#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ৩৫
গাড়ি এসে থামলো চারেদিকে সবুজে ঘেরা দোতলা একটা বাড়ির সামনে। সব কিছু মুগ্ধ চোখে ইয়ানা দেখতে লাগলো। সবুজে ঘেরা পরিবেশ বরাবর এই মুগ্ধ করে ইয়ানাকে।
চারপাশে দেখতে দেখতে ইয়ানা সবার সাথে আস্তে ধীরে গাড়ি থেকে নামলো।
ওদের আগেই বড়দের গাড়ি এসে পড়েছে। তারা সবাই নেমে ওদের জন্যই ওয়েট করছিলো সাথে দেখা মিললো অপরিচিত কতগুলো মুখের সাথে।
ইয়ানারা সবাই সেখানে যেতে শাহানা বেগম ইয়ানার হাত ধরে অপরিচিত মানুষগুলোর সামনে নিয়ে গেলো।
প্রথমে নিয়ে গেলো এক বৃদ্ধার কাছে। তার কাছে যেয়ে ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বলল,
এটা তোর নানুমনি আর মা ও হলো আমাদের শ্রুতি।
ইয়ানা ছোট করে নানুমনিকে সালাম দিলো। বৃদ্ধা সালামের উত্তর দিয়ে ইয়ানার থুতনি ধরে বলল,
মা শা আল্লাহ আবার নানুভাই তো একদম আমার মেয়ের মতো হয়েছে। অনেক অনেক দোয়া রইলো নানুভাই তোমার জন্য।
ইয়ানার মুচকি হাসলো বৃদ্ধার কথায়। তারপর শাহানা বেগম আরেকটা ভদ্রলোকের সামনে নিয়ে গিয়ে বললো এটা হলো তোর মামা রিয়াজ আর ও হলো তোর মামি রিমা।
ইয়ানা দুজনের উদ্দেশ্যে সালাম দিলো। তারা সালাম এর উত্তর দিয়ে টুকটাক কথা বলতে লাগলো। রিয়াজ আহমেদ তো এতো বছর পর নিজের বোনঝি কে পেয়ে আবেগে আপ্লূত হয়ে গেলো। চোখের কোটরে জমা হলো চিকচিক অশ্রু।
সবাই কথা বলছিলো তখন হঠাৎ করে পিছ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো হেই ইয়ানা পরী আমি রাফি তোমার একমাত্র মামাতো ভাই। এখানে কারো তো আমাকে চোখেই পরছে না তাই নিজের পরিচয় নিজেই দিয়ে দিলাম।
রাফির কথায় সবাই হেঁসে ফেললো। ইয়ানাও হাসিমুখে রাফির সাথে কুশল বিনিময় করলো।
সবার সাথে কুশল বিনিময় করা হলে রিমা বেগম বলে উঠলো সবাই কি এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি চলো চলো সবাই ভিতরে চলো।
রিমা বেগমের কথায় সবাই এক সাথে আস্তে ধীরে বাসার ভিতরে প্রবেশ করলো। ইয়ানা ওর নানুর হাত ধরে সামনে এগিয়ে গেলো, পাশাপাশি বড়রা সবাই এগোতে লাগলো।
তাদের পিছু প্রীতি যাচ্ছিলো তখন আচমকা রাফি প্রীতির মাথায় গাট্টা মেরে পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বললো কিরে প্রীটি তোর ভাব বেরেছে নাকি? একবার জিজ্ঞেস ও করলি না কেমন আছি। ( রাফির সাথে প্রীতির সম্পর্কটা অনেকটা বন্ধুত্বের মতো তাই তুই করেই বলে।)
প্রীতি ক্ষেপে বলল রাফি ভাইয়া আসতে না আসতে আমার পিছে লেগে গেছো। আবার প্রীটি বলে ডাকছো? আমি একবার ক্ষেপে গেলে তোমার দশা বেহাল করবো বলে দিলাম।
কে শোনে কার কথা রাফি এক একটা কথা বলে প্রীতিকে ক্ষেপাতে লাগলো আর প্রীতি ক্ষেপে রাফির সাথে তর্ক জুড়ে দিলো।
প্রীতিদের পিছে পারফি আর শাফিন আসছিলো। শাফিন তীক্ষ্ণ চোখে প্রীতি আর রাফির কাজ দেখতে লাগলো। তখন দেখলো রাফি আবার কথায় মাঝে প্রীতি মাথায় গাট্টা মেরেছে তা দেখে শাফিনের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো। দাঁত কটমট করে প্রীতি আর রাফির দিকে তাকিয়ে রইলো।
এদিকে পারফি শাফিনের সাথে কথা বলছিলো তখন হঠাৎ শাফিনকে চুপ হয়ে যেতে দেখে ওর দিকে তাকালো। শাফিনের চোয়াল শক্ত করা মুখ দেখে ভ্রু কুঁচকে গেলো পারফির। শাফিনকে ধাক্কা দিয়ে বললো তোর আবার কি হয়েছে?
শাফিন দাঁত কটমট করে বললো কিছুনা।
শাফিনের হঠাৎ এরুপ আচরনের মানে পারফির মাথায় ঢুকলো না। ভ্রু কুঁচকে একবার শাফিনের দিকে তাকিয়ে তারপর ওর চোখ অনুসরণ করে সামনে তাকাতে ভ্রু আরো কুঁচকে গেলো। কিন্তু কিছু বললো না চুপচাপ বাসায় প্রবেশ করে সবাই এক সাথে ড্রয়িংরুমের যেয়ে বসলো।
রিমা বেগম এসে সবাইকে হালকা নাস্তা এনে দিতে লাগলো। সবাই গল্পগুজব করতে করতে নাস্তা খেতে লাগলো তখন রাফি একটা আপেল হাতে নিয়ে খেতে খেতে প্রীতির পাশে ধিরিম করে যেয়ে বসলো।
প্রীতি প্রথম ভড়কে গেলেও পরক্ষণে রাফির সাথে গল্প জুড়ে দিলো।
এদিকে শাফিন নিজেকে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে নিজেকে শান্ত করেছিলো এখন আবার ধপ করে মাথায় আগুন জ্বলে গেলো রাফি প্রীতির পাশে বসাতে আর প্রীতির এমন দাঁত কেলিয়ে রাফির সাথে গল্প করতে দেখে। ইচ্ছে হলো থাপড়িয়ে প্রীতির গাল লাল করে দিতে কিন্তু আপাতত নিজের ইচ্ছেটা দমিয়ে রেখেছে।
প্রীতির আর রাফির দিকে আগুন চোখে একবার তাকিয়ে উঠে দাঁড়ালো শাফিন। থমথমে স্বরে সবার উদ্দেশ্যে বললো আমি উপরে যাই মাথা ধরেছে জার্নি করে, একটু রেস্টের প্রয়োজন এ বলে আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হনহনিয়ে উপরে উঠে গেলো।
কেউ শাফিনের বিষয়টা নিয়ে না ভাবলেও পারফির মনে বেশ খটকা লাগলো। কখন থেকে আজব আজব বিহেভিয়ার করে চলেছে। এমনকি মাত্র মিথ্যে কথা বলে এখান থেকে উঠে ও গেলো তা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছে।
যেহেতু সবাই লম্বা এক জার্নি করে এসেছে তাই রিয়াজ আহমেদ সবাইকে বললো একটু রেস্ট নিতে।
পাভেল চৌধুরী আর শরিফ শিকদার রেস্ট নেবে না বলে রিয়াজ আহমেদের সাথে বেড়িয়ে গেলো বাসা থেকে।
পিয়াসা বেগম আর শাহানা বেগম ও বলল রেস্ট নেওয়ার প্রয়োজন নেই তাই তারা চলে গেলো রিমা বেগমকে কাজে সাহায্য করতে। এতো গুলো মানুষের জন্য রান্না বান্নার ব্যবস্থা করতে একা হাতে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ইয়ানা ওর নানুমনির সাথে গল্প করছিলো তখন নানুমনি বলে উঠলো,
যাও নানুভাই একটু রেস্ট নেও এখন, তোমাকে দেখে ক্লান্ত লাগছে।
আসলেই ইয়ানার একটু টায়ার্ড লাগছিলো। ছোটবেলা থেকে জার্নি করার অভ্যাস নেই। ঢাকা থেকে নানু বাড়ির দূরত্ব টা মোটামুটি দূরের পথ এই ছিলো তাই মাথা ধরেছে।
পারফি একবার ইয়ানার দিকে তাকিয়ে বিষয়টা বুঝেতে পারলো তাই বসা থেকে উঠে ইয়ানার উদ্দেশ্যে বলল,
চলো আমি নিয়ে যাচ্ছি উপরে।
পারফির কথায় সম্মতি দিয়ে পারফির সাথে আস্তে ধীরে উপরে উঠে গেলো ইয়ানা।
এদিকে প্রীতির চোখমুখে নেই ক্লান্তি ছাপ। ও কোনো দিকে কোনো ধ্যান খেয়াল না দিয়ে রাফির সাথে রাজ্যর গল্প করতে লাগলো।
গল্পের মাঝে শাহানা বেগম এসে প্রীতির হাতে এক মগ কফি ধরিয়ে দিয়ে বললো যাতো মা কফিটা একটু শাফিনকে দিয়ে আয়। ছেলেটার মাথা ধরেছে নাকি একটু কফি খেলে ভালো লাগবে।
প্রীতি কফিটা হাতে নিয়ে রাফির উদ্দেশ্যে বললো তুমি একটু বসো ভাইয়া। আমি কফিটা দিয়ে আসছি এ বলে উপরে চলে গেলো।
এই বাসায় শাফিনের জন্য বরাদ্দকৃত রুমে চলে গেলো প্রীতি। রুমে যেয়ে দেখলো শাফিন মাথার চুল খামছে ধরে বসে আছে। তা দেখে প্রীতি কফিটা পাশের টেবিলে রেখে শাফিনের উদ্দেশ্যে বলল,
মাথা কি বেশি ধরেছে? কফিটা খেয়ে নেও ভালো লাগবে।
আচমকা প্রীতির কন্ঠস্বর শুনে শাফিনের জ্বলন্ত মাথা যেনো আরো জ্বলে উঠলো। আচমকা উঠে প্রীতিকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরলো।
শাফিনের আচমকা আক্রমনে প্রীতি ভড়কে গেলো। মাথা তুলে শাফিনের দিকে তাকাতে কলিজা ছ্যাত করে উঠলো। শাফিনের চোখজোড়া অসম্ভব পরিমান লাল হয়ে আছে। বুঝতে পারলো না মাথা যন্ত্রণায় এমন লাগছে নাকি কোনো কারণে রাগ করে আছে। প্রীতি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললে উঠলো,
ত..তোমাকে এমন লাগছে কেনো? ক…কিছু কি হয়েছে?
প্রীতির কথায় যেনো শাফিন আরো রেগে গেলো। দেয়ালের সাথে প্রীতির চেপে রাখা হাত আরো জোরে চেপে ধরে দাঁত কটমট করে বলল,
রাফির সাথে এতো কিসের কথা তোর? খুব মজা লাগে না ওর সাথে কথা বলতে? তো যানা ওর সাথে কথা বল আমার এখানে কেনো আসছিস?
শাফিনের দাঁত কটমট করা কথায় প্রীতি চুপসে গেলো। রাফি ভাইয়ার সাথে কথা বলেছি দেখে এতো রাগ? কিন্তু কেনো? তার মানে শাফিন ভাই জেলাস? কথাটা ভাবতে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো প্রীতির।
এদিকে প্রীতিকে এমন হাসতে দেখে শাফিন আরো ফুঁসে উঠে ধমক দিয়ে বললো তোকে হাসতে বলি নাই, আমার কথায় এন্সার দিতে বলেছি।
শাফিনের কান্ডে ঠোঁট কামড়ে হাসলো প্রীতি। তারপর শাফিনের দিকে তাকিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলল,
আমি রাফি ভাইয়ার সাথে কথা বলি বা যাই করি তাতে তোমার কি সমস্যা?
শাফিন প্রীতির কথাটা এরিয়ে যেয়ে দাঁতে দাঁত চেপে বললো রাফির থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবি। নেক্সট টাইম যদি দেখি গায়ে পড়ে কথা বলছিস তাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না।
প্রীতি মুখ ভেঙচিয়ে বলল,
বয়েই গেছে আমার তোমার কথা শুনতে। আমি ১০০ বার কথা বলবো তাতে তোমার কি?
প্রীতির কথায় যেনো শাফিনের রাগ এবার তুঙ্গে উঠে গেলো। রাগের মাথায় এখন না চর বসিয়ে দেয়।
শাফিনকে এতো রেগে যেতে দেখে প্রীতির এবার কিছুটা ভায় লাগতে লাগলো। হাতে ব্যথা ও লাগছে যেখানে শাফিন নিজের শরীরের সব জোর দিয়ে চেপে ধরেছে। শেষের কথাটা যে বলা ঠিক হয় নাই ভাবতে প্রীতি ঢোক গিললো। ঢোক গিলে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,ছাড়ো লাগছে আমার।
প্রীতির কথা যেনো শাফিনের কানে গেলো না উল্টো আরো শক্ত করে হাত ধরলো। রাগে ফুঁসে উঠে কিছু বলতে নিবে তখন রাফির কন্ঠস্বর শুনতে পেলো যে রাফি ওর রুমেই আসছে। এই মুহূর্তে রাফির আসাতে শাফিনের রাগ মাথায় চরে বসলো কিন্তু নিজেকে সামলে নিয়ে প্রীতিকে ছেড়ে দূরে সরে গেলো।
শাফিন দূরে যেতে প্রীতি যেনো হাপ ছেড়ে বাচলো। বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। তখন প্রবেশ করলো রাফি। রাফি এসেই প্রীতির উদ্দেশ্যে বললো,
কিরে পেত্নী আমাকে কখন থেকে বসিয়ে রেখে এখানে কি করছিস?
প্রীতি ঢোক গিলে একবার রাফির দিকে তাকালো আরেকবার শাফিনের দিকে তাকালো। শাফিন দাঁত কটমট করে ওর দিকেই তাকিয়ে তা দেখে প্রীতি শুঁকনো ঢোক গিলে কোনো রকম বলল,
ক..কিছুনা তোমরা গল্প করো আমি আসছি এ বলে প্রীতি রাফিকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে এক প্রকার দৌড়ে চলে গেলো।
প্রীতির এভাবে যাওয়ার মানে বুঝলো না রাফি। পরক্ষণে আর কিছু না ভেবে শাফিনের দিকে তাকিয়ে বললো কি অবস্থা ব্রো? মাথা ব্যথা কমেছে?
শাফিন নিজেকে সামলে একটু হাসার চেষ্টা করে টেবিলের উপর থেকে কফিটা হাতে নিতে নিতে বলল, হুম এখন একটু ভালো লাগছে।
তারপর দুজন মিলে টুকটাক গল্প করতে লাগলো। শাফিনতো মনে মনে ফুঁসতে লাগলো রাফির উপরে। কেনো যেনো খুব রাগ লাগছে ওর উপরে। মনে মনে বললো শালা শুধু মামাতো ভাই বলে বেঁচে গেলি আর নাহলে তোর দফা রফা করে দিতাম।
——————————-
এদিকে ইয়ানাকে নিয়ে পারফি একটা রুমে আসলো। ইয়ানা ওয়াশরুমে যেয়ে চোখমুখ পানি দিয়ে আসলো। মাথা যন্ত্রণা কেমন ধীরে ধীরে বাড়তে লাগলো। ব্যথায় চোখমুখ কুঁচকে ফেললো ইয়ানা।
ইয়ানাকে চোখমুখ কুঁচকাতে দেখে পারফি ইয়ানার কাছে এগিয়ে গিয়ে বলল,
মাথা যন্ত্রণা কি বেশি করছে?
ইয়ানার ব্যথাতুর চোখে একবার পারফির দিকে তাকিয়ে বলল,
একটু করছে রেস্ট নিলে সেরে যাবে।
পারফি একবার ইয়ানার দিকে তাকি বেডের পাশে ব্যাগ থেকে তোয়ালে বের করে এনে ইয়ানার ভেজা মুখটা আলতো করে মুছে দিতে লাগলো।
পারফির কাজে প্রথমে চমকে গেলেও পরক্ষণে মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগলো ইয়ানা। লোকটার এতো এতো কেয়ার করা যেনো মুগ্ধ করতে বাধ্য করে বারংবার।
পারফি চুপচাপ ইয়ানার মুখ মুছে দিয়ে তোয়ালেটা চেয়ারের উপর রেখে ইয়ানার হাত ধরে বেডের কাছে নিয়ে গেলো।
ইয়ানা পারফির দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টিতে তাকাতে পারফি ইয়ানাকে বলল এখন চুপচাপ একটা ঘুম দিবে। ঘুম দিলে ভালো লাগবে।
পারফির কথায় ইয়ানার বাধ্য মেয়ের মতো চুপচাপ শুয়ে পড়লো। আসলেই এখন একটু ঘুমের প্রয়োজন কিন্তু মাথা যন্ত্রণায় ঘুম আসছে না।
পারফি কিছুক্ষণ ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থেকে চুপচাপ ইয়ানার পাশে শুয়ে ইয়ানাকে কাছে টেনে নিয়ে কপালে আলতো করে হাত দিয়ে টিপে দিতে দিতে বললো এবার ঘুমাও।
পারফির কাজে মুচকি হাসলো ইয়ানা। তারপর গুটিশুটি হয়ে পারফির বুকে মুখ গুঁজে চোখ বুজলো। এক সময় ঘুমিয়ে পড়লো।
ইয়ানা নিঃশ্বাস ভারী হতে বুঝতে পারলো ওর স্নিগ্ধ ফুল অবশেষে ঘুম পরেছে তাই এতক্ষণ আলতে করে মাথায় হাত বুলাতে থাকা হাতটা থামালো। তারপর ঘুমন্ত স্নিগ্ধ ফুলের মাথায় গভীর ভাবে চুমু খেয়ে শক্ত করে বুকের মাঝে আগলে নিলো। কিছুক্ষণ ওভাবে থেকে আস্তে করে ইয়ানাকে নিজ থেকে ছাড়িয়ে বালিশের শুইয়ে দিয়ে ভালো করে শরীরে কম্বল জড়িয়ে দিলো। তারপর কিছুক্ষণ ঘুমন্ত ইয়ানার দিকে তাকিয়ে থেকে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো শাফিনের উদ্দেশ্যে।
শাফিনের রুমে এসে দেখলো রাফি আর শাফিন টুকটাক কথা বলছে। পারফি এসেও যোগ দিলো সেই কথায়, সাথে ভ্রু কুঁচকে বার বার শাফিনের দিকে তাকাচ্ছে। মূলত শাফিনের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করছে। এখানের আসার পর থেকে কেমন আজগুবি বিহেভিয়ার করছে যা ঠিক হজম হচ্ছে না পারফির।
#চলবে?