দুই পথের পথিক পর্ব-২৫

0
345

#দুই_পথের_পথিক
#পর্বঃ২৫
#বর্ষা
সাতদিনের দিন বাচ্চার আকিকা দিয়ে নামকরণ করা হয়।বাবা মায়ের দায়িত্ব এটা।অনেকে দেরি করেও আকিকা দেয়।তবে কুহেলিকা-নাহিন অপেক্ষা করতে চায় না।যেহেতু ফ্লাটে উঠে পড়েছে আর লোক দিয়েই সব গোছগাছ করিয়ে নেওয়া হয়েছে তাই কুহেলিকার আর সমস্যা হয়নি। শুধু নিজের রুমটা সুন্দর করে সাজিয়েছে। বাচ্চাদের জন্য সাজিয়েছে একদম নিজের মতো করে।

কুহেলিকার গরুর গোশতে এলার্জি আছে।আর সন্তানের আকিকার গোশত মা খাবেনা তা কি হয়!তাইতো খাসি এনেছে নাহিন।ছেলের জন দুইটা আর মেয়ের জন্য একটা। নিচতলায় জবাইয়ের তদারকি দেখছে সে।আর কুহেলিকা তার পুচকো-পুচকিকে নিয়ে পিপির সাথে পটরপটর করছে।

কিয়ান আর কিনায়া দু’জন একসাথেই কাঁদতে শুরু করে।কুহেলিকা দ্রুত কল কেটে দুজনকে ছোট ছোট দুইটা দোলনায় শুইয়ে আস্তে আস্তে দোল দেয়। বাচ্চাদের কান্না থেমে যায়।ঘুমের মাঝেই কাদছিলো দুইজনে।হয়তো স্বপ্ন দেখে নয়তো পেটে ব্যথায় ধারণা করে নেয় কুহেলিকা।এইবয়সের বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে ব্যথার সমস্যা দেখা যায়। ওরা তো আর বলতে পারে না।

”কুহু,কুহু।দেখো কে এসেছে”

নাহিন ডাকতে ডাকতে রুমের দিকেই আসছিলো।কুহেলিকা ওরনা ফেলেই বাচ্চাদের দোল দিচ্ছিলো‌।তার স্বামী যদি বাচ্চা দেখাতে লোক রুমে নিয়ে আসে এ আসঙ্কায় দ্রুত ওরনা লেপ্টে নেয় মাথায়।সত্যিই রুমে নিয়ে এসেছে।

”কুহু কেমন আছো?”

রাইসা ভাবী এসেছে।চোখ মুখে উজ্জ্বলভাব।আগের চেয়ে সুন্দর হয়েছে আরো।রামায়সা ছুটে আসে।কোলে উঠতে চায়।তবে রাইসা আটকে দেয়।রাইসা বলে ওঠে,

”ডন্ট ট্রাই টু ডু দিজ এগেইন আম্মু।দেখছো না তোমার পিপির বেবি হয়েছো।পিপির তো রেস্ট লাগবো।তাইনা?”

”ভাবী আমার পিপিকে কিছু বলো না।এইদিকে আসো প্রিন্সেস।”

কুহেলিকা নিচু হয়ে বসে।রামায়সা ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে।রাইসা দেখে,হাসে।তখনই ফোন বেজে ওঠে তাকদির ফোন করেছে।রাইসার দ্বিতীয় স্বামী।অবশ্য ওরই চাচাতো ভাই হয়।তাকদিরেরও দ্বিতীয় বিয়ে।ও কখনো বাবা হতে পারবে না তাই ওর বউ ওকে ছেড়ে চলে গেছে।রামায়সাকে নিজের মেয়ের মতোই দেখতে লাগে।হঠাৎ করে রামায়সাকে হারানোর ভয় জেঁকে বসতেই চাচার কাছে আবদার করে রাইসাকে বিয়ে করতে চায় সে।রাইসার বাবাও ভেবে দেখেন মেয়ের,নাতনির ভবিষ্যৎ আছে।রামায়সার ওপর প্রভাব পড়বে ওর বাবা খুনি জানলে।তার চেয়ে ভালো বাবাই আনলে তো সমস্যা নেই।তবে রাইসা রাজি হয়নি।তবে রামায়সার ভবিষ্যৎ এর কথা উঠতেই রাজি হয়।তাইতো জুনায়েদ জেলে যাওয়ার সাত মাসের মাথায় সে অন্যকারো স্ত্রী বনে যায়।কেননা একটা বাচ্চার জীবনে মায়ের ভালোবাসা যতটা প্রয়োজন,তেমনি বাবার ভালোবাসাও প্রয়োজন।সেখানে রামায়সা জানবে ওর বাবা খুনি!তার চেয়ে তো ভালো বাবাই তাকে ভালো রাখবে।

”হ্যা তাকদির বলুন?”(রাইসা)
”বাসায় ঢুকেছো?”(তাকদির)
”হুম।আপনাকে তো আসতে বললাম।আসলেন না কেন?”(রাইসা)
”ওড লাগছিলো। আচ্ছা আমার মেয়ে কি করছে?”(তাকদির)
”ওর পিপির সাথে খেলছে”(রাইসা)
”একদিন আমাকেও আমার বোনের সাথে দেখা করিও”(তাকদির)
”আজ আসলেই পারতেন”(রাইসা)
”একসাথে এতগুলো ঘটনা না জানানোই ভালো।আমি নাহয় পড়ে সাক্ষাৎ করবো।মেয়েকে দেখে রেখো।আর নিজেরও খেয়াল রেখো।রাখছি। আল্লাহ হাফেজ ”(তাকদির)
”আল্লাহ হাফেজ”(রাইসা)

রাইসা কল কেটে মুচকি হাসে। ছোট্ট ছোট্ট এই কেয়ার গুলোর অভাব ছিলো জুনায়েদের ঘরে। জুনায়েদ সবসময় টাকায় মুড়ে রাখতো রাইসাকে। সেটাকেই সুখ ভেবে, ভালোবাসা ভেবে ভুল করেছিলো সে।হ্যা জুনায়েদ ভালোবাসা তার রুপকে , তাদের আদরের মেয়েকে।প্রত্যেক পিতার কাছেই যে তার কন্যা রাজকন্যা,কলিজা।

”ভাবী‌ হঠাৎ আসলে যে?”(কুহু)
”খুশি হোসনি?খুশি না হলে চলে যাচ্ছি!রামায়সা..”(রাইসা)
”আরে ভাবী রাগ করছো কেন?তোমার সাথে এতো গভীর সম্পর্ক তো ছিল না যে আসবে।তাই আরকি”(কুহু)
”কুহেলিকা আমি জানি তোমার সাথে আমার ব্যবহারগুলো ছিলো অন্যরকম।তবে একটা বিষয় আমি বুঝেছি,তুমি যেমনই হও তুমি অনেক ভালো মনের অধিকারী।আর এমন কাউকে ভালো না বেসে থাকা যায়!আর তোমাকে একটা খবর জানাতে এসেছি!”(রাইসা)
”কি খবর ভাবী?”(কুহু)
”জুনায়েদ জেল থেকে পালিয়েছে”(রাইসা)
”কি!আর তুমি জানলে কি করে তা?”(কুহু)
”জুনায়েদ আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো।মেয়েকে দেখতে চেয়েছিলো।আমি পুলিশের ভয় দেখাতেই পালিয়ে যায়।আর পরদিনই পুলিশ এসেছিলো বাসায় খবর নিতে।আমি সত্যিটাই বলেছি।”(রাইসা)
”ভাবী জুনায়েদ ভাই কবে এসেছিলো?”

কুহুর কন্ঠে চিন্তা পরিলক্ষিত হয়।রাইসা বলে ওঠে,

”গত দশদিন আগে রাত দশটার সময়”

কুহেলিকা কিছু ভাবতে থাকে।সন্দেহ জাগে সেদিন কি তবে জুনায়েদ এসেছিলো হোটেলে!তবে সে এসেছিলো কেনো? প্রতিশোধ নিতে!তবে কুহেলিকা তো জানায়নি পুলিশকে কিছু।তবে গ্রেফতার তো সে নিজের দোষেই হয়েছে। তাহলে কুহেলিকার পিছনে লাগার কারণ কি!

★ ★

জয়নুবা বেগম এখন অনেকটাই সুস্থ।এখন হুইলচেয়ারে বসে নিজ হাতেই খেতে পারেন।ছোট ছেলের সাথে আছেন এখন।জাহিদ বাড়ি ফিরেছিলো ভাই,বাবা গ্রেফতার হওয়ার দুই সপ্তাহের মাথায়।আর তার ছয়মাস পর তো কাসেম মির্জাও বাড়ি ফেরেন।তবে বড় বউমাকে আর ফেরাতে পারেন না।জেলেই ছেলেকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে ডিভোর্স নিয়েছে যে সে।তাইতো আর অধিকার দেখাতে পারেনি।তবে নাতনি আনার চেষ্টা করেছিলো।আদালত অব্দি গড়িয়েছিলো।

ছয়মাস পূর্বে….

আদালত চত্বরে মেয়েকে আঁকড়ে বসেছিলো রাইসা।সরকারি উকিল আর সরকারি বেবি কেয়ারের একজন মহিলা নিয়ে যায় রামায়সাকে।কথা বলবে ওর সাথে তাই।বাইরে বসে থাকে রাইসা‌।

উকিল রামায়সাকে চকলেট দেয়। রেকর্ডার আর ক্যামেরা ঠিক আছে কিনা জিজ্ঞেস করে পার্শ্ববর্তী কক্ষে।ঠিক আছে নিশ্চিত হয়ে রামায়সার দিকে এগিয়ে আসে।আলতো করে আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে,

”মা তোমার নাম কি?”(উকিল)
”রামায়সা মির্জা।সবাই আমাকে ছোট রাইসা বলে ডাকে”(রামায়সা)
”ছোট রাইসা দেখে কেন? তুমি বল না আমি তো বড় তোমরা আমায় ছোট বল কেন!”(উকিল)
”বিকজ আমার নাম তো রামায়সা।আর আমার মাম্মামের নাম রাইসা।আমি তো আমার মাম্মামের ডুপ্লিকেট”(রামায়সা)
”আচ্ছা মা তোমার কি তোমার দাদা দাদুর কথা মনে পড়ে?”(উকিল)
”হুম”(রামায়সা)
”যদি তোমায় নিয়ে যেতে চায় যাবে তাদের সাথে?”(উকিল)
”মাম্মামের সাথে যাবো।”(রামায়সা)
”মাম্মাম কে তো নেওয়া যাবে না।একা একা যেতে হবে।যাবে?”(উকিল)
”না,না আমি মাম্মামকে ছেড়ে কোথাও যাবো না।মাম্মাম,মাম্মাম….”

রামায়সা কাঁদতে শুরু করে।বেবি কেয়ারের মহিলা যখন রামায়সাকে শান্ত করতে ব্যর্থ হয় তখন রাইসাকে ডেকে নেওয়া হয়। রাইসা জড়িয়ে নিতেই মেয়ে শান্ত হয়।সন্তান কি আর মা’কে ছেড়ে বেশিক্ষণ শান্তভাবে থাকতে পারে?কখনোই না। মা’কে ছাড়া একটু সময় শান্ত থাকা গেলেও একটু পর যে অস্থিরতা শুরু হয়,কান্না পায় যা ছোট্ট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।

উকিল আর বেবি কেয়ারের মহিলাটা বেরিয়ে যান।রাইসাকে তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে এও বলে চলে যান।রাইসাও মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়তেই এক মহিলা রুমে তালা লাগিয়ে দেন।

পরেরদিনই ডেট পড়ে আদালতে।মেয়েকে নিয়ে আবারো ছুটে আসতে হয় রাইসাকে।জজ প্রথমে রামায়সার সাথে কথা বলেন। এবারও আগের বারের মতোই প্রশ্ন ছিল।আর রামায়সার কান্না ছিলো।আর এবারও রাইসাকেই সামলাতে হয় মেয়েকে।একবার রাইসাকে বাইরে বসতে বলে দাদা-দাদীর কাছে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় রামায়সাকে।

রামায়সা গিয়ে কোলে ওঠে দাদার।চুমু খায়।গল্প করে। অনেক কথা বলে।যার প্রতিটা কথাই মা’কে ঘিরে।এই ছোট্ট প্রাণটার সবটা ঘিরে যে মা থাকবে তাইতো স্বাভাবিক।তবে একসময় বিরক্ত হয়ে পড়েন কাসেম মির্জা‌।কোল থেকে নামিয়ে পাশে বসান। দুপুরের সময় হয়ে আসায় খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করতে বলেন।এক লোকমাও খাইয়ে উঠতে পারে না।জজ সাহেব কিছু লেখেন।তারপর পঞ্চাশ মিনিটের বিরতি দিতে বেরিয়ে যান।

আবারো আদালতে কারবাহি শুরু হয়।এবার রামায়সাকে পাঠানো হয়েছে বেবি কেয়ারের মহিলাটার সাথে।সরকারি উকিল কথা বলছেন।আর রাইসার উকিলও আছেন।তবে দুই উকিলই এখন একপক্ষে।তাহলে আর কি করে দায়িত্ব পাবে মির্জারা?জজ সাহেবের রায় হয় রাইসার পক্ষে। সবশেষে মেয়েকে হারানোর ভয়টা কাটিয়ে ওঠে সে।তবে প্রশ্ন উঠেছিলো,রাইসা তো কোনো কাজ করেনা মেয়ের দেখভাল কিভাবে করবে?তখন তাকদির দাঁড়িয়েছিল বলেছিলো,যতদিন আমরা আছি রামায়সাকে অন্য কারো দেখতে হবে না।বাবা হয়ে আগলে রাখবো!

★ ★

জয়া বাড়ি ফিরেছে।মায়ের ছেলে হয়েছে দেখতে আসবে না?মায়ের ছেলে!মাত্র চার বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছে। মা’কে মা আর বাবা’কে বাবা বলে ডাকার খুব একটা সুযোগ হয়নি। এসএসসির পর সব বন্ধু-বান্ধব বাড়ি ফিরেছে আর তাকে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে IELTS কোর্স আর কলেজে ভর্তির প্রিপারেশনে।আর এখন কলেজেও আছে হোস্টেলে।বোন দু’জন থেকেছে একসাথে তাই দুইটার মাঝে মনের টান আছে।এখনও তো একসাথেই আছে।জয়া কলেজে দ্বিতীয় বর্ষে আর রুহি প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছে মাত্র।

”রুহি চলতো বাইরে থেকে ঘুরে আসি”

ড্রয়িংরুমে বসে চিপস খাচ্ছিলো রুহি।বোনের কথায় মুখ তুলে তাকায়। চিপসের প্যাকেটটা গোপন করে বলে ওঠে,
”ঘুরতে যাবি নাকি তাকে দেখতে যাবি?
”রুহি”

জয়ার ধমকে যেন ভয় পায় এমন অভিনয় করে রুহি। একবছরের ছোট বড় হলেও দুজন যেন বেষ্ট ফ্রেন্ড।জয়া কারো সাথে সম্পর্কে আছে।রুহি বাদে মা-বাবার এই ভালোবাসাহীন জীবনে কারো ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়েছে।রুহি তো ওর জানে জিগার।

রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে দু’জনে।বাড়ির থেকে একটু দূরে পুকুর পাড়।আর তার থেকে একটু দূরেই সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের ছোঁয়া।শহরের মাঝেও গ্রাম। পুকুর পাড়েই দুইবোন বসে।গল্প করে।প্রায় অনেকক্ষণ বসে থাকে।রুহি পাশের দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে আনে।আবারো পাড়ে বসে পড়ে আইসক্রিম খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে,

”কিরে কখন আসবে তোর হিরো?”
”আমিও তো তাই ভাবছি ”(জয়া)
”এতোদিন দেখলাম নায়িকা দেরি করে আর এখন দেখছি নায়ক দেরি করে।সন্ধ্যা হয়ে যাবে একটু পরই।এখন চল।তোর নায়ক হয়তো কোথাও আটকে পড়েছে”(রুহি)
”আচ্ছা চল।”

জয়া মনমরা হয়ে বলে ওঠে। রুহি হাসে।বাসায় ফিরতেই রুহির বড় মা অর্থাৎ জয়ার মা নুরি ওদের ফ্রেশ হয়ে দ্রুত নিচে আসতে বলে।জয়া ঘাড় ত্যাড়ামি করে কিছুক্ষণ এদিক সেদিক ঘুরঘুর করে তারপর ওপরে গিয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিচে আসে।দোতলা থেকে দেখে রুহি এখনো আসেনি।তাই সে রুহির ঘরের দিকেই যায়।তবে রুম ফাঁকা।জয়া ভাবে হয়তো তারই ভুল রুহি হয়তো নিচে আছে।

”জয়া নোমানকে ধরতো।আমার আর ভালো লাগছে না।এতো কাঁদছে!একটু শান্তিতে কথাও বলতে পারছি না।”

”আমি পারবো না। নিজের ছেলে নিজে দেখো।”

জয়া অবাক হয়ে তার মা’কে দেখে।জয়ার হয়তো বাবার জন্য কষ্ট লাগছে না কেননা সে তো বাবার ভালোবাসা পায়নি কখনো।তার মায়ের তো কষ্ট লাগার কথা।এখানে সে দিব্যি মানুষের সাথে হেএ হেসে কথা বলছে। সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠার সময় জয়া মায়ের মুখে নিজের প্রতি তিক্ত বুলি শুনেও পাত্তা না দিয়ে ছাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

”রুহি রাতের বেলা ছাদে কি করছিস?”(জয়া)
”দেখ আকাশটা কত সুন্দর!তবে আজ ও আমাদের মতোই একা।”(রুহি)
”আমরা কি একা? তুই আমাকে কেউ মনে করিস না?তোর জন্য আমি আছি আর আমার জন্য তুই তো আছিস।তাহলে আমরা কি করে একা?”(জয়া)
”হ্যা রে মা আমরা একা না।আমরা আছি একে অপরের জন্য ”(রুহি)

চলবে কি?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে