তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল পর্ব-০৯

0
657

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৯

ইয়ানা হাসছে আর প্রীতি তা দেখে গাল ফুলিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।

একটু আগেই শাহানা বেগম আর শাফিনের সাথে আড্ডা দিয়ে প্রীতির সাথে এসেছে বাসাটা ঘুরে দেখার জন্য। বাসার আশেপাশে ফুল বাগানে ঘেরাও করা। আর তার মাঝে সুন্দর একটা দোলনা। ইয়ানা ছুটে যেয়ে দোলনায় বসলো। পাশে যেয়ে প্রীতিও বসলো, এতক্ষণে ইয়ানা খেয়াল করলো একটু আগে প্রীতি যে ড্রেস টা পড়া ছিলো সেটা চেঞ্জ করে আরেকটা পড়েছে। এতো সকাল সকাল গোসল করার মেয়েতো না প্রীতি, চুল ও শুকনো তাহলে হুট করে ড্রেস চেঞ্জ করার মানেটা বুঝলো না।

ইয়ানা ভ্রু কুঁচকে প্রীতির দিকে তাকি কারণ জানতে চাইলে প্রীতি সব খুলে বলে রাগে ফুঁসতে লাগলো আর বলতে লাগলো এর প্রতিশোধ তো আমি নিয়েই ছাড়বো আর নাহলে আমি প্রীতি না।

সব কথা শুনে ইয়ানার হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ। ইয়ানার হাসি দেখে প্রীতি গাল ফুলিয়ে বসে রইলো।
ইয়ানা হাসতে হাসতে বললো কেনো লাগতে যাস শাফিন ভাইয়ার সাথে? সেইতো শেষে নিজেই জব্দ হোস। আরো লাগ বেশি করে তোদের ঝগড়া মা/রা/মা/রি দেখতে কিন্তু দারুণ লাগে।

পারফি বেলকনিতে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিলো তখন হঠাৎ কারো হাসির শব্দে সামনে তাকাতে ভেসে উঠলো ইয়ানার হাস্যজ্বল মুখশ্রী। সেই স্নিগ্ধ হাসি যা দেখে বরাবর এর মতো এবার ও থমকে গেলো পারফি। এই স্নিগ্ধ হাসি যে কারো ঘুৃম কেরে নিয়েছে সেই খবর কি আর এই মেয়ে রাখে? কিছু একটা মনে করে পারফি ল্যাপটপ রেখে প্রীতিকে ডাক দিলো….

হঠাৎ কারো ডাকে প্রীতি ইয়ানা দুজনে উপরে তাকাতে দেখতে পেলো পারফি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে আছে।
ইয়ানা এবার ভালো করে খেয়াল করে দেখলো পারফির রুম বরাবরি দোলনাটা যেখানে ওরা বসে আছে। লোকটা কি এতো সময় এখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো? পারফির দিকে তাকাতে চোখে চোখ পড়ে গেলো। ব্যস হয়ে গেলো ইয়ানার বুকের ভিতর ধুকপুকানি। ঔ নীলমনির ধারালো চাওনিতে চোখ পড়লে বুকের ভিতর ধুকপুকানি শুরু হয়ে যায় ইয়ানার। এতো করে চায় যাতে ওই চোখে চোখ না পড়ে তবুও বারবার ওই নীলমনিতেই চোখ আঁটকে যায়।

প্রীতি ডাকার কারণ জানতে চাইলে পারফি বলে উঠলো এখন বাহিরে যাবো যেতে চাইলে তারাতাড়ি রেডি হয়ে নে এ বলে রুমে চলে গেলো।

পারফি যেতে প্রীতি ইয়ানার হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বললো চল।

ইয়ানা কিছু না বুঝতে পেরে বললো এখন আবার কোথায় যাবি?

কাল রাতে অনেক কষ্টে ভাইয়াকে রাজি করিয়েছি আজ আমাকে ঘুরতে নিয়ে যেতে হবে শপিং করিয়ে দিতে হবে এবং আমার পছন্দ মতো কেক আমি নিজে যেয়ে অর্ডার করবো।

ইয়ানা সব শুনে বললো তুই যা, আমি না গেলে হয় না? আন্টিদের সাথে থাকি আমি?

মার চিনিস? নাকি চিনিয়ে দিবো আমি? চুপচাপ আমার সাথে চল।
অগত্য প্রীতির সাথে ইয়ানারও যাওয়া লাগলো। রেডি হয়ে গেটের কাছে আসতে দেখলো পারফি ড্রাইভিং সিটে আর তার পাশে শাফিন বসে আছে।

প্রীতি আর ইয়ানা যেয়ে পিছে বসলো। তারপর পারফি গাড়ি স্টার্ট দিলো। প্রীতি তো বকবক করেই চলেছে বাকি সবাই ওর বকবক শুনছে আর টুকিটাকি কথা বলছে। প্রীতির বকবকানির মাঝে গাড়ি এসে থামলো নিরিবিলি সুন্দর একটা জায়গায়। চারেদিকে সবুজ ঘাস মনোমুগ্ধকর একটা পরিবেশ।

এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশে ইয়ানার খুব করে ইচ্ছে করলো খালি পায়ে এই সবুজ ঘাসের ভিতর হাঁটতে। নিজের ইচ্ছে টা আর দমাতে না পেরে পা থেকে জুতো খুলে ঘাসের উপর পা রাখলো। এক অন্যরকম ভালোলাগায় ছেয়ে গেলো মন।

ইয়ানার কাজ কেউ খেয়াল না করলেও পারফি গভীর ভাবে দেখতে লাগলো ইয়ানার কান্ডকলাপ। ইয়ানা যখন সামনের দিকে পা বাড়াতে যাবে তখন পারফি বলে উঠলো বিড়াল ছানা এভাবে হাঁটলে কিছুতে বেজে পা কেটে যেতে পারে।

ইয়ানা ঠোঁট উল্টে আদারের শুরে বললো একটু হাঁটি না।

ইয়ানার এমন বাচ্চামো দেখে ঠোঁট কামরে হাসলো পারফি। ঠিক বাচ্চাদের মতো আবদার করলো এই আবদার কি ফালানো যায়?

পারফিকে কিছু বলতে না দেখে প্রীতিও ফট করে ওর পায়ের জুতো খুলে বললো আমিও খালি পায়ে হাঁটবো।

খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটা কি মজা বুঝলো না শাফিন কিন্তু ইয়ানা আর প্রীতির মুখে হাসি দেখে শাফিনের ও ইচ্ছে জাগলো খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার ফিলটা নিতে। তাই শাফিন ও ফট করে বলে উঠলো আমিও হাঁটবো এ বলে জুতো খুলতে নিলে পারফি বলে উঠলো এদের সাথে সাথে তুই ও কি বাচ্চা হয়ে গেছিস?

শাফিন বললো তো তোর কি আমাকে বুড়ো মনে হয়? মাত্র ২৬ সে পা দিয়েছি।

শাফিনের কথায় সবাই হেঁসে দিলো। ইয়ানা কিছু একটা মনে করে পারফির উদ্দেশ্যে বললো আপনিও খালি পায়ে হাঁটেন না মজা লাগবে।

সবাই ভাবলো পারফি হাঁটবে না কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পারফি ও জুতো খুলতে খুলতে বললো ওকে আজ এক দিনের জন্য না-হয় তোমাদের মতো ছোট হয়ে গেলাম। এ বলে চারজন এক সাথে সামনের দিকে হাঁটা দিলো।

হাঁটাহাটি করে চারজন এক সাথে ঘাসের উপর বসে পড়লো। সত্যি খালি পায়ে ঘাসের উপর হাঁটার ফিলটাই অন্যরকম।

শাফিন বললো ইয়ানা বুদ্ধিটা তুমি দিলে। তোমার বুদ্ধির তুলনা হয় না।

শাফিনের কথায় হাসলো ইয়ানা।

এদিকে দূরে একটা বোতল পড়ে থাকতে দেখে প্রীতি দৌড়ে যেয়ে বোতলটা নিয়ে এসে বলে উঠলো চলো না আমরা চারজন মিলে ট্রুথ ওর ডেয়ার খেলি।

সবাই সম্মতি দিলেও পারফি খেলতে চাইলো না শেষে সবার জোরাজোরিতে রাজি হলো।

বোতল ঘুরানো হলো প্রথমে যেয়ে পড়লো প্রীতির দিকে।
প্রীতি ডেয়ার নিতেই শাফিন চেচিয়ে বলে উঠলো আমি দিবো ডেয়ার।

শাফিন ডেয়ার দিবে শুনে প্রীতি ঢোক গিললো। বলে উঠলো আলি জালি ডেয়ার দিলে আমি কিন্তু মানবো না।

শাফিন বলে উঠলো খেলা তো খেলাই মানতে হবেই এ বলে কিছুক্ষণ ভেবে ইয়ানাকে বললো ফুল পরী তোমার কাছে লিপস্টিক আছে?

না ভাইয়া আমিতো লিপস্টিক তেমন ইউজ করি না তাই এটা থাকে না আমার কাছে।

পারফি বিরবির করে বললো ঠোঁট তো এমনি গোলাপের পাপরি লিপস্টিক ইউজ করবেই কোন দুঃখে।

শাফিন বললো তুমিতো এমনেই সুন্দর লিপস্টিক দিয়ে কি করবে তাও কথা। প্রীতির দিকে তাকিয়ে বললো তোর কাছে নিশ্চিই আছে বিকজ তুই সারা দিন থাকিস এই আটা ময়দা সাজগোঁজ নিয়ে।

প্রীতি ক্ষেপে বললো আর একবার যদি আমার শখের সাজগোজকে আটা ময়দা বলো না তাহলে তোমাকে আমি কিন্তু ময়দার ভিতর চুবিয়ে মা/র/বো।

চুবাচুবি পরে হবে আগে বল লিপস্টিক আছে কিনা।

আছে কি করবে?

আগে দে তারপর বলছি কি করবো।

প্রীতি ব্যাগ থেকে লিপস্টিক বের করে দিতে শাফিন প্রীতির মুখ ধরে লিপস্টিক নাকের ডগায় গোল করে দিয়ে তারপর দুই গালে বিড়ালের মতো মোছ একে দিলো।

প্রীতির অবস্থা দেখে সবাই হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা। ইয়ানা বেখেয়ালি ভাবে হাসতে হাসতে পারফির সাথে ধাক্কা খেলো। কি হয়েছে বুঝতে পেরে ছোট করে বললো সরি।

পারফি ইয়ানার স্নিগ্ধ মুখের দিকে তাকি মুচকি হেসে বললো ইটস ওকে।

এদিকে প্রীতি তো ক্ষেপে বোম ওর এই অবস্থা করার জন্য।

পারফি বলে উঠলো বিড়াল ছানা একজনে আর বিড়াল সাজালি আরেকজনকে।

ইয়ানা এবার বললো আমি মোটেও বিড়াল ছানা না। আপনি বিড়াল ছানা, আপনার চোখ বিড়ালের মতো তার মানে আপনি বিড়াল।

পারফি ইয়ানার দিকে কিছুটা ঝুঁকে বললো তাইনাকি?

ইয়ানা পিছের দিকে কিছুটা হেলে যেয়ে আমতা আমতা করে বললো অবশ্যই।

শাফিন বললো এখানে সবাই বিলাই শুধু আমি ছাড়া।

এবার প্রীতি বললো তুমি বিলাই হবাই কিভাবে তুমিতে মহিষ সারাদিন হাম্বা হাম্বা করতে থাকো।

শাফিন প্রীতির মাথায় চাপড় মেরে বললো তুই চুপ থাক তোর ডেয়ার এখনো শেষ হয়নি এখন আমাদের সাথে ছবি তুলে সেটা স্টোরি দেওয়া হবে। এই কথা শুনে প্রীতি কিছুতেই মানবে না কিন্তু শাফিন মানিয়ে ছাড়লো। চারজন এক হয়ে ফটাফট কয়েকটা সেলফি তুলে নিলো। সেলফি তোলা হলে সেগুলো শাফিন সবার হোয়াটস অ্যাপে দিয়ে বললো সবাই প্রীতিকে ম্যানশন দিয়ে স্টোরি দিতে। কথা মতো শাফিন আর ইয়ানা ছবি স্টোরি দিয়ে দিলো।

আর পারফি জুম করে ইয়ানার স্নিগ্ধ হাসি দেখতে লাগলো। এই স্নিগ্ধ হাসি দেখলেই প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

এদিকে প্রীতি গাল ফুলিয়ে বসে রইলো মান সম্মান প্লাস্টিক হয়ে গেলো আজ। নিজের উপরেই এখন রাগ হচ্ছে কেনো খেলতে আসলো পাকনামি করে।
সবাই আরো এক ধফা প্রীতিকে নিয়ে মজা নিলো।

তারপর আবার বোতল ঘুরানো হলো। এবার যেয়ে পড়লো শাফিনের দিকে। শাফিন ভালো করে জানে এখন ডেয়ার নিলে প্রীতি ওর অবস্থা টাইট করবে তাই ট্রুথ নিলো। কিন্তু এটা প্রীতি মানলো না জোর করে ডেয়ার নেওয়ালো। কিন্তু শাফিন শর্ত জুড়ে দিলো যেহেতু জোর করে ডেয়ার দেওয়া হচ্ছে সেহেতু প্রীত বাদে অন্য দুজনের একজন ডেয়ার দিবে প্রীতি দিতে পারবে না।

শর্ত অনুযায়ী প্রীতি ডেয়ার দিতে পারলো না তাই পারফি কিছুক্ষণ ভেবে বললো ওই যে নারিকেল গাছ দেখতে পারছিস ওই গাছে উঠে আমাদের সাথে সেলফি নিবি।

পারফির ডেয়ার দেওয়া দেখে সবাই আরেক ধাপ হাসাহাসি করলো। প্রীতি তো খুশিতে লাফিয়ে উঠে বললো একদম ঠিক ডেয়ার দিয়েছো ভাইয়া।

শাফিন পারফির দিকে তাকিয়ে বললো শালা তুই আমার বন্ধু নাকি শত্রু যে এমন একটা ডেয়ার দিলি।

পারফি বাঁকা হেসে বললো এটাই তোর জন্য পারফেক্ট।

শাফিন বললো তা না হয় করলাম কিন্তু গাছের মালিক যদি দেখে ফেলে ভাবে ডাব চুরি করছি তখন কি হবে?

প্রীতি বললো কি হবে আবার তোমাকে গাছে ফেলে রেখে আমরা তিনজন দৌড়ে পালাবো তারপর গাছের মালিক তোমাকে উত্তম ক্যালানি দিবে হাহা।

শাফি প্রীতির মাথায় গাট্টা মেরে বললো যেমন ভাই তেমন তার বোন। এখানে সবাই আমার শত্রু শুধু আমার ফুল পরী বোন বাদে।

শাফিনের কথায় হসলো ইয়ানা।

তারপর শাফিন উঠে গেলো গাছে। এক হাত দিয়ে পকেট থেকে ফোন বের করতে করতে বললো এখান থেকে পড়ে হাত-পা ভাঙলে তোদের নামে মামলা করবো আমি।

প্রীতি চেচিয়ে বললো আগে পড়ে নেও তারপর মামলা করো।

শাফিন বললো এখান থেকে নেমে নেই তারপর তোকে দেখাচ্ছি মজা। তারপর শাফিন গাছ থেকে সবার সাথে সেলফি নিলো। তারপর গাছ থেকে ডাব পারা শুরু করলো তা দেখে পারফি বললো এ কি করছিস?

শাফিন বললো চুপ কর শালা এতো কষ্ট করে গাছে উঠেছি ডাব না খেয়ে যাবো নাকি? বলতে বলতে চারটা ডাব পেরে নিচে নামলো।

প্রীতি খোঁচা মেরে বললো চোর ডাব চুরি করেছে।

এ কথা বলেছিস না, যা তুই পাবি না।

প্রীতি ফট করে একটা ডাব হাতে নিয়ে বললো এহ আসছে। তারপর ডাব নিয়ে আবার আগের জায়গায় গিয়ে বসলো। ঠিক করা হলো খেলা শেষ হলে এগুলো খাবে।

বাকি রইলো পারফি আর ইয়ানা এবার বোত ঘুরাতে যেয়ে পড়লো ইয়ানার দিকে। ইয়ানা ট্রুথ নিলো।

ইয়ানাকে ট্রুথ দিলো পারাফি।
পারফি বললো বিড়াল ছানা তোমার জীবনের একটা উইশ এর কথা বলো যেটা তুমি অনেক করে চাও।

ইয়ানা কিছুক্ষণ ভেবে আকাশ পানে তাকিয়ে বললো মায়ের একটু ভালোবাসা বলতে বলতে চোখজোড়া চিকচিক করে উঠলো।

ইয়ানার কথায় সবার মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেলো। এতক্ষণ হৈ-হুল্লোড় পরিবেশটা নীরব হয়ে গেলো।

পারফি তাকালো ইয়ানার মুখের দিকে। বুকের ভিতর কামর মেরে উঠলো ওই নিস্পাপ মুখের দিকে তাকিয়ে। এই নিস্পাপ মেয়েটা মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার জন্য কতটা আকাঙ্খা কিন্তু আজ মা থাকতেও মায়ের ভালোবাসা থেকে বিতারিত মেয়েটা। মনের মাঝে কতটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছে বিড়াল ছানাটা ভাবতেই বুকের মাঝে চিনচিন ব্যথা করছে। ইচ্ছে করছে ম্যাজিক করে স্নিগ্ধ ফুলের সব কষ্ট দূর করে দিতে।

প্রীতি আর শাফিনের মুখেও কোনো কথা নেই। শাফিনের খুব মায়া হলো ইয়ানার জন্য। ওর যদি এমন একটা বোন থাকতো তাহলে কখনো বোনের চোখে পানি আসতে দিতো না। মনে পড়লো ওর সেই বোনের কথা যে বোনকে শুধু একটা দিন দেখতে পেরেছিলো আর দেখার সুযোগ হয় নি। আজ বোনটা থাকলে কতোই না খুশি হতো।

সবার মন ভালো করার জন্য প্রীতি বললো হয়েছে এবার ভাইয়ার পালা। ভাইয়া তুমি ডেয়ার নিবে আর ডেয়ার হিসেবে আমাদের সবাইকে একটা গান শুনাবে।

#চলবে?

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে