#দুঃখগুলো_নির্বাসিত_হোক(০৯)
#সুমাইয়া_ইসলাম_জান্নাতি(লেখনীতে)
_______________________
বিনিদ্র রজনী। দুটো রাত জাওয়াদের নেত্র পল্লবে নিদ্রার ধরাছোঁয়া নেই। ইফতারের পর থেকে সাহরী পর্যন্ত ঠোঁটে লেগে থাকে সিগারেট। দুই দিনেই শরীর যেন অর্ধেক শুকিয়ে গিয়েছে। চোখের নিচে কালির আস্তরন। গতকাল থেকে আবার জ্বরে ভুগছে। সেকি জানতো প্রেয়সীর অনুপস্থিতিতে এমন দূর্দশায় পড়বে। জানলে এমন কাজ করার কথা স্বপ্নেও ভাবতো না জাওয়াদ। জ্বর নিয়েই অফিসে গিয়েছে। এটাও একটা জিদ। এই ছেলের শরীর ভরা শুধু রাগ আর জিদ।
“তোমার স্বামী দেবদাস হয়ে গেছে বোন। সে নাওয়া খাওয়া ছেড়ে কোন খেয়ালে দিন পার করছে সে আর আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ বুঝতে সক্ষম হচ্ছে না। বলি আর কত, এবার রাগটা কমাও মালিহা!”
রিপ্তির কথায় মালিহা নিরব থাকে। প্রতিত্তোরে কি বলা উচিত সে বুঝে উঠতে পারছে না। দ্বিধায় ভুগছে।
ফোনের ওপাশ থেকে মালিহার সাড়াশব্দ না পেয়ে রিপ্তি পুনরায় শুধায়, “কি হলো? লাইনে আছো?”
“আছি ভাবি।”
“কাল রাত থেকে জাওয়াদের খুব জ্বর। আম্মা বললেন জ্বর নিয়ে রোজা রাখা লাগবে না। তারপরও রোজা রেখেছে। ভাঙেনি। সাহরীতে কিছু খেতেও পারেনি। কি একটা অবস্থা!”
মালিহার বুক ধুকপুক করছে। বেহায়া মনটা জাওয়াদের চিন্তাই অস্থির হয়ে আছে। স্বাভাবিক কন্ঠে বলল, ”ঠিকমতো ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর নিজের যত্ন নিতে বলিয়েন। ভয়ের কিছু নেই।”
রিপ্তির মনঃক্ষুণ্ণ হলো। সে মালিহার এমন উত্তর আসা করেনি। মালিহাকে উদ্দেশ্য করে বলল, “তবে তুমি আসবে না? রেষারেষি বাদ দিয়ে স্বাভাবিক হওয়া যায় না মালিহা?”
“আমি তো সব ভুলে গিয়ে নতুনভাবে সব শুরু করতে চেয়েছিলাম। অল্প সময়ের জন্য হলেও সবটা ঠিক হয়েছিল। বিপত্তি কে বাধালো বলুন?”
“আমি বুঝতে পারছি সবটাই। জাওয়াদ তার ভুলে অনুতপ্ত। তোমার না থাকাই সে খুব কষ্ট পাচ্ছে। তুমি নেই তাই দেখতে পারছো না। চলে এসো মালিহা!”
“আপনি আপনার দেবরের কষ্টটা দেখলেন! সে যে কাজগুলো করেছে এসব দেখলেন না!”
“আমাকে ভুল বুঝ না। আর কেউ না জানুক তুমি তো জানো আমি অন্যায় মোটেও প্রশয় দেয় না। দুজন দুদিকে থেকে দুজনেই কষ্ট সহ্য করছো। বলো কষ্ট হচ্ছে না?”
“ভাবি, একবার অন্যায় কাজ করলে সেটা ভুলের মধ্যে গণ্য করা হলেও বারবার এক কাজ করলে সেটা অন্যায় হয়। অন্যায়! সে কি মনে করে সবকিছু তার কথা মতো হবে? আমি কি মানুষ না? আমার কি মন নেই। সে কেন বারবার আমার ইমোশন নিয়ে খেলবে? কোন কিছু কোন কষ্ট সাধ্য না করে পেলে তার মূল্য মানুষ কম দেয়। উদাহরণ আপনার দেবর। কিন্তু দূর্লভ জিনিসের মূল্য মানুষ বরাবরই দেয়। আমি কোন ফেলনা বস্তু না। সে যখন যা চাইবে সে মোতাবেক চলতে হবে। আর রইলো বাকি অসুস্থতার কথা! শরীর থাকলে অসুস্থ হবে এটাই স্বাভাবিক। সে জোয়ান সুপুরুষ সামান্য জ্বর নিশ্চয়ই তাকে কাবু করতে পারবে না। সে মালিহার সরল রূপ দেখেছে। কঠিন দেখা বাকি। যাইহোক আলিসা কেমন আছে? শরীর সুস্থ হয়েছে? আর বাকিরা?”
“আলিসা সহ বাকিরাও সবাই ভালো আছে। ওর শরীর আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। তোমার শরীর কেমন আছে?”
“আলহামদুলিল্লাহ্ সবই ভালো।”
“আচ্ছা, এখন রাখছি। আলিসা ঘুম থেকে উঠে কান্না জুরে দিয়েছে। নিজের যত্ন নিও। খালাম্মা-খালুজানকে আমার সালাম জানিও। আল্লাহ্ হাফেজ।”
“ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ্ হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম।”
মালিহার সাথে কথা বলা শেষে রিপ্তি অন্তত এটুকু বুঝলো এত সহজে মালিহা মানবে না। ঠিকই তো। জাওয়াদকে সে আগেই সর্তক করেছিল। কেন মানলো না। সে দ্রুত জাওয়াদের নাম্বার ডায়াল করলো। কিছু সময় পরেই ওপাশ থেকে ফোন রিসিভ হলো।
রিপ্তি নিজেই আগে বলল, “জাওয়াদ অফিস থেকে আসার সময় ছুটি নিয়ে এসো কয়েক দিনের। তোমার বউকে মানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু মেয়ে কঠিন রেগে আছে। এখন তুমি সেখানে যাও। দেখো কি করতে পারো।”
রিপ্তির কথায় জাওয়াদের মুখ চুপসে যায়। প্রতিত্তোরে বলল, “আচ্ছা ভাবি।”
ফোন রেখে নিরব কান্নায় ভেঙে পড়ে মালিহা। কি অদ্ভুত! জামাই বউ দুজনেই দুদিক থেকে কষ্ট পাচ্ছে। মালিহা জাওয়াদকে ভিষন ভালোবাসে। তাই তো এত অবহেলার পরেও সব মেনে নিয়ে সুখের সংসার বাধতে চেয়েছিল। কিন্তু কি নিয়তি!
খানিক সময় অশ্রু বির্সজন দিয়ে নিজেকেই নিজে বুঝালো, ”ভেঙে পড়িস না মালিহা। শান্ত থাক। তোর নরম স্বভাবের জন্যই বারবার লোকে তোকে ভাঙতে পারে। এবার অন্তত শক্ত হো। কাঠিন্যতায় যদি ভালো কিছু হয় তবে কাঠিন্যতায় শ্রেয় আপাতত।”
মেয়ের বিয়ের পর থেকেই মনোয়ারা বেগমকে চিন্তা রোগে ধরেছে। সারাক্ষণ চিন্তা করতেই থাকেন। তিনি বেশ আন্দাজ করতে পেরেছেন মেয়ে তার সুখে নেই। অমন ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় মেয়েটা কেমন শুকিয়ে গিয়েছে। ফুটফুটে মেয়েটার আজ কি দশা। তটস্থ থাকেন পাছে ছেলেটা না জেনে যায়। কারণ মালিহার বিয়ের সময় তার ভাই বিদেশ ছিল। বিয়ের কোন কাজে সে থাকতে পারেনি। বোনের এ দূর্দশা সম্পর্কে জানা নেই তার। কিন্তু কখনও জানলে ও বাড়িতে এক মূহুর্তের জন্যেও বোনকে রাখবে না সে। একমাত্র ভাইয়ের একমাত্র বোন। বাবা-ভাইয়ের আদরের দুলালি। বোন এসেছে দেখে কত খুশি হয়েছে ছেলেটা। আনাড়ি হাতে হরেকরকম বাজার করে নিয়ে এসেছে। কত যত্ন আত্তী করছে।
নিজেকে সামলে মায়ের রুমের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো মালিহা। মানসিক অবসাদে ভুগছে মালিহা। একটু মানসিক শান্তির দরকার। মা নামক পরশ মনি থেকেই এ শান্তি পাওয়া যায়।
“আম্মু আসবো?”
“আয়। তোকে কতবার বলেছি আমার রুমে ঢুকতে হলে অনুমতি লাগবে না।”
“তবুও। আচ্ছা বাদ দাও।”
বিছানায় বসে সম্ভাবত কোন হাদিসের বই পড়ছিলেন মনোয়ারা বেগম। মালিহার আগমনে বইটা পড়া বাদ দিয়ে বেড ডয়ারের ওপরে রেখে দিলেন। বললেন, “বোস এখানটাই।”
মালিহা বসলো। তারপর চট করেই মায়ের কোলে মাথা রেখে বলল, “ছোট বেলার একটা ঘটনা বলো তো আম্মু। শুনতে ইচ্ছে করছে।”
অন্য সময় হলে হয়তো নাকচ করে দিতেন মেয়ের এহেন বাচ্চামো আবদার। কিন্তু আজ আর তা করলেন না। মুচকি হেসে বললেন, “বেশ শোন তাহলে।”
মালিহার মনোযোগী শ্রোতার ন্যায় মায়ের প্রত্যেকটি কথা শুনছে। খারাপ লাগাটা একটু হলেও কমেছে তার। কখন যে নেত্র পল্লবে তন্দ্রা এসে হানা দিয়েছে বুঝতেই পারেনি। মনোয়ারা বেগম মুচকি হাসেন। ঠিক ছোট বেলার মত এখনো মালিহা মায়ের কোলে শুলেই ঘুমিয়ে পড়ে। দেখতে দেখতে মেয়েটা কত বড় হয়ে গিয়েছে। শশুর বাড়িতে গিয়ে কত ঝড় ঝাপটা নিরবে সয়ে যাচ্ছে। বয়স্ক মা-বাবাকে টের পেতে দেয় না। বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো মনোয়ারা বেগমের।
পড়ন্ত বিকাল। আসরের কিছু পরে। মায়ের অনুমতি নিয়ে মালিহা ছাদের দিকে রওনা দেয়। উদ্দেশ্যে একটু আকাশ দেখবে। মাঝেমধ্যে আরশের অধিপতির অপরূপ সৃষ্টি শূন্য গগনকেও বড্ড ভালো লাগে।
সিড়ি ঘরের সম্মুখে যেতেই বয়স্ক এক মহিলার কর্কশ কন্ঠ শুনতে পাই মালিহা। এগিয়ে যেতেই আবিষ্কার করে ষোড়শী এক কিশোরীকে।
বৃদ্ধা কর্কশ স্বরে মেয়েটির উদ্দেশ্য বলছে, “বাপ মা কিছু শেখায় নাই? ধামড়ি মেয়ে রোজা রমজানের দিনে রোজা না রেখে শরীর দুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো হচ্ছে। লজ্জা করে না গাছের আপ পেড়েছিস? বেলাজ বেহায়া কোথাকার। আমাদের সময়ে মেয়েছেলেদের কি দারুণ লজ্জা ছিল। আর এখনের সব ছেলেমেয়েদের লজ্জা পানির সাথে মিশিয়ে খেয়েছে। বলি রমজান মাসে দিনের বেলা আম খাচ্ছিস মরতে হবে না? মরলে কি জবাব দিবি? শরীর তো বানিয়েছিস ছোটখাটো হাতি। কোন গুদামের চাউল খাস?”
কিশোরী মেয়েটা নত মস্তকে কথাগুলো শুনে যাচ্ছে। বাচ্চা মেয়েটার মুখটা চুপসে এতটুকু হয়ে গেছে। হাতে আধখাওয়া একটা ছোট আম। হয়তো পাশের গাছ থেকেই পেড়েছে।
মালিহার মনে হলো মহিলার যথেষ্ট বয়স হলেও বুদ্ধি গুনের এখনো বেশ ঘাটতি আছে। দুটো কথা না বললেই নয়। তাই আরেকটু এগিয়ে গেল। নিজের উপস্থিতি বোঝানোর জন্য সালাম দিল।
“আসসালামু আলাইকুম।”
বয়স্ক মহিলার যেন বিরক্ত হলো মালিহার আগমনে। সে সালাম দেওয়ার আগেই ছোট মেয়েটা সুন্দর করে জবাব দিল, “ওয়ালাইকুমুস সালাম আপু।”
“কি হয়েছে দাদু? ওকে ওভাবে বকছেন কেন? কি করেছে ও?”
“বকছি কোথায়। একটু উপদেশ দিচ্ছিলাম বাপু। রোজা রমজান মাসে দিনে বেলা কেউ গাছ থেকে আম পেড়ে খাই? মরার ভয় নেই নাকি!”
“আপনি একজন মুসলিম ও বয়োজ্যেষ্ঠ হিসাবে ছোটদের ধার্মিক জ্ঞান সম্পর্কে অবগত করবেন এটাই স্বাভাবিক। খুব ভালো কথা এটা। কিন্তু তাই বলে কারো মা-বাবাকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলার রাইট তো আপনার নেই। তাই না! তাছাড়া এই আম গাছ আমার আব্বুর লাগানো তাতে আপনি ওকে যা তা বলছেন কেন? ছোটরা ভুল করলে বড়রা সুধরে দিবে এমনটাই হয়ে থাকে। কিন্তু তাকে বকে অথবা মে’রে শেখানো যাবে না। আজ ওকে বলছেন। পরবর্তীতে আর কাউকে বলবেন না এভাবে। বাচ্চা মানুষ আদর করে যা বোঝাবেন ওরা সেটাই বুঝবে। কিন্তু এভাবে রুড ভাষায় কথা বললে অপর ব্যক্তির ওপর ক্ষোভ তৈরি হয়। কথা মানা তো দুর। আর রইলো বাকি শরীরের কথা। ওর মা-বাবার টা খাই। আপনার বা আমার খাবার খাচ্ছে না। আপনি বুদ্ধিমান মানুষ হয়ে কি করে ছোটখাটো হাতি বলতে পারলেন? মুরুব্বি, মুরুব্বির মত থাকবেন। সম্মান ও শ্রদ্ধা দুটোই পাবেন। আসা করি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।”
বৃদ্ধা কোন কথা বলে না। থমথমে মুখশ্রী নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। কি বলা উচিত বুঝে উঠতে পারছে না।
মালিহা মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলল, “তোমার রোজা ফরজ হয়েছে। তাহলে রোজা রাখোনি কেন বোনু?”
মেয়েটি আড়ষ্টে কন্ঠে বলল, “আপু আমার পিরিয়ড হয়েছে। তাই আজকে রোজা নেই।”
“ওহ্ আচ্ছা। অন্তত রমজান মাসে জন সম্মুখে কিছু খেও না। সবাই ভালো ভাবে নেয় না। এখন যাও ইফতারের সময় হয়ে গিয়েছে। বাসায় যাও। আর আম খেতে হলে বাসায় নিয়ে খেও। অন্তত রমজান মাসে বাইরে খেও না। বোঝাতে পেরেছি?”
মেয়েটি বিজ্ঞের মত মাথা নাড়িয়ে বলল, “বুঝেছি আপু। আমি যায় তবে।”
“যাও।”
কথা বলার ফাঁকে সময় যে কখন চলে গিয়েছে খেয়াল করেনি মালিহা। বাসায় যাওয়ার আগে মুরুব্বিকে উদ্দেশ্যে করে বলল, “আমার কথায় মনে কিছু করবেন না দাদু। পিরিয়ড নিয়ে রোজা রাখা যায় না সেটা তো জানেন। পরবর্তীতে কাউকে কিছু বলার আগে জেনেশুনে বলবেন। বাচ্চা মেয়েটা কতটা খারাপ ভাবে কথাগুলো ওর মনে প্রভাব পড়েছে বুঝতে পারছেন? ও আধুনিক যুগের শহুরে মেয়ে। ওর মধ্যে সেকেলে যুগের কিছু কি পাবেন? ও যে জেনারেশনের মেয়ে সেরকম ধ্যান ধারনা কর্মকাণ্ড ওর মধ্যে বিদ্যমান। যাইহোক, আমরা পাঁচ তলার কর্ণারের ফ্লাটে থাকি। সময় করে আসবেন।”
এমন সুন্দর করে বোঝালে কে না বুঝবে। বৃদ্ধাও বুঝলেন। নমনীয় স্বরে বললেন, “তোমার মত করে ভাবিনি দাদু ভাই। বড় ভালো মেয়ে তুমি। আচ্ছা আমি যায়। সময় হয়ে এলো ইফতারের। মনে কিছু নিও না কেমন!”
“আপনিও মনে কষ্ট নিয়েন না দাদু। পরে দেখা হবে। আল্লাহ্ হাফেজ।”
মালিহা দ্রুত পায়ে ছাদ থেকে সিড়ির উদ্দেশ্যে পা বাড়ালো। ওদের বিল্ডিংয়ের লিফ্ট’টা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অগ্যতা লোকেদের সিড়ি ব্যবহার করতে হয়। নামার সময় দেখলো এক অতীব সুদর্শন যুবক তার দিকে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় চেয়ে আছে। মালিহা বিরক্ত হলো। দ্রুত পা চালিয়ে নিজেদের ফ্লাটে ঢুকে পড়লো। মনে মনে বলল, “কোথাকার কোন পাগলের উৎপত্তি হলো।”
ঘড়িতে রাত এগারোটা বাজছে। এমন সময় অনবরত কলিং বেলের শব্দ মালিহার কর্ণকুহুরে ভেসে আসলো। মালিহার মস্তিষ্ক জানান দিল ভাই, আব্বু সবাই বাসায়। তবে এত রাতে কে এলো! তাও অভদ্রের মত বারবার বেল বাজাচ্ছে।
ইনশাআল্লাহ চলবে….