তোমাকে_চাই(Season_3)পর্ব:-৯+১০
#আরবি_আরভী
#Part_9
বাসায় এসে দুজনই চুপচাপ।। একবার তাকাচ্ছি তো আরেকবার চোখ ফিরিয়ে নিচ্ছি।।
আমি ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখি রেহান নীল টাওজার আর সাদা হাতা কাটা গেঞ্জি পড়ে এক মনে ল্যাপটপে কাজ করছে।।আমি আর কিছু না বলে বিছানায় যেইনা ঘা টা এলিয়ে এক পাশ হয়ে শুয়ে আছি অম্নি রেহান বলছেন,,
– আপনারা এগুলো ছাড়া আর কিছু বলতে পারেন না,,,কথাটার মানে কি,।। তোকে কি অন্য কেউ হট বলেছিল নাকি,,,
তাৎক্ষণিক আমার সাব্বির ভাইয়ের আজকের নোংরামির কথা মনে পরে গেলো।। আমতা আমতা করে বললাম,,
-আপনে যা ভাবছেন তা না,,, মুখ থেকে বেরিয়ে গেছে হয়তো,, আমি এত কিছু ভেবে বলিনি,,,
-হুমম ,,
পরের দিন চাচী চাচ্চু রেহানের নানুর বাড়ি চলে যায় উনারা নাকি আজকের রাতটা ঐখানে থাকবেন ,,, বাসায় আমি আর রেহান একা।। বিকেলে হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে রেহান বাড়ি ফিরে ।। আমি তো অনেক খুশি।। আমি প্যাকেটটা খুলতে যাবো অম্নি রেহান আমাকে বাদা দিয়ে বলে রাতে খুলতে।। সাথে সাথে মনটা খারাপ হয়ে গেলো।। আমি রেগে বললাম,,,
-কেন এখন খুললে কি হবে
-না এটা রাতেই খুলবা ওকে জান,,,,
রাত যতই হচ্ছে আমার কৌতুহল ততই বাড়ছে।। কি আছে এর মধ্যে।।
রাত ৯ টা রেহান আমাকে তাড়াতাড়ি রেডি হতে বললেন।।কিছুই বুঝছি না কোথায় যাবো।। কেন যাবো।। যাইহোক উনার কথা মতো সুন্দর করে শাড়ি পরে রেডি হয়ে গেলাম।। প্রায় দেড়ঘন্টা পর গিয়ে পৌছালাম বিশাল একটা ফামহাউজে।। সেখানে ঢুকতেই অনেগুলো গোলাপের পাপড়ি আমার উপর এসে পরে সারাটা রুম গোলাপ বেলুন কেক আর কেন্ডেলস দিয়ে সাজানো।। আমি একদম অবাক।। কি সুন্দর সারপ্রাইজ ছিলো।। আম তো খুশিতে আত্তহারা হয়ে বিছানায় গিয়ে লাফাতে শুরু করলাম,,।। এদিকে রেহান মুচকি হেসে বলতে লাগলেন,,,
-ভালো লেগেছে,,
-হুম অনেক অনেক অনেক,,,,,i love you i love you i love you so much,,,
-আচ্ছা আজকে কি আমরা এখানে থাকবো,,
-হুমম,,
-ওয়াও
তারপর উনি আমার হাতে সেই প্যাকেটটা দিলেন যেটা দেখার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।। উনার হাত থেকে চট করে প্যাকেটটা নিয়ে খুব এক্সাইটেড হয়ে খুলে হতভম্ব হয়ে গেলাম।।। চোখগুলো ছানাবড়া হয়ে গেছে আমার।। চিমটি কেটে কালো পোশাকটা উপরের দিকে উঠিয়ে বললাম,,,
-কি এটা,,,
খরুচটা একটা ডেভিল মার্কা হাসি দিয়ে বলল,,
-নাইটি,,,, পছন্দ হয়েছে,,তাড়াতাড়ি পড়ে এসো
-ছ্বি ছ্বি ছ্বি,,নাউযুবিল্লা
-কি,,,,(রেগে)
-আমি পারবো না,,,
-মুড নষ্ট করো না বেবী ,,,প্লিজ পড়ে এসো ওকে
-আমি এত্ত ছোট ড্রেস পরতে পারবো না বাবু ,,,আর আপনে এত্ত নোংরা ছ্বি,,
-মানে কি,,,,দেখ নিসা ড্রামা করবি না প্লিজ প্লিজ,,,
-অসম্ভব দুনিয়া উল্টো হয়ে যাবে কিন্তু এই নিসা এমন বাজে ড্রেস পরবে না কখনই না,,,
-কিন্তু কেন নিসা,, (চিৎকার করে)
রাগে অভিমানে দুজন দুদিকে তাকিয়ে আছি আর আমাদের মাঝখানে পড়ে আছে আমার জানের পছন্দ নাইটিটা।। আড়চোখে তাকিয়ে রেহানের দিকে চেয়ে দেখি উনি রেগে গম্ভীর হয়ে বসে আছেন হঠাৎ বলতে শুরু করলেন,,,
-আমাকে তুই একদম ভালোবাসিস না,,,আমিই বোকার মতো,,,,, আচ্ছা যা হবার হয়ে গেছে এখানে থেকে আর কি হবে,,,,,,,, চল যাওয়া যাক,,,,,,
-আমি আপনাকে ভালোবাসি,,, ,কিন্তু আমি এটা পরবো না সরি,,,
-হুম তা তো বুঝতেই পারছি,,কতটা ভালোবাসিছ
-বাসায় চলেন,, আমি ঘুমাবো
সারা পথ রেহান খুব মন খারাপ করে ছিল,,।।তা দেখে আমিও কষ্ট পাচ্ছিলাম,,,।। কিছুক্ষন পর পর চোখ মুছছিলেন,,হয়তো কান্না করছিলেন।। ব্যাপারটা নিয়ে খুব আশাবাদী ছিলেন বুঝতে পারছি,,,,।। কিন্তু আমি বা কি করবো,,।।
কিছদিন যাবৎ রেহান আমার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন।। ঠিক মতো ফোন ধরেন না।। আমাকে দেখলে অভিমান করে থাকেন।। খুব খারাপ অবস্থা হয়েগিয়েছিল আমার,,,।। পরে একদিন রাতে রেহান ল্যাপটপে কাজ করছিলেন।। আমি উনাকে সারপ্রাইজ দেবো বলে নাইটিটা পড়েই ফেললাম তার সাথে কালো হিল।।লজ্জায় আয়নায় তাকাতে পারছি না।।
বেশ কিছুক্ষন কেটে গেছে প্রচুর লজ্জা করছে।। কিভাবে কি।। তবুও উনার মন রক্ষার্থে মনে সাহস যোগিয়ে কাপড় টা নিচের দিকে টানতে টানতে বাহিরে বেরিয়ে এলাম।। উনি আমার দিকে একনজর তাকিয়ে চোখ ফিরিয়ে বলতে লাগলেন,,,
-টেনে লাভ নেই ওটা আর নিচে নামবে না,,,
খুব রাগ হচ্ছিলো এম্নিতেই আমি লজ্জায় উনার দিকে তাকাতে পারছি না।। উনি আবার বলে টেনে লাভ নেই।।যত্তসব।। ডেভিল রাব্বির খরচ একটা।। তারপর উনার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম।।
উনি কিছুর পড়ুয়া না করে ল্যাপটপটা রেখে লাইট অফ করে ঘুমিয়ে পরলেন।। আমি খাম্বার মতো দাড়িয়ে আছি রাস্তার আলো জানালা ভেদ করে আমার উপর পরছে।। উউফফফ কেমন বেয়াদব একটা ছেলে।।
জেদ করে এত রাতেই সাউন্ড বক্সে হাই ভলিউমে,,চালু করে দিলাম,,
oh Zara Zara touch me touch me touch me,,
Oh zara Zara kiss me kiss me kiss me,,,
তারপর ঘুমন্ত রেহানের বিছার কাছে হাটু গেড়ে বসে উনার ঠোঁট গুলোতে চুমু খেতে লাগলাম,,,।।তারপর উনি শোয়া থেকে উঠে বসে গান টা অফ করে আমার দিকে রাগান্বিত ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকেন। আমি ভয় পেয়ে যাই। কিন্তু উনি আমাকে অবাক করে দিয়ে একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে আমাকে এক টানে উনার বুকের সাথে মিশিয়ে নেন।।তারপর দুজন মেতে যাই দুজনাতে।।
চলবে,,,,,,,
#তোমাকে_চাই (Season_3)
#আরবি_আরভী
#Part_10 বাস্তব কাহিনি
তারপর দুজন মেতে যাই দুজনাতে,,,
কিছুদিনের মধ্যে আমি আরভ টুশি আপুর খুব ক্লোজ হয়ে যাই।।।কেন জানি না উনাকে আমি যতই ইগনোর করি না কেন টুশি আপু হেসে সব উড়িয়ে দেয়,, আমার সাথে কোনো অভিমান করতে চান না।। বেশ অদ্ভুত একটা মেয়ে সারাদিন আমার কাছেই পরে থাকে।। সবসময় রেহানের সম্পর্কে জানতে চাইবে।। আমিও বোন হিসেবে বলেদি।।রীতিমতো আমি উনার সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পেয়ে গেছি।। অনার্সের স্টুডেন্ট।। লাইফে অনেক প্রপোজ পেয়েছেন কিন্তু একসেপ্ট করেননি।।এখানে এসে নাকি এক ছেলেকে ভীষণ ভালো লেগে যায় উনার।। আমি কত জানতে চাইলাম ছেলেটি কে?? কিন্তু টুশি আপু কিছুই বললেন না।। সময় হলেই নাকি জানতে পারবো।ঢং।।
কিছুদিন পরে টুশি আপুর কথায় আমি রেহান আর সে ঘুরতে যাই।।রেহান যেতে চাচ্ছিলেন না।। অসিফ থেকে এসে নাকি ভীষণ টায়ার্ড লাগছে।।পরে আমার জোড়াজুড়িতে রাজি হন।।
কালো জিন্সের সাথে সাদা শার্ট কালো টাই আর কালো চশমায় উনাকে একদম বডিগার্ড লাগছিল।। হ্যান্ডসাম বডিগার্ড।।উনার সাথে ম্যাচিং করে আমিও সাদা কালোয়ে মিলিয়ে একটা শাড়ি পড়ে নেই।।
পার্কে আমি রেহান আর টুশি আপু অনেক মজা করছি।। আমি ফুলের কাছে গিয়ে সেল্ফি তুলছি।।এদিকে টুশি আপু আর রেহান কিছুটা দূরে দাড়িয়ে কথা বলছেন,,
-আপনাদের লাভ ম্যারেজ?
-হুম,,,
-তা কে কাকে আগে প্রপোজ করেছে,,নিশ্চয় নিসা তাই না,,
-না,,,,, আমি করেছি
-ও ও ও,,আচ্ছা চলেন একটু ওদিক থেকে ঘুরে আসি,,,
-না নিসা ওখানে একা,,
তারপর রেহান এসে আমাকে বাড়ি ফিরতে বললেন।। আমি ফুল কিনছি বলে একটু দেরি হয়ে গেলো এদিকে উনি গিয়ে গাড়িতে বসে আমার জন্য ওয়েট করছেন ।। আমি যাওয়ার আগে টুশি আপু উনার সাথে সামনের সিটে বসে পড়লেন।। আমি ফুলগুলো হাতে নিয়ে গাড়ির পাশে এসে দাড়িয়ে রেহানের ধমক শুনছি কথা শুনছি,,
-এখানে নিসা বসবে তুমি পেছনে বসো,,
-নিসা তো সবসময় বসে আজকে আমি বসবো,, ঠিক আছে নিসা,,
-কি ঠিক আছে তুমি পেছনে যাও,
আমি আর কথা না বারিয়ে বললাম,,
-আচ্ছা ঠিক আছে টুশি আপু তুমিই বসো আমি পেছনে যাচ্ছি,,,
রেহান গম্ভীর হয়ে আছেন মিরর দিয়ে বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছেন।। আমিও উনাকে একটা ভেংচি কেটে দিলাম,,।।
পরের দিন সন্ধ্যা বেলায় রেহান ছাদে গেলে টুশি আপুও উনার পছন্দের নীল রঙের চুড়ি পড়ে একটা লাল টুকটুকে গোলাপ নিয়ে উনার সাথে দেখা করতে যান,।।তারপর গোলাপটা আড়াল করে বলতে থাকে,,,
-রেহান কি করছেন,,
-কিছু না তুমি,,
-আমিও
-আচ্ছা আজকে আমাকে দেখতে কেমন লাগছে,,
-সুন্দর,,,
-শুধু সুন্দর,,
-না মেকাপ সুন্দরী ,
-ধ্যাৎ,,,,আচ্ছা ফুলটা সুন্দর না,, (গোলাপটা দেখিয়ে)
-হুমম নিসার মতো,,,,
-মোটেই না,,সত্যিই বলতে ফুলটা থেকেও আমার কাছে আপনাকে বেশি সুন্দর লাগে ,,,
-ও তাই নাকি,,, ওকে রাত হয়ে আসছে আমি তাহলে যাই বায়,,,
-রেহান দাড়ান,, (হাত ধরে পথ আটকিয়ে)
– কিছু বলবা,,
-আমি কিন্তু ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে পারি না,,
-হুম তো,,
-I love you
-কি!!!
-I love you rehan
-হা হা হা নাইচ জোক
-আমি সিরিয়াস I love you প্লিজ একসেপ্ট মি,,
– মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি কি বলে,,
-প্লিজ একসেপ্ট প্লিজ ইউ আর মাই ফাস্ট ক্রাশ ,,,
-এই মেয়ে হাত ছাড়ো কি বলছ তুমি এগুলা একটা থাপ্পড় খেলে ভালোবাসার সব ভূত দৌড়ে পালাবে,, ফাজিল,,
বাসায় এসে খুব রাগী মোড নিয়ে টিভি দেখতে লাগলেন।।
-টুশি যেন আমাদের বাড়ি আর না আসে,,
-কেন কি হয়েছে,,(কাজ করতে করতে)
-আসবে না বলেছি ব্যাস,,
অবাক হয়েছিলাম উনার এ কথায়।। টুশি আপু আবার কি করলো।।আর ঐ দিন রাতে নাকি টুশি আপু অনেক কান্না করেছিলেন,,,।। ঘরের অনেক জিনিসপত্র ভেঙেছেন।।
ঘটনার পর থেকে রেহান টুশি আপুকে একদম সহ্য করতে পারতেন না,, বাড়িতে দেখলেই আমাকে কথা শুনাতেন।। কারন জানতে চাইলে কিছুই বলতেন না।।কিন্ত একটা মানুষ দরজায় এসে দাড়িয়ে থাকলে তাকে তো ঘরে আনতেই হয়,,।।এটা যে কিভাবে ডেভিলটাকে বোঝাই,, ,।।
যাইহোক ঘুমিয়ে আছি রাত ২ টা হঠাৎ সাব্বিরের কল,,
-নিসা প্লিজ আগামীকাল দেখা কর অনেক ইম্পর্টেন্ট কথা আছে,,
-কিন্ত আপনার সাথে আমার কোনো কথা নেই বায়,,,
-আমি মরে যাবো নিসা ,, অনেক ইম্পর্টেন্ট কথা জাস্ট কথা বলবো নিসা প্লিজ দেখা কর,,
-না
-তোমার পায়ে পরছি প্লিজ প্লিজ জাস্ট একবার,,
-আচ্ছা দেখা যাক,,
পরের দিন এক রেস্টুরেন্টে সাব্বিরের সাথে দেখা করে আমি অবাক।।আমাকে সারপ্রাইজ দিবেন বলে এই ড্রামাটা করলেন একটু লজ্জাও করলো না উনার।।।
-কেমন আছ নিসা,
-আপনে এমন কেন করেন এটাই আপনার ইম্পর্টেন্ট কথা,,
-তোমাকে আমার অনেক ভালো লাগে,,
-কয়েকদিন পর আপনার বিয়ে আপনে কতটা বেয়াদব হলে এসব করতে পারেন,,,
-হা হা হা হা তোমার ভালো লেগেছে তাই আমি খুশি,,
কিছু বলবো এমন সময় রেহানের কল,,
-হ্যালো কোথায় তুমি,,
-বাসায় কাজ করছি কেন
-টুট টুট টুট
-হ্যালো হ্যালো,,,
ফোনটা কেটে দিলো।।নিশ্চয়ই কিছু হয়েছে তাড়াহুড়ো করে বাসায় এসে দেখি রেহান বাড়িতে।। অফিস থেকে এত তাড়াতাড়ি চলে এসেছেন।।আমতা আমতা করে বললাম,,,
-চলে এসেছেন,,
উনি আলতু পায়ে হেটে দরজাটা বন্ধ করে নিরব কন্ঠে বললেন,,,
-ছেলেটা কে,,
বুকটা কেপে উঠলো প্রচুর ভয় করছে।। চুপ হয়ে আছি,,, তারপর উনি ভীষণ রেগে চিৎকার করে বলতে লাগলেন,,
-ছেলেটা কে নিসা,,
চোখের পানি টলমল করছে,,,,
-সাব্বির ভাই,,,,
-সাব্বির কি বলেছে তোকে,, কেন দেখা করেছিস,,,
– আমি উনার সাথে দেখা করতে চাইনি,,
-কেন দেখা করেছিস সেটা বল,,,(প্রচন্ড রেগে)
-আমাকে উনি ভালোবাসেন একটাই বলছিলেন,,
-দুশ্চরিত্রা বেঈমান কোথাকার কত দিনের সম্পর্ক তোদের,,, আর কোথায় কোথায় গিয়েছিস ওর সাথে,,
-বিশ্বাস করেন আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই আমি তো এমনই উনার একটা ক,,,
রেহান কষে আমাকে একটা থাপ্পড় মেরে।। উনার জিন্সের ব্যালটা দিয়ে অনেক জোরে জোরে আমাকে আঘাত করতে লাগলো,,,,
-কোনো সম্পর্ক না থাকলে আমার কাছে গোপন করেছিস কেন আমাকে মিথ্যা বলেছিস কেন,,,,
-আমি আসলে আআআ আমার কোনো দোষ নেই আআআ বিশ্বাস করেন,,, (কান্না করতে করতে)
রেহান আমার উপর কোনো দয়া করলেন না যতক্ষন না আমার দেহটা রক্তাক্ত হয়ে গেছে,,,।।
বিছানায় ওপাশ হয়ে খুব কান্না করছি পুরো শরীর খুব ব্যাথায় করছে।। দাগগুলো রক্ত জমাট বেদে কালো হয়ে আছে।।
রেহান ছাদে গিয়ে পূর্নিমার আলোয় বসে আছেন।। এমন সময় টুশি এসে উনার পাশে বসে,,,,
-ওয়াও চাঁদটা কি সুন্দর তাই না,,,
-__________(চুপ)
-আমি সরি রেহান আসলে আমি অনেক বোকা,,,আপনে আমাকে সহ্য করতে পারেন না তাছাড়া আপনে বিবাহিত এটাও আমি জানি কিন্তু আমি সত্যিই আপনাকে অনেক ভালোবাশি,,,জানি না কেন সবকিছুর পরও আপনাকে আমার অনেক ভালো লাগে,,,,,,আমি সরি (ডুকরে কেদে)
কথাটা বলে টুশি আপু চলে যাচ্ছিলেন।।হঠাৎ রেহান উনাকে থামিয়ে দিয়ে তার হাতটা ধরে এক টানে বুকে জড়িয়ে বলে উঠলেন,,,
-I love you too,,
চলবে,,,,