ধরো যদি হঠাৎ সন্ধ্যে
শেষ পর্ব
“আপনি ফান করছেন তাই না? রসিকতা হচ্ছে?”
“মীরা, আমি জানি আপনি হার্ট হয়েছেন। কিন্তু দেখুন আমার মনে হলো এখনই এর ইতি টানা উচিত হয়েছে।”
“আপনার এখন মনে হলো ইতি টানা উচিত হয়েছে!যখন সব ঠিক। এনগেজমেন্টের প্রস্তুতি চলছে?”
“মীরা, আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জানি আমি যেই এক্সকিউজই দেই কোনোটাই যথাযথ নয়। কিন্তু আমি এসব চাইনি। ভালোবাসার অনুভূতিটা আমার জন্য এত অদ্ভুত ছিল যে আমি নিজেই নিজেকে তারজন্য প্রস্তুত করতে পারছিলাম না। এরইমাঝে জানতে পারি যাকে নিজের অজান্তে চেয়েছি, তার বিয়ে।”
“আর এইজন্য আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন তাই না? আপনার ভাবভঙ্গি দেখেই আমার সন্দেহ হয়েছিল। দেবদাসের মতো ঘুরছিলেন। এখন কী হয়েছে? আপনার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে ভেঙে গিয়েছে? তাই এখন আমাকে আবার বাদ দেওয়া যায় তাই না?”
“নাহ্। তার বিয়ে ভাঙেনি। সে আমার গার্লফ্রেন্ডও নয়। সে এখনো জানেই না আমি তাকে ভালোবাসি।”
“তাহলে সমস্যা কী? ওনাকে বিয়ে করে জীবন গুছাতে দিন। আমরাও আমাদের মত জীবন গুছিয়ে নেই। আমি চেষ্টা করব আজকের এসব কথা ভুলে যেতে। আপনিও অতীত টেনে বর্তমান আর ভবিষ্যৎ খারাপ করবেন না।”
“মীরা আপনি বুঝতে পারছেন না! এভাবে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হলে আমরা কেউ সুখী হব না। আমি আপনাকে ভালোবাসতে পারব না। স্বাভাবিক একটা বৈবাহিক জীবন আমাদের হবে না। এখন যা আপনার কাছে কোনো বিষয় নয়, তখন তাই বড়ো হয়ে যাবে।”
“যাবে না। কেননা কোনো কিছুই এখন আমার সম্মানের চেয়ে বড়ো না। আপনি কি বুঝতে পারছেন না বিয়েটা ভেঙে গেলে আমি কতটা অসম্মানিত হব।”
“মীরা এসব কিছুই কি ভালোবাসাহীন বিয়ের চেয়ে বড়ো?”
“অবশ্যই বড়ো। বড়ো না হলে একটা বেকার অপদার্থ ছেলেকে আমি বিয়ে করতে রাজি হতাম না। একরকম আপনার সমস্ত দুর্বলতা অগ্রাহ্য করে এই বিয়ের আয়োজনে রাজি হয়েছি আমি। শুধুমাত্র আমার পরিবারের ইচ্ছায়। আমি অন্য সব বিষয় কম্প্রোমাইজ করে রাজি হয়েছি যেন আমার বাবা মা চিন্তামুক্ত হয়।”
“ওনারা নিশ্চয়ই আপনাকে সুখী দেখতে চায়। আমার সাথে আপনি সুখী হবেন না। আমি টের পেয়েছি আমরা দু’জন একদম অন্য রকম ভাবনা রাখি। আপনি বাস্তববাদী বৈষয়িক একজন। আমি অনেকটা ছন্নছাড়া ধরনের। আমার মায়ের ধারণা আপনি আমার ছন্নছাড়া জীবন গুছিয়ে দিবেন। কিন্তু এটা আমাদের ভুল নয় কি? বিয়ে কোনো আসাইলাম নয়। এটা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নয় যেখানে একজন পার্টনার অপরজনকে কারেকশন করবে। তাছাড়া আমি নিজেকে বদলাতে চাইও না।”
“আপনি যাকে চাইছেন সে আলাদা? আপনার এই বাউণ্ডুলে ছন্নছাড়া জীবন মেনে নিবে?”
“আমি জানি না। আমি তাকে এখনো নিজের অনুভূতি জানাইনি। আমার হাতে সে সময়ও নেই। আজ তার বিয়ে।”
“সেই মেয়েটা কি মিতুল?”
আরমান চুপ করে থাকে। মিতুলকে বদনাম করতে চায় না।
“বলবেন না?”
“আমি কাউকে বদনাম করতে চাই না। কিন্তু আমু শুধু এই বিয়েটা করতে চাই না। এ প্রতারণা। আপনার সাথে, আপনি অবশ্যই এমন কাউকে ডিজার্ভ করেন যে ছন্নছাড়া, বাউণ্ডুলে যেমনই হোক না কেন। অন্তত আপনাকে ভালোবাসবে। বাহুতে একজনকে জড়িয়ে, হৃদয়ে আরেকজনকে নিয়ে ঘুমাতে যাওয়াটাও কি প্রতারণা নয়? এ প্রতারণা আমার নিজের সাথেও। আমি অনন্ত এই জাল ছিঁড়ে বের হতে চাই।”
“সে জানে না আপনি থাকে ভালোবাসেন কিনা। অথচ আপনি তার প্রেমে এতটাই হাবুডুবু খাচ্ছেন যে তার নাম নিয়ে তাকে বদনামও করতে চান না। আর আমার প্রতি এতটাই অনুভূতিশূন্য যে এমন সময় আমার হাত ছেড়ে সমস্ত অপমান, গ্লানি আমার ঝুলিতে রেখে যেতেও দ্বিধা নেই? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটা মেয়ের হুট করে বিয়ে ভাঙার প্রভাব জানেন? আপনি কোনো প্রিন্স চার্মিং নন। না ভালো জব করেন। না বিশাল খানদানী ধনী পরিবারের ছেলে। তারপরও এতটা কম্প্রোমাইজ করে এই বিয়ের আয়োজন হয়েছিল শুধু আমি মেয়ে বলে, বয়স হয়ে যাচ্ছে। বাবা, মা, ভাই সবার চিন্তা। সেই চিন্তা মুক্ত করতে।”
“এটা ভুল মীরা। আপনি কেন কম্প্রোমাইজ করবেন। এটা সুখ দিবে না। আপনি এখনি ব্যক্তি আমাকে সম্মানের চোখে দেখে গ্রহণ করছেন না। করছেন কম্প্রোমাইজ হিসেবে। যে সম্পর্কের শুরুটাই এমন করে হয়, তা থেকে সুখ আসে না। আপনি শিক্ষিত, সুন্দর, আর যে বয়সের কথা বলছেন, তা কিছুই না। ত্রিশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বিয়ে কোনো আশ্চর্য কিছু নয়। আমরাই এই ট্যাবু বানিয়েছি।”
“আপনি ঠিকই বলেছেন। এই বিয়ে অতি অবশ্যই ভাঙা উচিত। তবে তার সাথে আরেকটা জরুরি কাজ কি জানেন? যার জন্য এই আঙটি কিনেছেন তাকে একবার অন্ততঃ বলেন। আজ আপনি আমার সাথে যা করলেন তা আপনাকে বীরপুরুষ বানায়নি। পুরোপুরি কাপুরুষ হওয়ার আগে নিজের জন্য দাঁড়ান। আসি।”
মীরাকে যুবায়ের গাড়ি দিতে চেয়েছিল। ইচ্ছে করেই না করেছিল। উবারে করে এসেছে। মনে মনে একটা শখ লালন করছিল। ওদিনের মতো আজও মীরা একা বলে আরমান বাইকে করে পৌঁছে দিয়ে আসবে। মীরা আদরে বড়ো হওয়া মেয়ে। কষ্ট দেখেনি, করতেও হয়নি। সবাই বলে বাবা মা ভাইয়ের অতি আহ্লাদের জন্য মীরার বর খুঁজে পেতে এত দেরি হয়েছে। প্রথমে এত অল্প বয়সে বিয়ে দিবে না। তারপর যোগ্য আরও যোগ্যের খোঁজ। কখন যেন বয়সটা সমাজের বানিয়ে দেওয়া মাপকাঠিতে বেশি হয়ে গেল। রিজেকশনটা এবার অপরপাশ থেকে আসতে শুরু করলো। তবু কখনো বাবা, মা, ভাইকে দোষী মনে হয়নি। অথচ আজ মনে হচ্ছে। একসময় যারা বিন্দুমাত্র কম্প্রোমাইজ করতে চাইছিলেন না। আজ তারা যেকোনো ভাবে বিয়ে দিতে চাইছিল না? নাকি দোষটা তার ভাগ্যের। আরমানকে সে অনেকবার শুনিয়েছে যে বাউণ্ডুলে, ছন্নছাড়া। শুধু নিজের আত্মসম্মানের ভঙ্গুর কাঁচ যেন ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো না হয়। অথচ এখন মীরা আর নিজেকে সামলাতে পারছে না। প্রাণপণে চেষ্টা করেছিল, আরমান বারবার যে সম্পর্কের ভবিষ্যত নেই বলে যুক্তি দিচ্ছিল। তাকেই একটা নাম দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বুঝতে পেরেছে এভাবে তো হয় না। যখন বর্তমানে অতীতের ছায়া পড়ে, তখন আর তার কোনো ভবিষ্যত থাকে না। বিদায় তখন অবশ্যম্ভাবী। সেই বিদায়ে একপক্ষ চোখ নামিয়ে পালিয়ে, অপরপক্ষ বুকের ভেতরটা ধ্বসে পড়ার অনুভূতি নিয়ে সরে আসে। অক্টোবর রেইন নেমেছে। শিউলি ফোঁটার বেলায়, ঝড়ো বৃষ্টি। মীরা আস্তে রিকশার হুডটা নামিয়ে দেয়। ভিজে যাক সব, ধুয়ে যাক সকল কষ্ট। একতরফা জেগে ওঠা ভালোবাসার জ্বলুনি কমে যায়। আজ এই শহর তলিয়ে যাক।
***
“মাশাল্লাহ মিতুল কী সুন্দর লাগছে তোকে। সিম্পল একটা সাজেই পারফেক্ট লাগছে। একদম একটা পরীর মতো।”
মিতুল মুচকি আসে। মিতুলকে নিয়ে তুলতুল পার্লারে এসেছে। আজই আকদ হবে। ফারহানের বাসা থেকে খুব সুন্দর একটা জামদানি পাঠানো হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে খুব দামী। বিয়ের গয়নাগুলো বাসায়। গোল্ড নিয়ে পার্লারে আসেনি। চুরি ছাড়া গোল্ডপ্লেটের কোনো গয়না আনেনি সাথে। আকদ বলে সবকিছুই সিম্পল রাখা হয়েছে।
তুলতুল পার্লারের মেয়েটাকে ডেকে বলে,
“আপু শাড়িটা পরিয়ে দিন। বাসা থেকে ফোন আসছে।”
তুলতুল নিজেও হালকা সাজবে। ওদের দু’জনকেই সায়েম এসে নিয়ে যাবে। তুলতুল সাজতে বসে। মিতুলকে পার্লারের আপুটা শাড়ি পরাতে নিয়ে যায়। মিতুল ফোনটা তুলতুলের কাছে রেখে যাবে ভেবেও কী মনে করে হাতে করে নিয়ে যায়। মেয়েটা শাড়ির ভাঁজ খুলবে এমন সময়ই ফোন আসে, আরমানের নাম দেখে চমকে যায় মিতুল। ধরবে না ধরবে না করেও রিসিভ করে।
“হ্যালো।”
“হ্যালো মিতুল। আমি তোমার পার্লারের নিচে। খুব জরুরি কথা আছে। একটু নামবে প্লিজ।”
“মানে কী বলেন এসব? আমি কোন পার্লারে আপনি কিভাবে জানেন?”
“সায়েমের কাছে শুনেছি। ও একটু পর তোমাদের নিতে আসবে। প্লিজ একটু নিচে নামবে? আমি সিঁড়িতে আছি। দুটো কথা বলেই চলে যাব।”
“আপু, ফোন রাখেন। এত নড়াচড়া করলে শাড়ি পরাতে পারব না।” পার্লারের আপুর দিকে এক নজর তাকিয়ে মিতুল বলে, “আসছি দাঁড়ান।”
আরমান সিঁড়ির দিকে তাকিয়ে আছে। মিতুল পেটিকোট ব্লাউজের উপর কামিজ পরে মাথায় ওড়না জড়িয়ে নেমে এসেছে। এত অদ্ভুত পোশাকেও কী অদ্ভুত সুন্দর লাগছে। আরমানের মনে পড়ে না কখনো কোথাও এত সুন্দর মুখ দেখেছে। সন্ধ্যা এখনো নামেনি। তবে রাস্তায় রাস্তায় জ্বলে উঠছে বাতি। গোধূলি রাঙা বিকেল শেষ হতে চলেছে। প্রাকৃতিক আলো, আলো আর কৃত্রিম আলোর এক অন্যরকম যুগলবন্দি। সেই আলোতে দাঁড়িয়ে আছে এক অপ্সরা।
“কী এত জরুরি কথা, যা আজ এখনি বলতে হবে?”
“আজই বলতে হবে। অপেক্ষা করার সময় যে নেই। এমনিতেই অনেক দেরি করে ফেলেছি। কথাটা বলেই আমি চলে যাব। তোমাকে কোনো বিপদে ফেলতে নয়। তোমার জীবনটা কঠিন করতে নয়। কিন্তু আজ এই কথাটা না বলে গেলে আমি বাঁচতে পারব না। মনে হচ্ছে দমবন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছি। বলে গেলেই আমার মুক্তি। তোমার কোনো সিদ্ধান্ত, মতামত জানতে না। আমার নিজের জন্যই আজ এখানে আসা।”
“আপনার কথা আমি কিছু বুঝতে পারছি না।”
আরমান এগিয়ে আসে। মিতুলের চোখে চোখ রেখে বলে,
“তোমার চোখে আমি জীবন দেখেছি,
যে জীবন মৃত্যুর কথা বলে না।
বলে অমরত্বের কথা।
সেই অমরত্ব দেশে দেশে নানা নামে পরিচিত।
আমি তার নাম দিয়েছি ভালোবাসা, ভালোবাসা।
অনাদি-অনন্তকাল এই চোখে চেয়ে রব নির্নিমেষ
আমার দিন কেটে যাক তোমায় দেখে
সন্ধ্যা নামুক, রাত কেটে হয়ে যাক শেষ।
তবু প্রতিটি প্রভাতে আমি বলব,
ভালোবাসি ভালোবাসি, ভালোবাসি অনিঃশেষ।”
মিতুলের পা দুর্বল লাগে। এই শব্দটা শোনার জন্য কতদিনের হাহাকার। কত রাত জাগা। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল নামক বিষণ্নতার আবাস গড়া। মিতুল বসে পড়ে সিঁড়িতে। আরমান ভয় পেয়ে ছুটে আসে।
“কী হয়েছে? ঠিক আছ? মিতুল”
“না ঠিক নেই। ঠিক ছিলাম না। কিন্তু এখন আপনি আমাকে আরও… ”
“মিতুল। আই অ্যাম স্যরি। প্লিজ মিতুল। আমি চলে যাচ্ছি। তুমি উপরে যাও।”
“চলে যাচ্ছি মানে? এসব আমাকে বলে আপনি এখন চলে যাবেন?”
“হ্যাঁ। আমি শুধু তোমাকে আমার মনের কথা জানাতে এসেছিলাম। তোমার জীবন নষ্ট করতে না।”
“তারপর কী করবেন? মীরাকে বিয়ে করবেন?”
“মীরার সাথে আমার বিয়েটা ভেঙে দিয়েছি। আমি ওকে বিয়ে করতে পারব না।”
মিতুলের ঠোঁটে হাসি ফুটে ওঠে। পরক্ষণেই আবার চোখে রাগ। আরমান অবাক হয়ে যায়।
“ওহ তাই? আর আমাকে রেখে যাবেন আরেকজনকে বিয়ে করতে?”
“আমি তো জানি না।”
“কী জানেন না? বুড়া হাবড়া। এমন অবুঝের ভাব করছেন। আমি ফারহানকে বিয়ে করব না। কোথায় নিবেন, কী করবেন জানি না। আর যদি নিয়ে যেতে পারেন জীবনেও আপনার চেহারা দেখাবেন না।”
বলতে বলতে মিতুল কেঁদে দেয়। আরমান কী ভেবে পকেট থেকে আঙটিটা বের করে।
“মিতুল এই মুহূর্তে এটা ছাড়া আর কিছু নেই। কোনো প্রস্তুতি নেই। খুব সিম্পল একটা আঙটি…”
আরমানের কথা শেষ হওয়ার আগেই মিতুল হাত বাড়িয়ে দেয়। আরমান আঙটিটা পরিয়ে দেয়।
এদিকে মিতুল পার্লারে নেই। নিচে নেমেছে জানতে পেরে তুলতুলও সাজ অসমাপ্ত রেখে নিচে নেমে আসে। সিঁড়িতে মিতুল আর আরমানকে এভাবে দেখে ভীষণ অবাক হলেও ঘটনা বুঝতে তুলতুলের দেরি হয় না। হায়রে বোকা মেয়ে মিতুল। একবারও কেন তুলতুলকে বললো না। আর তুলতুলেরও কিভাবে এসব চোখ এড়িয়ে গেল! তুলতুল নিচে নেমে আসতে দেখে আরমান মিতুলের হাত জড়িয়ে ধরে।
ভাবি, আপনার বোনটাকে আমি খুব ভালোবাসি। এই মুহূর্তে নিশ্চিত হলাম মিতুলও আমাকে ভালোবাসে। আমি ওকে নিয়ে যেতে চাই। আমাদের আটকাবেন না প্লিজ।”
মিতুল অসহায় চোখে তুলতুলের দিকে তাকায়। আজ এখান থেকে আরমানের হাত ধরে বের হওয়ার ফলাফল সহজ হবে না। মিতুলের জন্য তো নয়ই। তুলতুলের জন্যও না। শ্বশুর বাড়িতে তুলতুলকে অনেককিছুর মুখোমুখি হতে হবে। তুলতুল একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে বলে।
“আমার বোনটাকে ভালো রাখবেন।”
মিতুল আর আরমান যখন কাজী অফিস থেকে বের হয়। তখন শহর জুড়ে সন্ধ্যা নেমে গিয়েছে। পাশে একটা ক্যাফেতে গান বাজছে, “ধর যদি হঠাৎ সন্ধ্যে, তোমার দেখা আমার সঙ্গে…”
(শেষ)