নারী_নারীত্ব_সতী_সতীত্ব_ইত্যাদি_ইত্যাদি
#পর্ব_২
#ইসরাত_ইতি
“ভাই আবার বের করে দিছে ঐ মেয়েরে ঘর থেকে। ব্রাঞ্চ রোডে ভিড় জমছে। বুঝি না ওর বড় বোনটা কি বলদ নাকি?”
শাদ সিগারেটের শেষ টান টা দিয়ে টুকরোটা পায়ে পিষে ঘড়িতে সময় দেখে। রাত তখন সাড়ে এগারোটা প্রায়। কাঠপট্টির ওমাথার শেষ দোকানটির শাটার নামিয়ে ধীরেণ রায় নিজের বাইক চালু করে বাড়ির রাস্তা ধরে। দৃষ্টি এক ঝলক সেদিকে বুলিয়ে শান্ত গলায় ওমরকে বলে,“ওর কি আঠারো হয়েছে রে?”
_মিতুর কাছে শুনেছি হয়নি।
শাদ টান টান হয়ে দাঁড়িয়ে বুক ভরে শ্বাস নিলো। ও আসলে শ্বাস নয়,নিলো এক কঠিন সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তটা নিতে গিয়ে শাদ তালুকদারের ঘাম ছুটে গিয়েছে।
“চরকলোনির হুজুররে টাকা দিলে বিয়ে পড়িয়ে দেবে না?”
গুরুর কথায় এক নিমিষেই ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা সাত আটটা চোয়াল হা হয়ে ঝুলে পরতে চায়। ওমর চাপা স্বরে চিল্লিয়ে বলে ওঠে,“বাল্য বিবাহ করবেন?”
পকেট থেকে মানিব্যাগ বের করে টাকার পরিমাণ দেখছে শাদ। জবাব টা দেয় শান্ত গলায়,“মুসলিম বিবাহ করবো। আমার বয়স হয়েছে, ওরও বয়স হয়েছে। চেহারা দেখে তোদের মনে হয়না দুই একটা বাচ্চা অনায়াসে পালতে পারবে ঐ মেয়ে? হাবলি হলে হবে কি? হাট্টাগাট্টা আছে। মনে তো হয় সংসারী হবে?”
ওরা তখনও অবিশ্বাসের ঘোরে। ওমর বলে,“আর এতদিন যে বাস্তবতার কথা বলতেন? বাস্তবতা এই, বাস্তবতা সেই। ওসব?”
ওয়ালেট টা পকেটে ঢুকিয়ে নিজের বাইকে চেপে বসে এবারো শান্ত গলায় জবাবটা দেয় শাদ।
“বাস্তবতার গুষ্টি কিলাবো। আমার বৌ খাওয়ানোর গাটস আছে আমার। তুই কাজি আন। কাদতেছে নাকি রে?”
_তা দেখিনি।
_কতক্ষণ ধরে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে?
_এই আড়াই ঘণ্টা তো হবেই।
এবার একটু মেজাজ উঠলো শাদের, আপনমনেই বিড়বিড় করলো,“ডেঙ্গুর সিজন। নিশ্চয়ই মশায় কামড়ে তামা তামা করে ফেলছে। যদি এমন কিছু হয়না? ওর বোন দুলাভাইকে আমি চিবিয়ে খাবো দেখিস,তাও লবণ ছাড়া।”
______________________________________
চলবে।