#তোমাতেই সীমাবদ্ধ আমি
#লেখনীতে:মাইশা চৌধুরী
(১১+১২)
নানুবাড়ি পৌছাতেই দেখলো ওর মামা আবিদকে। বয়স ২৫।আনিশার মায়ের ছোট ভাই।পড়াশোনার জন্য ঢাকাতে ছিলো এতোদিন।কয়েকদিন আগেই এসেছে।
আনিশাকে দেখে আবিদ এগিয়ে এলো।
“আনিশা তুই!অনেক দিন পর দেখলাম।”
“হ্যা মামা।কেমন আছো?”
“এই তো ভালো।”
“আম্মু কই মামা?”
“আপু আম্মুর রুমে।কি হয়েছে হঠাৎ আপুর বলা নেই কওয়া নেই হুট করে এলো।”
“ওই এমনি।তেমন কিছুনা।আমি আম্মুর কাছে যাই।”
আনিশা দ্রুত চলে গেলো।ওর অসস্তি হচ্ছিলো।
আনিশা ওর নানুর রুমে গিয়ে দেখে ওর আম্মু বসে আছে।আনিশাকে দেখতেই ওর নানু বলে,
“তোমার আম্মুকে বোঝাও এই বয়সে সংসার ভাঙতে চায় কেন?”
“আম্মা আপনি জানেন না ওই লোক আমার সাথে ঝগরড়া করে কোনো কারণ ছারা আমি থাকবো না।”
আনিশা এবার বলে,
“থেকো না বাবা বনবাসে চলে যাচ্ছে।”
এ কথা শুনে আনিশার আম্মু বলে,,
“কে যাবে!তোর বাবা! ১দিনও থাকতে পারবেনা।ওসব আমার জানা আছে।তুই শশুর বাড়ি ছেড়ে এখানে কি?জামাই কোথায়?”
“তোমরা যা শুরু করছো দৌড়ে আসছি আমি।ইয়াশ আসেনাই।”
“ওমা তুই একা আসবি কেন?এমনিতেই ইয়াশ বাবার উপর কতো কাজের চাপ। ”
“আম্মু তুমি থামো আমি প্রচুর ক্লান্ত।”
“যা চেঞ্জ করে নে।”
“হুম।”
আনিশা চেঞ্জ করতে গেলো। দরজার আড়ালে দাড়িয়ে ওদের কথা এতোক্ষণ শুনছিলো আবিদ।
বিকালে,,
আনিশার আম্মু ইয়াশকে কল করে,,
“আসসালামু আলাইকুম মামনি।”
“ওয়ালাইকুম আসসালাম বাবা। কেমন আছো?”
“এই তো আছি।আপনি কেমন আছেন?”
“আছি কোনোরকম।ছেলে মেয়েরা ভালো না থাকলে আমি কিভাবে ভালো থাকি বলো।আচ্ছা শুনো তুমি বরং চলে এসো।”
“কোথায়?”
“আমার বাবার বাড়ি,আর আনিশার নানুবাড়ি।”
“মামনি কলেজে কাজ আছে।”
“হুম বৃহস্পতিবার রাতে আসো আবার শনিবার রাতে চলে যেও।”
“ঠিক আছে মামনি।”
“আচ্ছা বাবা।”
“মামনি রাখছি।”
“আমি জানি তোমাদের বিয়ের পর থেকে একের পর এক কাহিনি হয়ে আসছে।তোমাদের আলাদা সময় কাটানো উচিত।যদি সবটা ঠিক হয়।আল্লাহ আমার বাচ্চা গুলোকে ভালো রেখো সব সময়। ”
মনে মনে কথা গুলো ভেবে শান্তি শ্বাস নিলেন আনিশার আম্মু।
___________________________
রাতে আনিশা বসে মুভি দেখছে। আবিদ সহ আরো কাজিনরা আছে।তখনই আনিশার ফোন বেজে উঠে।
আনিশা ফোন নিয়ে রুমে চলে যায়।
“হ্যালো।”
“হুম বলুন।”
“কেমন আছো।?”
“ভালো, আপনি্?”
“জানোই তো।”
“হুম। মামনি বাবা কেমন আছে?”
“আছে কোনো রকম।ভাইয়ার চিন্তায় আম্মু আরও অসুস্থ হয়ে গেছে।”
আরও কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন রাখলো ইয়াশ।আনিশাকে বলল না ওর যাওয়ার কথা।সারপ্রাইজ দিতে চায়।
এদিকে আনিশা কথা শেষ করে ফোন চার্জে দিয়ে ড্রইং রুমে গিয়ে মুভি দেখায় ব্যস্ত হয়ে গেলো।
২দিন পর,,
আনিশা সোফায় আসে আছে।
তখনই কলিং বেল বেজে উঠলো। আনিশা উঠে দরজা খুলতেই একদফা অবাক হলো।ইয়াশ এসেছে।
ইয়সশ আনিশাকে জড়িয়ে ধরতে গেলে আনিশা সরে দাড়ায়।
ইয়াশ কিছু না বলে ভিতরে আসে।
আনিশার আম্মু ইয়াশকে দেখে খুশি হয়ে যান।ইয়াশের সাথে কথা বলে আনিশাকে বলে,
“আনিশা ইয়াশকে তোমার রুমে নিয়ে যাও।”
আনিশা মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দেয়।
রাত ১১:৫৪৷
আনিশা চুপ করে বেডে বসে আছে।সোফায় ইয়াশ বসে আছে। আনিশার দিকে তাকিয়ে আছে।
“আনিশা কি হয়েছে বলবে?”
“কি হবে?”
“তোমাকে অন্যরকম লাগছে।”
“কই।”
“আচ্ছা বাদ দাও।চলো কালকে বাসায় যাই।”
“কোন বাসায়?”
“আমার তোমার বাসায়।”
“আমি ওই বাসায় আর যাবো না।”
“হোয়াট!কোনো? ”
“দেখুন আমি আপনার সাথে আর থাকবো না।আমি ডিভোর্স চাই।সব সম্পর্কের একটা বাঁধন থাকে। কিন্তু আমাদের নেই।বিয়ের পর থেকে একটার পর একটা প্রবলেম।আমি আর পারছি না ইয়াশ।প্লিজ আপনি আমাকে মুক্তি দিন।আমারো জীবন। আমি পারছি না এভাবে থাকতে।।”
আনিশার কথায় ইয়াশ থ হয়ে গেছে।আনিশার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মেকি হাসলো ইয়াশ।
“আসলেই তো তোমার কি দোষ সব আমার ভাগ্য। ঠিক আছে তুমি যা চাও তাই হবে।”
বলে শার্ট চেঞ্জ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো ইয়াশ।
আনিশা মাথা ধরে বসে আছে।ওভাবেই ঘুমিয়ে পড়ে একসময়।
তখন আবিদ রুমে প্রবেশ করে।আনিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চাদর টেনে লাইট অফ করে চলে যায়।
চলবে.….!
#তোমাতেই_সীমাবদ্ধ_আমি
#লেখনীতে:মাইশা চৌধুরী
(১২)
১৫দিন পর,,
সারারাত কেটে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে ধরনীর বুকে।নতুন ভোর নতুন আলো। কিন্তু কেউ একজন রাস্তার এক সাইডে বসে আছে।হ্যা সে ইয়াশ।যার পুরো জীবনটাই অন্ধকারে ভোরে গেছে।ভাবীর মৃ/ত্যু/র পর একে একে সব হারিয়ে ফেলেছে ও।মায়ের মতো ভালোবাসা ভাইকে খুজলো এতোদিন পেলো না।আবার আজ নিজের অর্ধাঙ্গীনির মুখে বিচ্ছেদের কথা যেনো আরও ভেঙে দিয়েছে ইয়াশকে।
সারারাত রোড সাইডে বসে ছিলো মাথায় কিছু নেই।
এভবে মানুষ চলতে পারেনা। মানুসিক রোগী হয়ে যাচ্ছে ও।ইয়াশ জানেনা কি আছে ওর কপালে কিন্তু কয়েকদিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেই কেটেছে দিন।
রাত কেটেছে নির্ঘুম পথ শিশুদের কষ্ট দেখে।কয়েকজনকে কম্বল কিনে দিয়েছে। ইয়াশ বসেই ছিলো তখনই ওর ফোনে একটি কল এলো,,
“হ্যালো”
“ইয়াশের সাথে কথা বলছি আমি?”
“জ্বি।”
“কোথায় আপনি মিঃ ইয়াশ?কলেজে কেনো আসছেন না?”
“আসলে স্যার।”
“কোনে কিছু শুনতে চাইনা।এমন ভাবে হয়না।আপনাকে আর কলেজ আসতে হবে না।আপনার চাকরিটা নেই।”
বলে কল কেটে দেয় আবরাহাম নামের লোকটি।ইয়াশ এবার হাসে।আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,,
“এভাবে নিশ্ব করলে আমায়?ঠিক আছে মেনে নিলাম।”
তখনই ইয়াশের কাধে কেউ হাত রাখে। ইয়াশ তাকিয়ে দেখে ইরফান।ইয়াশ এতোটাই অবাক হয় যে কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে।
জড়িয়ে ধরে ও ইরফানকে।ইরফানও ভাইয়ের পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়।
ইয়াশের চোখের পানিতে ইরফানের শার্টে পড়ে।ইরফান বুঝতে পারে তার ভাই কাদছে।
ইরফান ইয়াশকে নিজের মুখোমুখি করে দড় করায়।ইয়াশ বলে,,
“কোথায় ছিলে তুমি ভাইয়া?কতো খুজেছি তোমায় জানো?আম্মু অসুস্থ হয়ে গেছে তোমার চিন্তায় কেনো এভাবে হারিয়ে গিয়েছিলে?”
“একা থাকতে চেয়েছিলাম ভাই আমার।জীবনে এমন কিছু সময় আসে যখন মানুষ চায় সবার সাথে দুরত্ব বাড়াতে।নিজেকে একা করতে।আমিও তাই করেছি।মোহনার অতীত নিয়ে আমার সমস্যা ছিলো না।কিন্তু ৪বছরের সংসারে ১বারের জন্যও আমার হয়নি।আমার সন্তানের কথাও ভাবেনি।শেষ করে দিয়েছে নিজের সাথে ওকেও।”
“কি বলছো ভাইয়া।”
“ঠিক বলছি। ও ৩মাসের প্রাগনান্ট ছিলো। সেই রিপোর্ট আমি ডক্টর লিনার থেকে পেয়েছিলাম ও মারা যাওয়ার ২ দিন পর।”
এরপর ইরফান মোহনার অতীত সম্পর্কে সব কিছু খুলে বলে ইয়াশকে।ইয়াশ থ হয়ে যায়।ইরফান বলে,,
“আমি যে কষ্ট ভোগ করেছি ভালোবাসা হারানোর তোকে সেই কষ্ট পেতে দিবো না আমি।”
“কিন্তু ভাইয়া আমি চাইনা জোর করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে।আনিশা চায়না আমার সাথে থাকতে।ওকে ওর মতোই থাকতে দাও।ভালোবাসার মানুষকে ভালো রাখার নামই তো ভালোবাসা ভাইয়া।
আর আজ আমি নিশ্ব। আমার কিছু নেই। না আছে জব না আছে ভালোবাসার মানুষ। আম্মু আব্বু আমাকে অ/প/রা;ধী ভাবে কেনো জানিনা।আম্মু বলে আমি নাকি কিছু করতে পারিনা। তোকে আনতে পারিনা।সত্যি আমার থাকার কোনো মানে নেই।
সবার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে চাই।তিক্ততা এসে গেছে জীবনের প্রতি।আম…”
হঠাৎ ই এক কার এসে ধাক্কা দেয় ইয়াশকে। মাটিতে লুটিয়ে পরে ইয়াশ।ইরফান দিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ছুটে যায় ভাইয়ের র/ক্তা/ক্ত দেহের কাছে।
________________________________
আবিদের সাথে বসে গল্প করছে আনিশা।
আবিদ অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আনিশার দিকে।
তখনই হন্তদন্ত হয়ে রুমে প্রবেশ করে আনিশার মা।আনিশাকে ধরে বলে,,
“আনু চল হসপিটালে।”
কেনো আম্মু?কার কি হয়েছে?”
“ইয়াশ বাবা এক্সিডেন্ট করেছে।আজ এতোদিন ধরে ছেলেটাকে খুজছে পেলাম না।আর আজ এমন একটা খবর।”
আনিশা কি বলবে ভেবে পায়না।আবিদের চোখমুখ লাল হয়ে গেছে।তবুও শান্ত থাকাট চেষ্টা করছে।
আনিশার আম্মু আনিশার হাত ধরে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লেন হসপিটালের উদ্দেশ্যে।
In City hospital,,
ইরফান দাড়িয়ে আছে,ইয়াশের মা বাবাও এসেছে।উনারা ওয়েটিং রুমে বসে আছেন।ইরফানকে দেখে অবাক হলেও ইয়াশের চিন্তা উনারা চিন্তিত। একটু পর অপারেশন থিয়েটারের সামনে এসে দাড়ায় ইরফান।
আনিশা এবং ওর আম্মুর সাথে আবিদও এসেছে।
আনিশা চুপ। আনিশার আম্মু অবাক হচ্ছে মেয়েকে দেখে।
একজন ডক্টর এসে বলে যায়,,
“পেসেন্টকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।অবস্থা সিরিয়াস।”
আনিশা এটা শুনেও এমন ভাব করছে যেনো কিছুই হয়নি।আনিশার আম্মু আনিশাকে জিজ্ঞেস করে,,
“আনিশা ইয়াশ অসুস্থ তুমি কি ভাবে এতো নরমাল আছো?তুমি কি একটুও ভালোবাসো না?”
“না”
বলে আনিশা হনহন করে চলে যেতে নিলে ইরফান পথ আটকায়।
হঠাৎই আনিশার গালে চ/র মে/রে বসে।আনিশা সহ উপস্থিত সকলে অবাক।
আনিশা গালে হাত দিয়ে সকলের ূদিকে তাকিয়ে আছে।
“আমি হসপিটালে কেন?”
আনিশার চম্মু আনিশার কাছে গিয়ে দু’বাহু ধরে বলে,,
“কি নাটক করছো?মাত্রই এলে এখন বলছো তুমি এখানে কেন আজব!”
“আম্মু আমি কেন নাটক করব?”
আনিশার আম্মু আরও কিছু বলতে চেয়েছিলেন কিন্তু ইরফান থামিয়ে দিয়ে বলে,,
“ওকে কিছু বলে লাভ নেই আন্টি। আনিশার কিছু মনে নেই।”
“মানে! ”
“মানে ওকে হিপনোটাইজ করে রাখা হয়েছিলো। ও ওর ফ্যামিলি মেম্বার বাদে আর কাউকে সহ্য করতে পারছিলো না আর না পারছিলো ইয়াশকে সহ্য করতে।”
“কিহ!”
অবাক হয়ে বলে আনিশা।
“হুম।তুমি ইয়াশকে সহ্যই করতে পারোনি।এটা আমি খেয়াল করেছি তোমাকে হসপিটালে ঢোকার সময়।চোখ স্থির ছিলো তোমার।”
আনিশা থ হয়ে দাড়িয়ে আছে।আনিশার আম্মু বলে,,
“কে করেছে এইটা?আর তুমি কিভাবে জানলে?এতোদিন কই ছিলে বাবা?”
“বলছি আন্টি।”
“প্রথমেই বলি আমি একা থাকতে চেয়েছিলাম তাই দূরে ছিলাম।আর আমি কিভাবে জানি,আমি দূরে থাকলেও আমার পরিবারের সকল সদস্যর সব খবরই আমি রাখতাম।হ্যা এখন বলতে পারেন আমি কেনো ফিরিনি সেটা পরে বলছি।আগে বলি আপনার ভাইয়ের কথা।”
“আমার ভাই?”
“হুম আবিদ নাম ওনার তাই না?”
“হ্যা।”
“উনি আনিশাকে হিপনোটিজ করেছে।”
“কিহ বলছেন এসব?কে আপনি হ্যা আমার নামে এসব বলছেন?”
রেগে আবিদ বলে উঠে কথা গুলো।
“আমি কে?আমি ইরফান। আমি সব জানি আপনার বিষয়।আপনি আনিশাকে লাইক করতেন।বসয় কম।আর সাইকো টাইপ আপনি।নিজের ভাগনিকেই হিপনোটিজ করে ফেললেন তাই বলে! কারণ আপনি ওকে পছন্দ করতেন।বলুন সত্যি কি না?”
আবিদ চুপ।ইরফান আবারো বলে
”আমার ভাই আজ এই অবস্থায় শুধু আপনার জন্য। আপনি আনিশা আর ওর মাঝে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়ে নিজে আনিশাকে পাওয়ার আশা করে ছিলেন।লজ্জা করলে না একবারো।ছিহ।”
“হ্যা হ্যা করেছি আমি তো কি হয়েছে?কোনো ভুল করিনি।আনিশাকে আমার ভালে লাগতো ভেবে ছিলাম সবাইকে বলবো।কিন্তু তার আগেই ওর বিয়ে হয়ে গেলো।ইয়াশ নামের ছেলেটা আমার পথের কাঁ/টা হয়ে দাড়ালো। আনিশাকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছিাম কাজ হয়নি।তাই এটা করেছি।খারাপ কি করেছি ভালোবাসা অন্যায় না।”
কথা শেষ হতেই আনিশার আম্মু ঠা/স করে থা/প্প/ড় দেয় আবিদের গালে।
“ছিহ আবিদ ছি।ছোট ভাই তুই আমার। কম আদর করিনি।তুই কি না শেষে আমার মেয়ের এই সর্বনাশ করতে চাইলি।”
আবিদের কলার ধরে কথাগুলো বললেন আনিশার আম্মু।তখনই ওখানে কয়েকজন ওয়ার্ড বয় সহ কয়েকজন ডক্টর এলো।
ইরফান ওদের দেখে আবিদের দিকে ইশারা করল।ওরা আবিদকে নিয়ে গেলো।আবিদ মেন্টালি অসুস্থ তাই ওর ট্রিটমেন্ট দরকার।তাই ইরফান ওদের ডেকেছে।ওরা আবিদকে নিয়ে গেলো।
আনিশা সব শুনে কান্না করছে।ইরফান আনিশার পাশে গিয়ে দাড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
আর বলে,,
“সরি বোনু তোমাকে তখন মা/রা/র জন্য।”
“না ভাইয়া এভাবে বলবেন না।আমি জানি আপনি আমার ভালোর জন্য করেছেন।কিন্তু ইয়াশ ও কেমন আছে।?আর মামা কিভাবে এমনটা করতে পারলো?”
“ইয়াশ আইসিইউ তে আছে। আর আবিদ…ও মেন্টালি অসুস্থ। আমি বাসার সব খবরই রাখতাম।একদিন তোমাদের বাসার সামনেও গিয়েছিলাম। ওখানে একটা দরকার ছিলো ভাবলাম তোমার সাথে দেখা করি।আম্মু বাবা অনেক চিন্তা করছে তাদের তুমি আমার হয়ে কিছু বলে দিতে পারবা।কিন্তু তোমার রুমের জানালার সামনে দাড়িয়ে দেখি আবিদ তোমার রুমে।তাও অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।
তারপর চলে যায়।আমার সন্দেহ লাগে খোজঁ নেই সব জানতে পারি।আর চলে আছি ভাইয়ের ভালেবাসা রক্ষা করতে।কিন্তু হয়তো দেরি করে ফেলেছি আমার ভাইটা আমার উপর অভিমান নিয়েই চলে যাবে হয়তো।”
“না ভাইয়া।”
কান্না করে বলে উঠলো আনিশা।
চলবে…!