তোমাকে_চাই(Season_3)পর্ব:-১১+১২

0
2304

তোমাকে_চাই(Season_3)পর্ব:-১১+১২
#আরবি_আরভী
#Part_11
কথাটা বলে টুশি আপু চলে যাচ্ছিলেন।।হঠাৎ রেহান উনাকে থামিয়ে দিয়ে তার হাতটা ধরে এক টানে বুকে জড়িয়ে বলে উঠলেন,,,
-I love you too,,
টুশি আপু কিছুই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।। তাই বেচারি রেহানকে খুব শক্ত করে আকড়ে ধরে কেদেই দিলেন।।
বাসায় এসে রেহান আমার সামনে একদম স্বাভাবিক হয়ে আছেন ।।উনাকে দেখে ঘুমের ভান করে আছি।। রেহান কাছে এসে আলতো করে চোখের পানি মুছে দিয়ে কপালে একটা ভালোবাসার পরশ একে দিলেন।। তারপর আমাকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।। ডেভিল একটা।।
পরের দিন রেহান অফিসের নাম করে টুশি আপুকে ঘুরতে নিয়ে গেলেন।।দূরে অজানা এক শহরে।। এটাই ওনাদের প্রথম ডেড ছিল,,,,, দুপুরে রেহান খেয়েছি কি না জানার জন্য কল দিলাম কিন্তু বারেবারে কল কেটে যাচ্ছে।। টুশি আপু ইচ্ছে করে আমার কলগুলো কেটে দিচ্ছিলেন ।। এক সময় নিজেই বিরক্ত হয়ে রাগ করে ফোন অফ করে রাখলাম।। কিন্তু দুশ্চিন্তা মনে লেগেই আছে।। উনি খেয়েছেন তো!!!!
সারাদিন উনার সাথে আর কথা হয়নি।।আজ আসুক তারপর দেখাবো মজা।। আমার কল কেটে দেয়া।। ,,,।।অভিমান করে উনার জন্য বারান্দায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি।। হঠাৎ রেহানের গাড়িটার দিকে নজর গেলো টুশি আপুও সাথে আছেন দুজনেই সামনের সিটে বসে কথায় মগ্ন।। শাড়িতে বেশ সুন্দরী লাগছে টুশি আপুকে ,, সত্যি বলতে নায়িকা নায়িকা লাগছে ।। কিন্তু কথা সেটা না কথা হল সে রেহানের সাথে কি করছে,,,,,
উনি বাড়িতে ফিরলে কিছু জিজ্ঞাসা করতে যাবো অম্নি উনি উল্টো আমার প্রতি ভীষণ রেগে বলতে লাগলেন,,,,
-ফোনটা কি বন্ধ করে রাখার জন্য কিনে দিয়েছি,,, আমার চিন্তার কোনো মূল্য নেই তোর কাছে,,,
– আপনাকে দুপুরে কল করেছিলাম কিন্তু আপনে কল কেটে দিয়েছেন তাই ফোনটা বন্ধ করে দিয়েছি,,,
-ওয়েট ওয়েট,,, তুই দুপুরে কল করেছিলি,,
তারপর উনি উনার ফোনটা বের করে উনার সব কল লিস্ট দেখান।। যা দেখে আমি ভেবাচেকা খেয়ে যাই।। সারাদিনে আমার কাছ থেকে কোন কল উনি পাননি উল্টো ২০-১৫ বার উনি নিজেই আমাকে কল দিয়েছেন আর ফোন বন্ধ পেয়েছেন।। কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।। এই ভাবনায় টুশি আপুর বিষয়টাও গিলে খেলাম।।
কিছুদিন পর ঈদ ছিল।।সবাই মিলে চাঁদনী রাতে মেহেদী পড়ছে।। । খুব হেপ্পি ছিলাম।। রিয়া আপু মিঠি আপু তিশা আপু সবাই আমার রুমে এসে আনন্দ করছেন আর টুশি আপু তো সারাদিন আমার পিছু পিছুই আছেন।। মন হয় এটা যেন আমার না উনার বাড়ি আর রেহানের রুম যেন তার।। মেহমান তাই কিছু বলতে পারি না সব কথা মনে মনে রাখি আর সুযোগ পেলে নিজে নিজে বিরবির করি।।।
যাইহোক সবাই মেহেদী পড়ছেন।। টুশি আপু তো লুকিয়ে লুকিয়ে রীতিমতো টুশি +রেহান লিখে ফেলেছেন।।আমাকে ছাড়া সবার মেহেদী পড়া শেষ মেহেদীও শেষ।। খুব ইচ্ছা ছিল আমারও কিন্তু মেহেদী শেষ রাতও অনেক ।। এখন কোনো দোকান খোলা পাবো না।। মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো।। রেহান সোফায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলেন।।
হঠাৎ উনি ল্যাপটপ বন্ধ করে নিচে চলে যান আর এদিকে আমরা সবাই আড্ডায় মেতে উঠি।। ঘন্টা খানিক পর উনি আমাদের সামনে এক ডজন মেহেদী এনে ঢেলে দেন যা দেখে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি শুরু করে।। খুব লজ্জা লাগছিল আর সারপ্রাইজডও হয়েছিলাম অনেক।। ডেভিলটা আমাকে কত্ত ভালোবাসে।।
রাতে শুয়ে আছি কৌতুহলের বশে জানতে চাইলাম,,
-এত রাতে কিভাবে কি করলেন,,
-সেটা আপনি জানতে হবে না আপনি খুশি হয়েছেন এটাই সব,,,
-আপনে আমাকে খুব ভালোবাসেন তাই না,,,
-হুমম অনেক,,
তারপর রেহানের ফোনে একটা কল এলে উনি জ্যাকেট পড়ে কোথায় যেন চলে যান ,, আমিও কথা বাড়াইনি।। হয়তো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন।। তাই নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পরলাম।।
এদিকে টুশি আপু রেহানের জন্য ছাদে অপেক্ষা করছে।। রেগে -মেগে একাকার হয়ে আছেন,,,, রেহান যেতেই,,,
-বউয়ের সাথে পিরিতি শেষ হয়েছে তোমার,,,, তুমি আমাকে একদম ভালোবাসো না বুঝেছি ,,,,( নাক মুখ লাল করে ফুপিয়ে )
রেহান হাতগুলো পকেটে ঢুকিয়ে বলতে থাকলেন,,,
-এখন আমাকে কি করতে হবে,,,
-কিচ্ছু না চলে যাও তুমি আমার সাথে কখনও কন্টাক্ট করবা না,,, (ডুকরে কেদে উঠে)
-মাথা ঠান্ডা করু অনেক রাত হয়েছে বাসায় যাও,,,গুড নাইট
এই বলে রেহান চলেই আসছিলেন কিন্তু পেছন থেকে টুশি দৌড়ে এসে উনাকে থামিয়ে জড়িয়ে ধরে কাদতে কাদতে বলে উঠলেন,,,
-আমি সত্যি তোমাকে ভালোবাসি রেহান অনেক বেশি,,,,
রেহান পিছ মুড়ে,,,
-আমিও পাগলী,,,
-হ্যাঁ তোমার পাগলী,,, আচ্ছা দেখ আমি মেহেদী দিয়ে তোমার আর আমার নাম লিখেছি,,,, কেমন লাগছে,,, ( হাতগুলো সামনে বাড়িয়ে দিয়ে)
রেহান টুশি আপুর হাতগুলোতে
আলতো করে চুমু খেয়ে নিলেন।। তারপর আস্তে আস্তে তার আরও কাছে ঘেষতে চাইলে টুশি আপু তার চোখগুলো বন্ধ করে নেয় আর অম্নি রেহান মুচকি হেসে টুশি আপুর মুখে ফুঁ দিয়ে তার সামনের চুলগুলো এলোমেলো করে দিয়ে বাসায় ফিরতে ফিরতে বলতে থাকেন
-গুড নাইট ডল,,,
টুশি আপু চোখ খুলে বোকার মতো দাড়িয়ে থেকে হাসতে লাগলেন।। রেহানের এমন আচরণই তাকে আরও উনার প্রতি আকৃষ্ট করে।।
চলবে,,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share

#তোমাকে_চাই(Season_3)
#আরবি_আরভী
#Part_12
টুশি আপু চোখ খুলে বোকার মতো দাড়িয়ে থেকে হাসতে লাগলেন।। রেহানের এমন আচরণই তাকে আরও উনার প্রতি আকৃষ্ট করে।।
ঈদের পরের দিন আমাদের বাড়িতে অনেক মেহমান আসে।। ছোট বড় ভাই ভাবী সবাই এসেছেন।।রেহান গেস্টদের নিয়ে ভীষণ ব্যাস্ত।। ভাবীরা এসে রেহানকে নিয়ে আমার সাথে বিভিন্ন দুষ্টুমি করছেন,,,, আমিও হেসে সব উত্তর দিচ্ছি,,,,
-রেহান কখনও তোমার গায়ে হাত তুলেনি তাই না,, আর আমার একটা বর হাদারাম কিছু হলেই বকাঝকা শুরু করে,,
আমি মনে মনে ভাবলাম আপনার বর তো জাস্ট কথা শোনায় আর রেহান তো মেরে লাশ করে দেয় একদম।। সত্যি,,,,যে যার সাথে থাকে সেই বুঝে কত ধানে কত চাল।।
হঠাৎ রেহানকে দেখলাম একটা বাচ্চাকে কোলে নিয়ে খুব আদর করছেন আর কি যেন বিরবির করছেন।। কাছে গিয়ে দাড়াতেই উনি বাচ্চাটাকে আদর করতে করতে বলে উঠলেন,,,,
-গ্যাদা তোমার আম্মু চলে এসেছে,,,
আমি মুচকি মুচকি হাসছি।। উনি আমার দিকে তাকিয়ে এক ধমক দিয়ে বলতে থাকলেন,,,,
-এত হাসি কিসের কবে যে আম্মু-আব্বুকে নাতি নাতনির মুখ দেখাবো আল্লাহ জানেন,,,, (বাচ্চাটার সাথে খেলতে খেলতে)
-আমার এখনও বাচ্চা নেয়ার বয়স হয়নি,,,, আমি নিজেই তো এক বাচ্চা আমার এখন খেলার বয়স বুঝেছেন,,
-সেটাই তো বলছি,,, খুব মজা খেলা।। খেলবা জান,,
-না,,,,আপনার সাথে কোনো খেলা খেলি নাই,,,,,( মুখটা পেঁচার মতো করে,,)
এই বলে চলে এলাম।।। এদিকে রেহান হাসছেন এই দেখে বাচ্ছাটাও খিলখিলিয়ে হাসছেন।। কত্ত কিউট লাগছে দুজনকে।।
ইদানিং রেহানের ব্যবহার কেমন যেন হয়ে গেছে।। গম্ভীর হয়ে থাকে সবসময়।। ভালো করে কথাও বলে না।। খুব টায়ার্ডনেস দেখায়।।
হঠাৎ একদিন বিকেলে ছাদে টুশি আপু রেহানের সাথে খুব ঝগড়া করছে।।।শান্ত করতে রেহান টুশিকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরে যা মিঠি আপু দেখে ফেলেন।।
আমার কাছে এসেই আপু অস্বস্তি অনুভব করতে থাকেন।। আমি থাকে এমন করার কারন জানতে চাইলে মিঠি আপু জানান,,,,
-টুশি বাজে একটা মেয়ে তুই ওকে এত আশকারা দিচ্ছিস কেন আমি এটাই বুঝতে পারছি না নিসা,,,
-কিন্তু কি হয়েছে আপু সেটা তো বল প্লিজ,,,
-দেখ নিসা তুই আমার বোন তাই বলছি,,
-হ্যা বল আপু,,
-আমি ছাদে একটু আগে রেহান ভাইকে আর টুশিকে জড়িয়ে থাকতে দেখেছি,,,
-হা হা হা রেহানের প্লেন তাই না আমাকে বোকা বানাবেন,,,
-পাগল নাকি তুই যত্তসব,, আমার সাথে আয় তাহলে সব বুঝতে পারবি,,
সেখানে গিয়ে আমরা অবাক।। কিছুই নেই চারপাশটা ভালো করে দেখলাম কিন্তু না কাউকে দেখতে পেলাম না।। বেখেয়ালী হয়ে মিঠি আপুকে বললাম,,,
-আপু হয়তো অন্য কেউ ছিল,,,
-আমি দেখেছি ওদের,, আমার কথা বিশ্বাস না করলে পরে তুই পস্তাবি বলে দিলাম,,,
টেনশনে পরে গেলাম।। কি বলেন উনি।। রেহান অন্য মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছে। না এটা হতেই পারে না।। রেহান আমাকে ভালোবাসে।। বুঝছি মিঠি আপু আমাকে দেখলে জ্বলে তাই এমটা করছেন।।
রাতে রেহান ল্যাপটপে কাজ করতে থাকলে আমি রাগ দেখিয়ে ঠাস করে উনার ল্যাপটপটা অফ করে দিলে উনি অবুঝের মতো আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন,,,,
-কি সমস্যা,
-আপনার কি সমস্যা,, অন্য মেয়েদের জড়িয়ে ধরেন লজ্জা করে না,,,
-তোর কাছে এসব ফালতু নিউজ কে সাপ্লাই করে বলতো,,কাজ করছি নিসা প্লিজ ডিস্টার্ব করিস না প্লিজ,,
আমি নাক মুখ লাল করে জেদ দেখিয়ে বারান্দায় চলে এলাম।।অন্য মেয়েদের টার্চ করে আবার আমার সাথে জেদ দেখায়।। যদি মিঠি আপু সত্যি বলে তাহলে কি হবে।। আমি তো একদম একা হয়ে যাবো।।। কথাগুলো ভেবে ভীষণ কান্না পাচ্ছিল।। হঠাৎ রেহান পেছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে উনার মুখটা আমার কাধে রেখে বলতে লাগলেন,,,
-আমি তোকেই ভালোবাসি নিসা,,,, আচ্ছা তোর কাছে প্রুভ আছে আমি কাউকে জড়িয়ে ধরেছি কিস করেছি,,
-কিস এর কথা বলিনি জড়িয়ে ধরেছেন বলেছি,,,
-যাইহোক আছে তোর কাছে কোনো প্রুভ,,
-না নেই কিন্তু,,,,
-পরের কথায় কান দিতে হয় না লক্ষীটি,,,
তারপর আমার সামনে এসে চোখের পানি মুছে গালে আলতো করে তার ঠোঁটের স্পর্শ একে দিলেন।।
কিছুদিন যাবৎ শরীরটা খুব খারাপ লাগে।। বমি বমি পায়।। মাথা ব্যাথা করে।। কাজ করতে ভালো লাগে না।। শুধু ঘুম পায়।।আমি হয়তো বা অনেক দুর্বল হয়ে পরেছি তাই এমনটা হচ্ছে ।। রেহানকে এ বিষয়ে কিছুই জানাইনি অযথা চিন্তা করবেন।।
সকালে ছাদে কাপড় দিতে গেলে সেখানে নিচের ফ্ল্যাটের এক ভাবীর সাথে দেখা হয়ে যায়,,,,অনেক কথা হচ্ছে তার মধ্যে উনি হুট করে বলতে লাগলেন,,,
-টুশিরা কি তোমাদের আত্মীয় হন ,,,,
আমি কিছুক্ষন উনার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আস্তে করে উত্তর দিলাম,,,,
-না ,,
-যাক ভালো আমি তো ভাবছি রেহানের এত কি টুশিদের বাসায় টুশির সাথে হাসাহাসি,,,, টুশির আপুও দেখি বেশ জামাই আদর করে,,, এতে আমার কি কারো সংসারে আগুন দেয়ার কোনো ইচ্ছাই আমার নেই,,,, আমাদের বাড়িতে এসো,,
-__________(নিস্তব্ধ)
-এই নিসা আসি তুমি এসো,,
-হুমম আচ্ছা যাবো,,,
বাসায় এসে রেগে বালতিটা ফ্লোরে ছুড়ে ভেঙে ফেললাম।। সবাই এমন কি দেখছে উনাদের মধ্যে যা আমি দেখতে পারছি না।। খুব কান্না পাচ্ছে।। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে।। শরীরটাও ভালো লাগছে না ভ্যাসিনে একগাদা বমি করে আসলাম মাত্র।।ডাক্তারের কাছে এভার যেতেই হবে তাই রুমে এসে রেহানকে কল দিলাম,,,,,
-হ্যালো আপনে কি বিজি,,
-হ্যা একটু বিজি কেন কিছু লাগবে,,
-না কিছু না বায়,,
তারপর চাচীকে বলে মিঠি আপুকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে চলে গেলাম।। কিছু টেস্ট আর ইনফরমেশনের ভিত্তিতে ডাক্তার চাচ্চু জানান আমি প্রেগন্যান্ট।। ৪ সপ্তাহের প্রেগন্যান্সি ।। আমি শুনে তো সারপ্রাইজড ।। কি বলব বুঝতে পারছি না।। বিশ্বাসই হচ্ছে না।। ডেভিলটা শুনলে কেমন এক্সপ্রেসন দিবে ভেবে পাচ্ছি না।। কিন্তু উনাকে বলবে কে,, আল্লাহ আমার তো খুব লজ্জা করছে।। মিঠি আপুও অনেক হেপ্পি।। এই বংশের প্রথম মেহমান আসতে চলেছে,,,, সবাই কত খুশি হবে তাই না।।
তাৎক্ষনিক মিঠি আপুকে বললাম কল করে রেহানকে বিষয়টা জানাতে,,,।। কিন্তু উনার ফোন ওয়েটিংয়ে আছে তাই কিছু বলতে পারলাম না।।
রিকশা করে বাড়ি ফিরছি।। মিঠি আপু রেহানকে কিভাবে চমকে দেয়া যায় সেটা নিয়ে প্লেন করছেন।। আমি লজ্জায় কিছুই বলছি না।। খুব হেপ্পি লাগছে।। রাস্তা ক্রসিংয়ের সময় আমাদের রিকশাটা একটা গাড়ির পাশ দিয়ে যায়।। ভেতরে রেহান আর টুশি হাসাহাসি করছে।। টুশি তার চুলগুলো রেহানের মুখে এনে ধরছে আর রেহান রাগিভাব নিয়ে সেগুলো সরিয়ে নিয়ে হাসছেন।।
চোখ থেকে ঘৃণার জল পরতে লাগলো।। বেঈমান।। ছ্বিঃ রেহান এমনটা করতে পারলো আমার সাথে।। ইচ্ছে করছে এই রাস্তায় নিজের জীবন দিয়ে দি।।।
চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে