ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব

5
4581

ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব

#Rabeya Sultana Nipa

__প্রাপ্তি আয়ানের বুকের সাথে মিশতেই বুজে গেছে এই আর কেউ নয়,তার পরী তার বুকে এসে পড়েছে।প্রাপ্তি চোখ বন্ধ করে আছে।এইযে সেই শান্তি যা আমার আয়ানের বুকে মাথা রাখলে পেতাম।এ মানুষটা তো আর কেউ নয় এই যে আমার আয়ান।আয়ানের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। আয়ান নিজের দুই হাত দিয়ে প্রাপ্তির গাল দুটো ধরে,পরী একটা ভুলের শাস্তি যে ২৬ টা বছর পেতে হবে আমি ভাবিনি।পরী তোমার একবারো মনে হয়নি তোমার আয়ান কখনো তোমায় ঠকাতে পারেনা।

(আদর আর আশফির দুই জোড়া চোখ বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে মাকে দেখছে,)
প্রাপ্তি হঠাৎ তানিয়ার কথা মনে পড়তেই গাল থেকে আয়ানের হাত নামিয়ে, মিস্টার আয়ান আপনি কোথাও ভুল করছেন। আমি আপনার পরী নয়।আপনার পরী তো সেই মেয়ে যাকে কাছে পাবার জন্য আপনি আমায় মিথ্যা বলেছিলেন।
(আয়ান আর প্রাপ্তি ভুলেই গিয়েছিলো তাদের ছেলেমেয়ে তাদের দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে)
প্রাপ্তিকে নিজের কাছে হেঁচকা টান দিয়ে বুকের সাথে মিলিয়ে, প্রাপ্তি সেইদিন রাতে তুমি আমার সাথে চিট করছো,সেই রাতে তো আমি তোমাকে সবকিছু বলতেই এসেছিলাম কিন্তু তুমি সেইদিন রাতে নিজের ভালোবাসায় আমাকে ফাঁশিয়ে দিয়েছিলে।তোমার ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলাম।পরে যখন তোমাকে বলতে ছেয়েছি তুমি আবোলতাবোল বকে আমাকে বলার সুযোগ না দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছো।পরী আজ আমি সেই সুযোগ হাত ছাড়া করবোনা।
আদর আর আশফির বুজতে বাকি নেই ইনিই তাদের বাবা।তবুও তারা চুপ করে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।
প্রাপ্তি নিজেকে আয়ানের কাছ থেকে ছাড়ার চেষ্টা করছে আয়ান প্রাপ্তিকে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে,পরী তুমি যতোই চেষ্টা করো আয়ান তোমায় ছাড়ছেনা।পরী ওই তানিয়া নামের কেউ আমার মনের আসনে ছিলোনা।তানিয়া শুধুই আমার ফ্রেন্ড ছিলো।আয়ান প্রাপ্তি কে তানিয়ার ব্যাপারে এক নিশ্বাসে বলতে লাগলো।পরী তুমি আসার কয়েকদিন পরেই তানিয়া মারা গেছে।আয়ানের মুখে সব শুনে প্রাপ্তি নিস্তব্ধ হয়ে গেছে।সেই ভালো করেই জানে আয়ান তাকে কখনো মিথ্যা বলতে পারেনা।প্রাপ্তি আয়ানকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার দিয়ে দিয়ে কাঁদতে শুরু করলো। আয়ানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার ভাষা তার নেই।আজ নিজের উপর অনেক রাগ হচ্ছে প্রাপ্তির। কি ভাবে পারলো তার আয়ানকে এতো কষ্ট দিতে।আয়ান আর প্রাপ্তির সাথে সাথে আশফি আর আদরও কান্না করে যাচ্ছে। খানিকক্ষণ পরে আয়ান চোখ মুছে প্রাপ্তিকে বুক থেকে সরিয়ে দাঁড় করিয়ে,প্রাপ্তি আমার আশফি কই? প্রাপ্তি চোখ দিয়ে ইশারায় আশফিকে দেখাতে আয়ান আশফির দিকে তাকিয়ে হাত দুটো বাড়িয়ে দিয়ে, ভাগ্যের কি পরিহাস নিজের মেয়েকে কাছে পেয়েও চিনতে পারলামনা।আয়ান হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে আশফির দিকে, আশফি প্রাপ্তির দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে।
প্রাপ্তি মাথা নাড়াতেই আশফি দৌড়ে আয়ানকে জড়িয়ে ধরলো।আয়ান কাঁদতে কাঁদতে আমার মেয়ে আমার সামনে ছিলো তবু্ও বাবা তোকে চিনতে পারিনি।

আশফি -এতে তোমার কোনো দোষ নেই।তোমার ভালোবাসা আমাদের ভাগ্যে ছিলো না।
প্রাপ্তির আদরের দিকে চোখ পড়তেই, আদর তুই দূরে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?কাছে আয়?
আয়ান আশফিকে ছেড়ে দিয়ে প্রাপ্তির দিকে তাকিয়ে, ওর সাথে তোমার কিসের সম্পর্ক?
কথাটা শুনে আদর কাছে আসতে গিয়ে ও থেমে গেলো।বাবাকে পেয়ে খুশি হলেও বাবার মুখ থেকে এমন কথা আশা করেনি আদর।সব কষ্ট মনে লুকিয়ে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলো।প্রাপ্তি পিছন থেকে বার বার ডাকলেও কোনো সাড়া দেয়নি আদর।
প্রাপ্তি আয়ানের দিকে তাকিয়ে এইটা কি করলে তুমি? তোমার কথায় আমার ছেলেটা অনেক কষ্ট পেয়েছে।কিভাবে ওর অভিমান ভাঙাবো আমি?
আয়ান -এক মিনিট! তোমার ছেলে মানে?প্রাপ্তি তুমি কি,,,,,,
এমন সময় সাবিত সাহেব রুম থেকে বেরিয়ে এসে, না! আদর তোমারই সন্তান।
কথাটা শুনে আয়ান অবাক হয়ে প্রশ্ন ভরা চোখ নিয়ে প্রাপ্তির দিকে তাকালো,
প্রাপ্তি -হ্যাঁ আদর তোমার সন্তান।আমি তোমায় ঠকায়নি সেইদিন আমিও জানতাম না আমি প্রেগন্যান্ট। (সাবিত সাহেবের দিকে তাকিয়ে) বাবার বাসায় যাওয়ার পর বুজলাম আমি আবারও তোমার সন্তানের মা হতে যাচ্ছি।কথা গুলো বলেই প্রাপ্তি দৌড়ে আদরের রুমে দরজার সামনে দাঁড়ালো।আয়ানও পিছু পিছু আসলো।

প্রাপ্তি -আদর! এই আদর! তুই অনেক কষ্ট পেয়েছিস মা জানি।কিন্তু তোর বাবা তো জানে না।প্লিজ বাবা রাগ করিস না দরজাটা খোল।

আয়ান-আদর! তুই আমাকে ক্ষমা করে দে।আদর আমি যে আমার ছেলেকে একটু জড়িয়ে ধরতে চাই।আমার ছেলেটা যে কষ্ট পেয়েছে আমি এক নিমিষেই ভুলিয়ে দিবো।তুই শুধু একবার দরজা খোল।

প্রাপ্তি কাঁদতে কাঁদতে, আদর তুই মায়ের কথা শুনবিনা।কথাটা বলতেই দরজা খুলে দিলো আদর, প্রাপ্তি ছেলেকে জড়িয়ে ধরে এতো অভিমান কেউ করে?

আদর- নিজের জন্মদিনে কেউ কান্না করে?
আয়ান এসে ছেলেকে জড়িয়ে ধরলো।
আদর -সরি! আংকেল আপনাকে কি বাবা বলে ডাকতে পারি?
ছেলের কথা শুনে আয়ান আদরের পেটে হালকা ঘুসি দিয়ে, আংকেল বললে মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলবো।বাবা ছেলের কথা শুনে সবাই হাঁসতে লাগলো।
রাতে খাওয়াদাওয়া করে সারারাত বসে সবাই আড্ডা দিতে লাগলো।

সকাল ৯.০০ টা সবাই ড্রইংরুমে বসে আছে। আকাশ আর আবিদ চৌধুরী পেপার পড়ছে, আয়েশা বেগম আর মুনিয়া কিছু একটা নিয়ে বসে গল্প করছে।সুমি রান্নাঘর থেকে এসে সদর দরজার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে হা করে আছে।আয়ান আর প্রাপ্তি ভিতরে ঢুকছে এইটা তো চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেনা।সে সপ্ন দেখছে নাতো।সুমির দিকে আকাশের চোখ পড়তেই নিজেও দরজার দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে,বাবা দেখো কে এসেছে?আবিদ চৌধুরী হাতের পেপারটা রেখে তাকাতেই উচ্ছ্বাসিত হয়ে আরে,,,,আরে,,, আয়েশা দেখো কে এসেছে, আমার ঘরের লক্ষ্মী ফিরে এসেছে।মুনিয়াও অবাক হয়ে ম্যাম!
প্রাপ্তি আবিদ চৌধুরী আর আয়েশা বেগমকে সালাম করে আশফি আর আদরকেও চোখ দিয়ে ইশারা করলো দাদা দাদীকে সালাম করতে।
আয়ান -বাবা! তোমার নাতিনাতনি।

আবিদ চৌধুরী -ডাক্তার আমার নাতনি ? (অট্র হাঁসি দিয়ে)কিন্তু নাতি?

আয়ান-বাবা আমি বুজেছি তুমি কি বলতে চাইছো। কিন্তু হ্যাঁ ও আমার সন্তান তারপর আয়ান সব বললো সবাইকে।তবে তোমাদের জন্য আরেকটা সারপ্রাইজ আছে শুধু আমার মেয়ে ডাক্তার নয় আমার ছেলেও ডাক্তার।
হঠাৎ প্রাপ্তির মুনিয়ার দিকে চোখ পড়তেই মুনিয়া তুমি এইখানে?
সুমি-প্রাপ্তি তুই মুনিয়াকে চিনিস? ও আমার মেয়ে!
প্রাপ্তি -এইজন্যই মুনিয়া আমায় ফাস্ট দিনিই বলেছে ম্যাম আপনাকে আমি আগে কোথাও দেখেছি।

মুনিয়া-এখন তো এইটা সত্যি আমি তোমায় ছবিতে দেখেছি।
আর কাকাই ম্যাম আমার কাকী মা! ভাবতে পারছো আমি কতোটা ভাগ্যবান। আর আমার একটা ভাইয়া একটা আপুও আছে।

আবিদ চৌধুরী -আয়ান আমার ঘরের লক্ষ্মী ফিরে এসেছে এখন আর আমার কোনো চিন্তা নেই। আমার লক্ষ্মী আজ থেকে আমার বাড়িতে থাকবে। আকাশ! আসিফকে ফোন দিয়ে খুশির খবরটা দাও।সুমি আমার নাতিনাতনি কে ওদের রুম দেখিয়ে দাও।আয়ান তুই প্রাপ্তিকে নিয়ে রুমে যা।
প্রাপ্তি -বাবা আপনি কিছু মনে করবেন না! আমি এই বাড়িতে থাকতে পারবোনা।
আবিদ চৌধুরী অবাক হয়ে, মানে?
প্রাপ্তি করুন গলায় বলতে লাগলো, বাবা বিপদের সময় আমি আমার আরেকজন বাবাকে পেয়েছি।সেই মানুষটাকে রেখে আমি থাকি কি করে?
আবিদ চৌধুরী অট্র হাঁসি দিয়ে প্রাপ্তিকে নিজের কাছে টেনে এনে, এই কথা! উনাকেও এইবাড়িতে নিয়ে আয়।আমরা সবাই এক সাথে থাকবো। এই বুড়ো বয়সে আর তোদের হারাতে চাইনা।এই বুড়ো দুটো মানুষের কথা তুই একবার ভাববিনা?
প্রাপ্তি আবিদ চৌধুরীকে জড়িয়ে ধরে, বাবার কথা মেয়ে কি কখনো ফেলতে পারে?
মুনিয়া আশফিকে হাত ধরে, আপু চলো তোমার রুমে।আমরা দুই বোন জমিয়ে আড্ডা দিবো।
আদর চুপচাপ হয়ে সোফায় গিয়ে বসে পুরো বাড়ি টা কে দেখছে।আজ সে তার বাবার বাড়ি এসেছে।মনে শান্তি ও লাগছে।কিন্তু অনেক গুলো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।ইচ্ছে করছে মাকে সব গুলো প্রশ্ন একসাথে করে ফেলি।না! প্রশ্ন আমি মাকে করবো না।এতে মা হয়তো কষ্ট পাবে।
ঘন্টা দুয়েক পরেই এক এক করে সবাই চলে আসতে লাগলো,নিলিমা বেগম আর আজাদ সাহেব তো মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করে একাকার। আসিফ প্রাপ্তির দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।তার মনে হচ্ছে এইতো কিছু দিন হলো আমার সেই ছোট্ট প্রাপ্তি সব কিছু সবাইকে ছাড়া কতো নিখুঁত ভাবে সাজিয়ে নিয়েছে।ছেলে মেয়েকে ডাক্তার বানিয়েছে।প্রাপ্তি আসিফের কাছে এগিয়ে এসে, কিরে ভাইয়া কি ভাবছিস?

আসিফ-আমার বোনটাকে দেখছি বলে প্রাপ্তিকে জড়িয়ে ধরলো।
ঝিনুক রেশী অভ্র সবাই এসেছে।ঝিনুকের মেয়ের রুমকিও এসেছে তার দুই ছেলেকে নিয়ে।

প্রাপ্তি -রেশী তোর ছেলে মেয়ে আসেনি?

রেশী -ভাবী তোমরা তো হঠাৎ করেই এসেছো তাই আনতে পারিনি।ওরা ভার্সিটিতে আছে। ওদের ফোন দিয়ে বলে দিয়েছি এইখানেই আসতে।
আজ চৌধুরী বাড়ি আবার সবাই মিলে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।আনন্দ দুঃখ সবকিছু সবাই ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাই আড্ডা দিয়ে যেই যার রুমে ঘুমাতে চলে গেলো।
আয়ান বারান্দায় এসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে।নিজেকে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে।প্রাপ্তি রুমে এসে আয়ানকে না পেয়ে বারান্দায় গিয়ে আয়ানের পাশে দাঁড়িয়ে আয়ানের কাঁধে হাত দিয়ে,তারা গুনছো না কি চাঁদ দেখছো?
প্রাপ্তিকে নিজের কাছে টেনে এনে দুটোই।

প্রাপ্তি -আয়ান! তুমি আমাকে ক্ষমা করেছো তো?
আয়ান মুচকি হেঁসে,পরী প্রিয় মানুষের অন্যায় গুলো কখনো অন্যায় ভাবতে নেই।তাই ক্ষমা করার প্রয়োজন পড়েনা।
প্রাপ্তি দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে তোমার মতো জীবন সাথী পাওয়া প্রতিটি মেয়ের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার।
প্রাপ্তি কথা গুলো শেষ করে আয়ানের দিকে চোখ পড়তেই, কি দেখছো এমন করে?

আয়ান – চাঁদ দেখছি।
প্রাপ্তি – চাঁদ তো আকাশে।কিন্তু তুমি তো আমার দিকে তাকিয়ে আছো।
আয়ান প্রাপ্তিকে নিজের বাহুডোরে জড়িয়ে ধরে তোমার মনে আছে পরী? আমি তোমাকে বলেছিলাম তুমি যখন ওই দূর আকাশের চাঁদ
দেখবে তখন আমি আমার পাশে যে চাঁদ থাকবে সেটা দেখবো।
প্রাপ্তি মুচকি হেঁসে আয়ানের বুকে মাথা রেখে তোমার পাগলামি গুলো বাদ দিয়ে আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো।
প্রাপ্তির কথা শুনে আয়ান আর দেরি না করে সত্যিই প্রাপ্তিকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো।

সমাপ্ত

(শেষে একটা কথাই বলতে চাই মানুষ বুড়ো হতে পারে কিন্তু তাদের ভালোবাসা কখনো বুড়ো হতে পারেনা।)

5 মন্তব্য

  1. ২৬ টা বছর!

    আরে ভাই ব্যাবসায়িক কাজ ছাড়াও আো কত কাজ তো থাকতে পারে!
    সামান্য একটা কথা কেন লুকিয়ে গেলো সেটার খোঁজখবর না নিয়েই ভুল বুঝতে হবে। স্বামীকে অন্যেে সাথে তুলনা দিতে হবে। রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়েছো ভালো কথা তাই বলে ২৬ বছরের মধ্যে একবারো খোজ নেওয়ার ইচ্ছা হলোনা। বালের ভালোবাসা!

    যোগাযোগ রাখবি না ভালো কথা তাই বলে এতো ভালোবাসার মানুষের একটু খোজতো চাইলেই রাখা যেত,তাহলে কয়েকমাসেই সব ক্লিয়ার হয়ে যেত!

    দুটো সন্তানতে পিতার কাছ থেকে ২৬ বছর দুরে রাখা ,পিতার আদোর-শাষন থেকে বন্চিত করা।

    আজাইরা কাহিনি……..!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে