তোমার জন্য সব পর্ব-০২

0
31

#তোমার_জন্য_সব (২)
✍️ #রেহানা_পুতুল
কলি নামের মেয়েটি আসেনা কেন? কেউ বলতে পারবেন?”

মাঝ বেঞ্চ হতে কেউ একজন গলা তুলে বলল,

“স্যার কলি আর কোনদিন ক্লাসে আসবে না। স্টাডি ছেড়ে দিয়েছে।”

মাহমুদ থ বনে গেলো। বিষম খাওয়া চোখে সেই ছাত্রের দিকে তাকালো। অতঃপর জানতে চাইলো,

“এটা কিভাবে জানলেন আপনি?”

গালিব উঠে দাঁড়ালো। বলল,

“স্যার ওতো আজ প্রায় পনেরোদিন হলো ক্লাসে আসেনা। তাই ধারণা করে নিয়েছি।”

স্যার বিরক্তিকর দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো তার দিকে। ক্লাসের বাকিরাও অদ্ভুত চাহনিতে তাকিয়ে রইলো তার দিকে।

পাশ থেকে দুজন বলল,
“স্যার গালিবের কাজই হলো তিলকে তাল বানানো। গুজব ছড়ানো। এজন্যই ওকে আমরা গুজব গালিব বলি।”

সবাই হো হো হো করে হেসে উঠলো। স্যার ডাস্টার দিয়ে টেবিলে জোরে আঘাত করলো। সবাই চুপ হয়ে গেলো।

“পনেরো দিন না আসা আর স্টাডি ছেড়ে দেওয়া এক হলো? আপনারা কেউ ক্লাসমেট হিসেবে কোনভাবে কন্টাক করার চেষ্টা করেন নি ওর সঙ্গে?”

ক্লাসের প্রায় সবাই সমস্বরে বলে উঠলো,
“স্যার ওর মোবাইল নাম্বার আমাদের কারো কাছে নেই। ফেসবুকে কজন এড আছি ওর সঙ্গে। এবং আমাদের আটান্ন ব্যাচেরও একটা মেসেঞ্জার গ্রুপ আছে। কিন্তু ওকে ফেসবুক বা গ্রুপেও দেখছিনা। অন্য স্যার, ম্যামরাও ওর কথা জিজ্ঞেস করেছে ক্লাসে। হয়তো অসুস্থ হবে বা কাছের কেউ মারা গিয়েছে। ”

স্যার বিজ্ঞের মত করে বলল,

“ধারণা করে জগতের সবকিছু চলে না। সত্যতা যাচাই করে বলতে হয়।”

ক্লাস শেষ করে চলে যায় মাহমুদ। ভাবলো,
মেয়েটা কি সেদিন আমার কথার জন্য আসা বন্ধ করে দিয়েছে? আশ্চর্য! খেয়া,রিমিকে আলাদা ডেকে জিজ্ঞেস করাটা সমীচীন হবে? উমম! না থাক। আরো দু’চারদিন দেখি। দেন নিজেই খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করবো।

একদিন ক্লাসে মাহমুদ স্যার এলে কয়েকজন স্টুডেন্ট তাকে ‘শুভ জন্মদিন’ বলে উইশ করলো। সে সবাইকে সৌহার্দপূর্ণ কন্ঠে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলো। এবং কিঞ্চিৎ অবাক স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

“আজ আমার জন্মদিন। কিভাবে জানলেন আপনারা?”

“স্যার গতবছর একদিন ক্লাসে প্রসঙ্গক্রমে আপনিই বলছিলেন।”

“ওহ! আচ্ছা! হয়তো। কিন্তু সবাই তারিখটা মনে রাখলেন? এটা সম্ভব?”

বিনয়ী হেসে বলল মাহমুদ স্যার।

সামনের বেঞ্চে বসা থেকে রিফাত বলল,

“স্যার খুব সরি। সত্যি বলতে আমাদের কারোই মনে ছিল না। আজ খেয়া ও রিমি এসে জানাল সবাইকে। খেয়া আপনার জন্য গিফটও এনেছে।”

মাহমুদ গাম্ভীর্যপূর্ণ মুখে বলল,

“আমি এমনিতেই গর্ববোধ করি আপনাদের নিয়ে। উইশ করেছেন এটাই যথেষ্ট।”

খেয়া ড্যাম কেয়ার টাইপের মেয়ে। সবার সামনেই উঠে গিয়ে মাহমুদ স্যারের হাতে একটি কাঁচা গোলাপ ও হার্ট শেপের ট্রিট চকোলেট বক্স উপহার দিলো। আহ্লাদী সুরে মিষ্টি হেসে,

” এগেইন হ্যাপি বার্থডে স্যার।”

মাহমুদের মুখমন্ডলে উৎফুল্লতার ছাপ পড়ল না। স্মিত হেসে,

“থ্যাংক ইউ খেয়া। থ্যাংক ইউ সো মাচ।”

খেয়া গিয়ে বেঞ্চে বসলো। স্যার দাঁড়িয়ে থেকে বক্স খুলে নিলো।
‘আসুন সবাই মিলেই ভাগ করে খাই।’ বলে খেয়াসহ ক্লাসের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলো সব চকোলেট। নিজের মুখে পুরে দিলো একটা। খেয়া এতে বেজায় মনঃক্ষুন্ন হলো। রিমির কানে মুখ নিয়ে খেয়া ফিসফিসিয়ে বলল,

“দেখলি কাণ্ড? এত দামী চকোলেট নিলামে তোলার জন্য স্যারকে দিয়েছি? কেমনটা লাগে ক?”

রিমি ও খেয়া বেস্ট ফ্রেন্ড। রিমি বেঞ্চের নিচ দিয়ে খেয়ার উরুতে হাত রেখে বলল,

“এত হাইপার হইসনা ইয়ার। বি কুল।”

পরেরদিন ক্লাস শেষে খেয়া ও রিমি মাহমুদ স্যারের অফিস রুমে গেলো। খেয়া ব্যাগের ভিতর হতে সেইম চকোলেট বক্স নিয়ে মাহমুদের সামনে রাখলো। মাহমুদ হকচকিয়ে গেলো। হাতের কাজ বন্ধ করে তীক্ষ্ণ চোখে খেয়ার দিকে চাইলো।

“স্যার প্লিজ মাইন্ড করবেন না। ভুল আমারই হয়েছে গতকাল। সবার সামনে দিয়েছি। তাই আপনি ক্লাসে বিতরণ করে দিতে বাধ্য হলেন। এটা আমার ফেবারিট চকোলেট স্যার। আর তা আপনি খেলেন মাত্র একটা। আমি স্বস্তি পাইনি। তাই আজ আবার আপনার জন্য নিয়ে এলাম। আপনি বাসায় নিয়ে গিয়ে সব খাবেন।”

“ওহ সিউর খেয়া। থ্যাংকস। তবে এটার একদম প্রয়োজন ছিল না। যেহেতু আপনারা দুজন এসেছেন। তাহলে বলুন তো, কলি মেয়েটার সঙ্গে আপনাদের ক্লোজনেস নেই নাহ?”

“নাহ স্যার? এনি প্রবলেম? ”

“সেদিন আপনারা চলে যাওয়ার পর তার কথায় মনে হলো আপনারা দুজন ওর ফ্রেন্ড। কিন্তু তারপর ক্লাসে সেদিন মনে হলো নাহ। নয়তো আপনাদের কাছে ওর সেল নাম্বার থাকতো।”

“রাইট স্যার! বাট লাস্ট সারিতে বসা একটা সিম্পল মেয়েকে আপনি এত প্রায়োরিটি দিচ্ছেন কেন স্যার?”

বিরস কন্ঠে বলল খেয়া।

মাহমুদ ভ্রু কুঁচকালো। জবাবে বলল,

“কারণ আমার মনে হচ্ছে সেদিন আমি তাকে হার্ট করে অনেক কথা বলেছি। সে বারবার বলছিলো সে মেইল দেয়নি। আপনাদেরকে ডাকতে চেয়েছে। আমি বারণ করেছি।”

“বুঝলাম। আচ্ছা স্যার মেইলের বিষয়টা সেদিন আমাদের সামনে কলিকে জিজ্ঞেস করেন নি কেন? জাস্ট কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করা স্যার।”

বিনম্র হলায় জানতে চাইলো রিমি।

“আমার কাছে নারী মানেই অনেক সম্মানের! গুরুত্বের! এটা আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি! যেহেতু মেইল ব্যক্তিগত ছিলো। তাই দ্বিতীয় কারো সামনে জিজ্ঞেস করে তাকে খাটো করতে চাইনি। যে কেউ হলেও আমি এভাবেই ডেকে জিজ্ঞেস করতাম।”

স্যারের বিবেকবোধ ও ব্যক্তিত্বে খেয়া,রিমি মুগ্ধ হয়ে গেলো। দুজনের চোখের কোন চিকচিক করে উঠলো।

“বুঝতে পেরেছি স্যার।”

“মেইলের বিষয় আপনারা কিভাবে জানলেন? এটাত কলি আর আমার মাঝের বিষয় ছিলো?”

ঠান্ডা স্বরে জানতে চাইলো মাহমুদ।

রিমি ঠোঁট কামড়ে ধরলো। ইসস! নিজের কথায় নিজেই ফেঁসে গেলাম। মনে মনে উচ্চারণ করলো। খেয়া কটমট দৃষ্টিতে রিমিকে শাসালো। তাদের ইচ্ছে ছিলো কখনোই সত্যিটা না জানানো স্যারকে। কলির উপরেই থাকুক বিষয়টা। নয়তো কলির মতো তাদেরকেও সেইম ইনসাল্ট করবে স্যার। দুজন দোনোমোনো করতে শুরু করলো। যেন এই রুম থেকে বের হতে পারলেই বাঁচে। খেয়া বলল,

“স্যার আপনাকে মোবাইলে পরে ফোন দিয়ে বলি?”

“আমার সেল নাম্বার আছে?”

“হ্যাঁ স্যার। নোটের বিষয়ে একদিন আপনিইতো মেইল এড্রেস ও মোবাইল নাম্বার বোর্ডে লিখে দিলেন। তখন ক্লাসের সবাই টুকে নিলো।”

“ওহ আচ্ছা। এখন বলুন।”
ভারকন্ঠে বলল মাহমুদ।

“স্যার প্লিজ। এখন যেতে হবে। তাড়া আছে। বলতে টাইম লাগবে। এ টু জেড সব বলল স্যার। প্রমিজ।”

অনুনয় করে বলল খেয়া।

“ওকে। এখন আসতে পারেন।”

ওরা দুজন দ্রুত বেরিয়ে যায় রুম হতে। মাহমুদ ল্যাপটপের কিবোর্ডে হাত চালানো

সকাল হতেই রেবেকা চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলছে। সিলিং ফ্যান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গরম তার একদম সহ্য হয়না। মিস্ত্রিকে খবর দেওয়া হয়েছে। এখনো আসেনি। কাজ করার খালা তিনদিনের ছুটি নিয়েছে। শ্বাসকষ্ট নিয়ে সব কাজ সামলাতে হচ্ছে একহাতে। ডাক্তার একগাদা পরিক্ষা দিয়েছে। করানো যাচ্ছে না। বাড়তি আয় নেই। তাই বাড়তি টাকাও নেই। ভবিষ্যতে যে আয় বাড়বে তারও লক্ষন নেই। পরপর তিন মেয়ের জননী হলো। বড় মেয়ে মিলিকে কলেজ পাস করিয়ে পাত্রস্থ করলো। ছোট মেয়ে জুলি পড়ে নাইনে। ঘরের কাজে মাকে সাহায্য করেনা। সুযোগ পেলেই টিকটক আর কি যেন নিয়ে পড়ে থাকে। আপন মনে হাসতে থাকে মিটমিটিয়ে। খেতে বসলেও হাসে। ঘুমাতে গেলেও হাসে। দেখলে মনে হয় চব্বিশ ঘন্টাই এই মেয়ের ঘাড়ে ভূত বা জ্বীন ভর করে থাকে।

মাঝখানে আছে কলি। সে এখন বড় যন্ত্রণা রেবেকার জীবনে। তার ঘাড়েও মনে হয় ভূত চেপে আছে। নয়তো একমাস হয়ে গেলো বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়না কেন। হয়তো প্রেমঘটিত ব্যাপার হবে। একটা পুত্রের মুখ দেখল না রেবেকা। আহ! স্রস্টার হিসাবটাই বুঝেনা রেবেকা। স্রস্টা কাউকে ষোলকলা পূর্ণ করে দেয়। কাউকে কিছুই দেয়না, শূন্য করে রাখে। তাদের রাখছে এই দুয়ের মাঝামাঝি। মধ্যবিত্ত ঘরের বড় সমস্যা হলো, না চাইতে পারে কারো কাছে। না হাত পাততে পারে। আত্মসম্মানটুকুই এদের সম্বল।

নুরুল হক অফিস থেকে বাসায় আসলেন ক্লান্ত শরীরে। জুলি গেট খুলে দিলো। বাবার হাতে একটা ব্যাগ দেখে বলল,
” বাবা কি আনলে?”

“নে ধর। দেশী পেয়ারা। তোর মায়ের পছন্দ। ধুয়ে খাবি কিন্তু।”

জুলি বেসিন থেকে একটি পেয়ারা ধুয়ে নেয়। রেবেকার সামনে গিয়ে পেয়ারায় কামড় বসিয়ে বলে,

” স্বাদ আছে আম্মু। কিছু কচকচে। কিছু টসটসে। নাও খাও।”

রেবেকা মেয়ের গালে চড় মেরে বসলো।
“তোরা খা পেয়ারা। সারাদিন গতর খাটতে খাটতে মরি। তুই থাকস কি বা*ল ছা*ল নিয়া। তোর বোনের কি মরা হইছে কে জানে। কিছু বলেও না। দরজা ভিড়ায়া রুমে কুণ্ডলী পাকিয়ে বসে থাকে। ক্লাসে যেতে নাকি মন চায়না উনার। তাহলে করবে টা কি? বিয়ে দেই। ঘর সংসার করুক। ভাগ আমার চোখের সামনে থেকে।”

জুলি লাল হয়ে যাওয়া ফর্সা গাল ঢলতে ঢলতে কলির রুমে গেলো। কলির উপরে রাগ ঝাড়ল। কলি মায়ের সব কথা শুনতে পেলো। নুরুল হক বুঝতে পারলো রেবেকার মতিগতি আজ ভয়ানক। এর বড় কারণ কলি পড়াশোনা না করা। না এটার একটা বিহিত করতেই হবে। কলিকে আর ঘাটিয়ে লাভ নেই। অফিসিয়াল পোশাক চেঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে নেয় নুরুল হক। রাতের খাবার খেয়ে চিন্তিত মনে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে।

তার পরেরদিন আগেই বাসা থেকে বের হয়ে যান নুরুল হক। কর্মরত অফিসে যাওয়ার পূর্বে কলির ইউনিভার্সিটিতে যান তিনি। সরাসরি বাংলা ডিপার্টমেন্টের অফিসে প্রবেশ করেন। সালাম দিলেন স্যারদের। সব ম্যাডাম ও স্যারগণ উপস্থিত রয়েছেন। ক্লাস শুরু হতে আরো আধঘন্টা দেরী আছে। সবাই চা পান করছেন। ডিপার্টমেন্টের হেড মিসেস নাজমা আশরাফ বললেন,

“কে আপনি? ”

“আমি আপনাদের একজন ছাত্রীর পিতা।”

“ওহ আচ্ছা। বসেন প্লিজ।”
বলে নুরুল হকের জন্য চায়ের অর্ডার দিলেন তিনি অফিসের চা সরবরাহকারীকে। তারপর জিজ্ঞেস করলেন,

“কোন ছাত্রী? কি হয়েছে বলুন?”

নুরুল হক উদ্বিগ্ন স্বরে জানালো,

“আটান্ন ব্যাচ। নাম মাইমুনা সুলতানা কলি। কলি একমাস ধরে ক্লাসে আসছে না। বাসায় কাউকেই কিছু বলছে না। আবার বাসায়ও কিছু হয়নি ম্যাডাম। ওর মা আর আমি চিন্তা করলাম ভার্সিটিতে কিছু হলো কিনা। বা কোন মনোমালিন্য কারো সঙ্গে। তাই এলাম আমি। ওর মা বলল পড়াশোনা না করলে বিয়ে দিয়ে দিবে। আপনারা যদি ব্যাপারটা কাইন্ডলি দেখতেন ম্যাডাম।”

কাতর স্বরে বললেন নুরুল হক। মিসেস হেড কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে উনাকে আস্বস্ত করলেন,

“আমরাতো আরো ভাবছি আপনাদের পারিবারিক কোন দূর্ঘটনা ঘটলো কিনা। আপনি আসাতে অত্যন্ত ভালো হয়েছে। কলির মোবাইল নাম্বার দিন আমাকে। এবং আপনি নিশ্চিন্ত মনে ফিরে যান। আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। এবং সমাধান করে
কলিকে সাতদিনের ভিতরে ক্লাসে আনাচ্ছি।”

নুরুল হক হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কলির নাম্বার লিখে দিলেন। সব স্যারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চলে গেলেন অফিসে।

বাকি স্যাররা কলির বিষয়ে বলাবলি শুরু করলো।
“ওতো পড়াশোনায় খারাপ না। মনোযোগী স্টুডেন্ট আমাদের। আঁটসাঁট চলাফেরা তার।”

“হুম। তবে যেটাই হোক। সেটা কতটা খারাপ হলে একটা মেয়ে ভার্সিটিতে আসা অফ দেয়? ভেরি স্যাড”।

বলল খটমটে আমান স্যার।

“আমি বাসায় গিয়ে রাতে ফোন দিয়ে কথা বলব কলির সঙ্গে। আপনারা সবাই নিজ নিজ ক্লাসে যান। সময় হয়ে গিয়েছে।”

বলে বেরিয়ে গেলো মিসেস হেড। একে একে বাকি টিচাররাও চলে গেলো ক্লাসের উদ্দেশ্যে। মাহমুদ স্যার একটু ঘাবড়ে গেলো।

কলি যদি হেডকে তার অপমানের কথা বলে দেয়। তাহলে আমার জন্য ভালো সমস্যা হয়ে যাবে। পা ঘুরিয়ে আবার অফিসে প্রবেশ করলো মাহমুদ স্যার। চট করে কলির নাম্বার নিজের ফোনে তুলে নিলো। বিকেলেই হেডের আগে ফোন দিতে হবে কলিকে।

ঝিমিয়ে আসা ধূলোয় মাখা অবসন্ন বিকেল। কলি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। দৃষ্টি বেখেয়ালি। ঝিরিঝিরি হাওয়া বইছে। সে হাওয়ায় কোন প্রশান্তি নেই। কেবলই উষ্ণতা। মুঠোফোন বেজে চলছে। কলি রিসিভ করলো। হ্যালো বলতেই ভেসে এলো একটি পুরুষ কন্ঠস্বর। যেন চেনা চেনা লাগছে কিছুটা।

“হ্যালো..কলি শুনতে পাচ্ছেন?”

#Romantic #shortstory #shortstorywriter #rপুতুল #romanticsuspense #lovestory #loveshortstoryputul #writer #writing #genre #samajik #Rehana #putul

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে