#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (১৪)
#ফারহানা_জান্নাত
“আমার সাথে বাসায় চলো, জামাই থাকতে অন্য ছেলের সাথে লেপ্টে থাকতে লজ্জা করে না! বিজয় তুমি আসতে পারো। রুমাইশা আমার ওয়াইফ, তুমি নিশ্চয় অন্যের বউয়ের উপর নজর দিবে না।”
–বিজয় কিছু বলবে তার আগেই আহনাফ কোথা থেকে উদয় হয়। আর এসেই রুমাইশার হাত ধরে টানতে টানতে কথাটা শুনিয়ে দেয় বিজয়’কে। সবাই যেনো হা হয়ে যায়, আহনাফের ওয়াইফ রুমাইশা!?
“কি সমস্যা এই ভাবে হাত টানাটানি করছেন কেনো? পাগল হয়ছেন নাকি! নিজে’তো আমাকে মানবেন না। আর কেউ ভালোবাসলে ও বাঁধা দিবেন।”
“হাত ঝারা দিয়ে লাভ নাই, আমার থেকে নিজেকে ছেড়ে নেওয়া এতোটা সহজ না। তাই চুপচাপ আমার সাথে চলো। আর রাকিবা তুমি বাসায় যাও, রুমাইশা আজ থেকে আমার কাছে থাকবে।”
“হচ্ছে টা কি আমাকে বলবেন? আপনি হঠাৎ এমন ব্যাবহার করছেন কেনো। আমি কি কিছু করছি? প্লিজ এমন করবেন না।”
“আমি কি তোমাকে খেয়ে ফেলছি! তুমি আমার ওয়াইফ। আর আজ থেকে নিজের জামাইয়ের বাসায় থাকবা। তুমি কি আমার সাথে সংসার করতে চাও না?”
“চাইবো না কেনো! আমি তো আপনাকে ভালোবাসি ডাক্তার। কিন্তু আপনি তো বিবাহিত, আমি সতীনের সংসার করবো না।”
“আমার একটাই বউ, আর সেটা তুমি। মুন্নির সাথে আমার বিয়ে হয়নি, মুন্নি তিন বছর আগে মারা গেছে।”
–রুমাইশা আহনাফে’র হাত ছেড়ে দেয়, থমকে দাঁড়িয়ে যায়। মুন্নি আপু আর বেঁচে নাই, এটা যেনো তার বিশ্বাস হচ্ছে না। আহনাফ জোর করে গাড়িতে উঠায়। বেশ কিছুক্ষণ পর নিজ বাসার সামনে এসে গাড়ি দাঁড় করায়।
“আহনাফ আপনি হয়তো জানেন না, আপনার মা আমাকে বউ’মা হিসাবে কখনো মানবে না। আর সে জন্য আমি আপনার থেকে আজ আলাদা। প্লিজ আমি চাইনা আমার জন্য আপনাদের সংসারে অশান্তি হোক।”
“রাহুল আমাকে সব বলছে, আমি মনে করি এখানে আমার মমের দোষ বেশি ছিলো। বাকিটা আমি সামলে নিবো, তুমি চুপচাপ আমার সাথে বাড়িতে আসো।”
“আহনাফ বুঝার চেষ্টা করুন, আমি যাবো না আপনার সাথে।”
–আহনাফ রুমাইশার হাত ধরে টেনে বাড়িতে প্রবেশ করে। ড্রইং রুমে, মা-বাবা, চাচা-চাচি বোন, কাজিন সবাই বসে ছিলো। আহনাফ রুমাইশা’কে টেনে ওদের সামনে দাঁড় করায়। তারপর কিছু’টা চিল্লিয়ে বলে,
“বউমা চাই তোমাদের তাই না? এই যে তোমাদের বউমা। আশা করি আর বিয়ের কথা বলবা না কেও। আর চাচি তোমার মেয়ে’কে ভালো ছেলে দেখে বিয়ে দিও। আমি বিবাহিত তাই আমার থেকে ওকে দূরে রাখো। আমি বিয়ে না করলে দুনিয়া উল্টে যাবে, নেও তোমাদের বউমা। এখন ওকে ধুয়ে ধুয়ে পানি খাও।”
“মানে! বিয়ে করবে না, বাসা থেকে চাপ দিচ্ছে। আর সে জন্য আমাকে বলির পাঠা বানালো? আজব একা একা রুমে যায়।”
“এই মেয়ে এই দিক আয় দেখি, আমার নাতিটা’রে তো ভুলিয়ে ভালিয়ে বিয়ে করলি। এখন একখান বাচ্চা নিয়া সংসার কর দেখি। নাতির ঘরে পুতি দেখে মরতে চাই।”
–বুড়ির কথায় রুমাইশা কেশে উঠে। বাড়িতে পা রাখতে না রাখতে এই বুড়ি বলে কি। গ্রামের মানুষের একটায় সমস্যা, বিয়ে করছো মানে বাচ্চা নেও। রুমাইশা মুখ শক্ত করে মহিলাটার পাশে বসে। উনি পান চিবাতে চিবাতে বলে,
“বাহ সুন্দর আছিস দেখি, মালিহা তোর পোলার দেখি পছন্দ আছে। ভাড়ি সুন্দর মাইয়া’ডা, তা তোর নাম কি মেয়ে?”
“রুমাইশা, আপনি কে?”
“হ আমারে তো চিনবার পারবু না, আমি হলাম তোর নগরের দাদী বুঝলি। আয় দেহি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।”
–আহনাফের দাদী সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। সবার সামনে মালিহা খান রুমাইশা’কে কিছু বলতে পারে না। আর এইদিকে আহনাফে’র দাদীর বকর বকর শুনে রুমাইশার কান পঁচে যাচ্ছে।
“এই বুড়ি এতো কথা বলে কেমনে আল্লাহ জানে। বয়েস হয়ছে, দাঁত পড়ছে, কিন্তু মুখ চলে ভালোই।”
“এই মাইয়া কি কইলি? আমি বেশি কথা বলি তাই না?”
“আরে বুবুজান না, আমি বললাম আপনি অনেক ভালো। আমার দাদা শশুর আপনাকে কোন সিন্দুক থেকে বের করছে সেটা ভাবছি। ইশ দাদী জান আপনি এতো সুন্দর কেনো?”
“হ্যা হ্যা তোর দাদা শশুর আমারে এই ভাবে বলে। বুইড়া’ডা সেই যে আমারে ছেড়ে গেলো। তোগো পোলা মাইয়া না দেইখা আমি মরুম না”
“হ যে জামাই আমার, বাচ্চা দূরে থাক। সে আমারে কাছে ঘেঁষতে দিবে কিনা সন্দেহ।”
–রুমাইশা বিরবির করে কথাটা বলে। সবাই এটা সেটা বলে নিজ বাসায় যায়। রাতের গাড়িতেই গ্রামে ফিরছে সবাই। দাদী যাওয়ার আগে বলে যায়,
“শোন মাইয়া, জামাই’রে আঁচলে বেঁধে রাখবি। দেখবি বাচ্চা হওনের পর এমনি ঢলে পড়তে তোর কাছে। তাই পোলা মাইয়া নে, আমি যেনো মাস না ফিরতেই শুনি তুই পোয়াতি হয়ছিস।”
–সবাই যাওয়া মাত্র রুমাইশা লুকিয়ে আহনাফে’র ঘরে চলে যায়। নয়তো তার দজ্জাল শাশুড়ী ঝাঁপিয়ে পড়বে। রুমাইশা রুমে এসে দেখে আহনাফ নাই। হয়তো ওয়াশরুমে, ঘরে হাঁটছে আর বিরবির করছে।
“আরে ভাই আমারে এই ভাবে আনার কি আছে? একটু সুন্দর করে বললেই হতো, বউ চলো জামাই বাড়ি যাবে। কিন্তু না এই পোলা আমাকে এনে জমের দুয়ারে ছেড়ে দিলো।”
“বিরবির না করে, শাড়ি চেঞ্জ করে নিচে চলো খাওয়া দাওয়া করবা। বাকি কথা আমি পড়ে তোমাকে বলবো।”
“এগুলো চেঞ্জ করে আপনার মাথা পড়ে থাকবো নাকি? আমাকে আগে বললেই জামা নিয়ে আসতাম। এভাবে এখানে আনার মানে কি?”
“তোমার এসব অসভ্য কথা শোনার ইচ্ছে আমার নাই। ছোট্ট বাচ্চা না, ভদ্র ভাবে কথা বলবা আমার সাথে। খেতে চলো।”
“আরে শাড়ি পড়েই যাবো নাকি?”
“তো কি পড়বা?”
–আহনাফ রুমাইশা’কে নিয়ে নিচে খাবার জন্য যায়। আহনাফ রেগে আছে দেখে তার মা-বাবা কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। আহনাফ যানে তার মা রুমাইশা’কে মেনে নিবে না। সে জন্য খাওয়া দাওয়া শেষে রায়হান চৌধুরীর ব্যাপারে সব বলে দেয়। নয়তো সারা জীবন রাগ পুশে রাখবে মনে। মালিহা খান এবার কিছু’টা নরম হয়। সবাই মিলে গল্প করে ১১টার সময় ঘুমাতে যায়।
রুমে,
“রুমাইশা তোমাকে সোজা সাপটা কথা বলে দেই। আজকে আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য সব ঠিক করছিলো। চাচাতো বোন, ল’ নিয়ে পড়ছে সে, ওর সাথে আজ বিয়েটা হয়ে যেতো। সে জন্য তোমাকে নিয়ে আশা।”
“মানে! বিয়ে হয়নি এখন কি আমাকে রেখে আসবেন? আমাকে কি খেলনা ভাবছেন! এই কিনবেন, এই ছুঁড়ে ফেলবেন।”
“এবার ও বলছি নাকি? দেখো আগে যা করছি সব নাটক ছিলো।”
“নাটক বাজ, লজ্জা করে না একটা মেয়ের মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে। এখন আবার বলছেন আমাকে নিয়ে আসছেন বিয়ে আটকানোর জন্য।”
–আহনাফে’র কলার চেপে ধরে রুমাইশা। তাকে দেখে যে কেউ বলবে, মেয়েটা রেগে আছে মারাত্মক। রুমাইশার হাত থেকে নিজের কলার ছেড়ে নেয় আহনাফ। তারপর ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে বলে,
“তোমাকে ডিভোর্স দিচ্ছি না, আমার বাসায় আজ থেকে থাকবা সমস্যা নাই। কিন্তু রুমের মধ্যে কোনো স্বামী স্ত্রী হিসাবে কিছু হবে না। যদি তোমার কিছুর”
“আমার কিছুর প্রয়োজন হলে বাহিরের ছেলের কাছে যাবো তাই তো? ওকে মিস্টার আহনাফ শাহরিয়া। আপনার সন্মান কিভাবে শেষ করতে হয় করবো। প্রথম বার যখন বিয়ে করে নিজের কাছে রাখছিলেন, তখন আমি বলি নাই যে আমাকে কিস করেন ব্লা ব্লা… আমি না চাইতে ভালোবাসার চেষ্টা করছেন। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এসব কে করতে বলছিলো?”
“বেশি কথা বলা পছন্দ করি না আমি। বিছানায় গিয়ে ঘুমাও। সকালে তোমার ক্লাস আছে”
“মুন্নি নেই বলে আমাকে ব্যাবহার করছেন?”
–আহনাফ এবার রুমাইশার গালে একটা চড় বসায় দেয়। মেয়েটা একটু বেশি কথা বলছে, যা সে সহ্য করতে পারছে না। রাহুলের কাছে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয়, রুমাইশা আজ থেকে এখানে থাকবে। রাকিবা মেয়েটাকে হোসটেলে রেখে দিয়ে, যা আসে সব বাসায় নিয়ে যেতে বলে।
“ঘুমাবে নাকি বেলকনি থেকে নিচে ফেলায় দিবো?”
“ফেলায় দেন, অনন্ত আপনার মতো বেইমানের সাথে আমার থাকতে হবে না। গিরগিটির মতো রং বদলান আপনি।”
“রুমাইশা বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। আমি একটা ছেলে মানুষ, এক বেডে থাকলে এমনি একদিন মেনে নিবো। আর তুমি আমাকে অপমান করছো।”
“মিস্টার আহনাফ শাহরিয়া আপনি আপনাকে যোগ্য, আপনি..”
“অধিকার চাই তাই তো নাকি? ওকে ফাইন ওয়েট।”
–আহনাফ দরজা লাগিয়ে দিয়ে এসে রুমাইশা’কে বেডে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। রুমাইশার হাত শক্ত করে চাপ দিয়ে ধরে। রুমাইশা ছাড়ানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হলে আহনাফে’র গলায় জোরে কামড় বসায় দেয়। এতে আহনাফে’র কোনো নড়চড় হলো না। সে নিজ কাজে ব্যাস্হ… সকাল ৮টা থেকে ক্লাস, এখন ৭টা বাজে। রুমাইশা মরার মতো এখনো ঘুমাচ্ছে। যা আহনাফে’র পছন্দ হয়’না, রুমাইশার হাত ধরে টেনে বসিয়ে দেয়। চাদর ওর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে বলে,
“গোসল করে নেও, আমার বাসায় থাকতে হলে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। রেডি হও ক্লাসে যাবে, তোমার বাসা থেকে জামা কাপড় সব আনা হয়ছে। গাড়ি আছে, নিজে ক্লাসে চলে যাবা।”
“তোকে তো আমি।”
“হুস, আমি তোমার জামাই না শুধু, একজন টিচার, সিনিয়র। তাই তুই ভাষা ভুলে ও ব্যাবহার করবা না। যাও উঠো
–রুমাইশা রাগ নিয়ে উঠতে গেলে পড়ে যেতে লাগে। আহনাফ ধরে ফেলে, শরীরে হাত পড়তেই বুঝতে পারে, জ্বর বাঁধিয়ে ফেলছে। রাতে তো কম অত্যাচার করে নাই। কিছু না বলে ওয়াশরুমের কাছে এগিয়ে দেয়।
“শা”লা জামাই নামের কলঙ্ক, আমার এতো সুন্দর শরীর আঁচড় দিয়ে শেষ করছে। বউ পাবি না দেখে নেশ, আমার মতো মেয়ে দেখে এখনো এখানে আছি।”
“আমাকে বকাবকি শেষ হলে বের হও। ঔষধ খেয়ে নেও, আমি হসপিটালে যাবো। আজকে তোমার যাওয়ার দরকার নাই।”
“আরে এ কোথায় এসে পড়লাম আমি, শান্তি মতো দেখি বকাবকি করা যাবে না। ঐ শুনছেন! আমি থাকবো না, আপনার মা যদি আমাকে কিছু বলে।”
“ওয়াশরুম থেকে বের হও, সময় যাচ্ছে কিন্তু।”
–রুমাইশা মুখ ভেঙ্গচি দিয়ে ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে আসে। চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে এখনো। আহনাফ সেইদিন এক পলক দেখে চোখ ফিরিয়ে নেয়। বিরবির করে বলে,
“এই সেই মেয়ে, যাকে তার ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করছিলাম। এখন ১৮ পেরিয়েছে, হুট হাট কেমন যেনো মনে হয়। #তোমাতে_আমি_মুগ্ধ মুগ্ধ হয়ে পড়ছি প্রিয়তমা। কিন্তু এটা কি আমার সাথে মানায়?”
“শোনো তোমাকে আপনি আর বলতে পারবো না। নিয়ে আসছো সুন্দর মতো ব্যাবহার করবে। স্ত্রী হই সেই মর্যাদা রক্ষা করবা কেমন!?”
“ক্লাসে যেতে চাচ্ছো কি?”
“হ্যা, আচ্ছা একটা কথা বলবে”
“কি!”
“তুমি কি আমাকে কখনো স্ত্রী হিসাবে মেনে নিবা না? আমাকে কি একটু ভালোবাসা দিবে না!”
“দিবো না কেনো! বউ তুমি আমার। ফেলনা না, তাই এসব কথা মুখে আনতে হবে না। এখন তুমি কি চাচ্ছো সেটা বলো। আমার সাথে থাকবা নাকি?”
“এখানেই থাকবো, এ্যা জামাই থাকতে একা একা থাকতে যাবো কেনো?”
“আচ্ছা নিচে চলো।”
–আহনাফ শাহরিয়া আর কিছু বললো না। নিচে গিয়ে দু’জন খেয়ে নেয়। রুমাইশা দেখলো তার শাশুড়ী মা ভালো ব্যাবহার করছে। হয়তো মহিলা’টা ভালো হয়ে গেছে, ছেলের থেকে বুঝ পেয়ে। সময় চলমান, প্রায় ৩টা মাস কেটে গেছে। আহনাফ এখন রুমাইশার থেকে নিজেকে দূরে রাখছে। সে চায় আগে মেয়েটার প্রেমে পড়বে তার পর এক হবে। “#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ” যেদিন বলতে পারবে ঠিক সেই দিন ভালোবেসে কাছ টানবে। রাত ১০ টা বাজে, রুমাইশা রাকিবার সাথে দেখা করতে গেছিলো। কিন্তু এখনো বাসায় ফিরে নাই, এই দিকে রুমাইশার ফোন বন্ধ পাচ্ছে। আহনাফ চিন্তিত হয়ে বিরবির করে,
“এতো রাতে মেয়েটা কই আছে কিভাবে খোঁজবো! তার উপর এই ঝর তুফান। উফ বুঝছি না কি করবো এখন। যাই যে রাস্তা দিয়ে আসবে সেই রাস্তায় আমি এগিয়ে যাই। আজকে মেয়ে’টা গাড়ি ও নিয়ে যায় নি।”
–আহনাফ শাহরিয়া গাড়ি নিয়ে রুমাইশা’কে খুঁজতে বের হয়। রাকিবার থেকে শুনছে, প্রায় ৪০ মিনিট আগে রুমাইশা মেস থেকে বের হয়ছে। কিন্তু আহনাফে’র বাসায় আসতে সময় লাগে ৩০ মিনিট। সে জন্য বেশি ভয় পেয়ে যায়। প্রায় ২০ মিনিটের রাস্তা যাওয়ার পর চমকে উঠে। রুমাইশা’কে কয়টা ছেলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আহনাফ কাছে গিয়ে চিল্লিয়ে বলে,
চলবে?……………