ধর্ষিতা_বউ
পার্ট:৩১
_প্রাপ্তির কথা শুনে অভ্র মুচকি হেঁসে আচ্ছা আমি কোন রুমে থাকবো সেটা দেখিয়ে দাও।
আসিফ -তুমি আমার সাথে আসো আমার পাশের রুমটাই তোমার।প্রাপ্তি আগেই ঠিক করে রেখেছে।
সিয়াম বাহিরে থেকে এসে অরণীকে ডাকছে। অরণী এসে, এতক্ষণ লাগে আসতে? বাহিরে বের হলে কি তোমার বাসায় আসার কথা মনে থাকেনা তাইনা?তোমার সাথে তো আয়ান ভাইয়াও থাকে কই ওনি তো বাহিরে গিয়ে ফালতু সময় কাটায় না।
সিয়াম -আস্তে কথা বলোনা, সবাই শুনলে কি ভাববে?
অরণী -শুনুক না।সবাই শুনলে যদি তোমার একটু উন্নতি হয় আরকি।
প্রাপ্তি আর নিলিমা বেগম এসে,
নিলিমা বেগম -কিরে, তুই সিয়ামের সাথে এইরকম চিল্লাচিল্লি করছিস কেনো? বাসায় অনকে গেস্ট তারা কি ভাববে?
অরণী -আম্মু তুমি এর মাঝে কথা বলোনা।
প্রাপ্তি -ঠিক আছে আমরা কথা বলবোনা।তোরা রুমে গিয়ে ঝগড়া কর মারামারি কর আমাদের কিছু যায় আসেনা।আর সিয়াম ভাইয়া! বউয়ে প্রতি একটু কেয়ার করতে শিখুন।
সিয়াম-আপু আপনি বলেন আমার কাজ থাকলে তো আমায় বাহিরে যেতেই হবে।কিন্তু অরণী শুধু শুধু আমায় বকা দিচ্ছে।
আয়ান এসে এই তোমরা সবাই পরে কথা বলো সিয়াম তুমি আমার সাথে আসো প্রাপ্তি তুমি যাবে? চল! মজার জিনিশ দেখাবো।
সবাই গিয়ে আসিফের রুমের দরজার সামনে গিয়ে,
আয়ান -চুপ করে সবাই শুনো।ভাইয়া নীরার সাথে কথা বলছে। আমরা সবাই গিয়ে একটু ডিস্টার্ব করে আসি।
সবাই রুমে ঢুকে,
আয়ান -ভাইয়া আপনি কি করছেন?
আসিফ সবাইকে দেখে, (তাড়াতাড়ি করে ফোন টা কান থেকে নামিয়ে) কই কিছু করছি না তো।
সিয়াম-ভাইয়া মনে হচ্ছে কারো সাথে ফোনে কথা বলছিলেন?
আয়ান সিয়ামের দিকে তাকিয়ে, আরে সিয়াম! তুমি কি বলছো ভাইয়া তো কিছু করছিলোনা।সমস্যা নেই ভাইয়া আমরা এখন বসে আপনার সাথে আড্ডা দিবো।
আয়ানের কথা গুলো শুনে সবাই মিটমিট করে হাঁসছে।
আসিফ -হ্যাঁ সমস্যা নেই।
অভ্র ফ্রেশ হয়ে এসে আমিও কিন্তু আড্ডা দিতে চলে এলাম তোমাদের সাথে।
অভ্র -ভাইয়া আমাদের নীরা ভাবীর সাথে ঠিকঠাক ভাবে কথা হয়তো? নাকি এখানেও আপনার লজ্জার ব্যাপার স্যাপার আছে?
আসিফ -(আমতা আমতা করে) অভ্র তুমি কিযে বলনা?
অভ্র -ভাইয়া আমি কি খারাপ কিছু বলে ফেললাম?আচ্ছা ভাবীর খবর আমরা না নিলে কে নিবে?
আসিফ -আমার কথা বাদ দাও, নিজে বিয়ে করছো না কেন? সব কিছু তো ঠিক আছে বিয়েটা করে ফেলো।
সবাই বসে আসিফের রুমে আড্ডা দিচ্ছে।নিলিমা বেগম রেশীকে বললো, রেশী! আসিফের রুমে সবাই আড্ডা দিচ্ছে, একটু ডেকে আনোতো। সবাই খাবে কখন? আমি খাবার দিয়ে দিচ্ছি কষ্ট করে সবাইকে ডাকো।
রেশী -জ্বী আন্টি! আপনি খাবার রেডি করেন আমি সবাইকে ডেকে আনছি।
রেশী আসিফের রুমের দরজায় দাঁড়িয়ে, ভাবী! খাবার খেতে সবাইকে ডাকছে।
প্রাপ্তি-রেশী ভিতরে আসো।কিভাবে যে একা একা পড়ে থাকো বুজিনা।কোথাও যেতে বললে ও যায় না।আসো ভিতরে আসো।
অভ্র রেশীর দিকে তাকিয়ে, কেমন আছো রেশী? বিকালবেলা একঝলক দেখা দিয়ে কোথায় যে হারিয়ে গেলে?
রেশী -ভাইয়া আন্টি ডাকছে খাবার খাওয়ার জন্য।পরে কথা বলি।
সবাই উঠে গেলো খাবার খেতে,আজাদ সাহেব এসে বসলেন খাওয়ার জন্য,আয়ান কালকের আয়োজন কেমন চলছে? কোনো সমস্যা হবে নাতো?
আয়ান -বাবা আপনি একদম চিন্তা করবেন না?আমরা সবাই তো আছি।সিয়াম! তোমার অফিস থেকে ছুটি নিয়েছো?
সিয়াম -হ্যাঁ আজকেই ছুটি নিলাম।৩ দিনের জন্য।
সকাল থেকেই সবাই অনেক ব্যস্ত। প্রাপ্তির সকাল থেকে একবারো আয়ানের সাথে দেখা হয়নি।ডেকোরেটরের লোকের সাথে আঠার মতো লেগে থাকতে হচ্ছে। আজাদ সাহেব অনেক আশা নিয়ে সব দায়িত্ব আয়ানের উপর দিয়েছে।ঠিকঠাক ভাবে পালন করতেই হবে।
অভ্রকে আয়ান স্টেজ সাজানোর জন্য ফুল আনতে পাঠিয়েছে।সিয়াম আর অরণী গাঁয়ে হলুদের তত্ত্ব নিয়ে নীরাদের বাড়ি গেলো।
আয়ান এসে ড্রইংরুমে বসতে বসতে রেশীকে ডেকে বললো, রেশী এক কাপ চা দাও তো।প্রাপ্তি চা হাতে করে এসে রেশী তুমি বসো আমি নিয়ে এসেছি। আমি জানতাম স্যার এখন এসে চা চাইবে।
তাই সাথে করে নিয়ে এসেছি।
আয়ান মুচকি হেঁসে কিভাবে তুমি আমার মনে কথা গুলো বুজো বলো তো?
এমন সময় দরজায় দাঁড়িয়ে সুমি বললো, আয়ান এইকথাটা আগে আমাকেও বলতে তাইনা? এখন বউ পেয়ে তো সব ভুলে গেলে।সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।প্রাপ্তি তো বিশ্বাস করতেই পারছেনা।সে সুমিকে দেখছে।একবার আয়ানের দিকে তাকাচ্ছে, আরেকবার সুমির দিকে।
আয়ান প্রাপ্তিকে চোখ দিয়ে ইশারায় সুমিকে দেখিয়ে মিটমিট করে হাঁসতে লাগলো।
সুমি -প্রাপ্তি! আমি কি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকবো ভিতরে আসতে বলবে না?
প্রাপ্তি -(এগিয়ে গিয়ে) আরে না না! ভাবী আমি কি সত্যি দেখছি নাকি সপ্ন বুজতে পারছিনা তাই থমকে গেছিলাম।(জড়িয়ে ধরে) কতো দিন পর তোমাকে দেখলাম।কিন্তু ভাইয়া কোথায়? ভাইয়াকে তো দেখছিনা।
তোমার ভাইয়া গাড়ি থেকে ব্যাগ গুলো নামিয়ে আসছে।তোমাদের জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ আছে।
রুমকি দৌড়ে এসে মা মনি!
প্রাপ্তি মা মনি কথাটা শুনেই পাশের দিকে তাকিয়ে দেখে রুমকি।রুমকিকে দেখে দৌড়ে গিয়ে কোলে তুলে নিয়ে (কান্না জুড়িত কন্ঠে) আম্মু তুমি কেমন আছো? কতো দিন পর তোমায় দেখেছি।
রুমকি -মা মনি আমি একা আসিনি আম্মু আব্বুও আসছে।
প্রাপ্তি -তাই! কোথায় ওরা? পিছনে আসছে।
আকাশ আর নিহাদ কে সালাম দিয়ে ঝিনুক কে জড়িয়ে ধরে বাসার ভিতরে ঢুকলো।
ঝিনুক কে দেখে আয়ানও অবাক হয়ে আছে।ঝিনুক এসে আয়ানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো।(সবাই এসে ড্রইংরুমে ঝোড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আয়ানদের দেখছে।)আয়ানও নিজের চোখের পানি গুলো লুকোতে পারলোনা।আকাশ ও এসে ভাইবোনকে জড়িয়ে ধরে নিজেও কাঁদতে লাগলো।
ঝিনুক -কতো দিন পর তোকে দেখেছি।কতোটা বদলে গেছিস তুই।তোর কি আমাদের কথা একবারো মনে পড়েনা।
আয়ান -তুইও তো আমাকে ফোন দিসনি।তাই আমার ও একটু অভিমান হয়েছিলো তোর উপর।ভাইয়া! তুই বাচ্চাদের মতো কেনো কান্না করছিস? দুইটা বছর পর তোদের দেখা পেয়েছি।তাই আজকের দিনে আমি কাঁদতে চাইনা আর।
রুমকি আয়ানের কাছে এসে, মামা! তুমি তোমার ছোটো আম্মুকে ভুলে গেছো?
আয়ান নিজের চোখের পানি মুছে রুমকিকে কোলে নিয়ে না আম্মু তোমায় একটুও ভুলিনি।আমার আম্মু দেখছি কতো বড় হয়ে গেছে।(নিহাদের দিকে চোখ পড়তেই)আরে ভাইয়া তুমি কেমন আছো? তুমি দেখছি কোনো কথাই বলছোনা।
নিহাদ -কি করে বলবো? তোমাদের ভাইবোনদের দেখে আমি নিজেই ইমোশনাল হয়ে গেছি।নিলিমা বেগম কাছে আসতেই সুমি জড়িয়ে ধরে আন্টি কেমন আছেন?
নিলিমা বেগম -তোমাদের দেখে এখন অনেক ভালো আছি।
প্রাপ্তি ঝিনুক, নিহাদ,আকাশকে সবার সাথে পরিচর করিয়ে দিচ্ছে।নিহাদ রেশীকে দেখে, আয়ান! এ তোমাদের কি হয়?
রেশী নিহাদকে দেখে ভয় পেয়ে আছে। নিহাদ ভাইয়া কি সব বলে দিবে? আয়ান ভাইয়া আর ভাবী যদি আমায় ভুল বুজে।
আয়ান -ভাইয়া তুমি কি ওকে চিনো নাকি?
নিহাদ -হ্যাঁ! ওকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি,,,এমনকি ও তো,,,,,,,,
নিলিমা বেগম -আচ্ছা বাবা তোমরা পরে কথা বলো।আগে ফ্রেশ হয়ে নাও।প্রাপ্তি তুই ওদেরকে রুম দেখিয়ে দে সবাই ফ্রেশ হয়ে নেক।(অরণী আর সিয়াম আসতেই) ওইতো অরণী আর সিয়াম এসে গেছে।অরণীকে দেখে সবাই ওদের সাথে কথা বলেছে।কথা শেষ করেই প্রাপ্তি সবাইকে রুমে নিয়ে গেলো।
ঝিনুক নিহাদকে চুপচাপ থাকতে দেখে, নিহাদ তখন থেকে দেখছি ওই মেয়েটাকে দেখে চুপ করে আছো। কিন্তু কেনো? মেয়েটাকে তুমি কিভাবে চিনো
নিহাদ -ঝিনুক আমি ফ্রেশ হয়ে আসি পরে তোমায় বলবো।
প্রাপ্তি নিহাদের কথা গুলো কেমন জেনো মাথায় গেঁথে গেছে।রেশীকে ভাইয়া কিভাবে চিনে? আয়ান কে একবার বলে দেখি,আয়ান ফোনে কথা বলছে, প্রাপ্তিকে দেখে কিছু বলবে?
প্রাপ্তি মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বুজালো।
আয়ান কল কেটে দিয়ে, হুম বলো? কি হয়েছে মন খারাপ? আমার লক্ষ্মী বউটার তো মন খারাপ হওয়ার কথা না।সবাইকে পেয়ে তো খুশি থাকার কথা।
প্রাপ্তি- নিহাদ ভাইয়ার কথাটা তোমার মনে আছে রেশীকে নাকি ওনি চিনে!ওনি যখন কথাটা বলছিলো রেশীর মুখের দিকে একবার দেখেছো? কেমন যেনো ভয়ে ভয়ে ছিলো।
আয়ান -(কাছে এসে প্রাপ্তির গাল দুটোকে দুই হাত দিয়ে ধরে)ঠিক আছে আমার বউটার চিন্তা করার দরকার নেই। আমি পরে নিহাদ ভাইয়ার কাছ থেকে সব কিছু জেনে নিবো।এইবার একটু হাঁসো? আমার বউয়ে হাঁসি মুখটাই যে আমার কাছে সব।
প্রাপ্তি মুচকি হেঁসে আয়ানের বুকে মাথা রেখে তোমাকে অনেক অনেক thanks!
আয়ানও প্রাপ্তিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,
thanks কিসের জন্য মহারাণী?
প্রাপ্তি-আমার আবদার টা রাখার জন্য।
আয়ান- এর জন্য শুধুই মাত্র thanks? আর কিছু না?
প্রাপ্তি -তাহলে আরকি?
আয়ান -আর হচ্ছে,,,, আর তোমার ওই দুটো ঠোঁট আমার দুটো ঠোঁটের সাথে এক করতে চাই।
প্রাপ্তি লজ্জা পেয়ে, তোমাকে কাল কি বলেছি ভুলে গেছো?
আয়ান -আয়ান প্রাপ্তিকে সরিয়ে দিয়ে না ভুলিনি।কিন্তু আমার যে ইচ্ছে করে আমার বউকে একটু কাছে পেতে।প্রাপ্তি আমি মানুষ, পাথর নয়।
প্রাপ্তি -আমি জানি। এতোদিন যখন সহ্য করেছো তাহলে আরেকটু করো প্লিজ।
আয়ান- ওকে।আমার একটা কথা রাখবে?
প্রাপ্তি -বলনা কি কথা?
আয়ান -তুমি কখনো সাজো না।আজ হলুদের অনুষ্ঠানে একটু সাজবে? প্লিজ আমার জন্য না হয় এইটুকু কষ্ট করো।
কথা টা বলে আলমারি থেকে একটা প্যাকেট বের করে এনে আয়ান প্রাপ্তির হাতে দিয়ে এইগুলো তোমার জন্য।এইখানে সব কিছু আছে তুমি সেজে নিও।আয়ান বাহিরে চলে গেলো।প্রাপ্তি প্যাকেট টা হাতে নিয়ে সেইখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
অরণী প্রাপ্তিকে ডাকতে এসে দেখে প্রাপ্তি প্যাকেট হাতে নিয়ে পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে।
অরণী -আপু তোর কি হয়েছে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?গেস্টরা অকেই এসে গেছে আম্মু তোকে ডাকছে।আচ্ছা আপু আজকেও তুই সাজগোজ কিছুই করবিনা? আয়ান ভাইয়াও যে কি কিভাবে তোর এইসব পাগলামো সহ্য করে বুজিনা।
প্রাপ্তি প্যাকেট টা খাটের উপর রেখে দিয়ে, তোর ভাইয়ার ধৈর্য শক্তি হয়তো একটু বেশি তাই আমার মতো মেয়েকে তার কপালে জুটেছে।আচ্ছা চল আম্মু কেনো ডাকছে দেখি।
অভ্র এসে নিলিমা বেগমকে আন্টি আমার জন্য এক কাপ চা দিয়েন আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।নিহাদ ও নিজের রুম থেকে ফোনে কথা বলতে বলতে আসছিলো।অভ্র নিলিমা বেগমকে কথা টা বলেই নিজের রুমে যেতে নিহাদের সাথে ধাক্কা খেতেই নিহাদের হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো। নিহাদের মুখের দিকে না তাকিয়ে অভ্র নিচু হয়ে ফোনটা নিচ থেকে নিয়ে নিহাদের হাতে দিতেই চমকে গেলো।নিহাদ ও অভ্রকে দেখে কম অবাক হলোনা।অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে,
নিহাদ-তুমি এইখানে?
অভ্র -ভাইয়া আপনি এইখানে?
আয়ান রেডি হয়ে এসে, কিরে অভ্র তুই এখনো রেডি হয়ে আসিসনি।তোকে বলছিনা তুই রেডি হয়ে এসে আসিফ ভাইয়াকে রেডি করাতে হবে।অভ্রকে নিহাদের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে আয়ান বললো, অভ্র তোকে তো পরিচয় করাতে তো ভুলেই গেছি, ইনি হচ্ছে আমার দুলাভাই। আমার বড় আপুর হ্যাজবেন্ড।
আর ভাইয়া এ হচ্ছে,,,,,,,,,,
আয়ান বলার আগেই নিহাদ মুচকি হেঁসে বললো মাহবুবুল রাহমান অভ্র।
আয়ান আশ্চর্য হয়ে ভাইয়া তুমি ওকে চিনো?
নিহাদ -অভ্র আমি কি তোমাকে সত্যিই চিনি?
অভ্র কিছু না বলে, আয়ান আমি রেডি হয়ে আসছি।বলেই অভ্র নিজে রুমে চলে গেলো।
চলবে,,,,,,,,,