তোমার স্পর্শে পর্বঃ ০৫
– আবির খান
কিন্তু খুব ভালোবেসে ফেলেছি মায়াকে। অনেকটাই বেশি। এসব ভাবতে ভাবতে আর মায়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মায়াকে সাথে নিয়ে মধুর ঘুমে হারিয়ে যাই।
সকালে হঠাৎ মায়া আমাকে ডাক দেয়। আমি তখন গভীর ঘুমে অতল ছিলাম। মায়ার ডাকে আস্তে করে চোখ মেলে তাকাই। সকালের ঝলমলে রোদ এসে আমার রুমকে একদম আলোকিত করে দিয়েছে। যেমনটা মায়া আমার জীবনে এসে করেছে। আমি চোখটা ডলে মায়ার দিকে তাকাই। বিড়াল ছানার মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি ওর রোদমাখা মায়াবী মুখখানা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। এতোটা মায়াবতী যে কেউ হতে পারি আমার জানা ছিলো না। মায়ার নামটা আমি মায়া রেখে মোটেও ভুল করিনি। ওর চোখদুটো জ্বলজ্বল করছে। যেন মুক্তা। ওর ঠোঁট, গোলাপি পাপড়ির মতো। কতোটা মিষ্টি যে হবে এর স্বাদ জানা নেই।
মায়াঃ একটা কথা বলবো??
আমি ওর ঘোরে হারিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ ওর প্রশ্ন শুনে আমার ঘোর কাটে।
আমিঃ হ্যাঁ হ্যাঁ বলো।
মায়াঃ তোমার ঠোঁটটা এমন কেনো?? লজ্জা নিয়ে।
আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম,
আমিঃ কেমন??
মায়াঃ অনেক গোলাপি। আমি একটু ছুঁয়ে দেখি?? লজ্জাসিক্ত কণ্ঠে।
আমি মায়ার কথা শুনে রীতিমতো অবাক। মেয়ে বলে কি। আমার কেন জানি হাসি পাচ্ছে অনেক। হাসি চাপিয়ে বললাম,
আমিঃ হুম দেখো।
মায়া ওর হাতের আঙুল দিয়ে আমার ঠোঁট ছুঁয়ে দেখছে। মনে হচ্ছে ডাক্তার রোগীকে দেখছে। হাহা।
আমিঃ ডাক্তার আপনার ঠোঁট চেক আপ হলো?? হাহা। রসিকতার স্বরে।
মায়া অনেক লজ্জা পায় আমার কথা। লজ্জা পেয়ে কি করবে না করবে ভেবে না পেয়ে আবার আমার বুকের মাঝে মাথা লুকায়৷ আমি আস্তে করে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি আর ভাবছি, ডাক্তার ঠিকই বলেছেন ও বাচ্চাদের মতো আচরণ করলেও ওর মধ্যে মেয়েলি ভাবটা বেশ আছে। ওর প্রতি কেন যে আমার এতো মায়া কাজ করে আমি বুঝিনা। সামান্য এই অল্প কয়টা দিনে ও আমার কত আপন আর প্রিয় হয়ে যাবে আমি কল্পনাও করিনি। ওকে ছাড়া যেন আমি এখন চলতেই পারবো না। ওর স্পর্শ আমাকে শান্তি দেয়। কিন্তু ও যদি সুস্থ হয়ে আমাকে ভুলে যায়?? মন চায় ও এভাবেই সাড়া জীবন থাকুক। আমাকে ভালোবাসুক। আমাকে এভাবে আদর করুক। জানি না এসব ইচ্ছা কোনো দিন পূরণ হবে কিনা।
আমিঃ মায়া…
মায়াঃ হুম..
আমিঃ ভালোবাসা বুঝো??
মায়া মাথা উঠিয়ে আমার বুকের উপর রেখে বলে,
মায়াঃ ভালোবাসা কি??
আমিঃ ভালোবাসা হলো, যাকে তোমার খুব বেশি ভালো লাগে, সবসময় তার সাথে থাকতে ইচ্ছা করে, তাকে দেখতে ইচ্ছা করে, তার সাথে সময় কাটাতে ইচ্ছা করে। এই যে অনুভূতিটা, এটাই ভালোবাসা। এই ইচ্ছাগুলোই ভালোবাসা।
মায়া বেশ খুশি হয়ে উঠে আসন করে বসে চোখদ্বয় উজ্জ্বল করে আমাকে হাসি মুখে বলল,
মায়াঃ তাহলেতো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি আমাকে ভালোবাসো??
“তোমাকে অনেক ভালোবাসি” মায়ার মুখে আমি কি এটাই শুনলাম একটু আগে?? নাকি আমার কান ভুল শুনলো। আমি বরফ হয়ে গিয়েছি এখন। মায়া আমাকে ভালোবাসে। শুধু আমাকে।
আমিঃ তুমি আমাকেই সত্যি ভালোবাসো?? অবাক হয়ে।
মায়াঃ হ্যাঁ সত্যিই শুধু তোমাকে ভালোবাসি। এই নরম নরম ঠোঁটটাকে ভালোবাসি। হিহি।
পুরো পৃথিবীতে আজ আমার চেয়ে বেশি কেউ খুশি আছে বলে মনে হয়না। মায়া নিজে নিজ মুখ থেকে বলছে ও আমাকে ভালোবাসে। শুধু আমাকে। আমি খুশিতে আত্নহারা হয়ে মায়াকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরি। মায়াও আমাকে জড়িয়ে ধরে। বেশ কিছুক্ষন আমাদের ওভাবেই কেটে যায়।
আমিঃ এখন ওঠেন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা আর ঔষধ খেতে হবে।
মায়া দ্রুত মাথা তুলে বলে,
মায়াঃ আমার ঔষধ খেতে ভালো লাগে না। আমি জুস খাবো। জুস অনেক ইয়ামি। বাচ্চাদের মতো করে।
আমি হেসে দিলাম। এইতো আমার পরীটার দিনের আলোর সাথে বাচ্চামিটাও বের হচ্ছে। একদম বাচ্চা একটা মেয়ে। আমি ওর গাল দুটো ধরে বললাম,
আমিঃ ঔষধতো তোমাকে খেতে হবেই। নাহলে সুস্থ হবে কি করে?? ওঠো ফ্রেশ হয়ে আসবে।
মায়া আমার দিকে চুপচাপ তাকিয়ে আছে। হঠাৎ আমি খেয়াল করি, ওর মুখখানা আবার সেই গোলাপি আভা লাভ করছে। চোখটায়ও কেমন নেশাকাতর নেশাকাতর লাগছে। আমি ঠোঁট বাঁকা করে বললাম,
আমিঃ এই যে, লজ্জা পাচ্ছেন কেন??
মায়া চোখ আমার দিক থেকে সরিয়ে অন্য দিকে নিয়ে বলল,
মায়াঃ জানি না। তুমি আমার গাল এভাবে সবসময় ধরবে। আমার ভালো লাগে। আমিও তোমার দাড়ি ধববো। হিহি।
আমিঃ দুষ্ট মেয়ে। উঠো এখন।
এরপর মায়াকে উঠিয়ে ফ্রেশ হতে পাঠিয়ে দি। ও ফ্রেশ হয়ে এলে আমিও ফ্রেশ হয়ে আসি। তারপর ওর জন্য হালকা নাস্তা বানাই। সেগুলো খাওয়াই। সাথে ঔষধও খাওয়ালাম। এরপর ওকে নিয়ে সোফায় বসতেই কলিং বেল বেজে উঠে। মানে রাফি এসেছে হয়তো। মায়া সোফায় বসে ছিলো। আমি উঠে দরজা খুলে দেখি হ্যাঁ সত্যিই রাফি এসেছে সাথে সেই সার্ভেন্ট।
আমিঃ আয় দোস্ত। আপনিও আসেন।
ওরা ভিতরে ঢুকে ড্রয়িং রুমে গিয়ে বসে। আমিও গিয়ে মায়ার পাশে বসি। মায়া হঠাৎ আমার হাতটা ধরে রাফি আর সার্ভেন্টকে দেখছে।
রাফিঃ বাবাহ দোস্ত, ভাবিতো মনে হচ্ছে এখন ভালোই আছে। মজা করে।
আমিঃ চুপ থাক।
রাফিঃ ভাবি কেমন আছেন??
মায়া আমার দিকে তাকিয়ে অসহায় ভাবে জিজ্ঞেস করলো,
মায়াঃ ওরা কারা??
আমিঃ ও আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু, রাফি। আর উনি আজ থেকে আমাদের বাসায় কাজ করবেন। আর তোমার দেখাশোনা করবেন।
মায়াঃ ও।
রাফিঃ ভাবি, আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর। হিহি।
মায়াঃ উনি আমাকে ভাবি ভাবি বলছে কেন?? ভাবি কি??
আমি রাফির দিকে ফিরে তাকালাম। রাফিও আমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো। আর বলল,
রাফিঃ দোস্ত কেইসটা কি??
আমিঃ পরে বলছি। তা খালা রাফি সব বলছে তো??
খালাঃ জ্বি বাবা বলছে। তুমি খালি আমারে রান্নাঘরটা চিনায় দেও আর কিচ্ছু লাগবে না।
আমিঃ আচ্ছা আসেন। রান্নাঘর না আগে আপনাকে আপনার থাকার ঘরটা চিনিয়ে দি আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন। কাজ পরে করা যাবে।
খালাঃ আচ্ছা বাবা। হাসি দিয়ে।
রাফিঃ বলছি না চাচি, আমার বন্ধুটা মনের দিক থেকে অনেক ভালো।
খালাঃ হ ঠিক কইছো বাবা।
আমি খালাকে তার রুমে দিয়ে আসি। এসে সোজা আবার মায়ার কাছে চলে আসি।
রাফিঃ হ্যাঁ দোস্ত বল কাহিনি কি??
আমিঃ ও একটু বাচ্চাদের মতো আচরণ করছে। তবে ডাক্তার বলল চিন্তার কোনো কারণ নাই। জানিস ও আমাকে নাকি ভালোবাসে। আমি মায়ার দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বললাম।
রাফিঃ ও। তা ভাবি কি খালি আবিরকেই ভালোবাসেন আমাকে বাসেন না?? মজা করে।
মায়াঃ নাহ। আপনাকে কেন ভালোবাসবো?? আমি আমার এই বন্ধুটাকে ভালোবাসি। মায়া আমাকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বলল।
রাফিঃ এই এই…আমার সামনে প্রেম ট্রেম শুরু করে দিয়েছে দেখো। হাহাহা।
আমিঃ আরে কি করছো মায়া। বসো চুপ করে।
রাফিঃ তুই কি সিরিয়াস ওকে নিয়ে??
আমিঃ হ্যাঁ দোস্ত। ও ছাড়া আর কেউ না। শুধু ও।
রাফিঃ কিন্তু স্মৃতি শক্তি ফিরে পেলে যদি তোকে ভুলে যায়। তখন কি করবি??
রাফির কথাটা শুনে বুকে যেন তীর এসে লাগলো। আমি মায়ার দিকে তাকালাম। ও আমার দিকে মলিন নয়নে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ তা ভবিষ্যতে দেখা যাবে। আজ ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো। ওর নাকি কিছু টেস্ট করাবে।
রাফিঃ আচ্ছা। কখন যাবি??
আমিঃ এইতো একটু পর। তুই যাবি??
রাফিঃ না তোরা যা। কাবাব ম্যা হাড্ডি হইতে চাইনা। মজা করে।
আমিঃ আরে ধুর। চল।
রাফিঃ আরে না না। আমার একটা কাজ আছে। দেখিস না একদম রেডি হয়ে এসেছি। তাহলে আমি এখন উঠি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাস কিন্তু।
আমিঃ এক কাপ চা খেয়ে যা।
রাফিঃ না দোস্ত আরেকদিন। তোর হবু ভাবি নাহলে রাগ করবে।
আমিঃ ওওও…এই কাহিনি। আচ্ছা যা। ভালো থাকিস।
রাফিঃ আচ্ছা। তাহলে ভাবি আমি যাই। ভালো থেকেন। আর খালাতো আছেই।
আমিঃ হুম।
এরপর রাফি চলে যায়। আমি আর মায়া কিছুক্ষন মজা করে খালাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে মায়াকে রেডি করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তার ওর কিছু টেস্ট করে। আর বলে,
ডাক্তারঃ টেস্টের রিপোর্ট আসুক। তারপর সব বুঝতে পারবো। তবে ওনাকে দেখে মনে হচ্ছে খুব ভালো আছে।
আমিঃ জ্বি। কিন্তু বাচ্চামি স্বভাবটা আছে আর কি।
ডাক্তারঃ চিন্তার কোনো কারণ নেই। আল্লাহ ভরসা উনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন। আপনিতো স্ত্রীর ভালোই যত্ন নিচ্ছেন। এভাবে ওনার খেয়াল রাখলে উনি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবেন।
আমিঃ কিন্তু স্যার এই টেস্টটা কিসের ছিল??
ডাক্তারঃ আসলে আমরা দেখছি অপারেশন এর পর উনার ব্রেনে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা। বা কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়েছে কিনা তা জানতে।
আমিঃ ওহহ। রিপোর্ট কবে আসবে??
ডাক্তারঃ কালকে। আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো নে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাহলে আর কোনো চিন্তা নেই। আপনি শুধু ওনাকে ওনার বর্তমানে নিয়ে যান। তাহলেই হয়তো উনি সুস্থ হয়ে যাবে।
আমিঃ জ্বি চেষ্টা করছি। তাহলে আজ উঠি।
ডাক্তারঃ জ্বি। ভালো থাকবেন। আর উনার বেশি বেশি খেয়াল রাখবেন।
আমিঃ অবশ্যই।
এরপর আমি মায়াকে নিয়ে ডাক্তার এর কাছ থেকে চলে আসি। গাড়িতে করে মায়াকে নিয়ে আমার একটা পছন্দের জায়গায় চলে যাই। মায়া জায়গাটায় গিয়ে বেশ খুশি হয়৷ কারণ আমার এই জায়গাটায় আছে কাশফুল পাশেই নদী আর খোলা মাঠ। মায়া কাশফুল নিয়ে আমার সামনে খেলা করছে। আমি গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ওকে মন ভরে দেখছি। হঠাৎ রাফির কথাটা মনে পরে গেলো। “ও যদি তোকে ভুলে যায়।” আমি ভাবছি, আমার কুড়িয়ে পাওয়া ভালোবাসাটা কি আমাকে সত্যিই একদিন ভুলে যাবে?? আমার এতো আদর,যত্ন,সোহাগ আর অফুরন্ত ভালোবাসা সব একদিন ভুলে যাবে?? আমার অনুভূতিগুলো সেদিন একা হয়ে যাবে। আমার স্পর্শ আমার থেকে দূরে চলে যাবে?? এসব ভাবতেই চোখের কোণায় অশ্রু এসে পরে। হাজার চেষ্টা করেও আটকে রাখতে পারছিনা। মায়ার দিকে আর তাকিয়ে না থাকতে পেরে অন্যদিকে তাকিয়ে চোখের নোনা জলগুলো ছেড়ে দি। হঠাৎই কাঁধে কারো হাতের স্পর্শ পাই। কোনো রকম কান্না চেপে ঘুরে তাকিয়ে দেখি মায়া। মায়া আমাকে দেখে মলিন কণ্ঠে বলে,
মায়াঃ তুমি কাঁদছো??
আমিঃ না না, চোখে ময়লা গিয়েছে।
মায়া কি যেন ভেবে আমাকে ঠাস করে জড়িয়ে ধরে। আর বলে,
মায়াঃ মিথ্যা বলো কেন?? আমি অনেক বড় আমি সব বুঝি। যে আমার হ্যান্ডলুলু কাঁদছে।
আমি আর পারি না। ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেঁদে দি। কেন জানি ওকে হারানোর ভয় মনের ভিতর বাসা বেঁধেছে। সেদিন কতক্ষণ কেঁদেছি জানি না। তবে পুরোটা সময় মায়া আমার বুকের সাথে লেগে ছিলো। দুজনের হার্টবিট সেদিন এক হয়ে গিয়েছিল।
এরপর ২০ দিন চলে যায়। আল্লাহ তায়ালার রহমতে ডাক্তার সেদিনের পরের দিন রিপোর্ট দেখে বলেছিলেন,
ডাক্তারঃ আবির সাহেব, চিন্তার কোনো কারণ নেই উনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আর অনেক ইম্প্রুভ ও হচ্ছে।
এরমাঝে মায়ার মাথার ব্যান্ডেজ খুলে ফেলা হয়। কাঁটা স্থানটা এখন অনেকটাই ভালো হয়ে গিয়েছে। মায়া এখন আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ। আর ওর পুরো দুনিয়া জুড়েই এখন শুধু আমি আর আমি। যখন যা মনে চায় আমাকে এসে বলবে। আমার দাড়ি ধরবে। ঠোঁট ধরবে। আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে। আমিও ওকে কিচ্ছু বলি না। কারণ ওর স্পর্শে আমি শান্তি খুঁজে পাই।
ঠিক এভাবেই আমাদের একসাথে দিন কাটছিলো। কিন্তু একদিন হঠাৎ মায়া আমার আলমারি থেকে সেই কালো ব্যাগে পাওয়া ছবিটা আমার কাছে এনে প্রশ্ন করে,
মায়াঃ এটা কি??
আমি তখন লেপটপে অফিসের কাজ করছিলাম। আমি এক নজর দেখে বললাম,
আমিঃ এটা একজনের ছবি। হয়তো তোমার পরিচিত কেউ।
ছবিটা আমি কাগজ দিয়ে মুড়িয়ে রেখেছিলাম। যাতে নষ্ট না হয়। মায়া বিছানায় আমার সামনে বসে কৌতূহল নিয়ে কাগজটা সরিয়ে ছবিটার দিকে তাকায়। আমি গভীর মনোযোগ দিয়ে লেপটপে কাজ করতে ছিলাম। হঠাৎই মায়া সজোরে চিৎকার দিয়ে উঠে আর মাথায় হাত দিয়ে চেপে ধরে অজ্ঞান হয়ে যায়। আমি মায়াকে দেখে স্তব্ধ হয়ে যাই। পাশ থেকে খালাও চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে। আমি দ্রুত মায়ার কাছে গিয়ে বলি,
আমিঃ মায়া…মায়া…কি হয়েছে তোমার?? মায়া…
চলবে…
কি হলো মায়ার?? মায়া কি আবিরের কাছ থেকে হারিয়ে যাবে?? আপনার মন্তব্যটি জানান। আর সাথে থাকুন।