#তুই হবি শুধু আমার
#সাইরাহ্_সীরাত
#পর্ব_চৌদ্দ (বোনাস )
জানো ফালাক ভাইয়া আমার গল্পের হিরো হিরোইন কারা? তুমি তো বাস্তবিক জগতেও হিরো, তাই তোমার কথা বাদ। আমার গল্পের হিরো হিরোইন দাদাই আর তাঁর কুসুম। আমি জানি তুমি ভাবো এই গল্পের হিরোইন আমি। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। আমি ডায়েরিতে সর্বদা নিজেকে হিরোইনের একটা দারুন আখ্যানে লিখেছি কিন্তু সত্য বলতে যে কল্পনা করে লেখে সে বাস্তবে কি হিরোইন হতে পারে? পারে না।তবে তোমার প্রতিটা কথা আমি মানি। তাই তুমি যখন বলেছিলে তুমি হিরো হলে আমি হিরোইন হবো। তখনই সেই ভাবনা আমার মনে গেঁথে গেছে সারাটা জীবনের জন্য। কিন্তু আমি বন্ধু হিসেবেই তো বেশ আছি তাইনা? প্রিয়মানুষ, আপনজন হিসেবেই আমি বেস্ট।তবুও এই হিরো হিরোইন হওয়ার চক্করে তোমাকে হারিয়ে ফেললাম আমি।
শুভ জন্মদিন নিজেকে! আজ আমার চৌদ্দ বছর পূর্ণ হলো। তুমি তো উইশ করলে না ফালাক ভাইয়া। তোমার ওপর প্রচন্ড রেগে আছি আমি।
ডায়েরির পাতাগুলো ছিড়ে পুড়িয়ে ফেললো রোজ। এসব স্মৃতি রাখা যাবে না। সে গল্পের বা উপন্যাসের প্রধান অভিনেত্রী নয়। নিজের প্রেমকাহিনি পূর্ণ করতে আসেনি রোজ। সে এসেছে সবার জীবনটা গুছিয়ে দিতে।
ফালাককে রোজ ভালোবাসে, এটা যেমন ঠিক তেমন ওর ভালোবাসাকে উপেক্ষা করতে পারবে না এটাও ঠিক। সেজন্যই ফালাকের থেকে দূরে চলে এসেছে সে। জার্নালিজমে ভর্তি হয়েছে। নিজেকে কঠিন করার সকল উপায় সে অবলম্বন করে চলবে। কখনও গলবে না, নরম হবে না। কারন ওকে শুধু বাবা-মায়ের ইচ্ছে নয়, নিজের ইচ্ছাটাও পূরণ করতে হবে।
__________
অভিনয় জগৎ ছেড়ে দিয়েছে ফারহান। ফারদিন সাহেব অবাক হলেও কিছু বললেন না। ফারহান সাধারণ হতে চাইছে বিষয়টা তাঁর ভালো লেগেছে। কিন্তু হঠাৎ করে নিজেকে পরিবর্তন করতে গিয়ে ফারহান যে পরিমানে কষ্ট পাচ্ছে তা সহ্য করা যাচ্ছে না। আরশান এসেছে ফারহানকে দেখতে। সেদিনের বিয়েটা পিছিয়ে গেছে। কারন রোজের এক্সিডেন্ট! রোজ এক্সিডেন্ট করেছে এমন একটা খবর পাওয়ার পর বিয়েটা সম্পন্ন হতে পারেনি। আরশান রাজিও হয়নি রোজকে ছাড়া বিয়েটা করতে। অয়ন্তির অবস্থাও এক। ফারহানের ঘর জুড়ে রোজের ছবি। অয়ন্তি সেগুলো ঘুরেফিরে দেখছে আর আরশানকে সেসব নিয়ে প্রশ্ন করছে। ফারহান খাটের কোনায় চুপচাপ বসে আছে। রোজের এক্সিডেন্ট হলেও হসপিটালে রোজ ছিল না। আরশান যদিও এটা বলেছে যে রোজের কেবিন, মেডিসিন ডিটেইলস আছে। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় ও যাবে কোথায়? অয়ন্তি রোজের ছোট বেলার গল্প শুনে হাসতে হাসতে বিছানায় বসে পড়ে। আরশানও বসলো ফারহানের পাশে। এরপর ঠান্ডা গলায় বলে,
-নিজেকে এভাবে হুট করে চেঞ্জ করা যায় না ফালাক। সময় লাগে। বেবি তোকে পাঁচ বছর সময় দিয়েছে তো। আস্তে আস্তে নিজেকে চেঞ্জ কর। অভিনয় জগৎ ছাড়া তুই থাকতে পারিস না, রাগও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বরং এক সময় রাগ কম দেখালে, অন্যসময় বেশি দেখাচ্ছিস।
অয়ন্তিও সায় দিয়ে বলল,
-হুম ভাইয়া। নিজেকে এভাবে বদলে ফেলা অসম্ভব।
ফারহান জবাব দিল না।আরশান উঠে দাঁড়ালো।অনেক সময় পার হয়ে গেছে এবার ফিরতে হবে ওদের। অয়ন্তি উঠতে উঠতে বলল,
-যে মেয়েটা সবার প্রবলেম সলভ করে, সে তোমার এই প্রবলেম ঝুলিয়ে রাখবে না ভাইয়া। ধৈর্য ধরো, ঠিক হবে সব।
-চলো কুসুম।
-হুম।
গাড়িতে উঠে অয়ন্তির সীটবেল্ট ঠিক করে দিল আরশান এরপর কোমল কন্ঠে বলল,
-বিয়ের দিন ওভাবে বিয়ের আসর ছেড়ে আমার যাওয়া ঠিক হয়নি কুসুম। মাফ করে দিও।
-এতদিন পর মাফ চাইছেন?
-ফালাকের অবস্থা দেখেছ? রোজ ওকে ভালোবাসলেও মাফ করেনি। আর তুমি তো সবে ভালোবাসতে শিখছো।
-ভয় পাচ্ছেন নাকি?
-একটু একটু।
-আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না আরশান।
-রোজও নাকি ফালাককে এমন বলতো। আমি নিজেও শুনেছি, দেখেছি। জ্বরের ঘোরে মেয়েটা ফালাকের নাম নিত। তবুও তো চলে গেল। শুধু ফালাকের জীবন থেকে নয়। আমাদের জীবন থেকেও।
-এমন কেন করল ও? ফালাক ভাইয়া তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে।রোজ তো নিজেই বলতো, যে ভুল বুঝতে পারে তাকে সংশোধনের একটা সুযোগ দেওয়া উচিত।আর ও নিজেই সেটা ভিত্তিহীন প্রমাণ করল।
-ভিত্তিহীন না, ও জেদের বশে সেটা নিজের জীবনে কার্যকর করেনি। বাক্যটার ভিত যথেষ্ট মজবুত।
-আগামীকাল থেকে ভার্সিটি শুরু। আমাকে ড্রপ করার দায়িত্ব নাকি আপনি নিয়েছেন?
-না, ওদিক দিয়েই রেডিও সেন্টারে যেতে হয়। তাই সেটা ভেবেই আঙ্কেলকে বলেছিলাম তোমাকে আমি ড্রপ করে দেব।
-একই কথা।
-খুব কথা শিখেছ?
-খুববববব!
আরশান হেসে গাড়ি স্টার্ট দিল। অয়ন্তি চকলেট খাচ্ছে আর আড়চোখে আরশানকে দেখছে। আরশান তা লক্ষ করে বলল,
-আমাকে কি আজ অনেক বেশি সুন্দর লাগছে? কেউ একজন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে আমাকে।
অয়ন্তি ভীষম খেল। দ্রুত জানালার বাইরে তাকিয়ে ঠোঁট উল্টে বলল,
-মানুষ গাড়ি চালানোর সময়ও এত ভাব নিলে চোখ তো যাবেই।
-কেমন ভাব?
-ঠোঁট কামড়ে সামনে দৃষ্টি স্থির,স্টিয়ারিং’য়ের ওপর হাত রেখে আঙ্গুল নাড়ানো, সাদা হাতের ওপর কালো ঘড়ি, খাড়া খাড়া চুলে বাতাসের বারি!
-প্রশংসাও ঠিক করে করতে পারো না। একমাস হয়ে গেল আমার সঙ্গে আছো। আমার থেকেও তো কিছু শিখতে পারো।
-ধমকিধামকি শিখবো? নাকি রাত-বিরেতে বাড়ির সামনে এসে হাজির হওয়া শিখবো?
-ভালোবাসতে শেখো। ওটা হলেই হবে।
-হুহ, তো কাকে ভালোবাসতে শিখবো?
-কাকে ভালোবাসতে চাও?
অয়ন্তি উত্তর দিল না। হুট করেই একরাশ লজ্জা ঘিরে ধরলো ওকে। আরশান মৃদু হেসে বলল,
-বলো।
-বাড়ি যাবো, আপনি গাড়ি উল্টোদিকে ঘুরালেন কেন?
-ভাবি তোমাকে দেখতে চেয়েছে। তাই আগে বাড়ি যাবো তারপর তোমাকে পৌঁছে দেবো।
বাড়ি ফিরেই ওরা দেখলো বসার ঘরে সবাই গম্ভির মুখ করে বসে আসে।আরসালানের হাতে নীল রঙের একটা ছোট কাগজের টুকরো। ভাবির হাতে গহনার বাক্স আর অভীদের হাত ভর্তি চকলেট। কিছু শপিংয়ের ব্যাগও আছে। সবাই শপিং’য়ে গিয়েছিল নাকি? তাহলে তো আনন্দে থাকবে। চেহারা বেজার করে বসে আছে কেন? আরশান অয়ন্তি ঢুকতেই আমীর সাহেব বললেন,
-এসেছ? বসো।
-কি হয়েছে বাবা?
কিছুসময় নিশ্চুপ থেকে আমীর সাহেব জবাব দিলেন,
-রোজ গিফট পাঠিয়েছে। আর বলেছে তোমাদের বিয়ে করে নিতে।
-কই দেখি।
নীলরঙা চিরকুটটি হাতে নিতেই আরশান দেখতে পেল গোটা অক্ষরে লেখা একটা হুমকি!
“বিয়েটা ভেঙে ঠিক করোনি দাদাই!!!
এত কষ্টে নিজের কুসুমকে পেয়েছ। বিয়ে ভাঙলে কেন? আমি কিন্তু রাগ করেছি অনেক।বিয়েটা করে নিও।আমার ফিরতে সময় লাগবে তাই অপেক্ষা করো না। আমাকে নিয়ে চিন্তাও করতে হবে না। বাবা আমার নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিল। আমার বয়স আঠারো হয়েছে বলে টাকাগুলো পেয়ে গেছি। তাই আপাতত আগামী পথ চলতে আমার কোনো অসুবিধা হবে না। আর গিফটগুলো কুসুম ভাবিকে দিও। তাঁর একমাত্র ননদের পক্ষ থেকে।
ইতি রোজ! ”
আরশান দেখল অয়ন্তির জন্য একটা সুন্দর স্বর্ণের সেট পাঠিয়েছে রোজ। রজনী ভাবির জন্যও পাঠিয়েছে। বাড়ির সকলের জন্য জামা-কাপড় কিনেছে। সামনে ইদ সেই উপলক্ষে। আমীর সাহেব বললেন,
-ফালাকদের জন্যও গিফট পাঠিয়েছে।তুমি আর অয়ন্তি গিয়ে দিয়ে এসো।
-জি।
সবার সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে অয়ন্তি বলল,
-বিয়েটা কি তাড়াতাড়ি হবে?
-তুমি কি চাও? তাড়াতাড়ি নাকি দেরিতে?
-আপনি কি চান?
-এখন, এই মুহূর্তে।
-সব সময় মজা? এটা ঠিক না।
-ভাবছি, রোজ কি আমাদের ওপর নজর রাখছে? কি করছি না করছি তা কিভাবে জানতে পারছে? বুঝলে কুসুম! বাসর ঘর চেক করে ঢুকতে হবে। বোন আমার সুবিধার না। চিপায়-চাপায় ক্যামেরা ফিট করে দিতে পারে।অনার মত কূটবুদ্ধি মাথায় ভরা। আবার বলেছিল জার্নালিজমে পড়বে। সব ধান্দাবাজগুলো কি এমন হয়?
-জানেন আমিও ভেবেছি, জার্নালিজম নিয়ে অনাপি আর রোজের ধারণা প্রায় এক।
-তুমি যে ইকোনমিকস নিয়ে অনার্স করছো এজন্য খুশি আমি।
-কিন্তু আমি খুশি না।
-কেন?
-আপনার ব্যবসা কিসের সেটা তো বললেন না।
-ওহ, আমি ছোটখাট একটা কম্পানি খুলেছিলাম। সেটা তো চারবছর আগেই বাদ হয়ে গেল। এখন জকি হিসেবেই আছি।
-ব্যবসাটা কিসের?
-গাঁজার।
অয়ন্তি চোখ বড় বড় করে তাকালো। আরশান হেসে বলে,
-মজা করছি। আসলে আমি গ্রামের নারীদের হাতের তৈরি যেসব শিল্প আছে সেগুলোর রপ্তানির ব্যবসা করতাম।
– আপনি অত্যন্ত বাজে একটা মানুষ
আরশান শব্দ করে হাসে।এরপর বলে,
-তোমার বাবার সঙ্গে বাবা কথা বলবে। বিয়েটা যেই তারিখে ফিক্সড হবে সেদিনই বিয়ে করবো। এবার আর কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।
_____________
ফারহানের দেখা না পাওয়ায় মুগ্ধতা নিজে বাড়িতে চলে এসেছে। সিয়ামও আটকাতে পারেনি তাকে। সিয়ামকে পাশ কাটিয়ে মুগ্ধতা যখন ঘরে ঢুকছিল সিয়াম চেহারা বিকৃত করে বলল ‘খাটাইশ্ঠা মহিলা’। মুগ্ধতা শুনলো না। সে সোজা ঘরে ঢুকে দেখলো ফারহান একটা তোয়ালে পড়ে আলমারির সামনে দাড়িয়ে কাপড় বের করছে। ফারহানের চুল ভেজা, চুলের পানি টপটপ করে ঘাড়ের ওপর পড়ছে। সারা শরীরে বিন্দু বিন্দু পানি! শাওয়ার নিয়ে বেরিয়েছে বোধ হয়। সিয়াম দরজার পাশে এসে দাঁড়ালো। মুগ্ধতা ছুটে গিয়ে ফারহানকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ওঠে। সিয়াম হতবাক হয়ে চেয়ে রইল। মনে মনে আওড়ালো,
-কি ছ্যাছড়ার ছ্যাছড়া!কতবার মানা করলাম শুনলো না।এবার বুঝবে মজা।আমাকে জড়িয়ে ধরলে আমি কি মাইন্ড করতাম? জড়িয়ে ধরাটাই যখন ফ্যাক্ট আমাকে ধরতিস। আমাকে ইগনোর করার জন্য তোকে একদম সাহায্য করবো না আমি। বেয়াদব মহিলা।
ওদিকে মুগ্ধতা কেঁদেকেটে একাকার। ফারহানের হাত শক্ত হয়ে এসেছে। রাগে সারা শরীর ঘিনঘিন করছে। সে হাতে থাকা শার্টটা নিয়ে জোরে গা ঝারা দিতেই মুগ্ধতা ছিটকে পাশে পড়ে গেল। ফারহান কঠিন গলায় বলল,
-এটাকে ঘরে ঢুকতে দিয়েছো কেন সিয়াম? মুভি শেষ, এর সঙ্গে যোগাযোগও শেষ। এটা বলোনি ওকে?
মুগ্ধতা হিচকি তুলে কাঁদে,
-আমি তোমাকে ভালোবাসি ফারহান। তুমি যা করতে বলবে করবো। তবুও আমাকে ছেড়ে যেও না। তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না আমি।
-যা করতে বলব তাই করবে? (দুষ্টু হেসে)
-হ্যাঁ। (কান্না থামিয়ে)
-ম’রে যাও।
-ফারহান…. (হতাশ গলায়)
-সিয়াম আমি আবার শাওয়ার নিতে যাচ্ছি। রুম ক্লিয়ার করে রাখো।
-কিন্তু মুগ্ধতা ম্যাম তো যেতে চাচ্ছেন না।
-তুমি পুরুষ মানুষ না? সামান্য একটা মেয়েকে ঘর থেকে বের করতে পারছো না? আমার পি.এ হলে কোন যোগ্যতায়?
-ম্যাম বলেছেন সুইসাইড করবেন।
-তাতে তোমার কি? উনি তোমার কি হয় যে এত দরদ উতলে পড়ছে।
-ওকে স্যার। এই ম্যাম ওঠেন, ওঠেন। আপনি আমার কিছু লাগেননা। আপনি মরলেন কি বাঁচলেন তাতেও আমার কিছু আসে যায় না। দ্রুত ওঠেন, বের হন। কি ছ্যাছড়া মহিলা, যান না কেন? যান, দ্রুত ওঠেন!
মুগ্ধতা অপমানে চলে যেতেই সিয়াম তৃপ্তিময় হাসি দিল। চরম বদলা নেওয়া হয়েছে। ইগনোরের থেকেও বেশি। আহা! কি শান্তি। সিয়াম মিটিমিটি হাসছে দেখে ফারহান বুঝলো ওর তৃপ্তির কথা। তাই নিজেও হেসে গোসলে ঢুকলো। কি বিশ্রি পার্ফিউম মেখে এসেছে, গন্ধ গায়ে জড়িয়ে আছে। বমি আসছে ফারহানের! ওয়াক থু! অভিনেত্রী হয়ে সস্তা পার্ফিউম ইউজ করে কে? নাকি ভালো কিছুর ঘ্রাণও ফারহানের নাকে বিশ্রি লাগছে? রোজ তো এসব ব্যবহার করতো না, ও সর্বদা বকুল, বেলি, গোলাপ ও জুঁই ফুলের মালা রাখতো সঙ্গে। তাঁর ঘ্রাণটাই ওর কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগতো। আর ফারহানের ভালো লাগতো রোজের চুলের ঘ্রাণ, ঘামের ঘ্রাণ! ভেবেই ফারহান মাথা চাপড়ালো। কিসব ভালোলাগা সৃষ্টি করে রেখেছে মেয়েটা। যখন থাকবেই না তখন এসব অভ্যাস করানের কি দরকার ছিল?
চলবে?