তুমি রবে ৩।।
.
.
আষাঢ়ে বৃষ্টি যাকে বলে। কোনো সময় ফাঁক নেই, ভোর থেকে কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর বৃষ্টির ফোটা পড়তেই আছে। বা কখনো অনবরত ঝরছে। মাহি চা শেষ করে দ্রুত রেডি হয়ে নিলো। তারপর জানালার সামনে দাঁড়িয়ে সোমকে কল করল। সকাল সাতটায় মাহির কল পেয়ে সোমের ঘুম যেন মুহূর্তেই উবে গেল।
– “কিরে এত সকালে মনে পড়ল হঠাৎ?”
– “রাগ করেছো?”
– “কিসের রাগ? তুই যে এটা করবি তা তো আমি জানি। আসলে মা আর ছোটবোনটা আমাকে না বলে হুট করেই তোকে দেখার উদ্দেশে চলে যায়। বাসার সবাই কেউ কিছু মনে করেনি তো?”
– “আরে না, উল্টো কত যে খুশি হয়েছে তা তুমি না দেখলে বুঝতে পারবে না।”
– “তো বল, এত সকাল সকাল সোমকে কেন মনে পড়ল? কী দরকার?”
– “দরকার ছাড়া বুঝি কল করি না?”
– “অমাবস্যার চাঁদের মতো ব্যাপার সেটা।”
– “তোমার বাইকে চড়ব।”
সোম শোয়া থেকে লাফ দিয়ে উঠে বসল। বিস্ময়ে সে মাহিকে বলল,
– “কী বললি আবার বল?”
– “তোমাকে তো আগেই বলেছিলাম। জব করব একটা। আজকে জয়েনিং লেটার দেবে। দাদুর সাথে যাব না। তোমার বাইকে যেতে ইচ্ছা করছে।”
সোম মুচকি হেসে বলল,
– “আমার বাচ্চাকালের বাচ্চা বউটা কি হঠাৎ করে বড় হয়ে গেল?”
মাহি খানিকটা লজ্জা পেয়ে বলল,
– “কী যে বলো না!”
তারপর বিনা নোটিশেই ফোনের লাইনটাও কেটে দিলো। সোম কিছুক্ষণ বসে নিঃশব্দে খুব হাসলো।
.
.
– “নীল নব ঘনে আষাঢ়ে গগনে, তিল ঠাঁই আর নাহি রে,
ওগো, আজ তোরা যাসনে ঘরের বাহিরে।”
দু’লাইন কবিতাটা বলে খিলখিল করে হাসতে থাকল মাহি। আর সোম নীরব চাহনিতে মাহির সেই অকারণ হাসিখানা দেখতে থাকল। তার এই দৃষ্টি দেখে মাহি যেন আরও বেশি হাসতে থাকল। সোম তখন জিজ্ঞেসই করে উঠল,
– “তুমি এত হাসতে পারো কীভাবে বলো তো?”
মাহি হাসির আমেজ কিছুটা থামাল। তবুও তার ঠোঁটে হাসির আভাস স্পষ্ট। সে বলল,
– “কেন? হাসলে আমাকে পেত্নি লাগে নাকি?”
– “একটু না, অনেক বেশিই স্নিগ্ধ লাগে।”
– “থাক থাক, এত প্রেমীক পুরুষ হতে হবে না।”
– “হতে আর দিলি কই রে কন্যা?”
মাহি সোমের এই কথাতে তার পূর্বের হাসির মতো আবারও হাসতে শুরু করল। সোম মাহির মাথায় গাট্টা দিয়ে বলল,
– “ওই মাইয়া, তোর বয়স কত রে?”
– “কেন বিয়ে করবে নাকি?”
– “হ্যাঁ তারও একটা ব্যাপার স্যাপার আছে। আগে বল তোর বয়স কত?”
– “বিয়ে করতে চাইলে বলাই যায়। এইতো আগামী মাসে চব্বিশ প্লাস হবে।”
– “এত তাড়াতাড়ি জব করার ইচ্ছা হলো কেন? এমবিএ কমপ্লিট করে নিতি?”
– “অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য শুধু।”
– “এই তোর এই ফালতু ইচ্ছার প্রাধান্যটা কে দিলো বল তো?”
– “কে আবার! আমার দাদু আলহাজ শেখ।”
– “রেফারেন্সে চাকরি করতে তোর লজ্জা করবে না?”
– “হ্যাঁ তা তো কিছুটা করবে। কিন্তু আমি আমার যোগ্যতাও প্রমাণ করে দেবো সমস্যা নেই। এবার বাইকটা তুমি চালাবে নাকি এভাবেই আমরা দাঁড়িয়ে থাকব?”
– “বৃষ্টি তো এখনো থামেনি। ভিজে যাব তো।”
– “আমার লেট হয়ে যাচ্ছে সোম ভাই।”
– “একটা থাপ্পড় মারব আর ওই কাদা পানিতে গিয়ে পড়বি।”
মাহি বিস্ময় চোখে তাকাল সোমের দিকে। সোম তখন রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,
– “ভাই বললি কেন তুই আমাকে? ভাই বললে তুই বোন হয়ে যাস সেটা মাথায় থাকে না?”
– “তো বোন হলে কী সমস্যা? বোন তো আর সত্যি সত্যি হচ্ছি না। এমন বোনদেরকেও বিয়ে করা যায়।”
– “একদম ফালতু বকবি না।”
– “আস্তে! রাস্তার মাঝে আমরা। মানুষ শুনছে তোমার কথা।”
– “শুনুক, তুই এই জায়গায় দাঁড়িয়ে বারবার বল আমি তোর ভাই না।”
– “কী পাগলের মতো শুরু করলে! আচ্ছা বাসায় গিয়ে ফোনে বলব, এখন না।”
– “তোকে এখনই বলতে হবে।”
বেশ দৃঢ় কণ্ঠে বলল সোম। মাহি এবার সোমের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল,
– “আমাকে রাগিও না। ফলাফল খারাপ হবে। বললাম তো বাসায় গিয়ে বলব।”
– “তুই আমাকে চোখ রাঙানি দেখাচ্ছিস? ভয় পাই আমি তোকে?”
কথাগুলো বেশ চিল্লিয়েই বলল সোম। এবার সত্যিই আশেপাশের মানুষগুলো ওদের ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকল। মাহি বলল,
– “আচ্ছা বলছি। তুমি একটু চুপ করো।”
সোম আবার চিল্লিয়ে বলল,
– “এখন বলতে হবে কেন? বলতে হবে না তোকে। আমি তোর কে যে তুই আমার আদেশ নির্দেশ শুনবি? বালের দামও তো তুই দিস না আমাকে।”
এ কথা বলেই সোম বৃষ্টির মধ্যে বাইক টেনে চলে গেল। মাহি তখন পুরোপুরি স্তব্ধ। সোমের এমন ব্যবহারে মাহি অভ্যস্ত। তাই বলে পাবলিক প্লেসে নয়। সোমের ব্যাপারটা এমন, তার ইচ্ছা অনিচ্ছা অনুযায়ী মাহিকে চলতে হবে। এবং তাকে গার্ডিয়ানের মতো ভেবে তার সঙ্গে চলতে ফিরতে হবে, তার কথামতো উঠতে বসতে হবে। যার প্রতিটা জিনিসই মাহি মান্য করে। কিন্তু আজকের ব্যবহার সে কোনোভাবেই মানতে পারল না। মাহি নিজেও প্রচন্ড কষ্ট পেল সোমের এমন ব্যবহারে। চোখদুটো ভিজে উঠল তার। সেও বৃষ্টির মধ্যে টেক্সটাইল কোম্পানি প্যারোটের উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করল। যদিও যাওয়ার ইচ্ছাটা আর একদমই নেই। তবুও সে যাবে শুধুমাত্র দাদুর সম্মান রক্ষার্থে।
.
.
ড্রাইভিং সিটে আশফি। আর তার পাশে ঐন্দ্রী। ঐন্দ্রী বেশ নীরব। মাঝেমাঝে আশফি দুই একটা কথা বলছে। আর সে জবাব দিচ্ছে। এবারও আশফি আগে কথা বলল।
– “তো পড়াশোনা রেখে জব করার ইচ্ছা হলো কেন?”
ঐন্দ্রী মুচকি হাসতে হাসতে বলল,
– “সত্যি কথা বলব?”
– “মিথ্যা কেন বলবে?”
– “তোমাদের কোম্পানিতে এমন একজন মানুষ আছে যাকে দিনের পাঁচ থেকে আট ঘন্টা চোখের সামনে দেখতে চাই।”
– “ওহ, তো এমন সৌভাগ্যবান কে? দিশান নয় তো? তাহলে কিন্তু সোজা বিয়ে করে ছাড়বে তোমাকে। যা পছন্দ করে তোমাকে!”
– “দিশান দেশে ফিরেছে?”
– “হ্যাঁ।”
– “কবে আর কখন?”
– “এইতো দু’দিন হলো। তো শেষে আমার ছোট ভাইটাকেই নজরে পড়ল?”
– “আশফি!”
ঐন্দ্রীর উদ্বেলিত কণ্ঠ শুনে আশফি তার দিকে আড় চোখে তাকাল। তারপর বলল,
– “আমার মতো আমিষ ছাড়া ব্যক্তিকে তোমার এত পছন্দ কেন হলো?”
– “তুমি আমিষ ছাড়া? ভালোই বলেছো। আর সেটা আমার বাবার কাছে জিজ্ঞেস করবে।”
– “আঙ্কেলের কাছে কেন জিজ্ঞেস করব?”
– “কারণ বাবাই তো তোমার ছবি আমাকে দেখিয়েছিল।”
– “আমার ছবি তোমার বাবার কাছে গেল কী করে?”
– “সিম্পল, তোমার দাদা দিয়েছিল। আর তাদের দুজনের সম্পর্ক তো জানোই। রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও তাদের মাঝে খুব ভালো সম্পর্ক।”
– “ভুল করেছে দাদা।”
– “ভুল কেন?”
– “সে তো তুমি আজ থেকে আমার সঙ্গে অফিস জয়েন করলেই বুঝতে পারবে।”
হঠাৎ বাইরে দৃষ্টি যেতে মাহিকে দেখে সেদিকে তাকিয়ে উতলা হয়ে ঐন্দ্রী আশফিকে বলল,
– “আশফি গাড়ি থামাও দ্রুত।”
– “কেন?”
– “প্লিজ থামাও না তারপর বলছি।”
ঐন্দ্রীর কথামতো আশফি দ্রুত গাড়ি থামাল।
– “ছাতা আছে?”
– “হ্যাঁ ব্যাকসিটে।”
ঐন্দ্রী ছাতাটা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে মাহির কাছে গেল। আশফি গাড়িতে বসেই ওদের দুজনকে লক্ষ্য করতে থাকল। ঐন্দ্রীকে দেখে মাহি যেন খুশিতে কেঁদেই ফেলল। ওকে জড়িয়ে ধরে বলল,
– “দোস্ত আমাকে হেল্প কর। এই ঠান্ডা বৃষ্টির পানি থেকে আমাকে বাঁচা।”
– “হ্যাঁ তোকে দেখেই তো এলাম। এভাবে ভিজে ভিজে কই যাচ্ছিস?”
– “জব ইন্টারভিউ আছে।”
– “কোথায়?”
– “প্যারোট।”
– “সিরিয়াসলি! আমিও ওখানেই যাচ্ছি। আজ থেকে আমিও জয়েন করছি ওখানে। ওয়াও! কী দারুণ! দুই বন্ধু এক সঙ্গে আবার।”
– “আগে আমার কোনো ব্যবস্থা কর।”
– “হ্যাঁ হ্যাঁ করছি। আয় আমার সঙ্গে। এই বৃষ্টির ভেতর ভিজে আসা কী খুব দরকার ছিল? এই অবস্থায় ইন্টারভিউ দিবি কী করে?”
– “রেফারেন্স আছে দোস্ত। শুধু জয়েনিং লেটার দেবে।”
– “তাহলে আজই আসার কোনো প্রয়োজন ছিল? একদিন না হয়েই লেট করেই আসতি?”
ঐন্দ্রী গাড়ির কাছে এসে আশফিকে কিছু বলার আগেই আশফি গাড়ির দরজা খুলে দিলো। তারপর মাহির দিকে তাকিয়ে ঐন্দ্রীকে বলল,
– “বলতে হবে না কিছু। কারো সাহায্য প্রয়োজন তা বুঝতে পেরেছি।”
মাহি আশফিকে দেখে থমকে দাঁড়াল। সেদিনের ঘটনা মনে পড়তেই মাহির আর ইচ্ছে করল না আশফির গাড়িতে উঠতে। কিন্তু বৃষ্টিতেও আর ভেজার ইচ্ছা নেই। অগত্যা ব্যাক সিটের দরজা খুলে পেছনে গিয়ে বসল। গাড়িতে বসে ঐন্দ্রী আর মাহি অনেক কথাই বলল। যে কথাগুলোর মাঝে মাহির প্যারোটে চাকরি করার কথাটাও আশফি জানতে পারল। ঐন্দ্রী যখন মাহিকে বলতে গেল আশফি ওই কোম্পানির এমডি তখন আশফি তার কথার মাঝে বলে উঠল,
– “ঐন্দ্রী তোমার ফ্রেন্ডের মে বি খুব ঠান্ডা লাগছে। জানালাটা বন্ধ করে দিলে তার জন্য ভালে হতো হয়তো।”
ঐন্দ্রী মাহির দিকে তাকিয়ে দেখল সে সত্যিই শীতে কাঁপছে বসে। অফিস পৌঁছানো অবধি গাড়ির মাঝে সামনের গ্লাসে বেশ কয়েকবার চোখাচোখি হয়ে গেল আশফি আর মাহির। আশফির চাহনি মাহির দিকে খুব দীর্ঘক্ষণ থাকলেও মাহি বেশি সময় আশফির চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে না। কেমন যেন অদ্ভুত লাগে ওর কাছে আশফির চাহনি। অফিস এসে লিফ্টে ঢুকল তিনজন। মাহি আর ঐন্দ্রী সামনে। আর মাহির পিছে আশফি। পুরোটা অস্বস্তি ঘিরে ধরেছে মাহিকে। মাহি সামনে তাকিয়ে থাকলেও সে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারছে আশফি তার মাথা থেকে পা অবধি রিডিং পড়ে নিচ্ছে। প্রথম দিনেই আশফিকে তার অসভ্য মনে হয়েছিল। কিন্তু তার আজকের নেচারে পুরোপুরি প্রমাণিত হলো মাহির কাছে সে শুধু অসভ্য নয় একজন বেহায়া, বেশরম, লুচ্চা পুরুষ। লিফ্ট ফোর্থ ফ্লোরে আসতেই ঐন্দ্রী আগে বের হলো। তারপর মাহি আর আশফি এক সঙ্গে। মাহির পাশ ঘেষে হেঁটে যাওয়ার সময় আশফি তার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে গেল,
– “অ্যাশ কালার আমার খুবই পছন্দ। আর পারফিউমটাও নাইস।”
এটুকু বলেই সে হেঁটে চলে গেল। আর মাহি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। ঐন্দ্রী পিছু ফিরে মাহিকে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখে ওর কাছে এগিয়ে এসে বলল,
– “তোরও তো ফোর্থ ফ্লোরেই তাই না?”
– “হ্যাঁ।”
– “তাহলে এমন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের মতো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?”
– “দোস্ত!”
– “কী হয়েছে?”
প্রচন্ড বিব্রতবোধ করে মাহি ঐন্দ্রীর কানে কানে কথাটা বলল। ঐন্দ্রী তাকে অফিসের ভেতর অবধি গার্ড দেওয়ার মতো করে তার পিছু পিছু এলো। তারপর করিডোরে দাঁড়িয়ে পড়ল এক পাশে। ওকে বলল,
– “ওয়াশরুমে যাবি। তারপর ওটা ব্যাগে ভরে নিবি। ড্রেস শুকিয়ে গেলে সমস্যা হবে না।”
– “তুই চল না আমার সঙ্গে।”
– “আচ্ছা চল।”
ওয়াশরুমে আসার পর যেটা হলো তা হলো পুরো ওয়াশরুমেই আজ ছেলে মেয়ের লাইন। ঐন্দ্রী হাসতে হাসতে বলল,
– “আজ তো লোক নিয়োগ হবে। একে তো টেনশন তার উপর বৃষ্টির ওয়েদারে প্রত্যেকেরই চেপে যাচ্ছে।”
মাহি মুখটা ভার করে বলল,
– “আমি কী করব?”
– “দাঁড়া ব্যবস্থা করছি।”
ঐন্দ্রী দিশানের কেবিনের আসতেই দিশান এক গাল হেসে তাকে হাগ করতে গেলে ঐন্দ্রী বলল,
– “এসব পরে আমার ভাই। আগে একটা হেল্প করো।”
– “ভাইটা না বললে আরও অনেক কিছু করতে পারি ডিয়ার।”
– “দিশান! তুমি যা ফাজিল! আচ্ছা শোনো, তোমাকে একটু কেবিন থেকে বাহিরে যেতে হবে।”
দিশান ভ্রু কুচকে বলল,
– “কেন?”
– “আরে এভাবে ভ্রু কুচকাচ্ছো কেন? আমি কোনো স্পাই না। জাস্ট দুই মিনিটের জন্য।”
– “ওকে ডিয়ার। কোনো সমস্যা নেই। মামলা সিরিয়াস ছাড়া তুমি তো কখনো আমার কাছে আসো না। তাই…”
– “কথা পরে শুনব। আগে তুমি যাও।”
– “ওকে ওকে।”
দিশান বের হতেই ঐন্দ্রী মাহিকে ওর কেবিনে ঢুকিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রইল। আর কেবিনে ঢুকে মাহি এদিক ওদিক না তাকিয়েই প্রথমে এক টানে ওপরের কামিজ খুলে ফেলল। তারপর অন্তর্বাস খুলে দ্রুত কামিজটা আবার পড়ে নিলো। অন্তর্বাস যখন ব্যাগে ঢোকানোর জন্য সোফা থেকে ব্যাগ তুলতে গেল তখন যা দেখল তাতে মাহির ইজ্জতের পান্তাভাত। মাঝখানটাতে স্বচ্ছ কাচের দেয়াল। আর সেই কাচের ওপর ছাই রঙা পর্দা। বাতাসের তোড়ে যখন অপরপাশের সেই পর্দাগুলো উড়ে চলছিল তখন মাহির নজরে পড়ল তার চোখে সেই অসভ্য লোকটির দিকে। তার কেবিনে চেয়ার বসে কয়েকগুচ্ছ ফাইল হাতাহাতি করছে সেই লোকটি। এখন কথা হচ্ছে, মাহি জামাটা খোলার সময়ও কোনোদিক খেয়াল করেনি আর অন্তর্বাসও খোলার সময় সে কোনোদিক খেয়াল করেনি। কিন্তু অপরপাশের ব্যক্তিটি কিছু খেয়াল করেছে কিনা সেটাই ভাববার বিষয়। কাচের এপাশ থেকে মাহি যেহেতু তাকে দেখতে পাচ্ছে তার মানে তার ওপাশ থেকেও মাহিকে দেখার কথা। কিন্তু সে কি আদৌ মাহিকে লক্ষ্য করেছিল?
……………………………..
(চলবে)
– Israt Jahan Sobrin
We use cookies on our website to give you the most relevant experience by remembering your preferences and repeat visits. By clicking “Accept All”, you consent to the use of ALL the cookies. However, you may visit "Cookie Settings" to provide a controlled consent.
This website uses cookies to improve your experience while you navigate through the website. Out of these, the cookies that are categorized as necessary are stored on your browser as they are essential for the working of basic functionalities of the website. We also use third-party cookies that help us analyze and understand how you use this website. These cookies will be stored in your browser only with your consent. You also have the option to opt-out of these cookies. But opting out of some of these cookies may affect your browsing experience.
Necessary cookies are absolutely essential for the website to function properly. These cookies ensure basic functionalities and security features of the website, anonymously.
Cookie
Duration
Description
cookielawinfo-checkbox-analytics
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Analytics".
cookielawinfo-checkbox-functional
11 months
The cookie is set by GDPR cookie consent to record the user consent for the cookies in the category "Functional".
cookielawinfo-checkbox-necessary
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookies is used to store the user consent for the cookies in the category "Necessary".
cookielawinfo-checkbox-others
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Other.
cookielawinfo-checkbox-performance
11 months
This cookie is set by GDPR Cookie Consent plugin. The cookie is used to store the user consent for the cookies in the category "Performance".
viewed_cookie_policy
11 months
The cookie is set by the GDPR Cookie Consent plugin and is used to store whether or not user has consented to the use of cookies. It does not store any personal data.
Functional cookies help to perform certain functionalities like sharing the content of the website on social media platforms, collect feedbacks, and other third-party features.
Performance cookies are used to understand and analyze the key performance indexes of the website which helps in delivering a better user experience for the visitors.
Analytical cookies are used to understand how visitors interact with the website. These cookies help provide information on metrics the number of visitors, bounce rate, traffic source, etc.
Advertisement cookies are used to provide visitors with relevant ads and marketing campaigns. These cookies track visitors across websites and collect information to provide customized ads.