#তোমার_জন্য_সব (৩)
✍️ #রেহানা_পুতুল
ঝিমিয়ে আসা ধূলোয় মাখা শহরের অবসন্ন বিকেল। কলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি বেখেয়ালি। ঝিরিঝিরি হাওয়া বইছে। সে হাওয়ায় কোন প্রশান্তি নেই। কেবলই উষ্ণতা। মুঠোফোন বেজে চলছে। কলি রিসিভ করলো। হ্যালো.. বলতেই ভেসে এলো একটি পুরুষ কন্ঠস্বর। যেন চেনা চেনা লাগছে কিছুটা।
“হ্যালো..কলি শুনতে পাচ্ছেন?”
কলি ছোট্র করে জবাব দিলো।
“জ্বি বলছি। কে?”
“আমি আপনার ভার্সিটির টিচার মাহমুদ খান।”
কলি স্তব্দ হয়ে গেলো। তার মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছেনা।
“কলিইই…”
কলির হুঁশ হয়।
“জ্বি..জ্বি স্যার শুনছি। বলুন।”
“ভার্সিটি আসা বন্ধ করলেন কেন?”
ধীর কন্ঠে জানতে চাইলো মাহমুদ।
কলি জবাব না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করলো,
“স্যার আপনি আমার সেলফোনের নাম্বার কোথায় পেয়েছেন?”
“আজ আপনার বাবা এসেছিলো ডিপার্টমেন্টের অফিসে। নাম্বার উনার থেকে মিসেস হেড চেয়ে নিয়েছে। ”
কলি বিস্মিত স্বরে,
“আমার বাবা আজ ভার্সিটি গিয়েছে? কিন্তু কেন?”
“উনি রাইট। একজন পিতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। আপনি ভার্সিটি আসেন না কেন তাই তলব করতে এলেন।”
“ওহ আচ্ছা। ম্যাম কি বলল বাবাকে?”
“ম্যামসহ সবাই বলল,কেউই জানেনা আপনি কেন আসছেন না। উনি বলল,আপনাকে সন্ধ্যার পরে ফোন দিবে।”
কলি মনে মনে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলল,
ম্যাম দিবে ভালো কথা। আপনি কেন দিলেন? ঘাড়ত্যাড়া পুরুষ। কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ভুল বুঝে মিসবিহেবিয়ার করলেন। আপনার ছায়া মাড়াতেও আমি রাজী নই। বদ মানুষ কোথাকার।
“স্যার কেন ফোন দিলেন বলেন?”
“আপনি ভার্সিটি আসছেন না কেন? সামনে পরিক্ষা। এসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে আপনার।”
” সরি স্যার। আমি এই ভার্সিটিতে আর স্টাডি কন্টিনিউ করব না।”
মাহমুদ মর্মাহত হলো। ব্যথিত স্বরে বলল,
“অন্য ভার্সিটিতে এডমিশন নিবেন?”
“হুম।”
মাহমুদ আশ্চর্য সুরে জিজ্ঞেস করলো,
“এই ভার্সিটিতে কি প্রবলেম?”
“স্যার এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়।”
“আপনার ব্যক্তিগত বিষয়টার সঙ্গে কি আমি কোনভাবে যুক্ত আছি?”
“না স্যার।”
“হেড মিসেস ফোন দিলে কি বলবেন?”
“যা সত্যি তাই বলব।”
মাহমুদের কপালে চিন্তার ভাঁজ দৃশ্যমান হলো। হায় হায় বলে কি। সত্যিটা যদি সেই বিষয় হয়, তবে তো আমি ফ্যাসাদে পড়ে যাবো। এই মেয়ের যে আত্মসম্মানবোধ এত টনটনে, এত প্রখর তা কে জানতো।
কলির সঙ্গে মাহমুদের প্রফেশনাল সম্পর্ক। শিক্ষক ছাত্রী। নমনীয় হয়ে তাকে কিছু বলা মানে নিজের ব্যক্তিত্বকে বির্সজন দেওয়া। খেয়া,রিমি হলে সরাসরি রিকুয়েষ্ট করা যেতো। এই মেয়ের সঙ্গে আগেও তেমন কথা হয়নি। ক্লাসের প্রয়োজনে দু,এক বাক্য বিনিময় হয়েছে। মাহমুদ ভেবে পেলনা কিভাবে কলিকে বলবে। উপায়ন্তর না পেয়ে মাহমুদ সহজ পন্থাই অবলম্বন করলো।
“কলি আমার মনে হয় আপনি আমার আচরণের জন্য আসা বন্ধ করেছেন। যদি তাই হয় তাহলে বলব ভার্সিটি আসুন। বাচ্চামো করবেন না প্লিজ। নিজের ক্যারিয়ারের কথা একবার ভাবুন।”
“স্যার আপনি কি আমাকে ভার্সিটি যাওয়ার জন্যই ফোন দিয়েছেন?”
বিরস গলায় বলল কলি।
“হ্যাঁ। একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে ছাত্রীর প্রতি এটা আমার কর্তব্য।”
“আপনি বলেছেন যেন কখনো আপনার ছায়াও না মাড়াই। তাই সে ভুলকে এড়াতে হলে এই ভার্সিটি বাদ দেওয়া ছাড়া আমার কাছে ভিন্ন কোন অপশন নেই স্যার। ভালো থাকবেন। রাখি। আসসালামু আলাইকুম। ”
“কলিইই প্লিজ শুনুন বলছি।”
কলি শুনল না। ধুম করে লাইন কেটে দিলো। কান হতে মুঠোফোনটাকে আলগা করে নিলো। নাক বরাবর চোখের সামনে এনে মাহমুদের নাম্বার ব্লক লিস্টে ফেলে দিলো। বলল,
এই সেল নাম্বারের মালিক আপনি জানলে ভুলেও রিসিভ হতো না মিস্টার মাহমুদ খান। পরক্ষণেই কলির ভাবনায় ভর করলো মাহমুদের সফট করে বলা কথাগুলো। আজকে এত শান্ত স্বরে, ঠান্ডা মেজাজে কথা বললেন স্যার। কারণ কি? অনুশোচনা হচ্ছে? বিবেক তাড়া করছে? দংশিত হচ্ছেন? দেখলেন ত কাউকে অন্যায়ভাবে আঘাত করলে সে আঘাত নিজের দিকেও আসে। এটাই প্রকৃতির নিখুঁত একটা সিস্টেম।
মাহমুদ ফের কলির নাম্বারে ফোন দিলো। বারবার ট্রাই করেও কাজ হলো না। বুঝতে পারলো কলি তার জন্যই ভার্সিটি ছেড়ে দিতে চায়। কেননা কলির কন্ঠে ও কথায় প্রকট অভিমান ও জেদ ঝরে পড়লো। মাহমুদ ভীষণ অস্বস্তিতে পড়ে গেলো। বাসায় চলে গেলো খিটখিটে মেজাজ নিয়ে।
মিসেস নাজমা আশরাফ কলিকে ফোন দিলেন এশার নামাজের পরে। কুশলাদি বিনিময় করলেন। কলি আগেই সাজিয়ে রেখেছে কি বলবে হেডকে। মাহমুদ স্যার ফোন দেওয়াতে এই সুবিধা হলো, কথা গুছিয়ে বলা যাবে। নয়তো সত্যিটাই মুখ দিয়ে বের হয়ে যেতো। এতে তারই সমস্যা হতো। হেড, খেয়া,রিমিকে ধরতেন। আর খেয়া কলিকে ছেড়ে দিতনা। নাস্তানাবুদ করেই ছাড়তো। আর সত্যিই তো। সে এসময়ে কোথায় এডমিশন নিবে। টাকা কই। টিউশনি করিয়ে যে টাকা পায়, তা থেকে মাস শেষে এক টাকাও অবশিষ্ট থাকে না। মা রোজ রাগারাগি করছে। অসহ্যকর। এর চেয়ে ভার্সিটি যাওয়া ঢের ভালো।
অন্যের নাক কাটতে গিয়ে নিজের যাত্রা ভঙ্গ করা নেহাৎ বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। স্যারের ভিতরে অনুশোচনা হচ্ছে এটাই যথেষ্ট।
মিসেস নাজমা কলিকে উদ্বেলিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,
“এবার বলতো তুমি ভার্সিটি কেন আসছ না?আজ তোমার বাবা এসেছে।”
কলি অবাক হওয়ার ভান করলো শুনে। মিসেস, তার বাবার বলা সবকথা বলল কলিকে।
“ম্যাম বাবাকে ত ব্যক্তিগত শারীরিক সমস্যার কথা বলা যায় না। আমার চলাফেরা করতে সমস্যা হচ্ছে।”
“কি হয়েছে? আমাকে বলো ফ্রিলি? আমরা দুজনই নারী।”
কলি স্বাভাবিক কন্ঠে তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে বানানো একটি গল্প শুনালো মিসেস হেডকে। তিনি বিশ্বাস করলেন এবং সহমত জানিয়ে বললেন,
“পিরিয়ডের পরে এমন একটা প্রবলেম আমারো হয়েছে একবার। তুমি গাইনী চিকিৎসক দেখাও।”
“ম্যাম আমার আগেও এমন হয়েছে। তাই ফার্মেসীতে নাম বলে মেডিসিন নিয়েছি।এখন ইমপ্রুভমেন্ট হচ্ছে। দোয়া করবেন ম্যাম।”
“কবে আসতে পারবে ক্লাসে? পরিক্ষা সামনে।”
“নেক্সট উইকে আসবো ম্যাম। ইনশাআল্লাহ।”
মিসেস নাজমা খুশী হলেন। সন্তুষ্টি চিত্তে বিদায় নিলেন কলির থেকে।
রাতে মাহফুজা খান ছেলের মুখপানে দৃষ্টিপাত করেই টের পেলেন, ছেলের ভাবভঙ্গি ভালো ঠেকছে না। কোন কারণে মেজাজ বিগড়ে আছে। মায়ের সঙ্গে তার মধুর সম্পর্ক। বাবার সঙ্গেও ভালো। তবে অন্তরঙ্গ কম। তাই তিনি প্রসঙ্গ ছাড়াই সরাসরি ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন,
“মাহমুদ, বাবা তোর মন খারাপ কোন কারণে?”
“হুম মা।”
“মায়ের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে? তাহলে মন হালকা হবে। স্বস্তি অনুভব করবি।”
“বসো মা। বলছি।”
মাহফুজা বেগম ছেলের রুমের ইজি চেয়ারটাতে বসলেন। অধীর আগ্রহ নিয়ে ছেলের দিকে তাকালেন। মাহমুদ মাকে সব বলল বিস্তারিতভাবে। তিনি হতচকিত হয়ে বললেন,
“তাজ্জব ব্যাপার! এইজন্য একটা মেয়ে পড়াশোনা ছেড়ে দিবে? মেয়েটা বড্ড অভিমানী! আমিও আগে এমন ছিলাম। অল্পতেই ভেঙ্গে পড়তাম। মনোবল হারাতাম। সংকোচে,দ্বিধায় গুটিয়ে যেতাম। আর তখনই অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতাম। সেই সিদ্ধান্ত থেকে অতি সহজে আমাকে টলানো যেতনা। এসব এখন নষ্টালজিক অতীত আমার। মনে পড়লেই হাসি পায়।”
“মা মূল কথাই তোমাকে বলিনি। ওকে মিসেস হেড এতক্ষণে হয়তো ফোন দিয়ে দিয়েছে। যদি সে সত্যিই বলে দেয় সব,তবে বিষয়টা কি বাজে হবে ভাবছ? উফফস! কি যে টেনশন হচ্ছে। ”
“তুই মেয়েটার ফোনে আমাকে ধরিয়ে দে। আমি কথা বলছি। এখন মাত্র দশটা বাজে। ঢাকা শহরে এখন মাত্র সন্ধ্যা।”
“তুমিই কথা বলবে?”
“হ্যাঁ। সমস্যা কি? ”
“কিন্তু আমার নাম্বার থেকেতো কল যাচ্ছে না কেন যানি। তোমার মোবাইল দাও। আমি নাম্বার তুলে দিচ্ছি।”
কলির মোবাইলে রিং বাজছে। মাহফুজা খান ছেলের রুম থেকে বেরিয়ে গেলো। মাহমুদ অবাক হলো। তার মোবাইল থেকে কল গেলনা। কিন্তু মায়ের মোবাইল থেকে কল গেলো। তারমানে কলি তার নাম্বার ব্লক লিস্টে ফেলে দিয়েছে। একজন শিক্ষক হিসেবে মাহমুদ বেশ অপমানিত বোধ করলো। সে কলির উপর সেদিনের মতো রেগে গেলো। কলিকে কাছে পেলে এখন পিষে ফেলতো। নিজেকে ধাতস্থ করে নিলো কিছুক্ষন পর।
মিনিট দশেক পরে মাহফুজা খান ফিরে এলেন। নির্মল হেসে বললেন ছেলেকে,
“কথা বললাম কলি মেয়েটার সঙ্গে। আমার বেশ মনে ধরেছে। কি অমায়িক ব্যবহার। কি বিনয়ী ভাষা। তাকে তোদের হেড নাকি ফোন দিয়েছে। সে উনার সাথে কমিটমেন্ট করেছে রেগুলার যাবে ক্লাসে।”
মাহমুদ জোরে দম ছাড়ল। তবুও উদ্বেগ কাজ করছে তার ভিতরে। সে বলল,
“মা সে যাবে। তা না হয় ঠিক আছে। কিন্তু এবার ত আমার ভার্সিটি যাওয়া বন্ধ করতে হবে। সে নিজেই আমাকে বলছে, যা সত্যি তাই বলবে ম্যামকে।”
ওহ শিট! বলে মাহমুদ দেয়ালে ঘুষি মারলো। ব্যথায় নিজেই উঁহু করে উঠলো।
মাহফুজা বললেন,
“কে ব্যথা পেলো এখন? দেয়াল না তুই? পিচ্চিকালের এই বাজে স্বভাব তোর আর গেলনা? একটু কিছু হলেই দেয়ালে,টেবিলে চাপড় ঘুষি মারা। আমার মনে হয়না সে সত্যিটা বলছে। মাথায় এতটুকু বুদ্ধি থাকলে কেউ এটা বলবে না। ডাইনিংয়ে আয়। বাতাসী খাবার আনলো।”
“যাও আসতেছি।”
মাহমুদ কিছুটা উৎকন্ঠা নিয়ে খেয়ে ফের নিজের রুমে চলে গেলো। পিতা আবদুর রহমান স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলেন,
“মাহমুদ কোন কথা বলল না যে, কিছু হয়েছে?”
মাহফুজা ঘটনার সারসংক্ষেপ বললেন স্বামীকে। তিনি শুনে বললেন,
“পথ চলায় এমন বিচ্ছিন্ন বিড়ম্বনা ঘটে। ব্যাপার না। সব ওকে হয়ে যাবে।”
“আপনার কনফিডেন্স লেবেল মাশাল্লাহ। ”
বলে মুচকি হাসলো মাহফুজা।
আজ বৃহস্পতিবার। শুক্র, শনি ডিপার্টমেন্ট অফ। যাক অন্তত দু’দিন গ্যাপ আছে। কলি যদি বলেও ফেলে। এই ভিতরে ম্যাম একটু ইজি হয়ে যাবে আমার উপরে। কিছু বিষয়ের প্রভাব সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হালকা হয়ে যায়। কথাগুলো ভেবেই মাহমুদ হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো।
রবিবারএ মাহমুদ বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে ভার্সিটি গেলো। মিসেস নাজমা আশরাফের মুখাকৃতি লক্ষ্য করলো তীক্ষ্ণ চোখে। বেশ হাসিখুশি দেখা যাচ্ছে তাকে। কলিও গেলো ভার্সিটি। এতে তার মা, বাবা,ছোট বোন বেজায় খুশি হলো। যাক মেয়েটা স্বাভাবিক হলো।
মিসেস হেড ক্লাস শুরু হওয়ার আগে কলিকে ডেকে পাঠালেন অফিস স্টাপ নবীকে দিয়ে। কলি গেলো এবং বেশ ইতস্তত বোধ করলো। কারণ অন্য সব শিক্ষকের পাশে মাহমুদ স্যারও বসা ছিলেন। মাহমুদের গলা শুকিয়ে আসছে। তার কপালে আজ কি আছে কে জানে।
আন্তরিকতাপূর্ণ স্বরে কলিকে হেড জিজ্ঞেস করলো,
“কেমন আছো তুমি এখন?”
“জ্বি ম্যাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো। সুস্থবোধ করছি।”
তিনি সব স্যারদের উদ্দেশ্যে বললেন,
“আমি ওকে ডাকলাম আপনাদের সামনে এইজন্য,ও অসুস্থ ছিলো। তাই আসতে পারেনি। সবাই ওকে দু চারদিন সময় দিবেন। যেন ও সব কোর্সের এসাইনমেন্ট জমা দিতে পারে।”
“কলি তুমি ক্লাস লিডার থেকে টপিকগুলো আজই জেনে নিও।”
“জ্বি ম্যাম। অবশ্যই। ”
মাহমুদ তব্দা খেয়ে গেলো। আড়চোখে কলিকে পরখ করে দেখলো। মনে মনে কলিকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করল না মিথ্যা বলে তার সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য ডিপার্টমেন্টে।
“মাহমুদ তুমিতো ওদের দুইটা কোর্স পাও। একটু কনসিডার করো ওকে। কেমন?”
বলল হেড।
“ঠিক আছে ম্যাডাম।”
“আসতে পারো কলি। মন দিয়ে পড়াশোনা করবে। প্রবলেম হলে জানাবে। এভাবে ইঁদুরের মতো গর্তে ঢুকে যেওনা।”
সহাস্য হেসে বলল হেড।
কলি চলে গেলো। মাহমুদ স্যারের দিকে ফিরেও চাইল না। অন্য স্যাররা কৌতুহলী চাহনি নিক্ষেপ করলো হেডের দিকে। তারা বলল,
“ও অসুস্থ ছিলো? তো ওর বাবা যে এলো? বুঝলাম না কিছুই।”
“আরেহ ওর একটা ব্যক্তিগত শারীরিক সমস্যা হয়েছে। যেটা বাসায় বলেনি সঙ্গত কারণেই।”
মাহমুদ সহ সবাই একে অপরের দৃষ্টি বিনিময় করলো নির্বোধের মতোন।
আমান স্যার রসিকতা করে বলল,
“হয়তো। নারী রহস্যময়ী। বোঝা মুশকিল। এদের অনেক আজগুবি ব্যাপার স্যাপার থাকে।”
সবাই নিজ নিজ ক্লাসে চলে গেলো চা পান করে। মাহমুদ স্যার ক্লাশ শেষে খেয়া,রিমি ও কলিকে গম্ভীর স্বরে বলল,
“আপনারা তিনজন আমার রুমে আসবেন। জরুরী প্রয়োজন।”
#Romantic #shortstory #shortstorywriter #rপুতুল #romanticsuspense #lovestory #loveshortstoryputul #writer #writing #genre #samajik #Rehana #putul