#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১৫)
#ফারহানা_জান্নাত
“বিজয় তুমি! ছি তোমার লজ্জা করে না একটা মেয়ের সরলতার সুযোগ নিচ্ছো। তোমার প্রপোজাল এক্সেপ্ট করে নাই দেখে এসব ছি।”
–আহনাফ’কে দেখে সবাই রুমাইশা’কে রেখে দৌড় দেয়। রুমাইশা ঢলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহনাফ গিয়ে তাড়াতাড়ি কোলে তুলে নেয়। মুখ থেকে বাজে গন্ধ আসছে। আহনাফ নিজেকে শান্ত করার জন্য বলে,
“আহনাফ ভাগ্য ভালো তাড়াতাড়ি চলে আসছিস। না হলে তো আজ কিছু হয়ে যেতো। রুমাইশা’কে তো এরা নেশা করাইছে।”
“আমাকে একটু আদর করবা, জামাই একটু আদর করো। #তোমাতে_আমি_মুগ্ধ জামাই, তোমাকে আর খুব করে চাই। আমাকে একটু আদর করো। নয়তো আমি কিন্তু কান্না করে দিবো।”
“রুমাইশা এসব কি বলছো!”
–আহনাফ হা হয়ে রুমাইশার কথা শোনে। নেশার ঘোরে উল্টা পাল্টা বলা শুরু করছে। শার্ট টেনে খোলার চেষ্টা করছে। বুঝতে পারে বড় কিছু আজ হয়ে যেতো। আহনাফ গাড়িতে উঠে এক হাতে রুমাইশা’কে আগলিয়ে নেয়। আর এক হাতে গাড়ি চালায়। বাসায় ছিড়ে রুমাইশা’কে শুয়ে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। রুমাইশা র জ্বর আসছে নাকি পরিক্ষা করতে গেলে রুমাইশা আহনাফে’র শার্টের কলার জড়িয়ে ধরে।
“আমাকে একটু আদর করবে আহনাফ? আমি তোমার সঙ্গ চাই। একটু আদর করবে প্লিজ।”
“তুমি নেশাক্ত রুমাইশা, কলার ছাড়ো, তোমার জন্য লেবুর সরবত আনছি।”
“না আমাকে আদর করো, নয়তো আমি বাড়ি যাবো।”
“উফ এই মেয়ে দেখি আজ অঘটন ঘটাবে। রুমাইশা আমার শার্ট ছাড়ো।”
–রুমাইশা আহনাফে’র কথায় কান দেয় না। শার্টের সব বোতাম খুলে দেয়, আহনাফে’র বুকে মুখ ঘুষতে থাকে। আহনাফ কেঁপে ওঠে, দূরে সরতে গেলে রুমাইশা গলা জড়িয়ে মিনমিন সুরে বলে,
“আমাকে একটা বাবু দিবে? আমি, তুমি আর আমাদের রুদ্র অনেক খেলবো। আমার এখানে একটু আদর দেও।”
“রু-রু-রুমাইশা ছাড়ো আমাকে। এমন করো না, খা-খা-খারাপ কিছু হয়ে যাবে কিন্তু।”
“তুমি একটু ও ভালো না, আমাকে একটু ও ভালোবাসো না। একটু আদর করলে কি হবে? আদর কি কমে যাবে!”
“কে বলছে ভালোবাসি না! #তোমাতে_আমি_মুগ্ধ প্রিয়তমা। অনেক ভালোবাসি তো বউটা’কে। এবার ছাড়ো, আমার কিন্তু খারাপ লাগছে।”
“একটু ভালোবাসা দেও, তাহলে ছাড়বো। না হলে আমি তোমার মম কে বলবো, তুমি আমাকে বকা দিছো।”
“আরে ভাই তোরা একে নেশা না খাওয়ায় আমাকে খাওয়াতি। এসব এখন কে সহ্য করবে। রক্ষা করো।”
–রুমাইশা আহনাফে’র কাছে গাঁ এলিয়ে দেয়। আহনাফ এবার আর নিজেকে আটকাতে পারে না। রুমাইশা’কে ২য় বারের মতো আপন করে নেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে রুমাইশা নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়। তারপর মুখে হাত দিয়ে চিল্লিয়ে বলে,
“আ-আমার জামা কই”
“তোমার জামা তোমার গায়ে!”
“আমি তো রাতে এগুলো পড়ে ছিলাম না। আমার জামা কে চেঞ্জ করায় দিছে?”
“তোমার বর থাকতে অন্য কেউ চেঞ্জ করাতে আসবে না নিশ্চয়। আমি চেঞ্জ করাই দিছি, যাও গোসল করে নেও।”
“উফ মাথা’টা ঝিনঝিন করছে। আর গোসল করবো কেনো!”
–আহনাফ ভাবে তাকে সত্যি কথাটা না বলায় ভালো। কিছু একটা ভেবে রাগি কন্ঠে বলে,
“রাতে কই হারিয়ে গেছিলা হ্যা? যদি কিছু হয়ে যেতো তাহলে! নেশা পান করছিলা কাল কে, তাই শরীর গন্ধ করছে। গোসল করে নেও, তাহলে ভালো লাগবে।”
“আচ্ছা ওরা আমার সাথে কিছু করে নাই তো!”
–রুমাইয়া কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে। আহনাফ হালকা হেসে বলে,
“না কিছু করতে পারে নাই। আমি তখন কয়েক’টা ছবি তুলছিলাম। পুলিশ’কে দেখায়ছি, বিজয়’কে পুলিশ এরেস্ট করছে। এখন যাও লক্ষি মেয়ের মতো গোসল করে নেও।”
“আচ্ছা”
–রুমাইশা গোসল করে এসে নিচে যায়। মালিহা খান’কে এক হাতে জড়িয়ে নেয়। মহিলা’টা এখন নিজের মেয়ের মতোই তাকে ভালোবাসে। নিজের ভুল বুঝতে পারছে উনি। রুমাইশা সবার সাথে নাস্তা করে আহনাফে’র সাথে ক্লাস করার জন্য বেড়িয়ে যায়। রুমাইশা আহনাফে’র গাঁ ঘেঁষে বসে বলে,
“আহনাফ আমাকে কি একটু ভালোবাসা যায় না? আমি না তোমাতে মুগ্ধ হয়ে পড়ছি। আসতে আসতে তোমার প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি। কেনো আমার থেকে দূরে দূরে থাকো?”
“তোমাতে আমি মুগ্ধ প্রিয়তমা।
তুমি আমাকে ঘায়েল করে দিয়েছো।
তুমি হীনা আমি এখন শূন্য।
একটা সময় ছিলো,
তখন তোমাতে আমি বিরক্ত।
আজ সেই আমি তোমাতে আসক্ত।
তুমি মাদকতা যা আমাকে ঘায়েল করলো।”
–রুমাইশা হা হয়ে আহনাফে’র কথা শোনে। আহনাফ মুচকি হাসে, রুমাইশার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে। রুমাইশা শক্ত করে আহনাফ’কে জড়িয়ে ধরে।
“ইয়ো আমি সাকসেস, আমি আমার ভালোবাসা পেয়ে গেছি। মিস্টার জামাই, মিস্টার ডাক্তার, আহনাফ শাহরিয়া, আমার রুদ্রের বাবা, সব এখন আমার সম্পদ।”
“হয়ছে থামো, এভাবে নড়াচড়া করলে গাড়ি উল্টে যাবে। তা এই রুদ্র কে শুনি!”
“কে আবার! তোমার আর আমার ছেলের নাম রুদ্র রাখবো।”
“বাহ বাহ, বাচ্চার নাম ঠিক করে রাখছো! মেয়েদের এই এক সমস্যা প্রেম করার সময় বাচ্চার নাম ঠিক করে। পরে ব্রেকআপ হলে, বাচ্চাটা বাবা হারা হয়।”
“এভাবে বলছো কেনো! আমি তো বিবাহিত আমি কি বাচ্চার নাম ঠিক করতে পারি না?”
“হ্যা অবশ্যই পারো”
“তুমি আমার ওগো জামাই”
–আহনাফে’র বড্ড হাসি পায়, মেয়ে’টা খুশির ঠেলায় উল্টা পাল্টা বকছে। আহনাফ মনে মনে বলে,
“মেয়েরা অদ্ভুত এক জাত, অল্প ভালোবাসা পেলেই তারা পাগল হয়ে যায়। আর অধিক আঘাতে ও শক্ত থাকতে পারে।”
“আহনাফ আমি বাচ্চা নিবো, এসব পড়াশোনা আমার দ্বারা সম্ভব না। বাচ্চা নিয়ে সংসার করবো, ভালো আইডিয়া না?”
“হ্যা কতো ভালো আইডিয়া সেটা তো বুঝতেই পারছি। নিজে ডাক্তার হবে তার পর বাচ্চা কাচ্চা।”
“হ্যা আর বাচ্চা, এ জন্মে আমার বাচ্চা হবে না৷ জামাই আমার এতো সাধু যে, একই বিছানায় থাকার পর ও তিন মাসে একটা বার কাছে আসে নি।”
“আগে প্রেমে পড়তে চাইছি সে জন্য, এমন করো কেনো!”
“পড়ো পড়ো তুমি প্রেমে পড়ো, আর এই দিকে আমার রুদ্রের পড়াশোনা দেড়ি হচ্ছে সেটা তো বুঝছো না। রুদ্র আমি সরি বাবা তোমার বাবাই তোমাকে চায় না।”
–আহনাফ শাহরিয়া কেশে উঠে। রুমাইশা পেটে হাত দিয়ে হাত বুলিয়ে দেয়, আর কাঁদো কাঁদো গলায় বলে কথাগুলো। আহনাফ এক হাতে রুমাইশা’কে নিজের কাছে টেনে কপালে কিস করে বলে,
“পড়াশোনা করবা নাকি বাচ্চা সামলাবে? ডাঃ পড়াশোনা এতো সহজ না। তোমাকে কোন গাঁধায় মার্ক দিয়ে চান্স পাওয়াইছে!”
“তাহলে আমার রুদ্র কি পড়াশোনা করবে না! আমার রুদ্র বিয়ে করতে করতে আমি তো বুড়ি হয়ে যাবো। আমার রুদ্র আসতে আসতে আমার বয়েস ৩০ হবে, আর তোমার ৪০! বুড়ো হয়ে বাচ্চা নিবা?”
“উফ এসব কি যুক্তি দিচ্ছো! থামো তো। একটা উপায় আছে”
“কিহ!!”
“বাচ্চা নিতে চাইলে, মেডিকেল পড়তে পারবা না। এখন বাকিটা তোমার ইচ্ছে।”
“আমি রাজি, আমি বাচ্চা নিবো। পড়াশোনা করে কি হবে?”
–আহনাফ বিরক্ত হয়, সে ভাবছে রুমাইশা পড়াশোনা করতে চাইবে। কিন্তু এই মাথায় তো বাচ্চার ভূত ঢুকছে। আহনাফ রেগে বিরবির করে,
“ভালোবাসি এটা বলায় আমার ভুল হয়ছে, একটু তেই এখন লায় পেয়ে মাথায় চড়ে থাকবে। এসব সহ্য করার ক্ষমতা আমার নাই।”
“আহনাফ তুমি কি বিরবির করে আমাকে বকছো?”
–আহনাফ গাড়ি থামিয়ে দেয়। গাড়ি থেকে বের হয়ে যায়, রুমাইশা কপাল কুঁচকে বলে,
“এতো টুকতে এমন বিরক্ত হলে চলবে না আহনাফ শাহরিয়া। আমি যে কষ্ট পাইছি, তা তোমাকে বিরক্ত করে শোধ উঠাবো। রুমাইশা চৌধুরী নিরবে আঘাত করতে পারে।”
“ক্লাসে যাবা নাকি গাড়িতে বসে থাকবা কোনটা! যদি থাকো তো গাড়িটা সাইট করে রাখো। এভাবে রাস্তার মাঝখানে রাখছো কেনো?”
“তুমি তো রেগে চলে গেলা, তো আসছো কেনো! যাও না যাও। আমার সাথে গেলে তো কোনো মেয়ে তাকাবে না।”
“নামো গাড়ি থেকে।”
–আহনাফ একটা ধমক দেয়। রুমাইশা সুড় সুড় করে গাড়িটা পার্কিং এড়িয়াতে রেখে আহনাফে’র সাথে পা মেলায়।
“আহনাফ তুমি আর আমি যখন হাঁটছি তখন কিছু মিসিং তাইনা?”
“এখানে নাম ধরার ডাকার দরকার নাই। স্যার হই স্যার বলবা, তাও যদি একটু সন্মান পাই।”
“এমন চেইতা যাও কিল্লায়? তোমার দাদী কি বলছিলো জানো! আমার বাচ্চা..”
“হসপিটাল থেকে গোটা ২০শে’ক এনে দিবো। এখন চুপচাপ ক্লাসে যাও।”
“শা’লা তোর বিয়া হবে না যা।”
–আহনাফ পা চলা থেকে দেয়। মুখের চোয়াল শক্ত করে রুমাইশার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। মেয়েটাকে যখন ভালোবাসি বলছে, তার পড় থেকেই একটু বেশি করছে। আহনাফ কপালে দুই আঙ্গুল ডলে বলে,
“আজকে শা”লা বলছে, জানি না আমার বাচ্চা’রা আমাকে না মামা বলে বসে। বাপ আমার তোরা যাই জন্ম নেশ, মায়ের মতো যেনো না হ’স।”
–ক্লাসের সময় হয়ে যায়, আহনাফ ক্লাস নিতে যায়। ক্লাস চলা কালিন রুমাইশা মুখো ভুঙ্গি দ্বারা আহনাফ কে জালিয়ে মারছে।
“আহনাফ, তুমি কি কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখছো! রাতের আঁধারে তারা গুলো কিন্তু একা থাকে না। সবাই সঙ্গী নিয়ে চলে, শুধু আমি একা”
–আহনাফ ঘরির দিকে তাকায়, সময় ৩:০৫ বাজে। দুপুর হয়ছে, আহনাফ হসপিটালের করিডোরে দাঁড়িয়ে ছিলো। তখন পিছন থেকে রুমাইশা আহনাফে’র উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে। আহনাফ একবার পিছনে তাকিয়ে আবারো সামনে চোখ দেয়। ঐ ভাবেই বলে,
“হসপিটালে কি করছো!”
“বাসায় যাবা না! হসপিটালে কি তোমার আর কোনো কাজ আছে?”
“তুমি বাসায় যাও, আজকে ৪টার সময় একটা মিটিং বসবে। আমাদের কয়েকজন ডাক্তারের জন্য ইম্পর্ট্যান্ট। বাসায় যেতে আজ রাত হবে, রাত ৮টায় একটা অপারেশন আছে।”
“ইশ হাড় ভাঙ্গার ডাক্তার, আমার হ্নদয় ভেঙ্গে দিলেন। ভাবলাম আজ আপনার সাথে ঘুরবো।”
“তোমার মুখে আপনি মানায়”
“হুহ”
“বাসায় যাও এখানে থাকার দরকার নেই। আর প্রতি দিনের মতো আমার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো, আমার কিন্তু রাত ১১টা বাজবে বাসায় যেতে।”
“আচ্ছা সাবধানে আসবেন।”
[রাত ১১:৪০]
“এতোক্ষণে তোমার আসার সময় হলো! তাও এসেই এমন ব্যাগ পত্র গোছাতে লাগছো কেনো!”
–আহনাফ মাত্র বাসায় এসে তড়িঘড়ি করে নিজের জামা কাপড় গোছাতে শুরু করছে। দুপুরে ঘুমানোর জন্য রুমাইশা রাতে জেগেই ছিলো। পড়তে বসছিলো, আহনাফ সেই দিকে খেয়াল না করেই নিজের কাজ করে।
“আহনাফ কথা বলছো না কেনো! এমন তাড়াহুরা করছো কেনো, কই যাবে?”
“কাল দেশের বাহিরে যাচ্ছি। আমরা তিনজন ডাক্তার ১ মাসের জন্য বাহিরে যাওয়ার সুযোগ পাইছি। স্পেশাল ট্রেনিং পাবো আমরা।”
“যেতে হবে না প্লিজ, তোমাকে ছাড়া কিভাবে থাকবো!”
–রুমাইশা আহনাফে’র শার্টের হাতা ধরে টান দেয়। আহনাফ নিজের হাত ছেড়ে নিয়ে রুমাইশা’কে বিছানায় বসায়। তারপর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কিছু বলবে তার আগেই রুমাইশা হাতটা ঝাটকা মেরে ফেলে দিয়ে বলে,
“এই আমাকে কি ছোট বাচ্চা পাইছো! আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেও কেনো? তুমি কোথাও যাবে না মানে যাবে না। এই তিন মাস তোমার সাথে থেকে অভ্যেস হয়ছে।”
“পাগলামি করো না, আমি এতো বড় সুযোগ হাত ছাড়া করতে পারবো না। এসে অনেক ভালোবাসা দিবো। প্লিজ বাঁধা দিও না, এখন যেতে হবে।”
“এতো রাতে!?”
“হুম”
–রুমাইশা আহনাফে’র গলা জড়িয়ে কান্না করে দেয়। আহনাফ ভেবাচেকা খেয়ে যায়, মেয়েটা হুটহাট কি করে বুঝতে পারে না। আহনাফ নিজে ও জড়িয়ে নিয়ে বলে,
“হয়ছে এবার শান্ত মেয়ের মতো ঘুমাও। পৌঁছে ফোন দিবো, আর ওখানে যাওয়ার পর বেশি কথা হবে না। কারণ সারা দিন কাজেই ব্যাস্ত থাকবো।”
“তুমি আমাকে ভুলে যাবা না তো?”
“তোমাদের মেয়েদের এই এক সমস্যা, সব সময় বেশি বোঝো দু লাইন। বা”ল যাবোই না যাও, সারাদিন কোলে নিয়ে বসে থাকবো।”
“তুমি রাগ করছো কেনো?”
–আহনাফ এবার সত্যি প্রচুর রেগে যায়। রুমাইশাকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
[২ মাস পর]
“তুমি প্রেগন্যান্ট রুমাইশা”
চলবে?………