#তোমার_জন্য_সব (৯)
✍️ #রেহানা_পুতুল
কলি আবার বসে গেলো। মাহমুদ আফসোস করে বলল,
“চলে গেলো। আপনি দেখতে পেলে আমার বেশ উপকার হতো।”
কলি নির্বোধ চাহনি নিক্ষেপ করে মাহমুদ স্যারের দিকে চাইলো।
“না বোঝাইটাই শ্রেয়। যেহেতু আপনি দেখেন নি। জানতে ইচ্ছুক?”
বলল মাহমুদ।
“শুনি, কি দেখলেন অমন সিরিয়াস মুডে?”
মাহমুদ বলল। শুনে কলি অগ্রাহ্য সুরে বলল,
“এটা? তো এটা আমি দেখলে আপনার কি উপকার হতো? বুঝলাম না। বরং বুঝলাম এতে আপনার ক্ষতি হলো। মেন্টালি লস।”
খাবার চলে এলো দুজনের। মাহমুদ কলির প্রশ্নের জবাব দেওয়া থেকে রক্ষা পেলো বলে হাঁফ ছাড়লো। সাদাভাত,গরুর মাংস দুই প্লেট,দেশী শিং মাছের ঝোল,লালশাক ভাজি,কচু ভর্তা,কাঁচকলা ভর্তা,চিংড়ি ভর্তা, সালাদ, মুগমশারি মিশ্রিত পাতলা ডাল।
এতকিছু দেখে কলি বলল,
“স্যার এত মেন্যুর প্রয়োজন ছিল না একদম।”
“এই প্রথম আমার অভিমানীনি একজন ছাত্রীকে ট্রিট দিচ্ছি। এত না হলে যে আমার হৃদয় অশান্ত রয়ে যাবে।”
গাম্ভীর্যপূর্ণ কন্ঠে বলল মাহমুদ।
কলি চাপা হাসি হাসলো।
“আমার মা আপনার নাম দিয়েছে অভিমানীনি।”
“আন্টির সঙ্গে কথা বলে সেদিন আমার ভালো লাগলো। খুবই জলি মাইন্ডের উনি। আমার আম্মুতো খুব বোরিং।”
“আপনার আন্টি আপনাকে আমার সঙ্গে তার বাসায় যেতে বলেছে। সেদিন আপনি যে কলি, উনি বুঝতে পারেনি। নয়তো আপনাকে উনি ছাড়তো না। এটা আমার নয় উনার কথা।”
কলি প্রতিউত্তরে কিছু বলল না। দুজন খাওয়া শেষ করলো। ধোঁয়া উঠা কাপভর্তি দুধ চা এলো। কলি কয়েক চুমু খেয়েই বলল,
“গরমে এত গরম চা খাওয়া পসিবেল না।”
“আমি জুড়িয়ে দিই?”
“না না স্যার। কি বলছেন। চা বেশিও। শীত হলে আরো বেশি খাওয়া যেতো।”
“তাহলে শীত আসুক। বেশিই খাবেন।”
“হুম খাইতো বন্ধুরা মিলে।”
“আপনিতো কিছুই বলছেন না। তাই আমার ফেভারিট চা অর্ডার করলাম।”
মাহমুদ তার কাপের চা কম অর্ধেক খেয়ে নিলো। হুট করেই কলির কাপের সঙ্গে নিজের কাপ বদলে নিলো। কলি হকচকালো। ভ্রু কুঁচকালো।
“আপনার উপকার করলাম। কমটুকুই খান। যেহেতু গরম।”
“কিন্তু স্যার আমার খাওয়াটা…”
মাহমুদ বুঝতে দিলনা কিছু কলিকে। প্রসঙ্গ চেঞ্জ করে ফেলল।
“ওহ! যে জন্য ডেকেছিলাম। সেটা হলো একটু আগেই যেটা বললাম, আমার জননী আপনাকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছে। এবং সিরিয়াসলি। নট ফান। আরেকটা বিষয় হলো খেয়াকে নিয়ে।”
কলি মাহমুদের মুখের কথা কেড়ে নিলো। বলল,
“আন্টি যেহেতু বলছে। অবশ্যই আসবো স্যার। তবে অন্যদিন।”
“আচ্ছা কলি এটা বলুন। আপনিওতো সাহিত্যের স্টুডেন্ট। যদিও আমার মতই নিরস৷ টিচার স্টুডেন্ট রিলেশনকে আপনি কিভাবে দেখেন?”
কলি ধুম করে হেসে উঠলো। বলল,
“আমি এভাবে কখনো ভাবিনি স্যার। কিন্তু খেয়ার সঙ্গে আপনার বিয়ে ঠিক। সেখানে আপনি টিচার হলেই কি আর খেয়া ছাত্রী হলেই বা কি। যা ইচ্ছা করতে পারেন।”
রেস্টুরেন্টে লোক বেড়ে যাওয়াতে কলি ও মাহমুদ টেবিল ছেড়ে দিতে বাধ্য হলো। বিল মিটিয়ে লিফট দিয়ে তিনতলা থেকে রাস্তার উপরে চলে এলো তারা দুজন।
মাহমুদ প্রসঙ্গ তুললো আবার।
“ধরেন বিয়ে ঠিক হয়নি। তখন?”
কলি উদাসী গলায় বলল,
“এটা আমি জানি না। আপনার জরুরী কথা এসব? ওহ নো! অবশ্য আপনার স্থানে হয়তো ঠিক আছে। আচ্ছা স্যার। গেলাম ভালো থাকবেন। ”
আলতো হেসে বলল কলি।
“কলি শুনুন,ছাত্রী হয়ে এই কাজটা করুন? ধরে নিন এটা আপনার টাস্ক একজন শিক্ষক হতে। আপনি এই প্রশ্নের উত্তর কিংবা মতামতটা জানালেই পরবর্তী আলাপে এডভান্স হতে পারি।”
কলি নেত্রপল্লব উল্টিয়ে জিজ্ঞাসু চোখে স্যারের দিকে চাইলো।
“আপনি সময় নিয়ে ভেবে জানাবেন আমাকে। টিচার,স্টুডেন্টের রিলেশনকে আপনি কিভাবে দেখেন? যেকোন ধরনের টিচার হতে পারে সেটা।”
কলি শুকনো মাটিতে হোঁচট খাওয়ার মতো হতবিহ্বল হয়ে গেলো। তার বোধগম্য হচ্ছে না, এই প্রশ্নের আনসার মাহমুদ স্যার তার কাছ থেকে জানতে চায় কেন? আর এটা বলার জন্যই বা রেস্টুরেন্টে নিয়ে আসলো কেন? হয়তো সেদিন খাওয়াতে পারেনি বলে নিজের সঙ্গে নিজে জেদ ধরলো। সরাসরি এটা বললে যদি সে মাইন্ড করে তাই কথা ছিলো বলাটা বাহানা মাত্র। স্যার জেদী এটার তার মাও বলল। নিজেও দেখেছে। আবার বিষয়টা এটাও হতে পারে তাকে ইজি করা ছাত্রী হিসেবে।
কলি ভাবুকের মতো মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানালো স্যারকে।
“থ্যাংক ইউ কলি। আমি অপেক্ষায় থাকবো।”
কলি ব্যস্ত নগরীর মানুষের যানজট ঠেলে বাসে উঠে পড়ে। চলে যায় বাসায়। রাতে ঘুমাতে গেলে ঘুরেফিরে মাহমুদের কথাগুলো মনে পড়ছে তার। চিন্তা করলো,
হঠাৎ স্যারের এত নমনীয়, সহনীয় আচরণ আমার সঙ্গে? সবই কি গিলটি ফিল থেকে? হয়তো। খাল্লি বাল্লি। খেয়াকে নিয়ে কোন প্রবলেম হয়তো।
মাহমুদ স্যারের বাকি কোর্সের পরিক্ষা আজ। সে টেবিলে গুরুগম্ভীরভাবে বসে আছে। লুকানো চোখে দেখছে খেয়া নকল করে যাচ্ছে নিঃসংকোচে,নির্ভয়ে। তার নকল উরুর উপর রাখা। হয়তো সেফটিপিন দিয়ে আটকিয়ে নিয়েছে। মাহমুদ আজও খেয়াকে কিছু বলল না। দাঁত কিড়মিড় করে নিজের রা*গ সংবরণ করলো। নকল ধরে ভরাক্লাসে অপমানও করল না তাকে। না দেখার ভান করে রইলো। পরিক্ষা শেষে সবাই খাতা দিয়ে বেরিয়ে গেলো। কলিও বেরিয়ে গেলো। খেয়া ইচ্ছে করে লাস্টে তার খাতা জমা দিলো। আবদার করে বলল,
“স্যার আজতো আমাদের পরিক্ষা শেষ। আপনার বাইকে করে চলুন না একটু ঘুরে আসি। এই বেশি দূরে না স্যার৷ যেমন উত্তরা দিয়া বাড়ি হতে পারে। তারপর লাঞ্চ করবো। ট্রিট আমার পক্ষ হতে। ”
“আমার মুড নেই খেয়া। আমি বোরিং পারসন। সো আমার থেকে এসব এক্সপেক্ট করা বোকামি হবে আপনার।”
“আমি কি করলে আপনার মুড অন হবে স্যার?”
“আমার মুড অনের দায়িত্ব আপনাকে দিতে চাই না।”
“তো কাকে দিতে চান?”
“আপাতত কাউকেই না।”
খেয়া ধুপধাপ পায়ে বেরিয়ে গেলো একরাশ মন খারাপ নিয়ে। কলির ফোন বেজে উঠলো,
“হ্যালো স্যার।”
“যাক নাম্বার সেভ করা আছে তাহলে। চলে যাচ্ছেন? ”
“হুম। বাসে স্যার।”
” আপনাকে একটা পার্সোনাল টাস্ক দিয়েছিলাম আমি। ”
“স্যার পরিক্ষার জন্য চিন্তা করার সময় পাইনি। সরি।”
“আজ রাতে ভেবে রাখবেন অবশ্যই। কাল ফোন দিব আমি।”
কলি এবার বিরক্ত হলো। মনে মনে বলল,
“আজব ত। মাহমুদ স্যারকে ত ভালো জানতাম। কিন্তু এখন উনার দু’একটা কথা কেমন যেন। খেয়াকে নিয়েই তা বেশ জানি। কিন্তু অন্য কোন মাধ্যম হতে জানলেই পারে। আমি কেন। সো ডিজগাস্টিং! সো বিরক্তিকর! হুহ! ”
কলি বাসায় গিয়ে নিজের মতো রইলো মাহমুদের বিষয়টাকে তেমন গ্রাহ্য করল না। পরক্ষণে মাহমুদ কল দিবে,মনে হতেই দায়সারাভাবে কিছুক্ষণ ভাবলো। ঘুমিয়ে গেলো রোজ রাতের মতো প্লে লিষ্টের ভারতীয় বাংলা গানগুলো শুনতে শুনতে। গান শুনতে কলির অদ্ভুত রকমের ভালোলাগে। যে গান তার হৃদয়ে হু হু করা বেদনা জাগাতে পারে,সেই গানই তার প্রিয় হয়ে উঠে। একটু আধটু গাইতে পারে না বলে কলির খুব আফসোস হয়।
কয়দিন পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তাদের ডিপার্টমেন্টের। নাচ,গান,আবৃত্তি সবই দেখা যাবে। নিদ্রায় দুচোখ বুঁজে আসে কলির।
পরেরদিন রাতে মাহমুদ কলিকে ফোন করলো। কুশলাদি বিনিময় করে রাশভারি কন্ঠে বলল,
“আমাকে আপনার কিছু জানানোর কথা। আপনি ত নিজ থেকে জানাবেন না। বলুন।”
কলি গাঁইগুঁই করল না। যত দ্রুত সম্ভব বিদাই নিতে পারলেই বাঁচে। শান্তস্বরে বলল,
“এটা নেগেটিভলি দেখার কিছুই নেই। বহু বছর আগে থেকেই টিচার, স্টুডেন্ট রিলেশন করে আসছে। আবার দেখা গেলো পারিবারিকভাবে প্রোপোজালের মাধ্যমেও বিয়ে হয়। তবে এখানে জড়তা কাটতে সময় লাগে যদি স্টুডেন্ট বেশি সংকোচমনা হয়।”
“আচ্ছা। থ্যাংকস কলি।”
মাহমুদ ফোন রেখে দিয়ে চিন্তায় ডুবে গেলো। মনে মনে বলল,
“তার মানে পারিবারিকভাবেও প্রস্তাব পাঠানো যায়। এটাতো মাথায়ই আসেনি। এগেইন থ্যাংকস কলি।”
কলি ফিচলে হাসলো। সচেতনভাবেই আওড়ালো,
ভবের মাঝারে আমরা সবাই পাগল! মেন্টাল! নয়তো মাহমুদ স্যারের মতো মুডি,ভারি মেজাজের,ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, গাম্ভীর্যপূর্ণ মানুষ কিভাবে এত হ্যাংলামো আচরণ করতে পারলো আমার সঙ্গে। হাউ ফানি! জানি খেয়াকে নিয়েই। তবুও। আমার থেকে কেন রে ভাই।
রাতে অনলাইনে গিয়ে খেয়া তার সেমিস্টার রেজাল্ট সিট দেখলো। মাহমুদ স্যারের দুটো কোর্সেই সে খারাপ করেছে। দুটোতেই এ মাইনাস। তার মাথা ভনভন করছে। ভাবলো কি আর হলো কি? এ দেখি হিতে বিপরীত। তার জিপিএ এত খারাপ আসলো। ইমপসিবল। মেনে নেয়া যাচ্ছে না।
পরেরদিন সে ভার্সিটি গিয়েই কিছু ক্লাসফ্রেন্ডকে জিজ্ঞেস করে তাদের রেজাল্ট জেনে নিলো। ঠিকই ত আছে। কলির আসতে আজ লেট হয়েছে ক্লাসে। তাকে দেখেই খেয়া বলল,
“এই কলি তোর রেজাল্ট দেখ। নেট আছে না তোর মোবাইলে?”
“হুম আছে। দেখছি।”
কলি ব্যাগ বেঞ্চের উপরে রাখলো। দাঁড়িয়েই চেক করে দেখলো তার রেজাল্ট। মাহমুদ স্যারের দুটো কোর্সে তার জিপিএ ফোর, আউট অফ ফোরের মধ্যে। সর্বোচ্চ মার্ক পেলো কলি। খেয়ার সারামুখে রাগ ও বিস্ময়ের চিহ্ন ফুটে উঠলো। মুখাকৃতি
থমথমে। দ্বিতীয় কোন উচ্চবাচ্য করল না কলির সঙ্গে।
মাহমুদ স্যার ক্লাসে এলেও খেয়া রেজাল্ট নিয়ে কথা তুলল না। মেঘমন্দ্র মুখে বসে রইলো। মাহমুদ স্যার বুঝতে পারলো। সে ক্লাস নিয়ে চলে গেলো। সব ক্লাস শেষ হয়ে গেলে মাহমুদের রুমে যায় খেয়া।
সালাম দিতেই তাকে মাহমুদ জিজ্ঞেস করলো,
” খেয়া কি বিষয়ে এলে বলো?”
“স্যার আমার রেজাল্ট এত খারাপ হলো কিভাবে? আমিতো এ প্লাস পাওয়ার কথা?”
ঘোর অনুযোগ করে বলল খেয়া।
“নকল করে এ প্লাস পাওয়ার কথা? সেটাতো আপনার মেধার প্রকাশ হলো না। কিভাবে এ প্লাস এক্সপেক্ট করেন আপনি? নকল করে আনসার দেয়া কাউকেই আমি নাম্বার দেইনা। নকল করে লিখা আর মুখস্থ থেকে লিখা আমরা টিচারেরা দেখলেই বুঝতে পারি।”
অসহিষ্ণু স্বরে বলল মাহমুদ।
” স্যার আমি কোন নকল করিনি। খাতায় লিখা থাকলে আপনি নাম্বার দিবেন না? কলি একমাসের মতো ক্লাস করেনি। তবুও হায়েস্ট নাম্বার পেলো স্যার? তার প্রতি আপনার সদয় আচরণ চোখে পড়ার মতো স্যার। আমার রেজাল্ট চেঞ্জ করে এ দিন অন্তত। প্লিইইজ স্যার! ”
আবদারের সুরে আহ্লাদী ঢংয়ে বলল খেয়া।
মাহমুদের বিরক্তি ও রা*গ বেড়ে গেলো খেয়ার উপর। টেবিলের উপর ডাস্টার দিয়া আঘাত করে গমগমে স্বরে বলল,
“আপনি এত মিথ্যাবাদী মেয়ে কেন? আমি দেখেছি দু’দিনই আপনি নকল করেছেন। মনে করেছেন আমি দেখিনি? টিচারের চোখ ফাঁকি দেওয়া এত সোজা? আর দেখলেও কিছুই করব না? দুই নাম্বার কাজের সঙ্গে মাহমুদ আপোষ করে না। জেনে রাখুন। যে যতটুকু মার্ক ডিজার্ভ করে সে ততটুকুই পেয়েছে। আর একটা কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি, সবসময় আমার সামনে ওড়না অসংলগ্ন অবস্থায় থাকে কেন আপনার? মেয়েদের ওড়নার কাজ কি? বুক ঢেকে রাখা। আর আপনিতো না পরার মতো করে রাখেন।”
পরের কথাগুলো কলি শুনতে পেলো। সে মাত্রই স্যারের রুমে প্রবেশ করলো। খেয়া আর এক সেকেন্ডও স্যারের সামনে থাকলো না। প্রচন্ড বেগে চোখমুখ রক্তিম করে বেরিয়ে গেলো গটগট পায়ে। কলির দিকে তাকালো ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে। কলির মন চাচ্ছে এই মুহূর্তে স্যারের সামনে থেকে লুকিয়ে যেতে। উফফস! শিট! স্যার মুখের উপর খেয়াকে এগুলো কি বলল? বলাটা ঠিকই। খেয়া মাহমুদ স্যারের সামনে কিভাবে দাঁড়ায় তা সবাই জানে,দেখে। রা*গী মানুষদের এই এক সমস্যা মাথা গরম হলে মুখের লাগাম থাকে না।
মাহমুদও দেখলো খেয়াকে বলা তার পরের কথাগুলো শুনতে পেলো কলি। নিজেই ইতস্ততবোধ করছে। কি করবে। তার মেজাজটাই চড়ায় উঠে গেলো খেয়ার সাহস দেখে ও কথাশুনে। কলি পা ঘুরিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলে পিছন হতে ডাক পড়লো।
” এই কলি শুনুন। এদিকে আসুন।”
চলবে…৯