#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৭
রাত বাজে ১১ টা। ছাঁদে বসে আছে পাভেল চৌধুরী, শরীফ শিকদার, পারফি ও শাফিন। খুবি সিরিয়াস মুডে কিছু একটা নিয়ে চারজন আলোচনা করছে।
পাভেল চৌধুরী বলে উঠলো কে বা কারা আমাদের পিছে এভাবে উঠে পড়ে লেগেছে তা বুঝতে পারছি না কিন্তু মনে হচ্ছে পুরোনো কোনো শত্রু। আর নাহলে এতো চালাকি করে পার পেতো না। সব কিছু বহুদিনের প্লান মতোই সব কিছু করছে। আমি আর শরীফ কয়েকমাস ধরে একটা রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই ওদের নাগাল পাচ্ছি না। কিছু দিন পর পর মানুষ মিসিং হচ্ছে মনে হচ্ছে ওদের ধরে নিয়ে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।বিষয়টা খুবি জটিল অনেক চেষ্টার পর ও কোনো ক্লু খুঁজে পাচ্ছি না।
শরীফ শিকদার বললো বুঝতে পারছি না কারা এমন করছে। এমন কি আমাদের বিভিন্ন নাম্বার দিয়ে মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি ও দিচ্ছে এই ব্যপারে তদন্ত না করতে। মেসেজ পাঠিয়ে সাথে সাথে ওই সিম খুলে ফেলে যার জন্য ওদের কোনো ভাবে ধরা যাচ্ছে না।
পারফি বললো বিষয়টা জটিল কিন্তু খুঁজে বের করতে হবে। কোনো না কোনো ক্লু তো পাওয়া যাবেই। বিষয়টা আমি আর শাফিন দেখছি।
পাভেল বললো খুঁজে তো বের করতে হবেই সেই সাথে বাসার সেফটি বাড়িয়ে দিতে হবে। ওরা ওত পেতে আছে যেকোনো সময় আক্রমণ করে বসতে পারে।
শাফিন বললো তা না হয় বুঝলাম আঙ্কেল। আচ্ছা যেহেতু মনে হচ্ছে এরা পুরোনো কোনো শত্রু তাহলে কি আপনাদের কাউকে সন্দেহ হয়? কারা এমনটা করতে পারে?
পাভেল চৌধুরী বললো আমাদের অতীত সম্পর্কে তো তোমরা অবগত। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা-মাকে হত্যা করে নাসির খান। বাবা তার কালোবাজারি কাজকারবার ফাঁস করতে চেয়েছিলো দেখে বাবা-মাকে হত্যা করে ভাগ্যক্রমে আমি বেঁচে যাই। তারপর বড় হয়ে বাবা-মার মৃত্যুর বদলা নিতে আমিও একজন জার্নালিস্ট হই। সেখান থেকেই শরীফের এর সাথে আমার পরিচয় হলো। আমার একার পক্ষে ওদের ধরা সম্ভব ছিলো না তখন আমার পাশে দাঁড়ায় শরীফ। তারপর আমরা দুজন মিলে নাসির খানের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ যোগার করে ওকে পুলিশে ধরিয়ে দেই। অনেক খু/নে/র আসামি হওয়ায় নাসির খানকে ফা/শি দেওয়া হয়।
নাসির খানের দুই ছেলে ছিলো কিছু বছর পর জানতে পারলাম ওর দুই ছেলেও এসব কাজে লিপ্ত হয়েছে। বড় ছেলে ছিলো রফিক খান আর ছোট ছেলে কে ছিলো সেটা আমরা জানতে পারি নি। খুব সতর্কতার সাথে নিজের পরিচয় গোপন রেখে এসব কালোবাজারি কাজ করতে লাগলো। যেহেতু রফিক খানের সম্পর্কে কিছু তথ্য জানা ছিলো তাই কয়েক বছরের ভিতরে ওকে ধরতে পারি। তখন তোমরা খুব ছোট তখন রফিক খানকে পুলিশে ধরিয়ে দেই। কিন্তু ক্ষমতার জোরে কয়েক বছর পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে অন্য দেশে চলে যায় তারপর থেকে ওদের আর কোনো খোঁজ পাই নি। কিন্তু এখন কেনো যেনো মনে হচ্ছে এই সব কাজ ওরা দুই ভাই মিলেই করছে।
পারফি বললো তাহলে মূল কালপ্রিট হলে রফিক খান আর ওর ভাই। তাহলে সবার আগে রফিক খানকে খুঁজে বের করতে হবে। আঙ্কেল আর আব্বু তোমরা এক কাজ করো রফিক খানের সব ডিটেইলস আমাদের দেখাও। তারপর যা করার আমি আর শাফিন করছি।
তাদের কথায় মাঝে পিয়াসা বেগম এসে বললো তোমাদের গুরুত্বপূর্ণ মিটিং শেষ হলে এবার নিচে আসো খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
পাভেল চৌধুরী বললো তুমি যাও আসছি আমরা।
পিয়াসা বকবক করতে করতে নিচে নেমে খাবার সাজাতে লাগলো। তাকে হেল্প করছে শাহানা বেগম। প্রীতি সোফায় বসে বসে ফোন টিপছিলো তা দেখে পিয়াসা বেগম ক্ষেপে গিয়ে বললো ফোনের ভিতরে ঢুকে যা একদম। পড়া নাই লেখা নাই সারা দিন শুধু ফোন আর ফোন এই বাপ ছেলে-মেয়ের জ্বালায় কবে জানি আমি পাগল হয়ে যাবো।
শাহানা বেগম বললো আহ মেয়েটাকে বকছো কেনো? পড়া শেষ করেইতো এখানে আসলো।
ভাবি তোমাদের লাইতে আজ ও মাথায় চড়ে বসে আছে। কতদূর পরেছে তা আমার ভালো করেই জানা আছে।
প্রিতি ঠোঁট উল্টে শাহানা বেগমকে পিছ থেকে জড়িয়ে ধরে বললো আন্টি মাকে কিছু বলো না সব সময় আমার সাথে এমন করে আমি থাকবোই না এই বাসায় তোমার সাথে আজি চলে যাবো তোমাদের বাসায়।
ওলে আমার সোনামেয়ে আচ্ছা তোকে আমি এই নিয়ে যাবো কত বড় সাহস আমার সোনা মেয়েটাকে বকা দেয়।
হ্যা নিয়ে যাও তোমার আহ্লাদের এই বাদর মেয়েকে।
একদম ঠিক বলেছো আন্টি এটা আসলেই একটা বাদর বলতে বলতে নিচে নামলো শাফিন।
প্রিতি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে কিছু বলতে যাবে তখন দেখে বাবারা আসছে তাই দাঁতে দাঁত চেপে গিলে ফেললো মুখে যেই কথা আসছিলো তা।
তা দেখে বাঁকা হাসলো শাফিন, আজ ভালোই জব্দ করতে পেরেছে।
শাফিনকে গাট্টা মেরে ডাইনিং টেবিলে বসতে বসতে পারফি বললো শুধু শুধু ওর পিছে লেগে থেকে ক্ষেপাস কেনো?
আরে পাগলা, ক্ষ্যাপা গোড়াকে আরো ক্ষেপিয়ে দেওয়ার মজাই আলাদা।
শাফিনের কথায় পারফির ইয়ানার কথা মনে পড়ে গেলো। মেয়েটাকে বিড়াল ছানা বললে ঠোঁট উল্টে ফেলে একদম বাচ্চাদের মতো। এই মেয়ে কি জানে না ওর এভাবে ঠোঁট উল্টানোতে কারো মনে ঝড় বয়ে যায়?কতটা মারাত্মক লাগে দেখতে? ভাবতেই ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো পারফির।
শাফিন ভ্রু নাচিয়ে পারফির দিকে তাকি বললো একা একা হাসছিস ক্যান মামা? এটাতো প্রেমের লক্ষন কার প্রেমে পড়েছিস?
শালা মা/র খেতে না চাইলে মুখ বন্ধ কর সারা দিন শুধু আজাইরা কথা।
মামা কথা লুকালে তো হবে না তারাতাড়ি বল কার প্রেমে পড়েছিস। লাস্টের কথাটা বেখেয়ালি ভাবে শাফিন জোরে বলে ফলেছে।
ডাইনিং টেবিলের উপস্থিত সবাই এক সাথে তাকালো শাফিন আর পারফির দিকে।
পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারফির খাবার গলায় আঁটকে কাশি উঠে গেলো। পিয়াসা বেগম তারাতাড়ি পানি এগিয়ে দিলো পারফির দিকে। পানি খেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে পারফি দাঁতে দাঁত চেপে তাকালো শাফিনের দিকে তা দেখে শাফিন ভয়ে ঢোক গিললো। বেফাঁস কথা বলে ফেলেছে সবার সামনে এখন পারফি যে ওর বারোটা বাজাবে তা মনে করতে গলা শুকিয়ে গেলো।
তখন ও সবাই ওদের দিকেই সন্দেহর চোখে তাকিয়ে রইলো। শাফিন বোকার মতো হেসে বললো হে হে মজা করছি আজব তোমরা এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
শাফিনের কথায় কেউ আর বিষয়টা নিয়ে ঘাটলো না যে যার মতো খাওয়ায় মন দিলো কিন্তু প্রীতির মনে খটকা লেগে গেলো ভাইয়া প্রেমে পরেছে? কিন্তু কার? জানতে হবে সবটা এর জন্য শাফিন ভাইয়ার সাথে খাতির জমাতে হবে।
পারফি দাঁতে দাঁত চেপে খাবার খেতে লাগলো আর শাফিন পালানোর ফন্দি খুঁজতে লাগলো। পারফির হাতে পড়লে যে আর রক্ষা নেই।
————————-
রাতে খাবার টেবিলে ইসহাক আহমেদ ইয়ানাকে খাইয়ে দিচ্ছিলো। ইয়ানার হাত কাঁটার পর থেকে এখনো মেয়েকে হাত দিয়ে খেতে দেন না যদি হাতে ব্যথা পায় তাই নিজ হাতে মেয়েকে খাইয়ে দেয়। এসব দেখে ইতি বেগম বিরবির করে বলে উঠলো আদিখ্যেতা দেখলে বাঁচি না।
কথাটা ইয়ানা আর ইসহাক আহমেদের কানেও আসলো। ইসহাক একবার স্ত্রীর পানে তাকালেন কিন্তু মেয়ের সামনে কিছু বললে না।
ইতি বেগমের কথায় ইয়ানার হাসিখুশি মুখটা চুপসে গেলো। চোখ জোরা চিকচিক করে উঠলো। কোনো কথা না বলে চুপচাপ বাবার হাতে পুরোটা খেয়ে রুমে চলে গেলো। রুমে এসে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগলো। মায়ের এই আচরণ গুলো খুবি কষ্ট দেয় ওকে। কষ্ট গুলো চোখের পানি দ্বারা ধুয়ে দিচ্ছে কিন্তু এতে কি আর কষ্ট কমে?
ইয়ানার কান্নার মাঝে রুমে আসলো ইসহাক আহমেদ। বাবাকে দেখে তারাতাড়ি চোখে পানি মুছে ফেললো ইয়ানা।
ইসহাক আহমেদের ভিতরেও কষ্টে ফেটে যাচ্ছে মেয়ের কষ্ট দেখে। কিন্তু তিনি আদো পারলো না স্ত্রীকে বোঝাতে এই নিস্পাপ মেয়েটার সাথে এমন করা থেকে আটকাতে। তিনি নিজেকে সামলে ইয়ানার দিকে ঔষধ বাড়িয়ে দিয়ে বললো মামনী এগুলো খেয়ে নেও।
ইয়ানা হাসার চেষ্টা করে চুপচাপ ঔষধ খেয়ে নিলো। ঔষধ খাওয়া হলে ইসহাক আহমেদ মেয়েকে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। ইয়ানা এবার নিজেকে সামলাতে না পেরে বাবার কেলে মাথা রেখে ফুপিয়ে কান্না করে দিলো।
ইসহাক আহমেদ মেয়ের চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো কান্না করে মামনী একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে দেখবে তখন মা অনেক ভালোবাসবে।
ইয়ানা ভেজা গলায় বললো সেই ছোট বেলা থেকে এই কথা শুনে আসছি বাবা। আর কত সান্ত্বনা দিবে?
ইসহাক আহমেদ বলার মতো কিছু পেলো না চুপ করে রইলো।
তা দেখে ইয়ানা বললো আমি কি মায়ের কোনো ক্ষতি করেছি বাবা? মা কেনো এমন করে আমার সাথে? আমার ও যে সবার মতো মায়ের ভালোবাসা পেতে খুব ইচ্ছে হয় বাবা বলতে বলতে ইয়ানার চোখ ভিজে উঠলো।
ইসহাক আহমেদের চোখ ও ভিজে উঠলো। মেয়েকে শান্ত করতে বললো সব হবে মামনী এখন ঘুমাও এতগুলো নিয়ে ভেবো না।
ইয়ানা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো একটা কথা জিজ্ঞেস করি বাবা সত্যি করে বলবে?
কি কথা?
আমি কি মায়ের আসল মেয়ে না বাবা? সত্যি করে বলো না বাবা মা কি সত্যি আমার মা?
কি বলছো এসব মামনী? আমি তোমার বাবা হলে ইতি তোমার আসল মা হবে না কেনো? বোকার মতো কথা বলছো মা। ইতি হয়তো তোমার উপর কিছু নিয়ে রেগে আছে তাই এমন করে কিন্তু তোমাকে খুব ভালোবাসে সেটা প্রকাশ করে না। এ ধরনের কথা আর কখনো বলবে না তাহলে বাবা কিন্তু কষ্ট পাবো।
আর কোনো কথা না এখন চোখ বুঁজে চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুমালে দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
ইয়ানা আর কথা বাড়ালো না বাবার কোলে মাথা রেখে চুপটি করে ঘুমিয়ে পড়লো।
ইসহাক আহমেদ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বালিশে শুইয়ে দিয়ে গায়ে ব্লাংকেট টেনে দিয়ে রুমের লাইট নিভিয়ে চলে গেলো।
—————————
কনকনে শীতের ভিতর সুইমিংপুলের ভিতরে হাবুডুবু খাচ্ছে শাফিন। জমে বরফ হওয়ার মতো অবস্থা। তখন খাবার টেবিল থেকে পালাতে লেগেছিলো মতো পারফি ধরে ছাঁদে নিয়ে আসে। শাস্তিস্বরূপ এই ঠান্ডার ভিতর পুলে ফেলে দেয় তখম বেফাঁস কথা সবার সামনে বলার জন্য।
শাফিন এবার বললো শা/লা পাষাণ এখন তো উঠতে দে জমে বরফ হয়ে গেলাম। মানলাম ভুলে বেফাঁস কথা বলে ফেলেছি সবার সামনে তাই বলে এভাবে শাস্তি দিবি?তোর দিলে কি মায়া দয়া নেই? আমার মতো অবলা ছেলেটাকে এভাবে শাস্তি দিচ্ছিস শা/লা জীবনেও বউ পাবি না তুই আমি অভিশাপ দিলাম।
মুখ দিয়ে যদি আর একটা কথা বলিস তাহলে কিন্তু এই পুলে তোকে সারারাত চুবিয়ে রাখবো বলে দিলাম।
এই না না আর একটা কথাও বলবো না এবার অন্তত তোল উপরে হাত বারিয়ে দিয়ে বললো শাফিন।
শাস্তি ঢের হয়েছে তাই পারফি হাত বাড়িয়ে দিলো শাফিনকে উঠানোর জন্য কিন্তু শাফিন পাল্টি খেয়ে পারফির হাত ধরে টান দিয়ে ওকেও পুলে ফেলে দিলো।
কি হয়েছে বুঝে উঠতে পারফি হামলে পড়লো শাফিনের উপরে। দু’জনে পুরো সুইমিংপুল জুড়ে ছোটাছুটি মা/রা/মা/রি করতে লাগলো।
এক পর্যায়ে দুজনে শীতে জমে যাওয়ার মতো অবস্থা তাই আপাতত নিজেদের লড়াই বন্ধ করে উপরে উঠে আসলো।
পারফি রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো তোকে পড়ে দেখে নিবো আমি।
দোষ তো তোর এই। তুই আমাকে আগে কেনো পুলে ফেলেছিস?
তুই বেফাঁস কথা কেনো বলেছিস তাহলে সবার সামনে?
ঠিকি তো বলেছি এবার তারাতাড়ি বল কার প্রেমে পেরেছিস?
আবার যদি পুলে পড়তে না চাস তাহলে মুখ বন্ধ কর।
শাফিন ভয়ে আর কিছু বললো না এখন আবার পুলে পড়লে নির্ঘাত বরফে জমে যাবে। তাই চুপচাপ পারফির সাথে নিচে নেমে আসলো।
নিচে নামতে সম্মুখীন হলো বাসার সবার সামনে। সবাই অবাক হয়ে বললো একি তোমাদের এই অবস্থা কেনো?
পারফি শাফিনের দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো দুই বন্ধুর এই রাত ১২ টায় সাঁতার কাটার ইচ্ছে জেগেছে তাই এক সাথে সাঁতার কেটেছি। আর কোনো কথা জিজ্ঞেস করো না এবার ঠান্ডায় জমে বরফ হয়ে যাবো চেঞ্জ করে আসছি। এ বলে পারাফি আর শাফিন চলে গেলো চেঞ্জ করতে।
ওরা যেতে সবাই এক সাথে উচ্চস্বরে হেঁসে উঠলো। শাহানা বেগম বললো দেখলে ছেলে দুটি এখনো বড় হলো না বাচ্চাদের মতো এখনো মা/রা/মা/রি করে।
শাহানার কথা শুনে সবাই আরো একধাপ হাসলো।
#চলবে?
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….🥰