#তোমাকে_চাই
#পর্বঃ০৪
#মারিয়া_আক্তার
– আমাকে এভাবে না পোড়ালে তোর চলে না তাইনা?
কথাটা কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই আমি আকাশের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে পাশে তাকাই। মানুষটাকে দেখে আমার চোখ রসগোল্লার মত হয়ে যায়। দীপ্ত ভাইয়া। উনি কি বললেন মাত্র আমি ওনাকে পোড়াই। কখন পোড়ালাম? কিভাবে পোড়ালাম?আমার ভাবনার মাঝেই উনি আবারো বলে উঠলেন,
– আমাকে তোর দহনে পুড়িয়ে ছারখার করার মতলব করেছিস না?
আমি অবাক হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
– কি বললেন মাত্র? আমি আপনাকে পুড়িয়েছে?আমি আপনাকে কখন পোড়ালাম। কি যা তা বলছেন আপনি?
– কফি কালারটা আমার কোনো কালেই তেমন একটা পছন্দের ছিল না। তবে আজ থেকে কালারটা পছন্দের তালিকায় চলে আসলো।
ওনার কথা শুনে আমি পুরো হা। আমি কি জিজ্ঞেস করলাম আর উনি কি বলছেন। এক মিনিট মাত্র কফি কালারের কথা বললেন উনি তাই নিজের দিকে তাকিয়ে দেখি আমার ড্রেসটা কফি কালার। উনি হঠাৎ কফি কালারটাকে নিয়ে এটা কেন বললেন। আমি পরেছি বলে কি? কিন্তু কেন?আমার ভাবনার মাঝেই উনি আবারও বলে উঠলেন,
– আমার দেওয়া ড্রেসটা তুই পরিস নি বলে একটু রাগ হয়েছিল বৈকি। কিন্তু আমার এখন মনে হচ্ছে তুই এই ড্রেসটা পরে ভালোই করেছিস। এই ড্রেসটাতে খুব সুন্দর লাগছে তোকে।
কখনো কেউ সামনাসামনি আমার এমন প্রশংসা করেনি। আজ উনি এভাবে প্রশংসা করায় খুব লজ্জা লাগলো আমার। আচ্ছা উনি কি আমায় পছন্দ করেন। হয়তো উনি আমার সাথে তেমন ভালো একটা ব্যবহার করেন না কিন্তু ওনার আজকের ব্যবহারটায় আমার কেন জানি মনে হল উনি আমায় পছন্দ করেন।লজ্জাটাকে কাঁটানোর জন্য আমি কোনোরকমে বলি,
– মানে? আপনি কি বুঝাতে চাইছেন?
উনি মুচকি হেসে বলেন,
– তোর এই মোটামাথায় এসব ডুকবে না।
এই লোকটা আমার কথায় হাসলেন।একটু আগে যে ওনার সাথে রাগ করে এখানে এসে দাঁড়িয়েছি সেটাই ভুলে গেলাম। আমি সবটা ভুলে ওনার হাসির দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ। এমনটা না যে উনি হাসেন না। উনি সবার সাথে হাসলেও আমার সামনে সবসময় গোমরা মুখ করে থাকেন। আজকে উনি হাসলেন। খুব মিষ্টি লাগছে ওনাকে। সব মানুষকেই হাসলে খুব সুন্দর লাগে। হঠাৎ মনে পড়লো উনি কি বললেন মাত্র আমার মোটামাথা। সব ভাবনা সাইডে রেখে আমি ঝাঁঝাঁলো কন্ঠে ওনাকে বলি,
– আপনি কি বললেন মাত্র, আমি মাথামোটা? আপনি মাথামোটা। আপনার চৌদ্দগোষ্ঠি মাথামোটা।
কথাটুকু বলে দৌঁড় দিয়ে পালাতে চাইছিলাম। কিন্তু কপাল খারাপ থাকলে যা হয় আরকি।উনি ওনার হাত দিয়ে আমায় আটকে দিলেন। আমি ভয় ভয় মুখ করে ওনার দিকে তাকাই।
– আমি মাথামোটা। আমার চৌদ্দগোষ্ঠি মাথামোটা তাইনা?
– দেখুন হাত ছাড়ুন আমার।
– হাত না ছাড়লে কি করবি তুই?
– আমি কিন্তু এখন চিৎকার করবো।
আকস্মিক উনি শব্দ করে হেসে দিলেন। আমার হাতটা জোরে টান মেরে নিজের একদম কাছে নিয়ে আসেন। তারপর স্লো আওয়াজে বলেন,
– চিৎকার করবি? তারপর? তারপর সবাইকে কি বলবি?
ওনার নিঃশ্বাস আমার ঘাড়ে এসে পড়ছে। অজানা অনুভূতিতে শরীর শিউরে উঠছে আমার। আমি মাথা নিচু করে রইলাম। কিছু বলতে পারলাম না। আচমকা উনি আমার হাত ছেড়ে দিয়ে দূরে সরে দাঁড়ান। তারপর রেলিং ধরে বাহিরে দৃষ্টিপাত করে বলেন,
– আমার দেওয়া জামাটা পরিস নি কেন?
– আমার ইচ্ছে হয়নি তাই পরিনি।
– বলেছি না এভাবে আমার সাথে ত্যাড়াভাবে চোখতুলে কথা বলবি না। সেই সময় এখনো তোর আসেনি। যেদিন সেই অধিকার দিবো সেদিনই এভাবে কথা বলতে পারবি তার আগে নয়।
– আপনার সাথে কথা বলতে আবার কিসের অধিকারের প্রয়োজন আছে?
– একবার বললাম না এখন নয়। সময় হলে জানতে পারবি। একটু অপেক্ষা কর।
– আমি অপেক্ষা করতে পারবো না। আপনাকে আজ বলতেই হবে কেন আপনি সবসময় আমার সাথে এমন করেন। আমার ওপরই বা আপনার কিসের এত অধিকারবোধ? আমি কোনটা করতে পারবো কোনটা পারবো না কেন সেটা সবসময় আপনি ঠিক করে দিবেন।কই পুষ্পির সাথেতো এমন করেন না কখনো? তাহলে আমার বেলায় কেন?
– বলেছিতো সময় আসলে ঠিক জানতে পারবি। আগে বল তুই আমার দেওয়া ড্রেসটা কেন পরলি না আজ?ত্যাড়া কথা বলবি না
আগেই বলে দিলাম।
– কেন পরবো আমি? আপনি তখন সবার জন্য শপিং করলেন। সবাইকে তা দিয়েও দিলেন।আমাকেতো তখন আপনার চোখে পরেনি। উল্টে আরো বলেছেন আমার জন্য আপনি শপিং করতে যাবেন কেন? সবার সামনে অপমান করে লুকিয়ে কেন দিতে গিয়েছিলেন?
– যদি বলি স্পেশাল মানুষদের সবকিছুই স্পেশাল হওয়া চাই। আমার ক্ষেত্রেতো তাই। আচ্ছা যাই হোক আমার কথা যেহেতু অমান্য করেছিস তার জন্য তোকে শাস্তিতো পেতে হবে। তুই আমাকে আজ পায়েস করে খাওয়াবি।
– এটা আবার কেমন শাস্তি? পায়েস করা। এটাতো তুড়ি মারলেই হয়ে যায়। কিন্তু আমি কেন ওনার জন্য পায়েস করবো? উনি কি আমায় কেক খাইয়েছিলেন নাকি। বানাবো না ওনার জন্য পায়েস।
মনে মনে কথাগুলো ভেবে গলা খাঁকারি দিয়ে ওনাকে বললাম,
– পারবো না কোনো পায়েস করতে। আপনিতো কেক কাঁটার সময় আমায় চোখেই দেখেন নি।
– ওহ এই ব্যাপার। তোকে কেক খাওয়াইনি বলে রাগ করেছিস?
– আমি এতটা খাদক নই যে সামান্য কেক খেতে পারি নি বলে রাগ করবো। আপনার দেওয়া কেক খাওয়ার আমার কোনো প্রয়োজন নেই। ইভেন আপনার দেওয়া কোনো কিছুরই আমার প্রয়োজন নেই।
– রাগ উঠাস না মৌ। আপাতত তোকে রাগ দেখানোর আমার কোনো ইচ্ছে নেই। তোকে আমার জন্য পায়েস করতে বললাম না। আগে পায়েস বানিয়ে নিয়ে আয়।
– বলেছি না পারবো না।
– প্লিজ। প্লিজ বানা না। তোর হাতের পায়েস খেতে খুব ইচ্ছে করছে।
উনি এভাবে আকুতি নিয়ে কথাটা বলায় কেন যেন আর না করতে পারি নি।
– আচ্ছা। আচ্ছা। বানাচ্ছি।
বলে চলে যাচ্ছিলাম। আবার ফিরে এসে ওনার দিকে ফিরে বললাম,
– আজকাল আপনার ব্যবহারগুলো খুব অদ্ভুত লাগে আমার কাছে। কেন বলুনতো?
উনি মৃদু হেসে বলেন,
– আমার স্বপ্নের খুব কাছে পৌঁছে গেছি যে।
আমি ভ্যাবলাকান্তের মত ওনার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ওনার কথার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না।
– মানে?কোন স্বপ্নের কাছে পৌঁছে গেছেন?
আমার গালটা টিপে দিয়ে উনি বললেন,
– তুই বুঝবি না এসব? যা আমার জন্য পায়েস করে নিয়ে আয়।
বিস্ময়ে আমার মুখ গোল আলুর মত হয়ে গেছে। দীপ্ত ভাইয়া আমার গাল টিপে দিলেন। এ আদৌ সম্ভব?তবে ওনার বলা কিছুক্ষণ আগের কথাটা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল। আমার কেন যেন মনে হল উনি যেই স্বপ্নের কথা বললেন সেটা কোনোভাবে আমার সাথে সম্পৃক্ত নাতো।
__________________________
সময় বহমান। সে তার নিজস্ব গতিতে চলে যায়। মনে হল সেদিন যেন দীপ্ত ভাইয়ার জন্মদিন গেল। কিন্তু এখানে দু’দুটো মাস চলে গেল। প্রায় পনেরো দিন আমি আমার বড় খালামণির বাড়ি রাজশাহীতে ছিলাম। আজ সবে মাত্র বাসায় ফিরলাম। আমার খালাতো বোনের বিয়ে ছিল। আমি বিয়ের কয়েকদিন আগেই চলে গিয়েছিলাম। আমাদের এখান থেকে দীপ্ত ভাইয়া ছাড়া সবাই বিয়েতে গেছে। দীপ্ত ভাইয়ার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলতেছে এখন। তাই তিনি বিয়েতে যান নি। আমি ছাড়া সবাই প্রায় তিনদিন আগে চলে এসেছে। কিন্তু আমাকে খালামণি আসতে দেয়নি। আজ অবশেষে ছুটি পেলাম। অবশ্য আমারো ভীষণ ভালো লাগে ওখানে থাকতে। আমাকে সৌরভ ভাইয়া মানে আমার খালাতো ভাই বাসায় দিয়ে যান। বাসায় এসে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। ওখানে ভালো লাগলেও নিজের বাড়ি নিজের বাড়িই। বাসায় এসে দেখি কেউ নেই। সৌরভ ভাইয়াকে থাকতে বলেছিলাম কিন্তু ওনার নাকি জরুরী কাজ আছে তাই আম্মু আব্বুর অপেক্ষা না করেই চলে গেলেন। আমি বুঝতে পারলাম না আম্মু গেল কোথায়। এখন সকাল এগারোটা। এই সময়ে আব্বু নিশ্চয়ই কলেজে আর পুষ্পি স্কুলে। তাহলে আম্মু কোথায় গেল। আর বাসায়ও তালা দেওয়া। তাই আমি বড়ফুফুর বাসায় ছুটলাম। ওখানে গিয়ে খেলাম আরেক ঝঁটকা। দীপ্ত ভাইয়াদের ড্রয়িংরুমে অচেনা অনেক মানুষ। আম্মুও সেখানে আছে। আমায় দেখেই আম্মু বললেন,
– তুমি কখন এসেছো মৌ? তোমার না বিকেলে আসার কথা ছিল?
– আম্মু মাত্র আসলাম। সৌরভ ভাইয়া বিকেলে আসতে পারবেন না বলে আমায় এখনই দিয়ে গেলেন।
– সৌরভ কোথায়?
– ভাইয়ার কাজ আছে তাই চলে গেছে।
– ওহ। তুমি এক কাজ করো দীপ্তকে ডেকে নিয়ে আসো। বলবে তাড়াতাড়ি যেন আসে। দীপ্ত ওর রুমেই আছে।
– কেন আম্মু?
আম্মু আমার কথার বিপরীতে চোখ রাঙিয়ে তাকালেন। আম্মুর কথার পিঠে প্রশ্ন করলে আম্মু রেগে যান। তাই আমি আর কথা বাড়ালাম না। চললাম দীপ্ত ভাইয়ার রুমে। প্রথমে ওনার রুমে উঁকি দিয়ে দেখলাম উনি কি করেন। উনি আপাতত স্টাডি টেবিলে বসে গুনগুনিয়ে পড়ছেন। দীপ্ত ভাইয়ার পড়ার স্টাইলটাও জাস্ট অসাধারণ। আমি ভয়ে ভয়ে দরজায় আঙ্গুলের টোকা দিলাম। ওনার পড়ায় ডিস্টার্ব করার অপরাধে উনি যদি এখন আমায় রামধমক দেন। কিন্তু আমি কি করবো আম্মুইতো আমায় পাঠালো। ওনার সাড়া নেই বলে আমি এবার একটু জোরেই বারি দিলাম দরজায়।
– কে?
ইশ! আজ কতদিন পর ওনার গলার স্বর শুনলাম। প্রায় পনেরো দিন পর। উনি আমাকে সবসময় বকাবকি করলেও কেন যেন ওনাকে না দেখে আমি থাকতে পারিনা। আমার ওপর ওনার অধিকার ফলানোটা মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগলেও মাঝে মাঝে আমার ভীষণ ভালো লাগে।
– কে ওখানে?
এবার আমি সোজা হয়ে দাঁড়ালাম। গলাটা খানিকটা পরিষ্কার করে বললাম,
– ভাইয়া আমি। মৌ।
সাথে সাথে উনি পিছনে ফিরে তাকান। ওনার চোখগুলো লাল হয়ে রয়েছে। হয়তো রাত জেগে পড়াশোনা করার কারণে।
– তুই? আমার রুমে কি তোর?
কোথায় আমি ভাবলাম আমায় এতদিন পর দেখে উনি কেমন আছি টাছি জিজ্ঞেস করবেন। কিন্তু আমার কপাল।
– আমি সেধে সেধে আপনার রুমে আসিনি। আম্মু আপনাকে ড্রয়িংরুমে ডাকছে। আর সেখানে ফুফুও আছে। তাড়াতাড়ি চলুন।
কিছুটা গিয়ে আবার ফিরে এসে ওনাকে বললাম,
– আচ্ছা আপনাদের বাড়িতে আজ এত মানুষ কেন? না মানে সাধারণত বিয়ে ফিয়ের কারবার থাকলে এত মানুষ আসে। তবে আপনাদের বাড়িতেতো কোনো মেয়েই নেই। তাহলে কার বিয়ের জন্য আসলো। আমার বিয়ের জন্য আসলেতো আমাদের বাড়িতেই আসতো। আপনাদের বাড়িতেতো আর আসতোনা।
ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি আমার দিকে রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তা দেখে আমি ভোঁ দৌঁড়। হাতের নাগালে পেলে আমায় চিবিয়ে খাবেন এখন।
__________________________
একেই বলে কপাল। আজ পনেরো দিন পর বাড়ি ফিরলাম তাও এই অসভ্য দীপ্তটার আমার জন্য একটুও মায়া হলো না। ছাদের তপ্ত রোদের মধ্যে আমায় কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। পেয়েছেটা কি আমাকে হ্যাঁ? কি পেয়েছে? উনিশ থেকে বিশ হলেই আমাকে কানে ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবে। আমি কি ওনার ব্যক্তিগত সম্পদ নাকি। ইচ্ছা করছে দীপ্ত ভাইয়া কিছু বলি কিন্তু ওনাকে এসব বললে এখন উনি আমায় ছাদ থেকে না ফেলে দেন। কান ধরে দাঁড়াতে তো সমস্যা নেই। কিন্তু এই গরমের মধ্যে কি করে । মাথাটা যেন ঘুড়ছে আমার। আর ওইদিকে দেখো মহাশয় কেমন গাছের ছায়ায় বসে পায়ের ওপর পা তুলে ফোন গুতাচ্ছে। শালা খচ্চর তোর বউ দেখবি একটা ডাইনি হবে। শ্যাওড়াগাছের পেত্নী হবে। তারপর তোর বউ তোর ঘাড় মটকে তোর রক্ত চুষে খাবে। কিন্তু এমন ড্যাশিং একটা ছেলের বউ পেত্নী হবে এটা কি সম্ভব নাকি। না এটা একেবারেই সম্ভব না। ওনার বউ নিশ্চয়ই মারাত্মক লেভেলের সুন্দরী হবে। আচ্ছা আমার চেয়েও কি সুন্দরী হবে? ওনার বউ অন্য কেউ হবে এটা ভাবলেই বুকে কেমন চিনচিন ব্যথা হয়। কেন মানতে পারি না আমি। নাউজুবিল্লাহ আমি কি ভাবছি এসব। মৌ কন্ট্রোল ইউরসেল্ফ। দীপ্ত ভাইয়া তোর ফুফাতো ভাই। তাই তাকে নিয়ে এসব উল্টাপাল্টা ভাবা পাপ। পাপ মানে গুরুতর পাপ। কিন্তু দীপ্ত ভাইয়ার বউকে আমি ভাবি বলে ডাকতে পারবো না। একেবারেই পারবো না।
– কিসব ভাবছিস তুই? একবার ভ্রুঁ উপরে উঠাচ্ছিস তো একবার নিচে নামাচ্ছিস। আবার ক্ষণে ক্ষণে মুখের এক্সপ্রেশন চেঞ্জ করছিস। মানে কি এসবের?
দীপ্ত ভাইয়ার কথায় আমি ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসি। এবার কি বলবো আমি ওনাকে যে এতক্ষণ ওনার বউ নিয়ে গবেষণা করেছি। এই না না। এটা একেবারেই বলা যাবে না। ব্যাপারটা কি বিশ্রী হবে।
– কিচ্ছু ভাবছি নাতো ভাইয়া। আচ্ছা আমি এবার এখান থেকে যাই। দেখেন না আমার মুখটা কেমন লাল হয়ে গেছে। রোদের মধ্যে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে আমি কালো হয়ে যাবো ভাইয়া। শেষে আমায় আর বিয়ে দিতে পারবেন না। দয়া করেন না আমার ওপর।
– তোরতো দেখি বিয়ের অনেক শখ। মামা মামির সাথেতো তাহলে কথা বলতে হয়। আর রইলো বাকি তোর কালো হওয়ার ব্যাপারটা। এতে তোর হাজবেন্টের কোনো সমস্যা নেই। তুই বেশি সুন্দর একটু কালো হলে ভালোই হবে। যা এইবার কান ছাড়। এইবার সোজা তোর বাসায় যাবি। আর এখন মনে কোনো প্রশ্ন আসলে করবি না। কারণ আমি এখন উত্তর দিবো না।
শাঁকচুন্নির জামাই একটা। আমার হাজবেন্টের কথা বললো আবার বলে কিছু জিজ্ঞেসও করতে পারবো না। কোথায় আমার হাজবেন্ট? কোথায় শুনি কোথায়?
চলবে…