ত্রিধারে তরঙ্গলীলা পর্ব-৮৮

0
977

#ত্রিধারে_তরঙ্গলীলা
|৮৮|
ভয়ে বুক ঢিপঢিপ করছে নামীর। নিজেকে চোর চোর লাগছে। চোরেরা কীভাবে চুরি করে? ঠিক কতখানি সাহস, কত বড়ো বুকের পাটা থাকলে চোরেরা চুরি করতে পারে? ভেবেই শরীর ঘেমে উঠল। চুরি করে সামান্য বরের পিছু নিয়েছে। এতেই তার অবস্থা যাচ্ছেতাই। হঠাৎ ভ্রু কুঁচকে গেল। সুহাস তো বাবা, মায়ের ঘরে যাচ্ছে! বুক ধক করে উঠল নিমেষে। অন্তঃকরণ এমন কিছু আঁচ পেল যাতে তার বুকের ভেতর চিনচিনে এক ব্যথার অনুভূতি হলো। ততক্ষণে
সুহাস ভেতরে ঢুকে গেছে। আর থমকে গেছে নামীর পা দুটো। আর কি এগুনো ঠিক হবে? বেচারা মানুষের সম্মুখে সারাদিন গুমরে থাকার পর মাঝরাতে হয়তো নিরিবিলিভাবে একটু হাঁপ ছাড়ে।
পরোক্ষণেই ভাবল, সে তো সুহাসের স্ত্রী। অথচ কতটা দূরত্ব তাদের। যে ওই মানুষটা তার সামনেও নিজেকে ভেঙেচুরে প্রকাশ করতে পারছে না। এই দূরত্বের পেছনে পুরোপুরি সুহাস দায়ী নয়৷ সে নিজেও দায়ী। তবে কেন ওর দুঃখের ভাগ নেবে না? সুহাস যতই সে দুঃখ আড়াল করার চেষ্টা করুক৷ সে জানতে পেরে পিছু হাঁটবে কেন? তার অবশ্যই এগিয়ে যাওয়া উচিত। পাশে থেকে কাঁধে হাত রেখে বোঝানো উচিত।’ চিন্তা করো না। আমি আছি, আমি থেকে যাব। শুধু হাতে হাত রেখে সসম্মানে গ্রহণ করো। ‘ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল নামী৷ সে বুঝদার মেয়ে। তাই খুব সংগোপনেই বুঝে নিল সুহাসকে। পা বাড়াল শশুর, শাশুড়ির ঘরের দিকে। দরজা ভেতর থেকে আঁটকে রাখা কিনা জানা নেই।

অতিরিক্ত চঞ্চল প্রকৃতির মানুষদের জন্য ঠিকঠাক একটা ধাক্কাই যথেষ্ট। নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নেওয়ার জন্য। সুহাসের জীবনে যেন তাই ঘটেছে। মায়ের মৃত্যুতে বাবাকে পাশে পেয়ে নিজেকে যে সান্ত্বনা দিয়েছিল। বাবার মৃত্যুর পর সে সান্ত্বনা কোনোকিছুর বিনিময়েই মিলছে না৷ হাহ! তা কি আর মেলে? এতিম শব্দটা যে অনেক ভারী। এই শব্দের বোঝা শুধু কাঁধে নয় বুকেও বহন করতে হয়। সুহাসও করছে৷ সারাদিন সকলের সঙ্গে মিলে থাকে। মন, মস্তিষ্ক জুড়ে কত হাহাকার বয়ে যায় কেউ কি টের পায়? কাউকে টের পেতে দেয় না৷ লোকে বলে পুরুষ মানুষের কাঁদতে নেই। তাদের সবকিছু শক্ত হাতে অতিসহজে সামলে নিতে হয়৷ কিন্তু লোকেরা কি জানে? পাহাড়সম যন্ত্রণা বুকে পুষে পুরুষরা সবকিছু সামলে নিলেও দিনশেষে খুব জঘন্য ভাবে ভেঙে পড়ে? যেই ভেঙে পড়ার গল্প গুলো রয়ে যায় অজানাতে। সুহাসও ভাঙল। এই মধ্যরাতে। বাবা, মায়ের ঘরে এসে বিজনেসের ফাইলগুলো ঘেঁটেঘুটে দেখল৷ তাকে যে এখন এগুলো বুঝে নিতে হবে। এরপর সেগুলো গুছিয়ে রেখে পুরোনো একটি অ্যালবাম বের করল। বুকটা কেঁপে উঠল বাবা, মায়ের বিয়ের ছবি দেখে। শরীর ছেড়ে বসে পড়ল ফ্লোরে। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দেখতে শুরু করল প্রতিটা ছবি। বাবা, মায়ের বিয়ে থেকে শুরু করে তার শিশুকাল। সিমরানের ছোট্টবেলাকারও অসংখ্য ছবি। নিশ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হলো। তরতাজা দুটো মানুষ আর দুনিয়াতে নেই! এই দুজন মানুষ তাকে আর বোনকে দুনিয়ায় এনেছে। এদের জন্যই তো আজ এতবড়ো পৃথিবীতে টিকে আছে। আজ এরা নেই। অথচ এ বাড়ি এ দুনিয়া থেকে কেউ তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে না৷ জীবন কী অদ্ভুত! একটু হেসে ফেলল সুহাস। চোখ বেয়ে ঝড়ল নোনাপানির ধারা। সবাই জানে সে মায়ের মৃত্যুতে কাঁদলেও বাবার মৃত্যুতে কাঁদেনি। সেই জানার বাইরে গিয়ে আজ নামী জানল, সুহাসের এক ভয়ংকর আর্তনাদ। ভেতর থেকে দরজা লাগানো নেই৷ তাই নিঃশব্দে দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করল নামী। সুহাস স্থবির হয়ে বসে আছে৷ কোলের ওপর ফ্যামিলি অ্যালবাম৷ শুধু মন খুলে কাঁদার জন্যই রোজ রাতে এখানে আসে না সুহাস। আরো কারণ রয়েছে। সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও ঘর থেকে এ ঘরে অর্থাৎ বাবা, মায়ের ঘরে শিফট করবে। বাবা, মায়ের ঘরটা হবে তার আর নামীর ঘর। আর ভবিষ্যতে তার ঘর হবে সুহৃদের। সিদ্ধান্ত নিয়েই এ ঘরটা নিজের মতো গুছিয়ে নিয়েছে। নামীকে কিছু বলেনি এখনো। আর কিছুদিন পর বলবে এ ব্যাপারে। রোজ ও ঘর থেকে এভাবে এ ঘরে এসে থাকার আরো একটা কারণ হচ্ছে, তার ফিজিক্যাল নীডস! স্বামী, স্ত্রী দীর্ঘদিন দূরে ছিল। এখন কাছাকাছি থাকা সত্যেও দুজনের মাঝেকার অদৃশ্য এক দেয়াল সরছেই না। বাবার মৃত্যুর শোকে তার মন এতটাই স্তব্ধ যে নিজে থেকে কাছে টানতে পারছে না নামীকে। জড়তা কাজ করছে। এসব ব্যাপারে নামী নিজে থেকে এগুবে তা আশা করাই বোকামি। তার পুরুষ মন, পৌরুষ চাহিদা নিয়ন্ত্রণ রাখতেই এভাবে দূরে সরে থাকা। আগুনের আশপাশে থাকলে তাপ লাগবে দূরে সরে থাকলে নিশ্চয়ই লাগবে না?

নামী যথেষ্ট পরিণত মস্তিষ্কের মেয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রী। একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক মেনে নিতে তার কখনোই আপত্তি নেই। মেয়ে বলে স্বামীকে কাছে পাওয়ার তৃষ্ণা তার নেই এমনটাও নয়। কিন্তু বর্তমান যে সুহাসকে সে দেখছে, জানছে তার কাছে আসা নিয়েও দ্বিধায় ভুগছে। যদি দূরে সরিয়ে দেয়? সে কি লজ্জা পাবে না? শোকাবহ একটা পরিস্থিতিতে সুহাস ঠিক কতটুকু আগ্রহী এ ব্যাপারে তার ব্যাপারে সে অনিশ্চিত।

নামী ঘরে ঢুকেছে। টের পায়নি সুহাস। সে বাবার সঙ্গে তার খুনসুটি মুহুর্তের কয়েকটা ছবি দেখছে। পুরোনো স্মৃতিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। ইশ! সেইদিন গুলো কি আবার ফিরে আসতে পারে না? তার মন, মস্তিষ্ক জুড়ে যখন এমনি একটা প্রশ্ন আসে। আবেগঘন হয়ে চোখ দিয়ে ঝড়ে অশ্রু৷ ঠিক সেই মুহুর্তে সম্মুখে দাঁড়ায় নামী৷ চকিতে মাথা তুলে সুহাস। ধূসর বর্ণ চোখদুটো রক্তলাল। চোয়াল বেয়ে নোনাপানি। নামী দুই হাঁটু গেড়ে বসে মুখোমুখি। হাত বাড়িয়ে চোখের পানি মুছে দিতে দিতে বলে,

‘ বাবাকে মিস করছ? ‘

আচমকা সুহাসের কী হলো কে জানে? প্রচণ্ড শক্ত করে জড়িয়ে ধরল তাকে। টাল সামলাতে না পেরে শরীর ছেড়ে বসে পড়ল নামী৷ সুহাস উচ্চরবে কাঁদতে কাঁদতে বলল,

‘ সেইদিন গুলো আর ফিরে আসবে না নামী। বাবা আর ফিরবে না। ফিরবে না বাবা, মা। ‘

অশ্রুতে ভরে গেল নামীর চোখও। যত্ন করে সুহাসের মাথাটা বুকে জড়িয়ে নিল। পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,

‘ কে বলেছে ফিরবে না সুহাস? আমরা যা হারাই সবই ফিরে পাই। হয়তো ফিরে পাওয়াতে একটু পার্থক্য থাকে৷ এটা যে প্রকৃতিরই নিয়ম। আমাদের মেনে নিতেই হবে। ‘

কান্নার বেগ কমে সুহাসের। ধীরেধীরে শান্ত হয়। নামীকে ছেড়ে একটু সরে বসে। চোখ তুলে তাকায়। নামী ফের ওর চোখের জল মুছে দেয়। অ্যালবামের ছবির দিকে ইশারা করে বলে,

‘ সুহৃদ কি তার বাবার সঙ্গে এমন একটা ছবি তুলবে না? সুহৃদের মা কি এমনই একটি অ্যালবাম গিফট পাবে না তার বাবার কাছে? ‘

সুহাসের চোখ বেয়ে আবারো অশ্রু ঝড়ে। ওর অসহায় মুখাবয়ব দেখে নামীও কেঁদে ফেলে। সুহাসের মাথাটা বুকে চেপে ধরে বলে,

‘ এত ভেঙে পড়ছ কেন সুহাস? আমি আছি তো তোমার পাশে। তোমার সব দুঃখের ভাগীদার হতে চাই আমি। আমার সঙ্গে দূরত্ব ঘুচাও তুমি প্লিজ। এভাবে কিচ্ছু ঠিক হবে না, কিচ্ছু না৷ নিজেকে আর গুমরে মেরো না তুমি। যারা চলে গেছে তাদের জন্য নিজেকে এভাবে ভেঙে দিলে যারা রয়ে গেছে তাদের কী হবে? আমার কী হবে সুহাস, আমাদের সুহৃদের কী হবে?’

থমথমে কণ্ঠে সুহাস জবাব দিল,

‘ তুমি তো শক্তিশালী নারী নামী। তোমার কিচ্ছু হবে না৷ তুমি ঠিক সামলে নিব সুহৃদকে। তুমি কি এই সুহাসকে পরোয়া করো? ‘

সব যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে কি একরাশ অভিমান ছিল সুহাসের এই কথাটিতে? নামীর কান্না গাঢ় হলো। ছেড়ে দিল সুহাসকে। কিঞ্চিৎ সরে গিয়ে মুখোমুখি বসে বলল,

‘ এই পৃথিবী আর চারপাশের মানুষ গুলো আমাকে শক্ত হতে বাধ্য করেছে সুহাস। তাই বলে কি এই যে আমার কারো ভালোবাসা পাওয়ার মন নেই, অধিকার নেই। আমার পাশে কাউকে প্রয়োজন নেই? আমি তোমাকে ভালোবাসি সুহাস। সব রাগ, অভিমান, দম্ভ শেষে এই সত্যিটা তো অস্বীকার করতে পারি না আমি। ‘

পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকাল সুহাস। নামীর কান্নায় যেন ওর সংবিৎ ফিরল। হাত বাড়িয়ে মুছে দিল নামীর গাল বেয়ে পড়া অশ্রুজল৷ নিমেষে ওর হাতটা নিজের গালে শক্ত করে চেপে ধরল নামী। বলল,

‘ চোখের পানি মোছার দায়িত্ব নিলেই খুশি আমি। ‘

কান্নার মাঝেও হেসে উঠে সুহাস৷ আলগোছে কাছে টেনে নেয় নামীকে৷ বুকে জড়িয়ে রাখে দীর্ঘক্ষণ। ওদের অশান্ত দুটি হৃদয় যখন শান্ত হয়ে আসে। তখন বলে,

‘ এ ঘরে শিফট হয়ে যাব নামী। এখানে আলাদা একটা শান্তি পাই আমি। এই ঘরটা আমায় ভীষণ টানে ভীষণ। ‘

মাথা তুলে নামী। বলে,

‘ কালই চলে আসব। ‘

‘ সুহৃদ বড়ো হলে ও ঘরটা ওর জন্য সাজিয়ে, গুছিয়ে দিব। ‘

সাধারণ একটি ভবিষ্যত প্ল্যান করে ফেলল ওরা। দুজন মিলে অনেকটা সময় কাটাল। এরপর অ্যালবাম রেখে দিল যথাস্থানে। নামী দেখল, এ ঘরটা সুহাস নিজের মতোই গুছিয়ে নিয়েছে। ভেবেছিল ও ঘরে ফিরে যাবে। কিন্তু সুহাস ফেরার নাম নিল না। বরং কাছে এসে গাঢ় চাউনিতে বলল,

‘ সুহৃদ ঘুমাচ্ছে তো? ভোর হওয়ার আগে উঠার সম্ভাবনা নেই। ‘

দেয়াল ঘড়িতে তাকাল নামী। ফজরের ওয়াক্ত হতে আরো দেড় ঘন্টা। ছেলের অভ্যেস ভালো। এখন রাতে একবার জাগে বারোটা, একটায়। এরপর জাগে ভোরবেলা। তাই সে মাথা নেড়ে বুঝাল হ্যাঁ ঘুমাচ্ছে, উঠার সম্ভাবনা নেই। লম্বাচওড়া দেহের সুহাস তখন চট করে মাথা নিচু করে জিজ্ঞেস করল,

‘ শেষরাতটা এই অধমকে গিফট করা যায় না? ‘

সহসা শিউরে উঠল নামী। বুকের ভেতর কী যেন একটা কামড়ে ধরল তীব্রভাবে। এক পলক তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিল লজ্জাভরে। এ আবার কেমন আহ্বান? অবশ্য নির্লজ্জতা ছেড়েছে। আগে তো চিল্লাচিল্লি করে ডাকত, ‘ কাছে আসো তোমাকে প্রয়োজন। ‘ সেই নির্লজ্জতা ছাড়বে নাই বা কেন? আগে শুধু ছেলে ছিল। এখন এক ছেলের বাপ। ভেবেই মনে মনে হাসল নামী। সুহাস ওর মুখশ্রী পড়ে নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে, মুখে জল ছিঁটিয়ে এলো। এরপর ইশারা করল তাকেও মুখ ধুয়ে আসতে৷ কান্নাকাটি করে একাকার মুখটা। নামী ফ্রেশ হতে গেলে সে গিয়ে জানালা, দরজা বন্ধ করে লাইট অফ করে ড্রিম লাইট অন করে দিল।

অনেকগুলো মাস৷ এক বছর পেরিয়ে দু বছরের কাছাকাছি সময়। ওরা দুজন আলাদা ছিল। কত দূরত্ব, মান, অভিমান শেষে এই কাছে আসা, ধরা দেওয়া? হিসেব আছে? হিসেবটা থাকুক বা না থাকুক। বোঝাপড়া হয়ে গেল বেশ। কী অধৈর্য্যতা, কী বেপরোয়া ভাবে তৃষ্ণা নিবারণ। বিয়ের দীর্ঘদিন পর যখন সম্পর্ক পূর্ণতা পায়। প্রথম ঘনিষ্ঠ একটা রাত আসে ওদের। সেই রাতেরই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটল আজ। একই অনুভূতি, একই উন্মাদনা, তীব্র সুখ, আর অদ্ভুত যন্ত্রণায় টালমাটাল মন, শরীর উভয়ই। কত আদর, যত্ন মিশিয়ে আজ নামীর শরীরে আদর করে দিল সুহাস। সুখাশ্রুতে চোখের কার্ণিশ ভিজে উঠল নামীর৷ ওর কান্না টের পেয়ে মাথা তুলে সারা মুখে চুমুতে, চুমুতে ভরিয়ে তুলল সুহাস৷ ভারী নিঃশ্বাস ছেড়ে কপালে কপাল মিলিয়ে গভীর স্বরে বলল,

‘ সুহাসিনী? ‘

‘ হুহ? ‘

‘ ভালোবাসি। ‘

উত্তর দিল না নামী। শুধু শরীরের উপর থাকা ভারিক্কি শরীরটা দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। সুহাস উত্তরটা বুঝে নিল। অতঃপর ডুবে রইল বদ্ধ ঘরের নিস্তব্ধ রাতের প্রেম তরঙ্গে।
.
.
কিছু মাস পর:-

নামী আর সুহাসের পরিপূর্ণ একটি সংসার গড়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। সুহাস ঢাকা থেকে তারই শহরে ট্রান্সফারের আবেদন করেছে৷ নামী স্বামী, শশুরের প্রাইভেট হসপিটালেই জয়েন করেছে। স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসারের দায়িত্ব, হসপিটালের দায়িত্ব সুন্দর করেই সামলে যাচ্ছে। আজ ছুটির দিন। তাই ওরা সুহৃদকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছে সিমরানের শশুর বাড়ি। সৌধ এখন চট্টগ্রামে। তাই বেচারি সিনুর মন খারাপ। এই মন খারাপ অবশ্য খুব বেশিদিন থাকবে না। কারণ সৌধ বলেছে তার ফাইনাল পরীক্ষা হতে হতে হয় সে ট্রান্সফার নিয়ে এখানে চলে আসবে। নয়তো তাকে ওখানে নিয়ে যাবে৷ নামীরা চৌধুরী বাড়িতে পৌঁছাতেই সুহাসের একটি ফোনকল এলো। জানতে পারল, ঘন্টাখানেক আগে, ফারাহর ডেলিভারি হয়েছে। মা এবং সন্তান তিনজনই সুস্থ। তারা সবাই মিলে যেন খুব তাড়াতাড়ি ঢাকা চলে আসে। আইয়াজ, ফারাহর জোর নিমন্ত্রণ।

|চলবে|
®জান্নাতুল নাঈমা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে