।
আামার ফোনের চার্জ ছিল না একটু দরকার ছিল তাই ।
নীল : ব্যাপার না ( যদিও নীল অনেক টাই লজ্জিত হলো আনহা কে কষ্ট দিয়ে )
নীল আনহার রুমের ওদিক গেল ।
কিন্তু কান্নার আওয়াজ পেল ।
( অনেক সময় রুমে বসে কাঁদছিলাম )
.
নীলের নিজেকে লজ্জিত মনে হলো ।
.
বিকেলে
নীল : আনহা
আনহা : কিছুটা কষ্টে তাই জবাব দিলাম না
নীল : আমাকে ক্ষমা করে দেও
আমি : নিশ্চুপ
নীল : সরি রে
আমি : কিছু না বলে কেঁদে ফেললাম
নীল : প্লিজ কেঁদো না
আমি : ( কাঁদুরি বেশি আরও জোড়ে কেঁদে ফেললাম )
নীল : চুপ করো প্লিজ
আমি : আর কিছু না বলে ওকে জড়িয়ে ধরে কাঁদা শুরু করলাম
নীল : ( কি আর বলবে ) কেঁদো না
আমি : চুপ করে বললাম । এমন করিস কেন আমার সাথে তোর ছোট হলেও আমি তো তোর খারাপ চাই না । আজ তো কিছু করিও নি । আমি তো নিলে স্বীকার করি যে হ্যা নিছি ।
নীল : আমি জানি সরি
আনহা : এক শর্তে মাফ করবো
নীল : কি শর্ত
আনহা : আমাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে যাবি আর কিটক্যাট আর আইসক্রিম কিনে দিবি এক বক্স
নীল : আচ্ছা ঠিক আছে
.
আনহা : চল তাহলে
নীল : এখনি
আনহা : হুম
.
ফুচকার দোকানে
নীল : এতো জ্বলদি খাও কেনো আস্তে খাও
আমি : তুই কি মেয়ে
নীল : মানে ( ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে )
আমি : তুই মেয়ে না তাই বুঝবি না
নীল : ওহ
আমি : এই দেখ আমার শেষ
নীল : আমার শেষ হোক ওয়েট
আমি : ( ওর প্লেট থেকে একটা উঠিয়ে )
নীল : এটা কি করলা
আমি : কি আর তুই খাচ্ছিস ধীরে তাই উঠায় নিলাম
নীল : রাক্ষসী
আমি : কি বললি
নীল : রাক্ষসী বললাম
আমি : ইসস তুই তাইলে ভুত
নীল : তুমি পেত্নী
আমি : হুম তোমারি ( আস্তে )
নীল : কিছু বললা
আমি : না ও কিছু না
নীল : ওহ
.
সেদিন বিকেলে অনেক ঘুরলাম ।
.
বাড়িতে গিয়ে
ফুপা : তোরা কই গেছিলি
আমি : কেনো ঘুরতে গেছিলাম
ফুপা : তা আমাকে বলবি না
আমি : হিহি না
ফুপা : ফাজিল মেয়ে তা নীল কই
আমি : চকলেট আনতে গেছে আমার জন্য
ফুপা : মা আমি এতকাল মিছে রাগ করছি ছেলেটার উপর তুই ঠিক ই বলছিলি । তাই ওর খেয়াল রাখার চেষ্টা করছি । তুই ওর পাছে থাকিস ওকে স্বাভাবিক করিস । তুই ছাড়া এটা কেউ পারবে না রে
আমি : আচ্ছা ফুপা তুমি চিন্তা করো না
ফুপা : আমি আর কতোদিন বাঁচবো যাওয়ার আগে নীলের দায়িত্ব তোর হাতে দিয়ে দিবো ।
আমি : আচ্ছা ফুপা আমি করবোই ওকে ঠিক ।
.
রাতে
খাওয়ার টেবিলে ,
ফুপা : নীল
নীল : জ্বী আব্বু
ফুপা : আনহার তো রেজাল্ট বের হবে কিছুদিন পর
নীল : হুম
ফুপা : আনহা কে রেজাল্ট বের হওয়ার পর এখানকার ভার্সিটি এ ভর্তি করায় দিস ও এখানেই থাকবে
নীল : আচ্ছা
ফুপা : তার আগে কিছুদিন ওদের বাড়ি থেকে ঘুরে আয়
নীল : আচ্ছা ( কখনো ফুপার কথা অমান্য করে না )
আমি : ফুপা আমার যে একটা ইচ্ছে আছে
ফুপা : হ্যা মা বল
আমি : বাসে যাবো নীলের সাথে
ফুপা : কেন গাড়ি থাকতে বাস কেন
আমি : ইইইই ওই যে ইইই
ফুপা : ও হ্যা হ্যা নীল ও যেভাবে যেতে চায় নিয়ে যা ( ইশারা বুঝছে )
.
যাওয়ার দিন
বাসে ,
নীল : জোড় করে বাস এ নিয়ে এলে
আমি : হিহি এটার মজা আছে
নীল : ভালো
আমি : নে ইয়ারফোন টা কানে ঢুকা
নীল : লাগবে না
আমি : আচ্ছা
.
কিছু সময় পরে
ওর কাধে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করলাম । কিছুটা ঘুমের ভানেই ।
.
নীল : কিছুটা নড়তে গিয়েও নড়লো না ভাবলো আমার ঘুম ভেঙ্গে যাবে এই ভয়ে
আমি : চুপচাপ হাসি পাচ্ছিল কিন্তি হাসলাম না
.
.
কিছু সময় পর
আমার চুল বাতাসে মুখের সামনে এসে পড়লো নড়তে গিয়ে নড়লাম না । এই ভেবে যে নড়লেই ও বুঝবে আমি জেগে ।
.
নীল : তাকিয়ে আছে আর ভাবছে কি নিশ্পাপ লাগছে এই ফাজিল মেয়ে টাকে
.
নীল হাত দিয়ে চুল সরাতেই
.
আমি : একটু নড়ে ঘুম ভাঙ্গার অভিনয়ে
.
আমরা পৌঁছাইছি ?
নীল : হুম আরেকটু
.
চলবে…..
( দেরির জন্য ক্ষমা প্রার্থী )