তোমার জন্য সিন্ধুর নীল পর্ব-০৯

0
285

#তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল
#পর্ব_৯
#সারিকা_হোসাইন

সাবধান তনুজা ,
যাবার আগে বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম, আপা যাতে এসব বিষয়ে কিছুই না জানে।আপার কন্ডিশন তোমার অজানা নয়।
তোমাকে আপার সামনে শক্ত থাকতে হবে,যদিও মা হিসেবে এটা তোমার জন্য অনেক কষ্টের,আতংকের।কিন্তু পরিস্থিতিই এমন হয়ে গেছে এখন।

আপা যদি এবারও শকড হয় তাহলে অবস্থা কতো ভয়াবহ হবে আন্দাজ ও করতে পারবে না।

তাই অনুরোধ করছি আপা স্বর্গের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে জরুরি মিশনে ঢাকার বাইরে গেছে।আর বলবে চিন্তার কোনো কারণ নেই মুহিত সাথে আছে।

বলে মাথায় আর্মি ক্যাপ পরে গটগট পায়ে বেরিয়ে গেলেন নাফিজ মাহমুদ।

নরম তুলতুলে বিছানায় এলোমেলো হয়ে পরে রয়েছে স্বর্গ।এই দুনিয়াতে কি হচ্ছে সে বিষয়ে তার ধারণা নেই।বিভোর ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে সে রূপকথার রাজকুমারী দের মতো।যেই ঘুম রাজকুমার না এলে ভাঙবে না।

কিন্তু কোথায় আছে সেই রাজকুমার?সে কি পৃথ্বীরাজ এর ঘোড়া নিয়ে স্বর্গকে উদ্ধার করতে আসবে এই রাক্ষসপুরী থেকে?

―――――――――

ক্যাপ্টেন সৌম্য কিছু কি খুজ লাগাতে পারলে?কাতর কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো মুহিত।

―স্যার লোকেশন চিটাগাং হাইওয়ে নির্দেশ করছে।

মুহিতের কপালে চিন্তার সূক্ষ্ণ ভাঁজ পরে।

***
সারা শহর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আর্মি স্পেশাল পুলিশ ইউনিট নাফিজ সাহেবের মেয়ের কোনো হদিস পেলো না।

আর্মি হেড কোয়ার্টার এ বোর্ড মিটিং বসানো হলো।

,কোনো মুক্তিপণ দাবির উদ্দেশ্যে মেজর জেনারেল এর মেয়েকে কেউ কিডন্যাপ করলে, উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় ,কিডন্যাপ কারীকে সরাসরি শ্যুট করার ওর্ডার দিলেন আর্মি জেনারেল বেনজামিন রিয়াজি।

মুহিত তার স্পেশাল ভাইপার স্কোয়াড্রন টিম নিয়ে হেলিকপ্টার এ করে চিটাগাং এর দিকে ছুটলো।
সাথে আরো দুটো হেলিকপ্টার তাদের কে অনুসরণ করে ছুটতে লাগলো।

দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টার জার্নি শেষ করে ক্যাম্পিং কারটি নিজের এক সহযোগীর কাছে হস্তান্তর করে নির্দেশ দিলো জাহাজে গাড়িটি ঢুকিয়ে ,জাহাজ ছাড়ার ব্যাবস্থা করো কুইকলি।
ঘুটঘুটে রাতের আধারে নিজের প্রাইভেট শিপ ―ডেড সৌল―এ স্বর্গ কে শুইয়ে দিলো আগন্তুক।।।আশেপাশের কেউ এবিষয়ে কোনো খবর রাখলো না।

এবার আর কেউ তাদের নাগাল পাবেনা।মেজর মুহিত কে আচ্ছা জব্দ করা গেলো ভেবেই হো হো করে হেসে উঠলো।

■■
সমস্ত শহরের সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে এক অদ্ভুত ধরনের গাড়ির সন্ধান পেলো পুলিশ ইউনিট,যা বিদেশে এভেইলেবল,কিন্তু বাংলাদেশে নয়।গাড়িটির স্পিড অন্যান্য গাড়ির চেয়ে দ্বিগুন।সন্দেহের জাল বুনলো তাদের মনে।আরো বেশি সন্দেহ পোক্ত হলো যখন দেখা গেলো প্রত্যেকটি ট্রাফিক সিগনাল সেই গাড়ি চালক ব্রেক করেছে।গাড়িটি চিটাগাং এর দিকে যাচ্ছে।গাড়ির নম্বর প্লেট ও বাংলাদেশের নয়।
দ্রুত পুলিশ ফোর্স হেলিকপ্টার নিয়ে চিটাগাং এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করলো।

চিটাগাং বন্দরে এসে হেলিকপ্টার থেকে রশি ফেললো মুহিত,একে একে দড়ি বেয়ে নেমে এলো মুহিত,সৌম্য,মেজর আদ্রিয়ান আহিয়াজ,লেফটেন্যান্ট মিরাজ কায়সার।
দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়লো বন্দরের নরম বালুতে।আশেপাশে তাকিয়ে গান পয়েন্ট করলো তারা।কিন্তু সন্দেহ জনক কিছুই দেখা গেলো না।

হঠাৎ ই মুহিত সমুদ্রের দিকে খেয়াল করে দেখতে পেলো একটি জাহাজ ভো ভো শব্দে সমুদ্রের আধারে মিলিয়ে গেলো।
মুহিতের পায়ের রক্ত মাথায় ছলকে উঠলো।আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ হলো এর শেষ দেখে ছাড়বে মুহিত।

মেজর জেনারেল নাফিজ মাহমুদ বার বার কপাল স্লাইড করছেন দুই আঙুলের সহিত।মেয়েটার এই চব্বিশ বছরের জীবদ্দশায় কখনো একা ছাড়েন নি তিনি।এতো বড় মেডিকেলে পড়া মেয়েকে ও হাতে ধরে কলেজের সামনে রেখে এসেছেন তিনি।

সেই মেয়ে আজ কার না কার হাতে পরেছে!স্বর্গের ভয়ার্ত চেহারা মনে করে নাফিজ মাহমুদ বুকে তীক্ষ্ণ ব্যাথা অনুভব করলেন।

স্বর্গকে কিডন্যাপ কে করতে পারে তা মুহিত নাফিজ মাহমুদ কে জানিয়েছে, শুধু তাই নয় ছেলেটি কি পরিমাণ দুধর্ষ সেটার প্রমান নাফিজ নিজেই।ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এর মেয়ের বিয়ের দিন ই মুহিত নাফিজ সাহেবকে সব খুলে বলেছে।
সাবধান হবার আগেই যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে তা ঘূর্ণাক্ষরে টের পাননি নাফিজ মাহমুদ।

বাসায় সুখ আর তনুজা নিজেদের যথেষ্ট স্বাভাবিক রাখার নাটক চালিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু একজন মা আর ভাই কি পারবে দীর্ঘ সময় ধরে এই নাটক চালাতে?

কি ব্যপার তনুজা তোমাকে এমন লাগছে কেনো কিছু হয়েছে?
আর মুহিতের কন্ঠ শুনেছিলাম,দেখা না করেই কোথায় গেলো?

―আসলে আপা ঢাকার বাইরে একটা জরুরি মিশনে ওদের দ্রুত চলে যেতে হয়েছে,আপনার ভাই ফোন করে জানিয়েছেন ছোট একটা মিশন।চিন্তার কিছুই নেই।

―অনেক রাত হয়েছে আপা, শুয়ে পড়ুন।বেশি রাত জাগা আপনার জন্য ভালো নয়।
বলেই কাজের বাহানা দিয়ে চলে গেলেন তনুজা।
***
মুহিত অনেক আগে থেকেই আহিয়ান এর সকল খুজ খবর রাখতো কিছু গুপ্তচর এর মাধ্যমে।কোথায় যায়,কি করে ,কোথায় কার সঙ্গে ওঠাবসা এভরিথিং।
চাইলেই মুহিত সকল খবর জানতে পারবে।কিন্তু সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এই অপেক্ষা তো মুহিতের কাছে এক শতাব্দীর সমান হবে।

মুহিত উত্তেজিত কন্ঠে বলে উঠে―

―মেজর আদ্রিয়ান সমুদ্রে টহল দেয়া নৌবাহিনীর জাহাজ এফ টি থার্টি তে কল করুন এবং সবিস্তারে সব খুলে বলুন।

ইতোমধ্যে পুলিশের হেলিকপ্টার চিটাগাং বন্দরে পৌঁছে গেছে।তারা হেলিকপ্টার এর মাধ্যমে লাইটিং পয়েন্ট করে নির্দিষ্ট সমুদ্র সীমানার উপরে চক্রাকারে ঘুরে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করলো।কোথাও কিছুর হদিস পেলো না।

◆◆নড়েচড়ে উঠলো স্বর্গ।মাথা ঝিমঝিম করছে।চোখ খুলতে গিয়েও খুলতে পারছে না।হাত পা নাড়াতেই প্রচুর দুর্বল লাগছে।বহু কষ্টে আঁখি পল্লব মেলে চারপাশের সবকিছু ঠাহর করতে লাগলো।

কিয়ৎক্ষন বাদে বুঝতে পারলো সে একটি রুমে শুয়ে ছিলো।শরীরে শক্তি সঞ্চয় করে ধীরে ধীরে এগিয়ে চললো দরজার পানে।কোনো ভাবেই খুলতে পারলো না।শক্তিতেও আর কুলালো না।ক্ষীণ সুরে চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলো স্বর্গ

―কেউ আছেন?দরজা টা খুলুন প্লিজ
―আমাকে কোথায় আটকে রেখেছেন?
―আমি বাড়ি যাবো,আমার বাবা মা চিন্তা করছে আমার জন্য
প্লিজ দরজা টা খোলে দিন।বলেই দরজায় হেলান দিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো স্বর্গ।

এর পর দৌড়ে উঠে গিয়ে নিজের মোবাইল,ব্যাগ সবকিছু সারা রুম তন্ন তন্ন করে খুজলো।কোথাও তার ব্যাক্তিগত জিনিস গুলোর সন্ধান পেলো না।
এবার সে বুঝতে পেরে গেলো কেউ তাকে কিডন্যাপ করেছে সিউর।তৎক্ষণাৎ মনে পড়লো মার্কেটে যাবার পথে একটা গাড়ি তার ট্যাক্সি কে ফলো করেছে।ড্রাইভার বারবার তাকে বলেছিলো একথা।

স্বর্গ আমলে নেয়নি।যদি তখন ট্যাক্সি ঘুরিয়ে বাসায় ফিরে যেতো তাহলে আজ এই দুরবস্থা হতো না।

কান্নার বেগ বেড়ে চললো স্বর্গের।

পাশে থাকা বেড সাইড ধবধবে টেবিলটার উপর কিছু ফল আর একটা চাকু রাখা।চাকুটা প্যান্টের ভাঁজে লুকিয়ে ফেললো স্বর্গ।

এরপর রুমে যা কিছু আছে সব ভাঙচুর শুরু করে দিলো।
সারা রুম ঝনঝন শব্দে আলোড়িত হলো নিমিষেই।
কারো দৌড়ে আসার শব্দ পেতেই দরজার পিছনে লুকিয়ে পড়লো স্বর্গ।

হাতে চাকুটা খুব সতর্কতার সহিত ধরে অপেক্ষা করতে লাগলো।স্বর্গ সেলফ প্রটেক্ট জানে।সে গান পয়েন্ট থেকে শুরু করে বিপদে পড়লে কিভাবে নিজেকে রেসকিউ করতে হবে এসব ট্রেনিং খুব ভালো মার্কসের সহিত অর্জন করেছে।
খট করে খুলে গেলো দরজা।

সুযোগ বুঝে পিছন থেকে দৌঁড়ে লোকটির গলা বাহু দিয়ে চেপে ধরে এমন ভাবে তাকে আঘাত করলো যে, লোকটি মরবে না কিন্তু আর উঠেও দাঁড়াতে পারবে না।

হঠাতই পিছন থেকে গমগমে কন্ঠে কেউ বলে উঠলো―

ওয়েল ডান বেইব,ওয়েল ডান।

বলেই হাততালি দেয়া শুরু করলো।

―এমন পার্টনার ই আমি পছন্দ করি।যারা বিছানায় শুয়ে শুয়ে কাঁদে,আমার পায়ে পরে,তাদের উপর একদম ঘেন্না জমে গেছে।

―কিন্তু তোমাকে এমন রূপে দেখে তনু,মন দুটোই চাঙ্গা হলো।

বলেই স্বর্গ কে পেছন থেকে হাত মুড়িয়ে বেঁধে ফেললো।

লোকটির চেহারা দেখে স্বর্গ মুখের ভাষা হারিয়ে ফেললো।হ্যা এটা ওই বিয়ের দিনের অসভ্য লোকটা!

―এই লোক তাকে কেনো ধরে এনেছে?তার সাথে কি কাজ?

আপনার বকবকানি শুনতে একদম ভালো লাগছে না আহিয়ান চৌধুরী।ভালোই ভালোই আমাকে ছেড়ে দিন!
―যেতে পারলে যাও।বলে দরজা নির্দেশ করলো আহিয়ান।

স্বর্গ দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে বাহিরে যাবার রাস্তা খুঁজতে লাগলো।
স্বর্গের এমন পাগলামি দেখে কিটকিটিয়ে হেসে ই যাচ্ছে আহিয়ান।
তার এহেন রূপ স্বর্গের শরীরে জ্বালা ধরালো।

এতো সুন্দর চেহারার পিছনে এতো ঘৃণিত রূপ?
ভেবেই এক দলা থুথু ফেললো স্বর্গ।
এই সিঁড়ি সেই সিঁড়ি করে অনেক সময় দৌড়ানোর পর স্বর্গ একটু আলোর ঝলকানি দেখতে পেলো।সেই আলো অনুসরণ করে বাইরে এসে যা দেখলো তাতে তার মাথা ঘুরে যাবার উপক্রম।
নিমিষেই ঝাপসা হলো চোখ।বড় বড় চোখ দুটো থেকে নীরবে ঝরতে লাগলো বড় বড় অশ্রু ফোটা।

সে কোনো বাড়ি বা কোনো জায়গায় নয়।সে একটি জাহাজে গভীর সমুদ্রের মধ্যে।

―কি পথ খুঁজে পেলে না?
―আমাকে কেনো ধরে এনেছেন জবাব দিন।
কন্ঠে ধার নিয়ে জিজ্ঞেস করলো স্বর্গ।

―ব্যাক্তিগত শয্যা সঙ্গী বানাবো সেই জন্য
আহিয়ানের নির্লিপ্ত উত্তর।

―আপনার লজ্জা করলো না অপরিচিত একটি মেয়েকে তুলে আনতে এভাবে?

―লজ্জা কেনো করবে?পছন্দ হয়েছিলো, নিজের কাছে রাখলাম।জানোনা পছন্দের জিনিস ফেলে রাখতে নেই।না হলে অন্য কেউ লুফে নিতো।

আহিয়ান চৌধুরীর প্রাণ থাকতে তার পছন্দের জিনিসে কেউ হাত দিতে পারবে না বলেই কন্ঠে কাঠিন্য এনে বললো

―যাও রুমে যাও অনেক নাটক সহ্য করেছি তোমার।

না যাবোনা,না গেলে কি করবেন আপনি?

বলেই জাহাজের রেলিং এর কাছে চলে গেলো স্বর্গ।

―আপনি আমার কাছে এলেই আমি পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

বাজ পাখির মতো ধূর্ত আহিয়ান সহসাই স্বর্গের নিকট এসে দুই গালে সজোড়ে থাপ্পড় মারে।
থাপ্পড়ের প্রবণতা এতোটাই ছিলো যে, ছিটকে পরে যায় স্বর্গ।তার দুই গালেই হাতের আঙ্গুল এর ছাপ বসে যায় এবং ঠোঁটের কোণা থেকে রক্ত বেরিয়ে যায়।

এই চব্বিশ বছরের জীবনে তার বাবাও কোনোদিন তাকে একটা ধমক পর্যন্ত দেয়নি,আর এই অপিরিচিত লোকটি তাকে রক্তাক্ত করে দিলো।
ভেবেই বাঁধ না মানা অশ্রু ভিড় করলো নেত্র কোলে।

★★★
কেটে গিয়েছে বাহাত্তর ঘন্টা।কোনো খবরই কেউ জোগাড় করতে পারছেনা।টানা তিন দিন ধরে পুরো টিম খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে নাফিজ মাহমুদ এর মেয়ের খুঁজ চালিয়ে যাচ্ছে।

হঠাৎই মুহিতের গোপন ফোনে একটি মেসেজ আসে।
―হেই ব্রো, ইটজ স্যাম স্মিথ।
ইউর ডিজায়ারড শিপ ইজ হেয়ার।

দ্রুত মুহিত দৌড়ে জেনারেলের রুমে চলে যায়।
―স্যার ইমিডিয়েটলি আমাদের রাশিয়া যাবার ব্যাবস্থা করুন।আমার সাথে ক্যাপ্টেন সৌম্য যাবে।আর ওখান থেকে রাশিয়ান আর্মি মেজর নিকোলাস ও ক্যাপ্টেন ভলতেয়ার থাকবে।

আরেকটা কথা স্যার ডিপার্টমেন্ট এর কেউ যাতে না জানে।আপনি তো জানেন ই কেউ আমাদের সব খবর বাইরে পাস করে দেয়।আমি চাইনা এই অপারেশনে কোনো স্পইলিং হোক।

জেনারেল মুহিতকে ভরসা দিলেন।ডোন্ট ওয়ারি মাই বয়।আমি সব ব্যাবস্থা করে দেব।

―আর রাশিয়ান আর্মড ফোর্স এর গ্রাউন্ড ফোর্স এর জেনারেল এর সাথে কথা বলে সব ব্যাবস্থা করে দেব।যাতে ওখানে তোমাদের কোনো প্রবলেম না হয়।
তুমি এখান থেকে কাকে নিতে চাও?

স্যার ক্যাপ্টেন সৌম্য ,আর আমি যাবো।
#চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে