#তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল
#দ্বিতীয় পর্ব
#সারিকা_হোসাইন
হাতে গ্লাভস পরে নিলো স্বর্গ আর পিউ,মুহিত কে উপুড় করে শোয়ানো হয়েছে।ইনজেকশন এ মেডিসিন লোড করার জন্য পিউ কে নির্দেশ দিলো স্বর্গ।
লজ্জায় ইতস্ততায় মুহিত বালিশে মুখ গুজে চোখ বন্ধ করে ফেললো ।সাথে সাথেই মনের ক্যানভাসে ভেসে উঠলো গ্রে কালারের কুর্তির সাথে জিন্স প্লাজু পরিহিত চাঁদের মতো হলুদ ফর্সা বর্ণের পিচ্চি একটা পরী।যার ঝলমলে ডিপ ব্রাউন রঙের স্ট্রেট চুল গুলো কাঁধ পর্যন্ত স্টাইল করে কাটা,ধবধবে সাদা মুখটিতে প্রসাধনীর কোনো ছোয়া নেই তবুও যেনো অপ্সরা।গোলাপি ঠোঁটে লিপবাম কৃত্তিম আলোর ঝলকে চকচক করছে সাথে ঠোঁটের নিচের কুচকুচে কালো তিলটা যা মনের ভেতর নিষিদ্ধ ইচ্ছের জাগ্রত করে।বড় বড় চোখের ঘন পাপড়ির ঝাপ্টানি বুকে হাতুড়ি পেটাচ্ছে।
-মেজর উঠে পড়ুন ইনজেকশন পুশ করা হয়ে গেছে,মেয়েলি মিষ্টি কন্ঠে ভাবনার ভাঙন হলো।
এতো দ্রুত শেষ হয়ে গেলো?
এতো দ্রুত নয় পাক্কা দশ মিনিট লেগেছে বলেই হেসে ফেললো স্বর্গ
লজ্জায় দ্রুত প্যান্ট ঠিক করে বেরিয়ে এলো মুহিত,এমন ভাবেই এই মেয়ের ভাবনায় ডুবেছে যে এতো মোটা সুইয়ের ঘা ও টের পায়নি?
হুহ সর্বনাশী একটা~
ক্যাপ্টেন সৌম্য!বলেই ডেকে উঠলো মুহিত
আলাদিনের দৈত্যের মতো নিমিষেই হাজির হলো সৌম্য।
ছেলেটা বেশ কাজের।একসাথে অনেক কাজ করেছে মুহিত আর সৌম্য।যেমন চৌকষ তেমনি ব্যাক্তিত্ববান।দেড় বছর ধরে ছেলেটি মুহিতের সাথে বিভিন্ন প্ল্যানে সামিল হয়েছে।মানুষকে হাসাতে এবং নিজে হাসতে ভালোবাসে ছেলেটি।মুহিতের ও ইচ্ছে করে সৌম্যের মতো হতে কিন্তু বিভিন্ন কারনে নিজের খোলস থেকে বেরুতে পারেনা মুহিত।
সৌম্য সুযোগ পেলেই তাকে হাসায়।এজন্য সে সৌম্যের কাছে অনেক ঋণী।মুহিতের মরুভূমি ন্যায় জীবনে সৌম্য এক পশলা বৃষ্টির মতো।এজন্যই তো মুহিত ধীরে ধীরে নিজের ছোট ভাইয়ের স্থান দিয়েছে সৌম্যকে।
ক্যাপ্টেন তুমি কি ডাক্তারনী কে দেখেছো?
সৌম্য গদগদ হয়ে হয়ে মাথা নিচু করে দুই হাত বুকে ভাঁজ করে বললো –
-জী স্যার ডাক্তারনী ভয়ংকর সুন্দরী।
ভয়ংকর সুন্দরী নয় বলো ভয়ংকর বেয়াদব।
বলেই ফিচেল হেসে কালো রোদ চশমাটা নায়কীয় স্টাইলে চোখে লাগিয়ে এক হাত পকেটে ঢুকিয়ে শিস বাজিয়ে প্রস্থান নিলো।
মেজরের এমন উদ্ভট আচরণ দেখে বেক্কল বনে গেলো সৌম্য।
রাত বারোটা বেজে পনেরো মিনিট ,রহস্যময় ব্যাক্তির কাছে হঠাৎ ই একটা ফোন কল আসলো-
-হ্যালো খলিল ভূঁইয়া তারপর বলো ওখানকার খবর কি?
সাহেব ওই মেজর কোনো এক মিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু কি মিশন সেটা বুঝতে পারছি না।
সেটা বুঝার জন্যই তো তোমার মতো লোক কে রাখা হয়েছে কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে তুমি পুরাই একটা অপদার্থ।
রাগ চেপে খলিল বলে উঠলো ক্যান্টনমেন্ট এর ভেতর থেকে খবর কি সহজেই বের করা যায় সাহেব?
টাকা ছিটাও খলিল,
ভাত ছিটালে কাকের অভাব হবে না আশা করি বুঝতে পেরেছো।রাখছি এখন এসব অকাজের প্যাচাল ভালো লাগছে না বলেই খট করে লাইন কেটে দিলো ওপাশের ব্যাক্তিটি।
-শালা গিরগিটি বলেই রাগে বাটন ফোন টি সজোরে আছাড় মারলো খলিল।
পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুমের রেশ হালকা হয়ে গেলো স্বর্গের।আজ তার অফ ডে ইচ্ছে মতো ঘুমাবে এই নিয়তে এসির পাওয়ার কমিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়েছে কিন্তু ভোরের আলো ফুটতেই ঘুম হালকা হয়ে গেলো।এলার্ম টি এখনো যেহেতু বাজেনি আরেকটু চোখ বন্ধ করে রাখলে ক্ষতি কি?
মুহূর্তেই বেড সাইড টেবিলের উপর থাকা মোবাইল নামক যন্ত্রটি কর্কশ সুরে বেজে উঠলো।চোখ মুখ খিচে কম্বলের নীচে ঢুকে গেলো স্বর্গ।কোনো মতে হাতড়ে মোবাইল টা সাইলেন্ট করে ফেলে রাখলো।চোখ বুঝে ঘুমের সামান্য চেষ্টা চালালো সে।
অকস্মাৎ দরজায় ধাম ধাম বাড়ির শব্দে আর চিল্লানির শব্দে স্বর্গের রাগ সপ্তম আসমানে পৌঁছে গেলো ।ব্ল্যাঙকেট সরিয়ে দরজা খুলে কাউকে না দেখতে পেয়ে রাগ এর পারদ আরো মাত্রা ছাড়িয়ে গেলো।
দরজায় কে এসেছিলো বুঝতে বেশি বেগ পেতে হয়নি চৌকষ ডাক্তারের।আজ এর একটা বিহিত করতেই হবে এবং ডিস্টার্ব দাতাকে কিভাবে পানিশমেন্ট দিবে সেটাও ভেবে ফেললো।
-পা টিপে টিপে স্বর্গ সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো,লিভিং রুমে এসে দেখতে পেলো কেউ একজন পায়ের উপর পা তুলে পত্রিকা পড়ছে সামনে জুস আর হালকা নাস্তা।স্বর্গ জানে এটা তার ছোট ভাই যদিও ওতো ছোট নয় মাত্র দুই বছরের ছোট বড়।কিন্তু তাদের লড়াই মারামারি তিন চার বছরের বাচ্চা কেন টম জেরিকেও হার মানাবে।
~ঐতো পত্রিকার উপর দিয়ে “সুখের” চুল গুলো দেখা যাচ্ছে,খপ করে ধরতে পারলেই বাগে আনা যাবে।যেই ভাবা সেই কাজ ধূর্ত বাজ পাখির মতো ধরে ফেললো চুলের মুঠি যদিও ছোট চুল ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে তবুও ছাড়া যাবেনা।ঘুম নষ্ট করার শাস্তি ওকে পেতেই হবে ভেবেই চুল ধরে আরেক হাত দিয়ে গলা টিপে ঝাকাতে ঝাকাতে বলে উঠলো সুখের বাচ্চা হারামি,কুত্তা তোকে আমি মেরেই ফেলবো আজ!
অকস্মাৎ আক্রমণে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো যুবক।
ড্রয়িং রুমের চিৎকারে মিসেস তনুজা মাহমুদ খুন্তি হাতেই দৌড়ে আসলেন,নাফিজ মাহমুদ সবেই চুলে অর্ধেক কালো রঙের কালি টা লাগিয়েছেন বাকিটা আর লাগাতে পারলেন না বাটি সমেত দৌড়ে আসলেন।স্বর্গের ভাই সুখ পিছন থেকে জুসের গ্লাসে এক সিপি চুমুক দিয়ে বলে উঠলো আপুই আমি তো এখানে,
-পিছন ফিরে সুখকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে স্বর্গ নিজের আলুথালু চুল গুলো এক হাত দিয়ে চোখের সামনে থেকে সরিয়ে সামনে থাকা পুরুষটির দিকে নজর দিলো।
ধবধবে ফর্সা পুরুষটির ওভাল শেপের ক্লিন সেভ করা চকচকে মুখমণ্ডল।সেই মুখে রাজ্যের মায়া ভরা,তীক্ষ্ণ চোখ যেন স্বচ্ছ সমুদ্র,খাড়া নাক,নৌকার মতো বাঁকা ভ্রু জোড়া,আর্মি কাটিং হেয়ার টা তাকে একটু বেশিই মানাচ্ছে যেনো ,তার জিম করা পেশীবহুল শরীরের সামনে স্বর্গ নিতান্ত এক পিঁপড়ে।এক হাত দিয়ে চুলের মুঠি এখনো ধরে আছে বেখেয়ালে হাত সরাতেই ভুলে গেছে।
ওপর দিকের পুরুষটির ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটেছে অন্য।স্বর্গের পরনে স্লিপিং শার্ট ,ট্রাউজার ,আলুথালু চুল,মুখে জমে থাকা তেলে চকচক করা গাল নাক ,কাঁপা কাঁপা গোলাপি শুষ্ক ঠোঁট জোড়া এবং এতোটা কাছাকাছি প্রথম কোনো মেয়ের হওয়া,সব মিলিয়ে মনের ভেতর নিষিদ্ধ ইচ্ছেকে বার বার মাথা চাড়িয়ে জাগ্রত করে দিচ্ছে।
নাহ আর পারা যাচ্ছে না।
এটা তুই কি করলি মা!মেজর কে মেরে দিলি?বেচারা আমার কাছে কাজে এসেছে আর এভাবে অপমান করে দিলি?
বাপকে তো পাত্তা দিসই না অন্তত বাইরের মানুষকে তো দে।
বাপির মুখে এমন নাটকীয় কথা শুনে স্বর্গ আহাম্মক হয়ে গেলো,এই লোক আর্মির জেনারেল না হয়ে নাটকে সিনেমায় ভাড়ামি করলে বেশি জনপ্রিয় হতো ।
মুহিতের চুলের মুঠি ছেড়ে আমতা আমতা করে মাথা নিচু করে বিনীত সুরে বলে উঠলো স্বর্গ-
-স- সরি মেজর আ-আ-মি আমার ভাইকে ভেবে আপনাকে ধরে ফেলেছি ইন্টেনশনালি করি নি।মাফ করবেন,বলেই এলোমেলো পায়ে প্রস্থান নিলো।
মুহিত তার বুকের হার্টবিট এর ধুকপুকুনিতে কথার খেই হারিয়ে ফেললো।
তনুজা কোমল সুরে জানতে চাইলো –
বাবা লাগেনি তো তুমার?
না আন্টি এসব ছোটখাটো মার আমার কাছে গায়ে তুলা পড়ার মতো,আপনি আপনার কাজ করুন প্লিজ আমি ঠিক আছি।
দেখেছো বলেছিলাম না মেয়েটা ডাকাত?
স্যার বাকি রঙটা চুলে লাগিয়ে আসুন জোকার লাগছে
মুহিতের এমন কথা শুনে বোকার মতো হাসি দিয়ে আবার ওয়াশ রুমে ঢুকে গেলো নাফিজ মাহমুদ।
মুহিত জানে বাবা হিসেবে নাফিজ মাহমুদ দশে দশ।কাজের সূত্রে নাফিজ মাহমুদ এর সাথে অনেক মেলামেশা করার সুযোগ পেয়েছে মুহিত।ভদ্রলোক যেমন হাসিখুশি তেমনি কঠোর।তিনি কাজ আর ফ্যামিলি কখনো এক জায়গায় রাখেন না।মুহিতকে নাফিজ মাহমুদ বারবার একটা কথা বলেছেন –
আমার ফ্যামিলি আমাকে নিয়ে কখনো কোনো অভিযোগ করতে পারবেনা মুহিত।আমি কখনো ওদের প্রতি কঠোরতা দেখাইনি।যখন যতটুকু ওদের ভালো রাখতে প্রয়োজন হয়েছে আমি সেভাবেই দিয়েছি।আমার ছেলে মেয়েদের কাছে আমি বেস্ট বাবা ,আমার স্ত্রী তনুজার কাছে আমি শ্রেষ্ঠ হাজব্যান্ড।এর চাইতে বড় অর্জন আর কি হতে পারে মুহিত?
মুহিত মন থেকে এই ভদ্রলোককে অনেক শ্রদ্ধা করে।নাফিজ মাহমুদ কর্মক্ষেত্রে যতোটা কঠোর কর্মক্ষেত্রের বাইরে ততটাই নমনীয়।নাফিজ মাহমুদের মাঝে মুহিত নিজের বাবার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পায়।
হঠাৎই পিছন থেকে সুখ কাশি দেয়ার ভান করলো-এহেম,এহেম
হাই ব্রো ,”আম সাফওয়ান মাহমুদ সুখ”,স্বর্গের গুনে গুনে দুই বছরের ছোট একমাত্র আদরের ভাই।
খুব জ্বালাই তো এজন্য মাঝে মাঝে বাগে পেলেই রামধুলানী দেয়।আবার মাঝে মাঝে লুকিয়ে পড়ি তখন বাপি ওর খামচি খায়।এই ধরুন আজকের ব্যাপারটাই,
-একটু আগে ইচ্ছে করেই ওর আরামের ঘুম টা ভাঙলাম তার বদলে আপনি কেলানি খেলেন,কিন্তু আপনাকে কেলানি খাওয়ানোর ইচ্ছে আমার ছিলো না।জাস্ট ওর ছুটির দিন টা স্পয়েল করতে চাইলাম এন্ড আম সাকসেস বলেই কলার ঝাঁকালো বাইশ বছরের ক্যাডেট পড়ুয়া যুবক টি।
এই মুহূর্তে মুহিতের এই বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে পাগল মনে হচ্ছে সাথে নিজেকেও।কিন্তু ফিউচার শ্বশুরবাড়ি বলে কথা কাউকে পাগল বলা যাবে না।চুপচাপ জুসের গ্লাসটা হাতে নিয়ে ছোট করে একটি চুমুক বসালো এবং মনে মনে ভাবলো পাগল হয়ে যদি সুখের লহমায় দিন গুজরান করা যায় ক্ষতি কোথায়?
~বিশ মিনিট পর জেনারেল নাফিজ মাহমুদ তার স্টাডি রুমে মুহিত কে ডাকলেন।মুহিত কিছু কাগজ আর নকশা নিয়ে পৌঁছে গেলো সিঁড়ি বেয়ে দুতলার কর্নারের কাঙ্খিত সেই রুমে।শুরু হলো গোপন বৈঠক।
হেই !
-আপনি ক্যাপ্টেন সৌম্য না?আকস্মিক মেয়েলি কন্ঠ শুনে পিছন ফিরতেই সামনে দাঁড়ানো সুন্দরী এক মেয়েকে দেখে বিষম খেলো সৌম্য।
জী আমি ক্যাপ্টেন সৌম্য শাহরিয়ার,আপনাকে তো চিনলাম না।
আপনার ব্রেনে জং ধরেছে ক্যাপ্টেন দুদিন আগেই আমাদের দেখা হয়েছিলো বুশরা জাহিন স্বর্গের চেম্বারে।
মাথা চুলকে ওহ মনে পড়েছে বলে ভদ্রতাসূচক হাসি বিনিময় করলো সৌম্য।আরো বললো সেদিন দেখা হলেও কথা হয়নি।এজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
এমা ,না না কোনো প্রবলেম নেই।
আপনার নামটা জানা হলো না,যদিও আপনি আমার নাম ইতোমধ্যেই জেনে গেছেন।
-মেহেনাজ পিউ।আমি স্বর্গের স্কুল জীবনের ফ্রেন্ড।
সুন্দর নাম ঠিক আপনার মতো।
ফ্লার্টিং করছেন?
সৌম্য জিভ কামড়ে কান ধরে কিউট করে তওবা বলে বলে উঠলো একদম না ম্যাডাম।
পিউএর কি হলো কে জানে সৌম্যের এমন রূপ দেখে মনে তার ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেলো।
সকাল দশটা বেজে পাঁচ মিনিট-
সেনাসদস্য দের প্রশিক্ষণ অনুশীলন চলছে,মুহিত দাঁড়িয়ে তা পর্যবেক্ষণ করছে আর ভাবছে ভেতরের খবর বাইরে কে পাচার করছে?নিজেদের ব্যাক্তিগত তথ্য কিভাবে আংশিক হলেও ফাঁস হচ্ছে?আরো বেশি সতর্ক হতে হবে কোনো ভাবেই এবারের প্ল্যান ভেস্তে দেয়া যাবেনা।যেই বোয়াল আমি দুই বছর ধরে খুঁজে চলেছি তাকে এবার আমার জালে আটকাতেই হবে।
~কি ব্যাপার মুহিত তোমাকে অন্যমনস্ক লাগছে?
হঠাৎ পিছন থেকে এমন ভরাট কন্ঠ শুনে চমকে উঠে মুহিত,ভাবনা কাটিয়ে পিছন ফিরে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ কে দেখে তৎক্ষণাৎ স্যালুট জানায়।
-কিছুনা স্যার হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়েছে,দীর্ঘদিন তিনি হসপিটালে ভর্তি,সুস্থতার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না তাই একটু চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।এমন আর হবেনা,সরি স্যার।
-ডোন্ট ওয়ারি মাই বয় সব ঠিক হয়ে যাবে কাজে মন দাও আর তোমার মিশনের কি খবর কোনো খুঁজ পেলে?
নিয়াজ মোর্শেদ কে কেমন জানি সুবিধার মনে হয়না মুহিতের,তাই মুহিত সব কথা চেপে গিয়ে নানান তালবাহানা লাগিয়ে এক গল্প বলে ফেললো-
~না স্যার কোনো কিছু করেও আহমেদ খান এর নাগাল পাচ্ছি না,আপনি টেনশন করবেন না আমি ঠিক খুঁজে বের করবো কথাটি বলে আর একমুহূর্ত দেরি না করে চোখে কালো রোদ চশমাটা পরে লম্বা লম্বা পা ফেলে হাঁটা ধরলো মুহিত।গন্তব্যে সিএমএইচ,একবার মাকে দেখে ডক্টরের সাথে কথা বলতে হবে।
#চলবে।