#তুমি_ছিলে_বলেই
#পর্বঃ১৯+২০
#দিশা_মনি
নিপুণকে টানতে টানতে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসে রুদ্র। অতঃপর তাকে ছু’ড়ে মা’রে বিছানায়৷ নিপুণ কিছু বলার চেষ্টা করতেই রুদ্র ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। নিপুণ এবার একটু ভয় পেয়ে যায়। তার মনে হয় আজ রুদ্র হয়তো তার সাথে খুব খারাপ কিছু করতে চলেছে। এই জন্য নিপুণ কিছু দূরে অবস্থান করা একটা ফুলদানি দেখে রাখে। রুদ্র সর্ব প্রথমে সেই ফুলদানিটাই তুলে আছাড় মা’রে। নিপুণ ঘাবড়ে যায়৷ রুদ্র গর্জে উঠে বলে,
“এসব চিন্তা ভাবনা একদম মাথায় এনো না।”
“আপনি কি করে বুঝলেন আমি ভাবছি?”
“আমি তোমার মতো নির্বোধ নই৷ তাই অন্যের মনের কথা বুঝতে বেশি সমস্যা হয়না। আমি এটাও জানি তুমি মনে মনে কি ভাবছিলে আমার সম্পর্কে। তাহলে খুব ভালো করে শুনে রেখো, রুদ্র চৌধুরী আর যাই হোক নারী লোভী নয়৷ রুদ্র চৌধুরী মেয়েদের সম্মান করতে জানে।”
নিপুণ উপহাসের সুরে ব্যঙ্গ করে বলে,
“সেটা তো আমার নিজের চোখেই দেখা। মেয়েদের সম্মান করেন জন্যই তো একটা ধ*-তা মেয়ের ন্যায়বিচারের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ সেইজন্যই তো একটা নিরপরাধ মেয়েকে খু* ন করেছেন।”
“আমরা নিজের চোখে সব সময় যা দেখি তা সত্য নাও হতে পারে।”
রুদ্রর এমন কথায় নিপুণ ভাবনায় পড়ে যায়। এই কথার দ্বারা কি বোঝাতে চাইল রুদ্র? নিপুণকে ভাবনার মধ্যে রেখেই রুদ্র দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে গেলো৷ যাওয়ার আগে জোরে শব্দ করে বাইরে থেকে দরজা নক করে দিয়ে বলল,
“তুমি আজ যা করলে তার ফল তোমায় ভোগ করতেই হবে। আজ থেকে তুমি এই ঘরের চার দেয়ালে বন্দি থাকবে।”
রুদ্র চলে যাওয়ার পর নিপুণ বিছানায় বসে পড়ে। রাগে জেদে তার মাথা ফে’টে যাচ্ছিল। আবার রুদ্রর বলা কথাও তাকে ভাবাচ্ছিল। এত সব কিছুর পরে গিয়ে নিপুণ একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হলো। সে বলল,
“আমি এই রুদ্র চৌধুরীকে বিন্দু মাত্র বিশ্বাস করি না। খুব শীঘ্রই আমি ওনার সকল চক্রান্তের জাল ছি’ড়ে বের হবো৷ আর এটাই এখন আমার জীবনের উদ্দ্যেশ্য।”
★★★
স্নেহা আজ বেশ খুশি মনে রয়েছে। তার এই খুশির যথেষ্ট কারণও আছে৷ প্রথমত তার বাবা এখন অনেকটাই সুস্থ। ডাক্তার বলেছেন ওনার জীবনের ঝুঁকি কে’টে গেছে। আপাতত এখনো ওনার জ্ঞান ফেরেনি। তবে ডাক্তারের ভাষ্যমতে খুব শীঘ্রই ওনার জ্ঞান ফিরবে। স্নেহার খুশির দ্বিতীয় কারণ অনুপম এখন পুলিশের জিম্মায়। শুধু তাই নয় পুলিশ অনুপমের থেকে সে স্নেহার থেকে প্রতারণা করে যেই টাকা গুলো নিয়েছিল সেগুলোও উদ্ধার করেছে। একটু আগে তাকে ফোন করে টাকা গুলো নিতে ডাকল তারা। সব কিছুর জন্য স্নেহা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করতে ব্যস্ত। এমন সময় হঠাৎ করেই হাসপাতালে এসে উপস্থিত হলেন আজিজ খান। আজিজ খানকে দেখেই স্নেহা দাঁড়িয়ে পড়ে৷ আজিজ খান ছুটে এসে স্নেহাকে বলেন,
“শুনলাম আব্বাস নাকি অসুস্থ! কি হয়েছে ওর?”
স্নেহা বলে,
“আব্বার হার্টে কিছু সমস্যা ছিল। অপারেশন হয়ে গেছে এখন উনি একদম সুস্থ।”
“যাক জেনে খু্শি হলাম। আসলে আমি কিছু জরুরি কাজে ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরেই আব্বাসের ব্যাপারে জানতে পেরে ছুটে চলে এলাম। যাইহোক, তোমার যদি কোন সাহায্য লাগে তাহলে বলতে পারো আমি সাহায্য করব।”
“তার কোন দরকার নেই চাচা। আমার আব্বুর চিকিৎসার ভার আমি নিজেই বহন করতে পারব। হ্যাঁ, ওনার অপারেশনের সময় নিরুপায় ছিলাম জন্য দীপ্র ভাইয়ার থেকে টাকা নিতে হয়েছিল তবে সেই টাকাটাও আমি শীঘ্রই ফেরত দেব।”
“তুমি এভাবে বলছ কেন? আব্বাস তো আমার নিজের ভাই। ওর বিপদে যদি আমি সাহায্য করি তাহলে অসুবিধা কোথায়?”
“অসুবিধা আমাদের কারো নেই। অসুবিধা তো আপনার স্ত্রীর।”
“দিলারার ব্যবহারের ব্যাপারে শুনেছি আমি। এজন্য আমি সত্যি অনেক দুঃখিত। কিন্তু ওর এমন ব্যবহারের যথেষ্ট কারণ রয়েছে।”
“কারণটা আমি তাই তো?”
আজিজ খান কোন কথা বললেন না। স্নেহা এক নিঃশ্বাসে বলতে শুরু করল,
“আমার মতো একটা অনাথ শিশুকে অনাথ আশ্রম থেকে তুলে এনে মানুষ করেছেন আমার বাবা। এটাই ওনার অপরাধ তাই তো? এই জন্যই বোধহয় ওনার জীবন মৃত্যুর লড়াই চলছে জেনেও আপনার স্ত্রী আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিল।”
আজিজ খান আবারো নিশ্চুপ হয়ে যান। স্নেহা কিছুটা দম নিয়ে বলে,
“আমার সাথে আপনার স্ত্রী যদি খারাপ ব্যবহার করতো তো সেটা আমি মেনে নিতাম কিন্তু উনি যেটা করেছেন সেটা আমি কখনো ক্ষমা করতে পারব না। উনি একজন অমানুষের মতো আচরণ করেছেন। উপরে যদি একজন আল্লাহ থাকেন তো তিনি এর উপযুক্ত বিচার করবেন। আমি সব বিচার তার উপরেই ছেড়ে দিয়েছি। আর হ্যাঁ, আপনি এটা জেনে রাখবেন অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে দুজনেই কিন্তু সমান অপরাধী। আপনি তো আপাতদৃষ্টিতে কোন কিছু করেন নি। কিন্তু নিজের স্ত্রীর অন্যায়ে কোন প্রতিবাদ না করে আপনি তাকে অন্যায় করার সাহস প্রদান করেছেন। আপনি যদি নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতেন তাহলে আজ উনি এতটা নিচে নামতে পারতেন না। যাইহোক, এই নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। আপনি নিজের ভাইকে দেখতে এসেছেন সেখানে তো আমি আর বাধা দিতে পারি না। আপনি যান আপনার ভাইকে দেখে আসুন। আর পারলে নিজের স্ত্রীকে একটু সামলান। একজন প্রকৃত পুরুষ অবশ্যই তার ঘরের নারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।”
স্নেহার বলা কথা গুলো শুনে অপমানিত বোধ করলেন আজিজ খান। তিনি আর এক মুহুর্ত দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করলেন না৷ দ্রুত বেগে হেটে চলে গেলেন। তাকে যেতে দেখে স্নেহা কিছু বলল না। কারণ সে জানত এমন কিছুই হবে। স্নেহা মনে মনে ব্যাঙ্গাত্মক হাসল। আর স্বগোতক্তি করে বলল,
“আমি খুব ভালো করেই জানতাম চাচা আপনি আজ আব্বুকে দেখতে আসেন নি। আপনি জাস্ট ফর্মালিটি দেখাতে এসেছিলেন। কিন্তু এসব লোক দেখানো ফর্মালিটির না আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আমরা এসবে অভ্যস্ত নই।”
★★★
রাত্রিকাল। চারিদিকে শীতের আমেজ বইছে৷ এরইমধ্যে চার দেয়ালের মাঝে বিরক্তিকর সময় পার করছে নিপুণ। তার আজ তাই কিছুই ভালো লাগছে না। নিপুণ যখন চার দেয়ালের মাঝে অলস সময় পার করছিল ঠিক এমন সময় হঠাৎ করে রুদ্র দরজা খুলে ঘরের মধ্যে চলে আসে। রুদ্রকে দেখে উঠে দাঁড়ায় নিপুণ। রুদ্র নিপুণের কাছে এসে তার হাত ধরে বলে,
“এসো আমার সাথে।”
নিপুণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিপুণের হাত ধরে টানতে টানতে তাকে নিয়ে নিচতলায় চলে আসে রুদ্র। দ্রুত বেগে নিয়ে আসার কারণে নিপুণের হোচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়৷ সেই সময় রুদ্র নিপুণকে সামলে নেয়। অতঃপর স্বাভাবিক গতিতে নিপুণকে নিয়ে সিড়ি বেয়ে নিচে নামে রুদ্র। নিচে রাহাত চৌধুরী ও রাজীব চৌধুরী দাঁড়িয়ে ছিলেন। রাজীব চৌধুরী রুদ্রকে দেখামাত্রই বিরক্তির ভঙ্গিতে বলে ওঠেন,
“বলো কি রাজকার্য করতে ডেকেছ আমাদের।”
রুদ্র নিপুণের হাত ছেড়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। রাহাতের সামনে এসে তার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকায়। রাহাত ভীষণ ভয় পেয়ে যায়। ভয়ে ঢোক গিলতে থাকে সে। রুদ্র নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়। তার চোখে যেন আগুন জ্বলছে। রুদ্র আচমকাই ঠা’স করে চ’ড় বসিয়ে দেয় রাহাতের গালে। অতঃপর জোরে চিৎকার করে বলে ওঠে,
“এত সাহস কোথায় পেলি তুই?”
“তুমি আমায় মারলে ব্রো!”
“হ্যাঁ। কেন মা’রটা লাগেনি বুঝি? আরেকটা দেই?”
রাজীব চৌধুরী রুদ্রকে ধমকে বলেন,
“তুমি কোন সাহসে আমার ছেলের গায়ে হাত তুললে?”
“ও তোমার ছেলে জন্যই শুধু একটা থা’প্পরেই সীমাবদ্ধ থাকলাম। অন্য কেউ হলে বুঝিয়ে দিতাম।”
রাহাত চেচিয়ে বলে,
“কিন্তু আমার গায়ে হাত কেন তুললে সেটা তো বলো?”
“আজ যখন নিপুণ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তখন তো তুই দেখেছিলি তাহলে আমায় ইনফর্ম করিস নি কেন?”
রাহাত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে৷ সে ভেবেছিল হয়তো রুদ্র জেনে গেছে সেই নিপুণকে মা*রার চক্রান্ত করেছিল। রাহাত এবার একটু অভিনয়ের ভঙ্গিমা করে বলে,
“আমার কি দোষ ব্রো? নিপুণ আই মিন ভাবিই তো আমায় বলল যে তুমি নাকি ওনাকে অনুমতি দিয়েছ যাবার।”
“তুই কি ছোট বাচ্চা যে তোকে যা বলল তাই বিশ্বাস করে নিয়েছিস। শেষ অব্দি আমায় বাড়ির কাজের লোক মারফত জানতে হলো যে নিপুণ বাড়ি থেকে বেরিয়েছে৷ যদি আজ আমি সঠিক সময় সবটা জানতে না পারতাম তাহলে নিপুণের কত বড় বিপদ হয়ে যেত তুই জানিস না।”
রাহাত মনে মনে বলে,
“সেটাই তো আমি চাইছিলাম। কিন্তু তোমার বউয়ের ভাগ্যটা খুব ভালো তাই আজকের মতো বেঁচে গেল। তবে দ্বিতীয় বার সুযোগ পেলে আর এই ভুল করব না। ওকে একেবারে জা*নে মে**রে দেব।”
এরইমধ্যে হঠাৎ রুদ্রর ফোন বেজে ওঠে। রুদ্র ফোনটা রিসিভ করতেই বিপরীত দিক থেকে তার বডিগার্ড বলে ওঠে,
“স্যার, যেই গুন্ডাগুলো ম্যাডামকে মে*** রে ফেলার চেষ্টা করেছিল তাদের আমরা উদো**ম কে**-লানি কিলিয়েছি। আপনার কথা মতো আমরা ওদের উপর সব রকমের টর্চা চালিয়েছি এবং অবশেষে ওরা স্বীকার করেছে কে ওদের এই কাজের জন্য হায়ার করেছে।”
“কে সে?”
“…”
“কি হলো চুপ করে আছিস কেন? বল কে সে।”
“জানি না সত্য নাকি মিথ্যা কিন্তু ওদের ভাষ্যমতে আপনার ভাই রাহাত চৌধুরী ওদেরকে এই কাজ করতে বলেছিল। আমরা ওদের অনেক বার জেরা করছি, অনেক রকম ভাবে টর্চার করছি কিন্তু ওরা এই একটা কথাই বলছে।”
রুদ্র চৌধুরী খুবই শান্ত ভাবে নিজের কান থেকে ফোনটা নামিয়ে রাখে। ধীর পায়ে এগিয়ে যায় রাহাতের দিকে। রাহাত কিছুই বুঝতে পারছিল না। রাহাত কিছু বুঝে ওঠার আগেই রুদ্র রাহাতের প্যান্টের বেল্ট টেনে খুলে নেয়। অতঃপর রাহাতকে নির্মমভাবে আঘাত করতে শুরু করে। রাহাত যন্ত্রণায় আর্তনাদ করতে থাকে। রাজীব চৌধুরী, নিপুণ দুজনই একদম হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
রাজীব চৌধুরী রাহাতকে রক্ষা করতে গেলে রুদ্র গর্জে উঠে বলে,
“তুমি একদম এর মাঝে ঢুকবে না। নাহলে কিন্তু আমি ভুলে যাব যে তুমি আমার বাবা।”
রাজীব চৌধুরী পিছিয়ে যান। নিজের শান্ত ছেলেটার এই রূপ তার কাছে বড্ড অচেনা। রুদ্রর এই রুদ্রমূর্তি কখনো দেখেননি তিনি। রুদ্র ছোট থেকেই শান্ত স্বভাবের। যদিওবা কখনো খুব রেগে গেছে কিন্তু কখনো এভাবে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় নি। সর্বদা শান্ত মাথায় সব সামলেছে৷ তাহলে এখন হঠাৎ কি এমন হলো যে রুদ্র এইরকম করল?
রাজীব চৌধুরীর এই প্রশ্নের উত্তর পেতে দেরি হলো না। রুদ্র রাহাতকে মা*** রতে মা*** রতে বলতে লাগল,
“তোর সাহস কিভাবে হলো আমার নিপুণকে মে**রে ফেলার চেষ্টা করার। আজ আমি তোকে মে*রেই ফেলব। নিপুণকে মা**রবি না তুই। আমার নিপুণকে মা***রবি।”
এই বলে রাহাতকে মা**রতেই থাকে। একপর্যায়ে নিপুণ এগিয়ে এসে রুদ্র চৌধুরীকে থামানোর চেষ্টা করে। সে বলে,
“ছাড়ুন ওকে। নাহলে ও মরে যাবে।”
“যাক মরে। ওর এটাই প্রাপ্য। ও কিভাবে এত সাহস দেখাল? রুদ্র চৌধুরীর বউকে মা**রার পরিকল্পনা করল কিভাবে ও? এর পরিণাম ওকে পেতেই হবে।”
“ও ভাই হয় তোমার রুদ্র।”—(রাজীব চৌধুরী।)
রুদ্র আরো নৃশংস ভাবে মা*রতে থাকে। আর কোন উপায় না দেখে নিপুণ রুদ্রর হাত থেকে বেল্টটা নেওয়ার চেষ্টা করে বলে,
” ও আমায় মা**রলে আপনার কি? আপনিও তো এটাই চান যে আমি মরে যাই।”
রুদ্র এবার নিপুণের উপর চড়াও হয়। নিপুণের দিকে এগোতে এগোতে বলে,
“এমনটা চাই বুঝি আমি? এমন টা চাই বলেই বোধহয় তোমাকে এত কষ্ট করে বাঁচিয়ে রেখেছি?”
নিপুণও ধীরে ধীরে পেছোতে থাকে৷ এই সুযোগে রাজীব চৌধুরী তার কিছু স্টার্ফদের ডাকে। অতঃপর রাহাতকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়। রাহাতের পুরো শরীর রক্তে একদম একাকার। ফ্লোর ভেসে গেছে রক্তের স্রোতে।
রুদ্র চৌধুরী হনহন করে নিজের রুমের দিকে যায়। নিপুণও যায় তার পেছনে। রুদ্র নিপুণকে নিজের পেছনে আসতে দেখে বলে,
“আমার সাথে এসো না। আমাকে কিছু সময় একা থাকতে দাও। আর হ্যাঁ, বাড়ি থেকে পালানোর বৃথা চেষ্টা করো না। বাইরে আমি সিকিউরিটি গার্ড রেখেছি। আজ থেকে তুমি এই বাড়ির মধ্যেই বন্দি। আমার বন্দিনী তুমি।”
“আপনি একটা পশু। নিজের ভাইকে কিভাবে পশুর মতো মা**রলেন। এই সবই আপনার নাটক তাই না? এসব করেই বুঝি আমাকে ভোলাতে চাইছেন।”
“হ্যাঁ, সব আমার নাটক। এখন যাও তুমি আমার সামনে থেকে।”
রুদ্র চৌধুরী নিপুণকে পেছনে ফেলে চলে যায়। রুদ্র চৌধুরী চলে যাবার পর নিপুণ ভাবনায় পড়ে যায়। আজ এক অন্য রুদ্র চৌধুরীকে আবিষ্কার করল সে। রুদ্রকে এখন তার রহস্যমানব বলে মনে হচ্ছে। কিছুটা হলেও ইতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে মনে। এরইমধ্যে তার মনে পড়ে যায় প্রজ্ঞার কথা। তার কথা মনে আসতেই নিপুণ বলে,
“নাহ, এই রুদ্র চৌধুরী যত ভালো ব্যবহারই করুক ওনাকে বিশ্বাস করি না আমি৷ উনি একজন খু*নি। আমার চোখের সামনে প্রজ্ঞাকে খু***ন করেছেন উনি। যার শাস্তি ওনাকে পেতেই হবে।”
চলবে ইনশাআল্লাহ ✨