তোমাকে_চাই পার্ট_১০+১১ শেষ
#আরবি_আরভী
উনি অন্যদিকে তাকিয়ে আইস্ক্রিম খেতে খেতে বললেন,,,,
-নিসার পা আছে ও নিজে গিয়ে আইস্ক্রিম আনতে পারে,,,,
তখন আমি বুজেছিলাম আসলে রেহান ভাইয়া ইচ্ছা করেই আমার জন্য আইস্ক্রিম আনেননি,,,আমি অনেক ঘৃন পেয়েছিলাম ঐ দিন নিজের চোখের পানি আড়াল করতে পারছিলাম না তাই সবার সামনেই কেঁদে দিয়েছিলাম??কেউ কিছু না বুজলেও তিশা আপু হয়তো কিছুটা আন্তাজ করতে পেরেছিলেন,, আমি চোখের পানি মুছতে মুছতে উঠে যেতেই তিশা আপু আমার হাতটা ধরে বললেন,,,
-চল আমি তোকে আইস্ক্রিম কিনে দিব,,
আমি তার হাতটা ছাড়িয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,,
-না আপু আমি খাব না,,, তুমি খাও,,,,☺
তার কিছুখন পর মিঠি আপু রেহান ভাইয়া চৌতি আপু নাগর দোলায় চরার জন্য যাচ্ছেন আমিও তাদের সাথে যেতে চাইলে রেহান ভাইয়া একেবারে মুখের উপর না বলে দিয়েছিলেন কিন্তু আমাকে যে উনার রাগ ভাঙাতেই হবে তাই একপ্রকার জোর করেই তাদের সাথে গেলাম,,,আমি আর চৌতি আপু একপাশে আর আমাদের সামনে রেহান ভাইয়া ও মিঠি আপু বসেছেন,, রেহান ভাইয়া তো আমার দিকে তাকাচ্ছেনি না যেমন ওখানে উনি, মিঠি আপু চৌতি আপু ছাড়া আর কেউ নেই,।।।নাগর দোলা ঘুরতে শুরু করলে আমরা সবাই আনন্দে চিল্লাচিল্লি শুরু করি কিন্তু চোখটা একটু আড়াল করতেই দেখি মিঠি আপু রেহান ভাইয়ার হাতটা আকড়ে ধরে বসে আছেন রেহান ভাইয়াও কিছু বলছেন না বরং ওরা কথা বলছেন হাসাহাসি করছেন?,, দৃশ্যটা দেখে আমার উপরে যেন আকাশ টা ভেঙে পরল,,,আমি কোন রকমে নিজেকে সামলিয়ে নিচে এসে অজ্যর নয়নে কাঁদতে লাগলাম,,
ওদিকে রেহান ভাইয়া আর মিঠি আপু মিলে রেহান ভাইয়ার মোবাইলে কি যেন করছে আর দুজনেই প্রচুর হাসছে,, আমার অনেক কষ্ট লাগছিল তাদের এইরুপ মেলামেশা দেখে কিন্তু আমার দেখে যাওয়া ছাড়া আর কিছু করার ছিল না ,,,,,, পার্কের পরিবেশটা ছিল খুবি সুন্দর চারদিকে বাচ্চারা ফুল বিক্রির জন্য ছুটাছুটি করছিল,, পার্কের একপাশে বসে একটা লোক হরেকরকমের চুড়ি বিক্রি করছিলেন, চুড়ি আমার খুব প্রিয় তারউপর দেখলাম রেহান ভাইয়াও ওখানে দাড়িয়ে আছেন তাই দেরি না করে একজোড়া কাচের নীল চুড়ি হাতে নিয়ে রেহান ভাইয়াকে দেখিয়ে বললাম,,
-কিনে দিবেন??
উনি কিছু উত্তর করার আগেই মিঠি আপু তিশা আপু চৌতি আপু এসে হাজির,, ওরাও অনেক চুড়ি কিনছেন আমি আমার নীল চুড়িগুলো হাতে পড়ে নাড়াচাড়া করছি আর হাসছি আসলে চুড়িগুলো আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল তারপর রেহান ভাইয়া সবার চুড়ির দাম দিয়ে মোবাইলে ব্যাস্ত হয়ে পরলেন একবার দেখলেনও না আমার হাতে চুড়িগুলো কেমন মানিয়েছে,,,, আমি তার দিকে তাকিয়ে একটা ভেংচি কেটে যাওয়ার জন্য যখনি পাটা বাড়ালাম অম্নি পেছন থেকে চুড়িওয়ালার ডাক,,,
-এইযে আপা,,
আমি পেছনে ফিরে উত্তর দিলাম,,
-জ্বি?
-আপনে তো চুড়ির দাম দেন নাই,,
আমি চুড়িওয়ালাকে রেহান ভাইয়াকে দেখিয়ে বলেছিলাম,,,,
-উনি দেন নাই চুড়ির দাম,,?
-হুম্মম দিয়েছেন তো অন্য আপাগো,, আপনারটা তো দেয় নাই,,
কথাটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না কারন রেহান ভাইয়া এমন মানুষী না তাই আমি চুড়িওয়ালার কথায় পাত্তা না দিয়ে বলে উঠলাম,,,
-আপনে ভালো করে দেখেন দিয়েছেন,, হয়তো আপনে গুনতে ভুল করছেন,,,
-না আপা দেয় নাই এই যে দেখেন (টাকাগুলো খোলে দিয়ে),,
আমাকে চুড়িওয়ালার সাথে কথা কাটাকাটি করতে দেখে রেহান ভাইয়া বলে উঠলেন,,,
-আমি দেইনি,,,চুড়িগুলো পছন্দ হলে নিজে কিনে নে,,,,,
আমি রেহান ভাইয়ার দিকে অপলকভাবে তাকিয়ে লজ্জায় কাঁন্না করছিলাম উনি আমার দিকে তাকিয়েও না তাকানোর বান করছিলেন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম (একটা মানুষ আরেকটা মানুষকে এইভাবে অপমান করতে পারে??),,, আমি চোখের পানি মুছে হাত থেকে চুড়ি গুলো খুলে ঝুড়িতে আবার আগের জায়গায় বাজ করে রেখে দিলাম কারন আমার কাছে কোন টাকা ছিল না যে আমি কিনব।।
বাসায় এসে সবাই ঘুমিয়ে পানি কিন্তু আমার চোখে ঘুম নেই জানালাটা খুলতেই দেখি রেহান ভাইয়ার রুমের আলো জ্বালানো তাই আর দেরি না করে উনার রুমে দৌড়,,,, কারন আমাকে জানতেই হবে রেহান ভাইয়া আর মিঠি আপু মোবাইলে কি করছিলেন।।
উনার রুমে গিয়ে দেখি উনি রুমে নেই হয়তো ওয়াশরুমে ফ্রেশ হচ্ছেন আমি এই সুযোগে তারাতারি করে তার ফোনটা খোঁজতে লাগলাম কিন্তু কোথাও খোঁজে পাচ্ছিলাম না।। তাই আর না খোঁজে রুম থেকে বেড়িয়ে আসার সময় কেন জানি না মনে হল তার জিন্সে একবার খোঁজে দেখা যেতে পারে তাই উনার জিন্সের পকেটে হাত দিলাম ডোকিয়ে,,,,ও মা আমি শিহরিত!!!! জিন্সের পকেটে এইসব কি??।। হাতটা বের করে দেখলাম একটা গলে পানি হয়ে যাওয়া আইস্ক্রিম, কয়েকটা আমার পছন্দের চকলেট, একটা গোলাপ ফুল আর সাথে আমার পছন্দের নীল চুরিগুলোও আছে,,,,,,আমার আর বুঝতে বাকি রইল না যে উনি আমার জন্য সবইকিছুই কিনেছিলেন শুধু আমাকে কষ্ট দিতে আমার হাতে দেন নি।।।
জিনিসগুলো হাতে নিয়ে কথাগুলো ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি রেহান ভাইয়া ওয়াশরুম থেকে বের হচ্ছেন,,, আল্লাহ রে এত্ত রাতে উনি যদি আমাকে এখানে দেখেন তাহলে অনেক বকা দিবেন।।। তাই কিছু না ভেবে তারাতারি করে জানালার পর্দায় গিয়ে লুকিয়েছিলাম মনে মনে চিন্তা করলাম উনি রুম থেকে বের হলেই আমি একদৌড়ে নিজের রুমে চলে যাব,,,,কিন্তু আমার চিন্তায় পানি ফেলে রেহান ভাইয়া রুমের দারজাটা লক করে, ফ্যান চালু করে, আলো নিভিয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লেন,,, আমি অন্ধকার আচ্ছন্ন রুমটায় পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে রইলাম,,,,,,,,
চলবে
#তোমাকে_চাই
#পার্ট_১১ (শেষ পর্ব)
#আরবি_আরভী
রেহান ভাইয়া রুমের দরজাটা লক করে, ফ্যান চালু করে, আলো নিভিয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পড়লেন,,, আমি অন্ধকার আচ্ছন্ন রুমটা পর্দার আড়ালে দাড়িয়ে রইলাম???,,,অনেক্ষন যাবৎ পর্দার ভেতরে মশা আমার সাড়া শরীর কামরিয়ে যা-তা অবস্থা করে ফেলেছিল? আবার চারদিকের অন্ধকারে আমার প্রচন্ড ভয়ও করছিল,,,আমি আর সইতে না পেরে পর্দাটা একটু আড়াল করে রেহান ভাইয়ার দিকে তাকালাম বাহিরের লাইটের আলোয় উনার ফর্সা মুখটা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছিল,,, আমি আর দেরি না করে দরজাটার কাছে এসে দেখি দরজাটা একদম লক করা খোললে অনেক শব্দ হবে মনে মনে ভাবলাম আওয়াজে যদি রেহান ভাইয়া উঠে যায় তাহলে তো আমাকে অনেক বকা দিবে? তাই আর উপায় না পেয়ে উনার খাঠের কাছে এসে বিছানা থেকে কোলবালিশটা সরিয়ে নিজেই উনার সাথে শুয়ে পরলাম,,,,,কিছুখন পর রেহান ভাইয়া পাশ মোড়ে আমাকে এক টানে তার কাছে নিয়ে শক্ত করে চেপে ধরে তার শরীরের সব ভার আমার শরীরের উপর দিয়ে আমার বুকের উপরে আবার ঘুমিয়ে পরলেন (উনি হয়তো আমাকে কোলবালিশ মনে করেছিলেন),,,আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম বুকের ভেতরে কে যেন ঢোল পিটাতে শুরু করেছিল একদম নড়াচড়া করতে পারছিলাম না,,,, আমি যত নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে চাচ্ছিলাম উনি তত আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছিলেন,,,, তারপর কখন যে আমিও ঘুমিয়ে পরলাম তা ঠিক মনে নেই,,,,,
মাঝরাতে রেহান ভাইয়া আমাকে দেখে রীতিমত চিৎকার করে তার আম্মুকে ডাকছেন,,আমি তার চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শোনে ঘুম ঘুম চোখে তার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি উনার চোখগুলো রসগোল্লার মতো করে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন,,, আমি লাফ দিয়ে উঠে, বসে নিচের দিকে তাকিয়ে নিজের ওড়নাটা ঠিক করে নিয়েছিলাম,,,,, উনি আমাকে দেখে হতভম্ব হয়ে বলে উঠলেন,,,
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।
গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা
◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।
আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share
-নিসাআআআআআ তুই এখানে এত্ত রাতে আমার রুমে কিভাবে এলি (কথাগুলো বলছে আর বারে বারে দরজার দিকে তাকাচ্ছে)??
আমি কিছুই বললাম না নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম?
-কিরে বইছিস না কেন ( ভীষণ রেগে আমাকে বিছানা থেকে নামিয়ে) ?
-রেহান আসলে আমি আপনার খোঁজে এখানে এসেছিলাম কিন্তু আপনে ওয়াশরুমে ছিলেন পরে আপনাকে দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই আর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে ছিলাম কিন্তু আপনে সব অফ করে শুয়ে পরেছিলেন আমি দরজা খোললে অনেক শব্দ হত আর জেগে গিয়ে আপনি যদি আমাকে বকা দিন তাই উপায় না পেয়ে আমি,,,,,(কথাটা শেষ না করতেই)
-চুপ বেয়াদব,, তাই আপনে আমার সাথে শুয়ে পরেছেন তাইতো( অনেক রেগে),,,নির্লজজ মেয়ে কোথাকার ?
-হুম্মম
-আবার হুম্মম বলছিস?,,,,, তর কি কোন ধারণা আছে কেউ এখন তোকে এখানে দেখলে কত কি ভাববে?????
আমি কিছু বলব তার আগেই উনি আমার হাতটা শক্ত করে ধরে দরজাটা আস্তে আস্তে খোলে এক দৌড়ে আমাকে নিজের রুমে দিয়ে গেলেন,,,
পরেরদিন স্কুল থেকে অনেক বন্ধুরা মিলে একসাথে বাড়ি ফিরছিলাম হতাৎ মিলি (আমার বন্ধু) আমার হাতে একটা চিঠি দিয়ে বলল এইটা নাকি আমাকে আকাশ দিতে বলেছে,,, আমি নিতে চাইনি কিন্তু মিলি আমাকে জোর করে দিয়ে গেল,, তারপর বাড়িতে এসেই রেহান ভাইয়ার সাথে আমার গেইটে দেখা হয়ে গিয়েছিল উনি প্রায় চলেই গিয়েছিলেন কিন্তু আমার হাতে চিঠিটা দেখে আবার ফিরে এসে এক টানে হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে মন দিয়ে পড়ে বলে উঠলেন,,,
-তুই নাকি আকাশ নামে কাউকে চিনিস না,, তাহলে এই চিঠির মানে কি??
আমি কিছুই বলছিলাম না নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম,, উনি এবার ভীষণ রেগে বললেন,,
-স্কুলে গিয়ে তাহলে এইসব করিস,,,আর কোন দিন যদি তোকে আমার রুমে, আশেপাশে দেখি তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না নিসা,, ??
কথাটা বলে উনি বাইক নিয়ে চলে গেলেন ? সারাদিন তার সাথে আমার কোন কথা হল না ভীষন রেগে ছিলেন উনি?,,, রাতে আমি ছাদে গিয়ে দেখি রেহান ভাইয়া একাকী দাড়িয়ে মোবাইলে গান শুনছেন,,,
bekhudi,, bekhudi mere dil pe esi chaiyi,, tuhi tu mujhme samaiyi bangaiyi meri khudai beliya,,,duniya hojaye parai na de na mujhko rehahi ab kobul na judaai beliya,,,,,
আমি আস্তে আস্তে উনার কাছে গিয়ে উনাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম (উনি হয়তো এখন আমার স্পর্শও চিনে গেছেন) উনি আমাকে কোন জবাব না দিয়ে একদৃষ্টিতে একদিকে তাকিয়ে আমাকে বলে উঠলেন,,,
-ছেলেটা কে নিসা,,,,?
আমি মুচকি হেসে তাকে রাগানোর জন্য বললাম,,,,
-আমার জান?
উনি পাশ ফিরে আমাকে কষে একটা থাপ্পর দিয়ে বললেন,,
-তাহলে আমার জীবনটা কেন নষ্ট করছিস???
তারপর উনি চলে গেলেন,,,আমি ওখানে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে কাঁন্না করতে থাকলাম,,,,(অনেক ব্যাথা পেয়েছিলাম)???
পরেরদিন বিকেলে অনেক বৃষ্টি হচ্ছিল ড্রইংরুমে বসে আম্মু আমার দুই চাচি সব কাজিনরা মিলে গল্প করছিলাম,, রেহান ভাইয়া মনোযোগ সহকারে মোবাইল চালাচ্ছিলেন হতাৎ করে আমার আম্মু রেহান ভাইয়ার আর মিঠি আপুর আম্মুকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,,,
-আমাদের রেহান আর মিঠিকে তো মাশাল্লাহ একসাথে অনেক ভালো লাগবে,,,,বিয়েটা হলে মিঠির আম্মুও একটা ছেলে পেয়ে যাবে (মিঠি আপুদের কোন ভাই নেই)
রেহান ভাইয়ার আম্মু বললেন,
-দেখি,,,,ছেলেটার পড়াশোনা আগে শেষ হক তারপর বিয়ের চিন্তা ভাবনা,
কথাগুলো শোনে আমার বুকটা কেমন যেন ব্যাথা ব্যাথা করে উঠল ওদিকে মিঠি আপু রেহান ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে মুচকি হাসছেন রেহান ভাইয়াও মোবাইল চালাচ্ছেন আর মুচকি হাসছেন যা দেখে নিজের অনুভূতিটাকে ভেতরে ধরে রাখা সত্যি কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল আমার এখানে কোন অস্তিত্বই নেই,,?? তাই আমি ওখান থেকে উঠে দৌড়ে ছাদে চলে গিয়েছিলাম অনেক বৃষ্টি পড়ছিল,, আমি খোলা বৃষ্টিময় আকাশটার দিকে তাকিয়ে কাদতে লাগলাম,, কিছুখন পর রেহান ভাইয়া এসে আমার পাশে দাড়ালেন,,,
-কি রে কাঁদছিস কেন,,,,তর তো জান আছেই তাহলে আর কাঁদার কি আছে?
আমি তার কথার কোন উত্তর দিচ্ছিলাম না নিচের দিকে তাকিয়ে শুধু কাঁন্না করছিলাম,,,, উনি আমাকে অবাক করে দিয়ে বলে উঠলেন,,,
– ঐ বোকা আমি যদি বিয়েতে রাজি না হই তাহলে আম্মু কখনোই আমাকে জোর করবে না,,,?
-তাহলে মুচকি হাসছিলেন কেন? ?
উনি হেসে বললেন,,
-কারন চাচির আর আম্মুর কথাটা শোনার পর আপনার মুখটা দেখার মতো ছিল,,,চোখ থেকে টপ টপ করে পানি পরছে,,নাকটা লাল হয়ে গেছে??,,,আমি তোকে ভালবাসি নিসা,
আমি তার দিকে রাগান্বিত ভাবে তাকিয়ে বললাম,,
-বিশ্বাস করি না,,
উনি মুচকি হেসে বলে উঠলেন,,
-আচ্ছা চল বিয়ে করে ফেলি?
-কিইইইইইইইইই?
-হুম্মম এই আকাশকে, বাতাসকে,এই বৃষ্টিকে, এই ছাদকে সাক্ষী রেখে চল বিয়ে করি,,
-???( আমার বলার মতো কোন ভাষা ছিল না)
-আমি সব বিধিবিধান মেনে আপনাকে বউ হিসেবে মানলাম,, আপনে রাজি থাকলে ৩ বার কবুল বলেন,,
আমি শুধু উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম,,
-কিরে বলিস না কেন?
-কবুল,কবুল,কবুল
তারপর উনি আমার কাছে এসে আমাকে এক ধাক্কায় ছাদের ঘরের সাথে মিশিয়ে নিয়ে একটু একটু করে আমার দিকে এগুতে লাগলেন আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম,,, উনি আমার পিঠে হাত দিয়ে এক হাত কোমড়ে রেখে আমার ভেজা শরীরটা তার ভেজা শরীরটার সাথে এক করে দিলেন তারপর আস্তে আস্তে তার ঠোঁটগুলো আমার ঠোঁটগুলোর সাথে মিলিয়ে নিলেন,,,আমরা ভেসে গেলান ভালবাসার অজানা এক রাজ্যে ♥
…………………. সমাপ্ত………………….