দূরত্বের আড়ালে পর্ব-০৫

0
24

#দূরত্বের_আড়ালে
#পর্ব_৫
#লেখনীতে_মারিয়া_আক্তার_মাতিন

আহিয়ান উঠে দাঁড়ায়। অতঃপর প্রণীতার সামনে হাঁটু গেঁড়ে বসে। প্রণীতা বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে অবলোকন করছে তাকে। আহিয়ান প্রণীতার দিকে তাকিয়ে থেকেই পকেট থেকে ছোট্ট একটা বক্স বের করে। বক্সটা খোলামাত্রই জ্বলজ্বল করে উঠে একটি স্বর্ণের আংটি। ফারাজ সেদিক চেয়ে রাগে কটমট করছে। সবকিছু তার ভস্ম করে দিতে ইচ্ছে করছে। সে এমন একটা দৃশ্য দেখবে তা কল্পনাও করেনি। আহিয়ান মুচকি হেসে বক্স থেকে আংটিটা তুলে বলল,“তোমার জন্য ছোট্ট একটা গিফট। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের আংটিবদল হবে তবুও আমার আর তর সইছে না। আজকে আমার থেকে এই ছোট্ট উপহারটা গ্রহণ করো,আংটিবদলের দিন স্পেশাল কিছু থাকবে। তার আগ পর্যন্ত আমি চাই তোমার এই সুন্দর আঙুলে আমার একটা স্মৃতি থাকুক।”

এই বলে সে একহাত প্রণীতার দিকে বাড়িয়ে দেয়। ফের বলে উঠে,“উইল ইউ মেরি মি, মিস বিউটিফুল? আর ইউ উইলিং টু স্টেই উইথ মি ফরএভার?”

আহিয়ানের এমন কাণ্ডে প্রণীতা হতভম্ব। সে তো জানতো আহিয়ান তার থেকে শুধু বিয়ের ব্যাপারে মত নিবে কিন্তু আহিয়ান তো তার চেয়েও একধাপ উপরে। হঠাৎ প্রণীতার মনে পড়ে সেই তিনবছর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারিতে ফারাজ তার সামনে ঠিক এভাবেই হাঁটু গেঁড়ে বসে তারদিকে একগুচ্ছ গোলাপ ফুল এগিয়ে দিয়েছিল। অনামিকা আঙুলে আংটি পরিয়ে দিয়ে কণ্ঠে প্রেম ঢেলে বলেছিল,“আই লাভ ইউ!”

স্মৃতিটা তখনের জন্য মধুর হলেও এখন যেন সম্পূর্ণ বিষাক্ত। সে এসব বেদনাবিধুর স্মৃতি স্মরণ করতে চায় না,মনকে আটকে রাখতে চায়,কিন্তু পারে না। কোনো না কোনোভাবে সেই মুহূর্তগুলো মনের গহীন কোণে উঁকি দেয়,হৃদয়ের জ্বালা বাড়ায়। প্রণীতাকে চুপ থাকতে দেখে আহিয়ান অস্থির কণ্ঠে বলল,“কী হলো? কিছু বলছো না যে?”

প্রণীতা ঢোক গিলে। মনের অস্থিরতা বাড়ছে,চোখেমুখে ব্যাকুলতার ছাপ স্পষ্ট। আর কতো? আর কতো সে এই মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে? আর কতো মিথ্যে অভিনয় করবে? সে যে এখন ক্লান্ত পথচারী। এক অসহায় তৃষ্ণার্তের মতো তার বুকটা খাঁ খাঁ করছে,এক ঘর্মাক্ত ব্যক্তির মতো একটু শীতলতা পাওয়ার আশায় তার মন আনচান করছে। কেন সে এই বিশ্বাসঘাতকটাকে ভুলতে পারছে না? ফারাজ নিশ্চয়ই এখন খুব সুখে আছে৷ তার জীবনে নতুন কারো আগমন ঘটেছে যেখানে প্রণীতার হয়তো বিন্দুমাত্র স্থানও নেই। তাহলে সে কেন পারছে না নতুন করে সব শুরু করতে? কেন এতো কষ্ট হয়? না,আর কষ্ট পেলে চলবে না। তাকেও ভালো থাকা শিখতে হবে। এই পৃথিবীতে কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। কেউ কারো অপেক্ষায় নিজের জীবন শেষ করে না। এক সময় না এক সময় তাদের সেই অপেক্ষার প্রহরের সমাপ্তি ঘটে,তাদের জীবনে নতুন ভোরের উদয় হয়। তার জীবনেও হবে। সে এবার জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে ধাতস্থ করে। তারপর আহিয়ানের দিকে চেয়ে তার হাতে হাত রেখে বলে,“ইয়েস!”

আহিয়ানের মুখে ফুটে প্রশান্তির হাসি। সে তো এই জবাবটারই অপেক্ষা করছিল। কাঙ্ক্ষিত উত্তর যখন পেয়ে গেছে তখন আর দেরি করে কী লাভ? তাই সে তৎক্ষনাৎ প্রণীতার অনামিকা আঙুলে আংটি পরিয়ে দেয়। প্রণীতা চোখদুটো বন্ধ করে ফেলে। যন্ত্রণাটা যেন তরতর করে বাড়ছে। তার কী দোষ ছিল? সে তো নিজের সবটা দিয়ে ভালোবেসেছিল তবুও কেন বাজেভাবে তাকে ঠকতে হলো? সত্যিকারের ভালোবাসার প্রতিদান বুঝি এই? সে মনে মনে বলল,“তুমি আমার ভালোবাসা বুঝলে না ফারাজ! একদিন তুমি ঠিকই উপলব্ধি করবে এই প্রণীতা তার সবটা দিয়ে তোমায় ভালোবেসেছিল।”

আহিয়ান প্রণীতার হাতে ছোট্ট করে চুমু খায়। নরম সুরে বলে,“চলো,ওদিকটায় ঘুরে আসি৷ এখানে আর কতক্ষণ বসে থাকবে? চলো।”

প্রণীতা নিস্তেজ কণ্ঠে বলল,“না,না আমি এখানেই থাকি৷ আমার এখানেই ভালো লাগছে।”

-“এটা কোনো কথা হলো? শোনো,বসে বসে কথা বলার চেয়ে হেঁটে হেঁটে কথা বলার মাঝে আনন্দ বেশি,সেই মুহূর্তটা বেশি উপভোগ্য। বুঝেছ? জীবনকে উপভোগ করা শেখো,প্রণীতা। এমনভাবে নিজেকে তৈরি করবে যেন দুঃখ তোমায় না ছুঁতে পারে।”

প্রণীতার কাছে কথাগুলো খুবই উৎসাহমূলক মনে হলো। কথাগুলোর আঁচ তার ভিতর অবধি ছুঁয়ে গেছে। সত্যিই তো,জীবন ক্ষণস্থায়ী। এই অল্প সময়টুকু উপভোগ না করে কেন সে দুঃখে,কষ্টে কাটাবে? আহিয়ানের কথামতো,সে নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলবে যেভাবে গড়লে দুঃখরা তার ধারেকাছে ঘেষতে পারবে না। প্রণীতা উঠে দাঁড়ায়। আহিয়ান কিছুটা ইতস্তত করে বলল,“তোমার হাতটা ধরে হাঁটতে পারি? কিছু মনে করবে না তো?”

প্রণীতা মুচকি হাসল। সরল কণ্ঠে জবাব দিলো,“কিছু মনে করবো না। চলুন।”

আহিয়ানও একগাল হেসে প্রণীতার হাত ধরে সামনে এগিয়ে গেল। ফেলে গেল দাউদাউ করে বহ্নিশিখায়
জ্বলতে থাকা একটি উত্তপ্ত হৃদয়। জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে ফারাজ আড়াল থেকে বের হয়। আপনাআপনি বুকের বাম পাশে হাত চলে যায় তার৷ এ জায়গাটায় এতো ব্যথা করছে কেন? ফারাজ বিশ্বাস করতে পারছে না প্রণীতা রাজি হবে৷ অবশ্য বিশ্বাস না করারই বা কী আছে? সে যে ব্যবহার করেছে প্রণীতার সাথে এরপর প্রণীতার তাকে ভুলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি? হয়তো সে অনেক কষ্ট পেয়েছে,এখনও হয়তো পাচ্ছে কিন্তু তারও তো একটা জীবন আছে। জীবন থেকে মূল্যবান কিছু হারিয়ে যাওয়ার ভয় আষ্টেপৃষ্টে আঁকড়ে ধরেছে ফারাজকে। সেই ভয়ে তার সর্বাঙ্গ নেতিয়ে আসছে। ফারাজ বেদনাপূর্ণ কণ্ঠে বলল,“তোমার দৃষ্টিতে হয়তো পৃথিবীর সেরা বিশ্বাসঘাতকটা আমি। কিন্তু আমি তোমাকে ঠকাইনি প্রণীতা। আমায় এভাবে ছেড়ে চলে যেও না। তোমার জন্যই আমার এতোকিছু। সেই তুমিটাই আমার জীবনে না থাকলে আমার জীবন ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমার বাঁচাটা কষ্টকর হয়ে উঠবে।”

ফারাজের তখন ইচ্ছে করছিল প্রণীতার সাথে থাকা ছেলেটিকে ভস্ম করে দিতে। নিজের গায়ের সবটুকু শক্তি দিয়ে এমন খেলই দেখাতো যে কোনোদিন তার প্রণীতার দিকে চোখতুলে তাকানোর সাহসটুকুও পেতো না,প্রপোজ করা তো দূরের আলাপ। কিন্তু সে যেতো কীসের অধিকার নিয়ে? কীসের ভিত্তিতে? তাই তো নিজের ভিতর থাকা অদম্য রাগ,ক্রোধটুকু বহুকষ্টে নিয়ন্ত্রণ করে সে আড়ালেই দাঁড়িয়ে ছিল। তবে এখানে আর থাকলে চলবে না। তাকে এখন তাদের পিছু নিতে হবে। তারা কোথায় যায়,কী করে সব তার খেয়াল রাখতে হবে। তাই সে আর একমুহূর্তও দেরি না করে সামনের দিকে দ্রুত পা চালায়।

আহিয়ান প্রফুল্লচিত্তে প্রণীতার হাত ধরে সামনের দিকে হেঁটে যাচ্ছে। আহিয়ান নিজের মতো করে কথা বলে যাচ্ছে। প্রণীতার সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই। সে অন্যমনস্ক হয়ে কদম ফেলছে। আহিয়ান সেদিকে খেয়াল করে ডাকলো,“প্রণীতা? তুমি শুনছো?”

প্রণীতা অন্যমনস্কতা ছুটে যায়। সে কিছুটা চমকে উঠে বলে,“জ..জি? কিছু বলছেন?”

-“এতোক্ষণ ধরে যে আমি এতোকিছু বললাম তার একটা কথাও কি তোমার কানে গিয়েছে?”

নিজের এমন খামখেয়ালিপনায় প্রণীতা লজ্জিত হলো। সে কিছুটা আড়ষ্টতার সাথে জবাব দিলো,“দুঃখিত,আমি আসলে…

আহিয়ান বাকিটুকু বলতে না দিয়ে সে নিজেই বলল,“ইট’স ওকে,প্রণীতা। আমি কিছু মনে করিনি। তবে একটা কথা বলো তো,তুমি কি কোনোকিছু নিয়ে চিন্তিত?”

-“না,না। আমি চিন্তিত হবো কেন?”

-“না,মানে আসার পর থেকেই দেখছি তুমি কেমন অন্যমনস্ক হয়ে থাকো! কিছু হয়েছে কি? তুমি চাইলে আমার সাথে শেয়ার করতে পারো। এতে করে মন হালকা হবে।”

-“কিছুই হয়নি। আপনি শুধু শুধু টেনশন করছেন।”

-“ওকে,কিছু না হলেই ভালো। তবে হ্যাঁ,কিছু হলে আমাকে কিন্তু অবশ্যই বলবে। তোমার যেকোনো প্রয়োজনে এই বান্দা হাজির।”

প্রণীতা কিছু না বলে হাসলো৷ আহিয়ান ফের বলল,“তোমাকে নিশ্চয়ই আঙ্কেল বলেছে যে আমি কেবল তুমি এই বিয়েতে রাজি কিনা সেটা শোনার জন্য দেখা করতে বলেছি? কিন্তু দেখো,এখানে এসে তোমার আঙুলে আংটি পরালাম,এখন আবার তোমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে গল্পও করছি। তুমি এতে বিরক্ত হচ্ছো না তো? যে এক কাজের জন্য ডেকে বারো কাজ করতে বসেছে-এমন মনোভাব আসছে না তো?”

প্রণীতা বলল,“না,না আপনি এসব কী বলছেন? এখানে বিরক্ত হওয়ার কী আছে? দুদিন পর আপনার সাথে আমার বিয়ে হবে,সেখানে আপনার সাথে সময় কাটানোতে বিরক্তবোধের কোনো কারণ দেখছি না তো।”

-“মন থেকে বলছো?”

-“না বললে কি চলে যাবেন?”

-“আমি তোমার বিরক্তির কারণ হতে চাই না।”

-“আমি বিরক্ত হচ্ছি না।”

প্রণীতা মনে মনে বিরক্ত হলেও জেদের কাছে তা হার মেনেছে। সে আহিয়ানের সাথে সহজ হওয়ার প্রচেষ্টায় আছে। তার সাথে নিজেকে অদৃশ্য মায়ায় বাঁধতে চাইছে কিন্তু পারছে না। যতো মায়া তো সে কেবল ফারাজের মাঝেই খুঁজে পেতো। এক মন যে আর কাউকেই দিতে পারছে না সে। প্রণীতা মনে মনে বলল,“যাই হয়ে যাক,ফারাজকে তোর ভুলতে হবে।”
কিন্তু আদৌ কি সে পারবে?

তারা দুজন বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে গল্প করলো। আহিয়ানই গল্পের ঝুড়ি সাজিয়েছে। প্রণীতা টুকটাক জবাব দেওয়া ছাড়া তেমন কথা বলেনি। হঠাৎ একজন অপরিচিত অল্পবয়সী ছেলে পিছন থেকে ডেকে উঠলো। আহিয়ান,প্রণীতা দুজনেই পিছু ঘুরলো। রোগা-সোগা,পাতলা গড়নের একজন ছেলে দাঁড়িয়ে। দেখে মনে হচ্ছে কিছু বলার আশায় এখানে এসেছে। ছেলেটি আহিয়ানের দিকে এগিয়ে এসে বলল,“ভাই,আমি অনেক বিপদে পড়েছি। আমাকে একটু সাহায্য করবেন?”

আহিয়ান ভ্রু কুঁচকালো৷ চেনেনা,জানেনা একজনের কথা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য হবে ঠাহর করতে পারছে না। সন্দিহান চোখে চেয়ে সে বলল,“কীভাবে সাহায্য করতে পারি?”

ছেলেটি এবার একটু ইতস্তত করে বলল,“না,মানে আপনার সাথে একটু আলাদা করে কথা বলার ছিল। যদি একটু এদিকটায় আসতেন।”

আহিয়ানের সন্দেহ দ্বিগুণ বাড়লো। এর কোনো খারাপ মতলব নেই তো? তাকে আলাদা করে কেন ডেকে নিচ্ছে? সে বলল,“আপনার যা বলার এখানেই বলুন।”

-“আপনি বলে লজ্জা দিবেন না। আমি আপনার অনেক ছোট। তুমি করেই বলেন।”

-“বেশ,তোমার কীসের সাহায্যের প্রয়োজন এখানেই বলো।”

-“আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করছেন না? আমি কিন্তু আপনাকে চিনি কিন্তু আপনি আমায় চেনেন না। তাই বিশ্বাস ও করতে পারছেন না। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমি এখানে এসে এমন একটা বিপদে পড়েছি যে না পারছি কাউকে বলতে আর না পারছি সহ্য করতে৷ তাই আপনাকে দেখামাত্রই ছুটে এলাম৷ আমি একমাত্র আপনাকে ভরসা করেই এখানে এসেছি৷ আশা করি,আমার এই ভরসার মান রাখবেন।”

ছেলেটার কথায় প্রণীতার কেমন মায়া হলো। মনে হচ্ছে সত্যিই কোনো বিপদে পড়েছে। সে আহিয়ানকে বলল,“এতো করে যখন বলছে তখন একটু শুনে আসুন না। হয়তো এই কথাটা আমার সামনে বলতে পারছে না। তাই আপনাকেই শুধু বলতে চাইছে৷ আপনি গিয়ে শুনে আসুন।”

আহিয়ান প্রণীতার দিকে চেয়ে চিন্তিত হয়ে বলল,“যাবো বলছো?”

-“হ্যাঁ,যান।”

-“বেশ,তুমি যখন বলছো তখন যাচ্ছি। আর শোনো,আমি না আসা পর্যন্ত এখান থেকে কোথাও যাবে না,বুঝেছো?”

-“বুঝেছি।”

-“আচ্ছা,গেলাম।”

আহিয়ান ছেলেটির সাথে চলে যায়। প্রণীতা দাঁড়িয়ে থাকে। সে চারপাশ দেখতে থাকে। চারদিকে কতো মানুষ,কতো আনন্দ,উল্লাস। কেবল তার মনেই কোনো আনন্দ নেই,কোনো উল্লাস নেই। বিষাদের সাগরে ডুবে আছে সে।
এভাবে বেশ কতক্ষণ পার হলো৷ কিন্তু আহিয়ানের আসার নামগন্ধ নেই। প্রণীতার এবার চিন্তা হতে লাগলো। কোথায় গেল? এখনও যে আসছে না? আচ্ছা,উনার সাথে খারাপ কিছু হয়নি তো? তার এখন নিজের উপরই রাগ লাগছে। কেন যে সে যেতে বলল! কিন্তু ছেলেটার কথায় তার খুব মায়া হয়েছিল তাই তো সে যেতে বলেছে। এখানে তার কী দোষ? সে মনে মনে বলতে লাগল,“আল্লাহ! উনার যেন কিছু না হয়। উনার কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না।”

সে এবার আহিয়ানকে খোঁজার জন্য যে-ই না পা বাড়াবে ওমনি তার ফোন থেকে ম্যাসেজের টুংটাং আওয়াজ ভেসে আসে। সে দ্রুত ফোনে ম্যাসেজ চেক করে। ম্যাসেজটা পড়ামাত্রই সে হতবাক হয়ে যায়। কারণ অপরিচিত একটা নাম্বার থেকে ম্যাসেজটা আসে আর সেখানে লেখা ছিল,“এক্ষুণি তুমি বাসায় যাবে। নয়তো তোমার আহিয়ানের আজই শেষ দিন।”

চলবে………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে