তুমি আমার স্নিগ্ধ ফুল পর্ব-০১

0
967

#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ১

মা শাড়িটা একটু পড়িয়ে দিবে?
ইয়ানা এতো ন্যাকা করার কি হয়েছে নিজেরটা নিজেই পড়ে নিতে পারিস না।
মায়ের কথায় হাসিখুশি মুখটা চুপসে গেলো। চোখের কোটরে পানি জমা হয়ে গেলো। কান্না আটকে ছোট করে বললো আমি কখনো শাড়ি পড়িনি তাই পড়তে পারি না।

না পারলে পড়ার দরকার নেই। কলেজে কি পড়তে যাস নাকি নিজের রুপ দেখাতে যাস? নাটক না করে নিজের টা নিজের করে নে। এই বাপ মেয়ের জ্বালায় আমার জীবনটা অতিষ্ট হয়ে গেলো। যেমন বাপ তেমন তার মেয়ে।
মায়ের কথায় এবার আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো অশ্রু। সেখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে ছুটে রুমে যেয়ে দরজা আঁটকে বালিশে মুখ গুজে অশ্রু ফলতে লাগলাম। কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। মা সবাসময় আমার সাথে এমন করে। কোথায় ইমা আপুর সাথে তো এমন করে না। তাহলে আমার সাথে কেনো এমন করে? কেনো সবসময় আমার সাথে রেগে থাকে? মা থাকতেও কখনো মায়ের ভালোবাসা পাই নি। সবসময় মা আমার উপরে রেগে থাকে। কিন্তু কেনো? কি দোষ করেছি আমি?
ইমা আপুকে আজ খুব মিস করছি। আপু থাকলে হয়তো মায়ের কথা শোনা লাগতো না। আপু নিজে আমাকে শাড়ি পড়িয়ে দিতো। খুব করে কান্না পাচ্ছে আপুর বিয়ে হয়ে কেনো গেলো সেই জন্য।

অনেক কষ্টে নিজের কান্না থামিয়ে চোখমুখে পানি দিয়ে এসে ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলাম আমার বেস্ট ফ্রেন্ড প্রীতির কাছে। প্রথম বার কল রিসিভ হলো না তাই একটু পরে আবার কল করলাম। খুব করে কান্না আটকাতে চাচ্ছি কিন্তু কান্না আটকাতে বরাবরই এই ব্যর্থ হলাম। এই একমাত্র একটা মেয়ে যার কাছে কিছু লুকাতে পারি না। বলা বাহুল্য ভাগ্য করে একটা বেস্ট ফ্রেন্ড পেয়েছি। নিজের বোনের থেকে কোনো অংশে কম না।
আজকে আমাদের কলেজে নবীন বরন তাই সবাই শাড়ি পড়ে যাবে। আমি এটা শুনে না করে দিয়েছিলাম কিন্তু এতে প্রীতির কান্না কারার মত অবস্থা। কোনো মতেই ও আমাকে শাড়ি পড়া ছাড়া যেতে দিবে না। অনেক জোরাজোরির পর প্রীতির কাছে হার মেনে রাজি হলাম শাড়ি পড়ার জন্য। কিন্তু কে জানতো সেই শেষে এসে শাড়ি আর পড়া হবে না আমার।
ভাবনার মাঝে কল রিসিভ হতেই নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে প্রীতিকে বলতে লাগলো প্রীতি একটা কথা বলি প্লিজ রাগ করিস না। আমি শাড়ি পড়তে পারবো নারে। জানিস তো আমি শাড়ি পড়তে পারি না। মাকে বলেছিলাম কিন্তু মা পড়িয়ে দেয় নি রে বলতে বলতে চোখ ভিজে উঠলো ইয়ানার।
ফোনের অপর পাশ থেকে কোনো সারা শব্দ না পেয়ে ইয়ানা ভেজা গলায় বলে উঠলো হ্যালো..প্রীতি শুনতে পারছিস?
এবার ও কোনো উত্তর আসলো না। ইয়ানা কয়েকবার হ্যালো হ্যালো বললো কিন্তু কোনো সারা না পেয়ে ফোন কাটতে যাবে তখন শুনতে পেলো কিছু কথা।

ভাইয়া কে ফোন করেছে?প্রীতি রুমে ডুকতে ডুকতে পারফির উদ্দেশ্যে বললো।
প্রীতির কথায় পারফি একটা ঘোর থেকে বের হলো। প্রীতির ফোনে একটু সমস্যা হয়েছিলো সেটা ঠিক করার জন্য পারফির কাছে ফোনটা দিয়ে ও নিজের রুমে চলে গেছিলো রেডি হতে। পারফি ফোন ঠিক করছিলো তখন কলিজা নামে সেভ করা একটা নাম্বর থেকে ফোন আসলো। পারফি কৌতুল জাগলো এটা কে হতে পারে। ভাবনার মাঝে কল কেটে গেলো একটু পরে আবার কল আসলো। পারফি কৌতুহল বসতো ফোন রিসিভ করতে কারো ভেজা কন্ঠস্বর শুনে থমকে গেলো। কন্ঠ শুনে বুঝা গেলো অনেক সময় কান্না করেছে। কান্না করার পর কারো কন্ঠস্বর এত আদুরে লাগে তা জানা ছিলো না। কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেলো। কেনো যেনো সেই কান্না ভেজা মুখটা দেখার অদম্য ইচ্ছে জাগলো মনে। পরক্ষণে নিজের ভাবনায় নিজেই অবাক হলো পারফি। একটা মেয়ের কন্ঠ শুনে মনে এমন ভাবনা জাগার জন্য নিজে বেকুব বনে গেলো।

কি হলো ভাইয়া কথা বলছো না কেনো? কে ফোন করেছে?

পারফি ভাবনা থেকে বেড়িয়ে রসিকতার সাথে বলে উঠলো তোর কলিজা ফোন করেছে। কলিজা বললে ভুল হবে মনে হলো কোনো বিড়াল ছানা ম্যাও ম্যাও করে কথা বলেছে।
পারফির কথা শুনে প্রীতি হেসে ফেলে বললো কে ইয়ানা ফোন করেছে?
তোর কোন কলিজা ফোন করেছে তা তুই দেখ এ বলে ফোনটা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো যা ভাগ এবার এখান থেকে।
প্রীতি ফোন হাতে নিয়ে মুখ ভেঙচিয়ে ফোন নিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
এদিকে ইয়ানা থম মেরে বসে রইলো। এত সময় কি হলো কিছুই মাথায় ঢুকছে না। কে ফোন ধরলো? আর কি বললো? আমি বিড়ালের মতো ম্যাও ম্যাও করেছি?

হ্যালো ইয়ানা আছিস?
প্রীতির কন্ঠ শুনে ইয়ানা নড়েচড়ে বসলো। নিজেকে স্বাভাবিক করে আমতা আমতা করে বললো তখন ফোন রিসিভ কে করেছিলো?
পারফি ভাইয়া ধরেছিলো। এখন কি হয়েছে বল, তুই কি রেডি হয়েছিস?
পারফি নামটা ইয়ানা অনেক শুনেছে। প্রীতির ভাই পারফি, লোকটাকে কখনো দেখা হয় নি। ফাজিল লোক আমাকে বিড়ালের বাচ্চা বানিয়ে দিয়েছে।
ইয়ানা ঠোঁট উল্টে বললো তোর ভাই আমাকে বিড়ালের বাচ্চা বানিয়ে দিলো।
ইয়ানার কথায় প্রীতি খিলখিল কারে হেসে দিয়ে বললো ভাইয়া তো ঠিকি বলেছে। তুই আসলেই একটা বিড়াল ছানা। আমার কলিজার বেস্টু বিড়াল ছানা।
প্রীতির কথায় ইয়ানা গাল ফুলিয়ে বললো থামবি তুই নাকি ফোন কেটে দিবো?
এই না না এবার বল কি হয়েছে?
ইয়ানার মুখটা চুপসে গেলো। মন খারাপ করে সব খুলে বললো।
সব শুনে প্রীতির মন ও খারাপ হয়ে গেলো। মন খারাপ নিয়ে বললো আন্টি যে কেনো তোর সাথে এরকম করে বুঝি না। থাক মন খারাপ করিস না। আমি আসছি তোদের বাসায়, আমি তোকে শাড়ি পড়িয়ে দিবো তবুও তোর শাড়ি পড়া লাগবে।
কি বলছিস তুই আবার কষ্ট করে আসবি, এর থেকে আমি না পড়লে হয় না?
আর একটা কথা বলবি তাহলে তোর মুখ একদম সেলাই করে দিবো। চুপচাপ ফোন রাখ আমি আধা ঘণ্টার ভিতরেই আসছি এ বলে ইয়ানাকে আর কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কেটে দিলো।
ইয়ানা ফোনের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। এই মেয়েকে কোনো কথা শুনানো যায় না। যেটা বলবে সেটা করেই ছাড়বে।
প্রীতি ইয়ানার সাথে কথা শেষ করে পারফির রুমে গিয়ে বললো ভাইয়া আজ তো তুমি অফিসে যাবে না। আমাকে একটা হেল্প করতে পারবে?

প্রীতির কথায় পারফি ভ্রু কুঁচকে বললো কী হেল্প?
আসলে ভাইয়া আমাকে একটু ইয়ানাদের বাসায় দিয়ে আসতে পারবে?
পারফি রসিকতার সাথে বললো কে তোর ওই বিড়াল ছানার বাসায়?
ভাইয়া একদম আমার কলিজার বেস্টুকে নিয়ে হাসবে না তাহলে ঘুসি দিয়ে তোমার সব দাঁত ফেলে দিবো।

বিড়াল ছানাকে বিড়াল বললেও দোষ যা বাবা।

প্রীতি কপাট রাগ দেখিয়ে বললো ভাইয়া তুমি চুপ করবে। আমাকে প্লিজ একটু তারাতাড়ি দিয়ে আসো না।

আমি কি তোর ড্রাইভার নাকি যে তুই বললি আর দিয়ে আসবো?
ভাইয়া এবার কিন্তু বেশি করছো। আমি কিন্তু আম্মুকে ডাক দিবো এবার।
তুই কি আমাকে থ্রেট দিচ্ছিস? ভেবেছিলাম যাবো কিন্তু এখন যাবো না, যা ভাগ আমার রুম থেকে।
প্রীতি এবার কাঁদো কাঁদো ফেস করে বললো প্লিজ ভাইয়া চলো না লেট হয়ে যাচ্ছে।

আমি গার্ডকে বলে দিচ্ছি পৌঁছে দিয়ে আসবে।

এএ না গার্ড দের সাথে আমি যেতে পারবো না। কেমন তাদের সাথে গেলে রোবোটের মত বসে থাকতে হয় যা পুরোই বোরিং লাগে। আজকে আমার মুডটা খুব ভালো আছে এই আজাইরা গার্ডদের সাথে যেয়ে মুডের ১২ টা বাজাতে চাই না।
আমার কাজ আছে আমি যেতে পারবো না।
প্রীতিও নাছোড়বান্দা পারফিকে রাজি না করানো পর্যন্ত দম নিলো না। অবশেষে প্রীতির কাছে হার মেনে যেতে রাজি হতে হলো। পাফিকে রাজি করাতে পেরে প্রীতি খুশিতে নিচে নেমে গেলো।

পারফি রেডি হয়ে নিচে নামছিলো তখন পিয়াসা বেগম বললো অফিসে যাচ্ছিস নাকি? আজ তো অফিসে যাবি না বললি।
তোমার মেয়েকে নাকি তার বিড়াল ছানার বাসায় দিয়ে আসতে হবে। তাই দিয়ে আসতে যাচ্ছি।
পিয়াসা বেগম কথায় মানে বুঝতে না পেরে বললো মানে?
তখন প্রীতি বললো মা ভাইয়াকে কিছু বলো। আমার জানের বেস্টুকে আর একবার যদি বিড়াল ছানা বলে তাহলে কিন্তু খবর আছে।
দুই ভাই বোনের কথা শুনে পিয়াসা বেগম হেসে ফেললেন। হেসে বললো ও ইয়ানার কথার বলছিস। মেয়েটা কত ভদ্র কিউট বাচ্চা, সেই কবে দেখেছি আর দেখা হলো না। একদিন সময় করে ইয়ানাকে নিয়ে আসিস তো।
আচ্ছা আনবো এবার যাই আম্মু লেট হয়ে যাচ্ছে।

আচ্ছা সাবধানে যাস। আর পারফি তুইতো আজ ফ্রী আছিস তাহলে ওদের দুজনকে এক সাথে নিয়ে ওদের কলেজে যাস। রাস্তা ঘাট ভালো না তার উপর শত্রুর ও ওভাব নেই এর ভিতরে ওরা দুটো মেয়ে একা একা গেলে যদি কোনো বিপদ হয়। এমনিতেও আজ কলেজে অনুষ্ঠান কখন কি বিপদ এসে পরে বলা যায় না।

পারফি আচ্ছা বলে বিদায় জানিয়ে প্রীতিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো। পরে প্রীতির দেওয়া ঠিকানায় যেয়ে গাড়ি থামালো।
প্রীতি নেমে যাবে তখন পারফি গম্ভীর কন্ঠে বললো ১৫ মিনিট এর ভিতরে রেডি হয়ে নিচে নামবি আমি আছি এখানে।

আচ্ছা তুমি একটু ওয়েট করো আমি এই যাচ্ছি আর এই চলে আসবে এ বলে দৌড়ে উপরে চলে গেলো।
বোনের কান্ড দেখে মুচকি হাসলো পারফি। পকেট থেকে ফোন বের করে ফোন স্ক্রোল করতে লাগলো।

প্রীতি দৌরে দোতলায় উঠে হাঁপাতে লাগলো। নিজেকে একটু শান্ত করে কলিংবেল চাপ দিলো। কিছুক্ষণ পর দরজা খুললেন ইতি বেগম (ইয়ানার মা)
ইতি বেগম কে দেখে প্রিতি সালাম দিয়ে জানতে চাইলো ইয়ানা কোথায়।
ইতি বেগম গম্ভীর কন্ঠে বললো ওর রুমে আছে এ বলে নিজের কাজে চলে গেলো।
প্রীতি ইতি বেগম এর যাওয়ার পানে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাস ফেললো। তিনি যে কেনো সবসময় এমন গম্ভীর হয়ে থাকে তা আদো বুঝে উঠতে পারলো না।
প্রীতি ইয়ানার রুমে এসে নক দিতে ইয়ানা দরজা খুলে প্রীতিকে দেখে ঝাপটে ধরলো।
প্রীতি ইয়ানার পিঠে চাপর মেরে বললো হয়েছে হয়েছে এবার ছাড় লেট হয়ে যাচ্ছে।
ইয়ানা আরো জোরে ঝাপটে ধরে বললো ছাড়তে ইচ্ছে করছে না।
হাতে সময় কম ১৫ মিনিটের ভিতরে রেডি হতে হবে ছাড় না এবার।
ইয়ানা ছেড়ে দিয়ে ভ্রু কুঁচকে প্রীতির দিকে তাকিয়ে বললো ১৫ মিনিট কেনো? অনুষ্ঠান শুরু হতে তো আরো ১ ঘন্টার মতো বাকি।
এতো কিছু বলার এখন সময় নেই যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয় এ বলে জোর করে ওয়াশরুমের পাঠিয়ে দিলো।
প্রীতির কাজে ইয়ানা বোকা বনে গেলো। কি হচ্ছে কিছুই মাথায় ঢুকলো না। পরক্ষণে নিজের ভাবনা বাদ দিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হতেই প্রিতি রেডি করে দিতে লাগলো।
রেডি হওয়া শেষ হলে দুজন রুম থেকে বেড়িয়ে আসলো। ড্রয়িংরুমে এসে ইয়ানা ইতি বেগমের উদ্দেশ্যে বললো মা আমি যাচ্ছি।
ইতি বেগম কোনো জবাব দিলো না তা দেখে ইয়ানার মনটা বিষিয়ে গেলো। চোখ জোরা চিকচিক করে উঠলো জলে। অন্য মায়েদের মত যদি একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলতো সাবধানে যাস তাহলে কি খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যেতো? ইয়ানা ভেজা চোখে একবার মায়ের দিকে তাকিয়ে প্রীতিকে নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
———————–
এদিকে পারফি বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। ১৫ মিনিটের জায়গায় ৩০ মিনিট হয়ে গেলো এখনো প্রীতির আসার নাম নেই। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে গেলো, রাগ লাগছে এবার খুব। বিরক্ত নিয়ে গেটের দিকে তাকাতে থমকে গেলো পারফি।
গেট পেরিয়ে বেবি পিঙ্ক কালার শাড়ি পরিহিত একটি মেয়ে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে আসছে। স্নিগ্ধ মুখশ্রী যেখানে নেই কোনো মেকআপ এর ছোয়া। মেকআপ ছাড়া বেবি পিঙ্ক কালার শাড়ি পরিহিত মেয়েটিকে স্নিগ্ধ ফুলের চেয়ে কোনো অংশে কম লাগছে না। অতিরিক্ত ফর্সা হওয়ার দরুন গুলুমুলু গাল দুটি রোদের তাপে লাল আভা ধারণা করেছে। গোলাপি ঠোঁট, টানা টানা চোখ যেনো মনে হচ্ছে সকালে ফুটে ওঠা স্নিগ্ধ এক গোলাপ ফুল। এতক্ষণ বিরক্তিতে কুঁচকে থাকা ভ্রু শীতল হয়ে গেলো। এক ঘোরের মাঝে হারিয়ে গেলো পারফি। আশেপাশে আর কোনো কিছুর দিকে খেয়াল নেই। হারিয়ে গেলো সামনে আসা রমনির মাঝে।

#চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে