#তিক্ত_প্রতিশোধ
#পর্ব ১৫
#Raiha_Zubair_Ripte
অহনা জ্ঞান ফেরার পর চোখ মেলে তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করে এক সজ্জিত রুমে। চারপাশে সবুজ গাছ পালা দেখা যাচ্ছে জানালা দিয়ে,সূর্যের কিরন গুলো অহনার চোখে এসে পড়ছে। অহনা বিছানা ছেড়ে উঠে আধশোয়া হতেই ঘাড়ে ব্যাথা অনুভব করে। ব্যাথাযুক্ত স্থানে হাত দিতেই পরে যায় তখনকার ঘটনা গুলো। মূহুর্তে অহনার চোখ মুখ কঠিনতম হয়ে উঠে।
নাহ এবার আর কিছুতেই তুই দুর্বল হবি না অহনা,নিজেকে শক্ত কর,এবার যেই পথে তুই নামবি সেখানে কোনো ভালোবাসা মায়ার জায়গা দিবি না,এ হবে এক #তিক্ত_প্রতিশোধ,যেই প্রতিশোধে তুই জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব ভস্ম করে দিবি।
কথা গুলো নিজের মনে আওড়িয়ে বিছানা থেকে উঠে এলোমেলো পায়ে দরজার কাছে যায়। দরজাটা টান দিতেই অহনা বুঝতে পারে দরজা টা বাহির থেকে আটকানো।
উপায়ন্তর না পেয়ে অহনা ঘুরে বিছানায় এসে বসে পড়ে দু হাতে মাথা চেপে ধরে। পাশ থেকে বালিশটা টান দিয়ে কোলে নিতেই অহনার চোখ যায় বালিশের পাশে থাকা এক বাটন ফোনের দিকে।
অহনার আর সময় ব্যায় না করে ফোন টা হাতে তুলে নেয়। ফোনটা হাতে নিয়ে সোজা গোয়েন্দা বিভাগের হেড শামসুল আলমের নাম্বারে ফোন দেয় অহনা,ভাগ্যিস মুখস্থ ছিলো নাম্বার টা।
ওপাশ থেকে ফোন ধরলে অহনা সালাম জানায়। ওপাশ থেকে শামসুল আলম বলে,,
” অলাইকুম আসসালাম, কে আপনি?
অহনা বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বলে,,
” স্যার আমি অহনা বলছি।
” ওহ অহনা তুমি! কিন্তু এই নাম্বার কার? আর তোমায় যে তোমার নাম্বারে কল দিচ্ছিলাম সেটা ব্যাস্ত বলছিলো কেনো,তুমি যে সেদিন বললে জয়েন হচ্ছো ডিউটিতে তাহলে,,কি এমন হলো যে আর এলে না,আর তুমি একজন নতুন অফিসার এখনই যদি এমন অনিহা করো, তাহলে ডিউটি তে জয়েন হবার পর কি করবে। তোমার জয়েন ডেট কিন্তু গত দশ দিন হলো ওভার হয়ে গেছে তোমায় আগামী দু দিন সময় দিলাম তুমি যদি ডিউটি তে জয়েন হতে না পারো তাহলে তোমার মতো একজন গোয়েন্দা কর্মীর আমাদের দরকার নেই। যে টাইমের গুরুত্ব বুঝে না তাকে দিয়ে আর যাই হোক এই প্রফেশনে মানাবে না।
” স্যার আমার কথাটা তো শুনুন।
” আর কি বলার মতো রেখেছো তুমি?
” তবুও স্যার শুনুন না।
“আচ্ছা বলো।
” স্যার আমি আপাতত বন্দী হয়ে আছি আমার স্বামীর হাতে,এই যে দেশ ব্যাপি মেয়ে পা’চার হচ্ছে এসবের পেছনে আমার স্বামী, বাবা,শশুর জড়িত।
” হোয়াট আর ইউ শিওর?
” হ্যাঁ স্যার এসবের সব প্রমান সায়েমের কাছে আছে আপনি কাইন্ডলি সায়েমের থেকে কালেক্ট করে এদের ধরুন।
” তুমি কোথায় এখন?
” জানি না স্যার, কথাটা বলে অহনা ফোনের দিকে তাকিয়ে টাইম দেখে আবার ও বলে,,” কাল বিকেলের দিকে জানতে পারি আমার স্বামি এসবে জড়িত,আর আমার বিয়ের সাপ্তাহ খানেক পরই জানতে পারি আমার শশুর,বাবা এসবে জড়িত।
” তাহলে এতোদিন আমাদের ইনফর্ম কেনো করো নি?
দাঁতে দাঁত চেপে কথাটা বলে শামসুল আলম।
” এটাই আমার সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে স্যার,আমি যদি আগেই আপনায় ফোন করে সব জানাতাম তাহলে হয়তো আমায় এইসব সিচুয়েশনে পড়তে হতো না,আর না আমার সাথে এসব হতো।
” তোমার সাথে কি হয়েছে অহনা,খুলে বলো, খুলে না বললে আমি বুঝবো কিভাবে।
” স্যার এই কয়েকটা দিন আমার উপর দিয়ে অনেক ঝড়ঝাপটা গেছে,আমার শশুর বাড়ির নিচে লা’শের ঢেরা সাথে মেয়ে পা’চারের আস্তানা ও, আর স্যার আমার দেবর আমায় ধ’র্ষণ করেছে।
” হোয়াট কি বলছো অহনা,জানতাম তুমি কোনো ঘটনা ঘটার সাথে সাথে তুমি কিছু করতে পারো না,তোমার মাইন্ড কাজ করা বন্ধ করে দেয় তাই বলে এতোটা সেটা জানা ছিলো না, নিজেকে বাঁচাতে পারলে না তুমি।
” স্যার ঐ মূহুর্তে কিছুই মাথায় ঢুকছিলো না কি করবো কিভাবে নিজেকে বাঁচাবো সেটা ভাবতে ভাবতেই যা হবার হয়ে গেলো।
” আর এতো বড় একটা ইনফরমেশন তুমি কি করে আমাদের না জানিয়ে থাকতে পারবে, তুমি আমাদের জানালে না হয়তো আরো আগে আমরা কিছু একটা করতে পারতাম, তোমার শশুর বাড়ির লোক গুলো কে শাস্তি দিতাম।
” স্যার আমার ভুল হয়ে গেছে প্লিজ এখন কিছু একটা করুন।
” আচ্ছা ঠিক আছে আমি দেখছি তুমি তোমার মাইন্ড ঠান্ডা রাখো,আমি সায়েমের সাথে কথা বলে দেখছি।
” ঠিক আছে রাখি স্যার।
কথাটা বলে অহনা ফোনটা রেখে বিছানায় বসতেই দরজা খোলার শব্দ পেয়ে ফোনটা খাটের তলায় রেখে দেয়।
শুভ্র দরজা খুলে ভেতরে এসে খাবার টা বিছানার পাশে টি-টেবিলের উপর রেখে অহনার সোজাসুজি বসে।
অহনা মুখ ঘুরিয়ে ফেলে সেটা দেখে শুভ্র মুচকি হেঁসে বলে,,
” খাবার এনেছি খেয়ে নাও,
অহনাকে কোনো কথা বলতে না দেখে শুভ্র আবার বলে উঠে,,
” কি হলো খাবার এনেছি খাবে না,খেয়ে নাও।
অহনা মুখটাকে কঠিনতম করে বলে,,
” লজ্জা করছে না তোমার আমার সাথে কথা বলতে, আমি খাবো না,আর এটা কোথায় নিয়ে এসেছো তুমি?
” সে যেখানেই নিয়ে আসি না কেনো এখন তুমি আমার কাছে বন্দী।
” আচ্ছা একটা কথা বলো তো।
” কি বলো।
” সত্যি টা বলবে,তুমিই রিয়া কে মে’রেছো তাই না।
শুভ্র পায়ের উপর পা দিয়ে বলে,,
” না আমি মা’রি নি।
” মিথ্যা বলছো তুমি,তুমিই মে’রেছো রিয়াকে।
” মিথ্যা বলে আমার লাভ কি? এমনিতেও তো তুমি আমার ব্যাপারে সব জেনে গেছো।
” তাহলে রিয়াকে মা’রলো কে?
” যাকে তুমি আটকে রেখেছো সে আর অভ্র মিলে মে’রেছিলো।
” মানে?
” মানে টাখুবই সিম্পল, তাদের কথপোকথন রিয়া শুনে ফেলছিলো তাই তারা তাকে মে’রে ফেলছে।
” তার মানে তুমি তখন জানতে ওরা রিয়াকে মে’রে ফেলবে।
” আমি বলেছিলাম রিয়াকে না মার’তে,এমনিতেই আমার বিয়েছিলো তার উপর ওরা সেদিন মেয়ে উঠাতে গিয়েছিলো আর তোমার পাঁজি ফ্রেন্ড সব শুনে ফেলছিলো,তখন অভ্র গিয়ে পেছন থেকে রিয়ার মুখ চেপে ধরেছিলো। আর তখন মনির আই মিন যাকে তুমি আটকে রেখেছো সে আমায় ইনফর্ম করলে আমি গিয়ে বলেছিলাম,ওকে না মে’রে মেয়েগুলোর সাথে পা’চার করে দিতে, কিন্তু ওরা পা’চার না করে রিয়াকে মে’রে ফেলে।
কথাগুলো অহনা নিরবে বসে শুনছিলো শেষের কথাটা শেষ হতেই বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে শুভ্র কে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে দরজা খুলে বাহির থেকে আটকিয়ে দেয়।
অহনা বাহিরে এসে বুঝতে পারে এটা একটা বাগানবাড়ি।
অহনা আর সময় ব্যায় না করে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে সোজা বাগানবাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় চলে যায়।
এদিকে শুভ্র ফ্লোর থেকে উঠে দরজার কাছে এসে দরজা ধাক্কাতে থাকে,খানিক দরজা ধাক্কিয়ে আবার বিছানার কাছে এসে রনি কে ফোন দেয়।
রনি ফোন উঠালে শুভ্র বলে উঠে,,
” রনি তাড়াতাড়ি এসে দরজা টা খুলে দে অহনা পালিয়ে গেছে যে করেই হোক ওকে খুঁজে বের করতে হবে।
” স্যার আমি তো এখন সিলেটের বাহিরে বড় স্যার বলছে ইমার্জেন্সি ঢাকা ব্যাক করতে।
” ওহ শিট এখনি তোর যেতে হলো।
কথাটা বলে ফোন বন্ধ করে বিছানায় বসতেই হঠাৎ ফোনের শব্দ পেয়ে হাতে থাকা ফোনটার দিকে তাকিয়ে দেখে,,না তার ফোন বাজছে না তাহলে ফোন কোথায় বাজছে। পুরো বিছানা খুঁজেও ফোন পায় না, একটু ঝুকি দিয়ে খাটের তলা দেখতেই শুভ্র দেখতে পায় একটা বাটন ফোন বাজছে।
শুভ্র ফোনটা উঠিয়ে রিসিভ করে কানে নিতেই ওপাশ থেকে অহনা বলে উঠে,,
” মিস্টার সাখওয়াত হোসেন শুভ্র ঘুঘু দেখেছো ঘুঘুর ফাঁদ দেখো নি এবার দেখবে সেই ফাঁদ, প্রতিটি পদক্ষেপে তোমায় এমন ভাবে হারাবো তুমি কল্পনাও করতে পারবা না,এখন ঐ বন্ধ ঘরে বসে বসে আঙুল চুষো, কাল থেকে তোমার ধ্বংসের প্রলয় শুরু।
কথাটা বলে অহনা ফোন কেটে দিয়ে পাশে গাড়ি ড্রাইভ করা রনির দিকে তাকিয়ে বলে,,
” ভাই তুমি আজ আমায় সাহায্য না করলে কখনোই ওখান থেকে আসতে পারতাম না। সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো তোমার কাছে।
রনি মুচকি হাসি দিয়ে বলে,,
” ভাই ডাকলে বোন আমায়, আর নিজেই এখন এটা বলছো, বোন বিপদে পড়লে তো ভাই-ই আসবে বোন কে বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
কাল যখন স্যার তোমায় এই সিলেটে নিয়ে আসছিলো তখনই বুঝে ফেলছিলাম স্যার হয়তো তোমায় এসব থেকে দূরে রাখার জন্য ঐ বাগান বাড়ি তে নিয়ে যাচ্ছে আর তাই তো আমি সুযোগ বুঝে তোমার বিছানার পাশে বাটন ফোনটা রেখে এসেছিলাম।
আমি জানতাম তুমি হয়তো কোনোভাবে ওখান থেকে নিজেকে বের করে আনবে তাই তো আমি রাস্তার পাশে কাল রাত থেকে বসে ছিলাম।
তুমি রাস্তায় আসার সাথে সাথেই তোমায় গাড়িতে ড্রপ করে নিলাম।
এখন বোন তোমায় একটা কথা বলি,চোখে কান খুলে সামনের দিকে আগাও,সব কিছুর সমাধান তোমায়ই করতে হবে। শুভ্র স্যার কিন্তু নিজের সাম্রাজ্য বাঁচানোর জন্য সব করতে পারে সব। এই তো কয়েক বছর আগে শুভ্র স্যারের মা কে শুভ্র স্যারের বাবা হ’ত্যা করেছিলো।
” কিহ! আমায় যে বললো শুভ্রর মা পরকী’য়ায় আসক্ত ছিলো বলে আত্ম’হ’ত্যা করেছে।
” না সেটা সম্পূর্ণ ভুল বলা হয়েছে,শুভ্র স্যারের মা বড় স্যারের সব কুকীর্তি সম্পর্কে জেনে গিয়েছিলো আর তার মা বাঁধা দেওয়াতে বড় স্যার টুকরো টুকরো করে ম্যাম কে কে কে’টে আমাদের বন্দী করে রাখা হায়নাকে দিয়ে খাইয়েছে।
কথাটা শুনে অহনার শরীর কেঁপে উঠলো ছিঃ একটা মানুষ কতোটা খারাপ হলে নিজের স্ত্রী কে মে’রে ফেলতে পারে।
” তার মানে শুভ্র ও জানতো এসব।
” না শুভ্র স্যার তখন বিদেশে ছিলো নিজের সাম্রাজ্য বাঁচাতে, তখনই তো সাইফা ম্যাম কে বিয়ে করে শুভ্র স্যার। আর দেশে আসলে বড় স্যার জানায় তার মা হার্ট অ্যাটাকে মা’রা গিয়েছে।
” কিন্তু শুভ্র যে আমায় বললো ছোট থাকতে একদিন স্কুল শেষে বাসায় এসে দেখে ড্রয়িং রুমে তার মায়ের মৃত দেহ ঝুলছে।
” ওটা এমনি ক্ষোভ থেকে বলছে, শুভ্র স্যার তার মাকে দেখতে পারতো না।
” কেনো?
” কারন শুভ্র স্যারের নিজের মা ছিলো না সে,উনি ছিলেন বড় স্যারের দ্বিতীয় বউ,উনার প্রথম স্ত্রী তো অভ্র স্যার কে জন্ম দিয়েই কয়েক মাস পর মা’রা গিয়েছেন।
” উনার দ্বিতীয় পক্ষের বউ কেমন ছিলো মানে,তার আচার আচরণ কথা বার্তা কেমন ছিলো।
” কি বলবো বোন ম্যাডামের মতো মানুষ হয় না। উনি অনেক ভালো ছিলো,উনি তো জানতো না আমি এসব কাজে যুক্ত আমায় খুবই আদর করেছে,আর বড় স্যার ছোট থেকেই শুভ্র আর অভ্র স্যার কে তাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলে নিজে সাধু সাজতো আর তাদের উস্কে দিতো।
” ছিঃ এরা কি আদৌও মানুষ। ভাই তুমি আমায় আমার অফিসের সামনে নামিয়ে দাও, অনেক হয়েছে আর না এবার আমায় শক্ত হয়ে লড়তে হবে,এদের যে করেি হোক শাস্তি আমি দিবোই।
” বোন জানোতো স্যার কিন্তু তোমাকেও পা’চার করার জন্য বিয়ে করছিলো।
আকস্মিক কথাটা শুনে অহনা থমকে যায়।
” মানে,সে যে বললো আমায় ভালোবাসে তার মানে কি সেটাও মিথ্যা কথা।
” সেটা জানি না,কিন্তু একদিন তোমাদের বাসায় গিয়েছিলো স্যার তোমার বাবার সাথে দেখা করতে, সেদিন তোমার ঘরের সামনে দিয়ে যাবার সময় দেওয়ালে টানানো তোমার ছবি দেখে স্যার সেই মূহুর্তেই মোশারফ স্যারের কাছে প্রস্তাব দেয় সে তোমায় বিয়ে করবে।
সে চেয়েছিলো তোমায় বিয়ে করে কয়েকদিন সংসার সংসার খেলা খেলে তোমায় ও পা’চার করে দিতে।
” তাহলে দিলো না কেনো পা’চার করে।
” সেটা জানি না,সেটা তো স্যার ই বলতে পারবে।
অহনা আর কথা বাড়ায় না দীর্ঘ ছয় ঘন্টার জার্নি শেষে অহনাকে তার অফিসের সামনে পৌঁছে দেয় রনি।
অহনা গাড়ি থেকে নেমে রনির থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতে নিলে রনি পেছন থেকে ডেকে বলে,,
” বোন একটু শোনো।
” হ্যাঁ বলো।
” কোনো দরকার বা ইনফরমেশন জানার দরকার হলে আমায় জানাবে আমি হেল্প করবো তোমায়।
” কিন্তু ভাই শুভ্র জানতে পারলে তোমায় ছেড়ে দিবে না।
” না ও কিছুই জানতে পারবে না, তার ব্যাপারে আমার থেকে বেশি কিছু আর কেউ জানে না,ইভেন বড় স্যার ও না।
” আচ্ছা ভাই এবার তাহলে আমি আসি, তুমি সাবধানে থেকো।
কথাটা বলে অহনা সোজা অফিসের ভেতর ঢুকে পড়ে।
অফিসে ঢুকে দেখে শামসুল আলম, রিফাত,তন্ময়, আরো অনেকে রয়েছে যাদের অহনা চিনে না।
অহনাকে দেখে শামসুল আলম চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে অবার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,,
” তুমি কিভবাে ছাড়া পেলে।
” সে অনেক কাহিনি স্যার আগে বলুন আপনি কি সায়েমের থেকে ফাইলটা কালেক্ট করেছেন।
” কাল পাঠাবে সায়েম।
” ওহ আচ্ছা, স্যার আমি কি তাহলে জয়েন হতে পারবো নাকি আমায় সাসপেন্ড করে দিছেন।
” তেমাকে শেষ একটা সুযোগ দিচ্ছি, সবার আগে তুমি কাজ কে প্রাধান্য না দিলে সময় মতো অফিসে না এলে,প্রত্যেক টা কেস এ সময় না দিলে তোমায় সাসপেন্ড করা হবে,এবং সাথে ওয়ার্নিং ও দিলাম তোমার কাজে একটু অনিহা পাবো তাহলেই সোজা বরখাস্ত।
রিফাত তন্ময় অহনার সাথে বাকি সবার পরিচয় করিয়ে দিয়ে ওকে ওর কাজ বুঝিয়ে দাও,আর নতুন যেই কেস টা আছে সেটা স্লভ করার জন্য অহনাকে তোমার সাথে নাও।
” ঠিক আছে স্যার,অহনা এসো একটা নতুন কেস এসেছে সেটার ইনভেস্টিগেশন প্রায় শেষের পথে,কাল চন্দ্রা গিয়ে এই ৪ নাম্বার বিল্ডিং টা তে যেতে হবে,এখানে মা’দক সাপ্লাই হয়।
” ওহ আচ্ছা কিন্তু যাবে কখন?
” সেটা না হয় আমি তোমায় ফোন করে জানিয়ে দিবো,তুমি বরং তোমার কেবিনে গিয়ে বসো।
অহনা রিফাতের পেছন পেছন গিয়ে নিজের কেবিনে বসে পড়ে।
চেয়ার টেনে বসে দেওয়ালে টানানো এক বাজপাখির দিকে তাকিয়ে অহনা বলে,,
” বাজপাখির দৃষ্টিশক্তির মতো আজ থেকে আমার দৃষ্টিতে তুমি আবদ্ধ শুভ্র, পেরিগ্রিন ফালকনের মতো আক্রমণের শিকার হবে তুমি। সেই আক্রমন থেকে বাঁচতে পারবে না তুমি,এ এক নতুন অহনাকে দেখবে তুমি।
# চলবে