তোমাকে_চাই পার্ট_৫+৬
#আরবি_আরভী
উনার সাথে ওয়াশরুমে ডুকে দরজার লকটা লাগিয়ে সামনের দিকে তাকাতেই দেখি ফরসা শরীরটায় উনি খালি গায়ে নিচে একটা সাদা টয়েল পরে, মুখে সাবান মাখানু অবস্থায় বসে আছেন।। খালি গা থেকে টপ টপ করে পানি পরছে এমন দৃশ্য দেখে নিজেকে সামলানো অনেক মুশকিল,, অনেক বেশি Hot লাগছিল উনাকে,,,,,, আমি সুধু উনার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি ,, ,,,উনি আমার দিকে না তাকিয়ে একটা শাম্পুর বোতল এগিয়ে দিলেন আমি কিছু না ভেবে ২ হাত দিয়ে তার মাতায় শাম্পু করতে থাকলাম উনি অনেক কথা বলছেন আমি সুধু “হুম্মম” করে উত্তর দিচ্ছি,,,,হতাৎ করে কি যেন বুজে উনি উনার মাতায় হাত দিয়ে আমার হাতগুলো ধরলেন আর উপরের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখে তার চোখ গুলো রসগোল্লার মতো করে বসা থেকে উঠে পরলেন আর একদম বাকরুদ্ধ হয়ে ২ মিনিত তাকিয়ে থেকে বিস্মিত হয়ে বলে উঠলেন,,,
-নিসা?
-??? ( লজ্জায় ও ভয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছি),,,
-তুইইইইইইইইই এখানে কিভাবে এলি,,,
নিচ থেকে তার দিকে তাকানোর সাহস পাচ্ছিলাম না অনেক লজ্জা করছিল আর ভয়ও মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম আর বললাম এভারের মতো বাচাই দেও আল্লাহ প্লিজ কারন উনি খুবি রেগে গিয়েছিলেন ,,,,,আমার নিস্তব্ধতা দেখে এভার তিনি রুহ্ম কন্ঠে বলে উঠলেন,,
-এই মেয়ে,, তর কি কোন লজ্জা, ভয় নাই,,,, তুই কোন সাহসে এই কাজটা করলি বল,,,,,,বল বলছি (প্রচন্ড চিৎকার করে),,,,
আমি তার চিৎকারে চমকে উঠে করুন দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় উত্তর দিয়েছিলাম,,,,
-আপনে চাচিকে ডাকছিলেন চাচি ঘরে নেই তাই আমি,,,,,
কথাটা শেষ না করতেই রেহান ভাইয়া আমাকে ঠাসসসসসসসস করে অনেক জোড়ে একটা থাপ্পর দিয়ে বললেন,,,,
– তাই তুমি চলে এসেছ,,,তাই তো,,আচ্ছা তর কি কোন লজ্জা নেই এখন কেউ যদি দেখে তাহলে কত উল্টা-পাল্টা কথা বলবে তর কোন ধারনা আছে নিসা,,,(প্রচন্ড রেগে)
আমি থাপ্পর দেয়া গাল্টায় হাত দিয়ে কান্না করতে করতে উত্তর দিলাম,,
-বলুক,,,, আমি তো চাই মানুষ জানোক যে আমি আপনাকে কত্ত love করি?,,,,,,তারপর রেহান ভাইয়া আমাকে আবার কষে একটা থাপ্পর দিয়ে বললেন,,,,
-Get Lost,,,,
ততখনে মিঠি আপু চৌতি আপু রেহান ভাইয়ার রুমে এসে তাকে ডাকছেন,,,
আমি কিছু না ভেবে চোখের পানি মুজতে মুজতে যেই না দরজার লকটা খোলতে হাত বারাব অম্নি রেহান ভাইয়া আমার হাতটা ধরে একটানে আমার পুরু শরীরটাকে তার ভেজা শরীরটার সাথে এক করে দিল আর একটুর জন্য আমাদের Lip Kiss হয়ে নাই,,,,আমার উপর পানি পরছে,,,,, ভেজা শরীরটা উনার বুকের সাথে লেপ্টে আছে,,এমন ফিলিংস এ সুধু একটাই গান চলে,,,,
Istarase khud se aah mujhko jhur tu,,,,,thura bhi mhujko na mujhme chur tuuu,,,na iyad teri tujhko,, na iyad mhuje ho me,,,,,,, ???
আমার কল্পনার ছেদ ঘটল মিঠি আপুর ডাকে,,
-রেহান ভাইয়া ওওও রেহান ভাইয়া (জোড়ে জোড়ে ডাকছে)
ওয়াশরুম থেকে রেহান ভাইয়া উত্তর দিল,,
-আমি শাওয়ার নিচ্ছি ,,
-আপনার কি দেরি হবে?? (মিঠি আপুর কন্ঠ)
-হুমম অনেক দেরি হবে তরা যা,,,
তারপর ঊরা চলে গেল আমিও আর দেরি না করে নিচের দিকে তাকিয়ে ওখান থেকে বেরিয়ে পরলাম,,,,
পরের দিন সকাল বেলা স্কুলে যাওরার সময় দেখলাম রেহান ভাইয়া আর রিয়া আপু মিঠি আপু অনেক হাসাহাসি করছে,,,,হতাৎ দেখলাম রিয়া আপু হাসি দেয়ার বাহানা করে রেহান ভাইয়ার হাত ধরে শুধু আমার খুব জলছিল।।ইচ্ছা করছিল রিয়াটাকে ধরে আছাড় মারি, বেয়াদব কোথাকার একদম সয্যই করতে পারছিলাম না আবার কিছু বলতেও পারছিলাম না কারন এখন ওখানে গেলে রেহান ভাইয়া আমাকেই অপমান করবে মনে শত রাগ নিয়ে কিছু না বলে স্কুলে গেলাম,,, স্কুলের পড়ায় আমার মন বসছিল না,,, সুধু সকালের দৃশ্যটা মনে করছিলাম আর নিস্তব্ধভাবে কাঁন্না করছিলাম,,,,, দুপুরে বাড়িতে ফিরে ঘরে ব্যাগটা রেখে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমের দিকে যাবার সময় দেখলাম রিয়া আপু কার সাথে যেন ফোনে বলছে যে তার মনে হয় রেহান ভাইয়াও তাকে (রিয়াকে) পছন্দ করেন,,,,,,,,
কথাটা শুনা মাত্রই আমার উপরে যেন আকাশ ভেঙে পরে আমি অঝোর নয়নে কাঁন্না করতে থাকি,,,,
দৌড়ে রেহান ভাইয়ার রুমে গেলাম গিয়ে দেখি রেহান ভাইয়া পরছেন আমি তার রুমের দরজাটা অনেক জোড়ে বন্ধ করলাম উনি দরজার আআওয়াজ শুনে পিছনে তাকিয়ে আমাকে দেখে চেয়ার থেকে উঠে পরলেন আমি নাক মুখ লাল করে চোখের পানি মুছে চিৎকার করে উনার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,,,
-আমি আপনাকে অনেক ভালবাসি করি,,,আপনে কি আমাকে ভালবাসেন?
-তুই একটা পিচ্চি নিসা,,,,,,?
আমি পিচ্চি কথাটা শুনা মাত্রই তার কাছে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে নিজের ঠোঁটগুলোর সাথে তার ঠোঁটগুলো মিশিয়ে নিলাম,,,,,,,,,
চলবে
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
#তোমাকে_চাই
#পার্ট_৬
#আরবি_আরভী
আমি পিচ্চি কথাটা শুনা মাত্রই তার কাছে গিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে নিজের ঠোঁটগুলোর সাথে তার ঠোঁটগুলো মিশিয়ে নিলাম,,,,,,,,, তারপর উনি আমাকে এক টানে নিজের শরীর থেকে আলাদা করে অনেক জোড়ে একটা থাপ্পর দিয়ে রাগি কন্ঠে বললেন,,,
– তুই লিমিট ছাড়িয়ে গেছিস নিসা,,বেহায়া মেয়ে ,,,এত্তটা নিচে নেমে গেছিস তুই আমি জানতাম না,,,নির্লজ্জ মেয়ে একটা,(চিৎকার করে রাগি কন্ঠে)
আমি থাপ্পর দেয়া গালটায় ধরে নিচের দিকে তাকিয়ে অয্যর নয়নে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁন্না করছিলাম ঠোঁট থেকে রক্ত পরছিল মনে হয় কেঁটে গেছে আর মনে মনে রিয়া আপুর কথাগুলো মনে করে ভাবতে লাগলাম,,(আপনে তো জানেন না আপনাকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ার মানুষর অভাব নেই,,,তাই বেহায়া হতে আমি বাধ্য ?) উনি আমার নিরবতা দেখে বলে উঠলেন,,,
-নিসা প্লিজ তুই এখান থেকে যা,,,,তকে আমার একদম সহ্য হচ্ছে না,,,
আমি তার কথাটায় পাত্তা না দিয়ে মূর্তির মতো নিস্তব্ধ হয়ে দারিয়ে আছি আর কান্না করছি,,,,উনি রেগে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে দরজার কাছে এক টানে নিয়ে আসেন তারপর দরজাটা খোলে দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে বাহিরে চলে যেতে ইশারা করেছিলেন আর প্রচন্ড রেগে বলেছিলেন,,,
-আর কোন দিন তকে যেন আমার রুমে না দেখি,,
আমি তার মুখের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে চোখ থেকে দু-ফোটা পানি ছেড়ে দিলাম।।উনি অবশ্য দেখেনি কারন উনি বাহিরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন,,,,আমি আর দেরি না করে চোখের পানি মুছে ওখান থেকে দৌড়ে নিজের রুমে এসে কাদতে লাগলাম,, উনি কেন বোজেন না আমি তাকে কত ভালবাসি, কেন কেন?? ঐ দিন রাতেও কিছু খাইনি সুধু কাঁন্না করছিলাম,,,রিয়া আপু, মিঠি আপু চৌতি আপু আম্মু সবাই অনেকবার বলেছিল খেয়ে নিতে আমি তাদের কথায় সাড়া দেইনি সারা রাত নিরবে কেঁদেছিলাম,,,,
পরের দিন সকাল বেলা স্কুলে যাওয়ার সময় দেখি মিঠি আপু রিয়া আপু আর রেহান ভাইয়া মিলে গল্প করছে আমাকে দেখে রিয়া আপু ডেকে বলল,,
-কিরে নিসা তর ঠোঁটের কি হইছে,,,কেঁটে গেল কিভাবে??
কথাটা বলতেই আমার কাল রাতের থাপ্পরটার কথা মনে পরে যায় তখন আবেগের বশে যেই না বলব “আপু কালকে রেহান ভাইয়াকে,,,,” তখনি রেহান ভাইয়া আমাকে থামিয়ে দিয়ে রিয়া আপুকে বললেন,,,,
-আসলে কালকে আমার রুমে আসার সময় নিসা আছাড় খেয়ে পরে গেছে,,,, পিচ্চি মানুষতো ভালো করে হাঁটতে পারে না ?
তারপর ওখানে থাকা সবাই হাসা শুরু করল,, আমি আর কথা না বারিয়ে রেহান ভাইয়াকে একটা ভেংচি কেটে স্কুলে চলে গেলাম,,,,
ঘটনাটির কয়েক দিন পর জিনিয়া আপু (মিঠি আপুর মামাতো বোন) আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন,,,জিনিয়া আপু রেহান ভাইয়া মিঠি আপু রিয়া আপু মিলে অনেক হাসাহাসি করছে আর গল্প করছে , জিনিয়া আপু বেশ সুন্দরী,,,,,ছোট বেলা থেকেই জিনিয়া আপু আর রেহান ভাইয়া একে -অপরের অনেক ঘনিষ্ঠ আর ছোট বেলায় তারা নাকি বউ-জামাই খেলাও খেলত।।।আম্মু বলেছে।।।তাদের একসাথে এইভাবে হাসাহাসি করা আমার জাস্ট অসহ্য লাগছিল একদম মানতে পারছিলাম না মনে হচ্ছিল এখনি ওখানে গিয়ে জিনিয়া আপুকে বাড়ি ফিরে যেতে বলি,,,,একপর্যায়ে দেখলাম জিনিয়া আপু রেহান ভাইয়ার সাথে এমনভাবে সেল্ফি তুলছেন যেন উনি তার স্বামি,, রাগে আমার গাঁটা গিজগিজ করছিল আর রিয়া আপুতো কোন চান্সি miss করছে না রেহান ভাইয়ার হাতে, কাধে টাস করার দেখে থাকা ছাড়া আমার আর কিছু করার ছিল না,,,
রাত্রি বেলা পড়তে বসেছি কিন্তু পড়ায় আমার কোন মন নেই,,,,রেহান ভাইয়ার প্রতি জিনিয়া আপুর চাহনি, রিয়া আপুর ক্লজ আসার চেষ্টা সবকিছু আমার বুকের বা পাশটায় ঠিক কাঁটার মতো বুনছিল,,,,অনেক কাঁন্না পাচ্ছিল আমার,,,হতাৎ আম্মু আমাকে ডেকে বললেন,,,
-নিসা তর রেহান ভাইয়াকে একটু ডেকে আনতো,,
আমি কথাটা শুনে মনে মনে ভাবলাম রেহান ভাইয়ার রুমে যাওয়া এত্ত বড় সুযোগ হাত ছাড়া করে কে? তাই সাথে সাথে পড়ার টেবিল থেকে এক লাফে উঠে রেহান ভাইয়ার রুমে গিয়ে দেখি রেহান ভাইয়া পিছন ফিরে ফোনে কথা বলছেন আমাকে দেখে অভিমানি কন্ঠে বলে উঠলেন,,,
-তুই এইসময় এইখানে কেন নিসা??
আমি নিজেকে আর আটকাতে পারলাম না দৌড়ে তার কাছে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম আর কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলেছিলাম,,,
-ভালোবাসি আপনাকে অনেক
চলবে