#তোমাতে_মত্ত_আমি
#লেখনীতে – #Kazi_Meherin_Nesa
#পর্ব – ০৩
কোন ছেলে তার প্রা’ক্ত’ন প্রেমিকার বিয়েতে নিজের স্ত্রীকে নিয়ে আসে জানা নেই আলফার, তাও আবার এভাবে হুট করে। ফাহাদ কি চাইছে তা বুঝতে বোধগম্য হচ্ছেনা আলফার। ইতিমধ্যে ফাহাদ কয়েক পা এগিয়ে গেছে কিন্তু আলফা এখনও ওখানেই দাড়িয়ে, পেছন ফিরে তাকালো ফাহাদ..
“দাঁড়িয়ে পড়লে কেনো?”
“আমার এখানে কিসের প্রয়োজন সেটা কিন্তু এখনও আপনি আমায় বলেননি, আর কারণ না জেনে আমি ভেতরে যাবো না। আমি অহেতুক কোনো ঝা’মে’লা’য় পড়তে চাইনা”
আলফা যে ভীষন ক’ন’ফি’উ’শ’নে ভু’গ’ছে তা ওর চোখমুখ দেখেই বুঝেছে ফাহাদ, ও আলফার কাছে এগিয়ে এসে বলে..
“আমি মোটেও তোমাকে এখানে ঝা’মে’লা’য় ফেলার জন্যে আনিনি”
“তাহলে কি চাইছেন? প্রা’ক্ত’ন প্রেমিকার বিয়েতে আজ আপনি আমায় নিয়ে এসেছেন আবার বলছেন ঝা’মে’লা হবেনা?”
“ঝা’মে’লা আমাদের মধ্যে যা হবার বহু আগেই হয়ে গেছে, তাই তো আমাদের ব্রে’ক’আ’প হয়েছে”
“এখনও আমি আপনার উদ্দেশ্য বুঝতে পারছি না ফাহাদ, আপনি ঠিক কি চাইছেন বলুনতো আমার থেকে?”
“আপাতত চাইছি তুমি আমার সঙ্গে ভেতরে চলো”
আলফার হাতটা ধরে ফাহাদ ভেতরে নিয়ে গেলো, শুরুতে কিছু না বুঝলেও এবার ওর কৌতূহল বাড়ছে। জানতে ইচ্ছে করছে ফাহাদ আসলে কি করতে চাইছে। কিন্তু ওখানে যাওয়ার পর যা বুঝলো ফাহাদ আলফাকে এখানে নিয়ে এসেছে শুধু প্রা’ক্ত’নের সামনের শো অফ করার জন্যে আর কিছুই না। বিষয়টা বোঝার পর ফাহাদের প্রতি থাকা তী’ব্র রা’গ’টা যেনো ঘৃ’না’য় পরিনত হলো। বুঝলো ফাহাদের কাছে সত্যিই ওর কোনো মূ’ল্য’ই নেই, ফাহাদ শুধু ওকে আ’বে’গ’হী’ন এক জড়বস্তু মনে করে আর কিছুই না। ফেরার পথে ফাহাদের সঙ্গে একটাও কথা বলেনি আলফা, ইচ্ছেও নেই। ড্রাইভ করতে করতে ফাহাদ একনজর আলফাকে দেখলো, জানালার বাইরে তাকিয়ে আছে সে। কিছুটা হেসে ফাহাদই এই নিরবতা ভা’ঙ’লো..
“আমার প্রা’ক্ত’ন’কে দেখে কি মনে হলো? ব্রে’ক’আ’প করে আমার লাভ হয়েছে নাকি ল’স?
প্রশ্নের উত্তর পেলো না ফাহাদ, আলফা এখনও নি’শ্চু’প
“তোমার জব থাকায় একটা সুবিধা হয়েছে বটে, অ্যাট লিস্ট লোকের সামনে তোমার পরিচয় দেওয়ার সময় বলতে হবেনা যে মাই ওয়াইফ ইজ অ্যা হাউজ ওয়াইফ”
এবারও উত্তর এলোনা আলফার তরফ থেকে। ফাহাদ খা’নি’ক’টা থামলো। মিনিট দশেক পর কি একটা ভেবে আবারো বলে উঠলো..
“বাই দ্যা ওয়ে, প্রফেশন হিসেবে প্রফেসর হওয়ার আইডিয়াটা তোমার মাথায় এলো কিভাবে? ছোটো থেকেই ইচ্ছে ছিলো বাকি হঠাৎ করেই..”
“স্ট’প দ্যা কার ”
“এখনও আধ ঘন্টা সময় লাগবে তোমাদের বাড়ি যেতে, এখানে কেনো থামবো?”
“আই সেইড, স্ট’প দ্যা কার ফাহাদ!”
গাড়ি থামালো ফাহাদ, সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা ধরলো আলফা। হ’ত’ভ’ম্ব হলো ফাহাদ, দ্রুত পায়ে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে আলফার হাত ধরলো..
“এই, তোমার আবার কি হলো? এভাবে মাঝ রাস্তায় নেমে..”
ত’ৎ’ক্ষ’ণা’ৎ ফাহাদের গালে ক’ষে এক থা’প্প’র বসিয়ে দিলো আলফা, হতবাক হয়ে গেলো ফাহাদ। মাঝরাস্তায় একটি মেয়ের হাতে এভাবে চ’ড় খা’ও’য়া’য় ফাহাদের ই’গো হা’র্ট হলো!
“আলফা! হাউ ডে’য়া’র ইউ টু ডু সামথিং লাইক দিজ?”
“হাউ ডে’য়া’র ইউ টু ই’ন’সা’ল্ট মি?”
“আমি তোমাকে ই’ন’সা’ল্ট করেছি?”
“আপনার মধ্যে কি কোনো বো’ধ’শ’ক্তি নেই ফাহাদ নাকি আপনি আমায় মানুষ মনে করেন না? নাহলে এই প্রশ্নটা করতে পারতেন না”
“কি করেছি আমি?”
“নিজেই ভেবে দেখুন না কি করেছেন। আপনি আমাদের সম্পর্কটা মানেন না, কোনো মূল্যই নেই এই সম্পর্কের আপনার কাছে আর সেই আপনিই কিনা আমায় আজ নিজের প্রা’ক্ত’ন প্রেমিকার সাথে দেখা করাতে নিয়ে গেছিলেন শো অফ করার জন্যে”
“এতে দো’ষে’র কি আছে? আমি আমার ওয়াইফকে নিয়ে শো অফ করতেই পারি”
“ইয়াহ রাইট! আমি তো আপনার কাছে শুধু শো অফের বস্তু মাত্র। আপনার শো অফের বস্তু আর আমার বাবার লাভের ইনভেস্টমেন্ট এছাড়া আমার নিজের তো কোনো অ’স্তি’ত্ব’ই নেই তাইনা!”
“আলফা, তুমি কিন্তু একটু বেশিই বলছো। আমার তেমন কোনো উদ্দেশ্য ছিলো না”
“উদ্দেশ্য কি ছিলো তা আমার বোঝা হয়ে গেছে ফাহাদ, আমায় আর কিছু বোঝাতে আসবেন না। আপনার কাছে আমার মূ’ল্য নাই থাকতে পারে তাই বলে নিজের মূ’ল্য ভুলে যাবো এতোটা বোকা নই আমি। আ’ত্ম’সম্মান বো’ধ আমারও আছে”
কথাগুলো বলে আলফা আবারো যাওয়ার জন্যে পা বাড়াতেই ফাহাদ বলে উঠলো..
“কোথায় যাচ্ছো তুমি!”
“আমি নিজের মতো থাকতে চাই, দয়া করে আমার পিছু নেবেন না আর হ্যাঁ কোনো দরকার নেই আমাদের বাড়িতে যাওয়ার”
ফাহাদ কিছু বললো না, এ মুহূর্তে আলফাকে নিজের চোখের সামনে দেখার ইচ্ছেও নেই ওর তাই আর জো’র করলো না। একটু এগিয়ে থামলো আলফা, ঘুরে তাকালো ফাহাদের দিকে। চোখমুখ শ’ক্ত করে বলে উঠলো..
“ভবিষ্যতে আমাকে নিয়ে এই ধরনের ছে’লে’খে’লা করার দুঃ’সা’হ’স দেখাবেন না ফাহাদ, আমি কিছু বলছি না বলে যদি ভেবে থাকেন আপনি যা খুশি করবেন। নিজের ইচ্ছেমতো আমায় চালাবেন আর আমি চুপচাপ সবটা মেনে নেবো তাহলে ভুল ভাবছেন”
কথাগুলো শেষ করেই উ’ল্টো’প’থে হাঁটা দিলো আলফা, ওর যাওয়ার পানে চেয়ে দেখলো ফাহাদ। এ মুহূর্তে আলফার চলে যাওয়াটাই ফাহাদ চাইছিলো, আলফার এহেন অ’ক’স্মা’ৎ আচরণে ফাহাদ এই মুহূর্তে ভীষন রে’গে আছে। আলফা থাকলে হয়তো এই মাঝরাস্তাতেই এক দফা বিরাট ঝ’গ’ড়া হয়ে যেতো..
______________________
সেদিনের পর কে’টে গেছে এক সপ্তাহ, এই পুরোটা সময় আলফা ফাহাদের সঙ্গে একটাও কথা বলেনি। বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে আচরণ স্বাভাবিক হলেও ফাহাদকে একপ্রকার এ’ড়ি’য়ে চলছে আলফা আর এতে বি’র’ক্ত হচ্ছে ফাহাদ। সেদিন আলফার হাতে থা’প্প’ড় খা’ও’য়া’র পর ফাহাদের ভীষন রা’গ হয়েছিলো, সে মুহূর্তে রা’গে’র মাথায় অনেককিছুই করে ফেলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো। ভেবেছিলো বাড়ি ফিরে আলফা হয়তো মুখ খুলবে, আবারো কিছু বলবে। ফাহাদ অপেক্ষায় ছিলো সেই সময়টায় কিন্তু এমন কিছুই হলো না। ফাহাদের সকল আশায় পানি ঢে’লে আলফা গত সাতদিন ধরে মুখে কুলুপ এঁ’টে বসেছে। আজ আলফার কলেজ কোনো এককারণ বশত বন্ধ আছে, তো আজ ও বাড়িতেই আছে। শাশুড়ি কে রান্নায় ও বাড়ির কাজে সাহায্য করেছে। এর মাঝে মিসেস খানের সঙ্গে আলফার বেশ ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে।
“আমার মনে হয় একটু দোকানে যাওয়া দরকার, প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে হবে। এই ফাহাদ, আজ আমাদের দুজনকে একটু দিয়ে আসতে পারবি? সময় হবে তোর?”
ফাহাদকে উত্তর দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই আলফা বলে উঠলো..
“দরকার নেই আন্টি, আমি আপনাকে ড্রাইভ করে নিয়ে যাবো আর আমার গাড়ি তো এখানেই আছে”
“কিন্তু আলফা তুমি তো আজ ছুটিতে আছো..”
“আমার প্রোফেশনাল লাইফে ছুটি চলছে, পার্সোনাল লাইফে নয় তাই আমি আপনাকে নিয়ে যাবো”
“থাক না আলফা, তুমি বাড়িতে বিশ্রাম করো আজ। আমাকে না হয় ফাহাদ..”
“আন্টি, যেখানে আমি আছি সেখানে আপনার ড্রাইভিং এর জন্যে অন্য কারো দরকার পড়বে বলে মনে হয় না। আমরা দুজনে একসাথে সুপার শপে যাবো আমার গাড়িতে করে।”
“ঠিক আছে, তাহলে তো আরো ভালো হয় নাহলে ফাহাদের তো তেমন সময় নেই আর তোমার আঙ্কেলকে নিয়ে সুপারশপে যাওয়া মানেই উনি বি’র’ক্ত হন। আমরা দুজনেই না হয় যাবো”
“একদম! আপনি তাহলে গিয়ে তৈরি হয়ে নিন আমিও তৈরি হয়ে আসছি”
নিজের ঘরে চলে গেলেন মিসেস খান, এদিকে আলফাও যেতেই যাচ্ছিলো তখনই ফাহাদ ওর হাত টে’নে ধরলো..
“সেদিনের জন্যে এতোটাই গি’ল’টি ফিল করছো নাকি যে আমার সঙ্গে কোথাও যাওয়ার সাহস পাচ্ছো না?”
“নিজেকে বড্ড বেশি প্রা’য়ো’রি’টি দেন আপনি ফাহাদ, আর সেটা করতে গিয়ে আশেপাশের মানুষের কথাই ভাবেন না। যাই হোক, আপনার আমাদের সঙ্গে যাওয়ার কোনো দরকার নেই”
হাত ছাড়িয়ে দিলো আলফা..
“তাহলে আমার প্রেজেন্স স’হ্য হচ্ছে না নাকি তোমার? যার জন্যে সঙ্গে যেতে চাইছো না?”
“কেনো যাবো না তার কারণ তো প’রি’ষ্কা’র বলেই দিলাম, এরপরেও এই ধরনের প্রশ্ন কেনো করেন?”
আলফার এমন রু’ক্ষ কথাবার্তা শোনার পর নিজের ওপরই রা’গ হচ্ছে ফাহাদের, কেনো ওর সঙ্গে কথা বলতে গেলো? সাতদিন চুপ ছিলো, আজ ও কথা শুরু না করলে হয়তো সবসময় এভাবেই চুপ থাকতো। হয়তো সেটাই ভালো হতো! অফিসে যাওয়ার পরও আলফার বলা কথাগুলো কানে বাজছিলো ফাহাদের, রা’গে মাথাটা ট’ন’ট’ন করে উঠলো সেসব মনে পড়তেই। ফাহাদের মতে সেদিন যা হয়েছে তা অতি সামান্য ব্যাপার ছিলো কিন্তু আলফা এটাকে এতো গু’রু’ত’রভাবে কেনো দেখছে সেটাই ভেবে পায়না ফাহাদ। লাঞ্চের পর ফারহান আসে ওর কেবিনে, এসেই ভাইয়ের বে’জা’র মুখখানি দেখে হেসে বলে উঠলো..
“কি ব্যাপার ভাইসাহেব? বউয়ের সঙ্গে ঝ’গ’ড়া করেছেন নাকি?”
“ফারহান, ডি’স্টা’র্ব করিস না তো আমাকে”
“আব্বু আমায় পাঠিয়েছে তোমার কাছে একটা কাজে, তোমাকে বি’র’ক্ত করার কোনো ইন্টেনশন আমার নেই। আজকে তো তোমার একটা মিটিং আছে, তার আগে আব্বু এই পেপারসগুলো তোমাকে দেখে নিতে বলেছে”
“রেখে দে এখানে, আমি পরে দেখে নেবো”
পেপারসগুলো টেবিলের এক সাইডে রেখে চেয়ার টেনে বসলো ফারহান..
“এবার বলো তো ভাইয়া, কি হয়েছে তোমার আর ভাবীর?”
“নাথিং!”
“চোখের সামনে সবই তো দেখছি, প্রায় ৬-৭ দিন হলো ভাবী সাইলেন্ট মুড অন করে রেখেছে তুমি এরকম দে’ব’দা’স হয়ে বসে আছো। এরপরও বলছো কিছু হয়নি?”
“কিসের দে’ব’দা’স? ওই মেয়ের জন্যে আমি দে’ব’দা’স কেনো হতে যাবো?”
“আচ্ছা সরি, কিন্তু ব্যাপার তো একটা আছেই তাইনা?”
“ফারহান, তোর ভাবীকে না আমি বুঝতেই পারিনা। মেয়েটার মাথায় কখন কি চলে ধারণাই করা যায়না”
“আরে সেটাই তো আমি বলছি ভাইয়া, সবটা বলো আমায়। হতে পারে আমি কোনোভাবে সাহায্য করতে পারলাম?”
“তুই কিভাবে সাহায্য করবি? মেয়েদের মনের খবর কি তুই বুঝিস?”
“অন্তত তোমার থেকে ভালো বুঝি আর হ্যাঁ, ভুলে যেও না আমারও গার্লফ্রেন্ড আছে তাই তোমার থেকে মেয়েদের মন আমি অন্তত ভালোই বুঝতে পারবো। আগে বলে তো দেখো”
সমবয়সী হওয়ায় ভাইয়ের সঙ্গে বেশ ভাব ফাহাদের, দুজনেই বেশ ভালো বন্ধু একে অপরের। তাই ফারহানের জো’রা’জু’রি’তে পুরো ঘটনাটাই বললো ফাহাদ। সব জানার পর ফারহানও ভাইয়ের প্রতি বেশ বি’র’ক্ত হলো..
“সি’রি’য়া’স’লি? ভাবীর জায়গায় আমি থাকলেও দুটো ক’ষে দিতাম”
“ফারহান! তুই নিজের বড় ভাইয়ের গা’য়ে হাত তো’লা’র কথা বলছিস?”
“না ভাইয়া, আমি পরিস্থিতি বিবেচনা করে বললাম।
“তুই বলতে চাইছিস ভুল আমার ছিলো?”
“অবশ্যই, ভু’ল তোমারই। তোমার কি দরকার ছিলো ওখানে ভাবীকে নিয়ে যাওয়ার আর নিয়ে গেলেও বা, এরপর এতগুলো কথা বলার কি প্রয়োজন ছিলো? তাইতো ভাবী রে’গে গেছে”
“তাই বলে এরকম বিহেভ করবে?”
“ভাইয়া, তুমি শুধু এটাই ভাবছো কিন্তু ভাবী কেনো এমন করলো সেটা একবারও ভেবে দেখছো না। এখনও যদি না ভাবতে শুরু না করো নাহলে ভবিষ্যতে ভাবীর হাতে আরো কতো চ’ড় থা’প্প’ড় খেতে হবে তা তোমার ধারণার বাইরে”
“ফারহান, তুই আমার ভাই না আলফার? সবসময় ওর সাইড কেনো নিস তুই?”
“আমি কারো পক্ষ নিচ্ছিনা ভাইয়া, শুধু তোমার ভু’ল’টা ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করছি। তাছাড়া তোমাদের..”
“আমি আর কিছু শুনতে চাইনা, তুই যা। কাজ আছে আমার। এখন এসব ফা’ল’তু আলোচনা করে কাজে ব্যা’ঘা’ত ঘটাতে চাইনা”
ফারহান আর কিছু না বলে চলে গেলো, ও যাওয়ার পর ফাহাদ নিজেকে আবারো কাজের মাঝে ব্যস্ত রাখার চেষ্টায় মে’তে উঠলো কিন্তু ফারহানের বলা কথাগুলো মাথায় ঘু’র’ছে ফাহাদের। হুট করেই মনে হলো “ভু’ল’টা কি সত্যিই আমার ছিলো?”
চলবে….