#নভেম্বরের_শহরে
লেখক-এ রহমান
পর্ব ১৩
দরজা খুলে ভেতরে পা দিতেই বাড়ি ভর্তি লোকজন দেখে নুহার ভেতর কেপে উঠলো। এই শীতেও ঘেমে যাচ্ছে সে। ভয়ে ভয়ে পা ফেলল ভেতরে। নিঃশব্দে দরজা লাগাল। সে বাইরে যাওয়ার সময় এতো লোক ছিল না তো। তাহলে হঠাৎ করেই এতো লোকের আগমন হল কিভাবে? তার মায়ের কিছু হল নাতো। এই ভয়টাই সবার আগে মনে বাসা বাধল তার। চারিদিকে অস্থির ভাবে দৃষ্টি ফেরাল। সামনে তাকাতেই চোখ পড়ল তার মা সোফায় বসে সবার সাথে বেশ হাসি মুখে কথা বলছে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল সে। আবারো এদিক সেদিক তাকাল। সারা বাড়িতে লোকজন গিজগিজ করছে। এসব দেখে নুহার মাথা ঘুরছে। সে বাইরে যাওয়ার সময় কোন ভাবেই বুঝতে পারেনি এতো লোক আসবে। আর মা নানি কেউ তাকে বলেনি। আর হুট করে সবার আসার কারণটা বোধগম্য হল না তার। এগিয়ে গিয়ে মায়ের কাছে দাঁড়ালো। কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই তার দাদি বলল
–ঐ দেখ সন্ধ্যা বিতে তারপর এসেছে। বলি আজ বাইরে না গেলে কি এমন ক্ষতি হতো? এতো রাত অব্দি বাইরে থাকা ভালো না।
নুহা একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। সে আরও আগেই চলে আসত। কিন্তু মায়ের ঔষধ কিনতেই দেরি হয়ে গেছে। মৃদু কণ্ঠে বলল
–আমি জানতাম না তোমরা আসবে দাদি। জানলে আজ যেতাম না।
আনিস সাহেব উঠে দাড়িয়ে নুহাকে হাত ধরে তার কাছে টেনে নিলেন। পাশে বসিয়ে দিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বললেন
–আম্মু তোমার সাথে একটু কথা আছে।
নুহা নত দৃষ্টিতেই মৃদু সরে বলল
–জি বলেন বড় আব্বু।
আনিস সাহেব আমতা আমতা করে বলতে শুরু করলেন
–আসলে রেহানা আপা আমাদের সবাইকে এখানে আসতে বলেছেন। একটা আর্জি উনি রেখেছেন। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি। এখন শুধু তোমার অপেক্ষা। তোমার কাছে দুটো কথা শুনতে চাই।
নুহা বুঝতে পারছে না কিছুই। সে চুপচাপ বসে আছে। অপেক্ষা করছে কি বলবে সেটা শোনার জন্য। আনিস একটু সময় নিয়ে বলল
–আসলে কোন এক কারনে তারা চায় আজই ছোট করে তোমাদের বিয়েটা হয়ে যাক। তাই আমাদের সবাইকে আসতে বলেছে। আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন শুধু তোমার মতামতের অপেক্ষা।
কথাটা শুনে নুহা যেন আকাশ থেকে পড়ল। এতো তাড়াতাড়ি বিয়ের কি দরকার ছিল সেটাই বুঝতে পারলো না। সে যেন অকুল পাথারে পড়ে গেলো। মা অসুস্থ। বাবাকে খুজে বের করতে হবে। আবার এইদিকে তার নিজের পড়াশুনা। এলোমেলো ভাবনা মস্তিষ্কে বিচরণ করে বেড়াতে লাগলো। আবার ভাবল তারা তাকে সময় দিয়েছে। নাহলে আরও আগেই বিয়েটা হয়ে যেতো। আর যেখানে সব রকম মত দেয়া শেষ সেখানে আজ বিয়ে হোক বা দুইদিন পর কি যায় আসে। সবাই নুহার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছে। নুহা মৃদু কণ্ঠে বলল
–আপনারা যা ভালো মনে করেন তাই করেন।
সবাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। মাসুদ বলল
–তাহলে ওনাদেরকে আসতে বলি। ঘরোয়া একটা অনুষ্ঠান করতে চায় ওনারা। তেমন কেউ আসবে না।
নুহা কোন উত্তর দিলো না। আনিস নুহার বড় মাকে বলল
–যাও আম্মুকে রেডি করে দাও। ওনারা তাড়াতাড়ি চলে আসবেন।
নুহার বড় মা তাকে নিয়ে ঘরে গেলো। নুহা হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এলো। নুহার চাচি বলল
–ভাবি ওকে ফ্রেশ করে আগে কিছু খাওয়ায়ে নিয়েন। পরে কখন খাইতে পাবে কে জানে?
তার বড় মা তাকে খাইয়ে দিলো। তারপর একটা প্যাকেট এনে সেখান থেকে শাড়ি বের করে পরিয়ে দিলো। বড় মা তাকে মন মতো রেডি করে দিলো। হালকা সাজিয়ে দিলো। নুহাকে খুব সুন্দর লাগছে। নুহার মাথায় এখন অন্য চিন্তা ঘুরাফেরা করছে। তার মা অসুস্থ। এই অবস্থায় বিয়েটা কি ঠিক হচ্ছে? তাছাড়া তাকে কি বিয়ের পর এখন সামিনের বাসায় গিয়ে থাকতে হবে? তাহলে মায়ের খেয়াল কে রাখবে? মৌ তো এখনও নিজের খেয়াল রাখতেই শিখেনি। এসব নিয়ে সামিনের সাথে কথা বলতে হবে। কিন্তু সামিন তো তার সাথে কথাই বলছে না। এতসব ভাবনার মাঝেই মৌ দৌড়ে এসে বলল
–আপা তোমার শ্বশুর বাড়ির লোক আসছে।
এতক্ষন নিজেকে শান্ত রাখলেও এই কথাটা শোনার পর যেন নুহার ভিতরে তাণ্ডব শুরু হয়ে গেলো। অস্থির লাগছে তার। হাত পা কাঁপছে। মৌ তাকে দেখে বলল
–আপা তোমার ঠাণ্ডা লাগছে? চাদর দিবো।
কথা শেষ করেই নুহার গায়ে পাশে থেকে একটা চাদর এনে জড়িয়ে দিলো। তার কথার অপেক্ষা করলো না। নুহা চুপচাপ বসে আছে। বেশ কিছুক্ষন পর নুহার মা, রেহানা আরও দুই একজন মহিলা ঘরে ঢুকল। এরা মনে হয় সামিন দের সাথে এসেছে। নুহা কাউকে চিনেনা। এই জন্যই তার আরও বেশী অসস্তি হচ্ছে। রেহানা নুহার থুতনি ধরে মুখটা একটু তুলে বলল
–বাহ! খুব সুন্দর লাগছে। কই ব্যাগটা দেখি।
একজন মহিলা একটা ব্যগ ধরিয়ে দিলো রেহানার হাতে। রেহানা ব্যাগটা নিয়ে সেখান থেকে গয়নার বাক্স বের করে একে একে সব গয়না পরিয়ে দিলো নুহাকে। সালেহা রেহানাকে উদ্দেশ্য করে বলল
–আপা ভাই সাহেব আসলো না যে?
–আসবে। একটু কাজ আছে। অফিস থেকে সোজা আসবে।
রেহানার কথাটা নিষ্প্রাণ শোনালো। সে আসিফ কে আসতে বলেনি। কিন্তু সামিন বলেছে। আর এক মাত্র ছেলের বিয়েতে না আসলে বিষয়টা খারাপ দেখাবে। রেহানা আসলেই জানে না আসিফ আসবে কিনা। গয়না পরানো শেষ করে রেহানা একটু ভাবল। অন্য মনস্ক হয়ে বলল
–আমি একটু ফোনে কথা বলে আসছি।
একটা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালো। ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে আসিফের নাম্বারে ডায়াল করলো। বেশ কিছুক্ষন পর আসিফ ফোন ধরে বলল
–রুহি তুমি আমাকে ফোন করেছো?
রেহানা ঝাঁঝালো গলায় বলল
–আমি তোমার খবর নিতে ফোন করিনি। জানিয়ে দিতে ফোন করেছি। আজ তোমার ছেলের বিয়ে। সমাজ বলে একটা কথা আছে। তুমি না আসলে বিষয়টা খারাপ হবে। আমার যদিও বা কোন যায় আসেনা কিন্তু তোমার ছেলে কষ্ট পাবে। সবার কাছে ছোট হবে।
–তুমি জানো রুহি ঐ পরিবারটা আমার পছন্দ না। আমি চাইনি ঐ পরিবারে আমার ছেলে বিয়ে করুক। কিন্তু ঐ মিডিল ক্লাস পরিবারের লোকজন আমার ছেলেকে এমন ভাবে ফাঁসিয়েছে যে ছেলে ঐ মেয়েকে ছাড়া আর কিছুই বুঝতে চাইছে না।
আসিফের এমন গা জালানো কথা শুনে রেহানার ভীষণ রাগ হল। দাতে দাত চেপে বলল
–সবাই তোমার মতো হয়না আসিফ। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষের অন্তত মন বলে কিছু একটা থাকে। তারা মানুষের সাথে বেইমানি করেনা। মানুষের মন নিয়ে খেলেনা। তারা অত্যন্ত নিরিহ হয়। আর মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়ে মেয়েটা কোন অপরাধ করেনি। আমার ছেলে এমন একটা মেয়েকে তার জীবন সঙ্গি হিসেবে বেছে নিতে চেয়েছে এটা নিয়ে আমি গর্ববোধ করছি। যাই হোক। এতো কথা বলার সময় আমার নাই। তোমার ছেলের বিয়েতে তুমি আসবে কিনা সেটা তোমার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।
কথা শেষ করেই রেহানা ফোনটা কেটে দিলো। পিছনে ঘুরতেই সামিন বলল
–কার সাথে কথা বলছিলে মা?
রেহানা কেপে উঠলো। সামিন সব শুনে ফেলল নাতো? এতো বছর ধরে তাদের সম্পর্কের সত্যতা ছেলের কাছে গোপন রেখেছে। আজ সেটা প্রকাশ হয়ে গেলো না তো? রেহানা কাপা কাপা গলায় বলল
–তুমি এখানে কি করছ? তুমি ওখানে গিয়ে বস।
–আমি তোমাকে বলতে এসেছিলাম বাবার সাথে কথা হয়েছে কিনা। বাবা এখনও আসছে না কেন?
সামিনের কথা শুনে রেহানা বুঝে গেলো সামিন কিছুই শুনতে পায়নি। আশস্ত করে বলল
–চলে আসবে সময় মতো। তুমি এতো চিন্তা করোনা।
সামিন কোন কথা বলল না। এইদিকে সব রেডি। সবাই আসিফের জন্য অপেক্ষা করছে। সে আসলেই বিয়ে পড়ান শুরু করবে। কিন্তু আসিফের কোন পাত্তা নেই। সামিন কয়েকবার ফোন দিলো। আসিফ ফোন ধরল না। ঠিকানা সামিন তাকে টেক্সট করে দিয়েছে। সবার অপেক্ষার মাঝেই কলিং বেল বেজে উঠলো। মাসুদ দরজা খুলতেই আসিফ কে দাড়িয়ে থাকতে দেখল। যদিও বা চেনেনা তবুও আন্দাজে বলল
–আপনি আসিফ সাহেব তো?
আসিফ গম্ভীর সরে বলল
–জি। কিন্তু আপনি?
–আমি মাসুদ। নুহার চাচা। ভেতরে আসুন।
বলেই হাত ধরে ভেতরে আনলেন। আসিফ ভেতরে ঢুকেই আনিসকে দেখে এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল
–আরে আনিস সাহেব যে! কেমন আছেন? আমাকে চিনতে পেরেছেন?
আনিস একটু সময় নিয়ে ভাবল। তারপর বলল
–আসিফ সাহেব! চিনতে পেরেছি।
দুজন হাত মিলালো। আনিস বেশ খুশী হয়ে বলল
–সামিন আপনার ছেলে?
আসিফ মাথা নাড়তেই আনিস হেসে বলল
–বাহ! যেমন মা তেমন বাবা। তাই বলি ছেলে এতো গুনি কিভাবে?
রেহানা কৌতূহল বসতো এগিয়ে এসে বলল
–তুমি ওনাকে চেন?
আসিফ মুখে হাসির রেখা টেনে বলল
–আরে ওনার ভাইয়ের একটা জমি অনেকদিন আগে আমি কিনে ছিলাম। আমাদের যে নতুন প্রজেক্টটা তৈরি হল সেটা ওনার ভাইয়ের জমিতেই হয়েছে তো। সামিন তোমার মনে নেই সেই আঙ্কেলের কথা? তুমি আর আমি গিয়েছিলাম যে ডিল করতে।
সামিন একটু অপ্রস্তুত হয়ে রেহানার দিকে তাকাল। তারপর বলল
–মনে আছে বাবা।
আনিস একটা হতাশ শ্বাস ছেড়ে বলল
–আসলে নুহা আমার ভাইয়ের মেয়ে। ওর বাবার জমিটাই আপনি কিনেছিলেন।
আসিফ হতাশ হল। বলল
–তাহলে এনামুল সাহেব এখন কোথায়?
–জানিনা।
কথোপকথনের মাঝে পরিবেশটা ভারি হয়ে উঠলো। রেহানা পরিবেশ সামলাতে বলল
–অনেক দেরি হয়ে গেছে। কাজী সাহেব অনেক অপেক্ষা করেছেন। আমরা বিয়েটা সেরে ফেলে গল্প করলে ভাল হয়।
সবাই সম্মতি দিলো। নুহাকে ভেতর থেকে এনে সামিনের পাশে বসিয়ে দিলো। নুহা নত দৃষ্টিতে বসে আছে। তার হাত পা কাঁপছে। ভেতরে কেমন অজানা ভয় কাজ করছে। কাজী সাহেব কি যেন পড়ছে। সেগুলো নুহার কান পর্যন্ত জাচ্ছেই না। ঘেমে যাচ্ছে অনবরত। তার অবস্থা বুঝতে পেরে তার বড় মা এসে এক হাত ধরে দাঁড়ালো। মাথায় হাত দিয়ে ফিসফিস করে বলল
–ভয়ের কিছু নেই।
নুহা নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলো। কিন্তু লাভ হল না। কাজী সাহেব নিজের কাজ শেষ করে কবুল বলতে বলল। নুহার বুক ভেঙ্গে কান্না পাচ্ছে। কিছুতেই আটকাতে পারছে না। তার মাও কাঁদছে। মুখ দিয়ে কোন কথাই বের হচ্ছে না। সবাই বারবার কবুল বলতে বলছে। নিজেকে শত চেষ্টা করে স্বাভাবিক করে নিয়ে কবুল বলল। সামিন কবুল বলতে বেশী সময় নিলো না। অবশেষে বিয়েটা সম্পন্ন হয়ে গেলো। নুহাকে তার বড় মা সবাই কে সালাম করতে বলল। নুহা উঠে দাড়িয়ে সালাম করতে গেলো। আসিফকে আগে সালাম করলো। ছেলের বউয়ের মুখ প্রথমবার দেখে আসিফ ৫ হাজার টাকা নুহার হাতে দিলো। মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করলো। আসিফের বিয়ে নিয়ে আপত্তি থাকলেও নুহার চেহারা দেখার পর তার সম্পূর্ণ ধারনা পরিবর্তন হয়ে গেছে। নুহার মায়াবি চেহারা আসিফের মন পরিবর্তন করতেও সক্ষম হয়েছে। আসিফের মনে হয়েছে। মেয়েটা তার ছেলেকে ভালো রাখবে। মাথায় হাত দিয়ে হাসি মুখে বলল
–সুখে থেক মা।
তার কথা শুনে রেহানা অবাক দৃষ্টিতে তাকাল। আসিফের মুখে এমন কথা সে কোন ভাবেই শুনবে সেটা আশা করেনি। সামিন আর নুহা একে একে সবাইকে সালাম করলো। নুহাকে ঘরে নিয়ে বসানো হল। আর সামিন বাইরেই সবার সাথে বসে থাকলো। বাড়িতে অনেক লোকজন। চারিদিকে সবাই ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে। সামিন আর নুহা নিজেদের মতো যে কথা বলবে সেটারও উপায় নেই। রাতের খাবার শেষে সামিনরা বিদায় নিলো। অনেক রাত হয়ে গেছে। তাই তারা বের হয়ে যাবে। নুহা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে। তাকে আজ নিয়ে যাবে না। নুহার মার শরীর একটু ভালো হলে নুহা শ্বশুর বাড়ি যাবে। নুহা তার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনকে বিদায় দিচ্ছে। সামিন নুহার দিকে তাকিয়ে আছে। নুহা একবার চোখ তুলে শেষ মুহূর্তে সামিনের দিকে তাকাল। সামিন নুহার সাথে কথা বলার সুযোগ খুজছে। আর নুহা ভাবছে সামিন তার উপরে এখনও রাগ করে আছে কিনা। সবার চাপে কথা বলার সুযোগ হল না। গাড়িতে উঠে বসলো সামিন। সে মায়ের গাড়িতে যাবে। আর তার বাবার গাড়ি ড্রাইভার নিয়ে যাবে। গাড়িতে বসে সামিন বিদায় নিয়ে স্টার্ট দিলো। নুহা দাড়িয়েই আছে। সামিন আয়নায় দেখছে নুহাকে। এর মাঝেই রেহানা গম্ভীর গলায় বলল
–সামিন?
সামিন মায়ের দিকে তাকাল। রেহানা সন্দিহান সরে বলল
–তুমি অনেক আগেই নুহাকে দেখেছ তাই না? নুহার খবরটা আমার কাছে পর্যন্ত পৌঁছানর ঘটনায় সম্পূর্ণ তোমার হাত আছে। আমি ঠিক বলেছি তো?
চলবে………