#তোমাকে_চাই💖
#কলমে_অনন্যা(অনু)
#পর্ব_০২
(০৩)
আধঘন্টা হয়ে গেছে তরু আর তন্ময় একটা কফি শপে বসে আছে।কেউ কোন কথা বলছে না।তরু বেশ বিরক্ত হচ্ছে তবে কিছু বলছে না।আর তন্ময় বেশ মজা নিচ্ছে তরুকে বিরক্ত হতে দেখে।তরু আর পারলো না তাই বিরক্তি হয়েই বলল,”আচ্ছা আপনি কি এখানে নিরবতা পালন করবেন বলে আমাকে ডেকেছেন?”
“আরে না না নিরবতা পালন করতে কেন ডাকবো?”,তরুর কথায় থতমত খেয়ে বলল তন্ময়।
“তাহলে আধঘন্টা ধরে চুপ করে বসে আছেন কেন?”,তরু রাগী স্বরে বলল।
“আপনি চুপ করে আছেন তাই আমিও চুপ করে আছি”,তন্ময় নড়েচড়ে বসে বলল।
“মানেটা কি?আমি তো চুপ করে আছি আপনি সব বলবেন বলে”,তরু বেশ জোরেই বলল কথাটা।
“সব বলবো মানে?কি বলবো?”,তন্ময় ভ্রু কুঁচকে বলল।
“কেন গতকাল আমি আপনাকে যা জিজ্ঞেস করেছিলাম তার উওর তো আপনি আজকে দেবেন বলেছিলেন।সে সব কথা এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন?”,তরু বিরক্ত হয়ে চোখ মুখ কুঁচকে কথাটা বলল।
“গতকাল আপনি কি জিজ্ঞেস করেছিলেন?আসলে অফিসে অনেক কাজের চাপ তাই সব কথা মনে থাকে না।তাই যদি আপনি আপনার প্রশ্ন গুলো আর একবার রিপিট করতেন তবে আমার উওর দিতে সুবিধে হতো।নাহলে আমি মনে করতে করতে আজকে আর আপনার উওর জানা হবে না!”,তন্ময় ইচ্ছে করে তরুকে জ্বালাচ্ছে।ওর সব মনে আছে তবুও মিথ্যে বলছে।
“কিইইইইই!থাক থাক আপনাকে মনে করতে হবে না।আমি বলছি প্রশ্ন গুলো”,তন্ময়ের কথা শুনে তরু চোখ বড় করে করে বলল।
“এক এক করে করুন।একসাথে করলে ভুলে যাব”,তন্ময় ইনোসেন্ট ফেস করে বলল।
“আপনি অফিস সামলান কি করে?”,তরু ভ্রু কুঁচকে বলল।
“আচ্ছা এটা আপনার প্রথম প্রশ্ন তাই তো।তবে এর উওর হলো সব দিকে নজর রেখে কাজ করে”,তন্ময় টেবিলে দুহাত রেখে সামনে এগিয়ে বসে বলল।
“এটা আমার গতকালের প্রশ্ন ছিল না।আপনি সব ভুলে যান তাই এটা জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু অফিসের কাজ গুলো মনে থাকে আপনার?”
“হ্যাঁ অবশ্যই মনে থাকে।আসলে আপনার প্রশ্ন গুলো ভালো করে মনে রাখিনি তাই ভুলে গেছি।এবার আপনি আপনার প্রশ্ন গুলো করুনতো।নাহলে লেট হয়ে যাবে।”
“ঠিক তাই তো আমার যা জানার জেনে আমি চলে যাই।এর সাথে এতো বকবক কেন করছি?”,তরু মনে মনে বলল।
“কি হলো চুপ করে আছেন কেন?আচ্ছা ঠিক আছে কাল না হয় আবার দেখা করে বলবেন।আজকে মনে হয় আপনি নিজেই সব ভুলে গেছেন!”,কথাটা বলেই তন্ময় উঠতে নিল।
“না না কিছু ভুলিনি।কাল দেখা করতে পারবো না।আজকেই বলছি”,তরু তন্ময়কে উঠতে দেখে তাড়াহুড়ো করে কথাটা বলল
“তবে বলুন”,তন্ময় আরাম করে বসে বলল।
“আপনি আমায় চেনেন কি করে?”,তরু গলা ঝেড়ে বলল।
“এটা জানার এতো আগ্রহ কেন আপনার?”,তন্ময় ভ্রু নাচিয়ে বলল।
“এই এই এটা কিন্তু চিটিং হচ্ছে।আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছি আর তার উওর না দিয়ে উল্টে আপনি আমায় প্রশ্ন করছেন!”,তরু আঙ্গুল দেখিয়ে বলল।
“হ্যাঁ করছি।আপনি আগে আমার প্রশ্নের উওর দিন তারপরে আমি আপনার প্রশ্নের উওর দিচ্ছি।”
“মানেটা কি?আগে আমি প্রশ্ন করেছি।তাই উওর আগে আপনি দেবেন”,তরু জোড় গলায় বলল।
“না আগে আপনি উওর দিন তারপরে আমি উওর দেব।নাহলে দেব না”,তন্ময় জেদ করে বলল।
“আচ্ছা ঝামেলায় পড়লাম তো!খালি সব জানতে হবে না হলে এর সাথে এতো কথা মোটেও বলতাম না।সব জেনে বিয়েতে না করে দিয়ে চলে যাব”,তরু মনে মনে বলল।প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে ওর।
“আচ্ছা আমি বলছি আগে।আপনি আমাকে আগে থেকে চেনেন,বিয়ে করতে চান তাই আমারো জানতে হয় আপনি আমাকে কি করে চেনেন আর কেন বিয়ে করতে চান?”,তরু রাগ কন্ট্রোল করে বলল।
“আচ্ছা!”,তন্ময় বলল।
“আপনার উওর পেয়ে গেছেন? এবার আমার প্রশ্নের উওর দিন”,তরু বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে তন্ময়ের দিকে উত্তর জানার জন্য।
“আপনার প্রশ্নটা যেনো কি ছিল?”,তন্ময় ভাবুক হয়ে বলল।
“আপনি আমায় চেনেন কি করে?”,দাঁতে দাঁত চেপে বলল তরু।
“বেশ রেগেছে মিস!তবে আমি যদি তোমায় এতো তাড়াতাড়ি সব বলে দি তবে তো তুমি চলে যাবে।তাইতো এতো নাকট করছি।কারন আজকের পর তোমার সাথে দেখা হবে কিনা কে জানে?তুমি মনে হয় না আর দেখা করবে!”,তন্ময় মনে মনে বলল।
“কি হলো বলুন।নাকি আবার ভুলে গেছেন?আপনার তো দেখি ভুলে যাওয়ার রোগ আছে”,তরু চরম বিরক্ত হয়ে বলল।
“না না এবার মনে আছে।”
“মনে আছে তো বলুন।”
“হ্যাঁ বলছি! সিঙ্গিং কম্পিটিশন!”
“মানে?কি বলতে চাইছেন বলুন তো ঠিক করে!”
“তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম একটা সিঙ্গিং কম্পিটিশনে।সেদিন তুমি খুব নার্ভাস ছিলে।আন্টি তোমাকে সাহস দিচ্ছিল।তারপর তুমি গান গাইতে শুরু করলে।সেদিন প্রথম কোন মেয়েকে দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।প্রথম কারোর প্রেমে পরেছি।তোমার গলার মিষ্টি সুরের গান একদম আমার বুকে এসে লেগেছে।তুমি প্রথম হয়ে ছিলে।এতে তোমার খুশি যেন আর ধরে না”,তন্ময় মুচকি হেসে বলল।
“প্রথম দেখাতেই প্রেম?অদ্ভুত তো!আমাকে চেনেন না জানেন না আর প্রেমে পরে গেলেন!”,তরু অবাক হয়ে বলল।
“ভালোবাসতে গেলে কাউকে চিনতে হয় না।একটা ভালো মন থাকলেই হয় আর তোমাকে প্রথম দেখায় ভালোবাসলেও তখন তা বুঝতে পারিনি!”,তন্ময় মিষ্টি হেসে বলল।
“কি করে বুঝলেন তবে?”
“তারপর অনেক দিন পরে তোমাকে একটা পার্কে দেখেছিলাম।সেখান তুমি অনেক গুলো ছোট ছোট বাচ্চাদের চকলেট দিচ্ছিলে।সেদিন তোমার আর একটা রূপ দেখেছিলাম।তারপর অনেক বার অ্যাক্সিডেন্টলি তোমার সাথে দেখা হয়েছে।”
“তাতেই আপনি বুঝে গেলেন আপনি আমায় ভালোবাসেন?”
“না প্রথমে আমিও কনফিউসড ছিলাম এটা আদৌও ভালোবাসা নাকি ভালো লাগা।কিন্তু পরে আমি বুজতে পারি এটা ভালোবাসা।”
“কি করে বুঝলেন?”
“সেটা তুমি নিজেই বুঝবে পরে”, তন্ময় মুচকি হেসে বলল।
“আপনি আমার পরিচয় পেলেন কি করে?”,তরু কথাটা ঘোরানোর জন্য বলল।
“কম্পিটিশন থেকেই।ওখান থেকেই তোমার নাম অ্যাড্রেস সব জেনে তোমার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সব জানতে পারি।তোমাকে একবার দেখার জন্য তোমার কলেজেও গেছি।তুমি এতো খামখেয়ালি যে তোমাকে কেউ দূর থেকে দেখছে তা তুমি বুঝতেও পারতে না।যদিও আমি তোমার সামনে আসিনি আড়ালে ছিলাম সব সময়।”
“আপনি থেকে একেবারে তুমিতে চলে এলেন!”,তরু আবারও কথা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল।
“নিজের হবু বউকে আপনি ডাকতে আমার নিজেরই অস্বস্তি হচ্ছে।তাই তুমি করেই বলছি।তুমি নিশ্চয়ই কিছু মাইন্ড করবে না”,তন্ময় ভাব নিয়ে বলল।
“হবু বউ!এই আমি কিন্তু এখনো বিয়েতে হ্যাঁ বলিনি আর না আপনার প্রোপোজাল অ্যাকসেপ্ট করেছি!তাহলে কিসের হবু বউ?”,তরু তন্ময়ের কথা শুনে চোখ বড় বড় করে বলল।
“করোনি করবে।দেখো তুমি ভাবতেই পারো এটা কেমন ধরনের প্রোপোজ করা।তাই আমি আগেই বলি,আমার দ্বারা এই প্রেম টেম হবে না।আমি গোলাপ দিয়ে বলিউড হিরোদের মতো ওভার অ্যাকটিং পারিনা।নিজের মনের কথা ডাইরেক্ট বলতেই পছন্দ করি।তাই সেভাবেই বললাম।”
“দেখুন আমি আপনাকে পছন্দ করি না।ভালোবাসি না।আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না।এটা বলতেই আমি এখানে এসেছি”,তরু সোজাসাপ্টা বলে দিল।
“এতো তাড়া কিসের মিস?একটু সময় নেও।তোমাকে আমি সময় দিচ্ছি।যত সময় লাগবে নাও।তোমার ওপর কিছু চাপিয়ে দেবো না।আমাকে চেন জানো,আমার ভালোবাসা সম্পর্কে তোমার মনে সন্দেহ আছে জানি!সেই সন্দেহ দূর করো।কিন্তু আমাকে ছেড়ে অন্য কারোর কথা মাথাতেও এনো না।তা তোমার জন্য ভালো হবে না।আমি বাইরে ওয়েট করছি তুমি এসো”,তন্ময় কথাটা বলে বেরিয়ে গেল।
“এটা কি ছিল?এ কেমন ভালোবাসা?উনি আমাকে প্রোপোজে করলো নাকি থ্রেট দিলো?”,তরু নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছে।
কিছুক্ষন ওখানেই বসে থেকে তরু বেরিয়ে আসলো কফি শপ থেকে।তারপর তন্ময় তরুকে বাড়িতে ড্রপ করে নিজের বাড়ি চলে গেল।সারা রাস্তায় কেউ কোন কথা বলেনি।
(০৪)
সেদিন ডেটে যাওয়ার পর থেকে তরুর আর তন্ময়ের সাথে দেখা বা কথা কোনটাই হয়নি।তরু যত ভাবে তন্ময়ের কথা ভাববে না ততই ওর তন্ময়ের বলা সেদিনের কথাগুলো মনে পড়ে যায়।কথা গুলো বলার সময় তরু তন্ময় এর চোখে বিশ্বাস আর গভীর ভালোবাসা দেখেছে।কিন্তু এখনো ডিসিশন নিতে পারেনি।কি করবে বুঝতেই পারছে না।
পাঁচ দিন পর আজকে তরু কলেজ এসেছে।এখন ব্রেক টাইম চলছে এরপরে আর কোন ক্লাস নেই ওর।এখন ক্যান্টিনে ওর বেষ্টী সুকন্যা আর বেষ্টু বিবেকের সাথে বসে আছে।ওদের সব খুলে বললো তরু।
“আচ্ছা এই কেস!”,সব কিছু শুনে বিবেক বললে উঠল।
“হ্যাঁ ইয়ার কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না!গতকাল রাতেও মা আমার সিদ্ধান্ত জিজ্ঞেস করছে।আমি সময় চাই বলে এড়িয়ে গেছি।কিন্তু এভাবে আর কতদিন?না পারছি হ্যাঁ বলতে আর না পারছি না বলতে!তোরাই হেল্প করো আমায়”,তরু মন খারাপ করে বলল।
“দেখ তুই তো বলেছিলি এমন একজনকে তোর চাই যে তোকে খুব ভালোবাসবে,কেয়ার করবে।হতেও তো পারে তন্ময় সেই ব্যক্তি যাকে তুই চাস”,সুকন্যা গালে হাত দিয়ে তরুর দিকে তাকিয়ে বলল।
“হতে পারে!কিন্তু আমি বুঝবো কি করে তা?”
“মিট কর!হ্যাঁ তরু মিট কর তন্ময় এর সাথে আর যাচাই কর ওকে দেখ ও তোকে আদৌও সত্যিই ভালোবাসে কিনা!”,বিবেক বলল।
“না না আমি পারবো না এসব।আমার দ্বারা হবে না!”,বিবেকের কথা শুনে তরু সঙ্গে সঙ্গে নানা করে দিল।
“তাহলে কি করবি?”,সুকন্যা সোজা হয়ে বসে বলল।
“এটাই একটা রাস্তা তরু!”,বিবেক তরুকে আবারও বলল।
তরু কিছু বলবে তার আগেই ওর ফোন বেজে উঠলো।
“এই মা ফোন করেছে”,তরু ফোনটা চেক করে বলল।
“কথা বলে দেখ কি বলে”,সুকন্যা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে বলল।
“হ্যাঁ মা বলো”,তরু কল রিসিভ করে বলল
……………
“আমি তো এখন ক্যান্টিনে।সুকু আর বুকুর সাথে।”
[ তরু বিবেক আর সুকন্যাকে বুকু আর সুকু বলে ডাকে ]
………
“কিন্তু মা কেন?”,মায়ের কথায় ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো তরু।
………..
“আচ্ছা ঠিক আছে”,তরু কথাটা বলে ফোন কেটে দিল।
“Any problem তরু?”,তরুকে চিন্তিত দেখে সুকন্যা জিজ্ঞেস করল।
“ইয়েস”,তরু মন খারাপ করে বলল
“কি হয়েছে?”,বিবেক বলল।
“আমাকে তন্ময়ের সাথে শপিং এ যেতে হবে!”,তরু মন খারাপ করে বলল।
“বাট হোয়াই?”,সুকন্যা ভ্রু কুঁচকে বলল।
“তন্ময়ের কোন এক ফ্রেন্ডের আজকে বার্থডে পার্টি আছে আর ওখানে আমাকে যেতেই হবে তার জন্য”,তরু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল।
“এটা কেমন কথা হল?তুই তো বিয়েতে হ্যাঁ বলিসনি এখনো।তাহলে কেন যাবি?”,সুকন্যা বলল।
“আরে সেদিন কফিশপে নাকি ওনার ফ্রেন্ডসরা আমাকে আর ওনাকে একসাথে দেখেছিল তাই তো আমাকে যেতেই হবে!”
“তরু এটা কিন্তু মেঘ না চাইতেই জল”,কিছু একটা ভেবে বিবেক বলল।
“কি?”,তরু না বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করল।
“হ্যাঁ রে এটাই সুযোগ!তুই যা ওর সাথে আর দেখ ওখানে ও কি কি করছে।,কেমন ধরনের লোকেদের সাথে মেলামেশা করে,সব জানতে পারবি।তবে হ্যাঁ তুই যে ওর ব্যাপারে সব জানতে ওখানে যাচ্ছিস তা যেন তন্ময় না বোঝে”,বিবেক বলল।
“আমি না যেতে চাইলেও যেতেই হবে।উনি তো মা বাবাকে আগেই বলেছে কিন্তু কাজ হবে তো?”
“হবে কি না জানি না!তবে হতেও পারে।একবার চেষ্টা তো করে দেখতেই পারিস তাই না”,বিবেক বলল।
“আচ্ছা যদি জানতে পারিস লোকটা খারাপ না তবে কি করবি?”,সুকন্যা বলল।
“কি আর করবে বিয়ে করে নেবে”,বিবেক ঠোঁট টিপে হেসে বলল।
“আগে ভালো লোক তা জানি তারপর বিয়ের কথা ভাবিস”,তরু মুখ বাঁকিয়ে বলল।
“ভালো না হলে কি আঙ্কলে আন্টি তোর সাথে বিয়ে দিতে চায়।সব জেনে তারপরেই এতো দূর কথা এগিয়েছে”,সুকন্যা বলল।
“সেসব তো বুঝলাম কিন্তু আমার সন্দেহ এই সব বিসনেসম্যান গুলোর ক্যারেক্টার ভালো হয় না। আর উনিও যদি এরকম হয় তখন!”
“আচ্ছা আজকে গেলেই তো জানতে পারবি সব।কিন্তু তন্ময় তো তোকে ফোন করলো না?”,বিবেক বলল।
“মা না করেছে তন্ময়কে ফোন করতে।মা আমাকে জানিয়ে দেবে বলেছে তাই উনি ফোন করেননি।উনি নাকি কলেজের বাইরে আসবেন আমাকে নিতে!”
“কখন আসবে?”,সুকন্যা টাইম দেখে বলল।
“এসে গেছে মনে হয় এতক্ষনে।আচ্ছা আমি আসি!”
“হ্যাঁ আয়,রাতে ফোন করে বলিস সব”,সুকন্যা বলল
“হুম”,ছোট করে জবাব দিল তরু।
তরু উঠে দাড়ালো বেরোবে বলে কিন্তু ক্যান্টিনের দিকে ব্লু শার্ট পরে একটা ছেলেকে আসতে দেখে তরু হা করে তাকিয়ে আছে।
#চলবে…..?