#তোমাতে_আমি_মুগ্ধ (২)
#ফারহানা_জান্নাত
“রুমাইশা তুই তো বাচ্চা মেয়ে না, তাহলে তুই আহনাফে’র সাথে এমন ব্যাবহার করছিস কেনো? তুই নাকি নিজের হাতে তুলে খাস না। আবার তোকে বিক্রি করবে এসব কি হ্যা? আর তোদের বিয়ে হলো হঠাৎ কিভাবে কি! আমি এক্সিডেন্ট করলাম আর এতো কিছু ঘটলো কিভাবে।”
–রুমাইশা ভয়ে ভয়ে রাহুলের থেকে দূরে সরে যায়। আসলেই সে তো বাচ্চা না কিন্তু বাচ্চামি কেনো করছে সেটা তো আর ভাইয়া’কে বলতে পারবে না। তাও হালকা ভাবে বলে,
“না ভাইয়া এমনি থেকে মজা করছিলাম। তুমি অসুস্থ আমার ভালো লাগছে না। সে জন্য আহনাফ ভাইয়া’কে একটু বিরক্ত করছিলাম। দেখছিলাম আহনাফ ভাইয়া আমাকে কিভাবে সামলায়।”
“আচ্ছা সেটা বুঝলাম, তাই বলে তোকে বিক্রি করার কথা বলবি কেনো! ও তো ভাবছে তুই পাগল হয়ছিস। কয়মাস পর এসএসসি দিবি, তোর মুখে এসব শুনলে তো মানুষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভাববে।”
“সরি ভাইয়া, আমি ইচ্ছে করেই এমন করছি। আহনাফ ভাইয়ার তো জিএফ আছে, আমার এমন পাগলামি দেখলে নিশ্চয় ছেড়ে দিবে আমাকে। আর সেই জন্য এমন করা। আহনাফ ভাইয়া নাকি এসব বাচ্চামি, নেকামি পছন্দ করে না। আমি সেটাই কাজে লাগিয়েছি।”
–রাহুল চমকে উঠে, রুমাইশা কিভাবে জানলো আহনাফে’র রিলেশনশিপ এর ব্যাপারটা? আর এবার সে বুঝলো কেনো আহনাফে’র সাথে এমন বাচ্চামি, পাগলের মতো আচরণ করছে। রুমাইশা মোটে ও বাচ্চা না, সে বিয়ে সম্পর্কে খুব ভালো করেই বোঝে। এসএসসি দিবে এতে না বোঝার কি আছে? আর খাবার! সে তো মাসে একটা বার কারো হাতে খেতে পারে না। নিজেকেই তুলে খেতে হয়। রাহুল রুমাইশার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে বলে,
“আচ্ছা এটা নিয়ে পড়ে কথা বলছি, কিডনাপ করবে এটা বুঝলাম। কিন্তু ভাত তুলে খাওয়ার ব্যাপার টা?”
“তুই তো আমাকে বলছিলি, আহনাফ ভাইয়া নাকি কখনো কাউকে উঠিয়ে খাওয়াবে না। আমার সাথে চেলেন্জ করছিলি। আর সেটা সুযোগ পেয়ে কাজে লাগিয়েছি। এখন বাজি অনুযায়ী আমাকে ১০ হাজার টাকা দে।”
“হায়’রে কপাল, এখানে তোর ভাই মরতিছে। আর তুই পাগলের মতো আহনাফে’র সাথে মজা করছিস? তোরে যে দুইটা চড় বসিয়ে দেয় নি এটা অনেক ভালো। এখন এটা বল হঠাৎ বিয়ে কিভাবে হলো। আর মা-বাবা বা কোথায়?”
[ফ্লাসব্যাক]
–রাহুল সকালে একটা ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তখন ভোর ৫টা, প্রায় ১ ঘন্টা পর খবর আসে রাহুল এক্সিডেন্ট করছে। আর তখনি বাসায় শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। রাহুলের মা রুমাইশা’কে ঘুম থেকে টেনে তুলে চিল্লিয়ে বলে,
“তোর ভাই’টা তো মরছে তুই মরতে পারিস না? এই বাড়িতে পড়ে থাকতে তোদের লজ্জা করে না! তোরা দু’ভাই বোন এমন নির্লজ্জ কেনো। যা আজকেই তোকে বিয়ে দিয়ে আমি বিদায় করবো। এই যে শাড়ি রেডি হয়ে নে।”
“মানে”
–রুমাইশা জোরে চিল্লিয়ে উঠে, তার ভাইয়া মারা গেছে? রুমাইশা বিছানা থেকে উঠে ভাইয়ার খোঁজে দৌড় দিবে, তখন তার কাজিন বোন’রা এসে টেনে ধরে ওকে। রাহুলের মা রুমাইশা’কে ঝাড়ি মেরে বলে,
“এখান থেকে এক পা ও নড়াবি না। তাড়াতাড়ি গিয়ে রেডি হ। নয়তো ভাইয়ের লাশ’টা ও দেখতে পারবি না। তোর বাপে তো আধ পাগল হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। এখন তোকে এই বাড়ি থেকে বিদায় করলেই বাঁচি। এসব টাকা পয়সা আমি তোদের ভোগ করতে দিবো না।”
“মা, আমি ভাইয়ার কাছে যাবো। আমি বিয়ে করবো না, আমাকে যেতে দেও প্লিজ, মা আমাকে যেতে দেও। ভাইয়া আমি তোমার কাছে যাবো, কই তুমি? আমাকে নিয়ে যাও।”
–রুমাইশা মুখে হাত দিয়ে কেঁদে যাচ্ছে। কিন্তু তার কথা কেউ শোনছে না। এইদিকে রাহুল জ্ঞান হারার আগে আধো আধো সুরে আহনাফ’কে বলে,
“আহনাফ তু-তুই আমার বোনটা’কে নিয়ে আয়। আমি মরে গেলে ওকে মা বাঁচতে দিবে না। ওকে জীবিত অবস্থায় বাঁচতে দিবে না, শান্তি’তে ওকে থাকতে দিবে না আহনাফ।”
“রাহুল কি বলিস এসব, তোর কিছু হবে না। আমি তো আছি, রাহুল কথা বল…”
–রাহুল আহনাফে’র কোলে ঢলে পড়ে। আহনাফ রাহুল’কে হসপিটালে ভর্তি করায় দিয়ে রুমাইশা দের বাসায় যায়। গিয়ে দেখে রুমাইশা’কে বউ সাজিয়ে বিয়ে পড়ার কাজ শুরো করতে যাচ্ছে। রুমাইশা আগে থেকেই আহনাফ কে চিনতো। সে জন্য দৌড়ে এসে আহনাফে’র বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে, কাঁদতে কাঁদতে বলে,
“আহনাফ ভাইয়া আমি রাহুল ভাইয়ার কাছে যাবো। মা বলছে রাহুল ভাইয়া নাকি মারা গেছে। আমাকে রাহুল ভাইয়ার কাছে নিয়ে যাও প্লিজ।”
“রুমাইশা কান্না বন্ধ কর, রাহুল ঠিক আছে চিন্তা করিস না। ছোট খাটো একটা এক্সিডেন্ট করছে ও। আর এসব কি! তোর ভাইয়া হসপিটালে ভর্তি আর এখানে তুই বিয়ে করতে বসছিস!?”
“না ভাইয়া আমাকে জোর করে ঐ ছেলেটার সাথে বিয়ে দিচ্ছে। যাতে আমার সব সম্পত্তি মা নিতে পারে। আর মা বলছে আমার রাহুল ভাইয়া নাকি মারা গেছে। আমাকে ভাইয়ার কাছে নিয়ে যাও প্লিজ।”
“এখানে এসব কি হচ্ছে? লজ্জা করে না ১৫ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে দিতে। আপনাদের তো টাকা পয়সার অভাব নাই তাহলে? এখানে কোনো বিয়ে হবে না সবাই চলে যান।”
“এই ছেলে তোমার সাহস হয় কি করে? আমার বাড়িতে এসে আমার সামনে আমার মেয়ে’কে নিয়ে কথা বলছো বেড়িয়ে যাও। আমার মেয়ে আমি যে কোনো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি। এখনি এই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাও।”
–আহনাফ চিৎকার দিয়ে উঠে। রাহুলের মা পারভিন চৌধুরী চোখ মুখ শক্ত করে তার ছেলের দিকে তাকায়। বুঝাতে চাচ্ছে এখনি এই ছেলেটাকে বাড়ি থেকে যেনো লাথি মেরে বের করে। আহনাফ হালকা চিৎকার দিয়ে বলে,
“মা কিসের মা? সৎ মা আপনি ওদের। সে জন্য তো এই টুকু মেয়ে’কে বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লাগছেন। রুমাইশা চল এখান থেকে, এই বাড়ি’তে থাকতে হবে না তোর।”
“এই ছেলে তোমার সাহস দেখে তো বাঁচি না। যদি রাহুলের মতো মরতে না চাও, তাহলে রুমাইশা’কে রেখে এখান থেকে কেটে পড়ো।”
“ওহ এবার বুঝলাম আপনি এসব প্লেন করে রাহুল’কে খুন করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আল্লাহ রহমতে রাহুল বেঁচে আছে।”
“মুখ সামলে কথা বলো। আর রুমাইশা এ তোর নাগর নাকি? সে জন্য তোর হয়ে এতো সাফায় করতে আসছে। এই বাড়ি থেকে বিয়ের আগে এক পা ও নড়াতে পারবি না। আজকেই তোকে বিয়ে দিবো, আর তারপর সারাজীবনের জন্য এই বাড়ি থেকে বিদায় করবো।”
“ওকে তাহলে তাই হবে। কাজি সাহেব বিয়ে পড়ান, কিন্তু বিয়েটা ঐ ছেলের সাথে না আমার সাথে হবে।”
–৫মিনিটের মধ্যে ৪-৫ জন ছেলে আসে। সবাইকে তারা ভয় দেখিয়ে আহনাফ আর রুমাইশার বিয়েটা করিয়ে দেয়। আহনাফ পারভিন চৌধুরীর সামনে দাড়িয়ে রাগী কন্ঠে বলে,
“এবার তো যেতে পারি? তবে মনে রাখবেন, এই বাড়িতে আবার যেদিন পা রাখবো। সেইদিন আপনার এই বাড়িতে থাকার শেষ দিন হবে। এই তোরা রুমাইশার রুম থেকে ওর বইখাতা যা আছে সব নিয়ে আয়। রুমাইশা আমার সাথে চলো।”
–রুমাইশার মাথার উপর দিয়ে যেনো সব কিছু গেলো। আহনাফ রুমাইশা’কে নিয়ে প্রথমে হসপিটালে যায়, তারপর কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে বাসায় যায়। কিন্তু তারপর হয় আরেক ঝামালা।
[বর্তমান]
“তারপর? আর এসবের মানে কি! আমাকে তাহলে ইচ্ছে করে খুন করতে চাইছে। ভাগ্যের জোরে বেঁচি গেছি। বাট তুই তো চাইলে বিয়েতে না করে এমনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে পারতিস। কিন্তু বিয়ে করলি কেনো?”
–রাহুলের কথায় রুমাইশা রাগী চোখে তাকায়। সে সব বলবে নাকি!? তার তো কিছু গোপন রাখা দরকার। এসব বাদ দিয়ে রুমাইশা বলে,
“এসব বাদ দে ভাইয়া। এখন এটা বল, তুই হঠাৎ এক্সিডেন্ট করলি কিভাবে? আর এতো ভোরে কোথায় ছিলিস। আহনাফ ভাইয়া বা এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে চট্টগ্রাম গেছিলো।”
“ওহ হ্যা, আমাকে ফোন দিয়ে বলা হয়, আহনাফ নাকি এক্সিডেন্ট করছে। তখন আহনাফের কাছে ফোন করছিলাম, ওর ফোন অফ ছিলো। সেই জন্য সকাল সকাল আমি বাসা থেকে বেরিয়ে আসি। বাট ২০ মিনিট রাস্তা না আসতে একটা ট্রাক এসে জোরে ধাক্কা দেয়।”
“ওও, আর আহনাফ ভাইয়ার থেকে শুনিস নাই? ও এতো সকালে এখানে কি করছিলো”
“বাকিটা আমি বলি?”
–পিছন থেকে আহনাফ বলে উঠে। রাহুল মাথা নাড়িয়ে বুঝায় বল। আহনাফ বলতে থাকে,
“আমাকে রাতে ফোন দিয়ে বলা হয়ছে রাহুল এক্সিডেন্ট করছে। আমি বোকার মতো রাহুলের ফোনে ফোন না দিয়ে ঢাকা থেকে তাড়াতাড়ি চট্টগ্রাম চলে আসি। আর পৌঁছার ৫মিনিটের মাথায় আবার একটা নাম্বার থেকে খবর আসে রাহুল এক্সিডেন্ট করে পড়ে আছে ।তখন গিয়ে রাহুল তোকে আমি হসপিটালে ভর্তি করায়। তবে হ্যা মাঝখানে আমার ফোন চাপ লেগে অফ হয়ে গেছিলো।”
“আচ্ছা বুঝলাম, তার মানে ইচ্ছে করে কেউ মারার প্লেন করছিলো। কেউ আবার কি, আমার মা ছাড়া কে হবে।”
“সেটা না-হয় হলো, বাট আমাকে ৬-৭ ঘন্টা আগে তোর এক্সিডেন্ট এর খবর কে দিছিলো?”
“আমার মনে হয় ভাইয়া’কে কেউ বাঁচাতে চায় সে জন্য তোমাকে জানিয়ে দিসে কেও ভাইয়া। কারণ তুমি একমাত্র যে রাহুল ভাইয়া’কে ভালোবাসে। আর তুমি পাগলের মতো ভাইয়ার ফোনে ফোন না করেই চলে আসছো। ফোন করলে ভাইয়ার এক্সিডেন্ট হতো না।”
“জানি না কিছু মাথায় ঢোকে না। রাহুল আগে ঠিক হোক তারপর এসব নিয়ে ভাবা যাবে। আচ্ছা রুমাইশা এখন তুই বল তো”
“কি!”
–রুমাইশা অবাক কন্ঠে কথাটা বলে। সে কি বলবে? আহনাফ রাহুলের দিকে তাকিয়ে বলে,
“কাল আমার সাথে এমন ব্যাবহার করছিস কেনো? তোর ভাইয়া তো বললো তুই নাকি তার ছেঁড়া পাগল না। বুদ্ধি আছে সব বুঝিস। তাহলে আমি তোকে বিক্রি করবো এসব বলে মাথা নষ্ট করছিস কেনো আমার। আর আমার হাতে খাওয়ার মানে কি?”
“তেমন কিছু না, রাহুল ভাইয়া মারা গেলে আমাকে কেউ আগলিয়ে রাখে নাকি সেটা দেখার জন্য।”
–রুমাইশার এমন উওর আহনাফ আশা করে নাই। রাহুল হালকা হাসে, সে হয়তো হালকা বুঝতে পারছে কেনো এমন করছে রুমাইশা। রাহুল আহনাফ’কে বলে,
“হঠাৎ বিয়ে করলি কেনো? তোর জি…”
–আহনাফ রাহুল’কে থামিয়ে দেয়। সে চায় না তার জিএফ এর সম্পর্কে রুমাইশা জেনে যাক। বাট সে তো জানে না, রুমাইশা সব জানে। আহনাফ বলে,
“তখন রাগ উঠছিলো সে জন্য বিয়েটা করছি। ভাবছিলাম ওকে আমাদের বাসায় রাখবো। সেখান থেকে এসএসসি টা শেষ করবে। কিন্তু মম-বাবাই আমার কথা না শুনে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিলো।”
“ও আচ্ছা ভাবিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। রুমাইশার তো আর ৬মাস পর এসএসসি এক্সাম। ওকে কোচিং এ ভর্তি করার ব্যাবস্হা কর।”
“আচ্ছা আমি এসব ঠিক করে দিবো ভাবিস না। রুমাইশা বাসায় যাবে নাকি এখানে থাকবা?”
–হঠাৎ তুমি করে বলাতে রাহুল আর রুমাইশা দু’জনেই চমকে উঠে। আহনাফ হালটা হেঁসে বলে,
“এভাবে আমাকে দেখার কি আছে? বউ হয় আমার বউ। তোর বোনের তো ভাষা ভালো না, তুই ওর ১০ বছরের বড় তাও তুই করে বলে। আর আমি তো এখন জামাই হই, তাই বলিস ভালো ভাবে কথা বলে যেনো। আমি তো আবার বউ’কে তুই করে বলতে পারি না তাই না?”
“অদ্ভুত তো! এই ছেলের মতলব কি বুঝা দায়। জিএফ থাকতে আমার বোনের সাথে এতো ভালো ব্যাবহার করছে কেনো? ও অসহায় বলে!”
–রাহুল মনে মনে কথাটা বলে, রুমাইশা রাহুলের দিকে তাকিয়ে বলে,
“না আমি ভাইয়ার কাছে থাকবো। রাতে বাসায় যাওয়ার আগে আমাকে নিয়ে যেও তাহলেই হবে। পড়তে হবে আমাকে, আর ভাইয়ার কাছে তো রাতে ভাইয়ার বন্ধু’রা থাকেই।”
“বন্ধু’রা না, তোমার হবু ভাবি থাকে বুঝলে। তোমার ভাই তলে তলে টেম্পো চালায়।”
“এ্যা”
–আহনাফ হালকা হেঁসে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। রুমাইশা জানতো তার ভাইয়ের জিএফ আছে। কিন্তু দেখে নাই কখনো। আজ শুনে তার দেখার আগ্রহ জেগে উঠে। রাহুল রুমাইশা’কে বলে,
“তুই কি কোনো ভাবে আহনাফ’কে ভালোবাসিস?”
“তোমার বন্ধু অন্য কাউকে ভালোবাসে ভাইয়া। সেটাই তো যথেষ্ট তাই না? আমি ঘুমাবো, সরে যাও।”
“লে সবাই এমন কথা ঘুরিয়ে নেয় কা?”
–রুমাইশা রাহুলের কথা পাত্তা না দিয়ে বেডের একপাশে ঘুমিয়ে পড়ে। প্রায় ২ ঘন্টা পর তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। রুমে কারো কথা শুনতে পেয়ে। তাকিয়ে দেখে রাহুল ভাইয়ার বন্ধু’রা আসছে। তাদের সাথেই রাহুল গল্প করছে। রুমাইশা উঠে বসে পড়ে। তারপর রাহুল সবার সাথে তার পরিচয় করে দেয়। রাত ৮টার সময় আহনাফ এসে রুমাইশা’কে বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় এসে আহনাফ নিজে রান্না করে। তারপর যখন ঘুমাতে যাবে তখন আহনাফ বলে,
চলবে?……..