#তোমাকে_চাই💖
#কলমে_অনন্যা(অনু)
#অন্তিম_পর্ব
(১৩)
আজ সেই বিশেষ দিন যে দিনের জন্য তন্ময় আর তরু অপেক্ষায় ছিল।মানে আজ তরু আর তন্ময় এর বিয়ে।সকাল থেকেই সবাই খুব ব্যস্ত।সারা বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।
তরু ঘরে বসে হাতের মেহেন্দি দেখছে।মেহেন্দি ডিজাইনটা তন্ময় পছন্দ করে দিয়েছে।তরু নিজের ভাবনায় এতোটাই ব্যস্ত যে ঘরে কে এসেছে সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ নেই।
সুকন্যা আর বিবেক অনেকক্ষণ ধরে তরুর ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তরুকে ভাবুক হয়ে থাকতে দেখে সুকন্যা আর চুপ থাকতে পারল না।
“এতো জিজুর কথা ভাবিস নারে আমাদের কথাও ভাব”,সুকন্যা মিটিমিটি হেসে বলল।
সুকন্যার কথায় তরু কল্পনার দুনিয়া থেকে বাস্তব ল্যান্ড করলো।
“কেরে তুই যে তোর কথা ভাবে ও?”,মুখ বেকিয়ে বলল বিবেক।
“এই শোন আমি কিন্তু আমার কথা ভাবতে বলিনি।আমাদের কথা ভাবতে বলেছি!”,সুকন্যা ঝাঁকিয়ে উঠে বলল।
“তোরা এসেই শুরু করে দিয়েছিস।তা কখন এসেছিস?”,তরু উঠে দাঁড়িয়ে বলল।
“অনেকক্ষণ আগে!”,বিবেক তরুর পাশে বসে বলল।
“এতোক্ষন কোথায় ছিল তবে?এখানে আসতে পারলি না আমি একা একা বসে আছি”,অভিযোগের সুরে বলল তরু।
“আমরা অনেক আগেই তোর ঘরে এসেছি কিন্তু তুই এতোটাই জিজুর ভাবনায় ব্যস্ত যে আমাদের দেখিস নি!”,সুকন্যা ঠোঁট টিপে হেসে বলল।
“মোটেও আমি তন্ময়ে কথা ভাবছিলাম না!”,লাজুক হেসে বলল তরু।
“থাক থাক আর মিথ্যে বলে কাজ নেই।আসল কথা বল এখন!”,বিবেক বলল।
“কি আসল কথা?”,ভ্রু কুঁচকে বলল তরু।
“দিয়া চুরেল টাকে কি করে জেলে পাঠালি?এটা জানার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি”,সুকন্যা বলল।
“হ্যাঁ রে বলতো কি করে সম্ভব হলো এটা?”,অস্থির হয়ে বলল বিবেক।
“আচ্ছা আচ্ছা বলছি”তরু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
তরু বলতে শুরু করল,”সেদিন তন্ময় এর সাথে মিসবিহেব করার পর যখন তোদের বললাম তোরা রেগে গেলি তারপর পরের দিন কফি শপে দেখা করতে বললি আর আমি চলে গেলাম।কফি শপে গিয়ে দেখি দিয়া আর একটা ছেলে বসে কথা বলছে..
“তুমি কিছু চিন্তা করো না তন্ময় এবার শেষ হবেই হবে।ওর কাছ থেকে এক এক করে সব কিছু কেড়ে নেবো!”,দিয়া হিংস্র হয়ে বলল।
“তাই যেন হয়।তন্ময়কে কোন ভাবেই জিততে দেব না”,দিয়ার পাশের ছেলেটি বলল।
“তন্ময় এর প্রথম হার হল অফিসের ইনফর্মেশন লিক করে ওর অফিসের ক্ষতি করেছি।আর ও এখন জানতেই পারলো না কে করল এমন টা”,দিয়া কথাটা কথাটা হেসে দিল।
“হ্যাঁ খুঁজে বেরাক সারাজীবন কিন্তু ধরতে পারবে না আমাদেরকে”,ছেলেটিও হাসে উঠল।
“তন্ময় এর দ্বিতীয় হার হলো ওর থেকে তরীকে আলাদা করে দিয়েছি।বেচারি তরী কিছুই জানলোই না শুধু শুধু তন্ময়কে ভুল বুঝলো।আর তন্ময় দেবদাস হয়ে যাওয়ার পথে”,দিয়া নাটক করে বলল কথাটা।
“যা বলেছো সেদিন তো দেখলাম কিভাবে কাঁদতে কাঁদতে চলে গেল অফিস থেকে”,ছেলেটি মজার সুরে বলল।
“আচ্ছা বিকাশ আমরা তো আমাদের কাজে সফল হয়েছি এবার কি করবো?”,দিয়া কিছু একটা ভেবে বলল।
“এখন কিছুই হয়নি আরো অনেক কিছু বাকি আছে।তন্ময়কে বরবাদ না করা পর্যন্ত আমাদের কাজ শেষ হবে না”,বিকাশ হাত মুট করে রেগে বলল।
“এসব কিছু শোনার পর নিজের ওপরই খুব রাগ হচ্ছিল।তাই তো পরেরদিন তন্ময়ের কাছে ক্ষমা চাইতে গেছি”,তরু সবটা বলে থামল।
“এই বিকাশ টা কে আবার?”,বিবেক গালে হাত দিয়ে বলল।
“তন্ময় এর অফিসে কাজ করে এই বিকাশ বলে ছেলেটা”,তরু বলল।
“তুই কি করে জানলি?জিজুকে বলেছিস এসব কথা?”,সুকন্যা বলল।
“হুম তন্ময়কে সব বলার পর ও নিজেই বলেছে বিকাশের কথা”,তরু বলল।
“কিন্তু বিকাশ কেন জিজুর ক্ষতি চায়?”,বিবেক বলল।
“অনেক বড়ো ব্যাপার আছে পরে বলবো!”,তরু বলল।
“এই না না এখনই বল পরে আর টাইম হবে না”,সুকন্যা বলল।
“হ্যাঁ এখনই বল নাহলে শান্তি নেই!”,বিবেক বলল।
“আচ্ছা তবে শর্ট করে বলছি”,তরু বলল।
“বল”,বিবেক বলল।
তরু শুরু করলো বাকি কাহিনী,”তন্ময়কে কফি শপের কথা বলার পর ও বিকাশের কথা বলে…
“কে এই বিকাশ আর কেন তোমার ক্ষতি চায়?”,তরু অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করল তন্ময়কে।
“বিকাশ এর বাবা এক সময় আমাদের বাড়িতে ড্রাইভারের কাজ করতো।বিকাশের মা নেই একমাত্র বাবা ছিল।একদিন এক অ্যাক্সিডেন্টে হঠাৎ করেই বিকাশের বাবা মারা যান।বিকাশ অনাথ হয়ে যায়।বিকাশের বয়স তখন তেরো বছর। পড়াশুনা করছিল তাই বাবা ওকে আমাদের বাড়িতে রেখেই পড়াশুনা করিয়ে ছিল।আমাদের পরিবারে একটা অংশ ছিল ও।আমার সাথেই থাকতো।আমরা কখনও ওকে বাইরের লোক ভাবিনি।তারপর আমাদের অফিসেই কাজে জয়েন হয়।অফিস জয়েন করার পর হঠাৎ ও ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকা শুরু করে আমাদের কিছু না জানিয়ে।বাবা জানতে চাইলে বলে আমরা তো অনেক করেছি ওর জন্য এবার না হয় ওকে ওর মতো থাকতে দি।অনেক বলার পরও ও আসেনি আর বাড়িতে”,তন্ময় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
“তোমরা ওকে অনাথ হওয়ার থেকে একটা পরিবার দিলে,পড়াশুনা করালে,থাকার জায়গা করে দিলে,ওর ভবিষ্যতের কথা ভাবলে.তারপরেও ও তোমাদেরই ক্ষতি চায়!কিন্তু কেন?”,তরু বলল।
“তা তো বিকাশ বলতে পারবে”,তন্ময় বলল।
“বিকাশের জন্য অনেক কিছু করেছে তন্ময় এর পরিবার তাও কেন যে ওদেরই ক্ষতি করতে চায় কে জানে?”,তরু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
“তোর ওপর খুব রাগ হচ্ছে”,বিবেক চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে বলল।
“কেন রে আমি কি করলাম?”,তরু ভ্রু কুঁচকে বলল।
“অল্প অল্প করে কেন বলছিস?সবটা বল না”,সুকন্যা বিরক্ত হয়ে বলল।
“আরে বলছি তো!”,তরু মেকি হেসে বলল।
“এবার কিন্তু এক বারে কাহিনী ক্ষতম করবি”,বিবেক ধমকে বলল।
“আচ্ছা আচ্ছা”,তরু বলল।
এসব কিছু জানার পর তন্ময় বিকাশের ওপর নজর রাখা শুরু করলো।আর গত পরশু হাতে না হাতে ধরা পরে যায় বিকাশ।বিকাশ সব ইনফর্মেশন অন্য এক কোম্পানিকে টাকার বিনিময়ে দিয়ে দিতো। সব কিছু স্বিকার করে নেয় বিকাশ কেন এসব করছিল।
*
তন্ময় গোটা অফিসের লোকের সামনেই বিকাশের শার্টের কলার ধরে জিজ্ঞেস করল”,কেন করলি তুই এসব?তোকে তো আমরা আমাদের পরিবারের একজন সদস্য ভেবেছি আর তুই কিনা!ছিঃ!”
“ওসব ডাইলক তোর কাছে রাখ।তোরা কোনদিন আমাকে তোদের পরিবার কিছু ভাবিস নি”, রাগে ফেটে পড়ল বিকাশ।
“কি সব বলছিস বিকাশ?”,তন্ময়ের বাবা অবাক হয়ে বলল।
তন্ময় ওর বাবাকেও অফিস আসতে বলেছে আজকে।
“যা বলছি ঠিক বলছি।তোমাদের জন্য আমার বাবা মারা গেছে। আর তারপর লোক দেখানোর জন্য তোমরা দয়া করে আমাকে থাকতে দিয়েছো”,বিকাশ রেগে বলল।
“চুপ কর বিকাশ অনেক বলেছিস আর না। এতোদিন এসব কিছু শোনার জন্য তোকে ভাই বলে এসেছি তাই নারে?”,তন্ময় চেঁচিয়ে বলল
“ভাই তুই আমাকে নামে মাত্র ভাই বলিস।অসহ্য লাগতো জানিস যখন দেখতাম তোকে নিয়ে সবাই মাতা মাতি করছে।আমি সব সময় তোকে হারাতে চেয়েছি কিন্তু বরাবরিই তুই আমাকে হারিয়ে দিয়েছিস।তাই তো মনের মধ্যে থাকা রাগটা বারতে থাকলো আর এই অফিস জয়েন করেছি শুধু তোকে বরবাদ করবো বলে”, বিকাশ বলল।
“এতো রাগ আমার ওপর তোর!”,তন্ময় বলল।
“হ্যাঁ অনেক অনেক রাগ আমার”,বিকাশ বলল।
“তোর বাবাকে কথা দিয়েছিলাম তোকে অনাথ হতে দেব না।আমি নিজে তোকে মানুষ করবো কিন্তু তোকে মানুষ করতে পারলাম না!”,তন্ময়ের বাবা কাতর কন্ঠে বলল।
“শুধুই কি রাগ নাকি আরো অন্য কারণ আছে বিকাশ?”,তন্ময় গম্ভীর গলায় বলল।
“সম্পত্তি!আমার সব সম্পত্তি চাই!আর তোর পরিবার বরবাদ করে দিয়ে সব আমি নিয়ে নেব “,বিকাশ বলল।
“এতোদিন দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছি!”,তন্ময় এর বাবা বলল।
“বলতেই পারতি সম্পত্তি চাই তোর।তুই কি জানিস আমাদের সম্পত্তির 20% তোর নামে আছে?এতো কিছু না করলেও পারতি!”,তন্ময় দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
“মাত্র 20% কেন আমার নামে বলতে পারিস?তুই এই গোটা সাম্রাজ্য দখল করবি আর আমার জন্য এতো টুকু?আজ যখন ধরা পরেই গেছি তখন আরো একটা সত্যি জেনে রাখ। ছোটবেলায় তোকে আমি ছাদ থেকে ফেলে মারার চেষ্টা করেছি!কিন্তু তুই বেঁচে গেছিস তারপর অনেক ভাবে তোকে মারা চেষ্টা করেছি কিন্তু তাও বেঁচে গেছিস!তন্নীর লাইফটা হেল করতে চেয়েছিলাম তাও তুই মাঝখানে চলে এসে…..”,বিকাশ কথাটা শেষ করার আগেই তন্ময় ওর গলা চেপে ধরল।
চিৎকার করে বলল তন্ময়”,তুই এতোটা নীচে নেমে গেছিস!তোকে তো আমি ছারবোই না।শেষ করে দেব তোকে।আমার সাথে শত্রুতা তোর আমার বোনের দিকে কেন নজর দিয়েছিস?আরে তন্নী তো তোরও বোন তার পরেও!”
“সবটা তো শোন তারপর না হয় মারিস আমাকে!শুধু তন্নী না তরীর ওপর নজর আছে আমার”,বিকাশ হেসে হেসে বলল।
তন্ময় আর কিছু না বলে বিকাশকে মারতে শুরু করলো।মারতে মারতে বিকাশের নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরতে শুরু করল কিন্তু অফিসের কেউ তন্ময়কে থামাতে পারছে না।শেষে পুলিশ এসে তন্ময়কে আটকালো।তন্ময় এর বাবা পুলিশকে ফোন করে আসতে বলেছে আর বিকাশ কি কি করেছে সব বলে ওকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করলো।
পুলিশ বিকাশকে থানায় নিয়ে গিয়ে আবার সব কথা জিজ্ঞেস করায় বিকাশ দিয়ার কথাও বলে দেয় যে এসব কাজে বিকাশের সঙ্গী দিয়া।তারপর পুলিশ দিয়াকেও গ্রেপ্তার করে।
*
“সব জানলি এবার শান্তি?”,তরু বলল।
“বিকাশকে একবার হাতে পেলে কি যে করতাম!”,বিবেক দাঁতে দাঁত চেপে বলল।
“কি করতি?”,ভ্রু কুঁচকে বলল সুকন্যা।
“পুজো দিতাম!গাধী একটা রাম ধোলাই দিতাম “, দাঁতে দাঁত চেপে বলল বিবেক।
“ছাড় এখন এসব কথা”, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল তরু।
“হুম যা হওয়ার হয়েছে।ওদের শাস্তি ওরা পাচ্ছে”,সুকন্যা বলল।
“এই তোদের গল্প তোরা পরে করিস তরুকে নিয়ে চল গায়ে হলুদের সময় হয়ে গেছে”,অঞ্জলি দেবী ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল।
“হ্যাঁ চল তরু”,সুকন্যা বলল।
তরু গায়ে হলুদে হলুদ শাড়ি সঙ্গে ফুলের গয়না পরেছে। ধীরে ধীরে সব নিয়ম এক এক করে শেষ হলো।তরুকে কনে সাজে সাজানো হলো।সবাই মিলে তরুকে ক্ষেপাছে।হঠাৎ নীচ থেকে কেউ চেঁচিয়ে বলল “বর এসেছে বর এসেছে”।
তরুর মা অঞ্জলি দেবী তন্ময়কে বরণ করে নিল।তারপর তন্ময় বিয়েতে বসলো।কিছুক্ষণ পরে তরুকে বিবেক আর তরুর কিছু কাজিনরা সাগর,দ্বীপ,অভি মিলে মণ্ডপে নিয়ে আসলো।
“আরে তরু পান পাতা সরা জিজুকে দেখ”,সুকন্যা তরুর পাশে এসে বলল।
“কিরে কি হলো?সরা পান পাতাটা”,তরু পান পাতা সরাছে না দেখে বিবেক বলে উঠল।
“ওই দি তাড়াতাড়ি সরা না আমার হাত ব্যথা করছে কি মোটা রে তুই!”,সাগর বলে উঠল।
“হ্যাঁ রে সত্যি সেই মোটা হয়ে গেছি! জিজু তো তোকে কোলে তুলতেই পারবেনা”,অভি ঠোঁট টিপে হেসে বলল।
এসব কথা শুনে তরুর খুব রাগ হচ্ছে।কিন্তু তাও কিছু বলছে না আর পান পাতাও সরাছে না।তন্ময় এসব কথা শুনে মিটিমিটি হাসছে আর তরুর দিকে তাকিয়ে আছে তরুকে বউ সাজে দেখবে বলে।কিন্তু তরু পান পাতা সরাছেই না।সবাই অনেক করে বলার পরেও যখন তরু পান পাতা সরালো না তখন সুকন্যা বললো
“তরু দেখ দেখ আসে পাশের মেয়েরা কেমন জিজুকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে!”,সুকন্যা তরুর কানে ফিসফিস করে বলল।
সুকন্যার কথায় তরু তাড়াতাড়ি পান পাতা সরিয়ে আশে পাশে তাকাতে যাবে কিন্তু তন্ময়ের চোখ চোখ পরতেই আর অন্য দিকে তাকাতে পারল না। তন্ময় আর তরু একে অপরের চোখে হারিয়ে গেল।
“এতোক্ষন তাকাছিলি আর আর এখন চোখ ফেরাতে পারছিস না!”,বিবেকের কথায় তরুর ধ্যান ভাঙল আর সঙ্গে সঙ্গে মাথা নীচু করে নিল।
এরপরে এক এক করে মালাবদল,হস্ত বন্ধন,সাত পাক ঘোরা সব হয়ে গেল।এবার সিঁদুর দানের পালা।তন্ময় তরুর সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে রাঙিয়ে দিল একটু সিঁদুর এসে তরুর নাকে পরলো।সুকন্যা তাড়াতাড়ি লজ্জা বস্ত্র দিয়ে তরুকে ঢেকে দিলো।
তন্ময় তরুর কানের কাছে এসে বলল”,এতো দিনের অপেক্ষার অবসান হল।এখন তুমি পুরোপুরি আমার।আমি বলেছি আমি শুধু তোমাকেই চাই। #তোমাকে_চাই।
বাইরে বেজে চলেছে,
তোমার নামের রোদ্দুরে
আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাব কতদ্দুরে
এখনো…..
তোমার নামের রোদ্দুরে
আমি ডুবেছি সমুদ্দুরে
জানি না যাব কতদ্দুরে
এখনও….
আমার পোড়া কপালে
আর আমার সন্ধ্যে সকালে
তুমি কেন এলে জানি না
এখনও….
ফন্দি আটে
মন পালাবার
বন্দি আছে
কাছে সে তোমার
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
হল শুরু সাতদিনে
এই খেলাধুলোর রাতদিনের
জানি বারণ করার সাধ্যি নেই
আর আমার….
তোমার নামের মন্দিরে
আর তোমার নামের মসজিদে
আমি কথা দিয়ে এসেছি
বারবার…..
বিন্দু থেকে সিন্ধু
হয়ে যাও
তুমি ইচ্ছেমতো
আমাকে সাজাও
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
মনের গভীরে ঘুমের শরীরে
তোমাকে নিয়ে ডুবে যাবো
আমার কাছে কারোনের আছে
নিজেকে আমি খুঁজেই নেবো
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
যদি সত্যি জানতে চাও
তোমাকে চাই,তোমাকে চাই
যদি মিথ্যে মানতে চাও
#তোমাকেই_চাই।
#সমাপ্ত